দম ফাটানো হাসির জোকস | Jokes about Lough out loud


 

প্রিয় পাঠক-পাঠিকাবৃন্দ, আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। timeofbd.com এর পক্ষ থেকে সকলকে স্বাগতম।




সুস্থ ও খুশি থাকার জন্য সবচেয়ে বড় ঔষুধ হলো হাসি। হাসিখুশি থাকার জন্যই আমরা কতকিছু করে থাকি। কিন্তু কোনোকারণে প্রিয়জন থেকে দূরে থাকলে বা অন্য যেকোনো কারণে যদি আপনার মন খারাপ থাকে তাহলে আমরা আজ আপনার জন্য নিয়ে এলাম ফানি জোকস, জোকস হাসির, মজার মজার জোকস, নতুন মজার জোকস, চরম হাসির জোকস, মজার জোকস-২০২৪, জোকস শোনাও, মজার জোকস, হাসির জোকস

 আমাদের এই সাইট থেকে আপনাদের পছন্দের ফানি জোকস, জোকস হাসির, মজার মজার জোকস, নতুন মজার জোকস, চরম হাসির জোকস, মজার জোকস-২০২৪, জোকস শোনাও, মজার জোকস, হাসির জোকস নিজে পড়ুন এবং অন্যদের সাথেও শেয়ার করুন। আশাকরি এখান থেকে ফানি জোকস, জোকস হাসির, মজার মজার জোকস, নতুন মজার জোকস, চরম হাসির জোকস, মজার জোকস-২০২৪, জোকস শোনাও, মজার জোকস, হাসির জোকস পড়ে আপনার ঠোঁটে আসবে হাসি এবং কেটে যাবে আপনার দুঃখ।


       
       

    মজার জোকস | হাসির জোকস | ফানি জোকস | জোকস হাসির | মজার মজার জোকস

    অতিথি সৎকার

    বাড়িতে অতিথি এসেছেন। মা পল্টুকে ডেকে বললেন, ‘বাবা পল্টুজলদি অতিথিদের জন্য বাইরে থেকে একটা কিছু নিয়ে এসো তো দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল পল্টু। কিছুক্ষণ পর ফিরল খালি হাতে। মাকী হলোকী আনলে ওনাদের জন্যপল্টুট্যাক্সিওনারা যেন চটজলদি বাড়ি ফিরতে পারেন!

     

    অসুস্থতা

    অফিসের বড় কর্তা  মন্টুর মধ্যে কথা হচ্ছে— বড় কর্তাআচ্ছা আপনি আগের চাকরিটা ছেড়ে দিলেন কেনমন্টুঅসুস্থতার জন্যস্যার। বড় কর্তাতা কী হয়েছিল আপনারমন্টুআরে আমার তো কিছুই হয়নি। ওই অফিসের বড় কর্তাই তো আমার কাজে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেনমানে তার প্রায় মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় হয়েছিল স্যার।

     

    অতিথি আপ্যায়ন

    অনেক দিন পর বাড়িতে একজন মেহমান এসেছে। মেহমান দেখে বাড়ির মালিক বললেনতা কেমন আছেনঅনেক দিন পর এলেনআজ তো আর থাকবেন নাআবার কবে আসবেনমেহমান : অনেক দিন পর এলামযেতে তো আর দিবেন নালুঙিটা দিন গোসলটা সেরেই আসি।

     

    এমএস অফিস

    পল্টুর অফিসে প্রথম দিনেই বড় কর্তার সঙ্গে কথা হচ্ছে— বড় কর্তাআপনি কম্পিউটারে কী কী কাজ জানেনপল্টুস্যারপ্রায় সব ধরনের কাজই করতে পারি। বড় কর্তাআচ্ছাআপনি এমএস অফিস জানেনপল্টুআজই যেতে হবেতাহলে ওই অফিসের ঠিকানাটা একবার বলে দিলেই আমি খুঁজে বের করতে পারবস্যার।

     

    এর থেকে বেশি

    বাড়িতে অতিথি বেড়াতে এসেছে বাসায় ছোট বাচ্ছার সঙ্গে খাতির জমানোর চেষ্টা করছেঅতিথি : কাছে এস বাবু আমাকে একটু চুমু দাও। তাহলে তোমাকে পাঁচ টাকা দেব। বাবু : শুধু অষুধ খাওয়াতেই মা এর থেকে বেশি দেয়।

     

    কর্মচারীর ওপর রাগ ঝাড়ি

    রেগেমেগে অফিস থেকে বাড়ি ফিরলেন শফিক। শফিকের স্ত্রী বললেন, ‘কী হলোআজ এত চটে আছো কেন?’ শফিকআর বোলো না। প্রতিদিন অফিসে যে কর্মচারীর ওপর রাগ ঝাড়িসে আজ অফিসে আসেনি। মেজাজটাই খারাপ হয়ে আছে!

     

    কী করে বলব

    বাইরে থেকে দরজা নক করছে। ভেতর থেকেঃ কেবাইরে থেকেঃ আমি। ভেতর থেকেঃ আমি কেবাইরে থেকেঃ আরেআপনি কে আমি কী করে বলবসমীরণ চক্রবর্তী অন্তপুরপরশুরামফেনী সূত্রদৈনিক প্রথম আলোসেপ্টেম্বর ১৪২০০৯

     

    গাধা

    অফিসে কাজে গাফিলতির কারণে বড় কর্তা বেশ রেগে আছেন মোকলেসের ওপর। বড় কর্তা মোকলেসকে ডেকে বললেন, ‘সব কাজই নষ্ট করে ফেলেছেন আপনি। এই অফিসে একটা গাধা আছেআপনি জানেন?’ মোকলেস বড় কর্তার অগ্নিমূর্তি দেখে মাথা নিচু করে জবাব দিল, ‘নাস্যার।’ ‘নিচে কী দেখছআমার দিকে তাকাও?’—বড় কর্তার জবাব।

     

    গ্ল্যামারের দিকে নজর

    বস :  কী টাইপিষ্ট নিয়েছেনসুন্দরী তাতে সন্দেহ নেই-কিন্তু প্রতিটি লাইনে এক গন্ডা ভুল। আপনাকে বলি নিটাইপিষ্ট নেবার সময় গ্রামারের দিকে নজর রাখবেন। ম্যানেজার : শুনতে ভুল হয়েছিল স্যার। আমি গ্ল্যামারের দিকে নজর রেখেছিলাম।

     

    চৌকস বস

    চৌকস বস হচ্ছে সেযে অফিসের মিটিং সংক্ষিপ্ত করার জন্য বলেনএগুলো হলো আমার প্রস্তাব। কারও যদি কোনো ব্যাপারে দ্বিমত থাকে তাহলে হাত তুলে বলুন, ‘আজ থেকে আমি রিজাইন করলাম।

     

    ডিসিপ্লিন কী

    ডিসিপ্লিন কী? : বসের চেয়ে বোকা হবার ভান করার আর্ট।

     

    দাদার বিয়ে

    কর্মচারীস্যারএকটা দিন ছুটি চাই। বসকেনআবার কীকর্মচারীস্যারআমার দাদা… বসআবার দাদাগত তিন মাসে তুমি চারবার দাদির মৃত্যুর কথা বলে ছুটি নিয়েছ। কর্মচারীস্যারএবার আমার দাদার বিয়ে!

     

    দার্জিলিং স্পেশাল

    গৃহস্বামীএই যে চা খেলেনএটা একেবারে দার্জিলিং স্পেশাল।

    অতিথিবোধহয় এইজন্যই এত ঠান্ডা।

     

    বাড়তি উৎপাত

    বাসা খালি। পাহারায় আছি আমি আর আমার এক সমবয়সী মামু। দারুণ আনন্দে কাটছে দিনযা ইচ্ছা তা- করছি আমরা। স্বাধীন জীবন দুজনের। এর মধ্যে হঠাৎ গেস্ট এসে হাজির। হায় হায়এখন কী করানিজেদের স্বাধীন জীবনে বাড়তি উৎপাত কিছুতেই সহ্য করা হবে না। কী করা যায়দুজনে মিলে বুদ্ধি করলাম। গেস্ট সকালে বেরিয়ে যায়সন্ধ্যায় আসে। আমরা ঠিক করলামসন্ধ্যায় আমরা গা ঢাকা দেব। সে সন্ধ্যায় বাসায় ঢুকতে পারবে নাপরে বাধ্য হয়ে কেটে পড়বে। যেই ভাবাসেই কাজ। দুজনে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মেরে শ্যামলী হলে সেকেন্ড শোতে সিনেমা দেখতে ঢুকে পড়লাম। সিনেমা শেষ হতে হতে রাত ১২টা। আমাদের গেস্ট কি আর আমাদের জন্য সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেবিরতির সময় দুজন বাইরে এলাম সিগারেট টানতে। বাইরে এসে দেখি আমাদের গেস্টসেও সিগারেট টানছে!!

    -আপনি?

    বাসায় তালা দেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষায় থেকে বুদ্ধি করে সেকেন্ড শো সিনেমায় ঢুকে পড়লাম। যাকভালোই হলোতোমরাও•••

    তারপর আর কি•••বাকি ছবি তিনজন একসঙ্গে দেখলাম।

     

    ভালো কাজের পুরস্কার

    নতুন বছরের প্রথম দিন মালিক বলছেন চাকরকে, ‘গত বছর তুই বেশ ভালো কাজ করেছিস। এই নে ১০ হাজার টাকার চেক।  বছর এমন ভালো কাজ দেখাতে পারলে আগামী বছর চেকে সই করে দেব!’

     

    লাইট ছাড়া কাজ করব কী করে

    অপু এবং নাছের দুই বন্ধু একই অফিসে চাকরি করে।

    অপুদোস্তকত দিন ধরে ছুটি পাই না। কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছি। কিন্তু বস তো কিছুতেই ছুটি দেবেন না।

    নাছেরহুমম্। আমিও হাঁপিয়ে উঠেছি। কিন্তু আমি বসের কাছ থেকে ছুটি নিতে পারবদেখবি?

    বলেই নাছের টেবিলের ওপর উঠে দাঁড়াল এবং ছাদ থেকে বেরিয়ে আসা একটা রড ধরে ঝুলতে শুরু করল। কিছুক্ষণ পর বস এলেন।

    বস কী নাছেরতুমি ঝুলে আছ কেন?

    নাছের খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলল, ‘স্যার আমি লাইটতাই ঝুলে আছি।

    বস ভ্রূ কুঁচকে তাকালেন। কিছুক্ষণ ভেবে বললেন, ‘অতিরিক্ত কাজের চাপে তোমার মস্তিষ্ক বিকৃতি দেখা দিচ্ছে। তুমি বরং এক সপ্তাহের ছুটি নাও।

    নাছের অপুর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে রুম থেকে বিদায় নিল।

    অপু চেয়ে চেয়ে দেখল। নাছের বেরিয়ে যেতেই সেও নাছেরের পিছু নিল।

    বসসে কীছুটি তো ওকে দিয়েছিতুমি কোথায় যাচ্ছ?

    অপুকী আশ্চর্যলাইট ছাড়া কাজ করব কী করে?!

     

    লোক দেখানো গিয়েছিলাম

    সেই যে বাড়ীতে এক অথিতি এসেছে। এক সপ্তাহ যায় দু সপ্তাহ যায় তবু নড়বার কোন লক্ষণ নেই। স্বামী-স্ত্রী কেউ কিছু বলতে পারে না লজ্জায়  একদিন পাশের ঘরে অথিতিকে শুনিয়ে দুজন খুব ঝগড়া করতে লাগলোমিছামিছি। স্ত্রীকে স্বামীর প্রহার এবং স্ত্রীর কান্নায় আওয়াজও শোনা গেল এক পর্যায়ে। গতিক সুবিধের নয় ভেবে অথিতি ভদ্রলোক তার সুটকেস নিয়ে এক ফাকে বেরিয়ে গেল। জানালা দিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনায় তা দেখে ঝগড়া বন্ধ করে খুব এক চোট হেসে নিলযে বুদ্ধি করে তারা অথিতি তাড়াতে পেরেছে। স্বামী বললো তোমার লাগে টাগে নিতোযে জোরে কাঁদছিলে। স্ত্রী বললো দূর একটুও লাগেনি।  তো লোক দেখানো কেঁদেছিলাম  হাসিমুখে এক সময় অথিতির আর্বিভাবহেঁহেঁ আমিও কিন্তু লোক দেখানো গিয়েছিলাম 

     

    লোক দেখানো যাওয়া

    শফিক আর কেয়াদুজনের ছোট্ট সংসার। এর মাঝে একদিন উটকো এক অতিথির আগমন।

    দিন গড়িয়ে সপ্তাহ পেরোয়অতিথির আর যাওয়ার নামগন্ধ নেই। বিরক্ত হয়ে একদিন লোকটাকে তাড়ানোর ফন্দি আঁটল দুজন।

    পরদিন সকাল না হতেই তুমুল ঝগড়া শুরু করল শফিক-কেয়া। ঝগড়া একসময় হাতাহাতির পর্যায়ে চলে গেল।

    অবস্থা বেগতিক দেখে চুপচাপ বাক্স-পেটরা নিয়ে বেরিয়ে পড়ল অতিথি।

    অতিথি বেরিয়ে গেলে ঝগড়া থামাল দুজন। কেয়াকে বলল শফিক, ‘ওগোবেশি লেগেছে তোমার?’

    কেয়াআরে নাহ্আমি তো লোক দেখানো কাঁদছিলাম!

    এমন সময় দরজা দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে বলল অতিথি, ‘আমিও তো লোক দেখানো গিয়েছিলাম!’

     

    সরকারি অফিসের পিয়ন – ভিক্টর কাকল্যুশকিন

    এক সরকারি অফিসে পিয়নের কাজ করে নিকিফরোভ। তাকে বলা হয়:

    ফাইলটা নিয়ে যাও।

    সে নিয়ে যায়।

    বলা হয়:

    নিয়ে এসো।

    সে নিয়ে আসে।

    একদিন তাকে ধমক দিয়ে বলা হলো:

    এত দেরি হয় কেন?’

    শ্-শালা!’ মনে মনে ভাবল সে। মেজাজটা খিঁচড়ে গেল। ‘একদিন আমি তোমাদের মজা দেখাবতখন ঠ্যালা বুঝবে!’

    একদিন কয়েকটি ফাইল অন্য ঘরে পৌঁছে দেওয়ার সময় একটা ফাইল সে ফেলে দিল ডাস্টবিনে।

    সে রাতে প্রায় ঘুমাতেই পারল না নিকিফরোভ। জেগে জেগে মিষ্টি স্বপ্ন দেখলকল্পনা করলফাইল হারানোর খবর ফাঁস হয়ে গেলে কী মজার কাণ্ডটাই না হবে!

    কিন্তু পুরো একটা সপ্তাহ পার হয়ে গেল। কেউ মনেও করল না ফাইলটার কথা!

    বোধহয়একটি নয়আরও কয়েকটি ফেলার দরকার ছিল’, ভাবল নিকিফরোভ।

    এবং সুযোগ বুঝে গোটা দশেক ফাইল ডাস্টবিনে ফেলে দিল একবারে।

    ঠ্যালা এবারে নিশ্চয়ই বুঝবে!’ আশ্বস্ত করল সে নিজেকে।

    প্রতীক্ষার দিন বাড়তেই থাকল একের পর এক। প্রতিদিন সকালে সে একবার করে ঢুঁ মারে সেক্রেটারি ল্যুদার ঘরে।

    কেমন আছেন?’ জিজ্ঞেস করে সে, ‘নতুন কোনো খবর আছে?’

    কেনকোনো খবর হবার কথা আছে?’ অবাক স্বরে জানতে চায় ল্যুদা।

    নাএমনিই জিজ্ঞেস করলাম,’ নিকিফরোভ উত্তর দেয়।

    দ্বিতীয় সপ্তাহ শেষ হয়ে আসতে আসতে রীতিমতো শুকিয়ে গেল সেমলিন হলো চেহারা। তৃতীয় সপ্তাহের শুরুতে আর সহ্য হলো না তার। সুযোগ বুঝে তার হাতে ধরিয়ে দেওয়া সব কটি ফাইল ফেলে দিল ডাস্টবিনে।

    এবার এমন ঠ্যালা খাবে বাছাধনেরা!’ নিশ্চিত ধারণা হলো তার।

    তারপর পেরিয়ে গেল তিন-তিনটে বছর। তার সঙ্গে প্রভাতকালীন প্রাত্যহিক সাক্ষাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে ল্যুদা।

    এই দীর্ঘ সময়ে নিকিফরোভ হাল ছেড়ে দিয়েছে খানিকটা। চুল কমে এসেছে মাথায়ভাঁজ পড়েছে মুখের চামড়ায়। শুধু চোখে রয়ে গেছে আহত অহংকারের ঝিলিক।

    ঠ্যালা একদিন বুঝবেবুঝতেই হবে!’ অফিসের ফাইল নিয়মিত ডাস্টবিনে ফেলতে ফেলতে আশা তবু ছাড়ে না সে।

     

    সুন্দর ছুটির দিন

    কর্মচারীস্যারপাঁচ দিনের ছুটি চাই। বসকেনমাত্রই তো তুমি ১০ দিন ছুটি কাটিয়ে ফিরলে। কর্মচারীস্যার আমার বিয়ে। বসবিয়ে করবে ভালো কথা। তো এত দিন ছুটি কাটালেতখন বিয়ে করোনি কেনকর্মচারীমাথা খারাপবিয়ে করে আমার সুন্দর ছুটির দিনগুলো নষ্ট করব নাকি?

     

    অনুতাপ

    স্বামী হত্যার অভিযোগে স্ত্রীর বিচার হচ্ছে। স্ত্রীর নিষ্ঠুরতার বর্ণনা শুনে আদালত জুড়ে পিনপতন নিস্তব্ধতা। বিচারক স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলেনআর্সেনিক মিশানো স্যুপ স্বামীকে যখন খেতে দিলেন তখন আপনার মনে কি কোনো অনুতাপ হয় নি? : হ্যাঁহয়েছিল। : কখন? : যখন তিনি আরো স্যুপ খেতে চাইলেন।

     

    অপমানজনক

    জাজ : তুমি বলছ তুমি ক্ষুধার্ত ছিলে বলে হোটেল থেকে ক্যাশ ডাকাতি করেছ। কিন্তু হোটেলের খাবার ডাকাতি করাটাই স্বাভাবিক ছিল নাডাকাত : খেয়ে পয়সা না দেওয়াটা আমার জন্য অপমানজনক …. মহামান্য আদালত।

     

    অভিযুক্ত ব্যক্তি

    মুরগি চুরির মামলা চলছে। আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ানো মানুষটাকে বিচারক প্রশ্ন করলেন, ‘তুমিই কি অভিযুক্ত ব্যক্তি?’ লোকটা জবাব দিল, ‘জি নাস্যারআমি হচ্ছি সেই লোকযে মুরগিগুলো চুরি করেছে।

     

    অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি

    বিচারক কাঠগড়ার দিকে তাকিয়েআপনি মুক্ত। আসামিমানে কীবিচারকমানে হচ্ছেআপনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছিলতা প্রমাণ করা যায়নি। আসামিতার মানে লুটের টাকা আমি নিজের কাছেই রাখতে পারব?

     

    আঘাতের চিহ্ন

    আপনি তা হলে বলতে চাচ্ছেন যে আপনার ভাই আপনার মাথায় বেলচার বাড়ি মেরেছে ? : জিদারোগা সাব। আপনি অরে গেরেপ্তার করেন। : কিন্তু আপনার মাথায় তো কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাচ্ছি না  : যে বেলচাটা দিয়া  আমার মাথায় মারছে সেইটার অবস্থা একবার দেইখা আসেন না 

     

    আপনিই বলে দিন

    বিচারক : তোমার বয়স কতআসামি : সাত বছর বিচারক : এটুকু বয়সেই পকেটমার শুরু করেছআসামি : তা হলে আপনিই বলে দিন কত বছর বয়স থেকে শুরু করব?

     

    আমরা চারজন ছিলাম

    বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলল এক কয়েদি, ‘হুজুরআমাকে ব্যাংক ডাকাতির মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ আমি একেবারেই নিরপরাধ। আমাকে আপনি বাঁচান।’ সাক্ষী ব্যাংক কর্মকর্তা চিৎকার করে বললেন, ‘না হুজুরপাঁচ ব্যাংক ডাকাতের মধ্যে এই লোকও ছিল। আমি নিশ্চিত।’ কয়েদিঅসম্ভবএই লোকটা মিথ্যা বলছে হুজুর। আমরা চারজন ছিলাম!

     

    আমাকে বের করে দিন

    বিচারপতিঃ আমি এবার এই মামলার রায় জানাব। আমি কথা বলার সময় কেউ কথা বলবেন না। বলতে চাইলে আদালতকক্ষ থেকে বের হয়ে যান। আসামিঃ স্যারআমি কথা বলতে চাইআমাকে বের করে দিন।

     

    আমার কোন দোষ নেই

    বিচারকঃ একমাত্র আজে বাজে নেশার কারণেই আজ তোমার এই দশা ! অভিযুক্তঃ ধন্যবাদ হুজুর। একমাত্র আপনিই আমার কোন দোষ দিলেন না।

     

    আমি তো বেচে আছি

    উকিলঃ সেকি ম্যাডাম ? আপনার স্বামী তো পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন  তাহলে চার বছরের আর একটি দুবছরের বাচ্চা এলো কোথা থেকে ? ভদ্রমহিলা রাগের স্বরেঃ তা আমি তো বেঁচে আছি না কি?

     

    আমি দায়ী নই

    বিচারক : তুমি পকেট মারতে গিয়ে ধরা পড়েছে। তোমার দোষ স্বীকারে আপত্তি আছেআসামি : আমি নিরপরাধ হুজুর। ধরা পড়ার জন্য আমি দায়ী নই। লোকটার পকেট এত ছোট ছিল যেহাতটা টুকিয়ে আর বের করতে পারি না।

     

    আসামি ধরা পড়েছে

    এক জেলখানা থেকে একজন বিপজ্জনক আসামি পালিয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের সব থানায় বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে তোলা আসামির চারটি ছবিসহ সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। দিন তিনেকের মধ্যেই এক সীমান্তবর্তী থানা থেকে সংবাদ এল ছবির তিন জন আসামিই ধরা পড়েছে। একজনকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায় নি।

     

    ঈদের কেনাকাটা

    বিচারকআপনার অপরাধঅভিযুক্ত ব্যক্তিআমি আমার ঈদের কেনাকাটা একটু আগেভাগে সেরে ফেলতে চেয়েছিলাম। বিচারককতখানি আগেঅভিযুক্ত ব্যক্তিদোকান খোলার আগে।

     

    এতিমের অপরাধ

    বিচারক : নিজ হাতে তুমি তোমার বাবা-মাকে গুলি করে মেরেছ। এটা স্বীকার করার পর তোমার আর কী বলার আছে ? আসামী : এখন আমি এতিম। এতিমের অপরাধ মাফ করে দিনহুজুর।

     

    এবার ঘড়িটা ব্যবহার করতে পারব তো

    ঘড়ি চুরির কোনো জোরালো প্রমাণ না থাকায় বিচারক আসামিকে বেকসুর খালাস দিলেন। ছাড়া পেয়েই আসামি বিচারকের কাছে জানতে চাইলহুজুরএবার ঘড়িটা ব্যবহার করতে পারব তো?

     

    কিছুক্ষণের জন্য ছাড়তে হবে

    ম্যাজিস্ট্রেট : বিশ টাকা পকেট মারার জন্য তোমাকে একশ টাকা জরিমানা করা হল। পকেটমার : আমার কাছে মাত্র বিশ টাকা আছেস্যার। বাকি টাকা এক্ষুনি এনে দিতে পারিকিন্তু কিছুক্ষণের জন্য ছাড়তে হবেস্যার।

     

    কৃতজ্ঞতা জানাতে হব

    উকিল সাহেব হস্তদন্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনেক আগেই  উকিল গিন্নী অবাক হয়ে বললেন কোন দিকে চাঁদ উঠল আজ  এত সকাল সকাল সাহেব যে বাড়ী চলে এলেন  সে কথা পরে বলছিউকিল সাহেব বললেনআগে তোমার যাবতীয় কাপড় চোপড় আর গহনাগুলো শিগরীর তোমার বাপের বাড়ীতে রেখে আসোগে  আরো অবাক হয়ে গিন্নি বললেন, […]

     

    কেন গাড়ি চুরি করি

    বিচারকতুমি কেন গাড়িটি চুরি করেছিলেআসামিআমি দেখেছিলাম গাড়িটি একটি কবরখানার বাইরে দাঁড় করানো। তাই ভেবেছিলাম গাড়ির মালিকের আর এটা হয়তো দরকার নেই।

     

    কোর্ট থেকে বের করে দেওয়া হবে

    জজএকদম চুপএরপর কেউ টুঁ শব্দটি করলে কোর্ট থেকে বের করে দেওয়া হবে। সঙ্গে সঙ্গে আসামি বিকট সুরে চেঁচাতে লাগল।

     

    ক্রেডিট কার্ডটা হারানো গেছে

    জেলখানায় নতুন কয়েদি এসেছে। নতুন কয়েদির পরিচয় হলো এক পুরোনোবৃদ্ধ কয়েদির সঙ্গে

    নতুন কয়েদিআপনি কয় বছর ধরে আছেন?

    পুরোনো কয়েদি১০ বছর।

    নতুন কয়েদিআহানিশ্চয়ই খুব কষ্ট হয় আপনার।

    পুরোনো কয়েদিবললে বিশ্বাস করবে নাআমি একদিন বিল গেটসের মতো জীবন যাপন করেছি। বিলাসবহুল হোটেলে থেকেছিদামি খাবার খেয়েছিবউকে দামি গয়না কিনে দিয়েছি

    নতুন কয়েদিতারপর?

    পুরোনো কয়েদিতারপর একদিনবিল গেটস থানায় অভিযোগ করলেনতাঁর ক্রেডিট কার্ডটা হারানো গেছে!

     

    গাড়ি চুরি

    বিচারকঃ গাড়িটা কিভাবে চুরি করলে বল ? অভিযুক্তঃ আমি চুরি করিনি হুজুরগাড়িটা কবরস্থানের সামনে দাঁড়িয়েছিল কি নাতাই ভাবলাম মালিক বোধহয় মারা গেছেতার আর গাড়ির দরকার নেই।

     

    গালাগাল

    বিচারক : এই নিয়ে তোমাকে ছয় বার আমার কোর্টে আসতে হল। লজ্জায় তোমার মরে যাওয়া উচিত। কতখানি জানোয়ার হলে মানুষ এত শাস্তি পাওয়ার পরও আবার মদ খায়গলায় দড়ি দিয়ে তোমার আত্মহত্যা করা উচিত।

    আসামি : স্যারকথাটা সত্যি। তবে আমিও তো আপনাকে এই আদালতে ছয় বার দেখেছিকিন্তু সেজন্য আমি তো আপনাকে কোনোদিন এভাবে গালাগাল করি নি।

     

    ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলাম

    সড়ক দুর্ঘটনা ঘটানোর অভিযোগে সঞ্জুকে আদালতে হাজির করা হয়েছে— বিচারককীভাবে ঘটালেন দুর্ঘটনাটাসঞ্জুকোন দুর্ঘটনাবিচারককেনযে দুর্ঘটনাটির জন্য আপনি আদালতেসঞ্জুওই সময় আমি জেগে থাকলে না হয় বলতে পারতাম। কিন্তু হুজুরআমি তো ওই দুর্ঘটনার সময় ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলাম।

     

    চারিত্রিক সার্টিফিকেট

    কমিশনার সাহেব বাসায় আছেন ? : কেন ? : আমার একটা চারিত্রিক সার্টিফিকেট দরকার | : তিন মাস পরে আসেনউনি নারীঘটিত কেসে ছয় মাসের জেলে আছেন |

     

    জীবনেও বিয়ে করব না

    জজ সাহেবঃ যখন এই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল তখন কি তুমি সেখানে উপস্থিত ছিলেসাক্ষীঃ জী হ্যাঁ। জজ সাহেবঃ তোমার এই ঝগড়া থেকে কি ধারনা হলোসাক্ষীঃ হুজুর আমি জীবনেও বিয়ে করব না 

     

    জেলখানার খাবার খুবই জঘন্য

    দুই কয়েদি পালিয়েছে জেল থেকে। আবার যখন তাদের আটক করা হলোকারারক্ষক প্রশ্ন করলেন, ‘তোমরা জেল থেকে পালিয়েছিলে কেন?’ ১ম কয়েদিকারণজেলখানার খাবার খুবই জঘন্য। খাওয়া যায় না। কারারক্ষককিন্তু তোমরা জেলের তালা ভাঙলে কী দিয়ে২য় কয়েদিসকালের নাশতার রুটি দিয়ে!

     

    টাকাটাই দিন

    বিচারক : এক বছরের জেল না ১০ হাজার টাকা জরিমানাকোনটা চাও তুমিআসামি : টাকাটাই দিন জনাব… ওটাই আমার বেশি প্রয়োজন।

     

    তালা এক্সপার্ট

    বিচারকঃ আপনার পেশা কীআসামিঃ জিআমি তালা এক্সপার্ট। বিচারকঃ তালা এক্সপার্টআপনার কাজ তো দিনে থাকার কথা। কিন্তু রাত দুটোয় আপনি সোনার দোকানে কী করছিলেনআসামিঃ ওদের গেটের তালাটা ঠিক আছে কিনা পরখ করে দেখছিলাম!

     

    তালা সার্ভিসিং

    জাজ : তোমার পেশা কীআসামি : তালা এক্সপার্ট। জাজ : রাত দুটায় সোনার দোকানে কী করছিলেআসামি : ওদের ভল্টের তালাটা সার্ভিসিং করছিলাম।

     

    তালাটা খুলতে পাছিলাম না

    বিচারকঃ কী হে ? তুমি ওই বাড়ির তালা ভাঙ্গতে গেলে কেন ? চোরঃ কি করব স্যার আমার কাছে যে চাবি গুলো ছিল তার একটা দিয়েও তালাটা খুলতে পাছিলাম না যেতাই…….


    নতুন মজার জোকস | চরম হাসির জোকস | মজার জোকস-২০২৪ | জোকস শোনাও



    তিরিশ দিন

    জজঃ কী ব্যাপারবারবার কোর্টে আসতে তোমার লজ্জা করে নাআসামিঃ আমি তো হুজুর বছরে এক-দুইবার আসি। আপনি তো মাশআল্লাহ মাসের তিরিশ দিনই।

     

    থামবনা গতি কমাব?

    একবার এক গাড়িচালক বেশ দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে। বেপরোয়া সে। তিনটি ট্রাফিক লাল বাতি অমান্য করে সে। মোটরবাইকে টহলরত একজন পুলিশ তাকে কাজটি করতে দেখে অনুসরণ করে। এক জায়গায় এসে গাড়িটি পুলিশী নির্দেশে থামতে বাধ্য হয়। পুলিশ তাকে জরিমানা করবে এমন সময় চালক বলল, “আপনি আমাকে এর জন্য জরিমানা করতে পারেন না। আমি থামিনি ঠিকইকিন্তু গাড়ির গতি কমিয়েছিলাম। দুটোতো প্রায় একইতাই না?”

    -“সংকেত ছিলথামুন।

    -“কিন্তু রাস্তা ফাঁকা ছিল আর তেমন কিছুই তো হয় নাই।” পুলিশ ব্যাটনটা বের করে চালককে পেটাতে শুরু করল। চালক চিৎকার করে বলল, “কি করছেন?”

    -”থামবনা গতি কমাব?’

     

    দাঁড়িয়ে মরতে চাই

    ইলেকট্রিক চেয়ারে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে এমন একজন আসামিকে জিজ্ঞেস করা হল : মৃত্যুর আগে তোমার শেষ ইচ্ছা কী? : পূরণ করা হবে? : অবশ্যই। : তাহলে দাঁড়িয়ে মরতে চাই।

     

    দারুণ মজার একটা গল্প

    হাসতে হাসতে আদালত থেকে বেরিয়ে আসছিলেন বিচারক। এক সহকর্মী জিজ্ঞেস করলেন, ‘ঘটনা কীহাসছেন কেন?’ বিচারক বললেন, ‘হা হা হাএই মাত্র দারুণ মজার একটা গল্প শুনে এলাম।’ : তাই নাকিবলুন তো গল্পটাশুনি। : মাথা খারাপএই গল্প বলার জন্য একটু আগে আমি তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছি।

     

    দুই মিনিট শুনেই ধৈর্য হারিয়ে ফেললেন

    এক প্রবীণ শান্ত মেজাজের ভদ্রলোক হঠাত্ খেপে গিয়ে বাসে এক ভদ্রমহিলার মাথায় গাট্টা মারলেন।  নিয়ে আদালতে মামলা উঠেছে।

    বিচারক বললেন, ‘আপনাকে দেখেশুনে তো মনে হয়না আপনি এমন বাজে কাজ করতে পারেন। কিন্তু বাসের সবাই সাক্ষী।  কাজ আপনি করতে গেলেন কেন?’

    অভিযুক্ত ভদ্রলোকটি বললেন, ‘হুজুরশুনুন তবে কেন এমন স্বভাববিরোধী কাজটা করেছি। ভদ্রমহিলার সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি। বাসটা যাচ্ছিল মতিঝিল থেকে মিরপুর। সিটে বসেই তিনি হাতের বড় ব্যাগটা খুললেনতা থেকে একটা ছোট ব্যাগ বের করলেন। তারপর বড় ব্যাগটা বন্ধ করে ছোট ব্যাগটা খুললেন উনি। তা থেকে একটা ১০ টাকার নোট বের করে ছোট ব্যাগটি বন্ধ করলেন। তারপর বড় ব্যাগটি খুলে ছোট ব্যাগটি তার ভেতর পুরে বড় ব্যাগটি বন্ধ করলেন। কন্ডাক্টর ইতিমধ্যে দূরে সরে যাওয়ায় ভদ্রমহিলা আবার বড় ব্যাগটি খুললেনছোট ব্যাগটি বের করলেন। বড় ব্যাগটি বন্ধ করলেনছোট ব্যাগটি খুলে টাকাটা ছোট ব্যাগে পুরলেন। তারপর ছোট ব্যাগটি বন্ধ করলেনবড় ব্যাগটি খুললেন—!’

    বিচারক অধৈর্য হয়ে বললেন, ‘কী একশবার ছোটব্যাগ-বড়ব্যাগবড়ব্যাগ-ছোটব্যাগ করছেনইয়ার্কি পেয়েছেন?’

    অভিযুক্ত লোকটি বলল, ‘হুজুরআপনি দুই মিনিট শুনেই ধৈর্য হারিয়ে ফেললেনঝাড়া আধঘণ্টা ধরে দুই শত একত্রিশ বার চোখের সামনে এই জিনিস দেখার পর আমি গাট্টাটা মেরেছি।

    বিচারক রায় দিলেন, ‘কেস ডিসমিসড।

     

    দূরে থাকার চেষ্টা

    উকিল বলছেন আসামিকে, ‘এবারের মতো তোমাকে বেকসুর খালাস পাইয়ে দিলাম। কিন্তু এখন থেকে পাজি লোকজনের কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবে।’ আসামিঅবশ্যই স্যার। আমি অবশ্যই আপনার কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করব।

     

    দেশলাই

    তিন অপরাধীকে পাঁচ বছরের জন্য কারাভোগের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিচারক সদয় হয়ে তাদের একটা সুযোগ করে দিলেন। জেলখানায় সময় কাটানোর জন্য তারা চাইলে সঙ্গে কিছু নিতে পারবে। প্রথম অপরাধী সঙ্গে নিল একটা খাতা আর কলম। দ্বিতীয়জন সঙ্গে নিল একটা রেডিও। আর তৃতীয়জন নিল এক বাক্স সিগারেট।

    পাঁচ বছর পর প্রথমজন যখন বেরিয়ে এলতখন দেখা গেলজেলখানায় তার সময় ভালোই কেটেছে। জেলের জীবন নিয়ে সে একটা উপন্যাস লিখে ফেলেছে। দ্বিতীয়জনও আছে বেশ ফুরফুরে মেজাজে। জেলখানায় গান শুনে তার চমৎকার সময় কেটেছে।

    তৃতীয়জন বেরিয়ে এল বিধ্বস্ত অবস্থায়। চুল উসকোখুসকোউন্মাদপ্রায় দশা। বাক্সভর্তি সিগারেট হাতে নিয়ে সে কাতরস্বরে বলল, ‘কারও কাছে একটা দেশলাই হবে?’

     

    দোষী না নির্দোষ

    বিচারকআপনি দোষী না নির্দোষআসামিআপনি রায় দেয়ার আগে কেমনে বলি?

     

    নকল টাকা

    বিচারক আসামিকে: —নকল টাকা বানিয়েছিলেন কেন? —আসল টাকা বানাতে শিখিনি বলে।

     

    পুলিশ বিশ্বাস করল না

    ম্যাজিস্ট্রেট : গতবারেও তোমাকে বলেছিলাম আমি চাই না তুমি পুনরায় এখানে আস। পকেটমার : স্যারঠিক এই কথাই আমিও পুলিশকে বলেছিলামবিশ্বাস করল না।

     

    পুলিশের বিশ্বাস

    ম্যাজিস্ট্রেটগতবারও তোমাকে বলেছিলামআমি চাই না তুমি পুনরায় এখানে আসো। চোরস্যারঠিক এই কথাটাই আমিও পুলিশকে বলেছিলামবিশ্বাস করল না।

     

    ফ্যামিলি চোর

    কোর্টে জজ সাহেব চোরকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি একই বাড়িতে এই নিয়ে কুড়িবার চুরি করতে গেলে। এর কারণ কী?’ চোর হাসতে হাসতে জবাব দিল, ‘স্যারআমি ওই বাড়ির ফ্যামিলি চোর।

     

    বউকে মারাই সহজ

    বিচারক : আপনি বলেছেনআপনার বন্ধুর সঙ্গে অবৈধ প্রণয় চলছিল বলে বউকে খুন করেছেন। কিন্তু আপনি আপনার বন্ধুকে খুন না করে বউকে খুন করলেন কেনআসামি : হুজুর আমার অনেক বন্ধু। সপ্তায় একজন করে বন্ধুকে মারার চেয়ে বউকে মারাই সহজ মনে হল তাই।

     

    বর্ডার পেরিয়ে গেছি

    সার্জেন্ট হাত দেখিয়ে একটি গাড়ি থামালতারপর ভিতরে উকি দিল : গাড়ি থামানোর জন্য দুঃখিতরাউন্ড চেক আপ চলছে … একজন দাগি আসামি পালিয়েছে কি না। এমন সময় গাড়ির পেছনের ডালা থেকে টোকার আওয়াজ শোনা গেলতারপর একটা মৃদু কন্ঠ- : আমরা কি বর্ডার পেরিয়ে গেছি?

     

    বাগানে বোমা

    লোকঃ অফিসারআমার বাগানে একটা বোমা পড়ে আছে। পুলিশ অফিসারঃ কোনো সমস্যা নেই। তিন দিনের মধ্যে কোনো দাবিদার না পাওয়া গেলে ওটা আপনি রেখে দিতে পারেন। সূত্রদৈনিক প্রথম আলোআগস্ট ০১২০০৯

     

    বিশ্রী কাশি

    জেলসুপার : এবারে তুমি কেন এলেকয়েদি : একটা বিশ্রী কাশির জন্য। লোকটা জেগে উঠেছিল।

     

    মরতে ইচ্ছে হবে

    জেলার : তোমার শেষ ইচ্ছে কীআসামি : আমার স্ত্রীর হাতের রান্না খেতে চাই। জেলার : তাতে মৃত্যুর আগে তৃপ্তি পাবে তুমিআসামি : নাতৃপ্তি পাব না। তবে ওর হাতের রান্না খেলেই মরতে ইচ্ছে হবে আমার।

     

    মরবার দিনক্ষণ

    আমার চাচা তাঁর মরবার দিনক্ষণ ঠিক এক মাস আগে জানতে পেরেছিলেন। : জ্যোতিষশাস্ত্রে তাঁর বুঝি খুব দখল ছিল? : না : সূক্ষ্ণ-বোধশক্তিতে অনেক সময় এমন হওয়া বিচিত্র নয়। তাঁর মনই তাঁকে আগে থেকেই নিশ্চত  কথা জানিয়ে দিয়েছিল? : না মন নয়জানিয়ে দিয়েছিল বিচারক।

     

    লুকাতে গেলে কেন

    বিচারক : রাত বারটার সময় খিড়কি দরজা দিয়ে তুমি এই মহিলার বাড়িতে ঢুকেছিলে কেনআসামি : ভেবেছিলামওটা আমার নিজের বাড়ি। বিচারক : বেশযদি তাই হয়তা হলে এই মহিলাকে দেখে জানালা টপকে চৌবাচ্চার আড়ালে লুকাতে গেলে কেনআসামি : ভেবেছিলামইনি আমার স্ত্রী।

     

    শুধু ব্যাটাছেলের কাপড়

    বিচারক : চুরি করার সময় একবারও তোমার স্ত্রী আর মেয়ের কথা মনে হয় নিচোর : হয়েছেহুজুর। কিন্তু দোকানটায় শুধু ব্যাটাছেলের কাপড়ই ছিল।

     

    শুধু ভালো দাঁতগুলোই ফেলেছে

    জজ : তা হলে বলতে চাচ্ছ যে আসামি ঘুসি মেরে তোমার কতগুলো দাঁত ফেলে দিয়েছে। আসামি : শুধু তাই নয় স্যারবেছে বেছে  আমার শুধু ভালো দাঁতগুলোই ফেলেছে। যে তিনটা দাঁত খারাপ ছিল তাতে আঙুলের ছোঁয়াটি পর্যন্ত লাগায় নি।

     

    সাক্ষীসাবুদের পরই না বুঝতে পারলাম

    প্রায় আঠার বছর কেইস চলার পর আসামি তার অপরাধ স্বীকার করল। বিচারক তার কাছে জানতে চাইল সে যদি দোষ স্বীকারই করবে তবে অযথা এতদিন সময় নিল কেনআসামি জবাব দিল : ‘আমি নিজেই কি নিশ্চিত ছিলাম নাকিসব সাক্ষীসাবুদের পরই না বুঝতে পারলাম।

     

    অর্থের আগমনে সুখ

    এক কোটিপতির সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন সাংবাদিক। সাংবাদিকঃ অর্থের আগমন আপনার জীবনে সবচেয়ে বড় কোন সুখ নিয়ে এসেছেকোটিপতিঃ সবচেয়ে বড় সুখআমার গিন্নি নিজের হাতে রান্না করা ছেড়ে দিয়েছেন।

     

    আপনার নামটা যেন কী

    একজন চাকরিপ্রার্থী ইন্টারভিউ দিচ্ছে। : বাংলাদেশের তিন জন মহান ব্যক্তির নাম বলুন। : শেরে বাংলা .কেফজলুল হকমাওলানা ভাসানী এবং আপনিমানে আপনার নামটা যেন কী-?

     

    আমার চেয়ে যোগ্য

    ম্যানেজারঃ আসলে আমরা দেখলামএই মুহূর্তে আমাদের আর কারও সাহায্যের প্রয়োজন নেইতাই আপনাকে নিতে পারছি নাচাকরিপ্রার্থীঃ তাহলে তো স্যার এই পোস্টে আমি আমার চেয়ে আর কাউকে যোগ্য দেখছি না। আমি আমার জীবনেও কাউকে সাহায্য করিনি। সূত্রদৈনিক প্রথম আলোআগস্ট ০১২০০৯

     

    ইন্টারভিউ দেওয়ার সহজ তরিকা

    চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেছে এক তরুণ। শুরু হলো প্রশ্নোত্তর পর্ব

    প্র.: কংক্রিটের মেঝেতে ডিম ফেলবেনকিন্তু ফাটবে নাকীভাবে করবেন এটা?

    .: কংক্রিটের মেঝে আসলে খুব শক্তফাটার কোনো আশঙ্কাই নেই!

    প্র.: একটা দেয়াল বানাতে আটজন মানুষের যদি ১০ ঘণ্টা লাগেচারজন মানুষের কত সময় লাগবে?

    .: কোনো সময়ই লাগবে নাকারণ দেয়ালটা ততক্ষণে তৈরি হয়ে যাবে!

    প্র.: আপনার এক হাতে যদি তিনটি আপেল  চারটি কমলা থাকেআর আরেকটি হাতে থাকে চারটি আপেল  তিনটি কমলাতাহলে কী পেলেন আপনি?

    .: বিশাল বড় হাত।

    প্র.: এক হাতে একটা হাতিকে কীভাবে ওপরে তুলবেন?

    .: এক হাতের আটবে এমন হাতিকে জীবনেও খুঁজে পাবেন না!

    প্র.: একজন মানুষ কী করে আট দিন না ঘুমিয়ে থাকতে পারে?

    .: কোনো সমস্যা নেইসে রাতে ঘুমাবে!

    প্র.: নীল সাগরে যদি একটা লাল পাথর ছুড়ে মারেনকী হবে?

    .: যা হওয়ার তা-পাথরটি ভিজে যাবে অথবা ডুবে যাবে টুপ করে।

    প্র.: কোন জিনিসটি দেখতে একটি অর্ধেক আপেলের মতো?

    .: আপেলের বাকি অর্ধেকটি।

    প্র.: ব্রেকফাস্টে কোন জিনিসটা কখনোই খেতে পারেন না আপনি?

    .: ডিনার।

    প্র.: বে অব বেঙ্গল কোন স্টেটে অবস্থিত?

    .: লিকুইড।

    পয়লা ধাক্কায় বেশ ভালোভাবেই উতরে গেল তরুণ। শুরু হলো দ্বিতীয় পর্ব। প্রশ্নকর্তা বললেন, ‘আপনাকে আমি ১০টি পানির মতো সহজ প্রশ্ন করব অথবা কেবল একটা প্রশ্ন করব লোহার মতো কঠিন। উত্তর দেওয়ার আগে ভালো করে ভেবে দেখুনকোন অপশন বেছে নেবেন আপনি।’ তরুণ কিছুক্ষণ ভাবনার চৌবাচ্চায় সাঁতার কাটল। তারপর বলল, ‘কঠিন প্রশ্নের উত্তরটাই দিতে চাই।’ প্রশ্নকর্তা হেসে বললেন, ‘ভালোশুভকামনা আপনার জন্য। আপনি আপনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবার বলুনকোনটা প্রথমে আসেদিন না রাত?’

    তরুণের বুকে ঢাকের বাড়ি। কালঘাম ছুটে যাচ্ছে তার। এই প্রশ্নের উত্তরেই ঝুলে আছে তার চাকরিটা। এবার ভাবনার সাগরে ডুব দিল সে। উত্তরে বলল, ‘দিন প্রথমে আসেস্যার!’

    কীভাবে?’ প্রশ্নকর্তার প্রশ্ন।

    দুঃখিতস্যারআপনি ওয়াদা করেছিলেনদ্বিতীয় কোনো কঠিন প্রশ্ন করবেন না আমাকে!’

    চাকরি পাকা হয়ে গেল তরুণের!

     

    ইংরেজি  আরবি

    ইন্টারভিউ বোর্ডে এক যুবককে প্রশ্ন করা হলোবল তো “ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা গেল” এর ইংরেজি কি হবে? : এটার ইংরেজি পারি না স্যার  আরবিটা পারি… : আরবিটা পারঠিক আছে বল  : ইন্নালিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন 

     

    ওভারটাইম

    ইন্টারভিউ দিতে এসেছে এক চাকরিপ্রার্থী। : আপনার বয়স কত? : ত্রিশ বছর। : আপনি কত বছর চাকরি করেছেন? : পঁয়ত্রিশ বছর। : এটা কী করে সম্ভব? : ওভারটাইম করেছিস্যার।

     

    কল্পনা করা বন্ধ করব

    ইন্টারভিউ বোর্ডে সর্দারজিকে প্রশ্ন করলেন এক প্রশ্নকর্তা, ‘কল্পনা করো তোতুমি একটা ২০ তলা বাড়ির ১৫ তলায় আছ। এমন সময় ভীষণ আগুন লেগে গেল। সবাই ছোটাছুটি শুরু করল। তুমি কী করবে?’ সর্দারজিআমি কল্পনা করা বন্ধ করব!

     

    কাজুবাদাম আর স্বামীর মধ্যে পার্থক্য

    -বলুন তোকাজুবাদাম আর স্বামীর মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য কী? -কাজুবাদাম চিবানো হয় পকেটে টাকা থাকলেস্বামীকে চিবানো হয় টাকা না থাকলে।

     

    কাজে দক্ষতা

    ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রার্থীকে প্রশ্ন করছেন কর্মকর্তা, ‘আপনি কোন ধরনের কাজে বিশেষ দক্ষ?’ প্রার্থীআমি লেখালেখি করি। আমার দুটো বই বেরিয়েছেআরও একটা উপন্যাস লেখছি। কর্মকর্তাসে তো ভালো কথা। কিন্তু আমি আসলে জানতে চাইছিলামঅফিসে থাকাকালীন আপনি আমাদের কী ধরনের কাজে দক্ষতা দেখাতে পারবেনপ্রার্থীআমি অফিসে থাকাকালীন লেখালেখি করি নাসে কথা কখন বললাম?

     

    কোথায় সাঁতার শিখলেন

    ক্যাপ্টেনসৈনিকআপনি কি সাঁতার জানেনসৈনিকজানিস্যার। ক্যাপ্টেনকোথায় সাঁতার শিখলেনসৈনিকপানিতে স্যার।

     

    ক্যাপ্টেন পদে চাকরি

    বসআপনি সাঁতার জানেনচাকরিপ্রার্থীজি না। বসজাহাজের ক্যাপ্টেন পদে চাকরির জন্য আবেদন করেছেনআর সাঁতার জানেন নাচাকরিপ্রার্থীকিছু মনে করবেন না স্যার। উড়োজাহাজের পাইলট কি উড়তে জানে?

     

    গোপন রহস্য

    জন্মবার্ষিকীতে একজন শতায়ু বৃদ্ধাকে জিজ্ঞেস করা হল তাঁর এই দীর্ঘ্য জীবনের গোপন রহস্য কীবৃদ্ধা বললেনএখনই ঠিক বলা যাচ্ছে না। একটা ভিটামিন পিল কোম্পানিএকটা আয়ুর্বেদ কোম্পানি আর একটা ফ্রুট জুস ফ্যাক্টরির সাথে দরদাম চলছে।

     

    ঘাড় ধরে বের করে দেব

    জেল অফিসারঃ জেলখানার ভেতর যারা আছে তারা সবাই ভীষন দুর্দান্ত চরিত্রের মানুষ। তুমি কন্ট্রোল করতে পারবেতো ? চাকরি প্রার্থীঃ পারবনা মানেবেশি তেড়িবেড়ি করলে ঘাড় ধরে বের করে দেব।

     

    চরম ইন্টারভিউ

    প্রশ্নকর্তাএকটা প্লেনে ৫০টা ইট আছেএকটা ইট ফেলে দিলে থাকে কয়টা?

    প্রার্থীএটা তো সোজা। ৪৯টা।

    প্রশ্নকর্তাআচ্ছাএকটা ফ্রিজে হাতি রাখার তিনটা স্টেপ কী কী?

    প্রার্থীফ্রিজটা খুলুনহাতিটা ঢোকানএরপর ফ্রিজের দরজা বন্ধ করে দিন।

    প্রশ্নকর্তাএকটা ফ্রিজে একটা হরিণ রাখার চারটা স্টেপ কী কী?

    প্রার্থীফ্রিজটা খুলুনহাতিটা বের করুনহরিণটা ঢোকানএরপর ফ্রিজের দরজা বন্ধ করে দিন।

    প্রশ্নকর্তাবনে সিংহের আজকে জন্মদিন। সবাই এসেছে শুধু একজন ছাড়া। কে আসেনি এবং কেন?

    প্রার্থীহরিণ আসেনি। কারণ সে ফ্রিজে।

    প্রশ্নকর্তাএক বৃদ্ধা কুমিরভর্তি একটা খাল পার হলো কোনো ক্ষতি ছাড়াইকীভাবে?

    প্রার্থীকারণ সব কুমির সিংহের জন্মদিনে গিয়েছে।

    প্রশ্নকর্তাশেষ প্রশ্নতার পরও বৃদ্ধা মারা গেলেনকেন?

    প্রার্থীউমমআমার মনে হয়তিনি খালের পানিতে ডুবে গিয়েছিলেন?

    প্রশ্নকর্তানাপ্লেন থেকে যে ইটটা পড়ে গিয়েছিলসেটা তার মাথায় পড়েছিলআপনি এখন আসতে পারেন

     

    চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে

    একজন বিখ্যাত অভিনেতার ইন্টারভিউ চলছে। প্রশ্নকর্তাআপনি তো যেকোনো চরিত্রই ফুটিয়ে তুলতে পারেনঅভিনেতাহ্যাঁশুধু নিজের চরিত্রটাই ফুটিয়ে তুলতে পারি না।

     

    চরিত্র ফুটিয়ে তোলা

    একজন বিখ্যাত অভিনেতার ইন্টারভিউ নিচ্ছে পত্রিকার সাংবাদিক- : আচ্ছা আপনি তো যে কোনো মানুষের চরিত্রে অভিনয় করে ফুটিয়ে তুলতে পারেন? : হ্যাঁ পারিশুধু নিজের চরিত্রটাই ফুটিয়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছি।

     

    চশমাসহ ওজন

    এক সত্যবাদী যুবক ইন্টারভিউ বোর্ডের প্রশ্নের উত্তরে বললচশমাসহ আমার ওজন একশ বাইশ পাউন্ড। বোর্ডের চেয়ারম্যান বললেনচশমাসহ ওজনের দরকার কীযুবক চশমার মোটা কাচের দিকে ইশারা করে বললচশমা খুলে ফেললে যে আমি ওজনের স্কেলটা পড়তে পারি না।

     

    চাকরির ইন্টারভিউ চলছে

    বসআমরা কাউকে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে মাত্র দুইটা নিয়ম মেনে চলি।

    প্রার্থীকী কী স্যার?

    বসআমাদের দ্বিতীয় নিয়ম হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। আপনি কি এখানে আসার আগে রুমের বাইরে রাখা ম্যাটে জুতার তলা মুছে এসেছেন?

    প্রার্থীজি স্যার।

    বসআমাদের প্রথম নিয়ম হলো বিশ্বাসযোগ্যতা এবং আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে বাইরে কোনো ম্যাটই ছিল নাকাজেই আপনাকে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না।

     

    চাকরী না দিয়ে যাবে কোথায়

    একটা বিয়ার কোম্পানিতে বিয়ারের স্বাদ পরীক্ষা করার জন্য লোক নিয়োগ দিচ্ছিল। বাজে চেহারার এক মাতাল ইন্টারভিউ দিতে এল। কোম্পানির ডিরেক্টর একে দেখেই বাতিলের খাতায় রেখে দিলেন। কিন্তু ইন্টারভিউ দিতে যখন এসেছেতখন তো ইন্টারভিউ নিতেই হবে।

    প্রথমে একগ্লাস বিয়ার দেয়া হলো। মাতাল সেটা একটু খেয়ে সব উপকরণের সঠিক নাম বলে দিল। ডিরেক্টরের ভুরু কুঁচকে গেল।

    এবার আরেক গ্লাস দেয়া হলো। সেটাও ঠিক মতো বলে দিল।

    ডিরেক্টর এবার তার সেক্রেটারিতে ইশারা দিয়ে কিছু করতে বললেন।

    সেক্রেটারি গ্লাসে প্রস্রাব করে নিয়ে এসে মাতালের সামনে রাখল।

    মাতাল একটু খেয়ে বললখুব সুন্দরীবয়স ২৬ বছরতিন মাসের প্রেগন্যান্ট। আমাকে চাকরিটা না দিলে আপনার স্ত্রীকে গিয়ে বলে দেব বাবাটা কে।

     

    ট্রেন-অ্যাক্সিডেন্ট

    রেলওয়য়েতে চাকরির ইন্টারভিউ হচ্ছে। একটি চটপটে ছেলেকে সবার পছন্দ হল। চেয়ারম্যান একটু বাজিয়ে নিতে চাইলেন।

    ধরএকটা দ্রুতগামী ট্রেন আসছে। হঠাৎ দেখলে লাইন ভাঙা। ট্রেনটা থামানো দরকার। কী করবে তুমি?

    লাল নিশান ওড়াব।

    যদি রাত হয়?

    লাল আলো দেখাব।

    লাল আলো যদি না থাকে?

    তা হলে আমার বোনকে ডাকব্

    বোনকেতোমার বোন এসে কী করবে?

    কিছু করবে না। ওর অনেক দিনের শখ একটা ট্রেন-অ্যাক্সিডেন্ট দেখার।

     

    ডাহা মিথ্যা কথা

    ইন্টারভিউ বোর্ডচাকুরী দাতা :- আচ্ছাআপনি একটা ডাহা মিথ্যা কথা বলুন তো?? চাকুরী প্রার্থী :- এখানে আসার সময় দেখলামবটগাছের নীচে তিনটা মহিলা চুপচাপ বসে আছে!!

     

    ড্রাইভিং বেতন

    ড্রাইভার পদে চাকরির জন্য মন্টু মিয়া গেছে সাক্ষাত্কার দিতে। সাক্ষাত্কার চলছে— প্রশ্নকর্তাআপনাকে আমার পছন্দ হয়েছে। চাকরিটা আপনাকে দেওয়া হবে। স্টার্টিং বেতন দেওয়া হবে দুই হাজার টাকা। আপনার কোনো সমস্যা নেই তোমন্টু মিয়ানা না স্যারআমার কোনো সমস্যা নেই। স্টার্টিং বেতন ঠিক আছেকিন্তু ড্রাইভিং বেতন কত সেটাও তো জানা দরকার মনে হয়।

     

    ত্র্যাডমিরালেরও উপরে কে

    একজন ত্র্যাডমিরালেরও উপরে কে বল তো ? : কেনতার টুপি 

     

    দুটা কানই কাটা

    রিয়াদ সাহেবের কান দুটি কাটা পড়েছে বহু আগে। টিভিতে খবরের জন্যে একজন রিপোর্টার খুঁজছেন তিনি। ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রথম প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করলেন তিনি, ‘দেখুন পেশায় খুব মনোযোগী হতে হয়অনেক সূক্ষ্ম ব্যাপার খেয়ালে রাখতে হয়। আপনি কি আমার সম্পর্কে এমন কিছু খেয়াল করতে পারছেন?’ প্রার্থী একগাল হেসে বললো, ‘নিশ্চয়ই স্যার। আপনার তো দুটা কানই কাটা!’ […]

     

    দুধভর্তি সুইমিং পুলে গোসল

    সাংবাদিকলোকজন খেতে পায় নাআর আপনি দুধভর্তি সুইমিং পুলে গোসল করেনসেরা ধনীকী করব বলেনগরুগুলো সব খাটো খাটোএকটার নিচেও দাঁড়াতে পারি না।

     

    দ্রুতগামী মানুষ

    বল তো পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামী মানুষ কে ? : কেন আদম পৃথিবীতে প্রথম ছুটে এসেছেনতিনিই তো।

     

    নবীন বিশেষজ্ঞ  প্রবীণ বিশেষজ্ঞের মধ্যে পার্থক্য

    নবীন বিশেষজ্ঞ  প্রবীণ বিশেষজ্ঞের মধ্যে পার্থক্য কীউত্তরনবীন বিশেষজ্ঞ কাজ জানে না আর প্রবীণ বিশেষজ্ঞ কাজ করে না।


    নিজেই তো একসময় শিশু ছিলাম

    আপনি যে আমার শিশু পরিচর্যার কাজ করবেন বলছেনআপনার কি শিশু সম্পর্কে কোনো অভিজ্ঞতা আছে? : অবশ্যইআমি নিজেই তো একসময় শিশু ছিলাম।


    ট্যাগঃ  ফানি জোকস, জোকস হাসির, মজার মজার জোকস, নতুন মজার জোকস, চরম হাসির জোকস, মজার জোকস-২০২৪, জোকস শোনাও, মজার জোকস, হাসির জোকস।