লালনের রবীন্দ্রনাথের শরৎচন্দ্রের বিদ্যাসাগরের এবং চে গুয়েভারা এদের সকলের উক্তি

Sadia
0

 

লালনের উক্তি, রবীন্দ্রনাথের উক্তি, রবি ঠাকুরের উক্তি , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উক্তি, শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উক্তি, বিদ্যাসাগরের উক্তি, চে গুয়েভারা উক্তি


প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনাদের সবাইকে টাইম অফ বিডির পক্ষ থেকে জানাই সালাম ও শুভেচ্ছা আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন । আমিও আল্লার রহমতে অনেক ভাল আছি।আপনারা অনেকে বিভিন্ন উক্তি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন যে উক্তিগুলো সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন উক্তি গুলো নিয়েই আমরা আজকের পোস্টটি হাজির করেছি আশা করি পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। যে যে উক্তিগুলো এখানে আলোচনা করা হয়েছে তা হলো লালনের উক্তি, রবীন্দ্রনাথের উক্তি, রবি ঠাকুরের উক্তি , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উক্তি, শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উক্তি, বিদ্যাসাগরের উক্তি, চে গুয়েভারা উক্তি 



লালনের উক্তি 

প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনারা হয়তো অনেকেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় লালনের উক্তি গুলো করছেন অনেকেই পাচ্ছেন না তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমরা লালনের বেশ কিছু উক্তি নিয়ে হাজির হয়েছে আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন

#লালনের-উক্তি।

১||

অন্তিমকালের কালে কী হয় না জানি,

কী মায়া ঘোরে কাটালাম হারে দিনমণি।

২||

এনেছিলাম বসে খেলাম

উপার্জন কী করলাম,

নিক্বাশের বেলা_খাটবে না ভোলা,

এ লবলবানি।

৩||

জেনে শুনে সোনা ফেলে,

মন মজালাম রাঙ পিতলে,

এ লাজের কথা,

বলব কোথা আর এখনি।

৪||

ঠকে গেলাম কাজে কাজে,

ঘিরল ঊনপঞ্চাশে,

লালন বলে মন,

কী হয় এখন বলরে শুনি।


রবীন্দ্রনাথের উক্তি | রবি ঠাকুরের উক্তি | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি| রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উক্তি 

প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনারা অনেকেই আমাদের অনুরোধ করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেশ কিছু উক্তি নিয়ে।তাই আমরা আমাদের এই পোষ্টের সাজিয়েছি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেশ কিছু উক্তি দিয়ে আশা করছি পোস্টটি আপনাদের আনন্দ দেবে

১) পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দূরত্ব কোনটি জানো? নাহ, জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, উত্তরটা সঠিক নয়। সবচেয়ে বড় দূরত্ব হলো যখন আমি তোমার সামনে থাকি, কিন্তু তুমি জানো না যে আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।


২) ভালোবাসা হলো একমাত্র বাস্তবতা, এটি শুধুমাত্র আবেগ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত নয়। এটি হলো একটি চিরন্তন সত্য যা যেই হৃদয়ে সৃষ্টি হয়, সেই হৃদয়ে থাকে।


৩) আমি তোমাকে অসংখ্য ভাবে ভালবেসেছি, অসংখ্যবার ভালবেসেছি, এক জীবনের পর অন্য জীবনেও ভালবেসেছি, বছরের পর বছর, সর্বদা, সবসময়।


৪) গোলাপ যেমন একটি বিশেষ জাতের ফুল, বন্ধু তেমনি একটি বিশেষ জাতের মানুষ।


৫) কেউ বা মরে কথা বলে, আবার কেউ বা মরে কথা না বলে।


৬) প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন।


৭) অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তবে ঘৃণা তারে যেস তৃণসম দহে।


৮) 'বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা বিপদে আমি না যেন করি ভয়'


৯) সংসারেতে ঘটিতে ক্ষতি লভিলে শুধু বঞ্চনা নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়।


১০) মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ।


১১) যে খ্যাতির সম্বল অল্প তার সমারোহ যতই বেশি হয়, ততই তার দেউলে হওয়া দ্রুত ঘটে।


১২) কী পাইনি তারই হিসাব মেলাতে মন মোর নহে রাজি।


১৩) যে মরিতে জানে সুখের অধিকার তাহারই। যে জয় করতে ভোগ করা তাহাকেই সাজে।


১৪) যে লোক পরের দুঃখকে কিছুই মনে করে না তাহার সুখের জন্য ভগবান ঘরের মধ্যে এত স্নেহের আয়োজন কেন রাখিবেন।


১৫) সংসারে সাধু-অসাধুর মধ্যে প্রভেদ এই যে, সাধুরা কপট আর অসাধুরা অকপট।



শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উক্তি 

প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনারা হয়তো অনেকেই শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উক্তি গুলো খুঁজছেন কিন্তু অনেকে হয়তো পাচ্ছেন না আর তাই আপনাদের জন্য আমরা এই পোস্টটি তৈরি করে সেই পোস্টে আছে শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত কিছু উক্তি যা আশাকরি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে

মানুষের দীর্ঘ-জীবনে তাকে অনেক পা চলতে হয়,দীর্ঘ পথটির কোথাও কাদা, কোথাও পিছলে,কোথাও উঁচু-নীচু থাকে, তাই লোকের পদস্থলন হয়; তারা কিন্তু সে কথা বলে না,শুধু পরের কথা বলে|পরের দোষ,পরের লজ্জ্বার কথা চীৎকার করে বলে,সে শুধু আপনার দোষটুকু গোপনে ঠেকে ফেলবার জন্যই।

--- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়


দীপের যে অংশটা শিখা হইয়া লোকের চোখে পড়ে, তাহার জ্বলার ব্যাপারে কেবল সেইটুকুই তাহার সমস্ত ইতিহাস নহে।

--- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়


যারা আপনার মুখের অন্ন পরনের বসন জোগায়, সেই হতভাগা দরিদ্রের এই সব গ্রামেই বাস। তা’দিগকে দুপায়ে মাড়িয়ে থেঁৎলে থেঁৎলে আপনাদের উপরে ওঠার সিঁড়ি তৈরী হয়।

--- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়


রাজার আইন, আদালত, জজ, ম্যাজিস্ট্রেট সমস্ত মাথার উপরে থাকিলেও দরিদ্র প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিঃশব্দে মরিতে হইবে। 

--- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়


বিদ্যাসাগরের উক্তি 

ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সমাজের উন্নয়নে সারা জীবন কাজ করেছেন  তার কাজ গুলোর মধ্যে বিধবা বিবাহ চালু করা অন্যতম আপনারা অনেকেই বিদ্যাসাগরের সম্পর্কে বিভিন্ন উক্তি জানতে চেয়েছেন আমরা বিদ্যাসাগর সম্পর্কে আলোচনা করে আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে

গোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গিয়ে লোকটা বিধবা বিবাহ চালু করার জন্য লড়ে যাচ্ছে।রাধাকান্ত দেবরা প্রকাশ্যে আর বঙ্কিমচন্দ্রের মত লোকেরা আড়ালে আবডালে থেকে বিরোধিতা করছেন। এমনকি বড়লাট ডালহৌসিও হাত তুলে দিয়ে বলছেন “ইয়ে, মানে প্রস্তাবটা ভালো, কিন্তু শাস্ত্রে যদি কোন উল্লেখ না থাকে তবে সবাইকে চটিয়ে কি ভাবে সম্ভব?” ভাবা যায়? 


কিন্তু ঈশ্বরও ছাড়বার বান্দা নন।তন্ন তন্ন করে বেদ, পুরান, সংহিতা খোজা শুরু হল।একেই হয়ত বলে কনভিকশন। খুঁজে পেলেন পরাশর সংহিতার একটি শ্লোক-


"নষ্টে মৃতে প্রবরজিতে ক্লীবে চ পতিতে পতৌ

পচস্বাপতসু নারীনাং পতিরন্যে বিধয়তে”


যার বাংলা করলে মোটামুটি এরকম দাঁড়ায় “যদি স্বামী মারা যান, সন্ন্যাস নেন, নিখোঁজ হন, সন্তান গ্রহনে অক্ষম হন, অত্যাচারী হন তবে স্ত্রী আবার বিবাহ করতে পারে”। পাশ হল বিধবা বিবাহ আইন।


বিদ্যাসাগরের ব্যাপারে বলতে গিয়ে বিবেকানন্দ বলছেন “সমগ্র উত্তর ভারতে আমার বয়সী এমন কোন মানুষ নেই যার ওপর ওনার প্রভাব পড়ে নি”।


মধুসুদন বলছেন “তার মধ্যে প্রাচীন ভারতীয় ঋষিদের প্রজ্ঞা, পাশ্চাত্যের উদ্যম আর বাঙ্গালী মায়ের হৃদয় ছিল”।


রামকৃষ্ণ তার সাথে প্রথম আলাপেই অকপট বলে ফেলেন “এতদিন খাল, বিল, নদী দেখেছি। আজ সাগর দেখছি”।


আর রবীন্দ্রনাথের সেই অমোঘ উক্তি “বাঙ্গালী গড়তে গড়তে বিধাতা যে কি করে একটা ঈশ্বরচন্দ্র বানিয়ে ফেললেন সেটা অতীব আশ্চর্যের”।


কি? গায়ে কাঁটা দিচ্ছে? যদি দেয়, জানবেন আপনি দলবাজিতে নেই, বিদ্যাসাগরে আছেন।

চে গুয়েভারা উক্তি 

প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনারা হয়তো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় চে গুয়েভারা উক্তি সম্পর্কে খুঁজছেন আর তাই আমরা আমাদের আজকের এই পোস্টটি তবে চে গুয়েভারা এর বেশ কিছু উক্তি নিয়ে হাজির হয়েছে আশাকরি আপনাদের ভাল লাগবে

চে গুয়েভারার কিছু অবিস্মরণীয় উক্তি।


 “বিপ্লব তো আর গাছে ধরা আপেল নয় যে পাকবে 

       আর পড়বে, বিপ্লব অর্জন করতে হয়।”

 “নিষ্ঠুর নেতাদের পতন এবং প্রতিস্থাপন চাইলে নতুন 

       নেতৃত্বকেই নিষ্ঠুর হতে হবে।”

“নীরবতা একধরনের যুক্তি যা গভীর তথ্য বহন করে”

“আমি জানি তুমি আমাকে হত্যা করতে এসেছো, 

       গুলি করো কাপুরুষ, তুমি শুধু একজন মানুষকেই 

       হত্যা করবে (তার বিপ্লবী চেতনাকে নয়)।

 ”শিক্ষা ব্যবস্থা তৃনমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে, 

       যেখানে গরীব থেকে ধনী একই শিক্ষায়

       শিক্ষিত হবে, এমন নয় যাদের টাকা আছে শুধু 

       তারাই শিক্ষিত হবে”

 ”সর্বোপরি, একজন বিপ্লবীকে সবসময় দৃঢ়ভাবে

       বিশ্বের যেকোন প্রান্তে সংঘটিত যে কোনো

       অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে”

 “মনুষ্য জাতির অভ্যুত্থান বিপ্লবের মাধ্যমে, শুধু ব্যক্তি 

      পর্যায়ে সময়ের আবর্তে বিপ্লবের শক্তি ক্ষয়ে যায়”

 ”আমরা কিসের জন্য বাঁচব সেটা আমরা

       নিশ্চিত হতে পারি না যতক্ষণ না আমরা তার জন্য 

       মরতে প্রস্তুত থাকি”

 “সবাই প্রত্যেকদিন চুলে চিরুনি চালায় যাতে চুল 

       সুন্দর পরিপাটি থাকে, কেউ কেনো হৃদয় সুন্দর 

       পরিপাটি রাখে না?”

 “জঘন্য বিপদ জানার পরেও আমায় বিল্পবের

       রহস্য বলতে দাও, বিপ্লব সবসময়ই গভীর আবেগ

       আর ভালোবাসা দ্বারা পরিচালিত হয়, সত্যিকার 

       আবেগ আর ভালোবাসা ছাড়া বিপ্লব অসম্ভব”

“বাস্তববাদী হও,’অসম্ভব’কে দাবী কর”

“আমি কোনো মুক্তিযোদ্ধা নই, মুক্তিযোদ্ধা বাস্তবে 

       কখনো হয় না যতক্ষণ মানুষ নিজে মুক্তিকামী হয়”

“এবং কিছু ব্যাপার পরিষ্কার, আমরা চমৎকারভাবে 

       শিখেছি একজন সাধারণ মানুষের জীবন পৃথিবীর 

       সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির সম্পদের চেয়েও লক্ষগুণ 

       বেশি দামী”

নতজানু হয়ে সারা জীবন বাচার চেয়ে আমি এখনই 

       মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত” 



Tag:লালনের উক্তি, রবীন্দ্রনাথের উক্তি, রবি ঠাকুরের উক্তি , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উক্তি, শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উক্তি, বিদ্যাসাগরের উক্তি, চে গুয়েভারা উক্তি 


Post a Comment

0Comments

প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

Post a Comment (0)