লাইলাতুল মেরাজ | পবিত্র শবে মেরাজ
আসসালামু আলাইকুম আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই ভালো আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম লাইলাতুল মেরাজ ,পবিত্র শবে মেরাজ, শবে মেরাজের নিয়ত , শবে মেরাজ কত তারিখে , শবেই মেরাজ, শবে মেরাজ কি , মিরাজ শব্দের অর্থ কি, মেরাজ ও বিজ্ঞান,
লাইলাতুল মেরাজ
পবিত্র শবে মেরাজ
শবে মেরাজের নিয়ত
শবে মেরাজের নামাজ নামাজের পরে পড়তে হয় এটি একটি নফল নামাজ এবং এই নামাজের নিয়ত হয়তো অনেকেই জানেন না এখানে নিয়তি পড় আপনারা উপকৃত হবেন
শবে মেরাজ কত তারিখে
শবেই মেরাজ
শবে মেরাজ কি
মেরাজ শব্দের অর্থ কি
মেরাজ ও বিজ্ঞান
মেরাজের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মুহাম্মদ সা.কে অবিশ্বাসী কোরাইশরা যখন বায়তুল মুকাদ্দাস সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করে ও কাবা হতে জেরুজালেমের পথের বর্ণনা এবং বায়তুল মুকাদ্দাসের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিতে বলে, তখন হযরত সা. প্রতিটি উত্তর ও প্রত্যেক স্থানের বিবরণ নিখুঁতভাবে দিতে সক্ষম হন। এতে অবিশ্বাসীদের চোখ স্থির হয়ে যায় এবং বিশ্বাস না হলেও অন্তর তাদের বিশ্বাস করতে বাধ্য করে।
পরবর্তী যুগে বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে মুহাম্মদ সা.-এর সশরীরে মেরাজ গমনের ঘটনা নিয়ে আলােড়ন চলতে থাকে। তাদের মতে, নভােমন্ডলের বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করার পেছনে যে সব অসাধারণ গুণাবলি দরকার, তা মানবের পক্ষে সম্ভব নয়। কেননা, পৃথিবীর উপরে মাত্র ৫২ মাইলব্যাপী বায়ুমন্ডল রয়েছে, তার উপরে আর বায়ুমন্ডল নেই। আছে হিলিয়াম, ক্রিপটন, জিয়ন প্রভৃতি গ্যাসীয় পদার্থ। বায়ুস্তর ভেদ করে এসব হালকা গ্যাসীয় পদার্থের অভ্যন্তরে এসে কোনাে জীবজন্তুর প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব নয়। কেননা দেহের অভ্যন্তরীণ চাপ ও বহির্ভাগের চাপ সম্পূর্ণ পৃথক। এই চাপের সমতা রক্ষা করা জীবের পক্ষে কঠিন। এছাড়া উর্ধ্বাকাশে রয়েছে। মহাজাগতিক রশ্মি ও উল্কাপাতের মতাে ভয়ঙ্কর ও প্রাণহরণকারী বস্তু ও প্রাণীসমূহের ভয়। এই যুক্তি প্রদর্শন করে চৌদ্দশ বছর কেটে গেছে এবং বিজ্ঞানীদের চোখে হযরতের নভােভ্রমণ বা মেরাজ উপেক্ষিত হয়েছে। ইতােমধ্যেই বিজ্ঞানীগণ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন যে, ঘণ্টায় মাত্র পঁচিশ হাজার মাইল বেগে চলা সম্ভব হলে পৃথিবী ও আকাশের মধ্যাকর্ষণ স্তর অতিক্রম করা সম্ভব। বিজ্ঞানের এসব অগ্রগতির সাথে এ কথা দিন দিনপরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, মুহাম্মদ সা.-এর এ মেরাজ সশরীরেই ছিলাে। তিনি সশরীরে মেরাজে গিয়েছিলেন বললেও তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সম্ভব এবং আজকের বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারা ও আগামী দিনের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করতে পারছে।চৌদ্দশ' বছর জ্ঞানী-বিজ্ঞানীরা যেখানে জোর গলায় প্রমাণ করে দেখাতেন যে, মহাশূন্যের মহাকাশে মানুষ বিচরণ করতে পারে না, সেখানে তারাই বিংশ শতাব্দীর শেষে প্রমাণ করে দেখালেন যে, মানুষ গ্রহ হতে গ্রহান্তরে শূন্য হতে মহাশূন্যে বিচরণ করতে পারে। নতুন আবিষ্কার করে-নতুনের সন্ধান দিয়ে তারা চৌদ্দশ
বছরের পুরাতন বৈজ্ঞানিকদের হতাশাকে খন্ডন করতে
পারেন। আমেরিকা নভােচারী ও তার সহচরবৃন্দ পৃথিবী
হতে দু' লক্ষ চল্লিশ হাজার মাইল দূরের চাঁদের সাথেমিতালি পেতে বিশ্বকে অবাক করে দিলেন। বর্তমানসময়ে বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে চলছে দারুণ প্রতিযােগিতাকে প্রথম মঙ্গলগ্রহে, কে বুধ, শুক্র, ইউরেনাস ও নেপচুনে গিয়ে পৌঁছতে পারবে। এরই মধ্যে পৃথিবীর সমপরিমাণ আরাে সাতটি গ্রহ আবিষ্কার হয়েছে বলেও নাসার পক্ষ হতে বিশ্ববাসীকে জানানাে হয়েছে। সুতরাং কোনাে নির্বোধ এখন কথা বলার কি কোনাে অবকাশ রাখে যে, নভােচারী গ্যাগারিন স্বপ্ন সাধনায় আধ্যাত্মিক শক্তিবলে মহাশূন্যে বিচরণ করেছেন?
আসমান থেকে পৃথিবীতে কিংবা পৃথিবী থেকে আসমানে মানুষের আসা-যাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। আমাদের নবীর আগেও তা সংঘটিত হয়েছে।
Tag:লাইলাতুল মেরাজ ,পবিত্র শবে মেরাজ, শবে মেরাজের নিয়ত , শবে মেরাজ কত তারিখে , শবেই মেরাজ, শবে মেরাজ কি , মিরাজ শব্দের অর্থ কি, মেরাজ ও বিজ্ঞান,