লাইলাতুল মেরাজ | মেরাজের হাদিস - Time Of BD - Education Blog

For any Business Enquiry Contact Us


[ সবার আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ বই নোট সাজেশন ও অন্যান্য সেবা পেতে ফলো করুন আমাদের Google News, Facebook এবং Telegram পেইজ ও গ্রুপে ]

লাইলাতুল মেরাজ | মেরাজের হাদিস

 

জের রোজা, শবে মেরাজের নামাজ কয় রাকাত,মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম,মেরাজের নামাজের নিয়ম,শবে মেরাজের রোজা কয়টি ,মেরাজের ঘটনাবলী,

আসসালামু আলাইকুম আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই ভালো আছেন আমি আল্লার রহমতে ভাল আছি আজ আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম লাইলাতুল মেরাজ,মেরাজের হাদিস , শবে মেরাজের রোজা, শবে মেরাজের নামাজ কয় রাকাত,মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম,মেরাজের নামাজের নিয়ম,শবে মেরাজের রোজা কয়টি ,মেরাজের ঘটনাবলী,

লাইলাতুল মেরাজ

লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রজনী, যা সচরাচর শবে মেরাজ হিসাবে আখ্যায়িত, ইসলাম ধর্মমতে যে রাতে ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) অলৌকিক উপায়ে উর্ধ্বাকাশে আরােহণ করেছিলেন এবং স্রষ্টার

সাথে সাক্ষাৎ করেন।


 মেরাজের হাদিস 

আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "আমার নিকট বােরাক নিয়ে আসা হল, বােরাক হচ্ছে চতুষ্পদ জন্তু সাদা, লম্বা, গাধার চেয়ে বড় ও খচ্চর থেকে ছােট, তার দৃষ্টির শেষ প্রান্তে সে তার পা রাখে, তিনি বলেন: আমি তাতে সওয়ার হলাম, অবশেষে আমাকে বায়তুল মাকদিস নিয়ে আসা হল, তিনি বলেন: আমি তাকে সে খুঁটির সাথে বাঁধলাম যার সাথে নবীগণ বাঁধেন। তিনি বলেন: অতঃপর আমি মসজিদে প্রবেশ করি, তাতে দু'রাকাত সালাত আদায় করি, অতঃপর বের হই। অতঃপর জিবরিল আমার নিকট মদের ও দুধের পাত্র নিয়ে আসেন, আমি দুধের পাত্র গ্রহণ করি, জিবরিল আমাকে বলেন: তুমি ফিতরাত (স্বভাব) গ্রহণ করেছ, অতঃপর আমাদের নিয়ে আসমানে চড়েন ...। তিনি হাদিস উল্লেখ করেন, তাতে রয়েছে: "আমি আমার রব ও মুসা আলাইহিস সালামের মাঝে যাওয়া- আসা করতে ছিলাম, অবশেষে তিনি বলেন: হে মুহাম্মদ, প্রতি রাত-দিনে এ হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, প্রত্যেক সালাতের জন্য দশ, এভাবে পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত। যে নেক কাজ করার ইচ্ছা করল কিন্তু তা করেনি, আমি তার জন্য একটি নেকি লেখি, যদি সে তা করে তার জন্য দশটি লেখা হয়। যে পাপ করার ইচ্ছা করে কিন্তু সে তা করে নি, তার জন্য কিছু লেখা হয় না, যদি সে তা করে তবে তার জন্য একটি পাপ লেখা হয়। তিনি বলেন: অতঃপর আমি অবতরণ করে মুসা আলাইহিস সালামের নিকট পৌঁছলাম এবং তাকে সংবাদ দিলাম, তিনি আমাকে বললেন: তােমার রবের নিকট ফিরে যাও, তার নিকট হ্রাসের দরখাস্ত কর, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আমি বললাম আমি আমার রবের নিকট বারবার গিয়েছি এখন লজ্জা করছি। [বুখারি ও মুসলিম] হাদিসটি সহিহ। আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে রয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামথেকে বর্ণিত, আল্লাহ তা'আলা বলেছেন: "এ হচ্ছে পাঁচ, অথচ তা পঞ্চাশ[1], আমার নিকট কথার (সিদ্ধান্তের) কোন পরিবর্তন নেই"। বুখারি ও মুসলিম] হাদিসটি সহিহ। অর্থাৎ কর্মে পাঁচ কিন্তু সাওয়াবে পঞ্চাশ। [1] কার্যত পাঁচ ওয়াক্ত, কিন্তু সওয়াব পঞ্চাশ ওয়াক্তের।


শবে মেরাজের রোজা


হ্যরত সায়্যিদুনা আবু হুরায়রা বলেন,

যে রজবের ২৭ তারিখের রােযা রাখবে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্যে ৬০মাস। রােযা রাখার সাওয়াব লিপিবদ্ধ করবেন।

(ফাযায়িলে শাহরে রজব লিল মাল্লাল, পৃষ্ঠা-১০)


 শবে মেরাজের নামাজ কয় রাকাত 


মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ মেরাজে গিয়ে সারাবিশ্বের জাহানের মুসলিম দের জন্য নামাজ নিয়ে আসেন আমরা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি

 এবং প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে একজন ব্যক্তি সকল গুনা থেকে বিরত থাকতে পারে শবে মেরাজের নামাজ একটি নফল ইবাদত এশার ফরজ নামাজ আদায়ের পর শবে মেরাজের নফল নামাজ আদায় করতে হয় শবে মেরাজের নফল নামাজ 12 রাকাত তবে এর বেশিও অনেকে পড়তে পারেন।

মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম মেরাজের নামাজের নিয়ম

শবে মে'রাজ এর নামাজ পড়ার নিয়মদুই, দুই রাকাত এর নিয়তে কমপক্ষে ১২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হয়। (আছাড় ও আপনি বিভিন্ন নফল ইবাদাত সহ আর বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করতে পারেন।) তবে মনে রাখবেন এশার নামাজ আদায় করারা সময় তিন রাকাত বিতির নামাজ আদায় যাবে না। এই তিন রাকাত নামাজ আদায় করবেন সকল নফল নামাজ এর পর। শবে মেরাজ এর নিয়তঅন্যান্য নফল নামাজের মতই এই নামাজের নিয়ত করবেন।

উচ্ছারনঃ নাওয়াইতুআন উছাল্লিয়া লিল্লাহে তা'আলা

রাক'আতায় ছালাতি লাইলাতিল মে'রাজ

মুতাওইয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারিফাতি

আল্লাহু একবার।যদি আপনি মনে করেন এটি মুখস্ত করতে সমস্যা বা মনে থাকে না। তাহলে এই নিয়ত আপনি বাংলায় ও করতে পারেন আপনার মনের ইচ্ছে মত। যেমনঃ আমি কেবলা মুখি হয়ে মে'রাজ এর দুই রাক'আত নফল নামাজ আল্লাহ্ রাজি ও খুসির জন্য আদায় করিতেছি। আল্লাহ্ হুয়াকবার।উপরক্ত নিয়তে দুই রাকাত করে চার রাকাত পর পর মুনাজাত করতে পারেন। এই

ভাবে ১২ রাকাত এর অধিক জত রাকাত খুশি আদায়

করতে পারেন।


 শবে মেরাজের রোজা কয়টি 

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা একটি রোজা রাখা সকলসুস্থ মানুষের জন্য ফরজ এটি মহান আল্লাহ তায়লা আমাদের জন্য একটি ফরজ ইবাদত হিসেবে

 দিয়েছেন শবে মেরাজের রোজা রাখা একটি ইবাদত এটির মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়

মেরাজের ঘটনাবলী

বিশেষ থেকে বিশেষতর, উৎকৃষ্ট থেকে উৎকৃষ্টতর, পূর্ণ থেকে পূর্ণতর এবং বিস্ময়কর মােজেজা হচ্ছে মেরাজ। কোনাে নবী বা রসুলকে এহেন মােজেজা দেয়া হয়নি। এই মেরাজ শরীফের মাধ্যমে নবী করীম স. কে মাকামে উলিয়া পর্যন্ত পৌঁছানাে হয়েছে। সেখানে পৌঁছে তিনি যা অবলােকন করেছেন, তা অন্য কেউই দেখেননি।

এ সম্পর্কে আল্লাহ্তায়ালা এরশাদ করেছেন, ‘পবিত্রতা ওই মহান সত্তার যিনি তাঁর বিশেষ বান্দাকে রাতের একাংশে মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত পরিভ্রমণ করালেন। যে মসজিদে আকসার চতুষ্পার্শ্বে আমি বরকত দান করেছি।' এই ভ্রমণের উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমি (আল্লাহ্) আমার কুদরতের নিদর্শন তাঁকে দেখাবাে। নিশ্চয় সেই আল্লাহ্ যিনি প্রকৃত শ্রবণকারী এবং প্রত্যক্ষকারী। (সুরা বনী

ইসরাইল : ০১)



tag:লাইলাতুল মেরাজ,মেরাজের হাদিস , শবে মেরাজের রোজা, শবে মেরাজের নামাজ কয় রাকাত,মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম,মেরাজের নামাজের নিয়ম,শবে মেরাজের রোজা কয়টি ,মেরাজের ঘটনাবলী,






Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url