পবিত্র শবে মেরাজ | মেরাজের ইতিহাস

 

:শবে মেরাজের নিয়ম, শবে মেরাজ , পবিত্র শবে মেরাজ , মেরাজের ইতিহাস , সব ই মেরাজ,

আসসালামু আলাইকুম , আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম শবে মেরাজের নিয়ম, শবে মেরাজ , পবিত্র শবে মেরাজ , মেরাজের ইতিহাস , সব ই মেরাজ,



শবে মেরাজের নিয়ম

মেরাজ মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সালাম এর মোজেজা গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি মোজেজা মেরাজের মাধ্যমে আমরা পাঁচ ওয়াক্ত সালাত পেয়েছি শবে মেরাজের নফল নামাজ এবং রোজা আছে। এশার নামাজের পর নফল নামাজ হিসেবে মেরাজের নামাজ পড়তে হয়। শবে মেরাজের নামাজ 12 রাকাত যা পড়লে সওয়াব হয়। শবে মেরাজের একটি রোযাও আছে রজব মাসের 26 ,27, 28 যেকোনো একটি দিনে হয়। শবে মেরাজের রোজা থাকলে 60 টি রোজা থাকার সমান সওয়াব হয়।


 শবে মেরাজ

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ মসজিদুল হারাম হতে মসজিদুল আকসা হতে সপ্তম আকাশে আরশে মহান আল্লাহতালার সাথে দিদার লাভ করেন এবং মহান আল্লাহ তায়লা 50 ওয়াক্ত নামাজ উপহার দেন।মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম তার উম্মতদের কথা চিন্তা করে পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজের পরিবর্তে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ চান।এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে 50 ওয়াক্ত নামাজের সওয়াব হবে। নামাজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি নামাজ সকল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের উপর ফরজ নামাজ আদায় করার মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহতালার সবচেয়ে নিকটে থাকে এবং নামাজ এর মাধ্যমে আমরা সকল গুনা থেকে দূরে থাকতে পারি পাঁচ অক্ত নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহতালার অনুগ্রহ পাই।  মেরাজে যাওয়ার পথে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সালাম এর সঙ্গী হোন হযরত জিব্রাইল আলাই সাল্লাম।

 পবিত্র শবে মেরাজ 

মহান আল্লাহ তায়ালা মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে রিসালাতের দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়াতে পাঠান নবীজি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম পবিত্র শবে মেরাজ এর মাধ্যমেই মহান আল্লাহর সাথে দিদার লাভ করতে পারেন এটি অত্যন্ত পবিত্র রাত শবে মেরাজের নামাজ এবং রোজা আছে শবে মেরাজের রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম সকল মুমিনদের জন্য নামাজ নিয়ে আসেন তাই এই রাতটি অত্যন্ত পবিত্র রাত।


মেরাজের ইতিহাস


ইসলাম ধর্মমতে লাইলাতুল মেরাজ' বা মেরাজের রাত, যা সচরাচর শবে মেরাজ হিসাবে আখ্যায়িত হয়, হচ্ছে যে রাতে ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) ঐশ্বরিক উপায়ে উর্ধ্বাকাশে আরােহণ করেছিলেন এবং স্রষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন। অনেক মুসলমান এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে এই রাতটি উদযাপন করেন। আবার অনেক মুসলমান এই রাত উদযাপন করেন না বরং এই রাত উদযাপন করাকে বিদআত বলেন।[১] ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কেননা এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামায, মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক (ফরজ) করা হয় এবং এই রাতেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায মুসলমানদের জন্য নিয়ে আসেন নবী মুহাম্মদ(সা:)।

ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী হযরত মুহাম্মদের (সা:) নবুওয়াত প্রকাশের একাদশ বৎসরের (৬২০ খ্রিষ্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা:) প্রথমে কাবা শরিফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন এবং সেখানে তিনি নবীদের জামায়াতে ইমামতি করেন। অতঃপর তিনি বোরাক নামক বিশেষ বাহনে আসীন হয়ে ঊর্ধ্বলােকে গমন করেন। ঊর্ধ্বাকাশে সিদরাতুল মুনতাহায় তিনি আল্লাহ'র সাক্ষাৎ লাভ করেন। এই সফরে ফেরেশতা জিবরাইল তার সফরসঙ্গী ছিলেন।[২] কুরআন শরিফের সুরা বনি ইসরাঈল এর প্রথম আয়াতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে :

"পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার আশপাশে আমি বরকত দিয়েছি। যেন আমি তাকে কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি। তিনি সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা।


 সব ই মেরাজ


ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, ৬২০ খ্রিষ্টাব্দের রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত পবিত্র এই রাতে মহানবী হজরত মােহাম্মদ (সা.) মহান আল্লাহর খাস রহমতে প্রথমে কাবা শরীফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল

মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন। এটাই হলো শব-ই-মেরাজ।



Tag:শবে মেরাজের নিয়ম, শবে মেরাজ , পবিত্র শবে মেরাজ , মেরাজের ইতিহাস , সব ই মেরাজ,