প্রকৃতি নিয়ে বিদায় শীতের কবিতা | কাজী নজরুল ইসলামের একুশের ও মুক্তিযুদ্ধের কবিতা
প্রিয় পাঠকবৃন্দ টাইম অফ বিডির পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা এবং সালাম আসসালামু আলাইকুম আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আপনারা হয়তো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের কবিতা খুঁজছেন কিন্তু অনেকেই হয়তো পাচ্ছেন না আর তাই আমরা আমাদের এই পোস্টটি তৈরি করেছি যে কবিতাগুলো নিয়ে তা হল প্রকৃতি নিয়ে কবিতা , বিদায় কবিতা , শীতের কবিতা , একুশের কবিতা , নজরুলের কবিতা, কাজী নজরুল ইসলাম কবিতা, মুক্তিযুদ্ধের কবিতা । দয়া করে পুরো পোস্টটি পড়বেন এবং আশা করি এগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রকৃতি নিয়ে কবিতা
প্রকৃতি প্রেমিকত্বে
মৌসুমী সেন|
কল্পনার বারিধারায় তুমিত্ব নিয়ে -
সংখ্যাতিত আবেগ বর্ষিত অনুভব সাজে,
নিজ নিজ চিত্রায়ণের আল্পনা আলখ্যে!
প্রতিবেশীর কৌতুহলী আহ্লাদিপনায় জানার প্রয়াস,
অগনিত প্রেমানুরাগিতায়ই কী কবিতায় কবি?
নিজেকে ডুবাই ভাসাই-
স্রোতের চোরা টানের উজানে|
মোহনার পানে ছুটে ছুটে বহুগামিতার স্বাদ নেই,
সে তো ঐ নদীর প্রেমে পরে অতলান্তের গভীরতায়|
উড়ে উড়ে জানালার কার্নিশটাকে ছুঁয়ে যাই,
মেঘের বজ্র হুংকারে পথভ্রষ্ট হই!
ধূলির ধূসরতায় দু'চোখে ঝাপসা ঝাপসা দেখি|
এখানেও প্রেমের পরকীয়ায় জড়াই আমি
ঐ বহুব্রীহি নামের সমোহিত সুবর্ণ সময়ের-
আলু থালু বিজড়িত বাউলা বাতাসের প্রেমে|
পাহাড় বেষ্টিত সবুজের সুর আলাপনে আমি,
শতাব্দীর সেরা উচ্ছ্বল চঞ্চল যৌবনা -
ষোরশী নামে বিশেষিত হই,
স্নিগ্ধ প্রকৃতির প্রাপ্তি ঝরনার প্রেমে পড়ে|
আমি আমার প্রেম কথা ও কবিতার সম্মোহন-
একাধিক প্রেমের পরিপূরক প্রকৃতি বৈচিত্র্যময়কে,
টেনে প্রেমের অগুনন প্রেমিকত্ব ছিনিয়ে ছিনিয়েই-
নিত্য কলংকিত হই কবিতা রসদের দরিদ্রতায়||
বিদায় কবিতা
শিরোনামঃ শেষ বিদায়
কলমেঃ আবু কাউছার সরকার
জ্ঞাতি কুটুমে ভরবে বাড়ি
হলে শেষ বিদায় ,
সবার মুখে উঠবে ভেসে
আক্ষেপ হায় হায়।
কেউ করবে গুণ কীর্তন
ছেড়ে চোখের পানি,
বুকের মাঝে বইবে কারো
শুধু ধরফরানি।
কোরাণ পড়ে কাঁদবে কেহ
তসবিহ হাতে হায়,
শোকের ভারে পাথর হবে
বিচ্ছেদ যাতনায়।
অনেক মুখে হারাবে হাসি
ঝরবে দু'টি চোখে,
স্মৃতির ধারা আনবে টেনে
শোক বিরহী মুখে।
ধাড়ি চাটাই বাঁশের ফালি
করবে আয়োজন,
শেষ বিদায়ে সাদা কাপড়
যেটুকু প্রয়োজন।
আজান বিনা নামাজ শেষে
চলবে ধীরে ধীরে,
চির নিদ্রায় শুইয়ে দিতে
মাটির ছোট ঘরে।
পাড়া পড়শি ঘর বাড়িতে
উঠে কান্নার রোল,
মন না মানা দুখ আঘাতে
ছিঁড়বে কেহ চুল।
সবার বেলা এমনি দিন
আসে সময় মত,
জীবন পথে সকল কাজ
হবে তখন গত।
শীতের কবিতা
কবি সাজ্জাদ হোসেনের কবিতা- “এতিমের ভিক্ষা”
পৌষের হাড় কাঁপুনে শীতে
নগ্ন দেহে পেটে নিয়ে ক্ষিধে,
অবুঝ শিশু হাত পাতে-
‘দাও না বাবু শীতে কিছু খেতে।
আমরা গরীব, বাবু-
ক্ষুধা আর শীতে বড় কাবু,
তোমাদের হাজার আছে-
দাও না কিনে কুয়াশায় একটি তাবু।
আমরা গরীব অনাথ
দু‘দিন খায় নি ভাত,
খালি গায়ে কাটে হিম রাত
ছেঁড়া জামা দিলে হবে না বরবাদ।
ওহে সূর্য মামা-
তোমার কাছে চাইনে জামা,
দেখ না শীতের তেজে শরীর কাঁপা?
জলদি তোমার হয় না কেন জাগা?
ওহে আল্লাহ-ভগবান-যিশু
ধনকুব দেয় না আমাদের কিছু,
নিপাত করো ক্ষুধা-হিম নিশু
বাঁচাও তোমার অনাহারী এতিম শিশু।
একুশের কবিতা
প্রতিবছর এইদিন টি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি আমরা।
শহীদ দের প্রতি সম্মান রেখে কালো ব্যাচ পড়া হয়। সাদা কালো পোশাক পড়ে ফুল দিয়ে শহীদ মিনারে শহীদ দের সম্মান জানানো হয়।
বাংলাভাষা কে এই দিনটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে পালন করা। ভাষার জন্য জীবন দানকারী একমাত্র আমার এই দেশের অসংখ্য শহীদ। তাই এতো সম্মানিত এই ভাষা আমার বাংলা ভাষা।
একুশের কবিতা
আল মাহমুদ
ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ
দুপুর বেলার অক্ত
বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায় ?
বরকতের রক্ত।
হাজার যুগের সূর্যতাপে
জ্বলবে এমন লাল যে,
সেই লোহিতেই লাল হয়েছে
কৃষ্ণচূড়ার ডাল যে !
প্রভাতফেরীর মিছিল যাবে
ছড়াও ফুলের বন্যা
বিষাদগীতি গাইছে পথে
তিতুমীরের কন্যা।
চিনতে না কি সোনার ছেলে
ক্ষুদিরামকে চিনতে ?
রুদ্ধশ্বাসে প্রাণ দিলো যে
মুক্ত বাতাস কিনতে ?
পাহাড়তলীর মরণ চূড়ায়
ঝাঁপ দিল যে অগ্নি,
ফেব্রুয়ারির শোকের বসন
পরলো তারই ভগ্নী।
প্রভাতফেরী, প্রভাতফেরী
আমায় নেবে সঙ্গে,
বাংলা আমার বচন, আমি
জন্মেছি এই বঙ্গে।
নজরুলের কবিতা | কাজী নজরুল ইসলাম কবিতা
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের
একটি অন্যতম কবিতা।
এ কুল ভাঙ্গে ও কুল গড়ে
কুল ভাঙ্গে ও কুল গড়ে
এই তো নদীর খেলা (রে ভাই)
এই তো বিধির খেলা।
সকাল বেলার আমির রে ভাই
ফকীর সন্ধ্যাবেলা।
সেই নদীর ধারে কোন ভরসায়
(ওরে বেভুল) বাঁধলি বাসা সুখের আশায়
যখন ধরল ভাঙন পেলিনে তুই
পারে যাবার ভেলা।
এই দেহ ভেঙ্গে হয় রে মাটি
মাটিতে হয় দেহ
যে কুমোর গড়ে সেই দেহ
তার খোঁজ নিল না কেহ।
রাতে রাজা সাজে নট-মহলে
দিনে ভিক্ষা মেগে পথে চলে
শেষে শ্মশান-ঘাটে গিয়ে দেখে
সবই মাটির ঢেলা
এই তো বিধির খেলা রে ভাই
ভব-নদীর খেলা।।
মুক্তিযুদ্ধের কবিতা
শিরোনাম-মহিমায় ভাস্বর
কলমে-হালিমা বেগম
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বাঙালি
জাতির স্বর্গময়।
মুজিব চির অম্লান
বাংলার গৌরবময়।
রক্তের বিনিময়ে অর্জিত
আত্মোৎসর্গ মানবের।
মুক্তিযোদ্ধা মোদের গর্ব
মোদের অহংকার।
করুণ দৃশ্যের ছবি
পাকবাহিনীর নিষ্ঠুরতা।
দীর্ঘ নয়মাসে সংগ্রামের
পরে স্বাধীনতা।
সুদূর স্মৃতি বুকে
ইতিহাসের পাতায়।
উল্লাসে ভরপুর হৃদয়
প্রাণ চাঞ্চল্যতায়।
অমত ষড়যন্ত্রে মুক্তিসংগ্রামের
ইতিহাস বেদনার।
জাতীয় চেতনায় উদ্ভাসিত
মহিমায় ভাস্বর।
Tag:প্রকৃতি নিয়ে কবিতা , বিদায় কবিতা , শীতের কবিতা , একুশের কবিতা , নজরুলের কবিতা, কাজী নজরুল ইসলাম কবিতা, মুক্তিযুদ্ধের কবিতা