সমস্ত পাথর হলে মহামূল্য মণি
মণির কদর কিছু হত না কখনি
ভাব - সম্প্রসারণ : আমাদের কাছে যা কিছু মহামূল্যবান তা যদি সহজলভ্য এবং পরিমাণে যথেষ্ট হতাে , তাহলে সেগুলাের কদর থাকত না । মণিমুক্তা অতি মূল্যবান ধাতব পদার্থস্বরূপ মানব সংসারে চিহ্নিত । এ জাতীয় পাথরের দুর্লভতা ও ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্যই এদেরকে সমুজ্জ্বল করে তােলে সবার মাঝে । সহজলভ্য নয় বলেই অন্যান্য পাথর থেকে এদের কদর এত বেশি । অন্যভাবে বলা যায় , পৃথিবীর সব পাথরই যদি মণিমুক্তা হতাে , তবে এর মতাে কদরও থাকত না । ভালাে - মন্দ , সুখ - দুঃখ নিয়েই এ পৃথিবী । সমগ্র দুঃখের উপস্থিতি মানবমনে সুখের মহিমার উপলব্ধি জাগায় , তেমনি সাধারণের মাঝে গুণী প্রতিভাধরের কদর আলাদাভাবে অনুভূত হয় । প্রতিভা মনের মাঝে উৎকৃষ্টভাবে উন্মােচিত এমন গুণী মানুষের সংখ্যা জগতে অপরিমেয় নয় বলেই তারা আমাদের কাছে এত শ্রদ্ধেয় । স্বকীয়তা আর কিছুটা দুর্লভতাই মানুষের মাঝে তাদের ভাবমূর্তিতে এ শ্রদ্ধার উৎস বলে চিহ্নিত । দেশ , সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেই দুর্লভ এবং দুষ্প্রাপ্য বস্তুর মূল্য ও কদর শুধু এ কারণেই । বৈচিত্র্যময় পৃথিবীতে সব মানুষের অধিকার নীতিগতভাবে সমান হলেও আন্তরিক পরিশ্রমের ফলে একজন মানুষ আত্মিক শক্তির বিকাশ ঘটিয়ে অর্জন করে নিতে পারে স্বকীয়তা ; যা পরবর্তীতে জগতের চিরাচরিত নিয়মেই তাঁকে করে তােলে সাধারণের মাঝে অসাধারণ । আর এ নিয়ম মানব সাধারণেরই তৈরি যারা এখনও অর্জন করতে পারেনি দুর্লভতার স্পর্শ অথবা যাদের অবস্থান স্বকীয়তা অর্জনের সাধনার পথে কর্মক্লান্ত পথিকরূপে । মণিকে আমরা কদর করি কেননা সেটি দুর্লভ , বৈচিত্র্যময় এবং অসাধারণ গুণাবলির অধিকারী । কদর পাওয়ার জন্য মানুষকে করতে হয় অসাধ্য সাধন , মহৎ কর্ম ; হতে হয় মহৎ গুণাবলির অধিকারী ।
টাগ: সমস্ত পাথর হলে মহামূল্য মণি মণির কদর কিছু হত না কখনি ভাবসম্প্রসারণ, সমস্ত পাথর হলে মহামূল্য মণি মণি ভাবসম্প্রসারণ, সমস্ত পাথর হলে মহামূল্য মণি মণির কদর কিছু হত না কখনি
প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ