রোজা রাখার উপকারিতা ফজিলত | রোজা রাখার নিয়ম ও নিয়ত

 

রোজা রাখার নিয়ত , রোজা রাখার উপকারিতা, রোজা রাখার নিয়ম , রোজা রাখার ফজিলত, রোজা রাখার বৈজ্ঞানিক উপকারিতা, রোজা রেখে ইঞ্জেকশন, রোজা রেখে ওজন কমানোর উপায়

    রোজা রাখার উপকারিতা


    প্রিয় পাঠকবৃন্দ টাইম অফ বিডি এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও সালাম আসসালামু আলাইকুম রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন আমিও রহমতে ভালো আছি। আপনারা হয়তো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় রোজা রাখার নিয়ত সম্বন্ধে জানতে চাচ্ছেন। আর তাই আজকে আমরা আমাদের পোষ্ট টি তৈরি করেছি। আমাদের আজকের এই পোস্টের রোজা রাখা সম্পর্কে যা যা থাকছেঃসেগুলো হলোরোজা রাখার নিয়ত , রোজা রাখার উপকারিতা, রোজা রাখার নিয়ম , রোজা রাখার ফজিলত, রোজা রাখার বৈজ্ঞানিক উপকারিতা, রোজা রেখে ইঞ্জেকশন, রোজা রেখে ওজন কমানোর উপায় ।

    আশা করি আপনারা পুরো পোস্টটি ধৈর্য্য সহকারে পড়বেন এবং সঠিক তথ্যটি পাবেন।

    রোজা রাখার নিয়ত

    রোজার রাখার নিয়ত বাংলায় উচ্চারণ

    "নাওয়াই তু আন আছুমা গদাম মিন শাহরি

    রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া

    আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নী ইন্নাকা

    আংতাস সামীউল আলীম।

    বাংলায় অর্থ↔ আল্লাহ পাক! আপনার

    সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমাদ্বান

    শরীফ-এর ফরয রোযা রাখার নিয়ত করছি।

    আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন।

    নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা , সর্বজ্ঞাত।

    ইফতার করার দোয়া বাংলায় উচ্চারণ

    আল্লাহুম্মা সুমতু লাকা, ওয়া

    তাওআক্কালতু আ‘লা রিঝক্বিকা, ওয়া

    আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার

    রহিমীন

    বাংলায় অর্থ

    হে আল্লাহ পাক! আমি আপনারই

    সন্তুষ্টির জন্য রোযা রেখেছি এবং

    আপনারই দেয়া রিযিক্ব দ্বারা ইফতার

    করছি।


     রোজা রাখার নিয়ম

    রমজান মাসে রোজা পালন করা ফরজ। কোনো কারণ ছাড়া রমজানের ফরজ রোজা ভেঙে ফেললে তার কাজা ও কাফফারা রোজা পালন করা ফরজ। রমজানে ফরজ রোজা না রাখলে বা কোনো কারণবশত ছেড়ে দিলে তার কাজা আদায় করা ফরজ। ফরজ ও ওয়াজিব রোজা ছাড়া অন্যান্য রোজাকে নফল রোজা বলা হয়; নফল মানে অতিরিক্ত, ফরজ বা ওয়াজিব নয়।

     রোজা রাখার ফজিলত

    যারা সুস্থ এবং রোজা রাখার উপযুক্ত হওয়ার পরও রোজা রাখছেন না, তারা বছরে একমাস অন্তত নিজের ভালোর জন্য হলেও রোজা রাখুন।


    রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও হাদিসে কি বলা হয়েছে তা আমরা সবাই কম-বেশি জানি। রোজা শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতেও রোজার উপকারিতা অপরিসীম।

    আসুন আমরা দেখি রোজা শরীরের জন্য কতটা উপকারী-


    ১) রোযা থাকা অবস্থায় কমপক্ষে ১৫ ঘণ্টা যাবতীয় খানাপিনা বন্ধ থাকে। এ সময় পাকস্থলী, অন্ত্র-নালী, যকৃত, হৃদপিণ্ডসহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশ্রাম পায়। তখন এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিজেদের পুনর্গঠনে নিয়োজিত হতে পারে। অন্যদিকে দেহে যেসব চর্বি জমে শরীরের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় সেগুলো রোযার সময় দেহের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর জন্য ছুটে যায়। স্বাস্থ্য-বিজ্ঞানী তার “সুপিরিয়র নিউট্রিশন” গ্রন্থে ডা. শেলটন বলেছেন, উপবাসকালে শরীরের মধ্যকার প্রোটিন, চর্বি, শর্করা জাতীয় পদার্থগুলো স্বয়ং পাচিত হয়। ফলে গুরুত্বপূর্ণ কোষগুলোর পুষ্টি বিধান হয়।

    ২) নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ঔষুধ ও শল্য চিকিৎসার প্রখ্যাত ডাঃ অ্যালেকসিস বলেছেন, উপবাসের মাধ্যমে লিভার রক্ত সঞ্চালন দ্রুত হয় ফলে ত্বকের নিচে সঞ্চিত চর্বি, পেশীর প্রোটিন, গ্রন্থিসমূহ এবং লিভারে কোষসমূহ আন্দোলিত হয়। আভ্যন্তরীণ দেহ যন্ত্রগুলোর সংরক্ষণ এবং হ্নদপিণ্ডের নিরাপত্তার জন্য অন্য দেহাংশগুলোর বিক্রিয়া বন্ধ রাখে। খাদ্যাভাব কিংবা আরাম-আয়েশের জন্য মানুষের শরীরের যে ক্ষতি হয়, রোজা তা পূরণ করে দেয়।”

    ৩) ডাঃ আইজাক জেনিংস বলেছেন, ” যারা আলস্য ও গোড়ামীর কারণে এবং অতিভোজনের কারণে নিজেদের সংরক্ষিত জীবনী শক্তিকে ভারাক্রান্ত করে ধীরে ধীরে আত্মহত্যার দিকে এগিয়ে যায়, রোযা তাদেরকে এ বিপদ থেকে রক্ষা করে।”

    ৪) বিশ্বখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী নাষ্টবারনার বলেন, “ফুসফুসের কাশি, কঠিন কাশি, সর্দি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা কয়েকদিনের রোযার কারণেই নিরাময় হয়।”

    ৫) ডাক্তার দেওয়ান এ,কে,এম, আব্দুর রহীম বলেছেন, “রোযাব্রত পালনের কারণে মস্তিস্ক এবং স্নায়ুতন্ত্র সর্বাধিক উজ্জীবিত হয়।

    ৬) স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী ডা. আব্রাহাম জে হেনরি রোযা সম্পর্কে বলেছেন, “রোযা হলো পরমহিতৈষী ওষুধ বিশেষ। কারণ রোযা পালনের ফলে বাতরোগ, বহুমূত্র, অজীর্ণ, হৃদরোগ ও রক্তচাপজনিত ব্যাধিতে মানুষ কম আক্রান্ত হয়।”

    ৭) গবেষণায় দেখা গেছে, রোযাদার পেপটিক আলসারের রোগীরা রোযা রাখলে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও হাঁপানি রোগীদের জন্যও রোযা উপকারী।

    ৮) ডাক্তারদের মতে, রোযার ফলে মস্তিষ্কের সেরিবেলাম ও লিমরিক সিস্টেমের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ার কারণে মনের অশান্তি ও দুশ্চিন্তা দূর হয়-যা উচ্চ রক্তচাপের জন্য মঙ্গলজনক। বহুমূত্র রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে রোযা খুব উপকারী। ডাক্তারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, একাধারে ১৫ দিন রোযা রাখলে বহুমূত্র রোগের অত্যন্ত উপকার হয়।

    ৯) কিডনী সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা রোযা রাখলে এ সমস্যা আরো বেড়ে যাবে ভেবে রোযা রাখতে চান না। অথচ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, রোযা রাখলে কিডনীতে সঞ্চিত পাথর কণা ও চুন দূরীভূত হয়।

    ১০) স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের মতে, সারা বছর অতিভোজ, অখাদ্য, কুখাদ্য, ভেজাল খাদ্য খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে যে জৈব বিষ জমা হয় তা দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এক মাস রোজা পালনের ফলে তা সহজেই দূরীভূত হয়ে যায়।

     রোজা রাখার বৈজ্ঞানিক উপকারিতা

    রোজা রাখার বৈজ্ঞানিক উপকারিতা

    সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজান। আরবী মাসসমূহের মাঝে শ্রেষ্ঠ মাস হলো, পবিত্র রমযান মাস। এটা রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। এই মাসেই পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে। এ মাস তাকওয়া ও সংযম প্রশিক্ষণের মাস, সবুর ও ধৈর্য্যরে মাস। এই মাস জীবনকে সমস্ত পাপ পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত করে মহান আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী ও নৈকট্য লাভের সেতুবন্ধন তৈরি করে।

    রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও হাদিসে কি বলা হয়েছে তা আমরা সবাই কম-বেশি জানি। রোজা শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতেও রোজার উপকারিতা অপরিসীম। আল্লাহর বান্দাদের জন্য রমজান মাস ইহকাল ও পরকালের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। তাই রোজা রাখলে শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক উপকার সাধিত হয়। যা কিনা চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণায়ও উঠে এসেছে। শারীরিক উপকারিতা বিষয়ে ব্যাখ্যা রয়েছে বিশ্বখ্যাত চিকিৎসকদের।

    রোযা থাকা অবস্থায় বিভিন্ন দেশ অনুযায়ী কমপক্ষে ১১ থেকে ১৫ ঘণ্টা যাবতীয় খানাপিনা বন্ধ থাকে। এ সময় পাকস্থলী, অন্ত্র-নালী, যকৃত, হৃদপিসহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশ্রাম পায়। তখন এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিজেদের পুনর্গঠনে নিয়োজিত হতে পারে। অন্যদিকে দেহে যেসব চর্বি জমে শরীরের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় সেগুলো রোযার সময় দেহের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর জন্য ছুটে যায়। স্বাস্থ্য-বিজ্ঞানী তার “সুপিরিয়র নিউট্রিশন” গ্রন্থে ডা. শেলটন বলেছেন, উপবাসকালে শরীরের মধ্যকার প্রোটিন, চর্বি, শর্করা জাতীয় পদার্থগুলো স্বয়ং পাচিত হয়। ফলে গুরুত্বপূর্ণ কোষগুলোর পুষ্টি বিধান হয়। পাশাপাশি রোজা রাখলে শরীরে জমে থাকা চর্বি শরীরের কাজে ব্যবহৃত হয় ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। শরীর ভালো থাকে।

    বাতরোগ, বহুমূত্র, অজীর্ণ, হৃদরোগ ও রক্তচাপজনিত ব্যাধিতে মানুষ কম আক্রান্ত হয়। ডায়াবেটিকসের ঝুঁকি কমায়। হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও হাঁপানি রোগীদের জন্যও রোযা উপকারী।

    গবেষণায় দেখা গেছে, রোযাদার পেপটিক আলসারের রোগীরা রোযা রাখলে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও হাঁপানি রোগীদের জন্যও রোযা উপকারী। রক্তচাপ কমায় : গবেষণায় আরো দেখা গেছে রোজা বা উপবাস ব্যায়ামের চেয়েও কার্যকরভাবে হার্টবিট ও বøাড প্রেশার কমাতে পারে।

    ডাঃ আইজাক জেনিংস বলেছেন, যারা আলস্য ও গোড়ামীর কারণে এবং অতিভোজনের কারণে নিজেদের সংরক্ষিত জীবনী শক্তিকে ভারাক্রান্ত করে ধীরে ধীরে আত্মহত্যার দিকে এগিয়ে যায়, রোযা তাদেরকে এ বিপদ থেকে রক্ষা করে। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের মতে, সারা বছর অতিভোজ, অখাদ্য, কুখাদ্য, ভেজাল খাদ্য খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে যে জৈব বিষ জমা হয় তা দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এক মাস রোজা পালনের ফলে তা সহজেই দূরীভূত হয়ে যায়।

    বিশ্বখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী নাষ্টবারনার বলেন, “ফুসফুসের কাশি, কঠিন কাশি, সর্দি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা কয়েকদিনের রোযার কারণেই নিরাময় হয়।

    ডাক্তার দেওয়ান এ,কে,এম, আব্দুর রহীম বলেছেন, “রোযাব্রত পালনের কারণে মস্তিস্ক এবং ¯œায়ুতন্ত্র সর্বাধিক উজ্জীবিত হয়।

    স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী ডা. আব্রাহাম জে হেনরি রোযা সম্পর্কে বলেছেন, “রোযা হলো পরমহিতৈষী ওষুধ বিশেষ। কারণ রোযা পালনের ফলে বাতরোগ, বহুমূত্র, অজীর্ণ, হৃদরোগ ও রক্তচাপজনিত ব্যাধিতে মানুষ কম আক্রান্ত হয়। ডায়াবেটিকসের ঝুঁকি কমায়। ডায়াবেটিকস রোগে আক্রান্তদের রোগীদের সবসময় ক্যালরি গ্রহণের ক্ষেত্রে আলাদা সতর্ক থাকতে হয়। রোজার দিনে ক্যালরি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আলাদা একটা নিষেধাজ্ঞা কাজ করে। তাই রোজা রাখলে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। (বারনোস্কাই-২০১৪)

    ডাক্তারদের মতে, রোযার ফলে মস্তিষ্কের সেরিবেলাম ও লিমরিক সিস্টেমের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ার কারণে মনের অশান্তি ও দুশ্চিন্তা দূর হয়, যা উচ্চ রক্তচাপের জন্য মঙ্গলজনক। বহুমূত্র রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে রোযা খুব উপকারী। ডাক্তারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, একাধারে ১৫ দিন রোযা রাখলে বহুমূত্র রোগের অত্যন্ত উপকার হয়।

    কিডনী সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা রোযা রাখলে এ সমস্যা আরো বেড়ে যাবে ভেবে রোযা রাখতে চান না। অথচ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, রোযা রাখলে কিডনীতে সঞ্চিত পাথর কণা ও চুন দূরীভূত হয়।

    বার্ধক্যকে দূরে রাখে। বার্ধক্য ভয় পায় না এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে। বার্ধক্য শরীর-মন দুটোকেই ভারাক্রান্ত আর অসহায় করে তোলে। রোজা রাখলে আয়ু বাড়ে এবং এটি বার্ধক্য সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলোকে দূরে রাখে। (মাটসন এবং ওয়ান-২০০৫)

     রোজা রেখে ইঞ্জেকশন

    ইনজেকশনের সাহায্যে দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশকৃত ওষুধ মাংস বা রগের মাধ্যমেই প্রবেশ করানো হয়ে থাকে, যা অস্বাভাবিক প্রবেশপথ, তাই এটি রোজা ভঙ্গের গ্রহণযোগ্য কারণ নয়। ইনসুলিন নিলে রোজা ভাঙবে না। কারণ ইনসুলিন রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে না এবং গ্রহণযোগ্য খালি জায়গায় প্রবেশ করে না।

     রোজা রেখে ওজন কমানোর উপায় 

    ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেসব পরামর্শ দেয় ইসলাম 

    রাসূলের (সা.) জীবনে রয়েছে আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। ইহ-পরকালীন কল্যাণ ও মুক্তি পেতে তার কালজয়ী আদর্শের বিকল্প নেই।

    ওজন কমানোর জন্য এখন অনেকেই বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেন। তবে নবীজির (সা.) সুন্নতের আলোকে জীবন পরিচালনার দ্বারা সহজেই ওজন কমানো যায়।

    রাসূল (সা.) রমজান ছাড়াও রোজা রাখতেন। রোজা ওজন কমানোর অনন্য উপায় হিসেবে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের কাছে স্বীকৃত।

    রোজা রাখা শুধু ধর্মীয় অনুভূতির জন্য নয় বরং স্বাস্থ্য রক্ষার্থেও বিশেষ কার্যকরী। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে বা শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে রোজা বিশেষ ভূমিকা রাখে।

    এর উপকারিতা সম্পর্কে জার্মানিতে একটি সমীক্ষার ফলাফলে জানা গেছে, শতকরা ৫৫ জন জার্মান একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত না খাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।

    একটি আমেরিকান গবেষণা থেকে জানা যায়, রোজা রাখলে তা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

    রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখো।’ (বুখারি ও মুসলিম)।

    হযরত কাতাদাহ (রা.) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন। (আবু দাউদ ও নাসায়ি)

    রাসূল (সা.) সব সময় পেটে ক্ষুধা রেখেই খাবার গ্রহণ করতেন এবং ক্ষুধা রেখে খাবার শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

    আল্লাহ বলেন, হে বনী-আদম! তোমরা খাও ও পান কর। (সূরা আল আরাফ-৩১) কিন্তু এই খাওয়া এবং পান করা যেন লাগামহীন না হয় সেজন্য এই আয়াতের শেষাংশে বলা হয়েছে- অপচয়/অপব্যয় করো না। তিনি অপচয়কারী/অপব্যয়ীদের পছন্দ করেন না।

    রাসূলুল্লাহ (সা.) খাবার গ্রহণের একটি স্বাভাবিক সীমা দিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আদম সন্তান যে সমস্ত ভাণ্ডার পূর্ণ করে, তার মধ্যে পেট হলো সবচেয়ে খারাপ। আদম সন্তানের জন্য স্বল্প কিছু লোকমাই যথেষ্ট, যা দিয়ে সে তার পিঠ সোজা রাখতে পারে।

    এর বেশি করতে চাইলে এক-তৃতীয়াংশ খাবারের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানীয়ের জন্য এবং এক-তৃতীয়াংশ নিঃশ্বাসের জন্য নির্দিষ্ট করে।’ (তিরমিযী ২৩৮০, মুসনাদে আহমাদ ৪/১৩২)

    এই হাদীসগুলোতে লুকিয়ে আছে সব ডায়েট মেন্যু, কিটো ডায়েট এবং মেডিকেল সায়েন্স। এ নির্দেশনাগুলো মেনে খাবার খেলে শরীরে ওজন যেমন স্বাভাবিক থাকবে তেমনি সুস্বাস্থ্যের নিয়ামতও পাওয়া যাবে।

    রাসূল (সা.) পানি খেয়ে রোজা ভাঙার নির্দেশ দিয়েছেন; যার অর্থ হল- আমাদের খালি পেটে পানি খাওয়া উচিত। বিজ্ঞানও জোরালোভাবে কথাটিকে সমর্থন করে যে, খালি পেটে পানি পান করলে ওজন কমে।

    রাসূল (সা.) দ্রুত পায়ে চলতেন। বিজ্ঞান বলে এমনটা করলেও শরীরের ওজন কমে।

    Tag:রোজা রাখার নিয়ত , রোজা রাখার উপকারিতা, রোজা রাখার নিয়ম , রোজা রাখার ফজিলত, রোজা রাখার বৈজ্ঞানিক উপকারিতা, রোজা রেখে ইঞ্জেকশন, রোজা রেখে ওজন কমানোর উপায়