চুল গজানোর ঔষধ শ্যাম্পু তেল | চুল গজানোর দোয়া ও অবিশ্বাস্য পদ্ধতি

 

:চুল গজানোর উপায়, চুল গজানোর ঔষধ, চুল গজানোর শ্যাম্পু, চুল গজানোর দোয়া, চুল গজানোর অবিশ্বাস্য পদ্ধতি , চুল গজানোর তেলের নাম

    চুল গজানোর উপায়

    প্রিয় পাঠকবৃন্দ টাইম অফ বিডি এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও সালাম আসসালামু আলাইকুম রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন আমিও রহমতে ভালো আছি। আপনারা হয়তো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় চুল গজানো সম্বন্ধে জানতে চাচ্ছেন। আর তাই আজকে আমরা আমাদের পোষ্ট টি তৈরি করেছি। আমাদের আজকের এই পোস্টের চুল গজানো সম্পর্কে যা যা থাকছেঃ সেগুলো হলোচুল গজানোর উপায়, চুল গজানোর ঔষধ, চুল গজানোর শ্যাম্পু, চুল গজানোর দোয়া, চুল গজানোর অবিশ্বাস্য পদ্ধতি , চুল গজানোর তেলের নাম ।আশা করছি আপনারা পুরো পোস্টটি ধৈর্য্য সহকারে পড়বেন এবং সঠিক তথ্যটি পাবেন।

     চুল গজানোর ঔষধ 

    নতুন চুল গজানোর ঔষধ মিনোক্সিডিল Minoxidil সম্পর্কে ধারনা-

    এটি মূলত উচ্চ রক্তচাপের ঔষধ। টাক মাথায়ও এটা ব্যবহারে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুফল পাওয়া গেছে । তবে এটা মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি পুরুষের চেয়ে বেশি ফল দিতে দেখা গেছে। চুল পড়া শুরু হওয়া মাত্র এই ঔষধ ব্যবহার শুরু করলে পুরুষদের ক্ষেত্রেও ভালো ফল পাওয়া যায়, যদিও সবার ক্ষেত্রে এটি কাজ করে না। কিন্তু এটা কিছু দিন ব্যবহার করলেই মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং চুলকানি হতে পারে। আর যাদের হৃদরোগ আছে তাদের জন্য এটা না ব্যবহার করাই ভালো।

    যাদের মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে অথবা যারা ইতিমধ্যে টাক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের অনেকেই হয়তো এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ইন্টারনেটে অনেক চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে মুগ্ধ হয়ে মিনোক্সিডিল ব্যবহার করেছেন। কেউ কেউ টানা কয়েকমাস ব্যবহার করে কোন উপকার না পেয়ে হয়তো আর সেপথে হাঁটেন নি। আবার কেউ কেউ হয়তো কয়েক মাস ব্যবহার করার পর কিছুটা সুফল পেয়ে একসময় ব্যবহার করা বন্ধ করে দেয়ার ফলে আবার চুল পড়া রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

    কেন চুল পড়ে ?

    গবেষকরা বিশ্বাস করেন, চুল পড়ার জন্য চুলের গোড়ার বা ফলিকলে একটি এনজাইম তৈরি হয়, যার নাম ফাইভ আলফা রিডাকটেজ। এই এনজাইম রক্তে বাহিত হরমোন টেস্টস্টেরনকে ডাই হাইড্রোটেস্টেস্টেরনে পরিণত করে। যার আরেক নাম ডিএইচটি। ডিএইচটি চুলের গোড়ায় আক্রমণ চালায় এবং চুল দূর্বল করে ঝরে পড়তে সাহায্য করে। পুরুষদের চুল সাধারণত সামনের দিকে পড়ে এবং টাকে পরিণত হয়। আর মহিলাদের পুরো মাথার চুলই এককভাবে পড়ে এবং পাতলা হয়ে যায়। মহিলাদের শরীরে অ্যারোমাটেজ নামে এক প্রকার এনজাইম তৈরি হয় যা ডিএইচটিকে এস্ট্রোজেনে পরিণত করে। এতে কিছু হলেও মহিলাদের চুল রক্ষা পায়। চুল পড়ার রাসায়নিক কারণ খুবই জটিল।

    মিনোক্সিডিলের কার্যকারীতা

    এরই মধ্যে আপনার জানা হয়ে গেছে মিনোক্সিডিল কারো কারো ক্ষেত্রে কিছুটা উপকার দিলেও এটা চুল পড়া রোগের আদৌ কোন স্থায়ী সমাধান নয়। দেখা গেছে মিনোক্সিডিল সবার ক্ষেত্রে কাজ করে না আর যাদের ক্ষেত্রে কাজ করে তাদেরও মাত্র ৪০% চুল গজাতে সাহায্য করে। কিন্তু সমস্যা হলো এটি তাদেরকে অনবরত ব্যবহার করে যেতে হয় অর্থাৎ ব্যবহার করা বন্ধ করলেই আবার আগের মতো টাক সমস্যা ফিরে আসে। সাথে সাথে রয়েছে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা সাইড ইফেক্ট। আর এর জন্য কারো কারো ক্ষেত্রে কাজ করলেও তাদের অনেকের পক্ষেই এর ব্যবহার চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।

    কারা মিনোক্সিডিল ব্যাবহার করতে পারবে?

    যাদের বয়স ১৭ থেকে ৪৫ বছর

    যাদের বড় কোন অসুখ নেই

    সম্প্রতি যাদের বড় কোন রোগের চিকিৎসা করা হয়নি

    যাদের ব্লাড প্রেশার নেই

    যাদের চুল ঝড়ে গেছে

    যাদের নিয়মিত চুল পড়ে

    যাদের দাড়ি নেই

    যাদের থুতনিতে দাড়ি আছে

    মিনোক্সিডিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা সাইড ইফেক্ট গুলো কি কি?

    সব এলোপ্যাথিক মেডিসিনের মত মিনোক্সিডিলেরও সাইড ইফেক্ট বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাইড ইফেক্ট বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি পারসন টু পারসন ভেরি করে অর্থাৎ একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এটি ব্যবহারে অনেকের ত্বকে চুলকানি, শুস্কতা, লালচে ভাব, জ্বালাযন্ত্রণা ইত্যাদি সৃষ্টি করে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে চুল বা দাড়ি ঝড়তে পারে।

    বড় কোন রোগের চিকিৎসার সময় ইহা ব্যাবহার করবেন না। সাইড ইফেক্ট ৩-৪ সপ্তাহের বেশি থাকলে সাময়িক ভাবে ব্যবহার বন্ধ রাখুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই ঔষধ ব্যবহার করবেন না।

    সত্য কথা অনেক সময় তিতা হয় : ইন্টারনেটে আপনি শুধু এই প্রকারের প্রোডাক্টগুলির সুফল আর গুন্কীর্তনই বেশি দেখে থাকবেন যেগুলি লেখা হয়েছে কম্পানির নিজেদের প্রোডাক্ট প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে। সেগুলি পড়া মাত্রই আপনার মনে হবে - এই কিনলাম, মাথায় দিলাম আর টাক মাথায় চুল গজানো শুরু করলো। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ উল্টো। কারণ গল্পের অপর পৃষ্ঠা সম্পর্কে আগে থেকে কেউ খবর নিতে চায় না। আমি আরো বাস্তব কিছু বললে হয়তো বলতে পারেন - ব্যাড অথবা গুড রিভিউ দিচ্ছি। আমি শুধু আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করলাম। তবে অন্যান্য আরো ডাক্তারগণ যারা নিয়মিত চুলের চিকিৎসা করেন তাদের যদি জিজ্ঞেস করেন অথবা আপনি নিজে যদি এটি ব্যবহার করেন তাহলে বিষয়টি প্রাক্টিক্যালি বুঝতে পারবেন।

    চুল গজানোর শ্যাম্পু

    চুল লম্বা, মজবুত এবং ঝলমল করতে প্রোটিন হেয়ার প্যাক অনেক বেশি কার্যকরী। অনেকেই পার্লারে প্রোটিন হেয়ার ট্রিটমেন্ট করে থাকেন। চুল পড়া রোধ, নতুন চুল গজানোর সহ চুলের নানা সমস্যায় রোধ করে থাকে প্রোটিন হেয়ার প্যাক।কিন্তু সময়ের অভাবে আমরা অনেকেই পার্লারে গিয়ে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করতে পারছেন না। তারা কিন্তু ঘরে বসে প্রোটিন হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

    অনেক সময় চুলে নিয়মিত শ্যাম্পু করা,তেল দেওয়ার পরও চুল মনের মত উজ্জ্বল ও মসৃণ হয় না। তখন বুঝতে হবে আপনার চুলের জন্য দরকার আরও বেশি পরিমাণে পুষ্টি। আমাদের চুল গঠিত হয়েছে কেরোটিন নামক এক ধরনের প্রোটিন দিয়ে। এ কেরোটিনের উপস্থিতির কারণে আমাদের চুল সুস্থ- সবল থাকে এবং চুলের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখে।

    তাই সবারই উচিত প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা যেটা কাজ তো করে ধীরে ধীরে আপনার চুলকে সুন্দর করে তুলবে তাই আমি নিয়ে এলাম হোম মেড হারবাল হেয়ার প্রোটিন প্যাক এবং হারবাল হেয়ার অয়েল।

    আসুন দেখে নেই প্রোটিন হেয়ার প্যাক কি কি কাজ করবে আপনার চুলের।

     চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগাবে।

     চুল নরম করবে, চুল পড়া বন্ধ করবে মাত্র ১বার ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন।

     চুলের গোড়া মজবুত করবে।

    চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও উজ্জ্বলতা বাড়বে। খুশকি বা স্কাল্পের যেকোনো সমস্যা দূর করবে।

    চুলের সিল্কি ভাব আসবে।

    হেয়ার রিপিয়ারিং করবে।

    চুল ভাঙা রোধ করবে।

    চুলের আগা ফাটা বন্ধ করবে।

    চুল সাদা হওয়া রোধ করবে।

    চুলে জট বাধা কমিয়ে দিবে।

    এতে আছে ২২ টি উপাদান মেথি, রিঠা, শিকাকাই, আমলকি, জবাফুল, মেহেদি, সহ আরো ভিন্ন অর্গানিক প্রকৃতির উপাদান যা আপনার চুলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিবে বহুগুণ। এটা ছেলে মেয়ে উভয় ব্যবহার করতে পারবে হেয়ার প্রোটিন প্যাক এবং হেয়ার অয়েল। যাদের অতিরিক্ত চুল পড়ছে তারা সপ্তাহে দুদিন বা তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন।

     চুল গজানোর অবিশ্বাস্য পদ্ধতি  | চুল গজানোর দোয়া

    চুল গজানোর অবিশ্বাস্য পদ্ধতি

    বলা হয়ে থাকে চুলই মানুষের সৌন্দর্যের আধার। এই চুল পড়ে গিয়ে টাক হয়ে যান অনেকে। সব বয়সের লোকদের কমবেশি চুল পড়ে থাকে। এমনকি যৌবনেও ঘটে। চুলপড়া একটি সাধারণ রোগ। চিকিৎসকদের মতে, হরমনের পাশাপাশি প্রোটিন (আমিষ) ও ফ্যাটের (চর্বি) অভাবে মানুষের চুল পড়ে। বাড়িতে বসেই এক বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি আপনার চুলের সৌন্দর্য বাড়ান। চুলপড়া রোধ করুন। মাথায় চুল গজান।

    দইতে চর্বি ও উচ্চ ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে। আমিষ ও চর্বিতে পরিপূর্ণ ডিম। এত প্রোটিন অন্য খাবারে পাওয়া যায় না। এ দই ও ডিম মিশিয়ে চুল পরিচর্যার রেসিপি বানানো যায়। চুলের রুক্ষতা ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এটা।

    বিশেষত বাড়িতে বানানো এই রেসিপি চুল পরিষ্কার করে। শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষার পাশাপাশি চুল গজাতে বেশ কার্যকরী। মোটের ওপর এটি চুলকে প্রাণবন্ত, স্নিগ্ধতা ও কোমল করার জন্য তুলনা নেই। ঝকঝকে ও স্বাস্থ্যকর চুল পেতে এই রেসিপি মাথায় খুলিতে ক্যলসিয়াম ও প্রোটিন সরবরাহ করে।

    মধুও মাথার চুল বৃদ্ধিতে বেশ কাজে দেয়। এতে উপকারী বেশকিছু উপাদান রয়েছে- যেমন ভিটামিন-ই, কে, সি, বি১, বি২ ও বি৬। আর কলা চুলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে যুদ্ধ করে।

    ডিম, মধু ও বিয়ারের মিশ্রণ আপনার চুল রক্ষায় অবিশ্বাস্য কাজ করে। বিয়ারে ভিটামিন-বি, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, কপার রয়েছে, যা আপনার চুলকে শক্তিশালী ও চুল গজাতে দারুণ কাজে দেয়।

    যেভাবে চুলের রেসিপি বানাবেন :- একটি ডিম অথবা এর শুধুমাত্র কুসুম, একটি কলা, এক অথবা দুই কাপ ঘন বিয়ার, এক টেবিল চামচ মধু নিন। এগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে লাগান। এক থেকে দুই ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিন। মাথা শুকানোর পর সাধারণভাবে ধুয়ে ফেলুন। মাথার চুল বৃদ্ধি করতে সপ্তাহে একবার এটি ব্যবহার করা উচিত।

     চুল গজানোর তেলের নাম 

    Tyra oil

    টায়েরা তেল

    Essential hair oil

    ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্য 

    hair Growth Hair Care Oils Original Essence 100% authentic serum hair growth

    চুল পড়ে যাচ্ছে বা চুল পাতলা হয়ে গেছে? 

    এবার অসলো টাক মাথায় চুল গজানোর চুলের গ্রথ হারবাল তেল, 

    কি কি কাজ করে?

    ১।মাত্র ২১ দিনে চূল পড়া বন্ধ করে 

    ২। মাত্র ৪১ দিনে টাক মাথায় চুল গজায়

    ৩। ১০ দিনে ড্যামেজ রিপেয়ার করে।

    ৪। ২৪ দিনে চুল মজবুত করে।

    ৫। সাদা চুল কালোও করে।

    ব্যবহারঃ 

    প্রতিদিন গোসলের পরে শূকনা মাথার তালুতে/ চুলের গোরায় লাগাবেন।

    Tag:চুল গজানোর উপায়, চুল গজানোর ঔষধ, চুল গজানোর শ্যাম্পু, চুল গজানোর দোয়া, চুল গজানোর অবিশ্বাস্য পদ্ধতি , চুল গজানোর তেলের নাম