আর-রাদ বাংলা অনুবাদ | সূরা রাদ তাফসীর | সূরা আর রাদ আয়াত ১১,২৮,৭

 

সূরা রাদ ১১, সূরা আর রাদ  আয়াত ১১ , সূরা আর-রাদ বাংলা অনুবাদ, সূরা  রাদ তাফসীর , সূরা আর রাদ আয়াত ২৮, সূরা আর রাদ আয়াত ৭


    সূরা রাদ ১১ 

    প্রিয় পাঠকবৃন্দ টাইম অফ বিডি এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু।কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি । আপনারা অনেকেই হয়তো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় সূরা আনফালের বিভিন্ন আয়াতগুলো খুঁজছেন। আর তাই আজকে আমরা আমাদের পোষ্ট টি তৈরি করেছে আমাদের এই পোস্টটা আজকের সূরা আনফালের সম্পর্কে যা যা থাকছেঃ সেগুলো হলোসূরা রাদ ১১, সূরা আর রাদ আয়াত ১১ , সূরা আর-রাদ বাংলা অনুবাদ, সূরা রাদ তাফসীর , সূরা আর রাদ আয়াত ২৮, সূরা আর রাদ আয়াত ৭ 
    আশা করি আপনারা পুরো পোস্টটি ধৈর্য্য সহকারে পড়েন এবং সঠিক তথ্যটি পাবেন।

     সূরা আর-রাদ বাংলা অনুবাদ  | সূরা আর রাদ  আয়াত ১১

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম


    ১. আলিফ লাম মী-ম রা- তিলকা আ-য়া-তুল কিতা-বি ওয়াল্লাযীউনঝিলা ইলাইকা মির রাব্বিকাল হাক্কুওয়ালা-কিন্না আকছারান্না-ছি লা-ইউ’মিনূন।


    ২. আল্লা-হুল্লাযীরাফা‘আছছামা-ওয়া-তি বিগাইরি ‘আমাদিন তারাওনাহা- ছু ম্মাছ তাওয়া ‘আলাল ‘আরশি ওয়া ছাখখারাশশামছা ওয়াল কামারা কুল্লুইঁ ইয়াজরী লিআজালিম মুছাম্মা- ইউদাব্বিরুল আমরা ইউফাসসিলুল আ-য়া-তি লা‘আল্লাকুম বিলিকাই রাব্বিকুম তূকিনূন।


    ৩. ওয়া হুওয়াল্লাযী মাদ্দাল আরদা ওয়া জা‘আলা ফীহা-রাওয়া-ছিয়া ওয়াআনহা-রাওঁ ওয়া মিন কুল্লিছছামারা-তি জা‘আলা ফীহা- ঝাওজাইনিছনাইনি ইউগশিল লাইলান্নাহা-র ইন্না ফী যা-লিকা লা আ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইয়াতাফাক্কারূন।


    ৪. ওয়া ফিল আরদিকিতা‘উম মুতাজা-বিরা-তুওঁ ওয়া জান্না-তুম মিন আ‘না-বিওঁ ওয়া ঝার‘উওঁ ওয়া নাখীলুন সিনওয়া-নুওঁ ওয়া গাইরু সিনওয়া-নিইঁ ইউছকা- বিমাইওঁ ওয়াহিদিওঁ ওয়া নুফাদদিলুবা‘দাহা- ‘আলা-বা‘দিন ফিল উকুলি ইন্না ফী যালিকা লাআ-য়া-তিল লিকাওমিইঁ ইয়া‘কিলূন।


    ৫. ওয়া ইন তা‘জাব ফা‘আজাবুন কাওলুহুম আইযা-কুন্না-তুরা-বান আইন্না-লাফী খালকিন জাদীদিন উলাইকাল্লাযীনা কাফারু বিরাব্বিহিম ওয়া উলাইকাল আগলা-লু ফীআ‘না-কিহিম ওয়া উলাইকা আসহা-বুন্না-রি হুম ফীহা- খা-লিদূ ন।


    ৬. ওয়া ইয়াছতা‘জিলূনাকা বিছছাইয়িআতি কাবলাল হাছানাতি ওয়া কাদ খালাত মিন কাবলিহিমুল মাছুলা-তু ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাযূমাগফিরাতিললিন্না-ছি ‘আলাজু লমিহিম ওয়া ইন্না রাব্বাকা লাশাদীদুল ‘ইকা-ব।


    ৭. ওয়া ইয়াকূলুল্লাযীনা কাফারূ লাওলাউনঝিলা ‘আলাইহি আ-য়াতুম মির রাব্বিহী ইন্নামা আনতা মুনযিরুওঁ ওয়া লিকুল্লি কাওমিন হা-দ।


    ৮. আল্লা-হু ইয়া‘লামুমা-তাহমিলুকুল্লুউনছা-ওয়ামা-তাগীদুল আরহা-মুওয়ামা-তাঝদা-দু ওয়া কুল্লুশাইইন ‘ইনদাহূবিমিকদা-র।


    ৯. ‘আ-লিমুল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতিল কাবীরুল মুতা‘আ-ল।


    ১০. ছাওয়াউম মিনকুম মান আছাররাল কাওলা ওয়া মান জাহারা বিহী ওয়া মান হুওয়া মুছতাখফিম বিল্লাইলি ওয়া ছা-রিবুম বিন্নাহা-র।


    ১১. লাহূ মু‘আক্কিবা-তুম মিমবাইনি ইয়াদাইহি ওয়া মিনখালফিহী ইয়াহফাজূনাহূ মিন আমরিল্লাহি ইন্নাল্লা-হা লা-ইউগাইয়িরু মা-বিকাওমিন হাত্তা-ইউগাইয়িরূমা-বিআনফুছিহিম ওয়া ইযাআরা-দাল্লা-হু বিকাওমিন ছূআন ফালা-মারাদ্দা লাহূ ওয়ামা- লাহুম মিন দূ নিহী মিওঁ ওয়া-ল।


    ১২. হুওয়াল্লাযী ইউরীকুমুল বারকাখাওফাওঁ ওয়াতআমাওঁ ওয়া ইউনশিউছছাহা-বাছছিক ল।


    ১৩. ওয়া ইউছাব বিহুর রা‘দুবিহামদিহী ওয়াল মালাইকাতুমিন খীফাতিহী ওয়া ইউরছিলুস সাওয়া-‘ইকা ফাইউসীবুবিহা- মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া হুম ইউজা-দিলূনা ফিল্লা-হি ওয়া হুওয়া শাদীদুল মিহা -ল।


    ১৪. লাহূদা‘ওয়াতুল হাক্কি ওয়াল্লাযীনা ইয়াদ‘ঊনা মিন দূ নিহী লা-ইয়াছতাজীবূনা লাহুম বিশাইইন ইল্লা- কাবা-ছিতিকাফ ফাইহি ইলাল মাই লিইয়াবলুগা-ফা-হু ওয়ামা-হুওয়া ব্বিা-লিগিহী ওয়ামা- দু‘আউল কা-ফিরীনা ইল্লা-ফী দালা-ল।


    ১৫. ওয়ালিল্লা-হি ইয়াছজূদুমানফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ালআরদিতাও‘আওঁ ওয়াকারহাওঁ ওয়া জিলা-লুহুম বিল গুদুওবিওয়াল আ-সা-ল।(ছিজদাহ-২)


    ১৬. কুল মার রাব্বুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদিকুল্লিলা-হু কুল আফাত্তাখাযতুম মিন দূ নিহীআওলিয়াআ লা-ইয়ামলিকূনা লিআনফুছিহিম নাফ‘আওঁ ওয়ালা-দাররান কুল হাল ইয়াছতাবিল আ‘মা-ওয়াল বাসীরু আম হাল তাছতাবিজজু লুমা-তুওয়াননূরু আম জা‘আলূলিল্লা-হি শুরাকাআ খালাকূকাখাল কিহী ফাতাশা-বাহাল খালকু ‘আলাইুহিম কুল্লিলা-হু খা-লিকুকুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া হুওয়াল ওয়া-হিদুল কাহহা-র।


    ১৭. আনঝালা মিনাছছামাই মাআন ফাছা-লাত আওদিয়াতুম বিকাদারিহা-ফাহতামালাছ ছাইলু ঝাবাদার রা-বিয়াওঁ ওয়া মিম্মা-ইউকিদূ না ‘আলাইহি ফিন্না-রিব তিগাআ হিলয়াতিন আও মাতা-‘ইন ঝাবাদুম মিছলুহূ কাযা-লিকা ইয়াদরিবুল্লা-হুল হাক্কা ওয়াল বাতিলা ফাআম্মাঝ ঝাবাদুফাইয়াযহাবুজুফাআওঁ ওয়া আম্মা-মা-ইয়ানফাউন্নাছা ফাইয়ামকুছু ফিল আরদি কাযা-লিকা ইয়াদরিবুল্লা-হুল আমছা-ল।


    ১৮. লিল্লাযীনাছতাজা-বূলিরাব্বিহিমুল হুছনা- ওয়াল্লাযীনা লাম ইয়াছতাজীবূলাহূলাও আন্না লাহুম মা-ফিল আরদিজামী‘আওঁ ওয়া মিছলাহূমা‘আহূলাফতাদাওঁ বিহী উলাইকা লাহুম ছূউল হিছা-ব ওয়ামা’ওয়া-হুম জাহান্নামু ওয়া বি’ছাল মিহা-দ।


    ১৯. আফামাইঁ ইয়া‘লামুআন্নামাউনঝিলা ইলাইকা মির রাব্বিকাল হাক্কুকামান হুওয়া আ‘মা- ইন্নামা-ইয়াতাযাক্কারু ঊলুল আলবা-ব।


    ২০. আল্লাযীনা ইঊফূনা বি‘আহদিল্লা-হি ওয়ালা-ইয়ানকুদূ নাল মীছা-ক।


    ২১. ওয়াল্লাযীনা ইয়াসিলূনা মাআমারাল্লা-হুবিহীআইঁ ইউসালা ওয়া ইয়াখশাওনা রাব্বাহুম ওয়া ইয়া খা-ফূনা ছূআল হিছা-ব।


    ২২. ওয়াল্লাযীনা সাবারুব তিগাআ ওয়াজহি রাব্বিহিম ওয়া আকা-মুসসালা-তা ওয়া আনফাকূ মিম্মা-রাঝাকনা-হুম ছিররাওঁ ওয়া ‘আলা-নিয়াতাওঁ ওয়া ইয়াদরাঊনা বিলহাছানাতিছ ছাইয়িআতা উলাইকা লাহুম ‘উকবাদ্দা-র।


    ২৩. জান্না-তু‘আদনিইঁ ইয়াদখুলূনাহা-ওয়া মান সালাহামিনআ-বাইহিম ওয়াআঝওয়া-জিহিম ওয়াযুররিইইয়া-তিহিম ওয়াল মালাইকাতুইয়াদখুলূনা ‘আলাইহিম মিন কুল্লি বা-ব।


    ২৪. ছালা-মুন ‘আলাইকুম বিমা-সাবারতুম ফানি‘মা ‘উকবাদ্দা-র।


    ২৫. ওয়াল্লাযীনা ইয়ানকুদূ না ‘আহদাল্লা-হি মিম বা‘দি মীছা-কিহী ওয়া ইয়াকাতা‘ঊনা মাআমারাল্লা-হু বিহীআইঁ ইঊসালা ওয়াইউফছিদূ না ফিল আরদি উলাইকা লাহুমুল লা‘নাতুওয়া লাহুম ছূূউদ্দা-র।


    ২৬. আল্লা-হু ইয়াবছুতু র রিঝকালিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াকদিরু ওয়া ফারিহূবিলহায়াতিদদুনইয়া-ওয়ামাল হায়া-তুদদুনইয়া- ফিল আ-খিরাতি ইল্লা-মাতা-‘উ।


    ২৭. ওয়া ইয়াকূলুল্লাযীনা কাফারূলাওলাউনঝিলা ‘আলাইহি আ-য়াতুম মির রাব্বিহী কুল ইন্নাল্লা-হা ইউদিল্লুমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াহদীইলাইহি মান আনা-ব।


    ২৮. আল্লাযীনা আ-মানূওয়া তাতমাইন্নুকুলূবুহুম বিযিকরিল্লা-হি ‘আলা-বিযিকরিল্লা-হি তাতমাইন্নুল কুলূব।


    ২৯. আল্লাযীনা আ-মানূওয়া ‘আমিলুসসা-লিহা-তি তূবা-লাহুম ওয়া হুছনুমাআ-ব।


    ৩০. কাযা-লিকা আরছালনা-কা ফীউম্মাতিন কাদ খালাত মিন কাবলিহাউমামুল লিতাতলুওয়া ‘আলাইহিমুল্লাযী আওহাইনাইলাইকা ওয়াহুম ইয়াকফুরূনা বিররাহমা-নি কুল হুওয়া রাববী লাইলা-হা ইল্লা হুওয়া ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতুওয়া ইলাইহি মাতা-ব।


    ৩১. ওয়া লাও আন্না কুরআ-নান ছুইয়িরাত বিহিল জিবা-লুআও কুত্তি‘আত বিহিল আরদুআও কুল্লিমা বিহিল মাওতা- বাল লিল্লা-হিল আমরু জামী‘আন আফালাম ইয়াইআছিল্লাযীনা আ-মানূআল্লাওঁইয়াশাউল্লা-হু লাহাদান্না-ছা জামী‘আওঁ ওয়ালা-ইয়াঝা-লুল্লাযীনা কাফারূতুসীবুহুম বিমা-সানা‘ঊ কা-রি‘আতুন আও তাহুল্লুকারীবাম মিন দা-রিহিম হাত্তা-ইয়া’তিয়া ওয়া‘দুল্লা-হি ইন্নাল্লা-হা লা-ইউখলিফুল মী‘আ-দ।


    ৩২. ওয়া লাকাদিছতুহঝিআ বিরুছুলিম মিন কাবলিকা ফাআমলাইতুলিল্লাযীনা কাফারূছু ম্মা আখাযতুহুম ফাকাইফা কা-না ‘ইকা-ব।


    ৩৩. আফামান হুওয়া কাইমুন ‘আলা-কুল্লি নাফছিম বিমা কাছাবাত ওয়া জা‘আলূলিল্লা-হি শুরাকাআ কুল ছাম্মূহুম আম তুনাব্বিঊনাহূবিমা-লা-ইয়া‘লামুফিল আরদিআম বিজাহিরিম মিনাল কাওলি বাল ঝুইয়িনা লিল্লাযীনা কাফারূমাকরুহুম ওয়াসুদ্দূ‘আনিছ ছাবীলি ওয়ামাইঁ ইউদলিলিল্লা-হু ফামা-লাহূমিন হা-দ।


    ৩৪. লাহুম ‘আযা-বুন ফিল হায়া-তিদদুনইয়া-ওয়ালা ‘আযা-বুল আ-খিরাতি আশাক্কু ওয়ামা-লাহুম মিনাল্লা-হি মিওঁ ওয়া-ক।


    ৩৫. মাছালুল জান্নাতিল লাতী উ‘ইদাল মুত্তাকূনা তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-রু উকুলুহা-দাইমুওঁ ওয়াজিল্লুহা- তিলকা ‘উকবাল্লাযী নাত্তাকাওঁ ওয়া ‘উকবাল কাফিরীনান্না-র।


    ৩৬. ওয়াল্লাযীনা আ-তাইনা-হুমুল কিতা-বা ইয়াফরাহূনা বিমাউনঝিলা ইলাইকা ওয়া মিনাল আহঝা-বি মাইঁ ইউনকিরু বা‘দাহূ কুল ইন্নামাউমিরতুআন আ‘বুদাল্লা-হা ওয়ালাউশরিকা বিহী ইলাইহি আদ‘ঊ ওয়া ইলাইহি মাআ-ব।


    ৩৭. ওয়া কাযা-লিকা আনঝালনা-হু হুকমান ‘আরাবিইইয়াওঁ ওয়ালাইনিততাবা‘তা আহওয়াআহুম বা‘দা মা-জাআকা মিনাল ‘ইল মি মা-লাকা মিনাল্লা-হি মিওঁ ওয়ালিইয়িওঁ ওয়ালা-ওয়া-ক।


    ৩৮. ওয়া লাকাদ আরছালনা-রুছুলাম মিন কাবলিকা ওয়া জা‘আলনা-লাহুম আঝওয়া-জাওঁ ওয়া যুররিইইয়াতাওঁ ওয়ামা-কা-না লিরাছূলিন আইঁ ইয়া’তিয়া বিআ-য়াতিন ইল্লা-বিইযনিল্লা হি লিকুল্লি আজালিন কিতা-ব।


    ৩৯. ইয়ামহূল্লা-হু মা-ইয়াশাউ ওয়া ইউছবিতু ওয়া ‘ইনদাহূ উম্মুল কিতা-ব।


    ৪০. ওয়া ইম্মা- নুরিইয়ান্নাকা বা‘দাল্লাযীনা‘ইদুহুম আও নাতাওয়াফফাইয়ান্নাকা ফাইন্নামা‘আলাইকাল বালা-গু ওয়া ‘আলাইনাল হিছা-ব।


    ৪১. আওয়ালাম ইয়ারাও আন্না-না’তিল আরদা নানকুসুহা-মিন আতারা-ফিহা- ওয়াল্লা-হু ইয়াহকুমূলা-মু‘আক্কিবা লিহুকমিহী ওয়া হুওয়া ছারী‘উল হিছা-ব।


    ৪২. ওয়া কাদ মাকারা ল্লাযীনা মিন কাবলিহিম ফালিল্লা-হিল মাকরু জামী‘আইঁ ইয়া‘লামুমাতাকছিবুকুল্লুনাফছিওঁ ওয়া ছাইয়া‘লামুল কুফফা-রু লিমান ‘উকবাদ দা-র।


    ৪৩. ওয়া ইয়াকূলুল্লাযীনা কাফারূ লাছতা মুরছালান কুল কাফা-বিল্লা-হি শাহীদাম বাইনী ওয়া বাইনাকুম ওয়া মান ‘ইনদাহূ‘ইল মুল কিতা-ব।

     সূরা  রাদ তাফসীর

    যারা পালনকর্তার আদেশ পালন করে, তাদের জন্য উত্তম প্রতিদান রয়েছে এবং যারা আদেশ পালন করে না, যদি তাদের কাছে জগতের সবকিছু থাকে এবং তার সাথে তার সমপরিমাণ আরও থাকে, তবে সবই নিজেদের মুক্তিপণ স্বরূপ দিয়ে দেবে। তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর হিসাব। তাদের আবাস হবে জাহান্নাম। সেটা কতইনা নিকৃষ্ট অবস্থান।

    ___(সূরা রা’দ:18)

    لِلَّذِیۡنَ اسۡتَجَابُوۡا لِرَبِّہِمُ الۡحُسۡنٰی ؕؔ وَ الَّذِیۡنَ لَمۡ یَسۡتَجِیۡبُوۡا لَہٗ لَوۡ اَنَّ لَہُمۡ مَّا فِی الۡاَرۡضِ جَمِیۡعًا وَّ مِثۡلَہٗ مَعَہٗ لَافۡتَدَوۡا بِہٖ ؕ اُولٰٓئِکَ لَہُمۡ سُوۡٓءُ الۡحِسَابِ ۬ۙ وَ مَاۡوٰىہُمۡ جَہَنَّمُ ؕ وَ بِئۡسَ الۡمِہَادُ ﴿٪۱۸﴾

    যারা তাদের প্রতিপালকের ডাকে সাড়া দেয় তাদের জন্য আছে (যাবতীয়) কল্যাণ। যারা তাঁর ডাকে সাড়া দেয় না, তারা যদি দুনিয়াতে যা কিছু আছে যে সবের মালিক হয় এবং আরো অত পরিমাণও তাদের হয়, নিজেদের মুক্তির বিনিময়ে তা সবই তারা দিতে চাইবে, তাদের হিসাব হবে বড়ই কঠিন, তাদের আবাসস্থল জাহান্নাম, আর তা কতই না নিকৃষ্ট ঠিকানা! আল্লাহ তাআ’লা পূণ্যবান ও পাপিষ্ঠদের পরিণামের খবর দিচ্ছেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে (সঃ) মান্যকারী, তাঁদের আদেশ ও নিষেধ অনুযায়ী আমলকারী, অতীত খবরগুলির প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারী উত্তম প্রতিদান প্রাপ্ত হবে। যেমন আল্লাহ তাআ’লা যুলকারনাইন সম্পর্কে খবর দেন যে, তিনি বলেছেনঃ “যুলুমকারীকে আমরা সত্ত্বরই শাস্তি প্রদান করবো, অতঃপর তাকে তার প্রতিপালকের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এবং তিনি তাকে জঘন্য শাস্তি প্রদান করবেন। আর যে ভাল কাজ করবে, তার জন্যে রয়েছে উত্তম প্রতিদান এবং আমরাও তার সাথে নম্রভাবে কথা বলবো।” আল্লাহ তাআ’লা অন্য জায়গায় বলেনঃ “যারা ভাল কাজ করেছে তাদের জন্যে উত্তম বিনিময় রয়েছে এবং অতিরিক্তও রয়েছে।” আর এক স্থানে মহান আল্লাহ বলেনঃ “যারা আল্লাহর ডাকে সাড়া দেয় না অর্থাৎ তাঁর আনুগত্য স্বীকার করে না, তারা কিয়ামতের দিন এমন শাস্তি দেখবে যে, যদি তাদের কাছে পৃথিবীপূর্ণ সোনা থাকে তাহলে তারা তাদের মুক্তিপণ হিসেবে তা দিতেও প্রস্তুত থাকবে, এমন কি যদি আরো ঐ পরিমাণ হয় তবুও, কিন্তু কিয়ামতের দিন না মুক্তিপণের ব্যবস্থা থাকবে, না বিনিময় গ্রহণ করা হবে। সেদিন তাদের পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিচার করা হবে। একটা ছাল বা বাকল এবং একটা শস্যেরও হিসাব নেয়া হবে। এ জন্যেই আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ “জাহান্নাম হবে তাদের আবাস এবং ওটা কতই না নিকৃষ্ট আশ্রয় স্থল!”

      সূরা আর রাদ আয়াত ২৮

    সুরা আর-রাদ, আয়াত: ২৮,২৯


    اَلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ تَطۡمَئِنُّ قُلُوۡبُہُمۡ بِذِکۡرِ اللّٰہِ ؕ اَلَا بِذِکۡرِ اللّٰہِ تَطۡمَئِنُّ الۡقُلُوۡبُ ﴿ؕ۲۸

    ‘যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের অন্তর প্রশান্ত হয়; জেনে রাখ, আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তরসমূহ প্রশান্ত হয়’।


    اَلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ طُوۡبٰی لَہُمۡ وَ حُسۡنُ مَاٰبٍ ﴿۲۹﴾ 

    ‘যারা ঈমান আনে এবং নেক আমল করে, তাদের জন্য রয়েছে স্বাচ্ছন্দ ও সুন্দর প্রত্যাবর্তনস্থল’।

     সূরা আর রাদ আয়াত ৭ 

    আর কাফিররা বলে- তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তার প্রতি কোনো নিদর্শন অবতীর্ণ হয় না কেনো? নিশ্চয় তুমি কেবল সতর্ককারী এবং প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে পথপ্রদর্শক। [সুরা আর-রা’দ ১৩:৭]
    ٱللَّهُ يَعۡلَمُ مَا تَحۡمِلُ كُلُّ أُنثَىٰ وَمَا تَغِيضُ ٱلۡأَرۡحَامُ وَمَا تَزۡدَادُۚ وَكُلُّ شَيۡءٍ عِندَهُۥ بِمِقۡدَارٍ ٨

    Tag:সূরা রাদ ১১, সূরা আর রাদ  আয়াত ১১ , সূরা আর-রাদ বাংলা অনুবাদ, সূরা  রাদ তাফসীর , সূরা আর রাদ আয়াত ২৮, সূরা আর রাদ আয়াত ৭