বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক | বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত , পানি, মৈত্রী, চুক্তি | Bangladesh-India border, water, friendship, agreement - Time Of BD - Education Blog

হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০২৩ ভিজিটর বন্ধুরা। দোয়া করি, এই বছরের প্রতিটি মুহুর্ত যেনো সকলের অনেক আনন্দে কাটে।

বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক | বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত , পানি, মৈত্রী, চুক্তি | Bangladesh-India border, water, friendship, agreement

বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক, বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত চুক্তি, বাংলাদেশ ভারত চুক্তিসমূহ, বাংলাদেশ ভারত পানি চুক্তি, বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী চুক্তি, বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত চুক্তি হয় কত সালে

    বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক

    বাংলাদেশ এবং ভারত দক্ষিণ এশিয়ার দুইটি প্রতিবেশী দেশ। বাংলাদেশ একটি বাঙালি জাতীয়তাবাদী,জাতি রাষ্ট্র হলেও ভারত বিভিন্ন জাতীর সমষ্টিগত দেশ।১৯৪৭সালে বঙ্গভঙ্গের পর অধিকাংশ বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা এখন ভারতের অংশ। ১৯৭১সালে পাকিস্তান বিরোধী বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ভারতীয় বাঙালি সম্প্রদায় ও ভারত সরকারের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। ১৯৭১পরবর্তী ফারাক্কা বাধ,সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা,চটগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের বিচ্ছনতাবাদিদের ভারতীয় সাহায্য সহ বিভিন্ন বিষয়ে উল্লেখযোগ্য দুরত্ব থাকলেও বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক সার্বিক দিক দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ। দুটি দেশই একই সাথে সার্ক, বিমসটেক, আইওরা এবং কমনওয়েলথের সাধারণ সদস্য। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যে বাঙ্গালীদের বসবাস যারা ১৯৪৬-৪৭এর দাঙ্গার পর পূর্ববঙ্গ (বর্তমান বাংলাদেশ) পরিত্যাগে বাধ্য হয় এবং বাংলাদেশ পাকিস্তানের অধিনস্ত হয়েছিল।

    ১৯৭১সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী জোটের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।১৯৭০সালের শেষ দিকে এবং আশির দশকের বিভিন্ন স্নায়ু যুদ্ধে এই সম্পর্ক আরও উন্নত হয়।দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক উদারীকরণের সূত্রপাত সাথে তারা বৃহত্তর প্রবৃদ্ধি ও বাণিজ্যের উদ্ভাবন ঘটায়। পরবর্তীতে ১৯৯৬সালে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশই সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী সবসকৌশলগত অংশীদার হিসেবে ভূমিকা রাখছে। ফলে তারা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার হয়ে উঠে।দ্বিমুখী বাণিজ্য আয় প্রায় $৭ বিলিয়নের মার্কিন ডলারের বেশি হতে পারে বলে অনুমান করা হয়।

    বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত চুক্তি

    তবে উভয় দেশই পরস্পরের ভৌগোলিক সীমারেখা, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। ২০১০সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে অর্থনৈতিক বিনিময় বিস্তৃতকরণের মাধ্যমে দৃই দেশের মধ্যেকার এই সম্পর্ক আরও ত্বরান্বিত হয়। বাংলাদেশের ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের হাই কমিশন অফিস এবং রাজশাহী ও সিলেটে সেক্রেটারি কমিশন অফিস রয়েছে; পাশাপাশি ভারতের দিল্লিতে বাংলাদেশী দূতাবাসের হাই কমিশন অফিস এবং মুম্বাই ও কোলকাতায় ডেপুটি কমিশন অফিস রয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের সম্মাননাস্বরুপ ২০১৪সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নব্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথবাক্য পাঠের অনুষ্ঠানে অন্যতম আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ২০১৪সালের জুনে বাংলাদেশে তার প্রথম আন্তর্জাতিক সফর করেন। ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময়ের মাধ্যমে স্হলসীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে৷ ২০১৪সালের জরিপ অনুযায়ী ৭০ শতাংশ বাংলাদেশী জনগণ ভারতের পক্ষে ইতিবাচক মত দিয়েছেন।

    বাংলাদেশ ভারত চুক্তিসমূহ

    বাংলাদেশ, ভারত বাণিজ্য, জ্বালানি ও কৃষিসহ সাতটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্য অতিথি ভবন পদ্মায় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

    এখন থেকে দেড় ঘন্টার মধ্যে হাসিনা-মোদী ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনের অংশ হিসাবে এই সমঝোতা স্মারকগুলি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    সমঝোতা স্মারকগুলিতে হাইড্রোকার্বন, কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতা, নয়াদিল্লি জাদুঘরের সাথে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সহযোগিতা, হাতির অভয়ারণ্য অভয়ারণ্য নিশ্চিতকরণ, উচ্চ প্রভাব সম্প্রদায় উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা, বাংলাদেশ-ভারত সিইও ফোরামের ট্রাম্প-রেফারিজ ত্রিপক্ষীয় চুক্তির উপর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত উন্নয়নের জন্য সরঞ্জাম ক্রয়ের উপর।

    বাংলাদেশের পক্ষে সংশ্লিষ্ট সাতটি মন্ত্রনালয় ও প্রতিষ্ঠানের সচিব বা শীর্ষ কর্মকর্তা এবং ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোড়স্বামী ভারতের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন।

    এই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী খালিদ হোসেন ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রীর পর্যায়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে শীর্ষ সম্মেলন আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে এই বৈঠক মুখোমুখি হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে আলোচনার বিষয়টি ভার্চুয়াল হবে কারণ বিশ্বজুড়ে করোন ভাইরাস সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।

    ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলি বলছে, সরকার দুই প্রধানের বৈঠকে করোনার পরের সহযোগিতা বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এ ছাড়া বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানো, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, নদীর নদীর সাধারণ পানির ভাগাভাগি সহ দু'জন ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হবে।

    সভার এজেন্ডা প্রসঙ্গে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, আমরা বৈঠকে সব বড় বড় বিষয় উত্থাপন করব। জলের সমস্যা এবং সীমান্তের অনিশ্চয়তা সহ আমি সমস্ত বিষয় উত্থাপন করব, ”সোমবার রাতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে।

    এতে বলা হয়, দুই নেতা করোনার পরবর্তী সময়ে সহযোগিতা আরও জোরদার করা সহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনার মহামারী চলাকালীন দুই নেতা নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন।

    বাংলাদেশ ভারত পানি চুক্তি

    বাংলাদেশ-ভারত জল চুক্তি পেরিয়ে ২৫ বছর কেটে গেছে। ১৯৯৭ সালে দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তি অনুসারে, শুকনো মৌসুমে পানির প্রাপ্যতা নিরীক্ষণের জন্য প্রতি বছরের জানুয়ারির প্রথম দিনেই দু'দেশের জল পরিমাপ শুরু হয়। তাঁর মতে, বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিনিধিরা শনিবার সকাল থেকে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ফারাক্কা পয়েন্ট এবং পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে জলের প্রবাহ পর্যবেক্ষণ শুরু করেছেন।

    উত্তর জল পরিমাপ অধিদফতরের (জলবিদ্যুৎ) পাবনা অফিস সূত্রে জানা গেছে, পদ্মার প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করতে দুই সদস্যের ভারতীয় দল বাংলাদেশে পৌঁছেছে। প্রতিনিধি দলের মধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় জল কমিশনের উপ-পরিচালক শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর এবং কমিশনার সহকারী পরিচালক শ্রী নাগনারা কুমার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রতিনিধি দল সকাল ১০ টা থেকে পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টের ১৫০০ফুট উজানে জল প্রবাহ পর্যবেক্ষণ শুরু করে। একই সাথে চার সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ফারাক্কার দুই পয়েন্টে গঙ্গার প্রবাহ পর্যবেক্ষণ শুরু করে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যৌথ নদী কমিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম সাইফুদ্দিন।

    উত্তরাঞ্চলের জল পরিমাপ বিভাগের (জলবিদ্যুৎ) পাবনা অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী রিচ উদ্দিন বলেছেন, শুষ্ক মৌসুমে পদ্মার জলের ন্যায্য ভাগ নিশ্চিত করতে প্রতিবছর ১ জানুয়ারি থেকে যৌথ জল পরিমাপ শুরু হয়। শুক্রবার হওয়ায় এবার ২ জানুয়ারি থেকে পরিমাপ শুরু হয়েছে। ৩১ শে মে পর্যন্ত দুই দেশের সমকক্ষরা গঙ্গা ও পদ্মায় যৌথ পরিমাপ করবে।

    চুক্তির শর্তাবলী অনুযায়ী, ফারাক্কায় ৬০,০০০ কিউসেক বা তারও কম প্রবাহ থাকলে প্রথম দশ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই ৫০ শতাংশ জল পাবে। দ্বিতীয় দশ দিনের মধ্যে ফারাক্কা পয়েন্টে ৬০,০০০ কিউসেক থেকে ৭৫,০০০ কিউসেক জল প্রবাহ হলে বাংলাদেশ ৩৫,০০০ কিউসেক জল পাবে। যদি তৃতীয় ১০দিনের মধ্যে ফারাক্কা পয়েন্টে ৭৫,০০০ কিউসেক বা আরও বেশি জল প্রবাহ হয়, তবে ভারত ৪০,০০০কিউসেক জল পাবে, বাংলাদেশ বাকী অংশ পাবে। তবে, চুক্তির শর্তাবলী অনুসারে, ১১ই মার্চ থেকে ১০ মে পর্যন্ত তিন দফা, দশ দিনের আদেশে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই ৩৫,০০০ কিউসেক জল পাবে।

    উত্তর জল পরিমাপ অধিদপ্তরের (জলবিদ্যুৎ) পাবনা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে পরিমাপের প্রথম দশ দিনের মধ্যে ফারাক্কায় প্রাপ্ত গঙ্গার জলের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬১ হাজার কিউসেক। শেয়ার অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৬০,০৬১ কিউসেক জল পাওয়ার কথা ছিল এবং ভারতের শেয়ার ছিল ৪০,০০০ কিউসেক। তবে এ সময় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির পরিমাণ ছিল ১লাখ ২হাজার ৫৭৪কিউসেক। ৩১ শে ডিসেম্বর তারিখের গণনা অনুসারে, পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে জলের প্রবাহ গত বছরের তুলনায় সমান না হলেও এ বছর ভাল। গত দিন প্রায়৬০০০কিউসেক জল পাওয়া গেছে।

    এ বিষয়ে উত্তরাঞ্চলের জল পরিমাপ বিভাগের (জলবিদ্যুৎ) পাবনা অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী রেইচ উদ্দিন প্রথম আলোকে জানিয়েছেন যে দু'দেশের জলের পরিমাপ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রতি ১০দিন পর পর পানির সহজলভ্যতা অনুসারে শেয়ার এবং প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হবে।

    বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী চুক্তি

    চুক্তিটিতে মোট ১২টি ধারা ছিল:

    ১)চুক্তি স্বাক্ষরকারী পক্ষদ্বয় ঘোষণা করছে যে, দু’দেশের জনগণের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও সৌহার্দ বজায় থাকবে, এক পক্ষ অন্য পক্ষের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখন্ডতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে এবং এক পক্ষ অন্য পক্ষের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না।

    ২)চুক্তি স্বাক্ষরকারী পক্ষদ্বয় সব ধরনের উপনিবেশবাদ ও বর্ণবাদের নিন্দা করছে এবং তার অবসানের লক্ষ্যে কাজ করে যাবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে।

    ৩) চুক্তি স্বাক্ষরকারী পক্ষদ্বয় জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতির প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করছে এবং মনে করে যে, জোটনিরপেক্ষ নীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বে উত্তেজনা হ্রাস, বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব।

    ৪) কোনো আন্তর্জাতিক সমস্যার কারণে চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশ দুটির স্বার্থ বিঘ্নিত হলে তারা নিজেদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করবে ও মত বিনিময় করবে।

    ৫) চুক্তি স্বাক্ষরকারী পক্ষদ্বয় অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক এবং কারিগরি ক্ষেত্রে পরস্পরকে সহযোগিতা প্রদান করবে এবং সমতা ও পারস্পরিক সুবিধার ভিত্তিতে বাণিজ্য, যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করবে।

    ৬) উভয় পক্ষ বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদীর অববাহিকা উন্নয়ন, জলবিদ্যুৎ উন্নয়ন ও সেচ প্রকল্পের ক্ষেত্রে যৌথ গবেষণা পরিচালনা ও যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করবে।

    ৭) উভয় পক্ষ শিল্পকলা, সাহিত্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন সাধন করবে।

    ৮) দু’দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো পক্ষ অন্য কোনো দেশের সঙ্গে এমন কোনো সামরিক চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারবে না, যা চুক্তি স্বাক্ষরকারী কোনো পক্ষের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়। এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাতে পারবে না এবং অন্য পক্ষের সামরিক ক্ষতি হতে পারে কিংবা নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে এমন কোনো কাজে নিজ দেশের ভূমি ব্যবহারের জন্য তৃতীয় কোনো পক্ষকে অনুমতি দিতে পারবে না।

    ৯) চুক্তি স্বাক্ষরকারী কোনো পক্ষের বিরুদ্ধে যদি তৃতীয় কোনো দেশ সামরিক আগ্রাসন চালায়, তাহলে চুক্তি স্বাক্ষরকারী কোনো পক্ষ ঐ তৃতীয় দেশটিকে সমর্থন করতে পারবে না বরং স্বাক্ষরকারী উভয় পক্ষ দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করে সেই হুমকি মোকাবেলার ব্যাপারে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং নিজ নিজ দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

    ১০) চুক্তি স্বাক্ষরকারী প্রত্যেক পক্ষ তৃতীয় কোনো পক্ষের সঙ্গে গোপনে বা প্রকাশ্যে এমন কোনো চুক্তি সম্পাদন করতে পারবে না, যা বর্তমান চুক্তির স্বার্থকে বিঘ্নিত করে।

    ১১) বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ২৫ বছর। তবে চুক্তি সম্পাদনকারী পক্ষদ্বয়ের পরস্পরের সম্মতিতে এর নবায়ন করা যাবে।

    ১২) চুক্তির কোনো ধারা নিয়ে আপত্তি উঠলে তা দ্বিপাক্ষিকভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে পারস্পরিক সম্মান ও সমঝোতার ভিত্তিতে সমাধান করা হবে।

    বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত চুক্তি হয় কত সালে

    বাংলাদেশ – ভারত সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় কবে ?

    উঃ ১৬ মে ১৯৭৪ সালে।

    tgas: বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক, বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত চুক্তি, বাংলাদেশ ভারত চুক্তিসমূহ, বাংলাদেশ ভারত পানি চুক্তি, বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী চুক্তি, বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত চুক্তি হয় কত সালে

    Next Post Previous Post
    No Comment
    Add Comment
    comment url

     আমাদের সাইটের সকল পিডিএফ এর পাসওয়ার্ড হচ্ছে timeofbd.com