চতুর্ভুজ | বর্গ | আয়ত| তল| সমতল| কোণ| স্থূলকোণ কাকে বলে| কোণ কত প্রকার ও কী কী। What is quadrangula, square, Rectangle, floor, plane, angle, obtuse angle & how kind of angle there are and what are they

 
চতুর্ভুজ কাকে বলে, বর্গ কাকে বলে, আয়ত কাকে বলে, তল কাকে বলে, সমতল কাকে বলে, কোণ কাকে বলে, কোণ কাকে বলে, কোণ কত প্রকার ও কী কী, স্থূলকোণ কাকে বলে

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভালো আছো। অংক করার ক্ষেত্রে অনেক সময়ই তোমরা  চতুর্ভুজ কাকে বলে, বর্গ কাকে বলে, আয়ত কাকে বলে, তল কাকে বলে, সমতল কাকে বলে, কোণ কাকে বলে, কোণ কত প্রকার ও কী কী, স্থূলকোণ কাকে বলে সমস্যাগুলোর মুখোমুুুুখী হয়ে থাকো। পাঠ্যবইয়ের স্বল্প ব্যাখ্যার কারণে অনেক সময় তোমরা চতুর্ভুজ কাকে বলে, বর্গ কাকে বলে, আয়ত কাকে বলে, তল কাকে বলে, সমতল কাকে বলে, কোণ কাকে বলে, কোণ কত প্রকার ও কী কী, স্থূলকোণ কাকে বলে বিষয়গুলো পুরোপুরি আত্মস্থ করতে পারোনা। তাই তোমাদের পাঠক্রমকে সহজ করার জন্য আমরা তোমাদের মাঝে চতুর্ভুজ কাকে বলে, বর্গ কাকে বলে, আয়ত কাকে বলে, তল কাকে বলে, সমতল কাকে বলে, কোণ কাকে বলে, কোণ কত প্রকার ও কী কী, স্থূলকোণ কাকে বলে সহজ ও সাবলীলভাবে তুলে ধরেছি। আশাকরি এরপর থেকে চতুর্ভুজ কাকে বলে, বর্গ কাকে বলে, আয়ত কাকে বলে, তল কাকে বলে, সমতল কাকে বলে, কোণ কাকে বলে, কোণ কত প্রকার ও কী কী, স্থূলকোণ কাকে বলে বিষয়গুলোতে আর কখনো সমস্যা হবেনা।  

       

    চতুর্ভুজ কাকে বলে | বর্গ কাকে বলে | আয়ত কাকে বলে

    চতুর্ভুজঃ চারটি বাহু দ্বারা আবদ্ধ ক্ষেত্রকেই চতুর্ভুজ বলে।

    চতুর্ভুজের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
    ১. চতুর্ভুজের চার কোণের সমষ্টি ৩৬০ ডিগ্রী।
    ২. চতুর্ভুজের চারটি বাহু আছে।
    ৩. চতুর্ভুজের চারটি কোণ আছে।
    ৪. চতুর্ভুজের চারটি শীর্ষ আছে।

    চিত্রে ABCD একটি চতুর্ভভুজ।


    বর্গঃ যে চতুর্ভুজের/ চারটি বাহু দ্বারা আবদ্ধ ক্ষেত্র যার চারটি বাহুই সমান ও সমান্তরাল এবং প্রতিটি কোণই সমকোণ (৯০`) তাকে বর্গ বলে।

    বর্গের বৈশিষ্ট্যসমূহ: 
    ১. বর্গ একটি চতুর্ভুজ ক্ষেত্র।
    ২. বর্গের চার কোণের সমষ্টি ৩৬০ ডিগ্রি।
    ৩. বর্গের চারটি বাহু সমান।
    ৪. বর্গের চারটি কোণ সমান। 
    ৫. বর্গের প্রত্যেকটি কোণ সমকোণ।
    ৬. বর্গের কর্ণদ্বয় সমান এবং এরা পরস্পরকে সমদ্বিখণ্ডিত করে।

    চিত্রে ABCD একটি বর্গ। যার A=B=C=D=a অর্থাৎ চারটি বাহুই সমান।


    আয়তঃ যে চতুর্ভুজের/ চারটি বাহু দ্বারা আবদ্ধ ক্ষেত্র যার বিপরীত বাহুগুলো পরষ্পর সমান ও সমান্তরাল এবং প্রতিটি কোণই সমকোণ (৯০`) তাকে আয়ত বলে।

    আয়তের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
    ১. আয়ত একটি চতুর্ভুজ ক্ষেত্র।
    ২. আয়তের চার কোণের সমষ্টি ৩৬০ ডিগ্রী।
    ৩. আয়তের বিপরীত বাহুগুলো পরস্পর সমান।
    ৪. আয়তের প্রত্যেকটি কোণ সমকোণ অর্থাৎ ৯০ ডিগ্রী।
    ৫. আয়তের কর্ণদ্বয় সমান এবং এরা পরস্পরকে সমদ্বিখণ্ডিত করে।
    ৬. আয়তের প্রত্যেকটি কোণ সমকোণ।

    চিত্রে, ABCD একটি আয়ত। যার AB=CD=a পরষ্পর সমান এবং AC=BD=b পরষ্পর সমান।

    তল কাকে বলে | সমতল কাকে বলে | কোণ কাকে বলে | কোণ কাকে বলে, কত প্রকার ও কী কী | স্থূলকোণ কাকে বলে

    তল/ Surface: যেকোনো ঘনবস্তুর এক কিংবা একাধিক উপরিভাগ বা পৃষ্ঠ রয়েছে। প্রতিটি ঘনবস্তুর উপরিভাগকেই ঘনবস্তুর তল বলে। অন্যভাবে বলা যায়, যে জিনিসের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ আছে কিন্তু বেধ বা উচ্চতা নেই তাকে তল বলে।

    সাধারণত কোন বস্তুর উপরিভাগ কে তল বলা হয়। অর্থাৎ ঘনবস্তুর উপরিভাগ কেই তল বলে।
    ঘনবস্তুর তল দ্বি-মাত্রিক হয়।

    তল সাধারণত দুই প্রকার।
    ১. সমতল (plane surface)
    ২. অসমতল বা বক্রতল (curved surface)

    ১. সমতল (plane surface):
    যে তলের উপরিভাগ কোথাও উঁচু বা নীচু নয় অর্থাৎ যে তলের সর্বত্র একই রকম সমান বা তলের প্রত্যেক বিন্দুগুলো সমানভাবে বিস্তৃত তাকে সমতল বলে।
    প্রকৃতপক্ষে মহাবিশ্বের কোনো বস্তুই সমতল নয়। খালি চোখে আপাত দৃষ্টিতে অনেক বস্তু সমতল মনে হলেও অনুবীক্ষন যন্ত্র দিয়ে পরিক্ষা করে দেখলেই দেখতে পাবো প্রতিটি তলেই ছোটবড় খাজ রয়েছে। হিসাবের সুবিধার জন্য আমরা বস্তুগুলোকে সমতল ধরে নিই।
    সমতলের কোনো নির্দিষ্ট অংশের পরিমাপ বা আকার নেই।
    তবে হিসাব করার জন্য আমরা কোনো কোনো সমতলের নির্দিষ্ট অংশের পরিমাপ বা আকার ধরে নিই।

    যেমনঃ ঘরের মেঝে, আয়না, কাগজের উপরিভাগ ইত্যাদি।

    ২. অসমতল বা বক্রতল (curved surface):
    যে তল সমতল না অর্থাৎ সমতলের উক্ত বৈশিষ্টগুলো (উপরিভাগ কোথাও উঁচু বা নীচু নয় অর্থাৎ যে তলের সর্বত্র একই রকম সমান বা তলের প্রত্যেক বিন্দুগুলো সমানভাবে বিস্তৃত) অনুপস্থিত তাকে বক্রতল বলে।

    উদাহরণ : ফুটবলের তল, পাথর বিছানো রাস্তা, ঘরের টিনের চাল ইত্যাদি।




    কোণ কাকে বলে | কোণ কত প্রকার ও কী কী |স্থূলকোণ কাকে বলে

    কোণঃ একই প্রান্তবিন্দু বিশিষ্ট দুইটি রশ্মি দ্বারা গঠিত জ্যামিতিক আকৃতিকে কোণ বলে। রশ্মি দুইটি দ্বারা সৃষ্ট কোণটি এদের সাধারণ প্রান্তবিন্দুতে উৎপন্ন হয়। রশ্মি দুইটিকে কোণের বাহু বলা হয়। আর সাধারণ প্রান্তবিন্দুটিকে কোণের শীর্ষ বলে।

    কোণ কত প্রকার ও 
    কোণের নির্দিষ্ট প্রকারভেদ করা একটু কঠিন। তবে আকার-আকৃতি, গঠন ও পরিমাপের ভিত্তিতে কোণের একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ

    ★শুণ্য কোণ
    ★সূক্ষ্মকোণ
    ★সমকোণ
    ★স্থূলকোণ
    ★সরলকোণ
    ★প্রবৃদ্ধ কোণ
    ★পূর্ণ কোণ
    ★তির্যক কোণ
    ★বিপ্রতীপ কোণ
    ★সন্নিহিত কোণ
    ★পূরক কোণ
    ★সম্পূরক কোণ
    ★পরিপূরক কোণ
    ★অনুরূপ কোণ
    ★একান্তর কোণ
    ★ধারাবাহিক অন্তঃস্থ কোণ

    ট্যাগঃ চতুর্ভুজ কাকে বলে, বর্গ কাকে বলে, আয়ত কাকে বলে, তল কাকে বলে, সমতল কাকে বলে, কোণ কাকে বলে, কোণ কত প্রকার ও কী কী, স্থূলকোণ কাকে বলে।