দোয়া ইউনুস প্রতিদিন ১০০০ বার পাঠের ফজিলত | দোয়া ইউনুস পড়ার নিয়ম | Dua yunus er fojilot

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা।আশা করি মহান আল্লাহর রহমতে আপনার সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি আলহামদুরিল্লা। প্রিয় বন্ধুরা আজকের পোস্টটিতে রয়েছে দোয়া ইউনুস ১০০ বার পড়ার পরের দোয়া, দোয়া ইউনুস উচ্চারণ,দোয়া ইউনুস পড়ার ফজিলত, Dua yunus er fojilot, দোয়া ইউনুস প্রতিদিন ১০০০ বার পাঠের ফজিলত, দোয়া ইউনুস এর অর্থ, দোয়া ইউনুস বাংলা উচ্চারণ সহ, খতমে ইউনুস পড়ার নিয়ম। আশা করি বন্ধুরা আমাদের আজকের এই পোস্ট টি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। 

দোয়া ইউনুস ১০০ বার পড়ার পরের দোয়া

দোয়া ইউনুস ১০০ বার পড়ার পরের দোয়া যারা খুজে থাকেন তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট টি। আপনি চাইলে সহজে এখান থেকে এটি শিখে নিতে পারেন। আজকের পোস্টে আমরা আপনাদের জন্য দোয়া ইউনুস ১০০ বার পড়ার পরের দোয়া আলোচনা করেছি। আশা করি আপনাদের আমাদের পোস্ট টি ভালো লাগবে। 

দোয়া ইউনুস | Dua yunus

দোয়া ইউনুস উচ্চারণ

দোয়া ইউনুস উচ্চারণ আপনারা অনেকেই খুঁজে থাকেন। বিভিন্ন অনলাইন সাইটে আপনারা দোয়া ইউনুস খুঁজে থাকেন। তাই আপনাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি আজকের এই পোস্টটি। আজকের পোস্টে সূরা ইউনুস সুন্দর ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। পোস্ট টি সম্পূর্ণ পড়লে আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।

লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালেমিন

দোয়া ইউনুস পড়ার ফজিলত | Dua yunus er fojilot

দোয়া ইউনুস এর ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহ নিজেই সূরা আল-আম্বিয়াইয় ৮৮ নং আয়াতে বলেছেন, 

• আমি নবী ইউনুসের প্রার্থনা মঞ্জুর করেছি। তাকে দু:খ থেকে মুক্তি দিয়েছি। অনুরূপভাবে যে মুমিনরা এ দোয়া পাঠ করবে, আমি তাদেরও বিভিন্ন বালা-মুসিবত থেকে মুক্তি দিব।

• আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) তিরমিজি: ৩৫০৫ নং হাদিসে বলেছেন, যে ব্যক্তি হজরত ইউনুস (আ.) এর ভাষায় দোয়া করবে, সে যে সমস্যায় ই থাকুক না কেনো, আল্লাহ তায়ালা তার ডাকে সাড়া দিবেন।

• হযরত সা’দ ইবনে আবি ওক্কাস (রা.) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মরফু সূত্রে বর্ণনা করেন যে, মাছের পেটে থাকা অবস্থায় হজরত ইউনুস আলাইহিস সালামের দোয়া ছিল, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ্ জালিমীন। যে কোনো প্রয়োজনে কোনো মুসলমান যদি এই দোয়া পড়ে তার প্রতিপালককে ডাকে তাহলে অব্যশই আল্লাহ তায়ালা তার ডাকে সাড়া দেবেন। [তিরমিজি-৩৫০৫, সুনানে কাবুরা-১০৪৯২, মুসনাদে আহমদ-১৪২ ও রূহুল মাআনি-৮/১০৯]

• আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কানজুল উম্মাল: ৩৪২৮ নং হাদিসে বলেছেন, আমার ভাই ইউনুসের দোয়াটি খুব সুন্দর। এর শুরুর অংশে আছে কালিমায়ে তায়্যিবা। মধ্যাংশের অংশে আছে তাসবিহ। আর শেষের অংশে আছে অপরাধের স্বীকারোক্তি। যে কোনো চিন্তিত, দু:খিত, বিপদগ্রস্থ ব্যক্তি প্রতি দিন এ দোয়া তিন বার পাঠ করবে আল্লাহতায়ালা তার ডাকে সাড়া দিবেন।

• হযরত ইবনে আবি হাতেম রহ. নকল করেন যে কোনো ব্যক্তি দোয়ায়ে ইউনুস পড়ে দোয়া করলে সে দোয়া কবূল করা হয়। কারণ এ আয়াতের শেষে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, وكذلك ننجى المؤمنين অর্থাৎ এভাবেই আমি মুমিনদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি।

• ইবনে জারির তাবারি রহ. একটি মরফু হাদিসে নকল করেন, আল্লাহর একটি নাম আছে, যে নামটি নিয়ে কেউ দোয়া করলে তা কবূল করা হয়, এবং এই নামের উছিলায় কিছু চাওয়া হলে তা দেয়া হয়, তা হলো দোয়ায়ে ইউনুস।

• এক হাদিসে এসেছে, কোনো মুসলমান যদি অসুস্থ অবস্থায় এ আয়াতটি চল্লিশ বার পড়ে তাহলে ওই অসুখে সে মারা গেলে চল্লিশজন শহিদের সওয়াব পাবে। আর সুস্থ হয়ে গেলে তার যাবতীয় গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে। [হিসনে হাসিন-২৪১]

• হযরত সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম ইয়া রসূলাল্লাহ! এই দোয়াটি কি হযরত ইউনুস (আ) বৈশিষ্ঠ্য নাকি সব মুসলমানের জন্যই? তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি কি পড়নি, ونجينه من الغم وكذلك ننجى المؤمنين (অর্থাৎ আমি তাকে চিন্তা থেকে মুক্তি দিয়েছি আর আমি এভাবেই মুমিনদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি।) অতএব যে কোনো ব্যক্তিই এইভাবে দোয়া করবে আল্লাহ তায়ালা সে দোয়া কবূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

• হযরত ইবনে আবি হাতিম রহ. হযরত কাসির ইবেন সা’দ থেকে নকল করেন, তিনি বলেন, আমি হাসান বসরি রহ. কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, আল্লাহর ইসমে আযম কোনটি, যে নামের দ্বারা দোয়া করলে দোয়া কবূল হয় এবং কোনো কিছু চাইলে তা দেয়া হয়? উত্তরে তিনি বললেন, ভাতুষপুত্র! তুমি কি আল্লাহর এই বানীটি পড়নি? অতপর তিনি এই আয়াত দুটি তেলাওয়াত করে বললেন, এটাই হলো সে ইসমে আযম, যার দ্বারা দোয়া করলে দোয়া কবূল হয় এবং কোনো কিছু চাওয়া হলে তা দেয়া হয়। [তাফসিরে ইবনে কাসির:৩/৩৯৫-৩৯৬]