সূরা বাকারা mp3 | সূরা বাকারা pdf | সূরা বাকারা বাংলা উচ্চারণ সহ অর্থ | সূরা বাকারা শানে নুযুল | সূরা বাকারা তাফসীর | সূরা বাকারা অডিও ডাউনলোড

Habiba Jannat
0
 
সূরা বাকারা mp3, সূরা বাকারা mp3 download, সূরা বাকারা বাংলা উচ্চারণ সহ অর্থ, সূরা বাকারা বাংলা উচ্চারণ সহ, সূরা বাকারা তাফসীর pdf, বাকারা সূরা, সূরা বাকারা শানে নুযুল, সূরা বাকারা, সূরা বাকারা অডিও ডাউনলোড, সূরা বাকারা বাংলা উচ্চারণ, সূরা বাকারা বাংলা, সূরা বাকারা তেলাওয়াত, সুরা বাকারা ডাউনলোড, সূরা বাকারা তাফসীর, সূরা আল বাকারা তেলাওয়াত, সূরা বাকারা অডিও, সূরা বাকারা pdf, সূরা আল বাকারা, সূরা বাকারা তেলাওয়াত mp3.

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। আমার দ্বীনী ভাই ও বোনেরা আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রিয়  ভাই ও বোনেরা আজ আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম:- সূরা বাকারা mp3, সূরা বাকারা mp3 download, সূরা বাকারা বাংলা উচ্চারণ সহ অর্থ, সূরা বাকারা বাংলা উচ্চারণ সহ, সূরা বাকারা তাফসীর pdf, বাকারা সূরা, সূরা বাকারা শানে নুযুল, সূরা বাকারা, সূরা বাকারা অডিও ডাউনলোড, সূরা বাকারা বাংলা উচ্চারণ, সূরা বাকারা বাংলা, সূরা বাকারা তেলাওয়াত, সুরা বাকারা ডাউনলোড, সূরা বাকারা তাফসীর, সূরা আল বাকারা তেলাওয়াত, সূরা বাকারা অডিও, সূরা বাকারা pdf, সূরা আল বাকারা, সূরা বাকারা তেলাওয়াত mp3.তো দেরি না করে আসুন আমরা পড়া শুরু করি।


সূরা বাকারা mp3 | সূরা বাকারা mp3 download | সূরা বাকারা অডিও ডাউনলোড | সূরা বাকারা তেলাওয়াত | সূরা আল বাকারা তেলাওয়াত | সূরা বাকারা তেলাওয়াত mp3



                Surah_Al-Baqarah



উক্ত লিংকটিতে ক্লিক করে পড়তে বা ডাউনলোড করতে পারবেন।

সূরা বাকারা বাংলা উচ্চারণ সহ অর্থ | সূরা বাকারা বাংলা উচ্চারণ সহ | সূরা বাকারা | সূরা বাকারা বাংলা উচ্চারণ | সূরা বাকারা বাংলা | সূরা আল বাকারা


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

2:1 الم আরবি উচ্চারণ ২.১ আলিফ লাম মীম। বাংলা অনুবাদ ২.১ আলিফ-লাম-মীম।

2:2 ذَلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِلْمُتَّقِينَ আরবি উচ্চারণ ২.২। যালিকাল কিতাবু লারাইবা ফিহি হুদাল্লিল মুত্তাক্বিন। বাংলা অনুবাদ ২.২ এটি (আল্লাহর) কিতাব (পবিত্র কুরআন), এতে কোনো সন্দেহ নেই, (এই কিতাব) মুত্তাকিদের জন্য হিদায়াত। 

2:3 الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৩। আল্লাযী ইউমিনুনা বিল গাইবি ওয়া ইকিমুনাস্ সালাতা ওয়া মিম্মা রাযাকনাহুম ইউনফিকুন। বাংলা অনুবাদ ২.৩ যারা অদৃশ্যের প্রতি ঈমান আনে, সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে। 

2:4 وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ وَبِالْآخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৪। ওয়াল্লাযী ইউমিনুনা বিমা উনযিলা ইলাইকা ওয়ামা উনযিলা মিন কাবলিকা ওয়াবিল আখিরাতি হুম ইউকিনুন। বাংলা অনুবাদ ২.৪ এবং যারা ঈমান আনে, যা (পবিত্র কুরআন) তোমার (হে মুহাম্মাদ) প্রতি নাজিল করা হয়েছে এবং যা তোমার পূর্বে নাজিল করা হয়েছে তার উপর (যেমন : তাওরাত, জবুর, ইঞ্জিল)। আর আখিরাতের প্রতি তারা বিশ্বাস রাখে। 

2:5 أُولَئِكَ عَلَى هُدًى مِنْ رَبِّهِمْ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৫। উলা-য়িকা ‘আলা- হুদাম্ র্মি রব্বিহিম্ অউলা-য়িকা হুমুল্ মুফ্লিহূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৫ তারা তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে হিদায়াতের উপর রয়েছে এবং তারাই সফলকাম। 

2:6 إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا سَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنْذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنْذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৬। ইন্নাল লাযীনা কাফারূ সাওয়া-উন্ ‘আলাইহিম্ আ আর্ন্যাতাহুম্ আম্ লাম্ তুন্যির হুম্ লা- ইয়ু’মিনূন। যারা কাফের তাদেরকে আপনি সাবধান করুন বা নাই করুন, উভয়ই সমান, তারা ঈমান আনবে না। বাংলা অনুবাদ ২.৬ নিশ্চয়ই যারা কুফরি (আল্লাহ মহানকে অস্বীকার করা) করেছে, তুমি (মুহাম্মাদ সা.) তাদেরকে সতর্ক করো বা না করো, উভয়-ই তাদের জন্য বরাবর, তারা ঈমান আনবে না। 

2:7 خَتَمَ اللَّهُ عَلَى قُلُوبِهِمْ وَعَلَى سَمْعِهِمْ وَعَلَى أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.৭। খাতামাল্লা-হু ‘আলা- ক্বূলূবিহিম্ অ‘আলা- সাম‘ইহিম্ ; অ‘আলায় আবছোয়া-রিহিম্ গিশা-ওয়াতুঁও অলাহুম্ ‘আযা-বুন্ ‘আজীম্। বাংলা অনুবাদ ২.৭ আল্লাহ তাদের অন্তরে এবং তাদের কানে মোহর (সিল) লাগিয়ে দিয়েছেন এবং তাদের চোখসমূহে রয়েছে পর্দা। আর তাদের জন্য রয়েছে মহাআজাব। 

2:8 وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ آمَنَّا بِاللَّهِ وَبِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَمَا هُمْ بِمُؤْمِنِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৮। অমিনান্ না-সি মাইঁ ইয়াক্বূলু আ- মান্না- বিল্লা-হি, অবিল্ইয়াওমিল্ আ-খিরি অমা-হুম্ বিমু’মিনীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৮ আর মানুষের মধ্যে কিছু এমন আছে, যারা বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি এবং শেষ দিনের প্রতি অথচ তারা মুমিন বা বিশ্বাসী নয়। 

2:9 يُخَادِعُونَ اللَّهَ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَمَا يَخْدَعُونَ إِلَّا أَنْفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৯। ইয়ুখা-দি‘ঊনাল্লা-হা অল্লাযীনা আ-মানূ অমা- ইয়াখ্দা‘ঊনা ইল্লায় আন্ফুসাহুম্ অমা-ইয়াশ্‘উরূন। বাংলা অনুবাদ ২.৯ (যাদের মুখের কথা এবং অন্তরের বিশ্বাস এক নয়) তারা (মনে করে) আল্লাহকে এবং যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে ধোঁকা দিচ্ছে। অথচ তারা নিজদেরকেই ধোঁকা দিচ্ছে এবং তারা তা (ধোঁকা) অনুধাবন করে না।

2:10 فِي قُلُوبِهِمْ مَرَضٌ فَزَادَهُمُ اللَّهُ مَرَضًا وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ بِمَا كَانُوا يَكْذِبُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১০। ফী ক্বূলূবিহিম্ মারাদ্বুন্ ফাযা-দাহুমুল্লা-হু মারাদ্বোয়া- অলাহুম্ ‘আযা-বুন্ আলীমুম্ বিমা- কা-নূ ইয়াক্যিবূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১০ তাদের অন্তরসমূহে রয়েছে ব্যাধি (সন্দেহ এবং কপটতা)। অতঃপর আল্লাহ তাদের ব্যাধি বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আজাব। কারণ তারা মিথ্যা বলত। 

2:11 وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ قَالُوا إِنَّمَا نَحْنُ مُصْلِحُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১১। অইযা- ক্বীলা লাহুম্ লা-তুফ্সিদূ ফিল র্আদ্বি ক্বা-লূয় ইন্নামা- নাহ্নু মুছ্লিহূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১১ আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা পৃথিবীতে বিশৃক্সক্ষলা সৃষ্টি করো না’, তারা বলে : ‘আমরা তো কেবল সংশোধনকারী বা শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী’। 

2:12 أَلَا إِنَّهُمْ هُمُ الْمُفْسِدُونَ وَلَكِنْ لَا يَشْعُرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১২। আলায় ইন্নাহুম্ হুমুল্ মুফ্সিদূনা অলা-কিল্ লা-ইয়াশ্‘উরূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১২ জেনে রাখ, নিশ্চয়ই তারা বিশৃক্সক্ষলা সৃষ্টিকারী; কিন্তু তারা তা (নিজেদের অপ-অবস্থান) বুঝে না। 

2:13 وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ آمِنُوا كَمَا آمَنَ النَّاسُ قَالُوا أَنُؤْمِنُ كَمَا آمَنَ السُّفَهَاءُ أَلَا إِنَّهُمْ هُمُ السُّفَهَاءُ وَلَكِنْ لَا يَعْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৩। অইযা-ক্বীলা লাহুম্ আ-মিনূ কামায় আ-মানান্ না-সু ক্বা-লূয় আনুমিনু কামায় আ-মানাস্ সুফাহা-য়্; আলায় ইন্নাহুম্ হুমুস্ সুফাহা-উ অলা-কিল্ লা- ইয়া’লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৩ আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা ঈমান আনো যেমন লোকেরা ঈমান এনেছে’; তারা বলে: ‘আমরা কি নির্বোধ লোকদের মতো ইমান আনবো’? জেনে রাখ, নিশ্চয়ই তারাই নির্বোধ; কিন্তু তারা তা (নিজেদের নির্বোধ হওয়ার বিষয়) জানে না।

 2:14 وَإِذَا لَقُوا الَّذِينَ آمَنُوا قَالُوا آمَنَّا وَإِذَا خَلَوْا إِلَى شَيَاطِينِهِمْ قَالُوا إِنَّا مَعَكُمْ إِنَّمَا نَحْنُ مُسْتَهْزِئُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৪। অইযা-লাক্বূল লাযীনা আ-মানূ ক্বা-লূয় আ-মান্না-, অইযা-খালাও ইলা- শাইয়া-ত্বীনিহিম্ ক্বা-লূয় ইন্না- মা‘আকুম ইন্নামা- নাহ্নু মুস্তাহ্যিয়ূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৪ আর যখন তারা মুমিনদের সাথে মিলিত হয়, তখন বলে ‘আমরা ঈমান এনেছি’ এবং যখন গোপনে তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে মিলিত হয়, তখন বলে, ‘নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের সাথে আছি’। আমরা তো কেবল (ঈমানদারদের) উপহাসকারী’। 

2:15 اللَّهُ يَسْتَهْزِئُ بِهِمْ وَيَمُدُّهُمْ فِي طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৫। আল্লা-হু ইয়াস্তাহ্যিয়ূ বিহিম্ অইয়ামুদ্দুহুম্ ফী তুগ্ইয়া-নিহিম্ ইয়া’মাহূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৫ আল্লাহ তাদের (যারা ইমানদারদের কাছে এক কথা বলে এবং শয়তান বন্ধুদের কাছে অন্য কথা বলে) প্রতি উপহাস করেন এবং তাদেরকে তাদের অবাধ্যতায় বিভ্রান্ত হয়ে ঘোরার সুযোগ প্রদান করেন। 

2:16 أُولَئِكَ الَّذِينَ اشْتَرَوُا الضَّلَالَةَ بِالْهُدَى فَمَا رَبِحَتْ تِجَارَتُهُمْ وَمَا كَانُوا مُهْتَدِينَ আরবি উচ্চারণ ২.১৬। উলা-য়িকাল্ লাযীনাশ্ তারা-য়ুদ্ব্ দ্বোয়ালা-লাতা বিল্ হুদা- ফামা- রাবিহাত্ তিজ্বা-রাতুহুম্ অমা- কা-নূ মুহ্তাদীন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৬ এরাই তারা, যারা হিদায়াতের বিনিময়ে পথভ্রষ্টতা ক্রয় করেছে। কিন্তু তাদের ব্যবসা লাভজনক হয়নি এবং তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত ছিলো না। 

2:17 مَثَلُهُمْ كَمَثَلِ الَّذِي اسْتَوْقَدَ نَارًا فَلَمَّا أَضَاءَتْ مَا حَوْلَهُ ذَهَبَ اللَّهُ بِنُورِهِمْ وَتَرَكَهُمْ فِي ظُلُمَاتٍ لَا يُبْصِرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৭। মাছালুহুম্ কামাছালিল্ লাযিস্ তাওক্বাদা না-রান্ ফালাম্মায় আদ্বোয়া-য়াত্ মা- হাওলাহূ যাহাবা ল্লা-হু বিনূরিহিম্ অতারাকাহুম্ ফী জুলুমা-তিল লা-ইয়ুব্ছিরূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৭ তাদের উদাহরণ ঐ ব্যক্তির মতো, যে আগুন জ্বালালো। এরপর যখন আগুন তার চারপাশ আলোকিত করলো, আল্লাহ তাদের দৃষ্টিশক্তি (চোখের দৃষ্টি ক্ষমতা) কেঁড়ে নিলেন এবং তাদেরকে ছেড়ে দিলেন অন্ধকারে। তারা কিছু দেখছে না। 

2:18 صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لَا يَرْجِعُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৮। ছুম্মুম্ বুক মুন্ উ’ম্ইয়ুন্ ফাহুম্ লা-ইর্য়াজ্বি‘ঊন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৮ তারা বধির-মূক-অন্ধ। তাই তারা (সরল পথে) ফিরে আসবে না । 

2:19 أَوْ كَصَيِّبٍ مِنَ السَّمَاءِ فِيهِ ظُلُمَاتٌ وَرَعْدٌ وَبَرْقٌ يَجْعَلُونَ أَصَابِعَهُمْ فِي آذَانِهِمْ مِنَ الصَّوَاعِقِ حَذَرَ الْمَوْتِ وَاللَّهُ مُحِيطٌ بِالْكَافِرِينَ আরবি উচ্চারণ ২.১৯। আও কাছোয়াইয়িবিম্ মিনাস্ সামা-য়ি ফীহি জুলুমা-তুওঁ অরা’দুওঁ অবারক্ব্ ; ইয়াজ্ব্‘আলূনা আছোয়া-বি‘আহুম্ ফীয় আ-যা-নিহিম্ মিনাছ্ ছওয়া-‘ইক্বি হাযারাল্ মাওত্; অল্লা-হু মুহীত্ব ুম্ বিল্কা-ফিরীন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৯ কিংবা আকাশের বর্ষণমুখর মেঘের মতো, যাতে রয়েছে ঘন অন্ধকার, বজ্রধ্বনি ও বিদ্যুৎচমক। বজ্রের গর্জনে (আওয়াজ) তারা মৃত্যুর ভয়ে তাদের কানে আঙুল দিয়ে রাখে। আর আল্লাহ কাফিরদেরকে পরিবেষ্টন করে আছেন।

 2:20 يَكَادُ الْبَرْقُ يَخْطَفُ أَبْصَارَهُمْ كُلَّمَا أَضَاءَ لَهُمْ مَشَوْا فِيهِ وَإِذَا أَظْلَمَ عَلَيْهِمْ قَامُواوَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَذَهَبَ بِسَمْعِهِمْ وَأَبْصَارِهِمْ إِنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ আরবি উচ্চারণ ২.২০। ইয়াকা-দুল্ র্বাক্বূ ইয়াখত্বোয়াফু আব্ছোয়া-রাহুম্ ; কুল্লামায় আদ্বোয়া-য়া লাহুম্ মাশাও ফীহি অইযায় আজ্লামা ‘আলাইহিম্ ক্বা-মূ ; অলাও শা-য়া ল্লা-হু লাযাহাবা বিসাম্‘ইহিম্ অআবছোয়া-রিহিম্ ; ইন্না ল্লা-হা ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন্ ক্বার্দী। বাংলা অনুবাদ ২.২০ বিদ্যুৎচমক তাদের দৃষ্টি কেঁড়ে নেয়ার উপক্রম হয়। যখনই তা তাদের জন্য আলো দেয়, তারা তাতে চলতে থাকে। আর যখন তা তাদের উপর অন্ধকার করে দেয়, তারা দাঁড়িয়ে পড়ে। আর আল্লাহ যদি চাইতেন, অবশ্যই তাদের শ্রবণ ও চোখসমূহ কেঁড়ে নিতেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। 

2:21 يَا أَيُّهَا النَّاسُ اعْبُدُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ وَالَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২১। ইয়ায় আইয়্যুহান্ না-সু’ বুদূ রব্বাকুমুল্ লাযী খালাক্বাকুম্ অল্লাযীনা মিন্ ক্বাব্লিকুম্ লা‘আল্লাকুম্ তাত্তাক্বূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২১ হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবের ইবাদাত করো, যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তাদেরকে, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর। 

2:22 الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ فِرَاشًا وَالسَّمَاءَ بِنَاءً وَأَنْزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَخْرَجَ بِهِ مِنَ الثَّمَرَاتِ رِزْقًا لَكُمْ فَلَا تَجْعَلُوا لِلَّهِ أَنْدَادًا وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২২। আল্লাযী জ্বা‘আলা লাকুমুল্ আরদ্বোয়া ফিরা-শাওঁ অস্সামা-য়া বিনা-য়াওঁ অআন্যালা মিনাস্ সামা-য়ি মা-য়ান্ ফাআখ্রাজ্বা বিহী মিনাছ্ ছামারা-তি রিয্ক্বাল্লাকুম্, ফালা- তাজ্ব ‘আলূ লিল্লা-হি আন্দা-দাঁও অআন্তুম্ তা’লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২২ যিনি তোমাদের জন্য জমিনকে করেছেন বিছানা, আসমানকে করেছেন ছাদ এবং আসমান থেকে নাজিল করেছেন বৃষ্টি। অতঃপর তাঁর মাধ্যমে তোমাদের জন্য রিজিকস্বরূপ উৎপন্ন করেছেন ফল-ফলাদি। সুতরাং তোমরা জেনে-বুঝে আল্লাহর জন্য (উপাসনা করার ক্ষেত্রে) সমকক্ষ নির্ধারণ কর না। 

2:23 وَإِنْ كُنْتُمْ فِي رَيْبٍ مِمَّا نَزَّلْنَا عَلَى عَبْدِنَا فَأْتُوا بِسُورَةٍ مِنْ مِثْلِهِ وَادْعُوا شُهَدَاءَكُمْوَادْعُوا شُهَدَاءَكُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ আরবি উচ্চারণ ২.২৩। অইন্ কুন্তুম্ ফী রাইবিম্ মিম্মা- নায্যাল্না- ‘আলা- ‘আব্দিনা- ফাতূ বিসূরাতিম্ মিম্ মিছ্লিহী অদ্‘ঊ শুহাদা-য়াকুম্ মিন্ দূনি ল্লা-হি ইন্ কুন্তুম্ ছোয়া-দিক্বীন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৩ আর আমি আমার বান্দার (মুহাম্মাদ সা.) উপর যা নাজিল (পবিত্র কুরআন) করেছি, যদি তোমরা সে সম্পর্কে সন্দেহে থাকো, তবে তোমরা তার (কুরআন) মতো একটি সূরা নিয়ে আসো এবং আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সাক্ষীসমূহকে ডাকো; যদি তোমরা সত্যবাদী হও। 

2:24 فَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوا وَلَنْ تَفْعَلُوا فَاتَّقُوا النَّارَ الَّتِي وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ أُعِدَّتْ لِلْكَافِرِينَ আরবি উচ্চারণ ২.২৪। ফাইল্লাম্ তাফ্‘আলূ অলান্ তাফ্‘আলূ ফাত্তাক্বূন্ না-রাল্লাতী অক্বূদুহান্ না-সু অল্ হিজ্বা-রাতু উ‘ইদ্দাত্ লিল্ কা-ফিরীন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৪ অতএব যদি তোমরা তা না করো আর কখনো তোমরা তা করবে না তাহলে আগুনকে ভয় করো যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর, যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফিরদের জন্য। 

2:25 وَبَشِّرِ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ كُلَّمَا رُزِقُوا مِنْهَا مِنْ ثَمَرَةٍ رِزْقًا قَالُوا هَذَا الَّذِي رُزِقْنَا مِنْ قَبْلُ وَأُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا وَلَهُمْ فِيهَا أَزْوَاجٌ مُطَهَّرَةٌ وَهُمْ فِيهَا خَالِدُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২৫। অবাশ্শিরিল লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া-লিহা-তি আন্না লাহুম্ জ্বান্না-তিন্ তাজ্ব ্রী মিন্ তাহ্তিহাল্ আন্হার্-; কুল্লামা- রুযিক্ব ূ মিন্হা- মিন্ ছামারার্তি রিয্ক্বান্ ক্বা-লূ হা-যাল্ লাযী রুযিক্ব ্না- মিন্ ক্বাব্লু অউতূ রুযিক্ব ূ মিন্হা- মিন্ ছামারার্তি রিয্ক্বান্ ক্বা-লূ হা-যাল্ লাযী রুযিক্ব ্না- মিন্ ক্বাব্লু অউতূ বিহী মুতাশা-বিহা-; অলাহুম্ ফীহায় আয্ওয়া-জ্ব ুম্ মুত্বোয়াহ্হারাতুওঁ অহুম্ ফীহা- খা-লিদূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৫ আর যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে, তুমি (মুহাম্মাদ সা.) তাদেরকে সুসংবাদ দাও যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতসমূহ, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হবে নদীসমূহ (সুখময় স্থান)। যখনই তাদেরকে জান্নাত থেকে কোনো ফল খেতে দেয়া হবে, তারা বলবে : ‘এটা তো আগেও আমাদেরকে খেতে দেয়া হয়েছিলো’। আর তাদেরকে তা দেয়া হবে সাদৃশ্যপূর্ণ করে (পৃথিবীর সঙ্গে) এবং তাদের জন্য তাতে থাকবে পূতঃপবিত্র স্ত্রীগণ এবং তারা সেখানে (জান্নাতে) হবে স্থায়ী। 

2:26 إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي أَنْ يَضْرِبَ مَثَلًا مَا بَعُوضَةً فَمَا فَوْقَهَا فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا فَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّهِمْ وَأَمَّا الَّذِينَ كَفَرُوا فَيَقُولُونَ مَاذَا أَرَادَ اللَّهُ بِهَذَا مَثَلًا يُضِلُّ بِهِ كَثِيرًا وَيَهْدِي بِهِ كَثِيرًا وَمَا يُضِلُّ بِهِ إِلَّا الْفَاسِقِينَ আরবি উচ্চারণ ২.২৬। ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াস্তাহ্য়ীয় আইঁ ইয়াদ্ব্রিবা মাছালাম্ মা- বা‘ঊদ্বোয়াতান্ ফামা- ফাওক্বাহা-; ফাআম্মাল্লাযীনা আ-মানূ ফাইয়া’লামূনা আন্নাহুল্ হাক্ব ্ক্বূ র্মি রব্বিহিম্ অআম্মাল্ লাযীনা কাফারূ ফাইয়াক্ব ূলূনা মা-যায় আরা-দাল্লা-হু বিহা-যা- মাছালা-; ইয়ুদ্বিল্লু বিহী কাছীরাওঁ অইয়াহ্দী বিহী কাছীরা-; অমা- ইয়ুদ্বিল্লু বিহীয় ইল্লাল্ ফা-সিক্বীন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৬ (জেনে রাখ) নিশ্চয় আল্লাহ মাছি কিংবা তার চেয়েও ছোট কিছুর (তুচ্ছ বা খুব সামান্য) উপমা দিতে লজ্জা করেন না। সুতরাং যারা ঈমান এনেছে তারা জানে, নিশ্চয়ই তা তাদের রবের পক্ষ থেকে সত্য। আর যারা কুফরি করেছে তারা বলে, আল্লাহ এর মাধ্যমে উপমা দিয়ে কী চেয়েছেন? তিনি এর মাধ্যমে অনেককে পথভ্রষ্ট করেন এবং এর মাধ্যমে অনেককে হিদায়াত দান করেন। আর এর মাধ্যমে কেবল ফাসিকদেরকেই পথভ্রষ্ট করেন। 

2:27 الَّذِينَ يَنْقُضُونَ عَهْدَ اللَّهِ مِنْ بَعْدِ مِيثَاقِهِ وَيَقْطَعُونَ مَا أَمَرَ اللَّهُ بِهِ أَنْ يُوصَلَ وَيُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ أُولَئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২৭। আল্লাযীনা ইয়ান্ক্ব ুদ্বূনা ‘আহদা ল্লা-হি মিম্ বা’দি মীছা-ক্বিহী অইয়াক্ব ্ত্বোয়া‘ঊনা মায় আমারা ল্লা-হু বিহীয় আইঁ ইয়ূছলা অইয়ুফ্সিদূনা ফিল্ র্আদ্ব্; উলা-য়িকা হুমুল্ খা-সিরূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৭ যারা আল্লাহ প্রদত্ত অঙ্গীকার ভঙ্গ করে এবং আল্লাহ যা জোড়া (সম্বন্ধ অটুট রাখা) লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন তা ছিন্ন করে এবং জমিনে বিশৃক্সক্ষলা সৃষ্টি করে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। 

2:28 كَيْفَ تَكْفُرُونَ بِاللَّهِ وَكُنْتُمْ أَمْوَاتًا فَأَحْيَاكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ ثُمَّ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২৮। কাইফা তাক্ফুরূনা বিল্লা-হি অকুন্তুম্ আম্ওয়া-তান্ ফাআহ্ইয়া-কুম্, ছুম্মা ইউমীতুকুম্ ছুম্মা ইউহ্য়ীকুম্ ছুম্মা ইলাইহি র্তুজা‘ঊন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৮ কীভাবে তোমরা আল্লাহর সাথে কুফরি করছো অথচ তোমরা ছিলে মৃত? অতঃপর তিনি তোমাদেরকে জীবিত করেছেন। এরপর তিনি তোমাদেরকে মৃত্যু দেবেন অতঃপর জীবিত করবেন (পুনরুত্থানের দিন বা শেষ দিবসে)। এরপর তাঁরই কাছে তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।

 2:29 هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُمْ مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا ثُمَّ اسْتَوَى إِلَى السَّمَاءِ فَسَوَّاهُنَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২৯। হুওয়াল্ লাযী খালাক্বা লাকুম্ মা- ফিল্ র্আদ্বি জ্বামী‘আন্ ছুম্মাস্ তাওয়ায় ইলাস্ সামা-য়ি ফাসাওওয়া- হুন্না সাব্‘আ সামা-ওয়া-ত্; অহুওয়া বিকুল্লি শাইয়িন্ ‘আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২৯ তিনিই জমিনে যা আছে সব তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আসমানের প্রতি মনোযোগী হলেন এবং সাত দিনে আসমানকে সুবিন্যস্ত করলেন। আর সব কিছু সম্পর্কে তিনি সম্যক জ্ঞাত। 

2:30 وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً قَالُوا أَتَجْعَلُ فِيهَا مَنْ يُفْسِدُ فِيهَا وَيَسْفِكُ الدِّمَاءَ وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَ قَالَ إِنِّي أَعْلَمُ مَا لَا تَعْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৩০। অইয্ ক্বা-লা রব্বুকা লিল্ মালা-য়িকাতি ইন্নী জ্বা-‘ইলুন্ ফিল্ আরদ্বি খালীফাহ্; ক্বা-লূয় আতাজ্ব ্‘আলু ফীহা- মাইঁ ইয়ুফ্সিদু ফীহা- অইয়াস্্ফিকুদ্ দিমা-য়া, অনাহ্নু নুসাব্বিহু বিহাম্দিকা অনুক্বাদ্দিসু লাক্; ক্বা-লা ইন্নীয় আ’লামু মা-লা-তা’লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৩০ আর (স্মরণ কর), যখন তোমার রব ফেরেশতাদেরকে বললেন, ‘নিশ্চয় আমি জমিনে একজন খলিফা সৃষ্টি করছি’, তারা বললো, ‘আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে বিশৃক্সক্ষলা সৃষ্টি করবে এবং রক্ত প্রবাহিত করবে? আর আমরা তো আপনার প্রশংসায় তাসবিহ পাঠ করছি এবং আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তিনি (আল্লাহ) বললেন, নিশ্চয় আমি যা জানি, তোমরা তা জানো না। 

2:31 وَعَلَّمَ آدَمَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلَائِكَةِ فَقَالَ أَنْبِئُونِي بِأَسْمَاءِ هَؤُلَاءِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৩১। অ‘আল্লামা আ-দামাল্ আস্মা-য়া কুল্লাহা-ছুম্মা ‘আরাদ্বোয়াহুম্ ‘আলাল্ মালা-য়িকাতি ফাক্বা-লা আম্বিয়ূনী বিআস্মা -য়ি হায় উলা-য়ি ইন্ কুন্তুম্ ছোয়া-দিক্বীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৩১ আর তিনি (আল্লাহ) আদমকে নামসমূহ শিক্ষা দিলেন তারপর তা ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। অতঃপর বললেন, ‘তোমরা আমাকে এগুলোর নাম জানাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’। 

2:32 قَالُوا سُبْحَانَكَ لَا عِلْمَ لَنَا إِلَّا مَا عَلَّمْتَنَا إِنَّكَ أَنْتَ الْعَلِيمُ الْحَكِيمُ আরবি উচ্চারণ ২.৩২। ক্বা-লূ সুব্হা-নাকা লা-‘ইল্মা লানায় ইল্লা- মা- ‘আল্লাম্তানা-; ইন্নাকা আন্তাল্ ‘আলীমুল্ হাকীম্। বাংলা অনুবাদ ২.৩২ তারা (ফেরেশতারা) বললো, ‘আপনি পবিত্র মহান। আপনি আমাদেরকে যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের কোনো জ্ঞান নেই। নিশ্চয়ই আপনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়’। 

2:33 قَالَ يَاآدَمُ أَنْبِئْهُمْ بِأَسْمَائِهِمْ فَلَمَّا أَنْبَأَهُمْ بِأَسْمَائِهِمْ قَالَ أَلَمْ أَقُلْ لَكُمْ إِنِّي أَعْلَمُ غَيْبَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَأَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا كُنْتُمْ تَكْتُمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৩৩। ক্বা-লা ইয়ায় আ-দামু আম্বিহুম্ বিআস্মা-য়িহিম্ ফালাম্মায় আম্বায়াহুম্ বিআস্মা-য়িহিম্ ক্বা-লা আলাম্ আক্বূল্ লাকুম্ ইন্নীয় আ’লামু গাইবাস্ সামা-ওয়া-তি অল্র্আদ্বি অআ’লামু মা-তুব্দূনা অমা- কুন্তুম্ তাক্তুমূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৩৩ তিনি (আল্লাহ) বললেন, ‘হে আদম, এগুলোর নাম তাদেরকে জানাও’। সুতরাং যখন সে (হজরত আদম আলাইহিস সালাম) এগুলোর নাম তাদেরকে জানালো, তিনি (আল্লাহ) বললেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলিনি, নিশ্চয়ই আমি আসমানসমূহ ও জমিনের গায়েব (অদৃশ্য) জানি এবং জানি যা তোমরা প্রকাশ করো এবং যা তোমরা গোপন করতে’?

 2:34 وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ أَبَى وَاسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৩৪। অইয্ ক্বূল্না- লিল্মালা-য়িকাতিস্ জ্ব ুদূ লিআ-দামা ফাসাজ্বাদূয় ইল্লায় ইব্লীস্; আবা-অস্তাক্বারা অকা-না মিনাল্ কা-ফিরীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৩৪ আর (স্মরণ করো) যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম, ‘তোমরা আদমকে সিজদা করো’। তখন তারা সিজদা করলো, ইবলিস ছাড়া। সে (ইবলিশ) অস্বীকার করলো এবং অহঙ্কার করলো। আর সে হলো কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত। 

2:35 وَقُلْنَا يَا آدَمُ اسْكُنْ أَنْتَ وَزَوْجُكَ الْجَنَّةَ وَكُلَا مِنْهَا رَغَدًا حَيْثُ شِئْتُمَا وَلَا تَقْرَبَا هَذِهِ الشَّجَرَةَ فَتَكُونَا مِنَ الظَّالِمِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৩৫। অক্বূল্না- ইয়ায় আ-দামুস্ কুন্ আন্তা অযাওজ্ব ুকাল্ জ্বান্নাতা অকুলা- মিনহা- রাগাদান্ হাইছু শি’তুমা- অলা-তাক্ব ্রাবা- হা-যিহিশ্ শাজ্বারাতা ফাতাকূনা- মিনাজ্ জোয়া-লিমীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৩৫ এবং আমি (আল্লাহ) বললাম, ‘হে আদম, তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করো এবং তা থেকে আহার করো স্বাচ্ছন্দ্যে, তোমাদের ইচ্ছানুযায়ী এবং এই গাছটির নিকটবর্তী হয়ো না, তাহলে তোমরা জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।

 2:36 فَأَزَلَّهُمَا الشَّيْطَانُ عَنْهَا فَأَخْرَجَهُمَا مِمَّا كَانَا فِيهِ وَقُلْنَا اهْبِطُوا بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ وَلَكُمْ فِي الْأَرْضِ مُسْتَقَرٌّ وَمَتَاعٌ إِلَى حِينٍ আরবি উচ্চারণ ২.৩৬। ফাআযাল্লাহুমাশ্ শাইত্বোয়া-নু ‘আন্হা- ফাআখ্রাজ্বাহুমা- মিম্মা-কা-না- ফীহি অক্বূল্নাহ্ বিত্ব ূ বা’দ্ব ুকুম্ লিবা’দ্বিন্ ‘আদুওয়্যুন্ অলাকুম্ ফিল্ র্আদ্বি মুস্তার্ক্বারুওঁ অমাতা-উ’ন্ ইলা-হীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৩৬ অতঃপর শয়তান (আল্লাহর প্রতিশ্র“তি লঙ্ঘন করিয়ে) তাদেরকে জান্নাত (স্বর্গ) থেকে বের করলো। অতঃপর তারা যাতে ছিলো তা থেকে তাদেরকে বের করে দিলো, আর আমি (আল্লাহ) বললাম, ‘তোমরা নেমে যাও। তোমরা একে অপরের শত্র“। আর তোমাদের জন্য জমিনে রয়েছে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবাস ও ভোগ করার উপকরণ’। 

2:37 فَتَلَقَّى آدَمُ مِنْ رَبِّهِ كَلِمَاتٍ فَتَابَ عَلَيْهِ ج إِنَّهُ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ আরবি উচ্চারণ ২.৩৭। ফাতালাক্ব ্ক্বায় আ-দামু র্মি রব্বিহী কালিমা-তিন্ ফাতা-বা ‘আলাইহ্; ইন্নাহূ হুঅত তাওঅ-বুর রাহীম্। বাংলা অনুবাদ ২.৩৭ অতঃপর আদম তার রবের পক্ষ থেকে (পাপের জন্য অনুতপ্ত হওয়ার পরে) কিছু বাণী পেলো, ফলে আল্লাহ তাঁর তাওবা কবূল করলেন। নিশ্চয় তিনি তাওবা কবূলকারী, অতি দয়ালু। 

2:38 قُلْنَا اهْبِطُوا مِنْهَا جَمِيعًا فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُمْ مِنِّي هُدًى فَمَنْ تَبِعَ هُدَايَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৩৮। ক্বূল্নাহ্ বিত্ব ূ মিন্হা- জ্বামী‘আন্, ফাইম্মা- ইয়াতিইয়ান্নাকুম্ মিন্নী হুদান্ ফামান্ তাবি‘আ হুদা-ইয়া ফালা-খাওফুন্ ‘আলাইহিম্ অলা-হুম্ ইয়াহ্যানূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৩৮ আমি (আল্লাহ) বললাম, ‘তোমরা সবাই তা (জান্নাত বা স্বর্গ) থেকে নেমে যাও। অতঃপর যখন আমার পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে কোনো হিদায়াত আসবে, তখন যারা আমার হিদায়াত অনুসরণ করবে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না’। 

2:39 وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا أُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৩৯। অল্লাযীনা কাফারূ অকায্যাবূ বিআ-ইয়া-তিনায় উলা-য়িকা আছ্হা-বুন্ না-রি, হুম্ ফীহা- খা-লিদূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৩৯ আর যারা কুফরি করেছে এবং আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে, তারাই আগুনের (জাহান্নাম) অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে। 

2:40 يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ اذْكُرُوا نِعْمَتِيَ الَّتِي أَنْعَمْتُ عَلَيْكُمْ وَأَوْفُوا بِعَهْدِي أُوفِ بِعَهْدِكُمْ وَإِيَّايَ فَارْهَبُونِ আরবি উচ্চারণ ২.৪০। ইয়া-বানীয় ইস্রা-য়ীলায্ কুরূ নি’মাতিইয়াল্ লাতীয় আন্‘আম্তু ‘আলাইকুম্ অআওফূ বি‘আহ্দীয় ঊফি বি‘আহ্দিকুম্, অইইয়া-ইয়া র্ফাহাবূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৪০ হে বনী ইসরাঈল, তোমরা আমার নিয়ামতকে স্মরণ করো, যে নিয়ামত আমি তোমাদেরকে দিয়েছি এবং তোমরা আমার অঙ্গীকার পূর্ণ করো, তাহলে আমি তোমাদের অঙ্গীকার পূর্ণ করবো। আর কেবল আমাকেই ভয় করো। 

2:41 وَآمِنُوا بِمَا أَنْزَلْتُ مُصَدِّقًا لِمَا مَعَكُمْ وَلَا تَكُونُوا أَوَّلَ كَافِرٍ بِهِ صلـى وَلَا تَكُونُوا أَوَّلَ كَافِرٍ بِهِ وَلَا تَشْتَرُوا بِآيَاتِي ثَمَنًا قَلِيلًا وَإِيَّايَ فَاتَّقُونِ আরবি উচ্চারণ ২.৪১। অআ-মিনূ বিমায় আন্যাল্তু মুছোয়াদ্দিক্বাল লিমা- মা‘আকুম্ অলা- তাকূনূয় আওওয়ালা কা-ফিরিম্ বিহী অলা-তাশ্তারূ বিআ-ইয়া-তী ছামানান্ ক্বালীলাওঁ অইইয়া-ইয়া ফাত্তাক্ব ূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৪১ আর তোমাদের সাথে যা আছে তার সত্যায়নকারীস্বরূপ আমি যা (পবিত্র কুরআন) নাজিল করেছি তার প্রতি তোমরা ঈমান আনো এবং তোমরা তার (কুরআনের) প্রথম অস্বীকারকারী হয়ো না। আর তোমরা আমার আয়াতসমূহ সামান্য মূল্যে বিক্রি করো না এবং কেবল আমাকেই ভয় করো।

 2:42 وَلَا تَلْبِسُوا الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَتَكْتُمُوا الْحَقَّ وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৪২। অলা- তাল্বিসুল্ হাক্ব ্ক্বা বিল্বা-ত্বিলি অতাক্তুমুল্ হাক্ব ্ক্বা অআন্তুম্ তা’লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৪২ আর তোমরা হককে (সত্য) বাতিলের (মিথ্যা) সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনে-বুঝে হককে গোপন করো না। 

2:43 وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَارْكَعُوا مَعَ الرَّاكِعِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৪৩। ওয়া আক্বীমুছ্ ছলা-তা অআ-তুয্ যাকা-তা র্অকা‘ঊ মা‘র্আ রা-কি‘ঈন্। বাংলা অনুবাদ ২.৪৩ আর তোমরা সালাত কায়েম করো, জাকাত প্রদান করো এবং রুকূকারীদের সাথে রুকূ করো (ইবাদত করো)। 

2:44 أَتَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبِرِّ وَتَنْسَوْنَ أَنْفُسَكُمْ وَأَنْتُمْ تَتْلُونَ الْكِتَابَ أَفَلَا تَعْقِلُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৪৪। আতামুরূনান্ না-সা বির্ল্বিরি অতান্সাওনা আন্ফুসাকুম্ অআন্তুম্ তাত্লূনাল্ কিতা-ব্; আফালা-তা’ক্বিলূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৪৪ তোমরা কি মানুষকে ভাল কাজের আদেশ দিচ্ছো আর নিজদেরকে ভুলে যাচ্ছো? অথচ তোমরা কিতাব (কুরআন) তিলাওয়াত করো। তোমরা কি বুঝো না?

2:45 وَاسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى الْخَاشِعِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৪৫। অস্তা‘ঈনূ বিছ্ছোয়াব্রি অছ্ছলা-হ্; অইন্নাহা- লাকাবীরাতুন্ ইল্লা- ‘আলাল্ খা-শি‘ঈন্। বাংলা অনুবাদ ২.৪৫ আর তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে (আল্লাহর কাছে) সাহায্য চাও। নিশ্চয় তা (আল্লাহ মহানের সাহায্য) বিনয়ী ছাড়া অন্যদের উপর কঠিন। 

2:46 الَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُمْ مُلَاقُو رَبِّهِمْ وَأَنَّهُمْ إِلَيْهِ رَاجِعُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৪৬। আল্লাযীনা ইয়াজুন্ন ূনা আন্নাহুম্ মুলা-ক্ব ূ রব্বিহিম্ অআন্নাহুম্ ইলাইহি রা-জ্বি‘ঊন্। বাংলা অনুবাদ ২.৪৬ যারা বিশ্বাস করে যে, তারা তাদের রবের সাথে সাক্ষাৎ করবে এবং তারা তাঁর (আল্লাহ) দিকে (বিচারের জন্য) ফিরে যাবে। 

2:47 يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ اذْكُرُوا نِعْمَتِيَ الَّتِي أَنْعَمْتُ عَلَيْكُمْ وَأَنِّي فَضَّلْتُكُمْ عَلَى الْعَالَمِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৪৭। ইয়া-বানীয় ইস্রা-য়ীলায্ কুরূ নি’মাতিইয়াল্লাতীয় আন্‘আম্তু ‘আলাইকুম্ অআন্নী ফাদ্ব ্দ্বোয়াল্তুকুম্ ‘আলাল্ ‘আ- লামীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৪৭ হে বনি ইসরাঈল, তোমরা আমার নিয়ামতকে স্মরণ করো, যে নিয়ামত আমি তোমাদেরকে দিয়েছি এবং নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে বিশ্ববাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। 

2:48 وَاتَّقُوا يَوْمًا لَا تَجْزِي نَفْسٌ عَنْ نَفْسٍ شَيْئًا وَلَا يُقْبَلُ مِنْهَا شَفَاعَةٌ وَلَا يُؤْخَذُ مِنْهَا عَدْلٌ وَلَا هُمْ يُنْصَرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৪৮। অত্তাক্ব ূ ইয়াওমাল্ লা-তাজ্ব্ ্যী নাফ্সুন্ ‘আন্ নাফ্সিন্ শাইয়াওঁ অলা-ইয়ুক্ব ্বালু মিন্হা-শাফা-‘আতুওঁ অলা- ইয়ুখাযু মিন্হা- ‘আদ্লুওঁ অলা-হুম্ ইয়ুন্ছোয়ারূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৪৮ আর তোমরা সে দিনকে (বিচারের দিন) ভয় করো, যেদিন কেউ কারো কোনো কাজে আসবে না। আর কারো পক্ষ থেকে কোনো সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না এবং কারো কাছ থেকে কোনো বিনিময় নেয়া হবে না। আর তারা সাহায্যপ্রাপ্তও (কোনো পক্ষপাতিত্ব) হবে না। 

2:49 وَإِذْ نَجَّيْنَاكُمْ مِنْ آلِ فِرْعَوْنَ يَسُومُونَكُمْ سُوءَ الْعَذَابِ يُذَبِّحُونَ أَبْنَاءَكُمْ وَيَسْتَحْيُونَ نِسَاءَكُمْ وَفِي ذَلِكُمْ بَلَاءٌ مِنْ رَبِّكُمْ عَظِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.৪৯। অইয নাজ্জ্বাইনা-কুম্ মিন্ আ-লি র্ফি‘আওনা ইয়াসূমূনাকুম্ সূ-য়াল্ ‘আযা-বি ইয়ুযাব্বিহূনা আব্না-য়াকুম্ অইয়াস্তাহ্ইয়ূনা নিসা-য়াকুম্; অফী যা-লিকুম্ বালা-য়ুম্ র্মি রব্বিকুম্ ‘আজীম্। বাংলা অনুবাদ ২.৪৯ আর (স্মরণ করো) যখন আমি তোমাদেরকে ফিরআউনের দল থেকে রক্ষা করেছিলাম। তারা তোমাদেরকে কঠিন আজাব দিতো। তোমাদের পুত্র সন্তানদেরকে জবেহ করতো এবং তোমাদের নারীদেরকে বাঁচিয়ে রাখতো। আর এতে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে ছিলো মহাপরীক্ষা। 

2:50 وَإِذْ فَرَقْنَا بِكُمُ الْبَحْرَ فَأَنْجَيْنَاكُمْ وَأَغْرَقْنَا آلَ فِرْعَوْنَ وَأَنْتُمْ تَنْظُرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৫০। অইয্ ফারাক্ব ্না- বিকুমুল্ বাহ্রা ফাআন্জ্বাইনা-কুম্ অআগ্রাক্ব ্নায় আ-লা র্ফি‘আওনা অআন্তুম্ তান্জুরূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৫০ আর (স্মরণ করো) যখন তোমাদের জন্য আমি সমুদ্রকে বিভক্ত করেছিলাম, অতঃপর তোমাদেরকে নাজাত দিয়েছিলাম এবং ফিরআউন দলকে ডুবিয়ে দিয়েছিলাম, আর তোমরা দেখছিলে। 

2:51 وَإِذْ وَاعَدْنَا مُوسَى أَرْبَعِينَ لَيْلَةً ثُمَّ اتَّخَذْتُمُ الْعِجْلَ مِنْ بَعْدِهِ وَأَنْتُمْ ظَالِمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৫১। অইয্ অ-‘আদ্না- মূসায় র্আবা‘ঈনা লাইলাতান্ ছুম্মাত্তাখায্তুমুল্ ‘ইজ্ব ্লা মিম্ বা’দিহী অআন্তুম্ জোয়া-লিমূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৫১ আর (স্মরণ করো), যখন আমি মূসাকে চলি¬শ রাতের ওয়াদা দিয়েছিলাম অতঃপর তোমরা তাঁর চলে যাওয়ার পর বাছুরকে (উপাস্যরূপে) গ্রহণ করেছিলে, আর তোমরা ছিলে জালিম। 

2:52 ثُمَّ عَفَوْنَا عَنْكُمْ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৫২। ছুম্মা ‘আফাওনা- ‘আন্কুম্ মিম্ বা’দি যা-লিকা লা‘আল্লাকুম্ তাশ্কুরূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৫২ অতঃপর আমি তোমাদেরকে এসবের পর ক্ষমা করেছি, যাতে তোমরা শোকর আদায় করো। 

2:53 وَإِذْ آتَيْنَا مُوسَى الْكِتَابَ وَالْفُرْقَانَ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৫৩। অইয্ আ-তাইনা- মূসাল্ কিতা-বা অর্ল্ফুক্বা-না লা‘আল্লাকুম্ তাহ্তাদূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৫৩ আর (স্মরণ করো) যখন আমি মূসাকে দিয়েছিলাম কিতাব (তাওরাত) ও ফুরকান যাতে তোমরা (সরল পথে) হিদায়াতপ্রাপ্ত হও। 

2:54 وَإِذْ قَالَ مُوسَى لِقَوْمِهِ يَا قَوْمِ إِنَّكُمْ ظَلَمْتُمْ أَنْفُسَكُمْ بِاتِّخَاذِكُمُ الْعِجْلَ فَتُوبُوا إِلَى بَارِئِكُمْ فَتُوبُوا إِلَى بَارِئِكُمْ فَاقْتُلُوا أَنْفُسَكُمْ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ عِنْدَ بَارِئِكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ إِنَّهُ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ আরবি উচ্চারণ ২.৫৪। অইয্ ক্বা-লা মূসা- লিক্বাওমিহী ইয়া-ক্বাওমি ইন্নাকুম্ জোয়ালাম্তুম্ আন্ফুসাকুম্ বিত্তিখা-যিকুমুল্ ‘ইজ্ব ্লা ফাতূবূূয় ইলা- বা-রিয়িকুম্ ফাক্ব ্তুলূূয় আন্ফুসাকুম্; যা-লিকুম্ খাইরুল্লাকুম্ ‘ইন্দা বা-রিয়িকুম্; ফাতা-বা ‘আলাইকুম্; ইন্নাহূ হুওয়াত্ তাও ওয়া-বুর রাহীম্। বাংলা অনুবাদ ২.৫৪ আর (স্মরণ করো) যখন মূসা তাঁর সম্প্রদায়কে বলেছিলো, ‘হে আমার সম্প্রদায়, নিশ্চয়ই তোমরা বাছুরকে (উপাস্যরূপে) গ্রহণ করে নিজদের ওপর জুলম করেছো। সুতরাং তোমরা তোমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে তাওবা করো। অতঃপর তোমরা নিজদেরকে হত্যা (ভয়ানক ক্ষতি) করো। এটি তোমাদের জন্য তোমাদের সৃষ্টিকর্তার নিকট উত্তম। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের তাওবা কবূল করলেন। নিশ্চয় তিনি তাওবা কবূলকারী, পরম দয়ালু। 

2:55 وَإِذْ قُلْتُمْ يَا مُوسَى لَنْ نُؤْمِنَ لَكَ حَتَّى نَرَى اللَّهَ جَهْرَةً فَأَخَذَتْكُمُ الصَّاعِقَةُ وَأَنْتُمْ تَنْظُرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৫৫। অইয ক্বূল্তুম্ ইয়া-মূসা- লান্ নুমিনা লাকা হাত্তা- নারাল্লা-হা জ্বাহ্রাতান্ ফাআখাযাত্কুমুছ্ ছোয়া-‘ইক্বাতু অআন্তুম্ তান্জুরূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৫৫ আর (স্মরণ করো) যখন তোমরা বললে, ‘হে মূসা, আমরা তোমার প্রতি ঈমান আনবো না, যতক্ষণ না আমরা প্রকাশ্যে (নিজ চক্ষু দ্বারা) আল্লাহকে দেখি’। ফলে বজ্র তোমাদেরকে পাকড়াও করলো আর তোমরা তা দেখছিলে। 

2:56 ثُمَّ بَعَثْنَاكُمْ مِنْ بَعْدِ مَوْتِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৫৬। ছুম্মা বা‘আছ্না-কুম্ মিম্ বা’দি মাওতিকুম্ লা‘আল্লাকুম্ তাশ্কুরূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৫৬ অতঃপর আমি তোমাদের মৃত্যুর পর তোমাদেরকে পুনঃজীবন দান করলাম, যাতে তোমরা শোকর আদায় করো। 

2:57 وَظَلَّلْنَا عَلَيْكُمُ الْغَمَامَ وَأَنْزَلْنَا عَلَيْكُمُ الْمَنَّ وَالسَّلْوَى كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَمَا ظَلَمُونَا وَلَكِنْ كَانُوا أَنْفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৫৭। অজল্লাল্না-‘আলাইকুমুল গামা-মা অআন্যাল্না- ‘আলাইকুমুল্ মান্না অস্সাল্ওয়া-; কুলূ মিন্ ত্বইয়্যিবা-তি মা-রাযাক্ব ্না-কুম্; অমা-জোয়ালামূনা- অলা-কিন্ কা-নূ- আন্ফুসাহুম্ ইয়াজ্লিমূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৫৭ আর আমি তোমাদের উপর মেঘের ছায়া দিলাম এবং তোমাদের প্রতি নাজিল করলাম ‘মান্না’ ও ‘সালওয়া’ । (বললাম) তোমরা সে পবিত্র বস্তু থেকে আহার করো, যা আমি তোমাদেরকে দিয়েছি। আর তারা আমার প্রতি জুলম করেনি, বরং তারা নিজদের ওপরই জুলম করতো। 

2:58 وَإِذْ قُلْنَا ادْخُلُوا هَذِهِ الْقَرْيَةَ فَكُلُوا مِنْهَا حَيْثُ شِئْتُمْ رَغَدًا وَادْخُلُوا الْبَابَ سُجَّدًا وَقُولُوا حِطَّةٌ نَغْفِرْ لَكُمْ خَطَايَاكُمْ وَسَنَزِيدُ الْمُحْسِنِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৫৮। অইয্ ক্বূল্নাদ্ খুলূ হা-যিহিল্ র্ক্বাইয়াতা ফাকুলূ মিন্হা-হাইছু শিতুম্ রাগাদাওঁ অদ্খুলুল্ বা-বা সুজ্জ্বাদাওঁ অক্ব ূলূ হিত্তাতুন নার্গ্ফিলাকুম্ খাত্বোয়া-ইয়া-কুম্; অসানাযীদুল্ মুহ্সিনীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৫৮ আর (স্মরণ কর) যখন আমি বললাম, ‘তোমরা প্রবেশ করো এই জনপদে (জেরুজালেম)। আর তা থেকে আহার করো তোমাদের ইচ্ছানুযায়ী, স্বাচ্ছন্দ্যে এবং দরজায় প্রবেশ করো মাথা নীচু করে (নম্রভাবে)। আর বলো ‘ক্ষমা’। তাহলে আমি তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবো এবং নিশ্চয় আমি সৎকর্মশীলদেরকে (প্রতিদান) বাড়িয়ে দেবো’। 

2:59 فَبَدَّلَ الَّذِينَ ظَلَمُوا قَوْلًا غَيْرَ الَّذِي قِيلَ لَهُمْ فَأَنْزَلْنَا عَلَى الَّذِينَ ظَلَمُوا رِجْزًا مِنَ السَّمَاءِ بِمَا كَانُوا يَفْسُقُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৫৯। ফাবাদ্দালাল্ লাযীনা জোয়ালামূ ক্বাওলান্ গাইরাল্লাযী ক্বীলা লাহুম্ ফাআন্যাল্না- ‘আলাল্ লাযীনা জোয়ালামূ রিজ্ব ্যাম মিনাস্ সামা-য়ি বিমা- কা-নূ ইয়াফ্সুক্ব ূন্। আরও বেশি দেব। (৫৯) কিন্তু জালিমরা আমার বলে দেয়া বক্তব্যকে পরিবর্তন করে দিল। ফলে বাংলা অনুবাদ ২.৫৯ কিন্তু জালিমরা তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলা কথাকে পবিবর্তন করে ফেললো, তা ছাড়া অন্য কথা দিয়ে। ফলে আমি তাদের উপর আসমান থেকে আজাব নাজিল করলাম, কারণ তারা পাপাচার করতো। 

2:60 وَإِذِ اسْتَسْقَى مُوسَى لِقَوْمِهِ فَقُلْنَا اضْرِبْ بِعَصَاكَ الْحَجَرَ فَانْفَجَرَتْ مِنْهُ اثْنَتَا عَشْرَةَ عَيْنًا قَدْ عَلِمَ كُلُّ أُنَاسٍ مَشْرَبَهُمْ = كُلُوا وَاشْرَبُوا مِنْ رِزْقِ اللَّهِ وَلَا تَعْثَوْا فِي الْأَرْضِ مُفْسِدِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৬০। অইযিস তাস্ক্বা- মূসা- লিক্বাওমিহী ফাক্বূল্নাদ্ব্ রিব্ বি‘আছোয়া-কাল্ হার্জ্বা; ফান্ফাজ্বারাত্ মিন্হুছ্ নাতা- ‘আশ্রাতা ‘আইনা-; ক্বাদ্ ‘আলিমা কুল্লু উনা-সিম্ মাশ্রাবাহুম্; কুলূ অশ্রাবু র্মি রিয্ক্বিল্লা-হি অলা-তাছাও ফিল্ র্আদ্বি মুফ্সিদীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৬০ আর (স্মরণ কর) যখন মূসা তার সম্প্রদায়ের জন্য পানি চাইলো, তখন আমি (আল্লাহ) বললাম, ‘তুমি তোমার লাঠি দ্বারা পাথরকে আঘাত করো’। ফলে তা থেকে উৎসারিত হলো বারটি (১২) ঝরনা। প্রতিটি দল তাদের পানি পানের স্থান জেনে নিলো। (তারা আদেশ প্রাপ্ত হলো) তোমরা আল্লাহর রিজিক থেকে আহার করো ও পান করো এবং ফাসাদকারী হয়ে জমিনে ঘুরে বেড়িয়ো না।


2:61 وَإِذْ قُلْتُمْ يَا مُوسَى لَنْ نَصْبِرَ عَلَى طَعَامٍ وَاحِدٍ فَادْعُ لَنَا رَبَّكَ يُخْرِجْ لَنَا مِمَّا تُنْبِتُ الْأَرْضُ مِنْ بَقْلِهَا وَقِثَّائِهَا وَفُومِهَا وَعَدَسِهَا وَبَصَلِهَا قَالَ أَتَسْتَبْدِلُونَ الَّذِي هُوَ أَدْنَى بِالَّذِي هُوَ خَيْرٌ اهْبِطُوا مِصْرًا فَإِنَّ لَكُمْ مَا سَأَلْتُمْ وَضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ الذِّلَّةُ وَالْمَسْكَنَةُ وَبَاءُوا بِغَضَبٍ مِنَ اللَّهِ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ كَانُوا يَكْفُرُونَ بِآيَاتِ اللَّهِ وَيَقْتُلُونَ النَّبِيِّينَ بِغَيْرِ الْحَقِّ = ذَلِكَ بِمَا عَصَوْا وَكَانُوا يَعْتَدُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৬১। অইয্ ক্বূল্তুম্ ইয়া-মূসা- লান্ নাছ্বিরা ‘আলা- ত্বো‘আ-মিওঁ ওয়া-হিদিন্ ফাদ্‘উ লানা- রব্বাকা ইয়ুখ্রিজ্ব্ ্ লানা- মিম্মা- তুম্বিতুল্ র্আদ্বু মিম্ বাক্ব ্লিহা- অক্বিছ্ছা-য়িহা- অফূমিহা- অ‘আদাসিহা- অ বাছোয়ালিহা-; ক্বা-লা আতাস্তাব্দিলূনাল্ লাযী হুওয়া আদ্না-বিল্লাযী হুওয়া খার্ই; ইহ্বিত্ব ূ মিছ্রান্ ফাইন্না লাকুম্ মা-সায়াল্তুম্; অদ্বুরিবাত্ ‘আলাইহিমুয্ যিল্লাতু অল্মাস্কানাতু অবা-য়ূ বিগাদ্বোয়াবিম্ মিনাল্লা-হ্; যা-লিকা বিআন্নাহুম্ কা-নূ ইয়াক্ফুরূনা বিআ-ইয়া-তি ল্লা-হি অইয়াক্ব্ ্ তুলূনান্ নাবিইয়ীনা বিগাইরিল্ হাক্ব ্; যা-লিকা বিমা- ‘আছোয়াও অ কা-নূ ইয়া’তাদূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৬১ আর (স্মরণ করো) যখন তোমরা (মূসা আলাইহিস সালামের সময়কার লোকেরা) বললে, ‘হে মূসা, আমরা এক খাবারের উপর কখনো ধৈর্য ধরবো না। সুতরাং তুমি আমাদের জন্য তোমার রবের নিকট দোয়া করো, তিনি যেন আমাদের জন্য ভূমি থেকে উৎপন্ন সবজি, কাঁকড়, রসুন, মসুর ও পেঁয়াজ বের করেন। সে (মূসা আলাইহিস সালাম) বললো, ‘তোমরা কি যা উত্তম তার পরিবর্তে এমন জিনিস গ্রহণ করছো যা নিম্নমানের? তোমরা কোন্ এক নগরীতে অবতরণ করো। তবে নিশ্চয় তোমাদের জন্য (সেখানে) থাকবে, যা তোমরা চেয়েছো’। আর তাদের উপর আরোপ করা হয়েছে লাঞ্ছনা ও দারিদ্র্য এবং তারা আল্লাহর ক্রোধের শিকার হলো। তা এই কারণে যে, তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করতো এবং অন্যায়ভাবে নবীদেরকে হত্যা করতো। তা এই কারণে যে, তারা নাফারমানী করেছিলো এবং তারা সীমালঙ্ঘন করতো। 

2:62 إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَالَّذِينَ هَادُوا وَالنَّصَارَى وَالصَّابِئِينَ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَعَمِلَ صَالِحًا فَلَهُمْ أَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৬২। ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূ অল্লাযীনা হা-দূ অন্নাছোয়া-রা- অছ্ছোয়া-বিয়ীনা মান্ আ-মানা বিল্লা-হি অল্ইয়াওমিল্ আ-খিরি অ‘আমিলা ছোয়া-লিহান্ ফালাহুম্ আজ্ব ্রুহুম্ ‘ইন্দা রব্বিহিম্ অলা-খাওফুন্ ‘আলাইহিম্ অলা-হুম্ ইয়াহ্যানূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৬২ নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে, যারা ইয়াহুদি হয়েছে এবং নাসারা ও সাবিঈরা- (তাদের মধ্যে) যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ ও আখিরাতের দিনের প্রতি এবং নেক কাজ করেছে; তাদের জন্য রয়েছে তাদের রবের নিকট প্রতিদান। আর তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। 

2:63 وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَاقَكُمْ وَرَفَعْنَا فَوْقَكُمُ الطُّورَ خُذُوا مَا آتَيْنَاكُمْ بِقُوَّةٍ وَاذْكُرُوا مَا فِيهِ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৬৩। অইয্ আখায্না- মীছা-ক্বাকুম্ অরাফা’না- ফাওক্বাকুমুত্ব ত্বর্ ূ; খুযূ মায় আ-তাইনা-কুম্ বিক্বূওআতিওঁ অয্কুরূ মা-ফীহি লা‘আল্লাকুম্ তাত্তাক্ব ূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৬৩ আর স্মরণ কর, যখন আমি তোমাদের অঙ্গীকার গ্রহণ করলাম এবং তূর পাহাড়কে তোমাদের উপর উঠালাম আমি (বললাম) ‘তোমাদেরকে যা দিয়েছি, তা শক্তভাবে ধর এবং তাতে যা রয়েছে তা স্মরণ কর, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করতে পার’। 

2:64 ثُمَّ تَوَلَّيْتُمْ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ فَلَوْلَا فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُ لَكُنْتُمْ مِنَ الْخَاسِرِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৬৪। ছুম্মা তাওয়াল্লাইতুম্ মিম্ বা’দি যা-লিকা ফালাওলা- ফাদ্ব্লুল্লা-হি ‘আলাইকুম্ অরাহ্মাতুহূ লাকুন্তুম্ মিনাল্ খা-সিরীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৬৪ অতঃপর তোমরা এ সবের পর বিমুখ হয়ে ফিরে গেলে। আর যদি তোমাদের উপর আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত না হত, তোমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হতে। 

2:65 وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ الَّذِينَ اعْتَدَوْا مِنْكُمْ فِي السَّبْتِ فَقُلْنَا لَهُمْ كُونُوا قِرَدَةً خَاسِئِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৬৫। অলাক্বাদ্ ‘আলিম্তুমুল্ লাযীনা’ তাদাও মিন্কুম্ ফিস্ সাব্তি ফাক্বূল্না- লাহুম্ কূনূ ক্বিরাদাতান্ খা-সিয়ীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৬৫ আর তোমাদের মধ্যে যারা শনিবারের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করেছিল, তাদেরকে অবশ্যই তোমরা জান। অতঃপর আমি তাদেরকে বললাম, ‘তোমরা নিকৃষ্ট বানর হয়ে যাও’। 

2:66 فَجَعَلْنَاهَا نَكَالًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهَا وَمَا خَلْفَهَا وَمَوْعِظَةً لِلْمُتَّقِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৬৬। ফাজ্বা‘আল্না-হা- নাকা-লা ল্লিমা- বাইনা ইয়াদাইহা- অমা-খাল্ফাহা-অ মাও ‘ইজোয়াতাল লিল্মুত্তাকীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৬৬ আর আমি একে বানিয়েছি দৃষ্টান্ত, সে সময়ের এবং তৎপরবর্তী জনপদসমূহের জন্য এবং মুত্তাকিদের জন্য উপদেশ। 

2:67 وَإِذْ قَالَ مُوسَى لِقَوْمِهِ إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تَذْبَحُوا بَقَرَةً قَالُوا أَتَتَّخِذُنَا هُزُوًا قَالَ أَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ أَكُونَ مِنَ الْجَاهِلِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৬৭। অইয্ ক্বা-লা মূসা- লিক্বাওমিহীয় ইন্নাল্লা-হা ইয়ামুরুকুম্ আন্ তায্বাহূ বাক্বারাহ্; ক্বালূূয় আতাত্তাখিযুনা- হুযুওয়া-; ক্বা-লা আ‘ঊযুবিল্লা-হি আন্ আকূনা মিনাল্ জ্বা-হিলীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৬৭ আর স্মরণ কর, যখন মূসা তার সম্প্রদায়কে বলল, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা একটি গাভী জবেহ করবে’। তারা বলল, ‘তুমি কি আমাদের সাথে উপহাস করছ’? সে বলল, ‘আমি মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাচ্ছি’। 

2:68 قَالُوا ادْعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّنْ لَنَا مَا هِيَ قَالَ إِنَّهُ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٌ لَا فَارِضٌ وَلَا بِكْرٌ عَوَانٌ بَيْنَ ذَلِكَ فَافْعَلُوا مَا تُؤْمَرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৬৮। ক্বা-লুদ‘উ লানা- রব্বাকা ইয়ুবাইয়্যিল্লানা- মা-হী; ক্বা-লা ইন্নাহূ ইয়াক্ব ূলু ইন্নাহা- বাক্বারাতুল লা-ফা-রিদ্বুওঁ অলা-বিক্র্; ‘আওয়া-নুম্ বাইনা যা-লিক্; ফাফ্‘আলূ মা- তুমারূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৬৮ তারা বলল, ‘তুমি আমাদের জন্য তোমার রবের নিকট দোয়া কর, তিনি যেন আমাদের জন্য স্পষ্ট করে দেন গাভীটি কেমন হবে’। সে বলল, ‘নিশ্চয় তিনি বলছেন, নিশ্চয় তা হবে গরু, বুড়ো নয় এবং বাচ্চাও নয়। এর মাঝামাঝি ধরনের। সুতরাং তোমরা কর যা তোমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে’। 

2:69 قَالُوا ادْعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّنْ لَنَا مَا لَوْنُهَا قَالَ إِنَّهُ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٌ صَفْرَاءُ فَاقِعٌ لَوْنُهَا تَسُرُّ النَّاظِرِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৬৯। ক্বা-লুদ্‘উলানা- রব্বাকা ইয়ুবাইয়্যিল্লানা- মা-লাওনুহা-; ক্বা-লা ইন্নাহূ ইয়াক্ব ূলু ইন্নাহা- বাক্বারাতুন্ ছোয়াফ্রা-য়ু ফা-ক্বি‘উল্লাওনুহা- তার্সুরুন না-জিরীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৬৯ তারা বলল, ‘তুমি আমাদের জন্য তোমার রবের নিকট দো‘আ কর, তিনি যেন আমাদের জন্য স্পষ্ট করে দেন, কেমন তার রঙ’? সে বলল, ‘নিশ্চয় তিনি বলছেন, নিশ্চয় তা হবে হলুদ রঙের গাভী, তার রঙ উজ্বল, দর্শকদেরকে যা আনন্দ দেবে’। 

2:70 قَالُوا ادْعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّنْ لَنَا مَا هِيَ إِنَّ الْبَقَرَ تَشَابَهَ عَلَيْنَا وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ لَمُهْتَدُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৭০। ক্বা-লুদ্‘উলানা-রব্বাকা ইয়ুবাইয়্যিল লানা- মা-হিয়া ইন্নাল্ বাক্বারা তাশা-বাহা ‘আলাইনা-; অইন্নায় ইন্শা-য়াল্লা-হু লামুহ্তাদূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৭০ তারা বলল, ‘তুমি আমাদের জন্য তোমার রবের নিকট দো‘আ কর, তিনি যেন আমাদের জন্য স্পষ্ট করে দেন, তা কেমন? নিশ্চয় গরুটি আমাদের জন্য সন্দেহপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আর নিশ্চয় আমরা আল্লাহ চান তো পথপ্রাপ্ত হব’। 

2:71 قَالَ إِنَّهُ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٌ لَا ذَلُولٌ تُثِيرُ الْأَرْضَ وَلَا تَسْقِي الْحَرْثَ مُسَلَّمَةٌ لَا شِيَةَ فِيهَا قَالُوا الْآنَ جِئْتَ بِالْحَقِّ فَذَبَحُوهَا وَمَا كَادُوا يَفْعَلُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৭১। ক্বা-লা ইন্নাহূ ইয়াক্ব ূলু ইন্নাহা-বাক্বারাতুল্ লা-যালূলুন্ তুছীরুল্ আরদ্বোয়া অলা-তাস্ক্বিল্ র্হাছা মুসাল্লামাতুল্ লা-শিয়াতা ফীহা-; ক্বা-লুল্ আ-না জ্বিতা বিল্হাক্ব্; ফাযাবাহূহা- অমা- কা-দূ ইয়াফ্‘আলূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৭১ সে বলল, ‘নিশ্চয় তিনি বলছেন, ‘নিশ্চয় তা এমন গাভী, যা ব্যবহৃত হয়নি জমি চাষ করায় আর না ক্ষেতে পানি দেয়ায়। সুস্থ যাতে কোন খুঁত নেই’। তারা বলল, ‘এখন তুমি সত্য নিয়ে এসেছ’। অতঃপর তারা তা জবেহ করল অথচ তারা জবেহ করার ছিল না।

2:72 وَإِذْ قَتَلْتُمْ نَفْسًا فَادَّارَأْتُمْ فِيهَا وَاللَّهُ مُخْرِجٌ مَا كُنْتُمْ تَكْتُمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৭২। অইয্ ক্বাতাল্তুম্ নাফ্সান্ ফাদ্দা-রাতুম্ ফীহা-; অল্লা-হু মুখ্রিজ্ব ুম্ মা- কুন্তুম্ তাক্তুমূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৭২ আর স্মরণ কর, যখন তোমরা একজনকে হত্যা করলে অতঃপর সে ব্যাপারে একে অপরকে দোষারোপ করলে। আর আল্লাহ বের করে দিলেন তোমরা যা গোপন করছিলে। 

2:73 قَالُوا ادْعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّنْ لَنَا مَا لَوْنُهَا قَالَ إِنَّهُ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٌ صَفْرَاءُ فَاقِعٌ لَوْنُهَا تَسُرُّ النَّاظِرِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৭৩। ফাক্বূল্নাদ্ব্ রিবূহু বিবা’দ্বিহা-; কাযা-লিকা ইউহ্য়িল্লা-হুল্ মাওতা- অইয়ুরীকুম্ আ-ইয়া-তিহী লা‘আল্লাকুম্ তা’ক্বিলূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৭৩ অতঃপর আমি বললাম, ‘তোমরা তাকে আঘাত কর গাভীটির (গোশ্তের) কিছু অংশ দিয়ে। এভাবে আল্লাহ জীবিত করেন মৃতদেরকে। আর তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনসমূহ দেখান, যাতে তোমরা বুঝ। 

2:74قَالُوا ادْعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّنْ لَنَا مَا هِيَ إِنَّ الْبَقَرَ تَشَابَهَ عَلَيْنَا وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ لَمُهْتَدُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৭৪। ছুম্মা ক্বাসাত্ ক্বূলূবুকুম্ মিম্ বা’দি যা-লিকা ফাহিয়া কাল্ হিজ্বা-রাতি আও আশাদ্দু কাস্ওয়াহ্; অইন্না মিনাল হিজ্বা-রাতি লামা- ইয়াতাফাজ্জ্বারু মিন্হুল্ আন্হার্- ; অইন্না মিন্হা- লামা-ইয়াশ্শাক্ব ্ক্বাক্বূ ফাইয়াখ্রুজ্ব ু মিন্হুল্ মা-উ্; অইন্না মিন্হা-লামা-ইয়াহ্বিত্ব ু মিন্ খাশ্ইয়াতিল্লা-হ্; অমাল্লা-হু বিগা-ফিলিন্ ‘আম্মা-তা’মালূন। বাংলা অনুবাদ ২.৭৪ অতঃপর তোমাদের অন্তরসমূহ এর পরে কঠিন হয়ে গেল যেন তা পাথরের মত কিংবা তার চেয়েও শক্ত। আর নিশ্চয় পাথরের মধ্যে কিছু আছে, যা থেকে নহর উৎসারিত হয়। আর নিশ্চয় তার মধ্যে কিছু আছে যা চূর্ণ হয়। ফলে তা থেকে পানি বের হয়। আর নিশ্চয় তার মধ্যে কিছু আছে যা আল্লাহর ভয়ে ধ্বসে পড়ে। আর আল্লাহ তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে গাফেল নন। 

2.75 وَإِذْ قَتَلْتُمْ نَفْسًا فَادَّارَأْتُمْ فِيهَا وَاللَّهُ مُخْرِجٌ مَا كُنْتُمْ تَكْتُمُونَ = ثُمَّ يُحَرِّفُونَهُ مِنْ بَعْدِ مَا عَقَلُوهُ وَهُمْ يَعْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৭৫। আফাতাত্ব ্ মা‘ঊনা আইঁ ইয়ুমিনূ লাকুম্ অক্বাদ্ কা-না ফারীক্বূম্ মিন্হুম্ ইয়াস্মা‘ঊনা কালা-মাল্লা-হি ছুম্মা ইয়ুর্হারিফূনাহূ মিম্ বা’দি মা-‘আক্বালূহু অহুম ইয়া’লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৭৫ তোমরা কি এই আশা করছ যে, তারা তোমাদের প্রতি ঈমান আনবে? অথচ তাদের একটি দল ছিল যারা আল্লাহর বাণী শুনত অতঃপর তা বুঝে নেয়ার পর তা তারা বিকৃত করত জেনে বুঝে। 

2:76 وَإِذَا لَقُوا الَّذِينَ آمَنُوا قَالُوا آمَنَّا وَإِذَا خَلَا بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ قَالُوا أَتُحَدِّثُونَهُمْ بِمَا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ لِيُحَاجُّوكُمْ بِهِ عِنْدَ رَبِّكُمْ أَفَلَا تَعْقِلُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৭৬। অইযা-লাক্বূল লাযীনা আ-মানূ ক্বা-লূূয় আ-মান্না-;অইযা- খালা- বা’দ্বুহুম্ ইলা- বা’দ্বিন্ ক্বালূয় আতুহাদ্দিছূনাহুম্ বিমা- ফাতাহাল্লা-হু ‘আলাইকুম্ লিইয়ুহা-জ্জ্ব ূকুম্ বিহী ‘ইন্দা রব্বিকুম; আফালা- তা’ক্বিলূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৭৬ আর যখন তারা মুমিনদের সাথে সাক্ষাৎ করে তখন বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’। আর যখন একে অপরের সাথে একান্তে মিলিত হয় তখন বলে, ‘তোমরা কি তাদের সাথে সে কথা আলোচনা কর, যা আল্লাহ তোমাদের উপর উম্মুক্ত করেছেন, যাতে তারা এর মাধ্যমে তোমাদের রবের নিকট তোমাদের বিরুদ্ধে দলীল পেশ করব? তবে কি তোমরা বুঝ না’?

2:77 أَوَلَا يَعْلَمُونَ أَنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৭৭। আওয়ালা- ইয়া’লামূনা আন্নাল্লা-হা ইয়া’লামু মা-ইয়ুর্সিরূনা অমা-ইয়ু’লিনূন্। ৭৮। অমিন্হুম উম্মিয়্যূনা লা-ইয়া’লামূনাল্ কিতা-বা ইল্লায় আমা-নিয়্যা অইন্ হুম্ ইল্লা-ইয়াজুন্ন ূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৭৭ তারা কি জানে না যে, তারা যা গোপন করে এবং যা প্রকাশ করে, তা আল্লাহ জানেন?

2:78 وَمِنْهُمْ أُمِّيُّونَ لَا يَعْلَمُونَ الْكِتَابَ إِلَّا أَمَانِيَّ وَإِنْ هُمْ إِلَّا يَظُنُّونَ আরবি উচ্চারণ ২.৭৮। ওয়া মিনহুম উমমিযূনা লা ইয়ালামুনাল ইকতাবা ইল্লা আমানিউযয়ূ ওয়া ইন হুম ইল্লা ইয়াজুননুন। বাংলা অনুবাদ ২.৭৮ আর তাদের মধ্যে আছে নিরক্ষর, তারা মিথ্যা আকাঙ্খা ছাড়া কিতাবের কোন জ্ঞান রাখে না এবং তারা শুধুই ধারণা করে থাকে। 

2:79 فَوَيْلٌ لِلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الْكِتَابَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَذَا مِنْ عِنْدِ اللَّهِ لِيَشْتَرُوا بِهِ ثَمَنًا قَلِيلًا فَوَيْلٌ لَهُمْ مِمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَهُمْ مِمَّا يَكْسِبُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৭৯। ফাওয়াইলুল্ লিল্লাযীনা ইয়াক্তুবূনাল্ কিতা-বা বিআইদীহিম্ ছুম্মা ইয়াক্ব ূলূনা হা-যা-মিন্ ‘ইনদিল্লা-হি লিইয়াশ্তারূ বিহী ছামানান্ ক্বালীলা-;ফাওয়াইলু ল্লাহুম্ মিম্মা-কাতাবাত্ আইদীহিম অওয়াইলু ল্লাহুম্ মিম্মা-ইয়াক্সিবূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৭৯ সুতরাং ধ্বংস তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে। তারপর বলে, ‘এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে’, যাতে তা তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করতে পারে। সুতরাং তাদের হাত যা লিখেছে তার পরিণামে তাদের জন্য ধ্বংস, আর তারা যা উপার্জন করেছে তার কারণেও তাদের জন্য ধ্বংস। 

2:80 وَقَالُوا لَنْ تَمَسَّنَا النَّارُ إِلَّا أَيَّامًا مَعْدُودَةً قُلْ أَتَّخَذْتُمْ عِنْدَ اللَّهِ عَهْدًا فَلَنْ يُخْلِفَ اللَّهُ عَهْدَهُ أَمْ تَقُولُونَ عَلَى اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৮০। অ ক্বা-লূ লান্ তামাস্সানা ন্না-রু ইল্লায় আইয়্যা-মাম্ মা’দূদাহ; ক্বূল্ আত্তাখায্তুম্ ‘ইন্দাল্লা-হি ‘আহ্দান্ ফালাই ইয়ুখ্লিফাল্লা-হু আহ্দাহূূয় আম্ তাক্ব ূলূনা ‘আলাল্লা-হি মা-লা-তা’লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৮০ আর তারা বলে, ‘গোনা-কয়েকদিন ছাড়া আগুন আমাদেরকে কখনো স্পর্শ করবে না’। বল, ‘তোমরা কি আল্লাহর নিকট ওয়াদা নিয়েছ, ফলে আল্লাহ তাঁর ওয়াদা ভঙ্গ করবেন না? নাকি আল্লাহর উপর এমন কিছু বলছ, যা তোমরা জান না’?

2:81 بَلَى مَنْ كَسَبَ سَيِّئَةً وَأَحَاطَتْ بِهِ خَطِيئَتُهُ فَأُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৮১। বালা- মান্ কাসাবা সাইয়্যিয়াতাওঁ অআহা-ত্বোয়াত্ব ্ বিহী খাত্বী-য়াতুহূ ফাউল-য়িকা আছ্হা-বুন্ না-রি হুম্ ফীহা- খা-লিদূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৮১ হাঁ, যে মন্দ উপার্জন করবে এবং তার পাপ তাকে বেষ্টন করে নেবে, তারাই আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে হবে স্থায়ী।

2:82 وَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أُولَئِكَ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৮২। অল্লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া- লিহা-তি উলা-য়িকা আছ্হা-বুল্ জ্বান্নাতি হুম্ ফীহা- খা-লিদূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৮২ আর যারা ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে, তারা জান্নাতের অধিবাসী। তারা সেখানে হবে স্থায়ী।

 2:83 وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَاقَ بَنِي إِسْرَائِيلَ لَا تَعْبُدُونَ إِلَّا اللَّهَ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا وَذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَقُولُوا لِلنَّاسِ حُسْنًا وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ ثُمَّ تَوَلَّيْتُمْ إِلَّا قَلِيلًا مِنْكُمْ وَأَنْتُمْ مُعْرِضُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৮৩। অইয্ আখায্না- মীছা-ক্বা বানীয় ইস্রা-য়ীলা লা- তা’বুদূনা ইল্লাল্লা-হা অবিল ওয়া-লিদাইনি ইহ্সা-নাওঁ অযিল্ ক্বর্ ুবা- অল্ইয়াতা-মা- অল্মাসা-কীনি অক্ব ূলূ লিন্না-সি হুস্্নাওঁ অআক্বীমুছ্ ছলা-তা ওয়াআ-তুয্ যাকা-হ্; ছুম্মা তাওয়াল্লাইতুম্ ইল্লা- ক্বালীলাম্ মিন্কুম্ অআন্তুম্ মু’রিদ্বূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৮৩ আর স্মরণ কর, যখন আমি বনি ইসরাঈলের অঙ্গীকার গ্রহণ করলাম যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদাত করবে না এবং সদাচার করবে পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম ও মিসকিনদের সাথে। আর মানুষকে উত্তম কথা বল, সালাত কায়েম কর এবং জাকাত প্রদান কর। অতঃপর তোমাদের মধ্য থেকে স্বল্প সংখ্যক ছাড়া তোমরা ফিরে গেলে। আর তোমরা (স্বীকার করে অতঃপর তা থেকে) বিমুখ হও। 

2:84 وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَاقَكُمْ لَا تَسْفِكُونَ دِمَاءَكُمْ وَلَا تُخْرِجُونَ أَنْفُسَكُمْ مِنْ دِيَارِكُمْ ثُمَّ أَقْرَرْتُمْ وَأَنْتُمْ تَشْهَدُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৮৪। অইয্ আখায্না- মীছা-ক্বাকুম্ লা-তাস্ফিকূনা দিমা-য়াকুম্ অলা-তুখ্রিজ্ব ূনা আন্ফুসাকুম্ মিন্ দিইয়া-রিকুম্ ছুম্মা আক্বর্ ্রাতুম্ অআন্তুম্ তাশ্হাদূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৮৪ আর যখন আমি তোমাদের অঙ্গীকার গ্রহণ করলাম যে, তোমরা নিজদের রক্ত প্রবাহিত করবে না এবং নিজদেরকে তোমাদের গৃহসমূহ থেকে বের করবে না। অতঃপর তোমরা স্বীকার করে নিলে। আর তোমরা তার সাক্ষী। 

2:85 ثُمَّ أَنْتُمْ هَؤُلَاءِ تَقْتُلُونَ أَنْفُسَكُمْ وَتُخْرِجُونَ فَرِيقًا مِنْكُمْ مِنْ دِيَارِهِمْ تَظَاهَرُونَ عَلَيْهِمْ بِالْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَإِنْ يَأْتُوكُمْ أُسَارَى تُفَادُوهُمْ وَهُوَ مُحَرَّمٌ عَلَيْكُمْ إِخْرَاجُهُمْ أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاءُ مَنْ يَفْعَلُ ذَلِكَ مِنْكُمْ إِلَّا خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّونَ إِلَى أَشَدِّ الْعَذَابِ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৮৫। ছুম্মা আন্তুম হায় উলা-য়ি তাক্ব ্তুলূনা আন্ফুসাকুম্ অতুখ্রি ূনা ফারীক্বাম্ মিন্কুম্ মিন দিইয়া-রিহিম্ তাজোয়া-হারূনা ‘আলাইহিম্ বিল্ইছ্মি অল্‘উদ্ওয়া-ন্; অইঁইয়াতূকুম্ উসা-রা-তুফা-দূহুম্ অহুওয়া মুর্হারামুন্ ‘আলাইকুম ইখ্রা-জ্ব ুহুম্ ; আফাতুমিনূনা বিবা’দ্বিল্ কিতা-বি অতাক্ফুরূনা বিবা’দ্বিন্ ফামা-জ্বাযা-য়ু মাইঁ ইয়াফ্‘আলু যা-লিকা মিন্কুম্ ইল্লা- খিয্ইয়ুন্ ফিল্ হাইয়া-তিদ্ দুন্ইয়া- অইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি ইয়ুরাদ্দূনা ইলায় আশাদ্দিল্ ‘আযা-ব্; অমাল্লা-হু বিগা-ফিলিন্ আম্মা-তা’মালূন্ । বাংলা অনুবাদ ২.৮৫ অতঃপর তোমরাই তো তারা, যারা নিজদেরকে হত্যা করছ এবং তোমাদের মধ্য থেকে একটি দলকে তাদের গৃহ থেকে বের করে দিচ্ছ; পাপ ও সমীলঙ্ঘনের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে সহায়তা করছ। আর তারা যদি বন্দী হয়ে তোমাদের নিকট আসে, তোমরা মুক্তিপণ দিয়ে তাদেরকে মুক্ত কর। অথচ তাদেরকে বের করা তোমাদের জন্য হারাম ছিল। তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশে ঈমান রাখ আর কিছু অংশ অস্বীকার কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা তা করে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা ছাড়া তাদের কী প্রতিদান হতে পারে? আর কিয়ামতের দিনে তাদেরকে কঠিনতম আযাবে নিক্ষেপ করা হবে। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে গাফিল নন। 

2:86 أُولَئِكَ الَّذِينَ اشْتَرَوُا الْحَيَاةَ الدُّنْيَا بِالْآخِرَةِ فَلَا يُخَفَّفُ عَنْهُمُ الْعَذَابُ وَلَا هُمْ يُنْصَرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৮৬। উলা-য়িকাল লাযী নাশ্তারাউল্ হাইয়া-তাদ্ দুন্ইয়া-বিল্আ-খিরাতি ফালা-ইয়ুখাফ্ফাফু ‘আন্হুমুল্ ‘আযা-বু অলা-হুম ইয়ুন্ছোয়ারূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৮৬ তারা আখিরাতের বিনিময়ে দুনিয়ার জীবনকে খরিদ করেছে। সুতরাং তাদের থেকে আযাব হালকা করা হবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না। 

2:87 وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى الْكِتَابَ وَقَفَّيْنَا مِنْ بَعْدِهِ بِالرُّسُلِ وَآتَيْنَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ الْبَيِّنَاتِ وَأَيَّدْنَاهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ أَفَكُلَّمَا جَاءَكُمْ رَسُولٌ بِمَا لَا تَهْوَى أَنْفُسُكُمُ اسْتَكْبَرْتُمْ فَفَرِيقًا كَذَّبْتُمْ وَفَرِيقًا تَقْتُلُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৮৭। অলাক্বাদ্ আ-তাইনা- মূসাল্ কিতা-বা অক্বাফ্ফাইনা- মিম্ বা’দিহী র্বিরুসুলি অআ-তাইনা- ‘ঈ-সাব্না র্মাইয়ামাল্ বাইয়্যিনা-তি অআইয়্যাদ্না-হু বিরূহিল ক্বূদুস; আফাকুল্লামা- জ্বা-য়াকুম্ রাসূলুম্ বিমা- লা-তাহ্ওয়ায় আন্ফুসুকুমুস্ তার্ক্বাতুম্ ফাফারীক্বান্ কায্যাব্তুম্ অফারীক্বান্ তাক্ব ্তুলূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৮৭ আর আমি নিশ্চয় মূসাকে কিতাব দিয়েছি এবং তার পরে একের পর এক রাসূল প্রেরণ করেছি এবং মারইয়াম পুত্র ঈসাকে দিয়েছি সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ। আর তাকে শক্তিশালী করেছি ‘পবিত্র আত্মা’র মাধ্যমে। তবে কি তোমাদের নিকট যখনই কোন রাসূল এমন কিছু নিয়ে এসেছে, যা তোমাদের মনঃপূত নয়, তখন তোমরা অহঙ্কার করেছ, অতঃপর (নবীদের) একদলকে তোমরা মিথ্যাবাদী বলেছ আর একদলকে হত্যা করেছ। 

2:88 وَقَالُوا قُلُوبُنَا غُلْفٌ بَلْ لَعَنَهُمُ اللَّهُ بِكُفْرِهِمْ فَقَلِيلًا مَا يُؤْمِنُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৮৮। অক্বা-লূ ক্বূলূবুনা- গুল্ফ্; বাল্ লা‘আনাহুমুল্লা-হু বিকুফ্রিহিম্ ফাক্বালীলাম্ মা- ইয়ুমিনূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৮৮ আর তারা বলল, আমাদের অন্তরসমূহ আচ্ছাদিত; বরং তাদের কুফরীর কারণে আল্লাহ তাদেরকে লা‘নত করেছেন। অতঃপর তারা খুব কমই ঈমান আনে। 

2:89 وَلَمَّا جَاءَهُمْ كِتَابٌ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ مُصَدِّقٌ لِمَا مَعَهُمْ وَكَانُوا مِنْ قَبْلُ يَسْتَفْتِحُونَ عَلَى الَّذِينَ كَفَرُوا فَلَمَّا جَاءَهُمْ مَا عَرَفُوا كَفَرُوا بِهِ فَلَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الْكَافِرِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৮৯। অলাম্মা-জ্বা-য়াহুম্ কিতা-বুম্ মিন ‘ইনদিল্লা-হি মুছোয়াদ্দিক্বূল্লিমা- মা‘আহুম অকা-নূ মিন্ ক্বাব্লু ইয়াস্তাফ্তিহূনা ‘আলাল্ লাযীনা কাফারূ ফালাম্মা-জ্বা-য়াহুম্ মা- ‘আরাফূ কাফারূ বিহী ফালা’নাতুল্লা-হি ‘আলাল্ কা-ফিরীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৮৯ আর যখন তাদের কাছে, তাদের সাথে যা আছে, আল্লাহর পক্ষ থেকে তার সত্যায়নকারী কিতাব এল, আর তারা (এর মাধ্যমে) পূর্বে কাফিরদের উপর বিজয় কামনা করত। সুতরাং যখন তাদের নিকট এল যা তারা চিনত, তখন তারা তা অস্বীকার করল। অতএব কাফিরদের উপর আল্লাহর লা‘নত। 

2:90 بِئْسَمَا اشْتَرَوْا بِهِ أَنْفُسَهُمْ أَنْ يَكْفُرُوا بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ بَغْيًا أَنْ يُنَزِّلَ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ عَلَى مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ فَبَاءُوا بِغَضَبٍ عَلَى غَضَبٍ وَلِلْكَافِرِينَ عَذَابٌ مُهِينٌ আরবি উচ্চারণ ২.৯০। বিসামাশ্ তারাও বিহীয় আন্ফুসাহুম্ আইঁ ইয়াক্ফুরূ বিমায় আন্যালাল্লা-হু বাগ্ইয়ান্ আইঁ ইয়ুনায্যিলাল্লা-হু মিন্ ফাদ্ব্লিহী ‘আলা- মাইঁ ইয়াশা-য়ু মিন্ ‘ইবা-দিহী ফাবা-য়ূ বিগাদ্বোয়াবিন্ ‘আলা-গাদ্বোয়াব্; অলিল্ কা-ফিরীনা ‘আযা-বুম্ মুহীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৯০ যার বিনিময়ে তারা নিজদেরকে বিক্রয় করেছে তা কত জঘন্য (তা এই) যে, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা তারা অস্বীকার করেছে এই জিদের বশবর্তী হয়ে যে, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা তার উপর তাঁর অনুগ্রহ নাযিল করেছেন। সুতরাং তারা ক্রোধের উপর ক্রোধের অধিকারী হল। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর আযাব।

2:91 وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ آمِنُوا بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ قَالُوا نُؤْمِنُ بِمَا أُنْزِلَ عَلَيْنَا وَيَكْفُرُونَ بِمَا وَرَاءَهُ وَهُوَ الْحَقُّ مُصَدِّقًا لِمَا مَعَهُمْ قُلْ فَلِمَ تَقْتُلُونَ أَنْبِيَاءَ اللَّهِ مِنْ قَبْلُ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৯১। অইযা- ক্বীলা লাহুম আ-মিনূ বিমায় আন্যালাল্লা-হু ক্বা-লূ নুমিনু বিমায় উন্যিলা ‘আলাইনা- অইয়াক্ফুরূনা বিমা- অরা-য়াহ ূঅহুওয়াল্ হাক্ব ্ক্বূ মুছোয়াদ্দিক্বাল্ লিমা- মা‘আহুম; ক্বূল্ ফালিমা তাক্ব ্তুলূনা আম্বিয়া-য়াল্লা-হি মিন্ ক্বাব্লু ইন কুন্তুম্ মুমিনীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৯১ আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ যা নাজিল করেছেন তোমরা তার প্রতি ঈমান আন’। তারা বলে, ‘আমাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে আমরা তা বিশ্বাস করি’। আর এর বাইরে যা আছে তারা তা অস্বীকার করে। অথচ তা সত্য, তাদের সাথে যা আছে তার সত্যায়নকারী। বল, ‘তবে কেন তোমরা আল্লাহর নবীদেরকে পূর্বে হত্যা করতে, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক’?

2:92 وَلَقَدْ جَاءَكُمْ مُوسَى بِالْبَيِّنَاتِ ثُمَّ اتَّخَذْتُمُ الْعِجْلَ مِنْ بَعْدِهِ وَأَنْتُمْ ظَالِمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৯২। অলাক্বাদ্ জ্বা-য়াকুম্ মূসা- বিল্বাইয়্যিনা-তি ছুম্মাত্তাখায্তুমুল্ ‘ইজলা মিম্ বা’দিহী অআনতুম্ জোয়া-লিমূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৯২ আর অবশ্যই মূসা তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছে। অতঃপর তোমরা তার পরে বাছুরকে (উপাস্যরূপে) গ্রহণ করলে। আর তোমরা তো যালিম। 

2:93 وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَاقَكُمْ وَرَفَعْنَا فَوْقَكُمُ الطُّورَ خُذُوا مَا آتَيْنَاكُمْ بِقُوَّةٍ وَاسْمَعُوا قَالُوا سَمِعْنَا وَعَصَيْنَا وَأُشْرِبُوا فِي قُلُوبِهِمُ الْعِجْلَ بِكُفْرِهِمْ قُلْ بِئْسَمَا يَأْمُرُكُمْ بِهِ إِيمَانُكُمْ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৯৩। অইয্ আখায্না- মীছা-ক্বাকুম্ অরাফা’না- ফাওক্বাকুমুত্ব ্ ত্ব ূর; খুযূ মায় আতাইনা-কুম্ বিক্বূওয়্যাতিওঁ অস্মা‘ঊ; ক্বা-লূ সামি’না- অ‘আছোয়াইনা- অউশ্রিবূ ফী ক্বূলূবিহিমুল্ ‘ইজলা বিকুফ্রিহিম; ক্বূল্ বিসামা- ইয়ামুরুকুম্ বিহীয় ঈমা-নুকুম্ ইন্ কুন্তুম্ মুমিনীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৯৩ আর স্মরণ কর, যখন আমি তোমাদের প্রতিশ্র“তি গ্রহণ করেছিলাম এবং তোমাদের উপর তূরকে উঠিয়েছিলাম- (বলেছিলাম) ‘আমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি তা শক্তভাবে ধর এবং শোন’। তারা বলেছিল, ‘আমরা শুনলাম এবং অমান্য করলাম। আর তাদের কুফরীর কারণে তাদের অন্তরে পান করানো হয়েছিল গো- বাছুরের প্রতি আকর্ষণ। বল, ‘তোমাদের ঈমান যার নির্দেশ দেয় কত মন্দ তা! যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক’। 

2:94 قُلْ إِنْ كَانَتْ لَكُمُ الدَّارُ الْآخِرَةُ عِنْدَ اللَّهِ خَالِصَةً مِنْ دُونِ النَّاسِ فَتَمَنَّوُا الْمَوْتَ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৯৪। ক্বূল্ ইন্ কা-নাত্ লাকুমুদ্ দা-রুল্ আ-খিরাতু ‘ইন্দাল্লা-হি খা-লিছোয়াতাম্ মিন্ দূনিন্ না-সি ফাতামান্নায়ুল্ মাওতা ইন্ কুন্তুম্ ছোয়া-দিক্বীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৯৪ বল, ‘যদি অন্যান্য মানুষ ছাড়া আল্লাহর নিকট আখিরাতের আবাস শুধু তোমাদের জন্যই নির্দিষ্ট থাকে, তবে তোমরা মৃত্যু কামনা কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক’। 

2:95 وَلَنْ يَتَمَنَّوْهُ أَبَدًا بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيهِمْ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِالظَّالِمِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৯৫। অলাইঁ ইয়াতামান্নাওহু আবাদাম্ বিমা- ক্বাদ্দামাত্ আইদীহিম; অল্লা-হু ‘আলীমুম্ বিজ্জোয়া-লিমীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৯৫ আর তারা কখনো তা কামনা করবে না, তাদের হাত যা পাঠিয়েছে তার কারণে। আর আল্লাহ যালিমদের সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত। 

2:96 وَلَتَجِدَنَّهُمْ أَحْرَصَ النَّاسِ عَلَى حَيَاةٍ وَمِنَ الَّذِينَ أَشْرَكُوا يَوَدُّ أَحَدُهُمْ لَوْ يُعَمَّرُ أَلْفَ سَنَةٍ وَمَا هُوَ بِمُزَحْزِحِهِ مِنَ الْعَذَابِ أَنْ يُعَمَّرَ وَاللَّهُ بَصِيرٌ بِمَا يَعْمَلُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৯৬। অলাতাজ্বিদান্নাহুম্ আহ্রাছোয়ান না-সি ‘আলা-হাইয়া-তিন্, অমিনাল্ লাযীনা আশরাকূ ইয়াঅদ্দু আহাদুহুম লাও ইয়ু‘আম্মারু আল্ফা সানাতিন্, অমা-হুওয়া বিমুযাহ্যিহিহী মিনাল্ ‘আযা-বি আইঁ ইয়ু‘আর্ম্মা; অল্লা-হু বাছীরুম্ বিমা- ইয়া’মালূন্। বাংলা অনুবাদ ২.৯৬ আর তুমি তাদেরকে পাবে জীবনের প্রতি সর্বাধিক লোভী মানুষরূপে। এমনকি তাদের থেকেও যারা র্শিক করেছে। তাদের একজন কামনা করে, যদি হাজার বছর তাকে জীবন দেয়া হত! অথচ দীর্ঘজীবী হলেই তা তাকে আযাব থেকে নিষ্কৃতি দিতে পারবে না। আর তারা যা করে আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক দ্রষ্টা। 

2:97 قُلْ مَنْ كَانَ عَدُوًّا لِجِبْرِيلَ فَإِنَّهُ نَزَّلَهُ عَلَى قَلْبِكَ بِإِذْنِ اللَّهِ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَهُدًى وَبُشْرَى لِلْمُؤْمِنِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৯৭। ক্বূল্ মান্ কা-না ‘আদুওয়্যাল লিজ্বিব্রীলা ফাইন্নাহূ নায্যালাহূ ‘আলা- ক্বাল্বিকা বিইয্নিল্লা-হি মুছোয়াদ্দিক্বাল্ লিমা-বাইনা ইয়াদাইহি অহুদাওঁ অবুশ্রা-লিল্মুমিনীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৯৭ বল, ‘যে জিবরীলের শত্র“ হবে (সে অনুশোচনায় মরুক) কেননা নিশ্চয় জিবরীল তা আল্লাহর অনুমতিতে তোমার অন্তরে নাযিল করেছে, তার সামনে থাকা কিতাবের সমর্থক, হিদায়াত ও মুমিনদের জন্য সুসংবাদরূপে’। 

2:98 مَنْ كَانَ عَدُوًّا لِلَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَرُسُلِهِ وَجِبْرِيلَ وَمِيكَالَ فَإِنَّ اللَّهَ عَدُوٌّ لِلْكَافِرِينَ আরবি উচ্চারণ ২.৯৮। মান্ কা-না ‘আদুও ওয়াল লিল্লা-হি অমালা-য়িকাতিহী অরুসুলিহী অজ্বিব্রীলা অমীকা-লা ফাইন্নাল্লা-হা ‘আদুওয়্যাল্লিল্ কা-ফিরীন্। বাংলা অনুবাদ ২.৯৮ ‘যে শত্র“ হবে আল্লাহর, তাঁর ফেরেশতাদের, তাঁর রাসূলগণের, জিবরীলের ও মীকাঈলের তবে নিশ্চয় আল্লাহ কাফিরদের শত্র“’। 

2:99 وَلَقَدْ أَنْزَلْنَا إِلَيْكَ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ وَمَا يَكْفُرُ بِهَا إِلَّا الْفَاسِقُونَ আরবি উচ্চারণ ২.৯৯। অলাক্বাদ আন্যাল্নায় ইলাইকা আ-ইয়া-তিম্ বাইয়্যিনা-তিন্ অমা-ইয়াক্ফুরু বিহায় ইল্লাল্ ফা-সিক্ব ূন। বাংলা অনুবাদ ২.৯৯ আর আমি অবশ্যই তোমার প্রতি সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নাযিল করেছি, ফাসিকরা ছাড়া অন্য কেউ তা অস্বীকার করে না। 

2:100 أَوَكُلَّمَا عَاهَدُوا عَهْدًا نَبَذَهُ فَرِيقٌ مِنْهُمْ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১০০। আওয়া কুল্লামা- ‘আ-হাদূ‘ আহ্দান নাবাযাহূ ফারীক্বূম্ মিন্হুম্; বাল্ আক্ছারুহুম্ লা-ইয়ুমিনূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১০০ তবে কি যখনই তারা কোন ওয়াদা করেছে, তখনই তাদের মধ্য থেকে কোন এক দল তা ছুড়ে মেরেছে? বরং তাদের অধিকাংশ ঈমান রাখে না। 

2:101 وَلَمَّا جَاءَهُمْ رَسُولٌ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ مُصَدِّقٌ لِمَا مَعَهُمْ نَبَذَ فَرِيقٌ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ كِتَابَ اللَّهِ وَرَاءَ ظُهُورِهِمْ كَأَنَّهُمْ لَا يَعْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১০১। অলাম্মা-জ্বা-য়াহুম্ রাসূলুম্ মিন্ ‘ইন্দিল্লা-হি মুছোয়াদ্দিক্ব ুল লিমা- মা‘আহুম্ নাবাযা ফারীক্ব ুম্ মিনাল্লাযীনা ঊতুল্ কিতা-বা কিতাবা ল্লা-হি অরা-য়া জুহূরিহিম কাআন্নাহুম্ লা-ইয়া’লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১০১ আর যখন তাদের নিকট আল্লাহর কাছ থেকে একজন রাসূল এল, তাদের সাথে যা আছে তা সমর্থন করে, তখন আহলে কিতাবের একটি দল আল্লাহর কিতাবকে তাদের পেছনে ফেলে দিল, (এভাবে যে) মনে হয় যেন তারা জানে না।
2:102 وَاتَّبَعُوا مَا تَتْلُو الشَّيَاطِينُ عَلَى مُلْكِ سُلَيْمَانَ وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَكِنَّ الشَّيَاطِينَ كَفَرُوا يُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحْرَ وَمَا أُنْزِلَ عَلَى الْمَلَكَيْنِ بِبَابِلَ هَارُوتَ وَمَارُوتَ وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّى يَقُولَا إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلَا تَكْفُرْ = فَيَتَعَلَّمُونَ مِنْهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِ بَيْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِهِ وَمَا هُمْ بِضَارِّينَ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ وَيَتَعَلَّمُونَ مَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنْفَعُهُمْ وَلَقَدْ عَلِمُوا لَمَنِ اشْتَرَاهُ مَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْا بِهِ أَنْفُسَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১০২। অত্তাবা‘ঊ মা-তাত্লুশ্ শাইয়া-ত্বীনু ‘আলা-মুল্কি সুলাইমা-না অমা-কাফারা সুলাইমা-নু অলা-কিন্নাশ্ শাইয়া-ত্বীনা কাফারূ ইয়ু‘আল্লিমূনান্ না-স্াস্ সিহ্রা অমায় উন্যিলা ‘আলাল্ মালাকাইনি বিবা-বিলা হা-রূতা অমা-রূত্; অমা-ইয়ু‘আল্লিমা-নি মিন্ আহাদিন্ হাত্তা-ইয়াক্ব ূলায় ইন্নামা-নাহ্নু ফিত্নাতুন্ ফালা-তার্ক্ফু ; ফাইয়াতা‘আল্লামূনা মিনহুমা- মা- ইয়ুর্ফারিক্ব ূনা বিহী বাইনাল্ র্মায়ি অযাওজ্বিহ্; অমা-হুম বিদ্বোয়ার্-রীনা বিহী মিন্ আহাদিন্ ইল্লা-বিইয্নিল্লা-হ্; অইয়াতা‘আল্লামূনা মা-ইয়ার্দ্বুরুহুম্ অলা-ইয়ান্ফা‘উহুম্; অলাক্বাদ্ ‘আলিমূ লামানিশ্ তারা-হু মা-লাহূ ফিল্ আ-খিরাতি মিন্ খালা-ক্ব ্ ; অলাবিসা মা- শারাও বিহীয় আন্ফুসাহুম্ ; লাও কা-নূ ইয়া’লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১০২ আর তারা অনুসরণ করেছে, যা শয়তানরা সুলাইমানের রাজত্বে পাঠ করত। আর সুলাইমান কুফরী করেনি; বরং শয়তানরা কুফরী করেছে। তারা মানুষকে যাদু শেখাত এবং (তারা অনুসরণ করেছে) যা নাযিল করা হয়েছিল বাবেলের দুই ফেরেশতা হারূত ও মারূতের উপর। আর তারা কাউকে শেখাত না যে পর্যন্ত না বলত যে, ‘আমরা তো পরীক্ষা, সুতরাং তোমরা কুফরী করো না।' এরপরও তারা এদের কাছ থেকে শিখত, যার মাধ্যমে তারা পুরুষ ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাত। অথচ তারা তার মাধ্যমে কারো কোন ক্ষতি করতে পারত না আল্লাহর অনুমতি ছাড়া। আর তারা শিখত যা তাদের ক্ষতি করত, তাদের উপকার করত না এবং তারা নিশ্চয় জানত যে, যে ব্যক্তি তা ক্রয় করবে, আখিরাতে তার কোন অংশ থাকবে না। আর তা নিশ্চিতরূপে কতই-না মন্দ, যার বিনিময়ে তারা নিজদেরকে বিক্রয় করেছে। যদি তারা বুঝত। 
2:103 وَلَوْ أَنَّهُمْ آمَنُوا وَاتَّقَوْا لَمَثُوبَةٌ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ خَيْرٌ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১০৩। অলাও আন্নাহুম্ আ-মানূ অত্তাক্বাও লামাছূবাতুম্ মিন্ ‘ইন্দিল্লা-হি খার্ই; লাও কা-নূ ইয়া’লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১০৩ আর যদি তারা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত, তবে অবশ্যই আল্লাহর পক্ষ থেকে (তাদের জন্য) প্রতিদান উত্তম হত। যদি তারা জানত। 
2:104 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقُولُوا رَاعِنَا وَقُولُوا انْظُرْنَا وَاسْمَعُوا وَلِلْكَافِرِينَ عَذَابٌ أَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.১০৪। ইয়ায় আইয়্যুহাল্ লাযীনা আ-মানূ লা-তাক্ব ূ লূ রা-‘ইনা- অক্ব ূলুন্ র্জুনা- অস্মা‘উ; অলিল্ কা-ফিরীনা ‘আযা-বুন্ আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.১০৪ হে মুমিনগণ, তোমরা ‘রা‘ইনা’ বলো না; বরং বল, ‘উনজুরনা’ আর শোন, কাফিরদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
2:105 مَا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَلَا الْمُشْرِكِينَ أَنْ يُنَزَّلَ عَلَيْكُمْ مِنْ خَيْرٍ مِنْ رَبِّكُمْ وَاللَّهُ يَخْتَصُّ بِرَحْمَتِهِ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ আরবি উচ্চারণ ২.১০৫। মা-ইয়াঅদ্দুল্লাযীনা কাফারূ মিন্ আহলিল্ কিতা-বি অলাল্ মুশরিকীনা আইঁ ইয়ুনায্যালা ‘আলাইকুম্ মিন্ খাইরিম র্মি রব্বিকুম; অল্লা-হু ইয়াখ্তাছ্ছু বিরাহ্মাতিহী মাইঁ ইয়াশা-য়ু অল্লা-হু যুল্ফাদ্ব্লিল্ ‘আজীম্। বাংলা অনুবাদ ২.১০৫ আহলে কিতাব ও মুশরিকদের মধ্য থেকে যারা কুফরী করেছে, তারা চায় না যে, তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের উপর কোন কল্যাণ নাযিল হোক। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে তাঁর রহমত দ্বারা খাস করেন এবং আল্লাহ মহান অনুগ্রহের অধিকারী। 

2:106 مَا نَنْسَخْ مِنْ آيَةٍ أَوْ نُنْسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِنْهَا أَوْ مِثْلِهَا أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ আরবি উচ্চারণ ২.১০৬। মা-নান্সাখ্ মিন্ আ-ইয়াতিন আও নুন্সিহা- নাতি বিখাইরিম্ মিনহায় আও মিছ্লিহা-; আলাম্ তা’লাম্ আন্নাল্লা-হা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন ক্বার্দী। বাংলা অনুবাদ ২.১০৬ আমি যে আয়াত রহিত করি কিংবা ভুলিয়ে দেই, তার চেয়ে উত্তম কিংবা তার মত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। 

2:107 أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ اللَّهَ لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا لَكُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ مِنْ وَلِيٍّ وَلَا نَصِيرٍ আরবি উচ্চারণ ২.১০৭। আলাম্ তা’লাম আন্নাল্লা-হা লাহূ ্মুল্কুস্ সামা-ওয়া-তি অল্র্আদ্ব্; অমা-লাকুম্ মিন্ দূনিল্লা-হি মিও ঁ অলিয়্যিওঁ অলা- নার্ছী। বাংলা অনুবাদ ২.১০৭ তুমি কি জান না যে, নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব আল্লাহর। আর আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী নেই। 

2:108 أَمْ تُرِيدُونَ أَنْ تَسْأَلُوا رَسُولَكُمْ كَمَا سُئِلَ مُوسَى مِنْ قَبْلُ = وَمَنْ يَتَبَدَّلِ الْكُفْرَ بِالْإِيمَانِ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاءَ السَّبِيلِ আরবি উচ্চারণ ২.১০৮। আম্ তুরীদূনা আন্ তাস্য়ালূ রাসূলাকুম্ কামা- সুয়িলা মূসা- মিন্ কাব্ল্ ; অমাইঁ ইয়াতাবাদ্দালিল্ কুফ্রা বিল্ ঈমা-নি ফাক্বাদ্ব্ দ্বোয়াল্লা সাওয়া-য়াস্ সাবীল্। বাংলা অনুবাদ ২.১০৮ নাকি তোমরা চাও তোমাদের রাসূলকে প্রশ্ন করতে, যেমন পূর্বে মূসাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল? আর যে ঈমানকে কুফরে পরিবর্তন করবে, সে নিশ্চয় সোজা পথবিচ্যুত হল।

 2:109 وَدَّ كَثِيرٌ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَوْ يَرُدُّونَكُمْ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِكُمْ كُفَّارًا حَسَدًا مِنْ عِنْدِ أَنْفُسِهِمْ مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الْحَقُّ فَاعْفُوا وَاصْفَحُوا حَتَّى يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ إِنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ আরবি উচ্চারণ ২.১০৯। অদ্দা কাছীরুম্ মিন্ আহ্লিল্ কিতা-বি লাও ইয়ারুদ্দূনাকুম্ মিম্ বা’দি ঈমা-নিকুম্ কুফ্ফা-রান্ হাসাদাম্ মিন্ ‘ইনদি আন্ফুসিহিম মিম্ বা’দি মা-তাবাইয়্যানা লাহুমুল্ হাক্ব্ ্ক্ব ু ফা’ফূ অছ্ফাহূ হাত্তা- ইয়াতিয়াল্লা-হু বিআম্রিহ্; ইন্নাল্লা-হা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন্ ক্বাদীর্-। বাংলা অনুবাদ ২.১০৯ আহলে কিতাবের অনেকেই চায়, যদি তারা তোমাদেরকে ঈমান আনার পর কাফির অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারত! সত্য স্পষ্ট হওয়ার পর তাদের পক্ষ থেকে হিংসাবশত (তারা এরূপ করে থাকে)। সুতরাং তোমরা ক্ষমা কর এবং এড়িয়ে চল, যতক্ষণ না আল্লাহ তাঁর নির্দেশ দেন। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান। 

2:110 وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَمَا تُقَدِّمُوا لِأَنْفُسِكُمْ مِنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِنْدَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ আরবি উচ্চারণ ২.১১০। অ আক্বী মুছ্ ছলা-তা অআ-তুয্ যাকা-তা ; অমা- তুক্বাদ্দিমূ লিআন্ফুসিকুম্ মিন্ খাইরিন্ তাজ্বিদূহু ‘ইন্দাল্লা-হ্ ; ইন্নাল্লা-হা বিমা- তা’মালূনা বাছীর। বাংলা অনুবাদ ২.১১০ আর তোমরা সালাত কায়েম কর ও যাকাত দাও এবং যে নেক আমল তোমরা নিজদের জন্য আগে পাঠাবে, তা আল্লাহর নিকট পাবে। তোমরা যা করছ নিশ্চয় আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা। 

2:111 وَقَالُوا لَنْ يَدْخُلَ الْجَنَّةَ إِلَّا مَنْ كَانَ هُودًا أَوْ نَصَارَى تِلْكَ أَمَانِيُّهُمْ قُلْ هَاتُوا بُرْهَانَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ আরবি উচ্চারণ ২.১১১। অক্বা-লূ লাইঁ ইয়াদ্খুলাল্ জ্বান্নাতা ইল্লা- মান্ কা-না হূদান্ আও নাছোয়া-রা-; তিল্কা আমা-নিয়্যুহুম্; ক্ব ুল্ হা-তূ বুরহা-নাকুম্ ইনকুনতুম ছোয়া-দিক্বীন্। বাংলা অনুবাদ ২.১১১ আর তারা বলে, ইয়াহূদী কিংবা নাসারা ছাড়া অন্য কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এটা তাদের মিথ্যা আশা। বল, ‘তোমরা তোমাদের প্রমাণ নিয়ে আস, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক’। 

2:112 بَلَى مَنْ أَسْلَمَ وَجْهَهُ لِلَّهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ فَلَهُ أَجْرُهُ عِنْدَ رَبِّهِ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১১২। বালা- মান্ আস্লামা অজ্ব ্হাহূ লিল্লা-হি অহুওয়া মুহ্সিনুন্ ফালাহূয় আজ্বরুহূ ‘ইন্দা রব্বিহী অলা-খাওফুন ‘আলাইহিম অলা-হুম ইয়াহ্যানূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১১২ হ্যাঁ, যে নিজকে আল্লাহর কাছে সোপর্দ করেছে এবং সে সৎকর্মশীলও, তবে তার জন্য রয়েছে তার রবের নিকট প্রতিদান। আর তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। 

2:113 وَقَالَتِ الْيَهُودُ لَيْسَتِ النَّصَارَى عَلَى شَيْءٍ وَقَالَتِ النَّصَارَى لَيْسَتِ الْيَهُودُ عَلَى شَيْءٍ وَهُمْ يَتْلُونَ الْكِتَابَ كَذَلِكَ قَالَ الَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ مِثْلَ قَوْلِهِمْ = فَاللَّهُ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১১৩। অক্বা-লাতিল্ ইয়াহূদু লাইসাতিন্ নাছোয়া-রা-‘আলা-শাইয়্যিওঁ অক্বা-লাতিন্ নাছোয়া-রা- লাইসাতিল্ ইয়াহূদু ‘আলা- শাইয়্যিওঁ অহুম্ ইয়াত্লূ নাল্ কিতা-ব্; কাযা-লিকা ক্বা-লাল্ লাযীনা লা-ইয়া’লামূনা মিছ্লা ক্বাওলিহিম্ ফাল্লা-হু ইয়াহ্কুমু বাইনাহুম্ ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি ফীমা- কা-নূ ফীহি ইয়াখ্তালিফূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১১৩ আর ইয়াহূদীরা বলে, ‘নাসারাদের কোন ভিত্তি নেই’ এবং নাসারারা বলে ‘ইয়াহূদীদের কোন ভিত্তি নেই’। অথচ তারা কিতাব পাঠ করে। এভাবেই, যারা কিছু জানে না, তারা তাদের কথার মত কথা বলে। সুতরাং আল্লাহ কিয়ামত দিনে যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করত সে বিষয়ে তাদের মধ্যে ফয়সালা করবেন। 

2:114 وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ مَنَعَ مَسَاجِدَ اللَّهِ أَنْ يُذْكَرَ فِيهَا اسْمُهُ وَسَعَى فِي خَرَابِهَا أُولَئِكَ مَا كَانَ لَهُمْ أَنْ يَدْخُلُوهَا إِلَّا خَائِفِينَ لَهُمْ فِي الدُّنْيَا خِزْيٌ وَلَهُمْ فِي الْآخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.১১৪। অমান্ আΩলামু মিম্মাম্ মান‘আ মাসা-জ্বিদাল্লা-হি আইঁ ইয়ুয্কারা ফীহাছ্মুহূ- অসা‘আ-ফী খারা-বিহা-; উলা-য়িকা মা-কানা লাহুম আইঁ ইয়াদ্খুলূহায় ইল্লা-খা-য়িফীন্; লাহুম্ ফিদ্ দুন্ইয়া-খিয্ইয়ুওঁ অলাহুম ফিল আ-খিরাতি ‘আযা-বুন্ ‘আজীম্। বাংলা অনুবাদ ২.১১৪ আর তার চেয়ে অধিক যালেম কে, যে আল্লাহর মাসজিদসমূহে তাঁর নাম স্মরণ করা থেকে বাধা প্রদান করে এবং তা বিরাণ করতে চেষ্টা করে? তাদের তো উচিৎ ছিল ভীত হয়ে তাতে প্রবেশ করা। তাদের জন্য দুনিয়ায় রয়েছে লাঞ্ছনা আর আখিরাতে তাদের জন্য রয়েছে মহাআযাব। 

2:115 وَلِلَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ وَاسِعٌ عَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.১১৫। অলিল্লা-হিল্ মাশ্রিক্ব ুঅল্ মাগ্রিবু ফাআইনামা-তুওয়াল্লূ ফাছাম্মা অজ্ব ্হুল্লা-হ্; ইন্নাল্লা-হা ওয়া-সি‘উন্ ‘আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.১১৫ আর পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। সুতরাং তোমরা যে দিকেই মুখ ফিরাও, সে দিকেই আল্লাহর চেহারা। নিশ্চয় আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। 

2:116 وَقَالُوا اتَّخَذَ اللَّهُ وَلَدًا سُبْحَانَهُ بَلْ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ كُلٌّ لَهُ قَانِتُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১১৬। অক্বা-লুত তাখাযাল্লা-হু অলাদান্ সুব্হা-নাহ্; বাল্ লাহূ মা- ফিস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্ব্ ; কুল্লুল্ লাহূ ক্বা-নিতূন। বাংলা অনুবাদ ২.১১৬ আর তারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। তিনি পবিত্র মহান; বরং আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তা তাঁরই । সব তারই অনুগত। 

2:117 بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَإِذَا قَضَى أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ আরবি উচ্চারণ ২.১১৭। বাদী‘উস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্ব্; অইযা-ক্বাদ্বোয়ায় আম্রান্ ফাইন্নামা- ইয়াক্ব ূলু লাহূ কুন্ ফাইয়া-কূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১১৭ তিনি আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা। আর যখন তিনি কোন বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেন, তখন কেবল বলেন ‘হও’ ফলে তা হয়ে যায়। 

2:118 وَقَالَ الَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ لَوْلَا يُكَلِّمُنَا اللَّهُ أَوْ تَأْتِينَا آيَةٌ كَذَلِكَ قَالَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ مِثْلَ قَوْلِهِمْ تَشَابَهَتْ قُلُوبُهُمْ قَدْ بَيَّنَّا الْآيَاتِ لِقَوْمٍ يُوقِنُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১১৮। অক্বা-লাল্লাযীনা লা-ইয়া’লামূনা লাওলা-ইয়ুকাল্লিমুনাল্লা-হু আও তাতীনায় আ-ইয়াহ;কাযা-লিকা ক্বা-লাল্লাযীনা মিন্ ক্বাবলিহিম্ মিছ্লা ক্বাওলিহিম্; তাশা-বাহাত্ ক্ব ুলূবুহুম্; ক্বাদ্ বাইয়্যান্নাল্ আ-ইয়া-তি লিক্বাওমিইঁ ইয়ূক্বিনূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১১৮ আর যারা জানে না, তারা বলে, ‘কেন আল্লাহ আমাদের সাথে কথা বলেন না কিংবা আমাদের কাছে কোন নিদর্শন আসে না’? এভাবেই, যারা তাদের পূর্বে ছিল তারা তাদের কথার মত কথা বলেছে। তাদের অন্তরসমূহ একই রকম হয়ে গিয়েছে। আমি তো আয়াতসমূহ সুস্পষ্ট করে দিয়েছি এমন কওমের জন্য, যারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে। 

2:119 إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ بِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَلَا تُسْأَلُ عَنْ أَصْحَابِ الْجَحِيمِ وَلَنْ تَرْضَى عَنْكَ الْيَهُودُ وَلَا النَّصَارَى حَتَّى تَتَّبِعَ مِلَّتَهُمْ قُلْ إِنَّ هُدَى اللَّهِ هُوَ الْهُدَى = আরবি উচ্চারণ ২.১১৯। ইন্নায় র্আসাল্না-কা বিল্হাক্ব্ ্ক্বি বাশীরাওঁ অনাযীরাওঁ অলা-তুস্য়ালু ‘আন্ আছ্হা-বিল্ জ্বাহীম। বাংলা অনুবাদ ২.১১৯ নিশ্চয় আমি তোমাকে প্রেরণ করেছি সত্যসহ, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে এবং তোমাকে আগুনের অধিবাসীদের সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে না। 

2:120 وَلَئِنِ اتَّبَعْتَ أَهْوَاءَهُمْ بَعْدَ الَّذِي جَاءَكَ مِنَ الْعِلْمِ مَا لَكَ مِنَ اللَّهِ مِنْ وَلِيٍّ وَلَا نَصِيرٍ আরবি উচ্চারণ ২.১২০। অলান্ র্তাদ্বোয়া-‘আন্কাল্ ইয়াহূদু অলান্ নাছোয়া-রা- হাত্তা- তাত্ত্বাবি‘আ মিল্লাতাহুম্; ক্ব ুল্ ইন্না হুদাল্লা-হি হুওয়াল্ হুদা-; অলায়িনিত তাবা’তা আহ্ওয়া-য়াহুম্ বা’দাল্লাযী জ্বা-য়াকা মিনাল্ ‘ইল্মি মা-লাকা মিনাল্লা-হি মিওঁ অলিয়ি্যঁওঁ অলা-নার্ছী। বাংলা অনুবাদ ২.১২০ আর ইয়াহূদী ও নাসারারা কখনো তোমার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষণ না তুমি তাদের মিল্লাতের অনুসরণ কর। বল, ‘নিশ্চয় আল্লাহর হিদায়াতই হিদায়াত’ আর যদি তুমি তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ কর তোমার কাছে যে জ্ঞান এসেছে তার পর, তাহলে আল্লাহর বিপরীতে তোমার কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী থাকবে না। 

2:121 الَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَتْلُونَهُ حَقَّ تِلَاوَتِهِ أُولَئِكَ يُؤْمِنُونَ بِهِ وَمَنْ يَكْفُرْ بِهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১২১। আল্লাযীনা আ-তাইনা হুমুল কিতা-বা ইয়াত্লূনাহূ হাক্ব ্ক্বা তিলা-ওয়াতিহ ; উলা-য়িকা ইয়ুমিনূনা বিহ্; অমাইঁ ইয়াক্ফুর বিহী ফাউলা-য়িকা হুমুল্ খা-সিরূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১২১ যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছি, তারা তা পাঠ করে যথার্থভাবে। তারাই তার প্রতি ঈমান আনে। আর যে তা অস্বীকার করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। 

2:122 يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ اذْكُرُوا نِعْمَتِيَ الَّتِي أَنْعَمْتُ عَلَيْكُمْ وَأَنِّي فَضَّلْتُكُمْ عَلَى الْعَالَمِينَ আরবি উচ্চারণ ২.১২২। ইয়া-বানীয় ইস্রা-য়ীলায্ কুরূ নি’মাতিইয়াল্লাতীয় আন্‘আম্তু ‘আলাইকুম্ অআন্নী ফাদ্ব্দ্বোয়াল্তুকুম্ ‘আলাল্ ‘আ-লামীন্। বাংলা অনুবাদ ২.১২২ হে বনী ইসরাঈল, তোমরা আমার নিআমতকে স্মরণ কর, যা আমি তোমাদেরকে দিয়েছি। আর নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি সৃষ্টিকুলের উপর। 

2:123 وَاتَّقُوا يَوْمًا لَا تَجْزِي نَفْسٌ عَنْ نَفْسٍ شَيْئًا وَلَا يُقْبَلُ مِنْهَا عَدْلٌ وَلَا تَنْفَعُهَا شَفَاعَةٌ وَلَا هُمْ يُنْصَرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১২৩। অত্তাক্ব ূ ইয়াওমাল লা-তাজ্ব ্যী নাফ্সুন্ ‘আন নাফসিন্ শাইয়াওঁ অলা-ইয়ুক্ব ্বালু মিন্হা-‘আদ্লুওঁ অলা- তান্ফা‘উহা-শাফা‘আতুওঁ অলা-হুম্ ইয়ুন্ছরূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১২৩ আর তোমরা ভয় কর সেদিনকে, যেদিন কেউ কারো কোন কাজে আসবে না এবং কোন ব্যক্তি থেকে বিনিময় গ্রহণ করা হবে না আর কোন সুপারিশ তার উপকারে আসবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।

2:124 وَإِذِ ابْتَلَى إِبْرَاهِيمَ رَبُّهُ بِكَلِمَاتٍ فَأَتَمَّهُنَّ قَالَ إِنِّي جَاعِلُكَ لِلنَّاسِ إِمَامًا قَالَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي قَالَ لَا يَنَالُ عَهْدِي الظَّالِمِينَ আরবি উচ্চারণ ২.১২৪। অইযিব্ তালায় ইব্রা-হীমা রব্বুহূ- বিকালিমা-তিন্ ফাআতাম্মাহুন্; ক্বা-লা ইন্নী জ্বা-‘ইলুকা লিন্না-সি ইমা-মা-; ক্বা-লা অমিন্ র্যুরিইয়্যাতী; ক্বা-লা লা-ইয়ানা-লু ‘আহ্দিজ্জোয়া-লিমীন্। বাংলা অনুবাদ ২.১২৪ আর স্মরণ কর, যখন ইবরাহীমকে তার রব কয়েকটি বাণী দিয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর সে তা পূর্ণ করল। তিনি বললেন, ‘আমি তোমাকে মানুষের জন্য নেতা বানাব’। সে বলল, ‘আমার বংশধরদের থেকেও’? তিনি বললেন, ‘যালিমরা আমার ওয়াদাপ্রাপ্ত হয় না’। 

2:125 وَإِذْ جَعَلْنَا الْبَيْتَ مَثَابَةً لِلنَّاسِ وَأَمْنًا وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى وَعَهِدْنَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ أَنْ طَهِّرَا بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْعَاكِفِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ আরবি উচ্চারণ ২.১২৫। অইয্ জ্বা‘আল্নাল্ বাইতা মাছা-বাতাল লিন্না-সি অআম্না-; অত্তাখিযূ মিম্ মাক্বা-মি ইব্রা-হীমা মুছোয়াল্লান্ অ‘আহিদ্নায় ইলায় ইব্রা-হীমা অইস্মা-‘ঈলা আন্ ত্বোয়াহ্হিরা-বাইতিয়া লিত্ত্বোয়া-য়িফীনা অল্‘আ-কিফীনা র্অরুক্কা‘ইস্ সুজ্ব ূদ। বাংলা অনুবাদ ২.১২৫ আর স্মরণ কর, যখন আমি কাবাকে মানুষের জন্য মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থান বানালাম এবং (আদেশ দিলাম যে,) ‘তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর’। আর আমি ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে, ‘তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ‘ইতিকাফকারী ও রুকূকারী-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র কর’। 

2:126 وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّ اجْعَلْ هَذَا بَلَدًا آمِنًا وَارْزُقْ أَهْلَهُ مِنَ الثَّمَرَاتِ مَنْ آمَنَ مِنْهُمْ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ = قَالَ وَمَنْ كَفَرَ فَأُمَتِّعُهُ قَلِيلًا ثُمَّ أَضْطَرُّهُ إِلَى عَذَابِ النَّارِ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ আরবি উচ্চারণ ২.১২৬। অইয্ ক্বা-লা ইব্রা-হীমু রব্বিজ্ব ্‘আল্ হা-যা- বালাদান্ আ-মিনাওঁ র্অযুক্ব ্ আহ্লাহূ মিনাছ্ ছামারা-তি মান্ আ-মানা মিন্হুম্ বিল্লা-হি অল্ইয়াওমিল্ আ-র্খি ; ক্বা-লা অমান্ কাফারা ফাউমাত্তি‘উহূ ক্বালীলান্ ছুম্মা আদ্ব্ত্বোর্য়ারুহূয় ইলা- ‘আযা-বিন্না-রি অবিসাল মার্ছী। বাংলা অনুবাদ ২.১২৬ আর স্মরণ কর, যখন ইবরাহীম বলল, ‘হে আমার রব, আপনি একে নিরাপদ নগরী বানান এবং এর অধিবাসীদেরকে ফল-মুলের রিয্ক দিন যারা আল্লাহ ও আখিরাত দিবসে ঈমান এনেছে’। তিনি বললেন, ‘যে কুফরী করবে, তাকে আমি স্বল্প ভোগোপকরণ দিব। অতঃপর তাকে আগুনের আযাবে প্রবেশ করতে বাধ্য করব। আর তা কত মন্দ পরিণতি’। 

2:127 وَإِذْ يَرْفَعُ إِبْرَاهِيمُ الْقَوَاعِدَ مِنَ الْبَيْتِ وَإِسْمَاعِيلُ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ আরবি উচ্চারণ ২.১২৭। অইয্ ইর্য়াফা‘উ ইব্রা-হীমুল্ ক্বাওয়া-‘ইদা মিনাল্ বাইতি অইস্মা-‘ঈল্; রব্বানা-তাক্বাব্বাল্ মিন্ ; ইন্নাকা আনতাস্ সামী‘উল্ ‘আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.১২৭ আর স্মরণ কর, যখন ইবরাহীম ও ইসমাঈল কাবার ভিত্গুলো উঠাচ্ছিল (এবং বলছিল,) ‘হে আমাদের রব, আমাদের পক্ষ থেকে কবূল করুন। নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী’। 

2:128 رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُسْلِمَةً لَكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ আরবি উচ্চারণ ২.১২৮। রব্বানা- অজ্ব্ ্‘আল্না- মুস্লিমাইনি লাকা অমিন্ র্যুরিয়্যাতিনা- উম্মাতাম্ মুস্লিমাতাল্লাকা অআরিনা-মানা-সিকানা-অতুব্ ‘আলাইনা-ইন্নাকা আন্তাত্ তাওয়্যা-র্বু রাহীম্। বাংলা অনুবাদ ২.১২৮ ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে আপনার অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধরের মধ্য থেকে আপনার অনুগত কওম বানান। আর আমাদেরকে আমাদের ইবাদাতের বিধি-বিধান দেখিয়ে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’। 

2:129 رَبَّنَا وَابْعَثْ فِيهِمْ رَسُولًا مِنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِكَ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَيُزَكِّيهِمْ = إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ আরবি উচ্চারণ ২.১২৯। রব্বানা-অব্‘আছ্ ফীহিম রাসূলাম্ মিন্হুম্ ইয়াত্লূ ‘আলাইহিম্ আ-ইয়া-তিকা অইয়ূ‘আল্লিমুহুমুল্ কিতা-বা অল্ হিক্মাতা অইয়ুযাক্কী হিম্; ইন্নাকা আন্তাল্ ‘আযীযুল্ হাকীম্। বাংলা অনুবাদ ২.১২৯ ‘হে আমাদের রব, তাদের মধ্যে তাদের থেকে একজন রাসূল প্রেরণ করুন, যে তাদের প্রতি আপনার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করবে এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিবে আর তাদেরকে পবিত্র করবে। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’। 

2:130 وَمَنْ يَرْغَبُ عَنْ مِلَّةِ إِبْرَاهِيمَ إِلَّا مَنْ سَفِهَ نَفْسَهُ وَلَقَدِ اصْطَفَيْنَاهُ فِي الدُّنْيَا وَإِنَّهُ فِي الْآخِرَةِ لَمِنَ الصَّالِحِينَ আরবি উচ্চারণ ২.১৩০। অমাইঁ ইর্য়াগাবু ‘আম্মিল্লাতি ইব্রা-হীমা ইল্লা- মান্ সাফিহা নাফ্সাহ্; অলাক্বাদিছ্ ত্বোয়াফাইনা-হু ফিদ্দুন্ইয়া- অইন্নাহূ ফিল্ আ-খিরাতি লামিনাছ্ ছোয়া-লিহীন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৩০ আর যে নিজকে নির্বোধ বানিয়েছে, সে ছাড়া কে ইবরাহীমের আদর্শ থেকে বিমুখ হতে পারে? আর অবশ্যই আমি তাকে দুনিয়াতে বেছে নিয়েছি এবং নিশ্চয় সে আখিরাতে নেককারদের অন্তর্ভুক্ত থাকবে। 

2:131 إِذْ قَالَ لَهُ رَبُّهُ أَسْلِمْ قَالَ أَسْلَمْتُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ আরবি উচ্চারণ ২.১৩১। ইয্ক্বা-লা লাহূ- রব্বুহূয় আস্লিম্ ক্বা-লা আস্লাম্তু লিরব্বিল্ ‘আ-লামীন। বাংলা অনুবাদ ২.১৩১ যখন তার রব তাকে বললেন, ‘তুমি আত্মসমর্পণ কর’। সে বলল, ‘আমি সকল সৃষ্টির রবের কাছে নিজকে সমর্পণ করলাম’। 

2:132 وَوَصَّى بِهَا إِبْرَاهِيمُ بَنِيهِ وَيَعْقُوبُ يَا بَنِيَّ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى لَكُمُ الدِّينَ فَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৩২। অঅছ্ছোয়া-বিহায় ইব্রা-হীমু বানীহি অইয়া’ক্ব ূব্; ইয়া-বানিয়্যা ইন্নাল্লা-হাছ্ ত্বোয়াফা- লাকুমুদ্দীনা ফালা-তামূ তুন্না ইল্লা- অআন্তুম্ মুস্লিমূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৩২ আর এরই উপদেশ দিয়েছে ইবরাহীম তার সন্তানদেরকে এবং ইয়াকূবও (যে,) ‘হে আমার সন্তানেরা, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এই দীনকে চয়ন করেছেন। সুতরাং তোমরা মুসলিম হওয়া ছাড়া মারা যেয়ো না। 

2:133 أَمۡ كُنتُمۡ شُہَدَآءَ إِذۡ حَضَرَ يَعۡقُوبَ ٱلۡمَوۡتُ إِذۡ قَالَ لِبَنِيه مَا تَعۡبُدُونَ مِنۢ بَعۡدِى قَالُواْ نَعۡبُدُ إِلَـٰهَكَ وَإِلَـٰه وَٲحِدً۬ا ءَابَآٮِٕكَ إِبۡرَٲهِـۧمَ وَإِسۡمَـٰعِيلَ وَإِسۡحَـٰقَ إِلَـٰهً۬ا وَنَحۡنُ لَهُ ۥ مُسۡلِمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৩৩। আম্ কুন্তুম্ শুহাদা-য়া ইয্ হাদ্বোয়ারা ইয়া’ক্ব ূবাল্ মাওতু ইয্ ক্বা-লা লিবানীহি মা- তা’বুদূনা মিম বা’দী; ক্বা-লূ না’বুদু ইলা-হাকা অইলা-হা আ-বা-য়িকা ইব্রাহীমা অ ইস্মা-‘ঈলা অইস্্হা-ক্বা ইলা-হাওঁ অ-হিদা- ও অনাহ্নু লাহূ মুস্্লিমূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৩৩ নাকি তোমরা সাক্ষী ছিলে, যখন ইয়াকূবের নিকট মৃত্যু উপস্থিত হয়েছিল? যখন সে তার সন্তানদেরকে বলল, ‘আমার পর তোমরা কার ইবাদাত করবে’? তারা বলল, ‘আমরা ইবাদাত করব আপনার ইলাহের, আপনার পিতৃপুরুষ ইবরাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের ইলাহের, যিনি এক ইলাহ। আর আমরা তাঁরই অনুগত’। 
تِلۡك أُمَّةٌ۬ قَدۡ خَلَتۡ‌ۖ لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَلَكُم مَّا كَسَبۡتُمۡ‌ۖ وَلَا تُسۡـَٔلُونَ عَمَّا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ 2.134 ২.১৩৪। আরবি উচ্চারণ তিল্কা উম্মাতুন্ ক্বাদ্ খালাত্ , লাহা- মা- কাসাবাত্ অলাকুম্ মা-কাসাব্তুম্ অলা-তুস্য়ালূনা ‘আম্মা- কা-নূ ইয়া’মালূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৩৪ সেটা এমন এক উম্মত যা বিগত হয়েছে। তারা যা অর্জন করেছে তা তাদের জন্যই, আর তোমরা যা অর্জন করেছ তা তোমাদের জন্যই। আর তারা যা করত সে সম্পর্কে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে না।

2.135 وَقَالُوا ڪُونُواْ هُودًا أَوۡ نَصَـٰرَىٰ تَہۡتَدُواْ‌ۗ قُلۡ بَلۡ مِلَّة 2.135 إِبۡرَٲهِـۧمَ حَنِيفً۬ا‌ۖ وَمَا كَانَ مِنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ আরবি উচ্চারণ ২.১৩৫। অক্বা-লূ কূনূ হূদান্ আও নাছোয়া-রা- তাহ্তাদূ ; ক্ব ুল্ বাল্ মিল্লাতা ইব্রা-হীমা হানীফা-; অমা- কা-না মিনাল্ মুশ্রিকীন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৩৫ আর তারা বলে, ‘তোমরা ইয়াহূদী কিংবা নাসারা হয়ে যাও, হিদায়াত পেয়ে যাবে’। বল, ‘বরং আমরা ইবরাহীমের মিল¬াতের অনুসরণ করি, যে একনিষ্ঠ ছিল এবং যে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না’।

 2:136 قُولُوا آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنْزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِنْ رَبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৩৬। ক্ব ূলূয় আ-মান্না-বিল্লা-হি অমায় উন্যিলা ইলাইনা- অমায় উন্যিলা ইলায় ইব্রা- হীমা অইস্মা-‘ঈলা অইস্হা-ক্বা অইয়া’ক্ব ূবা অল্ আস্্বা-ত্বি অমায় ঊতিয়া মূসা- অ ‘ঈসা- অমায় ঊতিয়ান্ নাবিয়্যূনা র্মি রব্বিহিম্ লা-নুর্ফারিক্ব ূ বাইনা আহাদিম্ মিন্হুম্ অনাহ্নু লাহূ মুস্লিমূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৩৬ তোমরা বল, ‘আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা নাযিল করা হয়েছে আমাদের উপর ও যা নাযিল করা হয়েছে ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তাদের সন্তানদের উপর আর যা প্রদান করা হয়েছে মূসা ও ঈসাকে এবং যা প্রদান করা হয়েছে তাদের রবের পক্ষ হতে নবীগণকে। আমরা তাদের কারো মধ্যে তারতম্য করি না। আর আমরা তাঁরই অনুগত’। 

2:137 فَإِنْ آمَنُوا بِمِثْلِ مَا آمَنْتُمْ بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوْا وَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّمَا هُمْ فِي شِقَاقٍ فَسَيَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ আরবি উচ্চারণ ২.১৩৭। ফাইন্ আ-মানূ বিমিছ্লি মায় আ-মান্তুম্ বিহী ফাক্বাদিহ্ তাদাও অইন্ তাওয়াল্লাও ফাইন্নামা-হুম্ ফী শিক্বা-ক্বিন্ ফাসাইয়াক্ফীকা হুমুল্লা-হু অহুওয়াস্ সামী‘উল্ ‘আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.১৩৭ অতএব যদি তারা ঈমান আনে, তোমরা যেরূপে তার প্রতি ঈমান এনেছ, তবে অবশ্যই তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে। আর যদি তারা বিমুখ হয় তাহলে তারা রয়েছে কেবল বিরোধিতায়, তাই তাদের বিপক্ষে তোমার জন্য আল্লাহ যথেষ্ট। আর তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।


2:138 صِبْغَةَ اللَّهِ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللَّهِ صِبْغَةً وَنَحْنُ لَهُ عَابِدُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৩৮। ছিব্গাতাল্লা-হি অমান্ আহসানু মিনাল্লা-হি ছিব্গাতাওঁ অনাহ্নু লাহূ ‘আ-বিদূন। বাংলা অনুবাদ ২.১৩৮ (বল,) আমরা আল্লাহর রং গ্রহণ করলাম। আর রং এর দিক দিয়ে আল্লাহর চেয়ে কে অধিক সুন্দর? আর আমরা তাঁরই ইবাদাতকারী।

 2:139 قُلْ أَتُحَاجُّونَنَا فِي اللَّهِ وَهُوَ رَبُّنَا وَرَبُّكُمْ وَلَنَا أَعْمَالُنَا وَلَكُمْ أَعْمَالُكُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُخْلِصُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৩৯। ক্ব ুল্ আতুহা-জ্বজ্ব ূনানা- ফিল্লা-হি অহুঅ রব্বুনা- অরব্বুকুম্ অলানায় আ’মা-লুনা- অলাকুম্ আ’মা-লুকুম্ অনাহ্নু লাহূ মুখ্লিছূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৩৯ বল, ‘তোমরা কি আমাদের সাথে আল্লাহর ব্যাপারে বিতর্ক করছ অথচ তিনি আমাদের রব ও তোমাদের রব? আর আমাদের জন্য রয়েছে আমাদের আমলসমূহ এবং তোমাদের জন্য রয়েছে তোমাদের আমলসমূহ এবং আমরা তাঁর জন্যই একনিষ্ঠ।

 2:140 أَمْ تَقُولُونَ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطَ كَانُوا هُودًا أَوْ نَصَارَى قُلْ أَأَنْتُمْ أَعْلَمُ أَمِ اللَّهُ وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ كَتَمَ شَهَادَةً عِنْدَهُ مِنَ اللَّهِ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৪০। আম্ তাক্ব ূলূনা ইন্না ইব্রা-হীমা অইস্মা-‘ঈলা অইস্হা-ক্বা অইয়া’ক্ব ূবা অল্ আস্বা-ত্বোয়া কা-নূ হূদান্ আও নাছোয়া-রা-; ক্ব ুল্ আআন্তুম্ আ’লামু আমিল্লা-হ্; অমান্ আজ্লামু মিম্মান্ কাতামা শাহা-দাতান্ ‘ইন্দাহূ মিনাল্লা-হ্; অমাল্লা-হু বিগা-ফিলিন্ ‘আম্মা-তা’মালূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৪০ নাকি তোমরা বলছ, ‘নিশ্চয় ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তাদের সন্তানেরা ছিল ইয়াহূদী কিংবা নাসারা? বল, ‘তোমরা অধিক জ্ঞাত নাকি আল্লাহ’? আর তার চেয়ে অধিক যালিম কে, যে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার কাছে যে সাক্ষ্য রয়েছে তা গোপন করে? আর তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে গাফিল নন। 

2:141 تِلْكَ أُمَّةٌ قَدْ خَلَتْ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَلَكُمْ مَا كَسَبْتُمْ وَلَا تُسْأَلُونَ عَمَّا كَانُوا يَعْمَلُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৪১। তিল্কা উম্মাতুন্ ক্বাদ খালাত্, লাহা- মা- কাসাবাত্ অলাকুম্ মা- কাসাব্তুম্ অলা- তুস্য়ালূনা ‘আম্মা- কা-নূ ইয়া’মালূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৪১ সেটা ছিলো একটি উম্মত, যারা বিগত হয়েছে। তারা যা অর্জন করেছে, তা তাদের জন্য আর তোমরা যা অর্জন করেছ তা তোমাদের জন্য। আর তারা যা করত, সে সম্পর্কে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে না। 

2:142 سَيَقُولُ السُّفَهَاءُ مِنَ النَّاسِ مَا وَلَّاهُمْ عَنْ قِبْلَتِهِمُ الَّتِي كَانُوا عَلَيْهَا قُلْ لِلَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ আরবি উচ্চারণ ২.১৪২। সাইয়াক্ব ূলুস্ সুফাহা - য়ূ মিনান্ না-সি মা-অল্লা-হুম ‘আন্ ক্বিব্লাতিহিমুল্ লাতী কা-নূ ‘আলাইহা-; ক্ব ুল্ লিল্লা-হিল্ মাশ্রিক্ব ু অল্মাগ্রিব্; ইয়াহ্দী মাইঁ ইয়াশা - য়ু ইলা-ছিরা-ত্বিম্ মুস্তাক্বীম্। বাংলা অনুবাদ ২.১৪২ অচিরেই নির্বোধ লোকেরা বলবে, ‘কীসে তাদেরকে তাদের কিবলা থেকে ফিরাল, যার উপর তারা ছিল?’ বল, ‘পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে চান সোজা পথ দেখান।’ 

2:143 وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا وَمَا جَعَلْنَا الْقِبْلَةَ الَّتِي كُنْتَ عَلَيْهَا إِلَّا لِنَعْلَمَ مَنْ يَتَّبِعُ الرَّسُولَ مِمَّنْ يَنْقَلِبُ عَلَى عَقِبَيْهِ وَإِنْ كَانَتْ لَكَبِيرَةً إِلَّا عَلَى الَّذِينَ هَدَى اللَّهُ وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ = إِنَّ اللَّهَ بِالنَّاسِ لَرَءُوفٌ رَحِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.১৪৩। অ কাযা-লিকা জ্বা‘আল্না-কুম্ উম্মাতাওঁ অসাত্বোয়াল্ লিতাকূনূ শুহাদা - য়া ‘আলান্ না-সি অ ইয়াকূর্না রাসূলু ‘আলাইকুম্ শাহীদা-; অমা-জ্বা‘আল্নাল্ ক্বিব্লাতাল্ লাতী কুন্তা ‘আলাইহা - ইল্লা- লিনা’লামা মাইঁ ইয়াত্তাবি‘র্উ রাসূলা মিম্মাইঁ ইয়ান্ক্বালিবু ‘আলা-‘আক্বিবাইহ্; অইন্ কা-নাত্ লাকাবীরাতান্ ইল্লা-‘আলাল্লাযীনা হাদাল্লা-হ্; অমা- কা-নাল্লা-হু লিইয়ুদ্বী‘আ ঈমা-নাকুম্; ইন্নাল্লা-হা বিন্না-সি লারাঊর্ফু রাহীম্। বাংলা অনুবাদ ২.১৪৩ আর এভাবেই আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী উম্মত বানিয়েছি, যাতে তোমরা মানুষের উপর সাক্ষী হও এবং রাসূল সাক্ষী হন তোমাদের উপর। আর যে কিবলার উপর তুমি ছিলে, তাকে কেবল এ জন্যই নির্ধারণ করেছিলাম, যাতে আমি জেনে নেই যে, কে রাসূলকে অনুসরণ করে এবং কে তার পেছনে ফিরে যায়। যদিও তা অতি কঠিন (অন্যদের কাছে) তাদের ছাড়া যাদেরকে আল্লাহ হিদায়াত করেছেন এবং আল্লাহ এমন নন যে, তিনি তোমাদের ঈমানকে বিনষ্ট করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল, পরম দয়ালু। 

2:144 قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَحَيْثُمَا كُنْتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ وَإِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّهِمْ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৪৪। ক্বাদ্ নারা-তাক্বাল্ল ুবা অজ্ব ্হিকা ফিস্ সামা - য়ি ফালানুওয়াল্লিয়ান্নাকা ক্বিব্লাতান্ তারদ্বোয়া-হা-ফাওয়াল্লি অজ্ব ্হাকা, শাত্ব ্রাল্ মাস্জ্বিদিল্ হারা-ম্; অ হাইছু মা-কুনতুম্ ফাওয়াল্ল ূ উজ্ব ূহাকুম্ শাত্ব্রাহ্; অইন্নাল্লাযীনা ঊতুল্ কিতা-বা লাইয়া’লামূনা আন্নাহুল্ হাক্ব ্ক্ব ু র্মিরব্বিহিম; অমাল্লা-হু বিগা-ফিলিন্ ‘আম্মা- ইয়া’মালূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৪৪ আকাশের দিকে বার বার তোমার মুখ ফিরানো আমি অবশ্যই দেখছি। অতএব আমি অবশ্যই তোমাকে এমন কিবলার দিকে ফিরাব, যা তুমি পছন্দ কর। সুতরাং তোমার চেহারা মাসজিদুল হারামের দিকে ফিরাও এবং তোমরা যেখানেই থাক, তার দিকেই তোমাদের চেহারা ফিরাও। আর নিশ্চয় যারা কিতাবপ্রাপ্ত হয়েছে, তারা অবশ্যই জানে যে, তা তাদের রবের পক্ষ থেকে সত্য এবং তারা যা করে, সে ব্যাপারে আল্লাহ গাফিল নন। 

2:145 وَلَئِنْ أَتَيْتَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ بِكُلِّ آيَةٍ مَا تَبِعُوا قِبْلَتَكَ وَمَا أَنْتَ بِتَابِعٍ قِبْلَتَهُمْ وَمَا بَعْضُهُمْ بِتَابِعٍ قِبْلَةَ بَعْضٍ = وَلَئِنِ اتَّبَعْتَ أَهْوَاءَهُمْ مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَكَ مِنَ الْعِلْمِ إِنَّكَ إِذًا لَمِنَ الظَّالِمِينَ আরবি উচ্চারণ ২.১৪৫। অলাইন্ আতাইতাল্ লাযীনা ঊতুল্ কিতা-বা বিকুল্লি আ-ইয়াতিম্ মা-তাবি‘ঊ ক্বিব্লাতাকা’ অমায় আন্তা বিতা-বি‘ইন্ ক্বিব্লাতাহুম্ অমা-বা’দ্বুহুম্ বিতা-বি‘ইন্ ক্বিবলাতা বা’দ্ব্; অলাইনিত্তাবা’তা আহ্ওয়া - য়াহুম্ মিম্ বা’দ্বি মা-জ্বা - য়াকা মিনাল্ ‘ইল্মি ইন্নাকা ইযাল্ লামিনাজ্ জোয়া-লিমীন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৪৫ আর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তুমি যদি তাদের নিকট সব নিদর্শন নিয়ে আস, তারা তোমার কিবলার অনুসরণ করবে না আর তুমিও তাদের কিবলার অনুসরণকারী নও এবং তারা একে অপরের কিবলার অনুসরণকারী নয়। আর যদি তুমি তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ কর তোমার নিকট জ্ঞান আসার পর, তবে নিশ্চয় তুমি তখন যালিমদের অন্তর্ভুক্ত।

 2:146 الَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَعْرِفُونَهُ كَمَا يَعْرِفُونَ أَبْنَاءَهُمْ وَإِنَّ فَرِيقًا مِنْهُمْ لَيَكْتُمُونَ الْحَقَّ وَهُمْ يَعْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৪৬। আল্লাযীনা আ-তাইনা-হুমুল্ কিতা-বা ইয়া’রিফূনাহূ কামা- ইয়া’রিফূনা আব্না - য়াহুম্; অইন্না ফারীক্বাম্ মিন্হুম লাইয়াক্তুমূনাল্ হাক্ব ্ক্বা অহুম্ ইয়া’লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৪৬ যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছি, তারা তাকে চিনে, যেমন চিনে তাদের সন্তানদেরকে। আর নিশ্চয় তাদের মধ্য থেকে একটি দল সত্যকে অবশ্যই গোপন করে, অথচ তারা জানে। 

2:147 الْحَقُّ مِنْ رَبِّكَ فَلَا تَكُونَنَّ مِنَ الْمُمْتَرِينَ আরবি উচ্চারণ ২.১৪৭। আল্হাক্বক্ব ু র্মি রব্বিকা ফালা-তাকূনান্না মিনাল্ মুম্তারীন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৪৭ সত্য তোমার রবের পক্ষ থেকে। সুতরাং তুমি কখনো সন্দেহ পোষণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। 

2:148 وَلِكُلٍّ وِجْهَةٌ هُوَ مُوَلِّيهَا فَاسْتَبِقُوا الْخَيْرَاتِ أَيْنَمَا تَكُونُوا يَأْتِ بِكُمُ اللَّهُ جَمِيعًا إِنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ আরবি উচ্চারণ ২.১৪৮। অলিকুল্লিওঁ ওয়িজ্ব ্হাতুন্ হুওয়া মুওয়াল্লীহা-ফাসতাবিক্ব ুল্ খাইরা-ত্; আইনা মা-তাকূনূ ইয়াতি বিকুমুল্ লা-হু জ্বামী‘আ-; ইন্নাল্লা-হা ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন্ ক্বার্দী। বাংলা অনুবাদ ২.১৪৮ আর প্রত্যেকের রয়েছে একটি দিক, যেদিকে সে চেহারা ফিরায়। সুতরাং তোমরা কল্যাণকর্মে প্রতিযোগিতা কর। তোমরা যেখানেই থাক না কেন, আল্লাহ তোমাদের সবাইকে নিয়ে আসবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

 2:149 وَمِنْ حَيْثُ خَرَجْتَ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَإِنَّهُ لَلْحَقُّ مِنْ رَبِّكَ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৪৯। অমিন্ হাইছু খারাজ্ব ্তা ফাওয়াল্লি অজ্ব ্হাকা শাত্ব ্রাল্ মাস্জ্বিদিল্ হারা-ম্; অইন্নাহূ লাল্হাক্ব ্ক্ব ু র্মি রব্বিক্; অমাল্লা-হু বিগা-ফিলিন্ ‘আম্মা- তা’মালূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৪৯ আর তুমি যেখান থেকেই বের হও, তোমার চেহারা মাসজিদুল হারামের দিকে ফিরাও। আর নিশ্চয় তা সত্য তোমার রবের পক্ষ থেকে এবং তোমরা যা কর, আল্লাহ তা থেকে গাফিল নন।

 2:150 وَمِنْ حَيْثُ خَرَجْتَ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَحَيْثُمَا كُنْتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ لِئَلَّا يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَيْكُمْ حُجَّةٌ إِلَّا الَّذِينَ ظَلَمُوا مِنْهُمْ فَلَا تَخْشَوْهُمْ وَاخْشَوْنِي وَلِأُتِمَّ نِعْمَتِي عَلَيْكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৫০। অমিন্ হাইছু খারাজ্ব ্তা ফাওয়াল্লি ওয়াজ্ব ্হাকা শাত্ব্রাল্ মাস্জ্বিদিল্ হারা-ম্; অ হাইছু মা-কুন্তুম্ ফাওয়াল্লূ উজ্ব ূহাকুম্ শাত্ব ্রাহূ লিয়াল্লা-ইয়াকূনা লিন্না-সি ‘আলাইকুম্ হুজ্বজ্বাতুন্ ইল্লাল্লাযীনা জোয়ালামূ মিন্হুম্ ফালা-তাখ্শাওহুম্ ওয়াখ্শাওনী অ লিউতিম্মা নি’মাতী ‘আলাইকুম্ অলা‘আল্লাকুম্ তাহ্তাদূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৫০ আর তুমি যেখান থেকেই বের হও, তোমার চেহারা মাসজিদুল হারামের দিকে ফিরাও এবং তোমরা যেখানেই থাক, তার দিকে তোমাদের চেহারা ফিরাও, যাতে তোমাদের বিপক্ষে মানুষের বিতর্ক করার কিছু না থাকে। তবে তাদের মধ্য থেকে যারা যুলম করেছে, তারা ছাড়া। সুতরাং তোমরা তাদেরকে ভয় করো না, আমাকে ভয় কর। আর যাতে আমি আমার নিআমত তোমাদের উপর পূর্ণ করতে পারি এবং যাতে তোমরা হিদায়াতপ্রাপ্ত হও।

 2:151 كَمَا أَرْسَلْنَا فِيكُمْ رَسُولًا مِنْكُمْ يَتْلُو عَلَيْكُمْ آيَاتِنَا وَيُزَكِّيكُمْ وَيُعَلِّمُكُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَيُعَلِّمُكُمْ مَا لَمْ تَكُونُوا تَعْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৫১। কামায় র্আসাল্না- ফীকুম্ রাসূলাম্ মিন্কুম্ ইয়াত্লূ ‘আলাইকুম্ আ-ইয়া-তিনা-অইয়ুযাক্কীকুম্ অইয়ু‘আল্লিমুকুমুল্ কিতা-বা অল্হিক্মাতা অইয়ু‘আল্লিমুকুম্ মা-লাম্ তাকূনূ তা’লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৫১ যেভাবে আমি তোমাদের মধ্যে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি তোমাদের মধ্য থেকে, যে তোমাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে, তোমাদেরকে পবিত্র করে এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়। আর তোমাদেরকে শিক্ষা দেয় এমন কিছু যা তোমরা জানতে না। 

2:152 فَاذْكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ وَاشْكُرُوا لِي وَلَا تَكْفُرُونِ আরবি উচ্চারণ ২.১৫২। ফায্কুরূনীয় আর্য্কুকুম্ অশ্ কুরূলী অলা-তাক্ফুরূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৫২ অতএব, তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমি তোমাদেরকে স্মরণ করব। আর আমার শোকর আদায় কর, আমার সাথে কুফরী করো না।

2:153 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ আরবি উচ্চারণ ২.১৫৩। ইয়ায় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানুস্ তা‘ঈনূ বিছ্ছব্রি অছ্ছলা-হ্; ইন্নাল্লা-হা মা‘আছ্ ছোয়া-বিরীন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৫৩ হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। 

2:154 وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ يُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتٌ بَلْ أَحْيَاءٌ وَلَكِنْ لَا تَشْعُرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৫৪। অলা-তাক্ব ূলূ লিমাইঁ ইয়ুক্ব ্তালু ফী সাবীলিল্লা-হি আম্ওয়া-ত্; বাল্ আহ্ইয়ায় য়ুওঁ অলা-কিল্ লা-তাশ্‘উরূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৫৪ যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদেরকে মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত; কিন্তু তোমরা অনুভব করতে পার না। 

2:155 وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيْءٍ مِنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنْفُسِ وَالثَّمَرَاتِ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ আরবি উচ্চারণ ২.১৫৫। অলানাব্লুওয়ান্নাকুম্ বিশাইয়িম্ মিনাল্ খাওফি অল্জ্ব ূ‘ই অনাক্ব ্ছিম্ মিনাল্ আম্ওয়া-লি অলআন্ফুসি অছ্ছামারা-ত্; অবাশ্শিরিছ্ ছোয়া-বিরীন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৫৫ আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। 

2:156 الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُمْ مُصِيبَةٌ قَالُوا إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৫৬। আল্লাযীনা ইযায় আছোয়া-বাত্হুম্ মুছীবাতুন্ ক্বা-লূ য় ইন্না-লিল্লা-হি অইন্না- ইলাইহি রা-জ্বি‘ঊন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৫৬ যারা, তাদেরকে যখন বিপদ আক্রান্ত করে তখন বলে, নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আমরা তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী। 

2:157 أُولَئِكَ عَلَيْهِمْ صَلَوَاتٌ مِنْ رَبِّهِمْ وَرَحْمَةٌ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُهْتَدُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৫৭। উলায় য়িকা ‘আলাইহিম্ ছলাওয়া-তুম্ র্মি রব্বিহিম্ অরাহ্মাহ; অউলা - য়িকা হুমুল্ মুহ্তাদূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৫৭ তাদের উপরই রয়েছে তাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও রহমত এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত। 

2:158 إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا وَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ اللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.১৫৮ । ইন্নাছ্ ছোয়াফা- অল্ র্মাওয়াতা মিন্ শা‘আ - ইরিল্লা-হি ফামান্ হাজ্বজ্বাল্ বাইতা আওয়ি’ তামারা ফালা-জ্ব ুনা-হা ‘আলাইহি আইঁ ইয়াত্ত্বোয়াও অফা বিহিমা-; অমান্ তাত্বোয়াও অ‘আ খাইরান্ ফাইন্নাল্লা-হা শা-কিরুন্ ‘আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.১৫৮ নিশ্চয় সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে বাইতুল¬ার হজ্জ করবে কিংবা উমরা করবে তার কোন অপরাধ হবে না যে, সে এগুলোর তাওয়াফ করবে। আর যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কল্যাণ করবে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ ভালো কাজের পুরস্কারদাতা, সর্বজ্ঞ। 

2:159 إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنْزَلْنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ وَالْهُدَى مِنْ بَعْدِ مَا بَيَّنَّاهُ لِلنَّاسِ فِي الْكِتَابِ أُولَئِكَ يَلْعَنُهُمُ اللَّهُ وَيَلْعَنُهُمُ اللَّاعِنُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৫৯। ইন্নাল্লাযীনা ইয়াক্তুমূনা মায় আন্যাল্না-মিনাল্ বাইয়্যিনা-তি অল্হুদা-মিম্ বা’দি মা-বাইয়্যান্না-হু লিন্না-সি ফিল্ কিতা-বি উলা - য়িকা ইয়াল্‘আনুহুমুল্লা-হু অইয়াল্‘আনুহুমুল্ লা-‘ইনূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৫৯ নিশ্চয় যারা গোপন করে সু-স্পষ্ট নিদর্শনসমূহ ও হিদায়াত যা আমি নাযিল করেছি, কিতাবে মানুষের জন্য তা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করার পর, তাদেরকে আল্লাহ লা‘নত করেন এবং লা‘নতকারীগণও তাদেরকে লা‘নত করে। 

2:160 إِلَّا الَّذِينَ تَابُوا وَأَصْلَحُوا وَبَيَّنُوا فَأُولَئِكَ أَتُوبُ عَلَيْهِمْ وَأَنَا التَّوَّابُ الرَّحِيمُ আরবি উচ্চারণ ২.১৬০ । ইল্লাল্লাযীনা তা-বূ অআছ্লাহূ অবাইয়্যানূ ফাউলা - য়িকা আতূবু ‘আলাইহিম্, অ‘আনাত্তাও ওয়া-র্বু রাহীম্। বাংলা অনুবাদ ২.১৬০ তারা ছাড়া, যারা তাওবা করেছে, শুধরে নিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছে। অতএব, আমি তাদের তাওবা কবূল করব। আর আমি তাওবা কবূলকারী, পরম দয়ালু। 

2:161 إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَمَاتُوا وَهُمْ كُفَّارٌ أُولَئِكَ عَلَيْهِمْ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ আরবি উচ্চারণ ২.১৬১। ইন্নাল্ লাযীনা কাফারূ অমা-তূ অহুম্ কুফ্ফা-রুন্ উলা - য়িকা ‘আলাইহিম্ লা’নাতুল্লা-হি অল্ মালা - য়িকাতি অন না-সি আজ্ব ্মা‘ঈন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৬১ নিশ্চয় যারা কুফরী করেছে এবং কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের উপর আল্লাহ, ফেরেশতাগণ ও সকল মানুষের লা’নত। 

2:162 خَالِدِينَ فِيهَا لَا يُخَفَّفُ عَنْهُمُ الْعَذَابُ وَلَا هُمْ يُنْظَرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৬২। খা-লিদীনা ফীহা-লা-ইয়ুখাফ্ফাফু ‘আন্হুমুল্ ‘আযা-বু অলা-হুম ইয়ুন্জোয়ারূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৬২ তারা সেখানে স্থায়ী হবে। তাদের থেকে আযাব হালকা করা হবে না এবং তাদেরকে অবকাশও দেয়া হবে না। 

2:163 وَإِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ আরবি উচ্চারণ ২.১৬৩। অইলা-হুকুম্ ইলা-হুওঁ ওয়া-হিদুন্ লা য় ইলা-হা ইল্লা-হুওর্য়া রাহ্মা-নুর রাহীম্। বাংলা অনুবাদ ২.১৬৩ আর তোমাদের ইলাহ এক ইলাহ। তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু। 

2:164 إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلَافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَالْفُلْكِ الَّتِي تَجْرِي فِي الْبَحْرِ بِمَا يَنْفَعُ النَّاسَ وَمَا أَنْزَلَ اللَّهُ مِنَ السَّمَاءِ مِنْ مَاءٍ فَأَحْيَا بِهِ الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا وَبَثَّ فِيهَا مِنْ كُلِّ دَابَّةٍ وَتَصْرِيفِ الرِّيَاحِ وَالسَّحَابِ الْمُسَخَّرِ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يَعْقِلُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৬৪। ইন্না ফী খাল্কিস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বি অখ্তিলা-ফিল্লাইলি অন্নাহা-রি অল্ফুল্কিল্ লাতী তাজ্ব্রী ফিল্ বাহ্রি বিমা-ইয়ান্ফা‘উন্ না-সা অমায় আন্যালাল্লা-হু মিনাস্ সামা - য়ি মিম্ মা - য়িন্ ফাআহ্ইয়া-বিহিল্ আরদ্বোয়া বা’দা মাওতিহা-অবাছ্ছা ফীহা- মিন্ কুল্লি দা - ব্্বা তিঁও অতাছ্রীর্ফি রিয়া-হি অস্ সাহা-বিল্ মুসাখ্খারি বাইনাস্ সামা - য়ি অল্র্আদ্বি লাআ-ইয়া-তিল্ লিক্বাওমিইঁ ইয়া’ক্বিলূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৬৪ নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের বিবর্তনে, সে নৌকায় যা সমুদ্রে মানুষের জন্য কল্যাণকর বস্তু নিয়ে চলে এবং আসমান থেকে আল্লাহ যে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন অতঃপর তার মাধ্যমে মরে যাওয়ার পর যমীনকে জীবিত করেছেন এবং তাতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সকল প্রকার বিচরণশীল প্রাণী ও বাতাসের পরিবর্তনে এবং আসমান ও যমীনের মধ্যবর্তী স্থানে নিয়োজিত মেঘমালায় রয়েছে নিদর্শনসমূহ এমন কওমের জন্য, যারা বিবেকবান। 

2:165 وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَتَّخِذُ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَنْدَادًا يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللَّهِ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِلَّهِ وَلَوْ يَرَى الَّذِينَ ظَلَمُوا إِذْ يَرَوْنَ الْعَذَابَ أَنَّ الْقُوَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا وَأَنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعَذَابِ আরবি উচ্চারণ ২.১৬৫। অমিনান্ না-সি মাইঁ ইয়াত্তাখিযু মিন্দূনিল্লা-হি আন্দা-দাইঁ ইয়ুহিব্বূনাহুম্ কাহুব্বিল্লা-হ্; অল্লাযীনা আ-মানূ য় আশাদ্দু হুব্বাল্লিল্লা-হ্; অলাও ইয়ারাল্লাযীনা জোয়ালামূ য় ইয্ ইয়ারাওনাল্ ‘আযা-বা আন্নাল্ ক্ব ুও ওয়াতা লিল্লা-হি জ্বামী ‘আওঁ অআন্নাল্লা-হা শাদীদুল্ ‘আযা-ব। বাংলা অনুবাদ ২.১৬৫ আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে, যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে, তাদেরকে আল্লাহকে ভালবাসার মত ভালবাসে। আর যারা ঈমান এনেছে, তারা আল্লাহর জন্য ভালবাসায় দৃঢ়তর। আর যদি যালিমগণ দেখে, যখন তারা আযাব দেখবে যে, নিশ্চয় সকল শক্তি আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আল্লাহ আযাব দানে কঠোর। 

2:166 إِذْ تَبَرَّأَ الَّذِينَ اتُّبِعُوا مِنَ الَّذِينَ اتَّبَعُوا وَرَأَوُا الْعَذَابَ وَتَقَطَّعَتْ بِهِمُ الْأَسْبَابُ আরবি উচ্চারণ ২.১৬৬। ইয্ তার্বারা আল্লাযীনাত্ তুবি‘ঊ মিনাল্লাযীনাত্ তাবা‘ঊ অরায়ায়ুল্ ‘আযা-বা অতাক্বাত্ত্বোয়া‘আত্ বিহিমুল্ আস্বা-ব্। বাংলা অনুবাদ ২.১৬৬ যখন, যাদেরকে অনুসরণ করা হয়েছে, তারা অনুসারীদের থেকে আলাদা হয়ে যাবে এবং তারা আযাব দেখতে পাবে। আর তাদের সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে। 

2:167 وَقَالَ الَّذِينَ اتَّبَعُوا لَوْ أَنَّ لَنَا كَرَّةً فَنَتَبَرَّأَ مِنْهُمْ كَمَا تَبَرَّءُوا مِنَّا كَذَلِكَ يُرِيهِمُ اللَّهُ أَعْمَالَهُمْ حَسَرَاتٍ عَلَيْهِمْ وَمَا هُمْ بِخَارِجِينَ مِنَ النَّارِ আরবি উচ্চারণ ২.১৬৭। অক্বা-লাল্ লাযীনাত্ তাবা‘ঊ লাও আন্না লানা-র্কারাতান্ ফানাতার্বারায়া মিনহুম্ কামা- তার্বারায়ূ মিন্না-; কাযা-লিকা ইয়ুরীহিমুল লা-হু আ’মা-লাহুম্ হাসারা-তিন্ ‘আলাইহিম্; অমা-হুম্ বিখা-রিজ্বীনা মিনান্ নার্-। বাংলা অনুবাদ ২.১৬৭ আর যারা অনুসরণ করেছে, তারা বলবে, ‘যদি আমাদের ফিরে যাওয়ার সুযোগ হত, তাহলে আমরা তাদের থেকে আলাদা হয়ে যেতাম, যেভাবে তারা আলাদা হয়ে গিয়েছে’। এভাবে আল্লাহ তাদেরকে তাদের আমলসমূহ দেখাবেন, তাদের জন্য আক্ষেপস্বরূপ। আর তারা আগুন থেকে বের হতে পারবে না। 

2:168 يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الْأَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًا وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ আরবি উচ্চারণ ২.১৬৮। ইয়ায় আইয়্যুহান্ না-সু কুলূ মিম্মা-ফিল্ আরদ্বি হালা-লান্ ত্বোয়াইয়্যিবাওঁ অলা-তাত্তাবি‘উ খুত্ব ুওয়া-তিশ্ শাইত্বোয়া-ন্; ইন্নাহূ লাকুম্ ‘আদুওউম্ মুবীন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৬৮ হে মানুষ, যমীনে যা রয়েছে, তা থেকে হালাল পবিত্র বস্তু আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট শত্র“। 

2:169 إِنَّمَا يَأْمُرُكُمْ بِالسُّوءِ وَالْفَحْشَاءِ وَأَنْ تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৬৯। ইন্নামা- ইয়ামুরুকুম্ বিস্সূ - য়ি অল্ফাহ্শা - য়ি অআন্তাক্ব ূলূ ‘আলাল ল-হি মা-লা-তা’লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৬৯ নিশ্চয় সে তোমাদেরকে আদেশ দেয় মন্দ ও অশ¬ীল কাজের এবং আল্লাহর ব্যাপারে এমন কিছু বলতে, যা তোমরা জান না। 

2:170 وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّبِعُوا مَا أَنْزَلَ اللَّهُ قَالُوا بَلْ نَتَّبِعُ مَا أَلْفَيْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا أَوَلَوْ كَانَ آبَاؤُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ شَيْئًا وَلَا يَهْتَدُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৭০। অইযা-ক্বীলা লাহুমুত্তাবি‘ঊমা য় আন্যালাল্লা-হু ক্বা-লূ বাল্ নাত্তাবি‘উ মায় আল্ফাইনা-‘আলাইহি আ-বা - য়ানা-; আওয়ালাও কা-না আ-বা - য়ুহুম্ লা-ইয়া’ক্বিলূনা শাইয়াওঁ অলা-ইয়াহ্তাদূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৭০ আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা অনুসরণ কর, যা আল্লাহ নাযিল করেছেন’, তারা বলে, ‘বরং আমরা অনুসরণ করব আমাদের পিতৃ-পুরুষদেরকে যার উপর পেয়েছি’। যদি তাদের পিতৃ-পুরুষরা কিছু না বুঝে এবং হিদায়াতপ্রাপ্ত না হয়, তাহলেও কি? 

2:171 وَمَثَلُ الَّذِينَ كَفَرُوا كَمَثَلِ الَّذِي يَنْعِقُ بِمَا لَا يَسْمَعُ إِلَّا دُعَاءً وَنِدَاءً صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لَا يَعْقِلُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৭১। অমাছালুল্লাযীনা কাফারূ কামাছালিল্লাযী ইয়ান্‘ইক্ব ুবিমা-লা-ইয়াস্মা‘উ ইল্লা-দু‘আ - য়াওঁ অনিদা - আ; ছুম্মুম্ বুক্্মুন্ ‘উম্ইয়ুন ফাহুম লা-ইয়া’ক্বিলূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৭১ আর যারা কুফরী করেছে তাদের উদাহরণ তার মত, যে এমন কিছুর জন্য চিৎকার করছে, হাঁক-ডাক ছাড়া যে কিছু শোনে না। তারা বধির, বোবা, অন্ধ। তাই তারা বুঝে না। 

2:172 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَاشْكُرُوا لِلَّهِ إِنْ كُنْتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৭২। ইয়ায় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ কুলূ মিন্ তোয়াইয়্যিবা-তি মা- রাযাক্ব ্না-কুম্ অশ্কুরূ লিল্লা-হি ইন্কুন্তুম্ ইয়্যা-হু তা’বুদূন। বাংলা অনুবাদ ২.১৭২ হে মুমিনগণ, আহার কর আমি তোমাদেরকে যে হালাল রিযক দিয়েছি তা থেকে এবং আল্লাহর জন্য শোকর কর, যদি তোমরা তাঁরই ইবাদাত কর। 

2:173 إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةَ وَالدَّمَ وَلَحْمَ الْخِنْزِيرِ وَمَا أُهِلَّ بِهِ لِغَيْرِ اللَّهِ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.১৭৩। ইন্নামা-র্হারামা ‘আলাইকুমুল্ মাইতাতা অদ্দামা অলাহ্মাল্ খিন্যীরি অমায়উহিল্লা বিহী লিগাইরিল্লা-হি ফামানিদ্ব্ ত্বর্ ুরা গাইরা বা-গিওঁ অলা-‘আ-দিন্ ফালায়ইছ্মা ‘আলাইহি; ইন্নাল্লা-হা গাফূর্রু রাহীম্। বাংলা অনুবাদ ২.১৭৩ নিশ্চয় তিনি তোমাদের উপর হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের গোশ্ত এবং যা গায়রুল¬ার নামে যবেহ করা হয়েছে। সুতরাং যে বাধ্য হবে, অবাধ্য বা সীমালঙ্ঘনকারী না হয়ে, তাহলে তার কোন পাপ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। 

2:174 إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ مِنَ الْكِتَابِ وَيَشْتَرُونَ بِهِ ثَمَنًا قَلِيلًا أُولَئِكَ مَا يَأْكُلُونَ أُولَئِكَ مَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ إِلَّا النَّارَ وَلَا يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.১৭৪। ইন্নাল্লাযীনা ইয়াক্তুমূনা মায় আন্যালাল্লা-হু মিনাল্ কিতা-বি অইয়াশ্তারূনা বিহী ছামানান্ ক্বালীলান্ উলা - য়িকা মা-ইয়াকুলূনা ফী বুত্ব ূনিহিম্ ইল্লান্না-রা অলা-ইয়ুকাল্লিমুহুমুল্লা-হু ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি অলা-ইয়ুযাক্কী হিম্ অলাহুম্ ‘আযা-বুন আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.১৭৪ নিশ্চয় যারা গোপন করে যে কিতাব আল্লাহ নাযিল করেছেন এবং এর বিনিময়ে সামান্য মূল্য গ্রহণ করে, তারা শুধু আগুনই তাদের উদরে পুরে। আর আল্লাহ কিয়ামতের দিনে তাদের সাথে কথা বলবেন না, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। 

2:175 أُولَئِكَ الَّذِينَ اشْتَرَوُا الضَّلَالَةَ بِالْهُدَى وَالْعَذَابَ بِالْمَغْفِرَةِ فَمَا أَصْبَرَهُمْ عَلَى النَّارِ আরবি উচ্চারণ ২.১৭৫। উলা-য়িকাললাযীনাশ্ তারায়ুদ্ব্দ্বোলা-লাতা বিল্হুদা-অল্‘আযা-বা বিল্ মাগ্ফিরাতি ফামা-আছ্বারাহুম্ ‘আলান নার্-। বাংলা অনুবাদ ২.১৭৫ তারাই হিদায়াতের পরিবর্তে পথভ্রষ্টতা এবং মাগফিরাতের পরিবর্তে আযাব ক্রয় করেছে। আগুনের উপর তারা কতই না ধৈর্যশীল। 

2:176 ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ نَزَّلَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ وَإِنَّ الَّذِينَ اخْتَلَفُوا فِي الْكِتَابِ لَفِي شِقَاقٍ بَعِيدٍ আরবি উচ্চারণ ২.১৭৬। যা-লিকা বিআন্নাল্লা-হা নায্যালাল্ কিতা-বা বিল্হাক্ব ্ক্ব্;ি অইন্নাল্লাযীনাখ্তালাফূ ফিল্ কিতা-বি লাফী শিক্বা-ক্বিম্ বা‘ঈদ্। বাংলা অনুবাদ ২.১৭৬ তা এই কারণে যে, আল্লাহ যথার্থরূপে কিতাব নাযিল করেছেন। আর নিশ্চয় যারা কিতাবে মতবিরোধ করেছে, তারা অবশ্যই সুদূর মতানৈক্যে রয়েছে। 

2:177 لَيْسَ الْبِرَّ أَنْ تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآتَى الْمَالَ عَلَى حُبِّهِ ذَوِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَالسَّائِلِينَ وَفِي الرِّقَابِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُوا وَالصَّابِرِينَ فِي الْبَأْسَاءِ وَالضَّرَّاءِ وَحِينَ الْبَأْسِ أُولَئِكَ الَّذِينَ صَدَقُوا وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৭৭। লাইসাল্ র্বিরা আন্ তুওয়াল্লূ উজ্ব ূহাকুম্ ক্বিবালাল্ মাশ্রিক্বি অল্ মাগ্রিবি অলা-কিন্নাল্ র্বিরা মান্ আ-মানা বিল্লা-হি অল্ ইয়াওমিল্ আ-খিরি অল্মালা - য়িকাতি অল্কিতা-বি অন্নাবিয়্যীনা অ আ-তাল্ মা-লা ‘আলা-হুব্বিহী যাওয়িল্ ক্বর্ ুবা- অল্ইয়াতা-মা- অল্মাসা-কীনা অব্নাস্ সাবীলি অস্সা - য়িলীনা অর্ফি রিক্বা-ব্; অআক্বা-মাছ্ ছলা-তা অআ-তায্ যাকা-তা অল্মূফূনা বি‘আহ্দিহিম্ ইযা-‘আ-হাদূ অছ্ছোয়া-বিরীনা ফিল্বা সা - য়ি অদ্ব ্দ্বোর্য়ারায় য়ি অহীনাল্ বাস্; উলা - য়িকাল লাযীনা ছদাক্ব ূ ; অউলা - য়িকা হুমুল্ মুত্তাক্ব ূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৭৭ ভালো কাজ এটা নয় যে, তোমরা তোমাদের চেহারা পূর্ব ও পশ্চিম দিকে ফিরাবে; বরং ভালো কাজ হল যে ঈমান আনে আল্লাহ, শেষ দিবস, ফেরেশতাগণ, কিতাব ও নবীগণের প্রতি এবং যে সম্পদ প্রদান করে তার প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও নিকটাত্মীয়গণকে, ইয়াতীম, অসহায়, মুসাফির ও প্রার্থনাকারীকে এবং বন্দিমুক্তিতে এবং যে সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং যারা অঙ্গীকার করে তা পূর্ণ করে, যারা ধৈর্যধারণ করে কষ্ট ও দুর্দশায় ও যুদ্ধের সময়ে। তারাই সত্যবাদী এবং তারাই মুত্তাকী। 

2:178 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِصَاصُ فِي الْقَتْلَى الْحُرُّ بِالْحُرِّ وَالْعَبْدُ بِالْعَبْدِ وَالْأُنْثَى بِالْأُنْثَى فَمَنْ عُفِيَ لَهُ مِنْ أَخِيهِ شَيْءٌ فَاتِّبَاعٌ بِالْمَعْرُوفِ وَأَدَاءٌ إِلَيْهِ بِإِحْسَانٍ ذَلِكَ تَخْفِيفٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَرَحْمَةٌ فَمَنِ اعْتَدَى بَعْدَ ذَلِكَ فَلَهُ عَذَابٌ أَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.১৭৮। ইয়ায় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ কুতিবা ‘আলাইকুমুল্ ক্বিছোয়া-ছু ফিল্ ক্বাত্লা-; আল্ র্হুরু বিল্হুররি অল্‘আব্দু বিল্‘আব্দি অল্ উন্ছা-বিল্উন্ছা-; ফামান্‘উফিয়া লাহ ূমিন্ আখীহি শাইয়ুন্ ফাত্তিবা-‘উম্ বিল্মা’রূফি অআদা - উন্ ইলাইহি বিইহ্সা-ন্; যা-লিকা তাখ্ফীফুম্ র্মি রব্বিকুম্ অরাহ্মাহ্; ফামানি’তাদা- বা’দা যা-লিকা ফালাহূ ‘আযা-বুন্ আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.১৭৮ হে মুমিনগণ, নিহতদের ব্যাপারে তোমাদের উপর ‘কিসাস’ ফরয করা হয়েছে। স্বাধীনের বদলে স্বাধীন, দাসের বদলে দাস, নারীর বদলে নারী। তবে যাকে কিছুটা ক্ষমা করা হবে তার ভাইয়ের পক্ষ থেকে, তাহলে সততার অনুসরণ করবে এবং সুন্দরভাবে তাকে আদায় করে দেবে। এটি তোমাদের রবের পক্ষ থেকে হালকাকরণ ও রহমত। সুতরাং এরপর যে সীমালঙ্ঘন করবে, তার জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। 

2:179 وَلَكُمْ فِي الْقِصَاصِ حَيَاةٌ يَا أُولِي الْأَلْبَابِ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৭৯। অলাকুম্ ফিল্ক্বিছোয়া-ছি হাইয়া-তুইঁ ইয়ায় ঊলিল্ আল্আ-বি লা‘আল্লাকুম্ তাত্তাক্ব ূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৭৯ আর হে বিবেকসম্পন্নগণ, কিসাসে রয়েছে তোমাদের জন্য জীবন, আশা করা যায় তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে। 

2:180 كُتِبَ عَلَيْكُمْ إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ إِنْ تَرَكَ خَيْرًا الْوَصِيَّةُ لِلْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ بِالْمَعْرُوفِ حَقًّا عَلَى الْمُتَّقِينَ আরবি উচ্চারণ ২.১৮০। কুতিবা ‘আলাইকুম্ ইযা-হাদ্বোয়ারা আহাদাকুমুল্ মাওতু ইন্ তারাকা খাইরা-নিল্ ওয়াছিয়্যাতু লিল্ওয়া-লিদাইনি অল্ আক্ব ্রাবীনা বিল্মা’রূফি হাক্ব ্ক্বান্ ‘আলাল্ মুত্তাক্বীন। বাংলা অনুবাদ ২.১৮০ তোমাদের উপর ফরয করা হয়েছে যে, যখন তোমাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হবে, যদি সে কোন সম্পদ রেখে যায়, তবে পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়দের জন্য ন্যায়ভিত্তিক অসিয়ত করবে। এটি মুত্তাকীদের দায়িত্ব।


2:181 فَمَنْ بَدَّلَهُ بَعْدَمَا سَمِعَهُ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى الَّذِينَ يُبَدِّلُونَهُ إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.১৮১। ফামাম্বাদ্দা লাহূ বা’দা মা-সামি‘আহূ ফাইন্নামায় ইছ্মুহূ ‘আলাল্লাযীনা ইয়ুবাদ্দিলূনাহ্; ইন্নাল্লা-হা সামী‘উন্ ‘আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.১৮১ অতএব যে তা শ্রবণ করার পর পরিবর্তন করবে, তবে এর পাপ তাদের হবে, যারা তা পরিবর্তন করে। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। 

2:182 فَمَنْ خَافَ مِنْ مُوصٍ جَنَفًا أَوْ إِثْمًا فَأَصْلَحَ بَيْنَهُمْ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.১৮২। ফামান্ খা-ফা মিম্ মূছিন্ জ্বানাফান্ আও ইছ্মান্ ফাআছ্লাহা বাইনাহুম্ ফালায় ইছ্মা ‘আলাইহি; ইন্নাল্লা-হা গাফূর্রু রাহীম্। বাংলা অনুবাদ ২.১৮২ তবে কেউ যদি অসিয়তকারীর পক্ষ থেকে পক্ষপাতিত্ব ও পাপের আশঙ্কা করে, অতঃপর তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়, তাহলে তার কোন পাপ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। 

2:183 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৮৩। ইয়ায় আইয়্যুহাল্লাযী-না আ-মানূ কুতিবা ‘আলাইকুমুছ্ ছিয়া-মু কামা-কুতিবা ‘আলাল্লাযীনা মিন্ ক্বাব্লিকুম্ লা‘আল্লাকুম্ তাত্তাক্ব ূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৮৩ হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর। 

2:184 أَيَّامًا مَعْدُودَاتٍ فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ فَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ وَأَنْ تَصُومُوا خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৮৪। আইয়্যা-মাম্ মা’দূদা-ত; ফামান্ কা-না মিন্কুম্ মারীদ্বোয়ান্ আও ‘আলা- সাফারিন্ ফা‘ইদ্দাতুম্ মিন্ আইয়্যা-মিন্ উর্খা; অ‘আলাল্লাযীনা ইয়ুত্বীক্ব ূনাহূ ফিদ্ইয়াতুন্ ত্বোয়া‘আ-মু মিস্কীন্; ফামান্ তাত্বোয়াও য়্যা‘আ খাইরান্ ফাহুওয়া খাইরুল্লাহূ; অআন্ তাছূমূ খাইরুল্লাকুম্ ইন্ কুন্তুম্ তা’লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৮৪ নির্দিষ্ট কয়েক দিন। তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হবে, কিংবা সফরে থাকবে, তাহলে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদয়া- একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করা। অতএব যে স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত সৎকাজ করবে, তা তার জন্য কল্যাণকর হবে। আর সিয়াম পালন তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জান। 

2:185 شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৮৫। শাহরু রামাদ্বোয়া-নাল্ লাযীয় উন্যিলা ফীহিল্ ক্বর্ ুআ-নু হুদাল্ লিন্না-সি অবাইয়্যিনা-তিম্ মিনাল্ হুদা- অল্ ফুরক্বা-নি ফামান্ শাহিদা মিন্কুমুশ্ শাহ্রা ফাল্ইয়াছুম্হু অমান্ কা-না মারীদ্বোয়ান্ আও ‘আলা-সাফারিন্ ফা‘ইদ্দাতুম্ মিন্ আই ইয়া-মিন্ উর্খা; ইয়ুরীদুল্লা-হু বিকুমুল্ ইয়ুস্রা অলা-ইয়ুরীদু বিকুমুল্ ‘উস্রা অলিতুক্মিলুল্ ‘ইদ্দাতা- অলিতুকাব্বিরুল্লা-হা ‘আলা- মা-হাদা-কুম্ অলা‘আল্লাকুম্ তাশ্কুরূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৮৫ রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে। আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিবসে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আল্লাহ তোমাদের সহজ চান এবং কঠিন চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর। 

2:186 وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيبُوا لِي وَلْيُؤْمِنُوا بِي لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৮৬। অইযা-সায়ালাকা ‘ইবা-দী ‘আন্নী ফাইন্নী ক্বারীব্; উজ্বীবু দা’ওয়াতাদ্দা-‘ই ইযা-দা‘আ-নি ফাল্ইয়াস্তাজ্বীবূ লী অল্ইয়ু মিনূ বী লা‘আল্লাহুম্ ইর্য়াশুদূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৮৬ আর যখন আমার বান্দাগণ তোমাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে, আমি তো নিশ্চয় নিকটবর্তী। আমি আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দেই, যখন সে আমাকে ডাকে। সুতরাং তারা যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং আমার প্রতি ঈমান আনে। আশা করা যায় তারা সঠিক পথে চলবে। 

2:187 أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ هُنَّ لِبَاسٌ لَكُمْ وَأَنْتُمْ لِبَاسٌ لَهُنَّ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنْتُمْ تَخْتَانُونَ أَنْفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنْكُمْ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ وَلَا تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنْتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَقْرَبُوهَا كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৮৭। উহিল্লা লাকুম্ লাইলাতাছ্ ছিয়া-র্মি রাফাছু ইলা- নিসা - য়িকুম্; হুন্না লিবা-সুল্ লাকুম্ অআন্তুম্ লিবা-সুল্ লাহুন্; ‘আলিমাল্লা-হু আন্নাকুম্ কুন্তুম্ তাখ্তা-নূনা আন্ফুসাকুম্ ফাতা-বা ‘আলাইকুম্ অ‘আফা- ‘আন্কুম্ ফাল্য়া-না বা-শিরূহুন্না অব্তাগূ-মা-কাতাবাল্লা-হু লাকুম্ অকুলূ অশ্রাবূ হাত্তা- ইয়াতাবাইয়্যানা লাকুমুল্ খাইত্ব ুল্ আব্ইয়াদ্ব ু মিনাল্ খাইত্বিল্ আস্ওয়াদি মিনাল্ ফাজ্ব ্রি ছুম্মা আতিম্মুছ্ ছিয়া-মা ইলাল্ লাইলি অলা-তুবা-শিরূহুন্না অআন্তুম্ ‘আ-কিফূনা ফিল্ মাসা-জ্বিদ্; তিল্কা হুদূদুল্ লা- হি ফালা- তাক্ব্রাবূহা-; কাযা-লিকা ইয়ুবাইয়িনুল্লা-হু আ-ইয়া-তিহী লিন্না-সি লা‘আল্লাহুম্ ইয়াত্তাক্ব ূন। বাংলা অনুবাদ ২.১৮৭ সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের নিকট গমন হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্য পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের জন্য পরিচ্ছদ। আল্লাহ জেনেছেন যে, তোমরা নিজদের সাথে খিয়ানত করছিলে। অতঃপর তিনি তোমাদের তাওবা কবূল করেছেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন। অতএব, এখন তোমরা তাদের সাথে মিলিত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা লিখে দিয়েছেন, তা অনুসন্ধান কর। আর আহার কর ও পান কর যতক্ষণ না ফজরের সাদা রেখা কাল রেখা থেকে স্পষ্ট হয়। অতঃপর রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর। আর তোমরা মাসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে মিলিত হয়ো না। এটা আল্লাহর সীমারেখা, সুতরাং তোমরা তার নিকটবর্তী হয়ো না। এভাবেই আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহ মানুষের জন্য স্পষ্ট করেন যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করে। 

2:188 وَلَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُوا بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ لِتَأْكُلُوا فَرِيقًا مِنْ أَمْوَالِ النَّاسِ بِالْإِثْمِ وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৮৮। অলা-তাকুলূয় আম্ওয়া-লাকুম্ বাইনাকুম্ বিল্বা-ত্বিলি অতুদ্লূ বিহায় ইলাল্ হুক্কা-মি লিতাকুলূ ফারীক্বাম্ মিন্ আম্ওয়া-লিন্ না-সি বিল্ ইছ্মি অআন্তুম তা’লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৮৮ আর তোমরা নিজদের মধ্যে তোমাদের সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না এবং তা বিচারকদেরকে (ঘুষ হিসেবে) প্রদান করো না। যাতে মানুষের সম্পদের কোন অংশ পাপের মাধ্যমে জেনে বুঝে খেয়ে ফেলতে পার।

 2:189 يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَهِلَّةِ قُلْ هِيَ مَوَاقِيتُ لِلنَّاسِ وَالْحَجِّ وَلَيْسَ الْبِرُّ بِأَنْ تَأْتُوا الْبُيُوتَ مِنْ ظُهُورِهَا وَلَكِنَّ الْبِرَّ مَنِ اتَّقَى وَأْتُوا الْبُيُوتَ مِنْ أَبْوَابِهَا وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ আরবি উচ্চারণ ২.১৮৯। ইয়াস্আলূনাকা ‘আনিল্ আহিল্লাহ্; ক্ব ুল্ হিয়া মাওয়া-ক্বীতু লিন্না-সি অল্ হাজ্ব ্; অলাইসাল্ র্বিরু বি আন্ তাতুল্ বুইয়ূতা মিন্ জুহূরিহা- অলা-কিন্নাল্ র্বিরা মানিত্তাক্বা- অতুল্ বুইয়ূতা মিন্ আব্ওয়া-বিহা- অত্তাক্ব ুল্লা-হা লা‘আল্লাকুম্ তুফ্লিহূন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৮৯ তারা তোমাকে নতুন চাঁদসমূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, ‘তা মানুষের ও হজ্জের জন্য সময় নির্ধারক’। আর ভালো কাজ এটা নয় যে, তোমরা পেছন দিক দিয়ে গৃহে প্রবেশ করবে। কিন্তু ভাল কাজ হল, যে তাকওয়া অবলম্বন করে। আর তোমরা গৃহসমূহে তার দরজা দিয়ে প্রবেশ কর এবং আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফল হও। 

2:190 وَقَاتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَكُمْ وَلَا تَعْتَدُوا إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ আরবি উচ্চারণ ২.১৯০। অক্বা-তিলূ ফী সাবীলিল্লা-হিল্ লাযীনা ইয়ুক্বা-তিলূনাকুম্ অলা-তা’তাদূ; ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়ূহিব্বুল্ মু’তাদীন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৯০ আর তোমরা আল্লাহর রাস্তায় তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর, যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং সীমালঙ্ঘন করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।


2:191 وَاقْتُلُوهُمْ حَيْثُ ثَقِفْتُمُوهُمْ وَأَخْرِجُوهُمْ مِنْ حَيْثُ أَخْرَجُوكُمْ وَالْفِتْنَةُ أَشَدُّ مِنَ الْقَتْلِ وَلَا تُقَاتِلُوهُمْ عِنْدَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ حَتَّى يُقَاتِلُوكُمْ فِيهِ فَإِنْ قَاتَلُوكُمْ فَاقْتُلُوهُمْ كَذَلِكَ جَزَاءُ الْكَافِرِينَ আরবি উচ্চারণ ২.১৯১। অক্ব্তুলূহুম্ হাইছু ছাক্বিফ্তুমূহুম্ অআখ্রিজ্ব ূহুম্ মিন্ হাইছু আখ্রাজ্ব ূকুম্ অল্ ফিত্নাতু আশাদ্দু মিনাল্ ক্বাত্লি অলা-তুক্বা-তিলূহুম্ ‘ইন্দাল্ মাস্জ্বিদিল্ হারা-মি হাত্তা-ইয়ুক্বা-তিলূকুম্ ফীহি’ ফাইন্ ক্বা-তালূকুম্ ফাক্ব ্তুলূহুম্; কাযা-লিকা জ্বাযা - উল্ কা-ফিরীন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৯১ আর তাদেরকে হত্যা কর যেখানে তাদেরকে পাও এবং তাদেরকে বের করে দাও যেখান থেকে তারা তোমাদেরকে বের করেছিল। আর ফিতনা হত্যার চেয়ে কঠিনতর এবং তোমরা মাসজিদুল হারামের নিকট তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করো না, যতক্ষণ না তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সেখানে লড়াই করে। অতঃপর তারা যদি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, তবে তাদেরকে হত্যা কর। এটাই কাফিরদের প্রতিদান। 

2:192 فَإِنِ انْتَهَوْا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.১৯২। ফাইনিন্ তাহাও ফাইন্নাল্লা-হা গাফূর্রু রাহীম্। বাংলা অনুবাদ ২.১৯২ তবে যদি তারা বিরত হয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। 

2:193 وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ لِلَّهِ فَإِنِ انْتَهَوْا فَلَا عُدْوَانَ إِلَّا عَلَى الظَّالِمِينَ আরবি উচ্চারণ ২.১৯৩। অক্বা-তিলূহুম্ হাত্তা- লা-তাকূনা ফিত্নাতুওঁ অইয়াকূনাদ্দীনু লিল্লা-হ; ফাইনিন্ তাহাও ফালা-‘উদ্ওয়া-না ইল্লা-‘আলাজ্ জোয়া-লিমীন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৯৩ আর তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর যে পর্যন্ত না ফিতনা খতম হয়ে যায় এবং দীন আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। সুতরাং তারা যদি বিরত হয়, তাহলে যালিমরা ছাড়া (কারো উপর) কোন কঠোরতা নেই।

 2:194 الشَّهْرُ الْحَرَامُ بِالشَّهْرِ الْحَرَامِ وَالْحُرُمَاتُ قِصَاصٌ فَمَنِ اعْتَدَى عَلَيْكُمْ فَاعْتَدُوا عَلَيْهِ بِمِثْلِ مَا اعْتَدَى عَلَيْكُمْ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ مَعَ الْمُتَّقِينَ আরবি উচ্চারণ ২.১৯৪। আশ্শাহ্রুল্ হারা-মু বিশ্শাহ্রিল্ হারা-মি অল্ হুরুমা-তু ক্বিছোয়া-ছ্; ফামানি’ তাদা-‘আলাইকুম্ ফা’তাদূ ‘আলাইহি বিমিছ্লি মা’ তাদা- ‘আলাইকুম্ অত্তাক্ব ুল্লা-হা অ’লামূ য় আন্নাল্লা-হা মা‘আল্মুত্তাক্বীন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৯৪ হারাম মাস হারাম মাসের বদলে এবং পবিত্র বিষয়সমূহ কিসাসের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে তোমাদের উপর আক্রমণ করেছে, তোমরা তার উপর আক্রমণ কর, যেরূপ সে তোমাদের উপর আক্রমণ করেছে। আর আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে আছেন। 

2:195 وَأَنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ وَأَحْسِنُوا إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ আরবি উচ্চারণ ২.১৯৫। অ আন্ফিক্ব ূ ফী সাবীলিল্লা-হি অলা-তুল্ক্ব ূ বিআইদীকুম্ ইলাত্ তাহ্লুকাতি অআহ্সিনূ; ইন্নাল্লা-হা ইয়ুহিব্বুল্ মুহ্সিনীন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৯৫ আর তোমরা আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় কর এবং নিজ হাতে নিজদেরকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না। আর সুকর্ম কর। নিশ্চয় আল্লাহ সুকর্মশীলদেরকে ভালবাসেন। 

2:196 وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ فَإِنْ أُحْصِرْتُمْ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ وَلَا تَحْلِقُوا رُءُوسَكُمْ حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ بِهِ أَذًى مِنْ رَأْسِهِ فَفِدْيَةٌ مِنْ صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍ فَإِذَا أَمِنْتُمْ فَمَنْ تَمَتَّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعْتُمْ تِلْكَ عَشَرَةٌ كَامِلَةٌ ذَلِكَ لِمَنْ لَمْ يَكُنْ أَهْلُهُ حَاضِرِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ আরবি উচ্চারণ ২.১৯৬। অআতিম্মুল্ হাজ্জ্বা অল্ ‘উম্রাতা লিল্লা-হ্; ফাইন্ উর্হ্ছিতুম্ ফামাস্ তাইসারা মিনাল্ হাদ্য়ি অলা-তাহ্লিক্ব ূ রূঊসাকুম্ হাত্তা- ইয়াব্লুগাল্ হাদ্ইয়ু মাহিল্লা-হ্; ফামান্ কা-না মিন্কুম্ মারীদ্বোয়ান্ আওবিহীয় আযাম্ র্মি রাসিহী ফাফিদ্ইয়াতুম্ মিন্ সিয়া-মিন্ আও ছোয়াদাক্বাতিন্ আও নুসুকিন্ ফাইযা য় আমিন্তুম্ ফামান্ তামাত্তা‘আ বিল্‘উম্রাতি ইলাল্ হাজ্জ্বি ফামাস্ তাইসারা মিনাল্ হাদ্ই ফামাল্লাম্ ইয়াজ্বিদ্ ফাছিয়া-মু ছালা-ছাতি আইয়্যা-মিন্ ফিল্ হাজ্জ্বি অসাব্‘আতিন্ ইযা-রাজ্বা’তুম্; তিল্কা আশারাতুন্ কা-মিলাহ্; যা-লিকা লিমাল্ লাম্ ইয়াকুন্ আহ্লুহূ হা-দ্বিরিল্ মাস্জ্বিদিল্ হারা-ম্; অত্তাক্ব ুল্লা-হা অ’লামূ য় আন্নাল্লা-হা শাদীদুল্ ‘ইক্বা-ব্। বাংলা অনুবাদ ২.১৯৬ আর হজ ও উমরা আল্লাহর জন্য পূর্ণ কর। অতঃপর যদি তোমরা আটকে পড় তবে যে পশু সহজ হবে (তা যবেহ কর)। আর তোমরা তোমাদের মাথা মুণ্ডন করো না, যতক্ষণ না পশু তার যথাস্থানে পৌঁছে। আর তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ কিংবা তার মাথায় যদি কোন কষ্ট থাকে তবে সিয়াম কিংবা সদাকা অথবা পশু যবেহ এর মাধ্যমে ফিদয়া দেবে। আর যখন তোমরা নিরাপদ হবে তখন যে ব্যক্তি উমরার পর হজ সম্পাদনপূর্বক তামাত্তু করবে, তবে যে পশু সহজ হবে, তা যবেহ করবে। কিন্তু যে তা পাবে না তাকে হজে তিন দিন এবং যখন তোমরা ফিরে যাবে, তখন সাত দিন সিয়াম পালন করবে। এই হল পূর্ণ দশ। এই বিধান তার জন্য, যার পরিবার মাসজিদুল হারামের অধিবাসী নয়। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ আযাবদানে কঠোর। 

2:197 الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَعْلُومَاتٌ فَمَنْ فَرَضَ فِيهِنَّ الْحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوقَ وَلَا جِدَالَ فِي الْحَجِّ وَمَا تَفْعَلُوا مِنْ خَيْرٍ يَعْلَمْهُ اللَّهُ وَتَزَوَّدُوا فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوَى وَاتَّقُونِ يَا أُولِي الْأَلْبَابِ আরবি উচ্চারণ ২.১৯৭। আল্হাজ্জ্ব ু আশ্হুরুম্ মা’লূমা-তুন্ ফামান্ ফারাদ্বোয়া ফীহিন্নাল্ হাজ্জ্বা ফালা-রাফাছা অলা-ফূসূক্বা অলা-জ্বিদা-লা ফিল্ হাজ্জ্ব; অমা- তাফ্‘আলূ মিন্ খাইরিইঁ ইয়া’লাম্হুল্লা-হ্; অতাযাওওয়াদূ ফাইন্না খাইরায্ যা-দিত্ তাক্ব ্ওয়া-অত্তাক্ব ূনি ইয়ায় উলিল্ আল্বা-ব্। বাংলা অনুবাদ ২.১৯৭ হজের সময় নির্দিষ্ট মাসসমূহ। অতএব এই মাসসমূহে যে নিজের উপর হজ আরোপ করে নিল, তার জন্য হজে অশ¬ীল ও পাপ কাজ এবং ঝগড়া-বিবাদ বৈধ নয়। আর তোমরা ভাল কাজের যা কর, আল্লাহ তা জানেন এবং পাথেয় গ্রহণ কর। নিশ্চয় উত্তম পাথেয় তাকওয়া। আর হে বিবেক সম্পন্নগণ, তোমরা আমাকে ভয় কর। 

2:198 لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَبْتَغُوا فَضْلًا مِنْ رَبِّكُمْ فَإِذَا أَفَضْتُمْ مِنْ عَرَفَاتٍ فَاذْكُرُوا اللَّهَ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ فَاذْكُرُوا اللَّهَ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ وَاذْكُرُوهُ كَمَا هَدَاكُمْ وَإِنْ كُنْتُمْ مِنْ قَبْلِهِ لَمِنَ الضَّالِّينَ আরবি উচ্চারণ ২.১৯৮। লাইসা ‘আলাইকুম্ জ্ব ূনা-হুন্ আন্ তাব্তাগূ ফাদ্ব্লাম্ র্মি রব্বিকুম্; ফাইযায় আফাদ্ব্তুম্ মিন্ ‘আরাফা-তিন্ ফায্কুরুল্লা-হা ‘ইন্দাল্ মাশ্‘আরিল্ হারা-ম্; অয্কুরূহু কামা-হাদা-কুম্ অইন্ কুন্তুম্ মিন্ ক্বাব্লিহী লামিনাদ্ব্ দ্বোয়া- ল্লীন্। বাংলা অনুবাদ ২.১৯৮ তোমাদের উপর কোন পাপ নেই যে, তোমরা তোমাদের রবের পক্ষ থেকে অনুগ্রহ অনুসন্ধান করবে। সুতরাং যখন তোমরা আরাফা থেকে বের হয়ে আসবে, তখন মাশআরে হারামের নিকট আল্লাহকে স্মরণ কর এবং তাকে স্মরণ কর যেভাবে তিনি তোমাদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। যদিও তোমরা এর পূর্বে অবশ্যই পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে। 

2:199 ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ وَاسْتَغْفِرُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.১৯৯। ছুম্মা আফীদ্ব ূ মিন্ হাইছু আফা-দ্বোয়ান্ না-সু অস্তাগ্ফিরুল্লা-হ্; ইন্নাল্লা-হা গাফূরুর রাহীম্। বাংলা অনুবাদ ২.১৯৯ অতঃপর তোমরা প্রত্যাবর্তন কর, যেখান থেকে মানুষেরা প্রত্যাবর্তন করে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। 

2:200 فَإِذَا قَضَيْتُمْ مَنَاسِكَكُمْ فَاذْكُرُوا اللَّهَ كَذِكْرِكُمْ آبَاءَكُمْ أَوْ أَشَدَّ ذِكْرًا فَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا وَمَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ আরবি উচ্চারণ ২.২০০। ফাইযা-ক্বাদ্বোয়াইতুম্ মানা-সিকাকুম্ ফায্কুরুল্লা-হা কাযিক্রিকুম্ আ-বা - আকুম্ আও আশাদ্দা যিক্রা-; ফামিনান্না-সি মাইঁইয়াক্ব ূলু রব্বানায় আ-তিনা- ফিদ্ দুন্ইয়া-অমা-লাহূ ফিল্ আ-খিরাতি মিন্ খালা-ক্ব ্। বাংলা অনুবাদ ২.২০০ তারপর যখন তোমরা তোমাদের হজের কাজসমূহ শেষ করবে, তখন আল্লাহকে স্মরণ কর, যেভাবে তোমরা স্মরণ করতে তোমাদের বাপ-দাদাদেরকে, এমনকি তার চেয়ে অধিক স্মরণ। আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে যে বলে, হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতেই দিয়ে দিন। বস্তুত আখিরাতে তার জন্য কোন অংশ নেই। 

2:201 وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ আরবি উচ্চারণ ২.২০১। অমিন্হুম্ মাইঁইয়াক্ব ূ লু রব্বানায় আ-তিনা-ফিদ্ দুন্ইয়া-হাসানাতাওঁ অফিল্ আ-খিরাতি হাসানাতাওঁ অক্বিনা-‘আযা-বান্না-র। বাংলা অনুবাদ ২.২০১ আর তাদের মধ্যে এমনও আছে, যারা বলে, হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন। আর আখিরাতেও কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন। 

2:202 أُولَئِكَ لَهُمْ نَصِيبٌ مِمَّا كَسَبُوا وَاللَّهُ سَرِيعُ الْحِسَابِ আরবি উচ্চারণ ২.২০২। উলা - য়িকা লাহুম্ নাছীবুম্ মিম্মা- কাসাবূ; অল্লা-হু সারী‘উল্ হিসা-ব্। বাংলা অনুবাদ ২.২০২ তারা যা অর্জন করেছে তার হিস্যা তাদের রয়েছে। আর আল্লাহ হিসাব গ্রহণে দ্রুত।

 2:203 وَاذْكُرُوا اللَّهَ فِي أَيَّامٍ مَعْدُودَاتٍ فَمَنْ تَعَجَّلَ فِي يَوْمَيْنِ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ وَمَنْ تَأَخَّرَ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ لِمَنِ اتَّقَى وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّكُمْ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২০৩। অয্কুরুল্লা-হা ফীয় আইয়্যা-মিম্ মা’দূদা-ত্; ফামান্ তা‘আজ্বজ্বালা ফী ইয়াওমাইনি ফালায় ইছ্মা ‘আলাইহি’ অমান্ তায়াখ্খারা ফালায় ইছ্মা ‘আলাইহি লিমানিত্ তাক্বা-; অত্তাক্ব ুল্লা-হা অ’লামূ য় আন্নাকুম্ ইলাইহি তুহ্শারূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২০৩ আর আল্লাহকে স্মরণ কর নির্দিষ্ট দিনসমূহে। অতঃপর যে তাড়াহুড়া করে দু’দিনে চলে আসবে। তার কোন পাপ নেই। আর যে বিলম্ব করবে, তারও কোন অপরাধ নেই। (এ বিধান) তার জন্য, যে তাকওয়া অবলম্বন করেছে। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় তোমাদেরকে তাঁরই কাছে সমবেত করা হবে। 

2:204 وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يُعْجِبُكَ قَوْلُهُ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيُشْهِدُ اللَّهَ عَلَى مَا فِي قَلْبِهِ وَهُوَ أَلَدُّ الْخِصَامِ আরবি উচ্চারণ ২.২০৪। অমিনান্না-সি মাইঁ ইয়ু’ জ্বিবুকা ক্বাওলুহূ ফিল্ হাইয়া-তিদ্দুন্ইয়া-অইয়ুশ্হিদুল্লা-হা ‘আলা-মা-ফী ক্বাল্বিহী অহুওয়া আলাদ্দুল্ খি-ছোয়াম্। বাংলা অনুবাদ ২.২০৪ আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে, যার কথা দুনিয়ার জীবনে তোমাকে অবাক করে এবং সে তার অন্তরে যা রয়েছে, তার উপর আল্লাহকে সাক্ষী রাখে। আর সে কঠিন ঝগড়াকারী। 

2:205 وَإِذَا تَوَلَّى سَعَى فِي الْأَرْضِ لِيُفْسِدَ فِيهَا وَيُهْلِكَ الْحَرْثَ وَالنَّسْلَ وَاللَّهُ لَا يُحِبُّ الْفَسَادَ আরবি উচ্চারণ ২.২০৫। অইযা-তাওয়াল্লা-সা‘আ-ফিল্ আরদ্বি লিইয়ুফ্সিদা ফীহা-অইয়ুহ্লিকাল্ র্হাছা অন্নাস্লা অল্লা-হু লা-ইয়ুহিব্বুল্ ফাসা-দ্। বাংলা অনুবাদ ২.২০৫ আর যখন সে ফিরে যায়, তখন যমীনে প্রচেষ্টা চালায় তাতে ফাসাদ করতে এবং ধ্বংস করতে শস্য ও প্রাণী। আর আল্লাহ ফাসাদ ভালবাসেন না। 

2:206 وَإِذَا قِيلَ لَهُ اتَّقِ اللَّهَ أَخَذَتْهُ الْعِزَّةُ بِالْإِثْمِ فَحَسْبُهُ جَهَنَّمُ وَلَبِئْسَ الْمِهَادُ আরবি উচ্চারণ ২.২০৬। অইযা-ক্বীলা লাহুত্তাক্বি ল্লা-হা আখাযাত্ হুল্ ‘ইয্যাতু বিল্ইছ্মি ফাহাস্বুহূ জ্বাহান্নাম্; অলাবিসাল্ মিহা-দ্। বাংলা অনুবাদ ২.২০৬ আর যখন তাকে বলা হয়, ‘আল্লাহকে ভয় কর’ তখন আত্মাভিমান তাকে পাপ করতে উৎসাহ দেয়। সুতরাং জাহান্নাম তার জন্য যথেষ্ট এবং তা কতই না মন্দ ঠিকানা।

 2:207 وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْرِي نَفْسَهُ ابْتِغَاءَ مَرْضَاةِ اللَّهِ وَاللَّهُ رَءُوفٌ بِالْعِبَادِ আরবি উচ্চারণ ২.২০৭। অমিনান্না-সি মাইঁইয়াশ্রী নাফ্সাহুব্তিগা - য়া র্মাদ্বোয়া-তিল্লা-হ্; অল্লা-হু রাঊফুম্ বিল্‘ইবা-দ। বাংলা অনুবাদ ২.২০৭ আর মানুষের মধ্যে এমন লোকও আছে যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নিজকে বিকিয়ে দেয়। আর আল্লাহ (তার) বান্দাদের প্রতি স্নেহশীল। 

2:208 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ আরবি উচ্চারণ ২.২০৮। ইয়ায় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানুদ্ খুলূ-ফিস্ সিল্মি কা - ফ্ফাহ্; অলা-তাত্তাবি‘উ খুত্ব ুওয়া-তিশ্ শাইত্বোয়া-ন্; ইন্নাহূ লাকুম্ ‘আদুউয়্যু’ম্ মুবীন্। বাংলা অনুবাদ ২.২০৮ হে মুমিনগণ, তোমরা ইসলামে পূর্ণরূপে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য স্পষ্ট শত্রু।

 2:209 فَإِنْ زَلَلْتُمْ مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَتْكُمُ الْبَيِّنَاتُ فَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২০৯। ফাইন্ যালাল্তুম্ মিম্ বা’দি মা-জ্বা - আত্কুমুল্ বাইয়্যিনা-তু ফা’লামূ য় আন্নাল লা-হা ‘আযীযুন্ হাকীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২০৯ অতএব তোমরা যদি পদস্খলিত হও, তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ আসার পর, তবে জেনে রাখ যে, আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

 2:210 هَلْ يَنْظُرُونَ إِلَّا أَنْ يَأْتِيَهُمُ اللَّهُ فِي ظُلَلٍ مِنَ الْغَمَامِ وَالْمَلَائِكَةُ وَقُضِيَ الْأَمْرُ وَإِلَى اللَّهِ تُرْجَعُ الْأُمُورُ আরবি উচ্চারণ ২.২১০। হাল্ ইয়ান্জুরূনা ইল্লায় আইঁ ইয়াতিয়াহুমুল্লা-হু ফী জুলালিম্ মিনাল্ গামা-মি অল্মালা - য়িকাতু অক্ব ুদ্বিয়াল্ আম্রু; অইলাল্লা-হি র্তুজ্বা‘উল্ উর্মূ। বাংলা অনুবাদ ২.২১০ তারা কি এরই অপেক্ষা করছে যে, মেঘের ছায়ায় আল্লাহ ও ফেরেশতাগণ তাদের নিকট আগমন করবেন এবং সব বিষয়ের ফয়সালা করে দেয়া হবে। আর আল্লাহর নিকটই সব বিষয় প্রত্যাবর্তিত হবে। 

2:211 سَلْ بَنِي إِسْرَائِيلَ كَمْ آتَيْنَاهُمْ مِنْ آيَةٍ بَيِّنَةٍ وَمَنْ يُبَدِّلْ نِعْمَةَ اللَّهِ مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَتْهُ فَإِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ আরবি উচ্চারণ ২.২১১। সাল্ বানীয় ইস্রা - ঈলা কাম্ আ-তাইনা-হুম্ মিন্ আ-ইয়াতিম্ বাইয়্যিনা-হ্; অমাইঁ ইয়ুবাদ্দিল নি’মাতাল্লা-হি মিম্ বা’দি মা-জ্বা - আত্হু ফাইন্নাল্লা-হা শাদীদুল্ ‘ইক্বা-ব্। বাংলা অনুবাদ ২.২১১ বনী ইসরাইলকে জিজ্ঞাসা কর, আমি তাদেরকে কত সুস্পষ্ট নিদর্শন দিয়েছি। আর যে আল্লাহর নি‘আমত তার কাছে আসার পর তা বদলে দেবে তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ আযাব দানে কঠোর। 

2:212 زُيِّنَ لِلَّذِينَ كَفَرُوا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا وَيَسْخَرُونَ مِنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَالَّذِينَ اتَّقَوْا فَوْقَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَاللَّهُ يَرْزُقُ مَنْ يَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ আরবি উচ্চারণ ২.২১২। যুইয়্যিনা লিল্লাযীনা কাফারুল্ হাইয়া-তুদ্ দুন্ইয়া-অ ইয়াস্খারূনা মিনাল্ লাযীনা আ-মানূ। অল্লাযীনাত্ তাক্বাও ফাওক্বাহুম্ ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাহ্; অল্লা-হু ইর্য়াযুক্ব ু মাইঁ ইয়াশা - উ বিগাইরি হিসা-ব্। বাংলা অনুবাদ ২.২১২ যারা কুফরী করেছে, দুনিয়ার জীবনকে তাদের জন্য সুশোভিত করা হয়েছে। আর তারা মুমিনদের নিয়ে উপহাস করে। আর যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তারা কিয়ামত দিবসে তাদের উপরে থাকবে। আর আল্লাহ যাকে চান, বেহিসাব রিয্ক দান করেন। 

2:213 كَانَ النَّاسُ أُمَّةً وَاحِدَةً فَبَعَثَ اللَّهُ النَّبِيِّينَ مُبَشِّرِينَ وَمُنْذِرِينَ وَأَنْزَلَ مَعَهُمُ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ لِيَحْكُمَ بَيْنَ النَّاسِ فِيمَا اخْتَلَفُوا فِيهِ وَمَا اخْتَلَفَ فِيهِ إِلَّا الَّذِينَ أُوتُوهُ مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَتْهُمُ الْبَيِّنَاتُ بَغْيًا بَيْنَهُمْ فَهَدَى اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا لِمَا اخْتَلَفُوا فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِهِ وَاللَّهُ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ আরবি উচ্চারণ ২.২১৩। কা-নান্না-সু উম্মাতাওঁ ওয়া-হিদাতান্ ফাবা‘আছাল্লা-হুন্ নাবিয়্যীনা মুবাশ্শিরীনা অমুন্যিরীনা অআন্যালা মা‘আহুমুল্ কিতা-বা বিল্হাক্ব ্ক্বি লিইয়াহ্কুমা বাইনান্ না-সি ফীমাখ্তালাফূ ফীহ্; অমাখ্তালাফা ফীহি ইল্লাল্লাযীনা ঊতূহু মিম্ বা’দি মা-জ্বা - আত্ হুমুল্ বাইয়্যিনা-তু বাগ্ইয়াম্ বাইনাহুম্ ফাহাদাল্লা-হুল্ লাযী-না আ-মানূ লিমাখ্তালাফূ ফীহি মিনাল্ হাক্ব ্ক্বি বিইয্নিহ্; অল্লা-হু ইয়াহ্দী মাইঁ ইয়াশা - উ ইলা-ছিরা-ত্বিম্ মুস্তাক্বীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২১৩ মানুষ ছিল এক উম্মত। অতঃপর আল্লাহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে নবীদেরকে প্রেরণ করলেন এবং সত্যসহ তাদের সাথে কিতাব নাযিল করলেন, যাতে মানুষের মধ্যে ফয়সালা করেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করত। আর তারাই তাতে মতবিরোধ করেছিল, যাদেরকে তা দেয়া হয়েছিল, তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসার পরও পরস্পরের মধ্যে বিদ্বেষবশত। অতঃপর আল্লাহ নিজ অনুমতিতে মুমিনদেরকে হিদায়াত দিলেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছিল। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন সরল পথের দিকে হিদায়াত দেন।

 2:214 أَمْ حَسِبْتُمْ أَنْ تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَأْتِكُمْ مَثَلُ الَّذِينَ خَلَوْا مِنْ قَبْلِكُمْ مَسَّتْهُمُ الْبَأْسَاءُ وَالضَّرَّاءُ وَزُلْزِلُوا حَتَّى يَقُولَ الرَّسُولُ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ مَتَى نَصْرُ اللَّهِ أَلَا إِنَّ نَصْرَ اللَّهِ قَرِيبٌ আরবি উচ্চারণ ২.২১৪। আম্ হাসিব্তুম্ আন্ তাদ্খুলুল্ জ্বান্নাতা অলাম্মা- ইয়াতিকুম্ মাছালুল্লাযীনা খালাও মিন্ ক্বাব্লিকুম্; মাস্সাত্হুমুল্বাসা - উ অদ্ব্দ্বোর্য়া রা - উ অযুল্যিলূ হাত্তা-ইয়াক্ব ূর্লা রাসূলু অল্লাযীনা আ-মানূ মা‘আহূ মাতা- নাছ্রুল্লা-হ্; আলায় ইন্না নাছ্রাল্লা-হি ক্বারীব্। বাংলা অনুবাদ ২.২১৪ নাকি তোমরা ভেবেছ যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে অথচ এখনো তোমাদের নিকট তাদের মত কিছু আসেনি, যারা তোমাদের পূর্বে বিগত হয়েছে। তাদেরকে স্পর্শ করেছিল কষ্ট ও দুর্দশা এবং তারা কম্পিত হয়েছিল। এমনকি রাসূল ও তার সাথি মুমিনগণ বলছিল, ‘কখন আল্লাহর সাহায্য (আসবে)’? জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহর সাহায্য নিকটবর্তী। 

2:215 يَسْأَلُونَكَ مَاذَا يُنْفِقُونَ قُلْ مَا أَنْفَقْتُمْ مِنْ خَيْرٍ فَلِلْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَمَا تَفْعَلُوا مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ اللَّهَ بِهِ عَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২১৫। ইয়াস্আলূনাকা মা-যা- ইয়ুন্ফিক্ব ূন্; ক্ব ুল্ মায় আন্ফাক্ব ্তুম্ মিন্ খাইরিন্ ফালিল্ওয়া-লিদাইনি অল্ আক্ব ্রাবীনা অল্ ইয়াতা-মা- অল্ মাসা-কীনি অব্নিস্ সাবীল্; অমা-তাফ্‘আলূ মিন্ খাইরিন্ ফাইন্নাল্লা-হা বিহী‘আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২১৫ তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করে, তারা কী ব্যয় করবে? বল, ‘তোমরা যে সম্পদ ব্যয় করবে, তা পিতা-মাতা, আত্মীয়, ইয়াতীম, মিসকীন ও মুসাফিরদের জন্য। আর যে কোন ভাল কাজ তোমরা কর, নিশ্চয় সে ব্যাপারে আল্লাহ সুপরিজ্ঞাত’। 

2:216 كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَكُمْ وَعَسَى أَنْ تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَكُمْ وَعَسَى أَنْ تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَكُمْ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২১৬। কুতিবা ‘আলাইকুমুল্ ক্বিতা-লু অহুওয়া র্কুহুল্লাকুম্ অ‘আসায় আন্ তাক্রাহূ শাইআওঁ অহুওয়া খাইরুল্লাকুম্ অ‘আসায় আন্ তুহিব্বূ শাইআওঁ অহুওয়া র্শারুল্লাকুম্; অল্লা-হু ইয়া’লামু অআন্তুম্ লা-তা’লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২১৬ তোমাদের উপর লড়াইয়ের বিধান দেয়া হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয় এবং হতে পারে কোন বিষয় তোমরা অপছন্দ করছ অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হতে পারে কোন বিষয় তোমরা পছন্দ করছ অথচ তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না।

 2:217 يَسْأَلُونَكَ عَنِ الشَّهْرِ الْحَرَامِ قِتَالٍ فِيهِ قُلْ قِتَالٌ فِيهِ كَبِيرٌ وَصَدٌّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ وَكُفْرٌ بِهِ وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَإِخْرَاجُ أَهْلِهِ مِنْهُ أَكْبَرُ عِنْدَ اللَّهِ وَالْفِتْنَةُ أَكْبَرُ مِنَ الْقَتْلِ وَلَا يَزَالُونَ يُقَاتِلُونَكُمْ حَتَّى يَرُدُّوكُمْ عَنْ دِينِكُمْ إِنِ اسْتَطَاعُوا وَمَنْ يَرْتَدِدْ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَيَمُتْ وَهُوَ كَافِرٌ فَأُولَئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَأُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২১৭। ইয়াস্আলূ-নাকা ‘আনিশ্ শাহ্ রিল্ হারা-মি ক্বিতা-লিন্ ফীহ্; ক্ব ুল্ ক্বিতা-লুন্ ফীহি কার্বী; অছোয়াদ্দুন্ ‘আন্ সাবীলিল্লা-হি অকুফ্রুম্ বিহী অল্মাস্জ্বিদিল্ হারা-মি অইখ্রা-জ্ব ু আহ্লিহী মিন্হু আক্বারু ‘ইন্দাল্লা-হি অল্ফিত্নাতু আক্বারু মিনাল্ ক্বাত্ল্; অলা-ইয়াযা-লূনা ইয়ুক্বা-তিলূনাকুম্ হাত্তা- ইয়ারুদ্দূকুম্ ‘আন্ দীনিকুম্ ইনিস্তাত্বোয়া-‘ঊ; অমাইঁ ইর্য়াতাদিদ্ মিন্কুম্ ‘আন্ দীনিহী ফাইয়ামুত্ অহুওয়া কা-ফিরুন্ ফাউলা - য়িকা হাবিত্বোয়াত্ আ’মা-লুহুম্ ফিদ্দুন্ইয়া অল্ আ-খিরাহ্; অউলা - য়িকা আছ্হা-বুন্না-রি হুম্ ফীহা- খা-লিদূন। বাংলা অনুবাদ ২.২১৭ তারা তোমাকে হারাম মাস সম্পর্কে, তাতে লড়াই করা বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে। বল, ‘তাতে লড়াই করা বড় পাপ; কিন্তু আল্লাহর পথে বাধা প্রদান, তাঁর সাথে কুফরী করা, মাসজিদুল হারাম থেকে বাধা দেয়া এবং তার অধিবাসীদেরকে তা থেকে বের করে দেয়া আল্লাহর নিকট অধিক বড় পাপ। আর ফিতনা হত্যার চেয়েও বড়’। আর তারা তোমাদের সাথে লড়াই করতে থাকবে, যতক্ষণ না তোমাদেরকে তোমাদের দীন থেকে ফিরিয়ে দেয়, তারা যদি পারে। আর যে তোমাদের মধ্য থেকে তাঁর দীন থেকে ফিরে যাবে, অতঃপর কাফির অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবে, বস্তুত এদের আমলসমূহ দুনিয়া ও আখিরাতে বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং তারাই আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে। 

2:218 إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَالَّذِينَ هَاجَرُوا وَجَاهَدُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أُولَئِكَ يَرْجُونَ رَحْمَةَ اللَّهِ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২১৮। ইন্নাল লাযীনা আ-মানূ অল্লাযীনা হা-জ্বারূ অজা-হাদূ ফী সাবীলিল্লা-হি উলা - য়িকা ইর্য়াজ্ব ূনা রাহ্মাতাল্লা-হ্; অল্লা-হু গাফূর্রু রাহীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২১৮ নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে ও যারা হিজরত করেছে এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে, তারা আল্লাহর রহমতের আশা করে। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। 

2:219 يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَإِثْمُهُمَا أَكْبَرُ مِنْ نَفْعِهِمَا وَيَسْأَلُونَكَ مَاذَا يُنْفِقُونَ قُلِ الْعَفْوَ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الْآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَتَفَكَّرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২১৯। ইয়াস্ আলূনাকা ‘আনিল্ খামরি অল্মাইর্সি; ক্ব ুল্ ফীহিমায় ইছ্মুন্ ক্বাবীরাওঁ অমানা-ফি‘উ লিন্না-সি অইছ্মুহুমায় আক্বারু মিন্ নাফ্‘ইহিমা-; অ ইয়াস্আলূনাকা মা-যা-ইয়ুন্ফিক্ব ূন্; ক্ব ূলিল্ ‘আফ্ওয়া-কাযা-লিকা ইয়ুবাইয়্যিনুল্লা-হু লাকুমুল্ আ-ইয়া-তি লা‘আল্লাকুম্ তাতাফাক্কারূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২১৯ তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বল, এ দু’টোয় রয়েছে বড় পাপ ও মানুষের জন্য উপকার। আর তার পাপ তার উপকারিতার চেয়ে অধিক বড়। আর তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করে, তারা কী ব্যয় করবে। বল, ‘যা প্রয়োজনের অতিরিক্ত’। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা কর। 

2:220 فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْيَتَامَى قُلْ إِصْلَاحٌ لَهُمْ خَيْرٌ وَإِنْ تُخَالِطُوهُمْ فَإِخْوَانُكُمْ وَاللَّهُ يَعْلَمُ الْمُفْسِدَ مِنَ الْمُصْلِحِ وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَأَعْنَتَكُمْ إِنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২২০। ফিদ্দ্ইুয়া-অল্আ-খিরাহ্; অইয়াস্আলূনাকা ‘আনিল্ ইয়াতা-মা-; ক্ব ুল্ ইছ্লা-হুল্ লাহুম্ খার্ই; অইন্ তুখা-লিত্ব ূ হুম্ ফাইখ্ওয়া-নুকুম্; অল্লা-হু ইয়া’লামুল্ মুফ্সিদা মিনাল্ মুছ্লিহ্; অলাও শা - আল্লা-হু ল্আা’নাতাকুম্; ইন্নাল্লা-হা ‘আযীযুন্ হাকীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২২০ দুনিয়া ও আখিরাতের ব্যাপারে। আর তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করে ইয়াতীমদের সম্পর্কে। বল, সংশোধন করা তাদের জন্য উত্তম। আর যদি তাদেরকে নিজদের সাথে মিশিয়ে নাও, তবে তারা তোমাদেরই ভাই। আর আল্লাহ জানেন কে ফাসাদকারী, কে সংশোধনকারী এবং আল্লাহ যদি চাইতেন, অবশ্যই তোমাদের জন্য (বিষয়টি) কঠিন করে দিতেন। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। 


2:221 وَلَا تَنْكِحُوا الْمُشْرِكَاتِ حَتَّى يُؤْمِنَّ وَلَأَمَةٌ مُؤْمِنَةٌ خَيْرٌ مِنْ مُشْرِكَةٍ وَلَوْ أَعْجَبَتْكُمْ وَلَا تُنْكِحُوا الْمُشْرِكِينَ حَتَّى يُؤْمِنُوا وَلَعَبْدٌ مُؤْمِنٌ خَيْرٌ مِنْ مُشْرِكٍ وَلَوْ أَعْجَبَكُمْ أُولَئِكَ يَدْعُونَ إِلَى النَّارِ وَاللَّهُ يَدْعُو إِلَى الْجَنَّةِ وَالْمَغْفِرَةِ بِإِذْنِهِ وَيُبَيِّنُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২২১। অলা-তান্কিহুল্ মুশ্রিকা-তি হাত্তা-ইয়ুমিন্; অলাআমাতুম্ মু”মিনাতুন্ খাইরুম্ মিম্ মুশ্রিকাতিওঁ অলাও আ’জ্বাবাত্কুম্ অলাতুন্কিহুল্ মুশ্রিকীনা হাত্তা-ইয়ুমিনূ; অ লা‘আব্দুম্ মু”মিনুন্ খাইরুম্ মিম্ মুশ্রিকিওঁ অলাও ‘আজ্বাবাকুম্; উলা - য়িকা ইয়াদ্‘ঊনা ইলান্না-রি অল্লা-হু ইয়াদ্‘ঊ ইলাল্ জ্বান্নাতি অল্মাগ্ফিরাতি বিইয্নিহী অইয়ুবাইয়্যিনু আ-ইয়া-তিহী লিন্না-সি লা‘আল্লাহুম্ ইয়াতাযাক্কারূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২২১ আর তোমরা মুশরিক নারীদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে এবং মুমিন দাসী মুশরিক নারীর চেয়ে নিশ্চয় উত্তম, যদিও সে তোমাদেরকে মুগ্ধ করে। আর মুশরিক পুরুষদের সাথে বিয়ে দিয়ো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। আর একজন মুমিন দাস একজন মুশরিক পুরুষের চেয়ে উত্তম, যদিও সে তোমাদেরকে মুগ্ধ করে। তারা তোমাদেরকে আগুনের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ তাঁর অনুমতিতে তোমাদেরকে জান্নাত ও ক্ষমার দিকে আহ্বান করেন এবং মানুষের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ স্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে।


2:222 وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّى يَطْهُرْنَ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللَّهُ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ আরবি উচ্চারণ ২.২২২। অইয়াস্আলূনাকা ‘আনিল্ মাহীদ্ব্; ক্ব ূল্ হুওয়া আযান্ ফা’তাযিলুন নিসা - আ ফিল্ মাহীদ্বি অলা-তাক্ব ্রাবূহুন্না হাত্তা-ইয়াত্বর্ ্হুনা ফাইযা-তাত্বোয়ার্হ্হানা ফাতূ হুন্না মিন্ হাইছু আমারাকুমুল্লা-হ্; ইন্নাল্লা-হা ইয়ুহিব্বুত্ তাওয়া-বীনা অইয়ুহিব্বুল্ মুতাত্বোয়াহ্হিরীন্। বাংলা অনুবাদ ২.২২২ আর তারা তোমাকে ঋতুস্রাব সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, তা কষ্ট। সুতরাং তোমরা ঋতুস্রাবকালে স্ত্রীদের থেকে দূরে থাক এবং তারা পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা পবিত্র হবে তখন তাদের নিকট আস, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদেরকে ভালবাসেন এবং ভালবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে। 

2:223 نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ وَقَدِّمُوا لِأَنْفُسِكُمْ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّكُمْ مُلَاقُوهُ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ আরবি উচ্চারণ ২.২২৩। নিসা - উ কুম্ হারছুল্লাকুম্ ফাতূ র্হাছাকুম্ আন্না-শিতুম্ অক্বাদ্দিমূ লিআন্ফুসিকুম্; অত্তাক্ব ুল্লা-হা অ’লামূ য় আন্নাকুম্ মুলা-ক্ব ূহ; অবাশ্শিরিল্ মুমিনীন্। বাংলা অনুবাদ ২.২২৩ তোমাদের স্ত্রী তোমাদের ফসলক্ষেত্র। সুতরাং তোমরা তোমাদের ফসলক্ষেত্রে গমন কর, যেভাবে চাও। আর তোমরা নিজদের কল্যাণে উত্তম কাজ সামনে পাঠাও। আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় তোমরা তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করবে । আর মুমিনদেরকে সুসংবাদ দাও। 

2:224 وَلَا تَجْعَلُوا اللَّهَ عُرْضَةً لِأَيْمَانِكُمْ أَنْ تَبَرُّوا وَتَتَّقُوا وَتُصْلِحُوا بَيْنَ النَّاسِ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২২৪। অলা-তাজ্ব ্‘আলুল্লা-হা ‘উরদ্বোয়াতাল লিআইমা-নিকুম্ আন্ তার্বারূ অতাত্তাক্ব ূঅ তুছ্লিহূ বাইনান্না-স্; অল্লা-হু সামী‘উন্ ‘আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২২৪ আর আল্লাহকে তোমরা তোমাদের শপথ পূরণে প্রতিবন্ধক বানিয়ো না যে, তোমরা (আল্লাহর নামে এই বলে শপথ করবে যে) ভালো কাজ করবে না, তাকওয়া অবলম্বন করবে না এবং মানুষের মধ্যে সংশোধন করবে না। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। 

2:225 لَا يُؤَاخِذُكُمُ اللَّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَكِنْ يُؤَاخِذُكُمْ بِمَا كَسَبَتْ قُلُوبُكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২২৫। লা-ইয়ুআ-খিযুকুমুল্লা-হু বিল্লাগ্ওয়ি ফী য় আইমা-নিকুম্ অলা-কিইঁ ইয়ুআ-খিযুকুম্ বিমা-কাসাবাত্ ক্ব ূলূবুকুম্; অল্লা-হু গাফূরুন্ হালীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২২৫ আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের অর্থহীন শপথের জন্য পাকড়াও করবেন না। কিন্তু পাকড়াও করবেন যা তোমাদের অন্তরসমূহ অর্জন করেছে। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।

 2:226 لِلَّذِينَ يُؤْلُونَ مِنْ نِسَائِهِمْ تَرَبُّصُ أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ فَإِنْ فَاءُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২২৬। লিল্লাযীনা ইয়ুলূনা মিন্ নিসা - য়িহিম্ তারাব্বুছু র্আবা‘আতি আশ্হুরিন্ ফাইন্ ফা-ঊ ফাইন্নাল্লা-হা গাফূর্রু রাহীম। বাংলা অনুবাদ ২.২২৬ যারা তাদের স্ত্রীদের সাথে মিলিত না হওয়ার শপথ করবে তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। অতঃপর তারা যদি ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। 

2:227 وَإِنْ عَزَمُوا الطَّلَاقَ فَإِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২২৭। অইন্ ‘আযামুত্ত্বোয়ালা-ক্বা ফাইন্নাল্লা-হা সামী‘উন্ ‘আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২২৭ আর যদি তারা তালাকের দৃঢ় ইচ্ছা করে নেয় তবে নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। 

2:228 وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنْفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ وَلَا يَحِلُّ لَهُنَّ أَنْ يَكْتُمْنَ مَا خَلَقَ اللَّهُ فِي أَرْحَامِهِنَّ إِنْ كُنَّ يُؤْمِنَّ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَبُعُولَتُهُنَّ أَحَقُّ بِرَدِّهِنَّ فِي ذَلِكَ إِنْ أَرَادُوا إِصْلَاحًا وَلَهُنَّ مِثْلُ الَّذِي عَلَيْهِنَّ بِالْمَعْرُوفِ وَلِلرِّجَالِ عَلَيْهِنَّ دَرَجَةٌ وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২২৮। অল্মুত্ত্বোয়াল্লাক্বা-তু ইয়াতারাব্বাছ্না বিআন্ফুসিহিন্না ছালা-ছাতা ক্ব ুরূ - য়িন্; অলা-ইয়াহিল্লু লাহুন্না আইঁ ইয়াক্তুম্না মা-খালাক্বাল্লা-হু ফী য় র্আহা-মিহিন্না ইন্ কুন্না ইউমিন্না বিল্লা-হি অল্ইয়াওমিল্ আ-র্খি; অবু‘ঊলাতুহুন্না আহাক্ব ্ক্ব ু বিরাদ্দিহিন্না ফী যা-লিকা ইন্ আরাদূ য় ইছ্লা-হা-; অলাহুন্না মিছ্লুল্ লাযী ‘আলাইহিন্না বিল্ মা’রূফি অর্লিরিজ্বা-লি ‘আলাইহিন্না দারাজ্বাহ্; অল্লা-হু‘আযীযুন্ হাকীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২২৮ আর তালাকপ্রাপ্তা নারীরা তিন ঋতু পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবে এবং তাদের জন্য হালাল হবে না যে, আল্লাহ তাদের গর্ভে যা সৃষ্টি করেছেন, তা তারা গোপন করবে, যদি তারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে। আর এর মধ্যে তাদের স্বামীরা তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে অধিক হকদার, যদি তারা সংশোধন চায়। আর নারীদের রয়েছে বিধি মোতাবেক অধিকার। যেমন আছে তাদের উপর (পুরুষদের) অধিকার। আর পুরুষদের রয়েছে তাদের উপর মর্যাদা এবং আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। 

2:229 الطَّلَاقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ وَلَا يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَأْخُذُوا مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا إِلَّا أَنْ يَخَافَا أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا وَمَنْ يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২২৯। আত্ত্বোয়ালা-ক্ব ু র্মারাতা-নি ফাইম্সা-কুম্ বিমা’রূফিন্ আও তাস্রীহুম্ বিইহ্সা-ন্; অলা-ইয়াহিল্লু লাকুম্ আন্ তাখুযূ মিম্মা- আ-তাইতুমূহুন্না শাইয়ান্ ইল্লায় আইঁ ইয়াখা-ফায় আল্লা- ইয়ুক্বীমা- হুদূদা ল্লা-হ্; ফাইন্ খিফ্তুম্ আল্লা-ইয়ুক্বীমা-হূদূদাল্লা-হি ফালা-জ্ব ুনা-হা ‘আলাইহিমা-ফীমাফ্ তাদাত্ বিহ্; তিল্কা হুদূদাল্লা-হি ফালা- তা’তাদূহা-অমাইঁ ইয়াতা‘আদ্দা হুদূদাল্লা-হি ফাউলা - য়িকা হুমুজ্জোয়া-লিমূন। বাংলা অনুবাদ ২.২২৯ তালাক দু’বার। অতঃপর বিধি মোতাবেক রেখে দেবে কিংবা সুন্দরভাবে ছেড়ে দেবে। আর তোমাদের জন্য হালাল নয় যে, তোমরা তাদেরকে যা দিয়েছ, তা থেকে কিছু নিয়ে নেবে। তবে উভয়ে যদি আশঙ্কা করে যে, আল্লাহর সীমারেখায় তারা অবস্থান করতে পারবে না। সুতরাং তোমরা যদি আশঙ্কা কর যে, তারা আল্লাহর সীমারেখা কায়েম রাখতে পারবে না তাহলে স্ত্রী যা দিয়ে নিজকে মুক্ত করে নেবে তাতে কোন সমস্যা নেই। এটা আল্লাহর সীমারেখা। সুতরাং তোমরা তা লঙ্ঘন করো না। আর যে আল্লাহর সীমারেখাসমূহ লঙ্ঘন করে, বস্তুত তারাই যালিম। 

2:230 فَإِنْ طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِنْ بَعْدُ حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ فَإِنْ طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَنْ يَتَرَاجَعَا إِنْ ظَنَّا أَنْ يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২৩০। ফাইন ত্বোয়াল্লাক্বাহা-ফালা- তাহিল্ল ূ লাহূ মিম্ বা’দু হাত্তা-তান্কিহা যাওজ্বান্ গাইরাহ্; ফাইন্ ত্বোয়াল্লাক্বাহা-ফালা- জ্ব ুনা-হা ‘আলাইহিমায় আইঁ ইয়া তারা-জ্বা‘আয় ইন্ জোয়ান্নায় আইঁ ইয়ুক্বীমা-হুদূদাল্লা-হ্; অতিল্কা হুদূদুল্লা-হি ইয়ুবাইয়্যিনুহা-লিক্বাওমিইঁ ইয়া’লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৩০ অতএব যদি সে তাকে তালাক দেয় তাহলে সে পুরুষের জন্য হালাল হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত ভিন্ন একজন স্বামী সে গ্রহণ না করে। অতঃপর সে (স্বামী) যদি তাকে তালাক দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের অপরাধ হবে না যে, তারা একে অপরের নিকট ফিরে আসবে, যদি দৃঢ় ধারণা রাখে যে, তারা আল্লাহর সীমারেখা কায়েম রাখতে পারবে। আর এটা আল্লাহর সীমারেখা, তিনি তা এমন সম্প্রদায়ের জন্য স্পষ্ট করে দেন, যারা বুঝে। 

2:231 وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَأَمْسِكُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ أَوْ سَرِّحُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ وَلَا تُمْسِكُوهُنَّ ضِرَارًا لِتَعْتَدُوا وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهُ وَلَا تَتَّخِذُوا آيَاتِ اللَّهِ هُزُوًا وَاذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَمَا أَنْزَلَ عَلَيْكُمْ مِنَ الْكِتَابِ وَالْحِكْمَةِ يَعِظُكُمْ بِهِ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২৩১। অইযা-ত্বোয়াল্লাক্ব ্তুমুন নিসা - য়া ফাবালাগ্না আজ্বালাহুন্না ফাআম্সিকূহুন্না বিমা’রূফিন্ আওর্সারিহূ হুন্না বিমা’রূফিন্ অলা- তুম্সিকূহুন্না দ্বিরা-রাল্ লিতা’তাদূ অমাইঁ ইয়াফ্আল্ যা-লিকা ফাক্বাদ্ জোয়ালামা নাফ্স্াহ্; অলা-তাত্তাখিযূ য় আ-ইয়া-তিল্লা-হি হুযুওয়াওঁ অয্কুরূ নি’মাতাল্লা -হি ‘আলাইকুম্ অমায় আন্যালা ‘আলাইকুম্ মিনাল্ কিতা-বি অল্হিক্মাতি ইয়া‘ইজুকুম্ বিহ্; অত্তাক্ব ূল্লা-হা অ’লামূ য় আন্নাল্লা-হা বিকুল্লি শাইয়িন্ ‘আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২৩১ আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দেবে অতঃপর তারা তাদের ইদ্দতে পৌঁছে যাবে তখন হয়তো বিধি মোতাবেক তাদেরকে রেখে দেবে অথবা বিধি মোতাবেক তাদেরকে ছেড়ে দেবে। তবে তাদেরকে কষ্ট দিয়ে সীমালঙ্ঘনের উদ্দেশ্যে তাদেরকে আটকে রেখো না। আর যে তা করবে সে তো নিজের প্রতি যুলম করবে। আর তোমরা আল্লাহর আয়াতসমূহকে উপহাসরূপে গ্রহণ করো না। আর তোমরা স্মরণ কর তোমাদের উপর আল্লাহর নিআমত এবং তোমাদের উপর কিতাব ও হিকমত যা নাযিল করেছেন, যার মাধ্যমে তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন। আর আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ যে, নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয় সম্পর্কে সুপরিজ্ঞাত। 

2:232 وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا تَعْضُلُوهُنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ إِذَا تَرَاضَوْا بَيْنَهُمْ بِالْمَعْرُوفِ ذَلِكَ يُوعَظُ بِهِ مَنْ كَانَ مِنْكُمْ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ذَلِكُمْ أَزْكَى لَكُمْ وَأَطْهَرُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২৩২। অইযা-ত্বোয়াললাক্ব ্তুমুন্ নিসা - আ ফাবালাগ্না আজ্বালাহুন্না ফালা-তা’দ্বুলূহুন্না আইঁ ইয়ান্কিহ্না আয্ওয়া-জ্বাহুন্না ইযা-তারাদ্বোয়াও বাইনাহুম্ বিল্মা’রূফ্; যা-লিকা ইয়ূ‘আজু বিহী মান্ কা-না মিন্কুম্ ইয়ুমিনু বিল্লা-হি অল্ ইয়াওমিল্ আ-র্খি; যা-লিকুম্ আয্কা-লাকুম্ ওয়াআত্বর্ ্হা; অল্লা-হু ইয়া’লামু অ আন্তুম্ লা-তা’লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৩২ আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দেবে অতঃপর তারা তাদের ইদ্দতে পৌঁছবে তখন তোমরা তাদেরকে বাধা দিয়ো না যে, তারা তাদের স্বামীদেরকে বিয়ে করবে যদি তারা পরস্পরে তাদের মধ্যে বিধি মোতাবেক সম্মত হয়। এটা উপদেশ তাকে দেয়া হচ্ছে, যে তোমাদের মধ্যে আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে। এটি তোমাদের জন্য অধিক শুদ্ধ ও অধিক পবিত্র। আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না। 

2:233 وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَنْ يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ وَعَلَى الْمَوْلُودِ لَهُ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ لَا تُكَلَّفُ نَفْسٌ إِلَّا وُسْعَهَا لَا تُضَارَّ وَالِدَةٌ بِوَلَدِهَا وَلَا مَوْلُودٌ لَهُ بِوَلَدِهِ وَعَلَى الْوَارِثِ مِثْلُ ذَلِكَ فَإِنْ أَرَادَا فِصَالًا عَنْ تَرَاضٍ مِنْهُمَا وَتَشَاوُرٍ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا وَإِنْ أَرَدْتُمْ أَنْ تَسْتَرْضِعُوا أَوْلَادَكُمْ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِذَا سَلَّمْتُمْ مَا آتَيْتُمْ بِالْمَعْرُوفِ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ আরবি উচ্চারণ ২.২৩৩। অল্ওয়া-লিদা-তু ইর্য়ুদ্বি’না আওলা-দাহুন্না হাওলাইনি কা-মিলাইনি লিমান্ আরা-দা আইঁইয়ুতির্ম্মা রাদ্বোয়া-‘আহ্; অ‘আলাল্ মাওলূদি লাহূ রিয্ক্ব ুহুন্না অকিস্ওয়া তুহুন্না বিল্মা’রূফ্; লা-তুকাল্লাফু নাফ্সুন্ ইল্লা-উস্‘আহা-লা-তুদ্বোয়া -র্ রা ওয়া- লিদাতুম্ বিঅলাদিহা-অলা-মাওলূদুল্লাহূ বিঅলাদিহী অ‘আলাল্ ওয়া-রিছি মিছ্লু যা-লিকা ফাইন্ আরা-দা ফিছোয়া-লান্ ‘আন তারা-দ্বিম্ মিন্হুমা-অতাশা-উরিন্ ফালা-জ্ব ুনা-হা ‘আলাইহিমা-; অইন্ আরাত্তুম্ আন্ তাস্তারদ্বিঊ’য় আওলা-দাকুম্ ফালা-জ্ব ুনা-হা ‘আলাইকুম্ ইযা-সাল্লাম্তুম্ মায় আ-তাইতুম্ বিল্মা-রূফ্; অত্তাক্ব ুল্লা-হা অ’লামূ য় আন্নাল্লা-হা বিমা-তা’মালূনা বার্ছী। বাংলা অনুবাদ ২.২৩৩ আর মায়েরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করাবে, (এটা) তার জন্য যে দুধ পান করাবার সময় পূর্ণ করতে চায়। আর পিতার উপর কর্তব্য, বিধি মোতাবেক মায়েদেরকে খাবার ও পোশাক প্রদান করা। সাধ্যের অতিরিক্ত কোন ব্যক্তিকে দায়িত্ব প্রদান করা হয় না। কষ্ট দেয়া যাবে না কোন মাকে তার সন্তানের জন্য, কিংবা কোন বাবাকে তার সন্তানের জন্য। আর ওয়ারিশের উপর রয়েছে অনুরূপ দায়িত্ব। অতঃপর তারা যদি পরস্পর সম্মতি ও পরামর্শের মাধ্যমে দুধ ছাড়াতে চায়, তাহলে তাদের কোন পাপ হবে না। আর যদি তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে অন্য কারো থেকে দুধ পান করাতে চাও, তাহলেও তোমাদের উপর কোন পাপ নেই, যদি তোমরা বিধি মোতাবেক তাদেরকে যা দেবার তা দিয়ে দাও। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে সম্যক দ্রষ্টা। 

2:234 وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنْفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا فَإِذَا بَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِي أَنْفُسِهِنَّ بِالْمَعْرُوفِ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِير আরবি উচ্চারণ ২.২৩৪। অল্লাযীনা ইয়ুতাওয়াফ্ফাওনা মিন্কুম্ অইয়াযারূনা আয্ওয়া-জ্বাইঁ ইয়াতারাব্বাছ্না বিআন্ফুসিহিন্না র্আবা‘আতা আশ্হুরিওঁ অ‘আশ্রান্ ফাইযা-বালাগ্না আজ্বালাহুন্না ফালা- জ্ব ুনা-হা ‘আলাইকুম্ ফী মা-ফা‘আল্না ফীয় ‘আন্ফুসিহিন্না বিল্মা’রূফ্; অল্লা-হু বিমা-তা’মালূনা খার্বী। বাংলা অনুবাদ ২.২৩৪ আর তোমাদের মধ্য থেকে যারা মারা যাবে এবং স্ত্রীদেরকে রেখে যাবে, তাদের স্ত্রীগণ চার মাস দশ দিন অপেক্ষায় থাকবে। অতঃপর যখন তারা ইদ্দতকাল পূর্ণ করবে, তখন তারা নিজদের ব্যাপারে বিধি মোতাবেক যা করবে, সে ব্যাপারে তোমাদের কোন পাপ নেই। আর তোমরা যা কর, সে ব্যাপারে আল্লাহ সম্যক অবগত। 

2:235 وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا عَرَّضْتُمْ بِهِ مِنْ خِطْبَةِ النِّسَاءِ أَوْ أَكْنَنْتُمْ فِي أَنْفُسِكُمْ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ سَتَذْكُرُونَهُنَّ وَلَكِنْ لَا تُوَاعِدُوهُنَّ سِرًّا إِلَّا أَنْ تَقُولُوا قَوْلًا مَعْرُوفًا وَلَا تَعْزِمُوا عُقْدَةَ النِّكَاحِ حَتَّى يَبْلُغَ الْكِتَابُ أَجَلَهُ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا فِي أَنْفُسِكُمْ فَاحْذَرُوهُ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ غَفُورٌ حَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২৩৫। অলা-জ্ব ুনা-হা ‘আলাইকুম্ ফীমা- ‘র্আ রাদ্ব্তুম্ বিহী মিন্ খিত্ব ্বাতিন নিসা - য়ি আও আক্নান্তুম্ ফী য় আন্ফুসিকুম্; ‘আলিমাল্লা-হু আন্নাকুম্ সাতায্কুরূনাহুন্না অলা-কিল্লা- তুওয়া-‘ই দূহুন্না র্সিরান্ ইল্লায় আন্তাক্ব ূলূ ক্বাওলাম্ মা’রূফা-; অলা-তা’যিমূ‘উক্ব ্দাতান নিকা-হি হাত্তা- ইয়াব্লুগাল্ কিতা-বু আজ্বালাহ্; ওয়া’লামূ য় আন্নাল্লা-হা ইয়া’লামু মা-ফী য় আন্ফুসিকুম্ ফাহ্যারূহু ওয়া’লামূ য় আন্নাল্লা-হা গাফূরুন্ হালীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২৩৫ আর এতে তোমাদের কোন পাপ নেই যে, তোমরা নারীদেরকে ইশারায় যে প্রস্তাব করবে কিংবা মনে গোপন করে রাখবে। আল্লাহ জেনেছেন যে, তোমরা অবশ্যই তাদেরকে স্মরণ করবে। কিন্তু বিধি মোতাবেক কোন কথা বলা ছাড়া গোপনে তাদেরকে (কোন) প্রতিশ্র“তি দিয়ো না। আর আল্লাহর নির্দেশ (ইদ্দত) তার সময় পূর্ণ করার পূর্বে বিবাহ বন্ধনের সংকল্প করো না। আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের অন্তরে যা রয়েছে তা জানেন। সুতরাং তোমরা তাকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। 

2:236 لَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِنْ طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ مَا لَمْ تَمَسُّوهُنَّ أَوْ تَفْرِضُوا لَهُنَّ فَرِيضَةً وَمَتِّعُوهُنَّ عَلَى الْمُوسِعِ قَدَرُهُ وَعَلَى الْمُقْتِرِ قَدَرُهُ مَتَاعًا بِالْمَعْرُوفِ حَقًّا عَلَى الْمُحْسِنِينَ আরবি উচ্চারণ ২.২৩৬। লা-জ্ব ুনা-হা ‘আলাইকুম্ ইন্ ত্বোয়াল্লাক্ব ্ তুমুন্নিসা - য়া মা-লাম্ তামাস্সূহুন্না আও তাফ্রিুদ্বূ লাহুন্না ফারীদ্বোয়াতাওঁ অমাত্তি‘ঊ হুন্না ‘আলাল মূসি‘ই ক্বাদারুহূ অ‘আলাল্ মুক্ব্তিরি ক্বাদারুহূ, মাতা-‘আম্ বিল্ মা’রূফি, হাক্ব ্ক্বান্ ‘আলাল্ মুহসিনীন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৩৬ তোমাদের কোন অপরাধ নেই যদি তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দাও এমন অবস্থায় যে, তোমরা তাদেরকে স্পর্শ করনি কিংবা তাদের জন্য কোন মোহর নির্ধারণ করনি। আর উত্তমভাবে তাদেরকে ভোগ-উপকরণ দিয়ে দাও, ধনীর উপর তার সাধ্যানুসারে এবং সংকটাপন্নের উপর তার সাধ্যানুসারে। সুকর্মশীলদের উপর এটি আবশ্যক। 

2:237 وَإِنْ طَلَّقْتُمُوهُنَّ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَمَسُّوهُنَّ وَقَدْ فَرَضْتُمْ لَهُنَّ فَرِيضَةً فَنِصْفُ مَا فَرَضْتُمْ فَنِصْفُ مَا فَرَضْتُمْ إِلَّا أَنْ يَعْفُونَ أَوْ يَعْفُوَ الَّذِي بِيَدِهِ عُقْدَةُ النِّكَاحِ وَأَنْ تَعْفُوا أَقْرَبُ لِلتَّقْوَى وَلَا تَنْسَوُا الْفَضْلَ بَيْنَكُمْ إِنَّ اللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ আরবি উচ্চারণ ২.২৩৭। অইন্ ত্বোয়াল্লাক্ব ্তুমূহুন্না মিন্ক্বাব্লি আন্ তামাস্সূ হুন্না অক্বাদ্ ফারাদ্ব্তুম্ লাহুন্না ফারী দ্বোয়াতান্ ফানিছ্ফু মা-ফারাদ্ব্তুম্ ইল্লায় আইঁ ইয়া’ফূনা আও ইয়া’ফুওয়াল্লাযী বিয়াদিহী ‘উক্ব্ ্দাতুন্নিকা-হ্; অআন্ তা’ফূয় আক্ব ্রাবু লিত্তাক্ব ্ওয়া-;অলা-তান্সাউল্ ফাদ্ব্লা বাইনাকুম্; ইন্নাল্লা-হা বিমা-তা’মালূনা বার্ছী। বাংলা অনুবাদ ২.২৩৭ আর যদি তোমরা তাদেরকে তালাক দাও, তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বে এবং তাদের জন্য কিছু মোহর নির্ধারণ করে থাক, তাহলে যা নির্ধারণ করেছ, তার অর্ধেক (দিয়ে দাও)। তবে স্ত্রীরা যদি মাফ করে দেয়, কিংবা যার হাতে বিবাহের বন্ধন সে যদি মাফ করে দেয়। আর তোমাদের মাফ করে দেয়া তাকওয়ার অধিক নিকটতর। আর তোমরা পরস্পরের মধ্যে অনুগ্রহ ভুলে যেয়ো না। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক দ্রষ্টা। 

2:238 حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ আরবি উচ্চারণ ২.২৩৮। হা-ফিজূ ‘আলাছ্ ছলাওয়া-তি ওয়াছালা-তিল্ উসত্বোয়া-‘অক্ব ূমূ লিল্লা-হি ক্বা-নিতীন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৩৮ তোমরা সালাতসমূহ ও মধ্যবর্তী সালাতের হিফাযত কর এবং আল্লাহর জন্য দাঁড়াও বিনীত হয়ে।

 2:239 فَإِنْ خِفْتُمْ فَرِجَالًا أَوْ رُكْبَانًا فَإِذَا أَمِنْتُمْ فَاذْكُرُوا اللَّهَ كَمَا عَلَّمَكُمْ مَا لَمْ تَكُونُوا تَعْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২৩৯। ফাইন খিফ্তুম্ ফারিজ্বা-লান্ আও রুক্বা-নান্, ফাইযায় আমিন্তুম্ ফায্কুরুল্লা-হা কামা-‘আল্লামাকুম্ মা-লাম তাকূনূ তা’লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৩৯ কিন্তু যদি তোমরা ভয় কর, তবে হেঁটে কিংবা আরোহণ করে (আদায় করে নাও)। এরপর যখন নিরাপদ হবে তখন আল্লাহকে স্মরণ কর, যেভাবে তিনি তোমাদেরকে শিখিয়েছেন, যা তোমরা জানতে না। 

2:240 وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا وَصِيَّةً لِأَزْوَاجِهِمْ مَتَاعًا إِلَى الْحَوْلِ غَيْرَ إِخْرَاجٍ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِي مَا فَعَلْنَ فِي أَنْفُسِهِنَّ مِنْ مَعْرُوفٍ وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২৪০। অল্লাযীনা ইয়ুতাওয়াফ্ফাওনা মিন্কুম্ অইয়াযারূনা আয্ওয়াজ্বাওঁ, অছিয়্যাতাল লিআয্ওয়া-জ্বিহিম্ মাতা-‘আন্ ইলাল্ হাওলি গাইরা ইখ্রা-জ্বিন, ফাইন্ খারাজ্ব ্না ফালা-জ্ব ুনা-হা ‘আলাইকুম্ ফী মা- ফা‘আল্না ফীয় আন্ফুসিহিন্না মিম্ মা’রূফ; ‘অল্লা-হু ‘আযীযুন্ হাকীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২৪০ আর তোমাদের মধ্য থেকে যারা মারা যাবে এবং স্ত্রীদেরকে রেখে যাবে, তারা তাদের স্ত্রীদের জন্য ওসিয়ত করবে এক বছরের ভরণ-পোষণের বের না করে দিয়ে; কিন্তু যদি তারা (স্বেচ্ছায়) বের হয়ে যায়, তাহলে তারা নিজদের ব্যাপারে বিধি মোতাবেক যা করেছে, সে ব্যাপারে তোমাদের কোন পাপ নেই। আর আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। 

2:241 وَلِلْمُطَلَّقَاتِ مَتَاعٌ بِالْمَعْرُوفِ حَقًّا عَلَى الْمُتَّقِينَ আরবি উচ্চারণ ২.২৪১। অলিল্ মুত্বোয়াল্লাক্বা-তি মাতা-‘উম্ বিল্মা’রূফ্; হাক্ব্ ্ক্বান্ ‘আলাল মুত্তাক্বীন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৪১ আর তালাকপ্রাপ্তা নারীদের জন্য থাকবে বিধি মোতাবেক ভরণ-পোষণ। (এটি) মুত্তাকীদের উপর আবশ্যক। 2:242 كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২৪২। কাযা-লিকা ইয়ুবাইয়্যিনুল্লা-হু লাকুম্ আ-ইয়া- তিহী লা‘আল্লাকুম্ তা’ক্বিলূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৪২ এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দেন, যাতে তোমরা উপলব্ধি কর । 

2:243 أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ خَرَجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ وَهُمْ أُلُوفٌ حَذَرَ الْمَوْتِ فَقَالَ لَهُمُ اللَّهُ مُوتُوا ثُمَّ أَحْيَاهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَذُو فَضْلٍ عَلَى النَّاسِ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَشْكُرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২৪৩। আলাম্ তারা ইলাল্লাযীনা খারাজ্ব ূ মিন্ দিয়া-রিহিম্ অ হুম উলূফুন্ হাযারাল্ মাওতি ফাক্বা-লা লাহুমুল্লা-হু মূতূ ছুম্মা আহ্ইয়া-হুম্; ইন্নাল্লা-হা লাযূফাদ্ব্লিন্ ‘আলান না-সি অলা-কিন্না আক্ছারান্না-সি লা-ইয়াশ্কুরূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৪৩ তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা তাদের গৃহসমূহ থেকে বের হয়েছে মৃত্যুর ভয়ে এবং তারা ছিল হাজার-হাজার? অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে বললেন, ‘তোমরা মরে যাও’! তারপর তিনি তাদেরকে জীবিত করলেন। নিশ্চয় আল্লাহ তো মানুষের উপর অনুগ্রহশীল। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ শুকরিয়া আদায় করে না। 2:244 وَقَاتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২৪৪। অক্বা-তিলূ ফী সাবীলিল্লা-হি অ’লামূ য় আন্নাল্লা-হা সামী‘উন ‘আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২৪৪ আর তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই কর এবং জেনে রাখ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। 

2:245 مَنْ ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضَاعِفَهُ لَهُ أَضْعَافًا كَثِيرَةً وَاللَّهُ يَقْبِضُ وَيَبْسُطُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২৪৫। মান্যাল্লাযী ইউক্ব ্রিদ্ব ুল্লা-হা র্ক্বাদ্বোয়ান্ হাসানান্ ফাইয়ুদ্বোয়া-‘ইফাহূ লাহূয় আদ্ব্‘আ-ফান্ কাছীরাহ্; অল্লা-হু ইয়াক্ব ্ বিদ্ব ু অইয়াব্সুত্ব ু অইলাইহি র্তুজ্বা‘ঊন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৪৫ কে আছে, যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ দেবে, ফলে তিনি তার জন্য বহু গুণে বাড়িয়ে দেবেন? আর আল্লাহ সংকীর্ণ করেন ও প্রসারিত করেন এবং তাঁরই নিকট তোমাদেরকে ফিরানো হবে।


2:246 أَلَمْ تَرَ إِلَى الْمَلَإِ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ مِنْ بَعْدِ مُوسَى إِذْ قَالُوا لِنَبِيٍّ لَهُمُ ابْعَثْ لَنَا مَلِكًا نُقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ قَالَ هَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ أَلَّا تُقَاتِلُوا قَالُوا وَمَا لَنَا أَلَّا نُقَاتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَقَدْ أُخْرِجْنَا مِنْ دِيَارِنَا وَأَبْنَائِنَا فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيْهِمُ الْقِتَالُ تَوَلَّوْا إِلَّا قَلِيلًا مِنْهُمْ وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِالظَّالِمِينَ আরবি উচ্চারণ ২.২৪৬। আলাম্ তারা ইলাল্ মালায়ি মিম্ বানী য় ইস্রা - য়ীলা মিম্ বা’দি মূসা। ইয্ ক্বা-লূ লিনাবিয়্যিল্ লা-হুমুব্‘আছ লানা-মালিকান্ নুক্বা-তিল্ ফী সাবীলিল্লা-হ্; ক্বা-লা হাল্ ‘আসাইতুম্ ইন্ কুতিবা ‘আলাইকুমুল্ ক্বিতা-লু; আল্লা-তুক্বা-তিলূ ; ক্বা-লূ অমা-লানায় আল্লা-নুক্বা-তিলা ফী সাবীলিল্লা-হি অক্বাদ্ উখ্রিজ্ব্ ্না- মিন দিয়া-রিনা-অআব্না - য়িনা; ফালাম্মা-কুতিবা ‘আলাইহিমুল্ ক্বিতা-লু তাওয়াল্লাও ইল্লা-ক্বালীলাম্ মিন্হুম্; অল্লা-হু ‘আলীমুম্ বিজ্জোয়া-লিমীন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৪৬ তুমি কি মূসার পর বনী ইসরাঈলের প্রধানদেরকে দেখনি? যখন তারা তাদের নবীকে বলেছিল, ‘আমাদের জন্য একজন রাজা পাঠান, তাহলে আমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করব’। সে বলল, ‘এমন কি হবে যে, যদি তোমাদের উপর লড়াই আবশ্যক করা হয়, তোমরা লড়াই করবে না’? তারা বলল, আমাদের কী হয়েছে যে, আমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করব না, অথচ আমাদেরকে আমাদের গৃহসমূহ থেকে বের করা হয়েছে এবং আমাদের সন্তানদের থেকে (বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে)’? অতঃপর যখন তাদের উপর লড়াই আবশ্যক করা হল, তখন তাদের মধ্য থেকে স্বল্প সংখ্যক ছাড়া তারা বিমুখ হল। আর আল্লাহ যালিমদের সম্পর্কে সম্যক অবগত। 

2:247 وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ إِنَّ اللَّهَ قَدْ بَعَثَ لَكُمْ طَالُوتَ مَلِكًا قَالُوا أَنَّى يَكُونُ لَهُ الْمُلْكُ عَلَيْنَا وَنَحْنُ أَحَقُّ بِالْمُلْكِ مِنْهُ وَلَمْ يُؤْتَ سَعَةً مِنَ الْمَالِ قَالَ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَاهُ عَلَيْكُمْ وَزَادَهُ بَسْطَةً فِي الْعِلْمِ وَالْجِسْمِ وَاللَّهُ يُؤْتِي مُلْكَهُ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২৪৭। অক্বা-লা লাহুম্ নাবিয়্যুহুম্ ইন্নাল্লা-হা ক্বাদ্ বা‘আছা লাকুম্ ত্বোয়া-লূতা মালিকা-; ক্বা-লূ য় আন্না- ইয়াকূনু লাহুল্ মুল্কু ‘আলাইনা- অনাহ্নু আহাক্ব ্ক্ব ু বিল্মুল্কি মিন্হু অলাম্ ইয়ুতা সা‘আতাম্ মিনাল্ মা-ল্; ক্বা-লা ইন্নাল্লা-হাছ্ ত্বোয়াফা-হু ‘আলাইকুম্ অযা-দাহূ বাস্ত্বোয়াতান্ ফিল ‘ইল্মি অল্জ্বিস্ম্; অল্লা-হু ইয়ুতী মুল্কাহূ মাইঁ ইয়াশা - উ্; অল্লা-হু ওয়া-সি‘উন্ ‘আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২৪৭ আর তাদেরকে তাদের নবী বলল, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য তালূতকে রাজারূপে পাঠিয়েছেন। তারা বলল, ‘আমাদের উপর কীভাবে তার রাজত্ব হবে, অথচ আমরা তার চেয়ে রাজত্বের অধিক হকদার? আর তাকে সম্পদের প্রাচুর্যও দেয়া হয়নি’। সে বলল, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাকে তোমাদের উপর মনোনীত করেছেন এবং তাকে জ্ঞানে ও দেহে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর আল্লাহ যাকে চান, তাকে তাঁর রাজত্ব দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ’। 

2:248 وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ إِنَّ آيَةَ مُلْكِهِ أَنْ يَأْتِيَكُمُ التَّابُوتُ فِيهِ سَكِينَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَبَقِيَّةٌ مِمَّا تَرَكَ آلُ مُوسَى وَآلُ هَارُونَ تَحْمِلُهُ الْمَلَائِكَةُ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ আরবি উচ্চারণ ২.২৪৮। অক্বা-লা লাহুম্ নাবিয়্যুহুম্ ইন্না আ-ইয়াতা মুল্কিহীয় আইঁ ইয়াতিয়াকুমুত্ তা-বূতু ফীহি সাকীনাতুম্ র্মি রব্বিকুম্ অবাক্বিয়্যাতুম্ মিম্মা- তারাকা আ-লু মূসা-ওয়াআ-লু হা-রূনা তাহ্মিলুহুল্ মালা - য়িকাহ; ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়াতাল্লাকুম্ ইন্ কুনতুম্ ম’ু’মিনীন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৪৮ আর তাদেরকে তাদের নবী বলল, নিশ্চয় তার রাজত্বের নিদর্শন এই যে, তোমাদের নিকট তাবূত আসবে, যাতে থাকবে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে প্রশান্তি এবং মূসার পরিবার ও হারূনের পরিবার যা রেখে গিয়েছে তার অবশিষ্ট, যা বহন করে আনবে ফেরেশতাগণ। নিশ্চয় তাতে রয়েছে তোমাদের জন্য নিদর্শন, যদি তোমরা মুমিন হও। 

2:249 فَلَمَّا فَصَلَ طَالُوتُ بِالْجُنُودِ قَالَ إِنَّ اللَّهَ مُبْتَلِيكُمْ بِنَهَرٍ فَمَنْ شَرِبَ مِنْهُ فَلَيْسَ مِنِّي وَمَنْ لَمْ يَطْعَمْهُ فَإِنَّهُ مِنِّي إِلَّا مَنِ اغْتَرَفَ غُرْفَةً بِيَدِهِ فَشَرِبُوا مِنْهُ إِلَّا قَلِيلًا مِنْهُمْ فَلَمَّا جَاوَزَهُ هُوَ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ قَالُوا لَا طَاقَةَ لَنَا الْيَوْمَ بِجَالُوتَ وَجُنُودِهِ قَالَ الَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُمْ مُلَاقُو اللَّهِ كَمْ مِنْ فِئَةٍ قَلِيلَةٍ غَلَبَتْ فِئَةً كَثِيرَةً بِإِذْنِ اللَّهِ وَاللَّهُ مَعَ الصَّابِرِينَ আরবি উচ্চারণ ২.২৪৯। ফালাম্মা-ফাছোয়ালা ত্বোয়া-লূতু বিল্জ্ব ুনূ দি ক্বা-লা ইন্নাল্লা-হা মুব্তালীকুম্ বিনাহারিন্ ফামান্ শারিবা মিন্হু ফালাইসা মিন্নী, অমাল্লাম্ ইয়াত্ব ্‘আম্হু ফাইন্নাহূ মিন্নীয় ইল্লা-মানিগ্ তারাফা র্গুফাতাম্ বিয়াদিহী, ফাশারিবূ মিন্হু ইল্লা-ক্বালীলাম্ মিন্হুম্ ; ফালাম্মা-জ্বা-ওয়াযাহূ হুওয়া অল্লাযীনা আ-মানূ মা‘আহূ ক্বা-লূ লা-ত্বোয়া-ক্বাতা লানাল্ ইয়াওমা বিজ্বা-লূতা অজ্ব ুনূ দিহ্; ক্বা-লাল্লাযীনা ইয়াজুন্ন ূনা আন্নাহুম্ মুলা-ক্ব ুল্লা-হি কাম্ মিন্ ফিয়াতিন্ ক্বালী লাতিন্ গালাবাত্ ফিয়াতান্ কাছীরাতাম্ বিইয্নিল্লা-হ্; অল্লা-হু মা‘আছ্ ছোয়া-বিরীন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৪৯ অতঃপর যখন তালূত সৈন্যবাহিনী নিয়ে বের হল, তখন সে বলল, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে একটি নদী দ্বারা পরীক্ষা করবেন। অতএব, যে তা হতে পান করবে, সে আমার দলভুক্ত নয়। আর যে তা খাবে না, তাহলে নিশ্চয় সে আমার দলভুক্ত। তবে যে তার হাত দিয়ে এক আজলা পরিমাণ খাবে, সে ছাড়া; কিন্তু তাদের মধ্য থেকে স্বল্পসংখ্যক ছাড়া তা থেকে তারা পান করল। অতঃপর যখন সে ও তার সাথি মুমিনগণ তা অতিক্রম করল, তারা বলল, ‘আজ আমাদের জালূত ও তার সৈন্যবাহিনীর সাথে লড়াই করার ক্ষমতা নেই’। যারা দৃঢ় ধারণা রাখত যে, তারা আল্লাহর সাথে মিলিত হবে, তারা বলল, ‘কত ছোট দল আল্লাহর হুকুমে বড় দলকে পরাজিত করেছে’! আর আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। 

2:250 وَلَمَّا بَرَزُوا لِجَالُوتَ وَجُنُودِهِ قَالُوا رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ আরবি উচ্চারণ ২.২৫০। অলাম্মা-বারাযূ লিজ্বা-লূতা অজ্ব ুনূদিহী ক্বা-লূ রব্বানায় আফ্রিগ্ ‘আলাইনা-ছোয়াব্রাওঁ অছাব্বিত্ আক্ব ্দা-মানা-অর্ন্ছুনা-‘আলাল্ ক্বাওমিল্ কা-ফিরীন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৫০ আর যখন তারা জালূত ও তার সৈন্যবাহিনীর মুখোমুখি হল, তখন তারা বলল, ‘হে আমাদের রব, আমাদের উপর ধৈর্য ঢেলে দিন, আমাদের পা স্থির রাখুন এবং আমাদেরকে কাফের জাতির বিরুদ্ধে সাহায্য করুন’।


2:251 فَهَزَمُوهُمْ بِإِذْنِ اللَّهِ وَقَتَلَ دَاوُدُ جَالُوتَ وَآتَاهُ اللَّهُ الْمُلْكَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَهُ مِمَّا يَشَاءُ وَلَوْلَا دَفْعُ اللَّهِ النَّاسَ بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ لَفَسَدَتِ الْأَرْضُ وَلَكِنَّ اللَّهَ ذُو فَضْلٍ عَلَى الْعَالَمِينَ আরবি উচ্চারণ ২.২৫১। ফাহাযামূ হুম্ বিইয্নিল্লা-হি অক্বাতালা দা-ঊদু জ্বা-লূতা অআ-তা-হুল্লাহুল্ মুল্কা অল্ হিক্মাতা অআল্লামাহূ মিম্মা-ইয়াশা - উ; অলাও লা- দাফ্‘উল্লা-হিন্ না-সা বা’দ্বোয়াহুম্ বিবা’দ্বিল্ লা ফাস্সাদাতিল্ র্আদ্ব ু অলা-কিন্নাল্লা-হা যূ ফাদ্ব্লিন্ ‘আলাল্ ‘আ-লামীন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৫১ অতঃপর তারা আল্লাহর হুকুমে তাদেরকে পরাজিত করল এবং দাঊদ জালূতকে হত্যা করল। আর আল্লাহ দাঊদকে রাজত্ব ও প্রজ্ঞা দান করলেন এবং তাকে যা ইচ্ছা শিক্ষা দিলেন। আর আল্লাহ যদি মানুষের কতককে কতকের দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে অবশ্যই যমীন ফাসাদপূর্ণ হয়ে যেত। কিন্তু আল্লাহ বিশ্ববাসীর উপর অনুগ্রহশীল। 

2:252 تِلْكَ آيَاتُ اللَّهِ نَتْلُوهَا عَلَيْكَ بِالْحَقِّ وَإِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ আরবি উচ্চারণ ২.২৫২। তিল্কা আ-ইয়া-তুল্লা-হি নাত্লূহা-‘আলাইকা বিল্হাক্বি ; অইন্নাকা লামিনাল্ র্মুসালীন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৫২ এগুলো আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার উপর যথাযথভাবে তিলাওয়াত করি। আর নিশ্চয় তুমি রাসূলগণের অন্তর্ভুক্ত। 

2:253 تِلْكَ الرُّسُلُ فَضَّلْنَا بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ مِنْهُمْ مَنْ كَلَّمَ اللَّهُ وَرَفَعَ بَعْضَهُمْ دَرَجَاتٍ وَآتَيْنَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ الْبَيِّنَاتِ وَأَيَّدْنَاهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ مَا اقْتَتَلَ الَّذِينَ مِنْ بَعْدِهِمْ مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَتْهُمُ الْبَيِّنَاتُ وَلَكِنِ اخْتَلَفُوا فَمِنْهُمْ مَنْ آمَنَ وَمِنْهُمْ مَنْ كَفَرَ وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ مَا اقْتَتَلُوا وَلَكِنَّ اللَّهَ يَفْعَلُ مَا يُرِيدُ আরবি উচ্চারণ ২.২৫৩। তির্ল্কা রুসুলু ফাদ্দে¦ায়াল্না-বা’দ্বোয়াহুম্ ‘আলা-বা’দ্ব্। মিন্হুম্ মান্ কাল্লামাল্লা-হু অরাফা‘আ বা’দ্বোয়া-হুম্ দারাজ্বা-ত্; অ আ-তাইনা-‘ঈসাব্না র্মাইয়ামাল্ বাইয়্যিনা-তি অআইইয়াদ্না-হু বিরূহিল ্ ক্ব ুদুস্; অলাও শা - আল্লা-হু মাক্ব ্তাতালাল্ লাযীনা মিম্ বা’দিহিম্ মিম্ বা’দি মা- জ্বা - আত্হুমুল্ বাইয়্যিনা-তু অলা-কিনিখ্ তালাফূ ফামিন্হুম্ মান্ আ-মানা অমিন্হুম্ মান্ কার্ফা; অলাও শা - আল্লা-হু মাক্ব ্তাতালূ অলা-কিন্নাল্লা-হা ইয়াফ্‘আলু মা-ইয়ুরীদ্। বাংলা অনুবাদ ২.২৫৩ ঐ রাসূলগণ, আমি তাদের কাউকে কারো উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি, তাদের মধ্যে কারো সাথে আল্লাহ কথা বলেছেন এবং কারো কারো মর্যাদা উঁচু করেছেন। আর আমি ঈসা ইবনে মারয়ামকে দিয়েছি সুস্পষ্ট প্রমাণাদি এবং আমি তাকে শক্তিশালী করেছি রূহুল কুদুস এর মাধ্যমে। আর যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন, তাদের পরবর্তীরা লড়াই করত না, তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণসমূহ আসার পর। কিন্তু তারা মতবিরোধ করেছে। ফলে তাদের মধ্যে কেউ ঈমান এনেছে, আর তাদের কেউ কুফরী করেছে। আর আল্লাহ যদি চাইতেন, তাহলে তারা লড়াই করত না। কিন্তু আল্লাহ যা চান, তা করেন। 

2:254 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَنْفِقُوا مِمَّا رَزَقْنَاكُمْ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَ يَوْمٌ لَا بَيْعٌ فِيهِ وَلَا خُلَّةٌ وَلَا شَفَاعَةٌ وَالْكَافِرُونَ هُمُ الظَّالِمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২৫৪। ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ য় আন্ফিক্ব ূ মিম্মা-রাযাক্ব ্না-কুম্ মিন্ ক্বাব্লি আইঁ ইয়াতিয়া ইয়াওমুল্লা-বাই‘উন্ ফীহি অলা-খুল্লাতুওঁ অলা-শাফা-‘আহ্; অল্কা-ফিরূনা হুমুজ জোয়া-লিমূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৫৪ হে মুমিনগণ, আমি তোমাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তা হতে ব্যয় কর, সে দিন আসার পূর্বে, যে দিন থাকবে না কোন বেচাকেনা, না কোন বন্ধুত্ব এবং না কোন সুপারিশ। আর কাফিররাই যালিম। 

2:255 اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ আরবি উচ্চারণ ২.২৫৫। আল্লা-হু লা য় ইলা-হা ইল্লা-হুয়াল্ হাইয়্যুল কাইয়্যূ-ম্; লা-তা’খুযুহূসিনাতুওঁ অলা-নাওম্; লাহূ মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি অমা-ফিল্ র্আদ্ব্; মান্ যাল্লাযী ইয়াশ্ফা‘উ ‘ইন্দাহূ য় ইল্লা-বিইয্নিহ্; ইয়া’লামু মা-বাইনা আইদী হিম্ অমা-খাল্ফাহুম্ অলা-ইয়ুহীত্ব ূনা বিশাইয়িম্ মিন্ ‘ইলমিহী য় ইল্লা-বিমা-শা - আ, অসি‘আ র্কুসি ইয়্যু হুস্ সামা-ওয়া-তি অল্র্আদ্বোয়া, অলা-ইয়ায়ূদুহূ হিফ্জুহুমা-, অহুআল্ ‘আলিয়্যুল্ ‘আজীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২৫৫ আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সুপ্রতিষ্ঠিত ধারক। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করে না। তাঁর জন্যই আসমানসমূহে যা রয়েছে তা এবং যমীনে যা আছে তা। কে সে, যে তাঁর নিকট সুপারিশ করবে তাঁর অনুমতি ছাড়া? তিনি জানেন যা আছে তাদের সামনে এবং যা আছে তাদের পেছনে। আর তারা তাঁর জ্ঞানের সামান্য পরিমাণও আয়ত্ব করতে পারে না, তবে তিনি যা চান তা ছাড়া। তাঁর কুরসী আসমানসমূহ ও যমীন পরিব্যাপ্ত করে আছে এবং এ দু’টোর সংরক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ, মহান। 

2:256 لَا إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ قَدْ تَبَيَّنَ الرُّشْدُ مِنَ الْغَيِّ فَمَنْ يَكْفُرْ بِالطَّاغُوتِ وَيُؤْمِنْ بِاللَّهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَى لَا انْفِصَامَ لَهَا وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২৫৬। লা য় ইকরা-হা ফিদ্দীনি ক্বাত্ তাবাইয়্যানার রুশ্দু মিনাল্ গাইয়্যি, ফামাইঁ ইয়ার্ক্ফু বিত্ত্বোয়াগূতি অইয়ুমিম্ বিল্লা-হি ফাক্বাদিস্ তাম্সাকা বিল্ ‘র্উওয়াতিল্ উছ্ক্বা-লান্ফিছোয়া-মা লাহা-; অল্লা-হু সামী‘উন্ ‘আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২৫৬ দীন গ্রহণের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি নেই। নিশ্চয় হিদায়াত স্পষ্ট হয়েছে ভ্রষ্টতা থেকে। অতএব, যে ব্যক্তি তাগূতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে মজবুত রশি আঁকড়ে ধরে, যা ছিন্ন হবার নয়। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। 

2:257 اللَّهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا أَوْلِيَاؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُمْ مِنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ أُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২৫৭। আল্লা-হু অলিয়্যুল্লাযীনা আ-মানূ ইয়ুখ্রিজ্ব ুহুম্ মিনাজ্ জুলুমা-তি ইলান নূর; অল্লাযীনা কাফারূ য় আওলিয়া - উহুমুত্ব ত্বোয়া-গূতু ইয়ুখ্রিজ্ব ূনাহুম্ মিনান্ নূূরি ইলাজ্ জুলুমা-ত্; উলা - য়িকা আছ্হা-বুন না-রি, হুম্ ফীহা-খা-লিদূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৫৭ যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ তাদের বন্ধু, তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আনেন। আর যারা কুফরী করে, তাদের অভিভাবক হল তাগূত। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারে নিয়ে যায়। তারা আগুনের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। 

2:258 أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِي حَاجَّ إِبْرَاهِيمَ فِي رَبِّهِ أَنْ آتَاهُ اللَّهُ الْمُلْكَ إِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّيَ الَّذِي يُحْيِي وَيُمِيتُ قَالَ أَنَا أُحْيِي وَأُمِيتُ قَالَ إِبْرَاهِيمُ فَإِنَّ اللَّهَ يَأْتِي بِالشَّمْسِ مِنَ الْمَشْرِقِ فَأْتِ بِهَا مِنَ الْمَغْرِبِ فَبُهِتَ الَّذِي كَفَرَ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ আরবি উচ্চারণ ২.২৫৮। আলাম্ তারা ইলাল্লাযী হা - জ্জ্বা ইব্রা-হীমা ফী রাব্বিহী য় আন্ আ-তা-হুল্লা-হুল্ মুল্ক্; ইয্ ক্বা-লা ইব্রা-হীমু রব্বিয়াল্লাযী ইয়ুহ্য়ী অইয়ুমীতু ক্বা-লা আনা উহ্য়ী অউমীত্; ক্বা-লা ইব্রা-হীমু ফাইন্নাল্লা-হা ইয়াতী বিশ্শাম্সি মিনাল্ মাশ্রিক্বি ফা”তি বিহা-মিনাল্ মাগরিবি ফাবুহিতাল্লাযী কার্ফা; অল্লা-হু লা-ইয়াহ্দিল্ ক্বাওমাজ জোয়া-লিমীন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৫৮ তুমি কি সে ব্যক্তিকে দেখনি, যে ইবরাহীমের সাথে তার রবের ব্যাপারে বিতর্ক করেছে যে, আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছেন? যখন ইবরাহীম বলল, ‘আমার রব তিনিই’ যিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। সে বলল, আমিই জীবন দান করি এবং মৃত্যু ঘটাই। ইবরাহীম বলল, নিশ্চয় আল্লাহ পূর্বদিক থেকে সূর্য আনেন। অতএব তুমি তা পশ্চিম দিক থেকে আন। ফলে কাফির ব্যক্তি হতভম্ব হয়ে গেল। আর আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে হিদায়াত দেন না। 

2:259 أَوْ كَالَّذِي مَرَّ عَلَى قَرْيَةٍ وَهِيَ خَاوِيَةٌ عَلَى عُرُوشِهَا قَالَ أَنَّى يُحْيِي هَذِهِ اللَّهُ بَعْدَ مَوْتِهَا فَأَمَاتَهُ اللَّهُ مِائَةَ عَامٍ ثُمَّ بَعَثَهُ قَالَ كَمْ لَبِثْتَ قَالَ لَبِثْتُ يَوْمًا أَوْ بَعْضَ يَوْمٍ قَالَ بَلْ لَبِثْتَ مِائَةَ عَامٍ فَانْظُرْ إِلَى طَعَامِكَ وَشَرَابِكَ لَمْ يَتَسَنَّهْ وَانْظُرْ إِلَى حِمَارِكَ وَلِنَجْعَلَكَ آيَةً لِلنَّاسِ وَانْظُرْ إِلَى الْعِظَامِ كَيْفَ نُنْشِزُهَا ثُمَّ نَكْسُوهَا لَحْمًا فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُ قَالَ أَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ আরবি উচ্চারণ ২.২৫৯। আওকাল্লাযী র্মারা ‘আলা-র্ক্বাইয়াতিওঁ অহিয়া খা-ওয়িইয়াতুন্ ‘আলা- ‘উরূশিহা-,ক্বা-লা আন্না-ইয়ুহ্য়ী হা-যিহিল্লা-হু বা’দা মাওতিহা-, ফাআমা-তাহুল্লা-হু মিআতা ‘আ-মিন্ ছুম্মা বা‘আছাহ্; ক্বা-লা কাম্ লাবিছ্ত্; ক্বা-লা লাবিছ্তু ইয়াওমান্ আও বা’দ্বোয়া ইয়াওম্; ক্বা-লা বাল্ লাবিছ্তা মিআতা ‘আ-মিন্ ফার্ন্জু ইলা-ত্বোয়া‘আ-মিকা অশারা-বিকা লাম্ ইয়াতাসান্নাহ্; ওয়ার্ন্জু ইলা-হিমা-রিকা অ লিনাজ্ব্ ্‘আলাকা আ-ইয়াতাল লিন্না-সি ওয়ার্ন্জু ইলাল্ ‘ইজোয়া-মি কাইফা নুন্শিযুহা-ছুম্মা নাক্সূহা-লাহ্মা; ফালাম্মা-তাবাইয়্যানা লাহূ ক্বা-লা আ’লামু ‘আন্নাল্লা-হা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন্ ক্বার্দী। বাংলা অনুবাদ ২.২৫৯ অথবা সে ব্যক্তির মত, যে কোন জনপদ অতিক্রম করছিল, যা তার ছাদের উপর বিধ্বস্ত ছিল। সে বলল, ‘আল্লাহ একে কিভাবে জীবিত করবেন মরে যাওয়ার পর’? অতঃপর আল্লাহ তাকে এক’শ বছর মৃত রাখলেন। এরপর তাকে পুনর্জীবিত করলেন। বললেন, ‘তুমি কতকাল অবস্থান করেছ’? সে বলল, ‘আমি একদিন অথবা দিনের কিছু সময় অবস্থান করেছি’। তিনি বললেন, ‘বরং তুমি এক’শ বছর অবস্থান করেছ। সুতরাং তুমি তোমার খাবার ও পানীয়ের দিকে তাকাও, সেটি পরিবর্তিত হয়নি এবং তুমি তাকাও তোমরা গাধার দিকে, আর যাতে আমি তোমাকে মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত বানাতে পারি এবং তুমি তাকাও হাড়গুলোর দিকে, কিভাবে আমি তা সংযুক্ত করি, অতঃপর তাকে আবৃত করি গোশ্ত দ্বারা’। পরে যখন তার নিকট স্পষ্ট হল, তখন সে বলল, ‘আমি জানি, নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান’। 

2:260 وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّ أَرِنِي كَيْفَ تُحْيِ الْمَوْتَى قَالَ أَوَلَمْ تُؤْمِنْ قَالَ بَلَى وَلَكِنْ لِيَطْمَئِنَّ قَلْبِي قَالَ فَخُذْ أَرْبَعَةً مِنَ الطَّيْرِ فَصُرْهُنَّ إِلَيْكَ ثُمَّ اجْعَلْ عَلَى كُلِّ جَبَلٍ مِنْهُنَّ جُزْءًا ثُمَّ ادْعُهُنَّ يَأْتِينَكَ سَعْيًا وَاعْلَمْ أَنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২৬০। অইয্ ক্বা-লা ইব্রা-হীমু রব্বি আরিনী কাইফা তুহ্য়িল মাওতা; ক্বা-লা আওয়ালাম্ তুমিন্; ক্বা-লা বালা-অলা-কিল্ লিইয়াত্ব ্মায়িন্না ক্বাল্বী; ক্বা-লা ফাখুয্ আরবা‘আতাম্ মিনাত্ব ত্বোয়াইরি ফাছুরহুন্না ইলাইকা ছুম্মাজ্ব্ ্ ‘আল্ ‘আলা-কুল্লি জ্বাবালিম্ মিন্হুন্না জ্ব ুয্য়ান্ ছুম্মাদ্‘উহুন্না ইয়া’তীনাকা সা’ইয়া-; অ’লাম্ আন্নাল্লা-হা‘ আযীযুন্ হাকীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২৬০ আর যখন ইবরাহীম বলল ‘হে, আমার রব, আমাকে দেখান, কিভাবে আপনি মৃতদেরকে জীবিত করেন। তিনি বললেন, তুমি কি বিশ্বাস করনি’? সে বলল, ‘অবশ্যই হ্যাঁ, কিন্তু আমার অন্তর যাতে প্রশান্ত হয়’। তিনি বললেন, ‘তাহলে তুমি চারটি পাখি নাও। তারপর সেগুলোকে তোমার প্রতি পোষ মানাও। অতঃপর প্রতিটি পাহাড়ে সেগুলোর টুকরো অংশ রেখে আস। তারপর সেগুলোকে ডাক, সেগুলো দৌড়ে আসবে তোমার নিকট। আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’। 

2:261 مَثَلُ الَّذِينَ يُنْفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنْبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِي كُلِّ سُنْبُلَةٍ مِائَةُ حَبَّةٍ وَاللَّهُ يُضَاعِفُ لِمَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২৬১। মাছালুল্লাযীনা ইয়ুন্ফিক্ব ূনা আম্ওয়া-লাহুম্ ফী সাবীলিল্লা-হি কামাছালি হাব্বাতিন্ আম্বাতাত্ সাব্‘আ সানা-বিলা ফী কুল্লি সুম্বুলাতিম্ মিয়াতু হাব্বাহ্; অল্লা-হু ইয়ুদ্বোয়া-‘ইফু লিমাইঁ ইয়াশা - উ অল্লা-হু ওয়া-সি‘উন ‘আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২৬১ যারা আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উপমা একটি বীজের মত, যা উৎপন্ন করল সাতটি শীষ, প্রতিটি শীষে রয়েছে একশ’ দানা। আর আল্লাহ যাকে চান তার জন্য বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। 

2:262 الَّذِينَ يُنْفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ لَا يُتْبِعُونَ مَا أَنْفَقُوا مَنًّا وَلَا أَذًى لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২৬২। আল্লাযীনা ইয়ুন্ফিক্ব ূনা আম্ওয়া-লাহুম্ ফী সাবীলিল্লা-হি ছুম্মা লা-ইয়ুত্বি‘ঊনা মায় আন্ফাক্ব ূমান্নাওঁ অলায় আযাল্লাহুম্ আজ্ব ্রুহুম ‘ইন্দা রব্বিহিম্, অলা-খাওফুন্ ‘আলাইহিম্ অলা-হুম্ ইয়াহ্যানূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৬২ যারা আল্লাহর রাস্তায় তাদের সম্পদ ব্যয় করে, অতঃপর তারা যা ব্যয় করেছে, তার পেছনে খোঁটা দেয় না এবং কোন কষ্টও দেয় না, তাদের জন্য তাদের রবের নিকট তাদের প্রতিদান রয়েছে এবং তাদের কোন ভয় নেই, আর তারা চিন্তিত হবে না।

 2:263 قَوْلٌ مَعْرُوفٌ وَمَغْفِرَةٌ خَيْرٌ مِنْ صَدَقَةٍ يَتْبَعُهَا أَذًى وَاللَّهُ غَنِيٌّ حَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২৬৩। ক্বাওলুম্ মা’রূফুওঁ অ মাগ্ফিরাতুন্ খাইরুঁম্ মিন্ ছদাক্বাতিইঁ ইয়াত্বা‘উহায় আযান্ অল্লা-হু গানিয়্যুন্ হালীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২৬৩ উত্তম কথা ও ক্ষমা প্রদর্শন শ্রেয়, যে দানের পর কষ্ট দেয়া হয় তার চেয়ে। আর আল্লাহ অভাবমুক্ত, সহনশীল। 

2:264 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُبْطِلُوا صَدَقَاتِكُمْ بِالْمَنِّ وَالْأَذَى كَالَّذِي يُنْفِقُ مَالَهُ رِئَاءَ النَّاسِ وَلَا يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَمَثَلُهُ كَمَثَلِ صَفْوَانٍ عَلَيْهِ تُرَابٌ فَأَصَابَهُ وَابِلٌ فَتَرَكَهُ صَلْدًا لَا يَقْدِرُونَ عَلَى شَيْءٍ مِمَّا كَسَبُوا وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ আরবি উচ্চারণ ২.২৬৪। ইয়ায় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ লা-তুব্ত্বিলূ ছদাক্বা-তিকুম্ বিল্মান্নি অল্আযা- কাল্লাযী ইয়ুন্ফিক্ব ু মা-লাহূ রিয়া - আন না-সি অলা-ইয়ু”মিনু বিল্লা-হি অল্ইয়াওমিল্ আ-খির; ফামাছালুহূ কামাছালি ছোয়াফ্ওয়া-নিন্ ‘আলাইহি তুরা-বুন্ ফাআছোয়া-বাহূ ওয়া-বিলুন্ ফাতারাকাহূ ছোয়াল্দা-; লা-ইয়াক্ব ্দিরূনা ‘আলা- শাইয়িম্ মিম্মা-কাসাবূ; অল্লা-হু লা-ইয়াহ্দিল্ ক্বাওমাল্ কা-ফিরীন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৬৪ হে মুমিনগণ, তোমরা খোঁটা ও কষ্ট দেয়ার মাধ্যমে তোমাদের সদাকা বাতিল করো না। সে ব্যক্তির মত, যে তার সম্পদ ব্যয় করে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে এবং বিশ্বাস করে না আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি। অতএব তার উপমা এমন একটি মসৃণ পাথর, যার উপর রয়েছে মাটি। অতঃপর তাতে প্রবল বৃষ্টি পড়ল, ফলে তাকে একেবারে পরিষ্কার করে ফেলল। তারা যা অর্জন করেছে তার মাধ্যমে তারা কোন কিছু করার ক্ষমতা রাখে না। আর আল্লাহ কাফির জাতিকে হিদায়াত দেন না। 

2:265 وَمَثَلُ الَّذِينَ يُنْفِقُونَ أَمْوَالَهُمُ ابْتِغَاءَ مَرْضَاةِ اللَّهِ وَتَثْبِيتًا مِنْ أَنْفُسِهِمْ كَمَثَلِ جَنَّةٍ بِرَبْوَةٍ أَصَابَهَا وَابِلٌ فَآتَتْ أُكُلَهَا ضِعْفَيْنِ فَإِنْ لَمْ يُصِبْهَا وَابِلٌ فَطَلٌّ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ আরবি উচ্চারণ ২.২৬৫। অমাছালুল লাযীনা ইয়ুন্ফিক্ব ূ না আম্ওয়া-লাহুমুব্ তিগা - আ র্মাদ্বোয়া-তিল্লা-হি অতাছ্বীতাম মিন্ আন্ফুসিহিম্ কামাছালি জ্বান্নাতিম্ বিরাব্ওয়াতিন্ আছোয়া-বাহা-ওয়া-বিলুন্ ফাআ-তাত্ উকুলাহা-দ্বি’ফাইনি, ফাইল্ লাম্ ইয়ুছিব্হা-ওয়া-বিলুন্ ফাত্বোয়াল্; অল্লা-হু বিমা-তা’মালূনা বার্ছী। বাংলা অনুবাদ ২.২৬৫ আর যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ ও নিজদেরকে সুদৃঢ় রাখার লক্ষ্যে সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উপমা উঁচু ভূমিতে অবস্থিত বাগানের মত, যাতে পড়েছে প্রবল বৃষ্টি। ফলে তা দ্বিগুণ ফল-ফলাদি উৎপন্ন করেছে। আর যদি তাতে প্রবল বৃষ্টি নাও পড়ে, তবে হালকা বৃষ্টি (যথেষ্ট)। আর আল্লাহ তোমরা যা আমল কর, সে ব্যাপারে সম্যক দ্রষ্টা। 

2:266 أَيَوَدُّ أَحَدُكُمْ أَنْ تَكُونَ لَهُ جَنَّةٌ مِنْ نَخِيلٍ وَأَعْنَابٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ لَهُ فِيهَا مِنْ كُلِّ الثَّمَرَاتِ وَأَصَابَهُ الْكِبَرُ وَلَهُ ذُرِّيَّةٌ ضُعَفَاءُ فَأَصَابَهَا إِعْصَارٌ فِيهِ نَارٌ فَاحْتَرَقَتْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الْآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَتَفَكَّرُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২৬৬। আইয়াঅদ্দু আহাদুকুম্ আন্ তাকূনা লাহূ জ্বান্নাতুম্ মিন্ নাখীলিওঁ অ আ’না-বিন্ তাজ্ব ্রী মিন্ তাহ্তিহাল্ আন্হা- রু লাহূ ফীহা-মিন্ কুল্লিছ্ ছামারা-তি অআছোয়া-বাহুল্ কিবারু অলাহূ র্যুরিইয়্যাতুন্ দ্ব ু‘আফা - উ ফাআছোয়া-বাহায় ই’ছোয়া-রুন্ ফীহি না-রুন্ ফাহ্তারাক্বাত্; কাযা-লিকা ইয়ুবাইয়্যিনুল্লা-হু লাকুমুল্ আ-ইয়া-তি লা‘আল্লাকুম্ তা তাফাক্কারূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৬৬ তোমাদের কেউ কি কামনা করে, তার জন্য আঙ্গুর ও খেজুরের এমন একটি বাগান থাকবে, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হবে নদ-নদী, সেখানে তার জন্য থাকবে সব ধরনের ফল-ফলাদি, আর বার্ধক্য তাকে আক্রান্ত করবে এবং তার জন্য থাকবে দুর্বল সন্তান-সন্ততি। অতঃপর বাগানটিতে আঘাত হানল ঘূর্ণিঝড়, যাতে রয়েছে আগুন, ফলে সেটি জ্বলে গেল? এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা কর। 

2:267 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَنْفِقُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا كَسَبْتُمْ وَمِمَّا أَخْرَجْنَا لَكُمْ مِنَ الْأَرْضِ وَلَا تَيَمَّمُوا الْخَبِيثَ مِنْهُ تُنْفِقُونَ وَلَسْتُمْ بِآخِذِيهِ إِلَّا أَنْ تُغْمِضُوا فِيهِ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ غَنِيٌّ حَمِيدٌ আরবি উচ্চারণ ২.২৬৭। ইয়ায় আইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূয় আন্ফিক্বূ ূ মিন্ ত্বোয়াইয়্যিবা-তি মা-কাসাব্তুম্ অমিম্মায় আখ্রাজ্ব্ ্না-লাকুম্ মিনাল্ র্আদ্বি অলা-তাইয়াম্মামুল্ খাবীছা মিন্হু তুন্ফিক্ব ূনা অলাস্তুম্ বিআ-খিযীহি ইল্লায় আন্ তুগ্মিদ্ব ূ ফীহ্; অ’লামূ য় আন্নাল্লা-হা গানিইয়্যুন্ হামীদ্। বাংলা অনুবাদ ২.২৬৭ হে মুমিনগণ, তোমরা ব্যয় কর উত্তম বস্তু, তোমরা যা অর্জন করেছ এবং আমি যমীন থেকে তোমাদের জন্য যা উৎপন্ন করেছি তা থেকে এবং নিকৃষ্ট বস্তুর ইচ্ছা করো না যে, তা থেকে তোমরা ব্যয় করবে। অথচ চোখ বন্ধ করা ছাড়া যা তোমরা গ্রহণ করো না। আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ অভাবমুক্ত, সপ্রশংসিত। 

2:268 الشَّيْطَانُ يَعِدُكُمُ الْفَقْرَ وَيَأْمُرُكُمْ بِالْفَحْشَاءِ وَاللَّهُ يَعِدُكُمْ مَغْفِرَةً مِنْهُ وَفَضْلًا وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২৬৮। আশ্ শাইত্বোয়া-নু ইয়া‘ইদুকুমুল্ ফাক্ব ্রা অইয়া”মুরুকুম্ বিল্ফাহশায় ‘ই অল্লা-হু ইয়া‘ইদুকুম্ মাগ্ফিরাতাম্ মিন্হু অফাদ্ব্লা-; অল্লা-হু ওয়া-সি‘উন্ ‘আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২৬৮ শয়তান তোমাদেরকে দরিদ্রতার প্রতিশ্র“তি দেয় এবং অশ¬ীল কাজের আদেশ করে। আর আল্লাহ তোমাদেরকে তার পক্ষ থেকে ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্র“তি দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। 

2:269 يُؤْتِي الْحِكْمَةَ مَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُؤْتَ الْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِيَ خَيْرًا كَثِيرًا وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ আরবি উচ্চারণ ২.২৬৯। ইয়ুতিল্ হিক্মাতা মাইঁ ইয়াশা - উ, অমাইঁ ইয়ু”তাল্ হিক্মাতা ফাক্বাদ্ ঊতিয়া খাইরান্ কাছীরা-; অমা-ইয়ায্যাক্কারু ইল্লায়ঊলুল্ আল্বা-ব্। বাংলা অনুবাদ ২.২৬৯ তিনি যাকে চান প্রজ্ঞা দান করেন। আর যাকে প্রজ্ঞা দেয়া হয়, তাকে অনেক কল্যাণ দেয়া হয়। আর বিবেক সম্পন্নগণই উপদেশ গ্রহণ করে। 

2:270 وَمَا أَنْفَقْتُمْ مِنْ نَفَقَةٍ أَوْ نَذَرْتُمْ مِنْ نَذْرٍ فَإِنَّ اللَّهَ يَعْلَمُهُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَار আরবি উচ্চারণ ২.২৭০। অমায় আন্ফাক্ব ্তুম্ মিন্ নাফাক্বাতিন্ আও নার্যাতুম্ মিন্ নায্রিন্ ফাইন্নাল্লা-হা ইয়া’লামুহ্; অমা-লিজজোয়া-লিমীনা মিন্ আন্ছোয়ার্-। বাংলা অনুবাদ ২.২৭০ তোমরা যা কিছু ব্যয় কর অথবা যে কোন মান্নত কর তা অবশ্যই আল্লাহ জানেন। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। 

2:271 إِنْ تُبْدُوا الصَّدَقَاتِ فَنِعِمَّا هِيَ وَإِنْ تُخْفُوهَا وَتُؤْتُوهَا الْفُقَرَاءَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكُمْ وَيُكَفِّرُ عَنْكُمْ مِنْ سَيِّئَاتِكُمْ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِير আরবি উচ্চারণ ২.২৭১। ইন্ তুব্দুছ ছদাক্বা-তি ফানি‘ইম্মা-হিয়া ,অইন্ তুখ্ফূহা-অতু”তূ হাল্ ফুক্বারা - আ ফাহুওয়া খাইরুল্লাকুম্; অইয়ুকাফ্ফিরু ‘আনকুম্ মিন্ সাইয়্যিআ-তিকুম্; অল্লা-হু বিমা- তা’মালূনা খার্বী। বাংলা অনুবাদ ২.২৭১ তোমরা যদি সদাকা প্রকাশ কর, তবে তা উত্তম। আর যদি তা গোপন কর এবং ফকীরদেরকে তা দাও, তাহলে তাও তোমাদের জন্য উত্তম এবং তিনি তোমাদের গুনাহসমূহ মুছে দেবেন। আর তোমরা যে আমল কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক অবহিত। 

2:272 لَيْسَ عَلَيْكَ هُدَاهُمْ وَلَكِنَّ اللَّهَ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ وَمَا تُنْفِقُوا مِنْ خَيْرٍ فَلِأَنْفُسِكُمْ وَمَا تُنْفِقُونَ إِلَّا ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ وَمَا تُنْفِقُوا مِنْ خَيْرٍ يُوَفَّ إِلَيْكُمْ وَأَنْتُمْ لَا تُظْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২৭২। লাইসা ‘আলাইকা হুদা-হুম্ অলা-কিন্নাল্লা-হা ইয়াহ্দী মাইঁ ইয়াশা - উ; অমা-তুন্ফিক্ব ূ মিন্ খাইরিন্ ফালিআন্ফুসিকুম্; অমা-তুন্ফিক্ব ূনা ইল্লাব্তিগা - আ অজ্ব ্হিল্লা-হ্; অমা-তুন্ফিক্ব ূ মিন্ খাইরিইঁ ইয়ুঅফ্ফা ইলাইকুম্ অআন্তুম্ লা-তুজ্লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৭২ তাদেরকে হিদায়াত করার দায়িত্ব তোমার নয়, কিন্তু আল্লাহ যাকে চান হিদায়াত করেন এবং তোমরা যে সম্পদ ব্যয় কর, তা তোমাদের নিজদের জন্যই। আর তোমরা তো আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ব্যয় কর এবং তোমরা কোন উত্তম ব্যয় করলে তা তোমাদেরকে পরিপূর্ণভাবে দেয়া হবে। আর তোমাদের প্রতি যুল্ম করা হবে না। 

2:273 لِلْفُقَرَاءِ الَّذِينَ أُحْصِرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ لَا يَسْتَطِيعُونَ ضَرْبًا فِي الْأَرْضِ يَحْسَبُهُمُ الْجَاهِلُ أَغْنِيَاءَ مِنَ التَّعَفُّفِ تَعْرِفُهُمْ بِسِيمَاهُمْ لَا يَسْأَلُونَ النَّاسَ إِلْحَافًا وَمَا تُنْفِقُوا مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ اللَّهَ بِهِ عَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২৭৩। লিল্ ফুক্বারা-য়িল্লাযীনা উহ্ছিরূ ফী সাবীলিল্লা-হি লা-ইয়াস্তাত্বী‘ঊনা দ্বোর্য়াবান্ ফিল্ র্আদ্বি ইয়াহ্সাবুহুমুল্ জ্বা-হিলু আগ্নিয়া - আ মিনাত তা‘আফ্ফুফি, তা’রিফুহুম্ বিসীমা-হুম্, লা-ইয়াস্আলূনান্না-সা ইল্হা-ফা-; অমা-তুন্ফিক্ব ূমিন্ খাইরিন ফাইন্নাল্লা-হা বিহী ‘আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২৭৩ (সদাকা) সেসব দরিদ্রের জন্য যারা আল্লাহর রাস্তায় আটকে গিয়েছে, তারা যমীনে চলতে পারে না। না চাওয়ার কারণে অনবগত ব্যক্তি তাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে। তুমি তাদেরকে চিনতে পারবে তাদের চি‎হ্ন দ্বারা। তারা মানুষের কাছে নাছোড় হয়ে চায় না। আর তোমরা যে সম্পদ ব্যয় কর, অবশ্যই আল্লাহ সে সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞানী। 

2:274 الَّذِينَ يُنْفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ سِرًّا وَعَلَانِيَةً فَلَهُمْ أَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২৭৪। আল্লাযীনা ইয়ুন্ফিক্ব ূনা আম্ওয়া-লাহুম্ বিল্লাইলি অন্নাহা-রি র্সিরাওঁ অ‘আলা-নিয়াতান্ ফালাহুম্ আজ্ব ্রুহুম্ ‘ইন্দা রব্বিহিম, অলা-খাওফুন্ ‘আলাইহিম্ অলা-হুম্ ইয়াহ্যানূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৭৪ যারা তাদের সম্পদ ব্যয় করে রাতে ও দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে। অতএব, তাদের জন্যই রয়েছে তাদের রবের নিকট তাদের প্রতিদান। আর তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না। 

2:275 الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَى فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ وَمَنْ عَادَ فَأُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২৭৫। আল্লাযীনা ইয়া’কুলূর্না রিবা-লা ইয়াক্ব ূমূনা ইল্লা-কামা-ইয়াক্ব ূমুল্ লাযী ইয়াতাখাব্বাত্ব ুহুশ্ শাইত্বোয়া-নু মিনাল্ মাস্; যা-লিকা বিআন্নাহুম্ ক্বা-লূ য় ইন্নামাল্ বাই‘উ মির্ছ্লু রিবা-। অআহাল্লাল্লা-হুল্ বাই‘আ অর্হারার্মা রিবা-; ফামান্ জ্বা - আহূ মাও‘ই জোয়াতুম্ মির রব্বিহী ফান্তাহা-ফালাহূ মা-সালাফ্; অআম্রুহূ য় ইলাল্লা-হ্; অমান্্ ‘আ-দা ফাউলা - য়িকা আছ্হা-বুন না-রি হুম্ ফীহা- খা-লিদূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৭৫ যারা সুদ খায়, তারা তার ন্যায় (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দেয়। এটা এ জন্য যে, তারা বলে, বেচা-কেনা সুদের মতই। অথচ আল্লাহ বেচা-কেনা হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতএব, যার কাছে তার রবের পক্ষ থেকে উপদেশ আসার পর সে বিরত হল, যা গত হয়েছে তা তার জন্যই ইচ্ছাধীন। আর তার ব্যাপারটি আল্লাহর হাওলায়। আর যারা ফিরে গেল, তারা আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে। 

2:276 يَمْحَقُ اللَّهُ الرِّبَا وَيُرْبِي الصَّدَقَاتِ وَاللَّهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ أَثِيمٍ আরবি উচ্চারণ ২.২৭৬। ইয়াম্হাক্ব ুল্লা-হুর রিবা-অইর্য়ুবিছ্ ছাদাক্বা-তি; অল্লা-হু লা-ইয়ুহিব্বু কুল্লা কাফ্ফা-রিন্ আছীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২৭৬ আল্লাহ সুদকে মিটিয়ে দেন এবং সদাকাকে বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ কোন অতি কুফরকারী পাপীকে ভালবাসেন না। 

2:277 إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২৭৭। ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া-লিহা-তি অআক্বা-মুছ্ ছলা-তা অআ-তুয্ যাকা-তা লাহুম্ আজ্ব ্রুহুম্ ‘ইন্দা রব্বিহিম্ অলা- খাওফুন্ ‘আলাইহিম্, অলা-হুম ইয়াহ্যানূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৭৭ নিশ্চয় যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে এবং সালাত কায়েম করে, আর যাকাত প্রদান করে, তাদের জন্য রয়েছে তাদের রবের নিকট প্রতিদান। আর তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না। 

2:278 يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ আরবি উচ্চারণ ২.২৭৮। ইয়ায় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানুত্তাক্ব ুল্লা-হা অযারূ মা-বাক্বিয়া মির্না রিবায় ইন্ কুন্তুম্ মুমিনীন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৭৮ হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা অবশিষ্ট আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা মুমিন হও। 

2:279 فَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوا فَأْذَنُوا بِحَرْبٍ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَإِنْ تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَالِكُمْ لَا تَظْلِمُونَ وَلَا تُظْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২৭৯। ফাইল্লাম্ তাফ্আলূ ফাযানূ বির্হাবিম্ মিনাল্লা-হি অরাসূলিহী, অইন্ তুব্তুম্ ফালাকুম্ রুয়ূসু আম্ওয়া-লিকুম্, লা-তাজ্লিমূনা অলা-তুজ্লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৭৯ কিন্তু যদি তোমরা তা না কর তাহলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা নাও, আর যদি তোমরা তাওবা কর, তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই থাকবে। তোমরা যুলম করবে না এবং তোমাদের যুলম করা হবে না।

 2:280 وَإِنْ كَانَ ذُو عُسْرَةٍ فَنَظِرَةٌ إِلَى مَيْسَرَةٍ وَأَنْ تَصَدَّقُوا خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২৮০। অইন্ কা-না যূ‘উস্রাতিন্ ফানাজিরাতুন্ ইলা-মাইসারাহ্; অআন্ তাছোয়াদ্দাক্ব ূ খাইরুল্লাকুম্ ইন্ কুন্তুম্ তা’লামূন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৮০ আর যদি সে অসচ্ছল হয়, তাহলে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত তার অবকাশ রয়েছে। আর সদাকা করে দেয়া তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে। 

2:281 وَاتَّقُوا يَوْمًا تُرْجَعُونَ فِيهِ إِلَى اللَّهِ ثُمَّ تُوَفَّى كُلُّ نَفْسٍ مَا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ আরবি উচ্চারণ ২.২৮১। অত্তাক্ব ূ ইয়াওমান্ র্তুজ্বা‘ঊনা ফীহি ইলাল্লা-হি ছুম্মা তুওয়াফ্ফা-কুল্লু নাফ্সিম্ মা-কাসাবাত্ অহুম্ লা-ইয়ুজ্লামূন। বাংলা অনুবাদ ২.২৮১ আর তোমরা সে দিনের ভয় কর, যে দিন তোমাদেরকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে নেয়া হবে। অতঃপর প্রত্যেক ব্যক্তিকে সে যা উপার্জন করেছে, তা পুরোপুরি দেয়া হবে। আর তাদের যুলম করা হবে না। 

2:282 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا تَدَايَنْتُمْ بِدَيْنٍ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى فَاكْتُبُوهُ وَلْيَكْتُبْ بَيْنَكُمْ كَاتِبٌ بِالْعَدْلِ وَلَا يَأْبَ كَاتِبٌ أَنْ يَكْتُبَ كَمَا عَلَّمَهُ اللَّهُ فَلْيَكْتُبْ وَلْيُمْلِلِ الَّذِي عَلَيْهِ الْحَقُّ وَلْيَتَّقِ اللَّهَ رَبَّهُ وَلَا يَبْخَسْ مِنْهُ شَيْئًا فَإِنْ كَانَ الَّذِي عَلَيْهِ الْحَقُّ سَفِيهًا أَوْ ضَعِيفًا أَوْ لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يُمِلَّ هُوَ فَلْيُمْلِلْ وَلِيُّهُ بِالْعَدْلِ وَاسْتَشْهِدُوا شَهِيدَيْنِ مِنْ رِجَالِكُمْ فَإِنْ لَمْ يَكُونَا رَجُلَيْنِ فَرَجُلٌ وَامْرَأَتَانِ مِمَّنْ تَرْضَوْنَ مِنَ الشُّهَدَاءِ أَنْ تَضِلَّ إِحْدَاهُمَا فَتُذَكِّرَ إِحْدَاهُمَا الْأُخْرَى وَلَا يَأْبَ الشُّهَدَاءُ إِذَا مَا دُعُوا وَلَا تَسْأَمُوا أَنْ تَكْتُبُوهُ صَغِيرًا أَوْ كَبِيرًا إِلَى أَجَلِهِ ذَلِكُمْ أَقْسَطُ عِنْدَ اللَّهِ وَأَقْوَمُ لِلشَّهَادَةِ وَأَدْنَى أَلَّا تَرْتَابُوا إِلَّا أَنْ تَكُونَ تِجَارَةً حَاضِرَةً تُدِيرُونَهَا بَيْنَكُمْ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَلَّا تَكْتُبُوهَا وَأَشْهِدُوا إِذَا تَبَايَعْتُمْ وَلَا يُضَارَّ كَاتِبٌ وَلَا شَهِيدٌ وَإِنْ تَفْعَلُوا فَإِنَّهُ فُسُوقٌ بِكُمْ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَيُعَلِّمُكُمُ اللَّهُ وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২৮২। ইয়ায় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূয় ইযা-তাদা-ইয়ান্তুম্ বিদাইনিন্ ইলায় আজ্বালিম্ মুসাম্মান ফাক্তুবূহ্; অল্ইয়াক্তুব্ বাইনাকুম্ কা-তিবুম্ বিল্‘আদ্লি অলা-ইয়াবা কা-তিবুন্ আইঁ ইয়াক্তুবা কামা-‘আল্লামাহুল্লা-হু ফাল্ইয়াক্তুব্, অল্ইয়ুম্লিলিল্লাযী ‘আলাইহিল্ হাক্ব ্ক্ব ু অল্ইয়াত্তাক্বিল লা-হা রব্বাহূ অলা-ইয়াব্খাস্ মিন্হু শাইয়া-; ফাইন্ কা-নাল্লাযী ‘আলাইহিল্ হাক্ব ্ক্ব ু সাফীহান্ আও দ্বোয়া‘ঈফান্ আওলা- ইয়াস্তাত্বী‘উ আইঁ ইয়ুমিল্লা হুওয়া ফাল্ইয়ুম্লিল্ অলিয়্যুহূ বিল্‘আদল্; অস্তাশ্হিদূ শাহীদাইনি র্মি রিজ্বা-লিকুম্, ফাইল্লাম্ ইয়াকূনা-রাজ্ব ুলাইনি ফারাজ্ব ুলুওঁ অম্রায়াতা-নি মিম্মান তারদ্বোয়াওনা মিনাশ্ শুহাদা - য়ি আন্ তাদ্বিল্লা ইহ্দা-হুমা-ফাতুযাক্কিরা ইহ্দা-হুমাল্ উখ্রা- অলা-ইয়াবাশ্ শুহাদা - উ ইযা- মা-দু‘ঊ; অলা- তাস্আমূ য় আন্ তাক্তুবূহু ছোয়াগীরান্ আও কাবীরান্ ইলায় আজ্বালিহ্; যা-লিকুম্ আক্ব ্সাত্ব ু ‘ইন্দাল্লা-হি অআক্ব ্ওয়ামু লিশ্ শাহা-দাতি অআদ্নায় আল্লা-র্তাতা-বূয় ইল্লায় আন্ তাকূনা তিজ্বা-রাতান্ হা-দ্বিরাতান্ তুদ্বীরূনাহা- বাইনাকুম্ ফালাইসা ‘আলাইকুম্ জ্ব ুনা-হুন্ আল্লা-তাক্তুবূহা-; অআশ্হিদূ য় ইযা- তাবা-ইয়া’তুম্ অলা-ইয়ুদ্বোয়া -র্ রা কা-তিবুওঁ অলা-শাহীদ্; অইন্ তাফ্‘আলূ ফাইন্নাহূ ফুসূক্ব ুম্ বিকুম্; অত্তাক্ব ুল্লা-হা অইয়ু‘আল্লিমুকুমুল্লা-হ্; অল্লা-হু বিকুল্লি শাইয়িন্ ‘আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২৮২ হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পরস্পর ঋণের লেন-দেন করবে, তখন তা লিখে রাখবে। আর তোমাদের মধ্যে একজন লেখক যেন ইনসাফের সাথে লিখে রাখে এবং কোন লেখক আল্লাহ তাকে যেরূপ শিক্ষা দিয়েছেন, তা লিখতে অস্বীকার করবে না। সুতরাং সে যেন লিখে রাখে এবং যার উপর পাওনা সে (ঋণ গ্রহীতা) যেন তা লিখিয়ে রাখে। আর সে যেন তার রব আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করে এবং পাওনা থেকে যেন সামান্যও কম না দেয়। অতঃপর যার উপর পাওনা রয়েছে সে (ঋণ গ্রহীতা) যদি নির্বোধ বা দুর্বল হয়, অথবা সে লেখার বিষয়বস্তু বলতে না পারে, তাহলে যেন তার অভিভাবক ন্যায়ের সাথে লেখার বিষয়বস্তু বলে দেয়। আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ । অতঃপর যদি তারা উভয়ে পুরুষ না হয়, তাহলে একজন পুরুষ ও দু’জন নারী- যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর। যাতে তাদের (নারীদের) একজন ভুল করলে অপরজন স্মরণ করিয়ে দেয়। সাক্ষীরা যেন অস্বীকার না করে, যখন তাদেরকে ডাকা হয়। আর তা ছোট হোক কিংবা বড় তা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত লিপিবদ্ধ করতে তোমরা বিরক্ত হয়ো না। এটি আল্লাহর নিকট অধিক ইনসাফপূর্ণ এবং সাক্ষ্য দানের জন্য যথাযথ। আর তোমরা সন্দিহান না হওয়ার অধিক নিকটবর্তী। তবে যদি নগদ ব্যবসা হয় যা তোমরা হাতে হাতে লেনদেন কর, তাহলে তা না লিখলে তোমাদের কোন দোষ নেই। আর তোমরা সাক্ষী রাখ, যখন তোমরা বেচা-কেনা করবে এবং কোন লেখক ও সাক্ষীকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হবে না। আর যদি তোমরা কর, তাহলে নিশ্চয় তা হবে তোমাদের সাথে অনাচার। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আল্লাহ তোমাদেরকে শিক্ষা দেবেন। আর আল্লাহ সব বিষয়ে সম্যক জ্ঞানী।


2:283 وَإِنْ كُنْتُمْ عَلَى سَفَرٍ وَلَمْ تَجِدُوا كَاتِبًا فَرِهَانٌ مَقْبُوضَةٌ فَإِنْ أَمِنَ بَعْضُكُمْ بَعْضًا فَلْيُؤَدِّ الَّذِي اؤْتُمِنَ أَمَانَتَهُ وَلْيَتَّقِ اللَّهَ رَبَّهُ وَلَا تَكْتُمُوا الشَّهَادَةَ وَمَنْ يَكْتُمْهَا فَإِنَّهُ آثِمٌ قَلْبُهُ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ আরবি উচ্চারণ ২.২৮৩। অইন্ কুন্তুম্ ‘আলা-সাফারিওঁ অলাম্ তাজ্বিদূ কা-তিবান্ ফারিহা-নুম্ মাক্ব ্বূদ্বোয়াহ্; ফাইন্ আমিনা বা’দ্ব ুকুম্ বা’দ্বোয়ান্ ফাল্ইয়ুআদ্ দিল্লাযি”তুমিনা আমা-নাতাহূ অল্ ইয়াত্তাক্বিল্লা-হা রব্বাহ্; অলা-তাক্তুমুশ্ শাহা-দাহ্; অমাইঁ ইয়াক্তুম্হা-ফাইন্নাহূ য় আ-ছিমুন্ ক্বাল্বুহ্; অল্লা-হু বিমা-তা’মালূনা ‘আলীম্। বাংলা অনুবাদ ২.২৮৩ আর যদি তোমরা সফরে থাক এবং কোন লেখক না পাও, তাহলে হস্তান্তরিত বন্ধক রাখবে। আর যদি তোমরা একে অপরকে বিশ্বস্ত মনে কর, তবে যাকে বিশ্বস্ত মনে করা হয়, সে যেন স্বীয় আমানত আদায় করে এবং নিজ রব আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করে। আর তোমরা সাক্ষ্য গোপন করো না এবং যে কেউ তা গোপন করে, অবশ্যই তার অন্তর পাপী। আর তোমরা যা আমল কর, আল্লাহ সে ব্যাপারে সবিশেষ অবহিত। 


2:284 لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَإِنْ تُبْدُوا مَا فِي أَنْفُسِكُمْ أَوْ تُخْفُوهُ يُحَاسِبْكُمْ بِهِ اللَّهُ فَيَغْفِرُ لِمَنْ يَشَاءُ وَيُعَذِّبُ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِير আরবি উচ্চারণ ২.২৮৪। লিল্লা-হি মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি অমা-ফিল্ আরদ্ব্; অইন্ তুব্দূ মা-ফীয় আন্ফুসিকুম্ আও তুখ্ফূহু ইয়ুহা-সিব্কুম্ বিহিল্লা-হ্; ফাইয়াগ্ফিরু লিমাইঁ ইয়াশা - উ অইয়ু‘আয্যিবু মাইঁ ইয়াশা - উ অল্লা-হু ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন্ ক্বার্দী। বাংলা অনুবাদ ২.২৮৪ আল্লাহর জন্যই যা রয়েছে আসমানসমূহে এবং যা রয়েছে যমীনে। আর তোমরা যদি প্রকাশ কর যা তোমাদের অন্তরে রয়েছে অথবা গোপন কর, আল্লাহ সে বিষয়ে তোমাদের হিসাব নেবেন। অতঃপর তিনি যাকে চান ক্ষমা করবেন, আর যাকে চান আযাব দেবেন। আর আল্লাহ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। 


2:285 آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْ رُسُلِهِ وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ আরবি উচ্চারণ ২.২৮৫। আ-মার্না রাসূলু বিমায় উন্যিলা ইলাইহি র্মি রাব্বিহী অল্ মুমিনূন্; কুল্লুন আ-মানা বিল্লা-হি অমালা - য়িকাতিহী অকুতুবিহী অরুসুলিহী, লা-নুর্ফারিক্ব ু বাইনা আহাদিম র্মি রুসুলিহী অক্বা-লূ সামি’না- অআত্বোয়া’না- গুফ্রা-নাকা রব্বানা- অইলাইকাল্ মার্ছী। বাংলা অনুবাদ ২.২৮৫ রাসূল তার নিকট তার রবের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত বিষয়ের প্রতি ঈমান এনেছে, আর মুমিনগণও। প্রত্যেকে ঈমান এনেছে আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাকুল, কিতাবসমূহ ও তাঁর রাসূলগণের উপর, আমরা তাঁর রাসূলগণের কারও মধ্যে তারতম্য করি না। আর তারা বলে, আমরা শুনলাম এবং মানলাম। হে আমাদের রব! আমরা আপনারই ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল। 


2:286 لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ আরবি উচ্চারণ ২.২৮৬। লা-ইয়ুকাল্লিফুল্লা-হু নাফসান্ ইল্লা-উস্‘আহা-; লাহা-মা- কাসাবাত অ‘আলাইহা- মাক্তাসাবাত; রব্বানা- লা-তুআ-খিয্না য় ইন্নাসী য় না-আও আখ্ত্বোয়ানা-, রব্বানা- অলা-তাহ্মিল্ ‘আলাইনায় ইছরান কামা-হামাল্তাহূ ‘আলাল্লাযীনা মিন্ ক্বাব্লিনা-, রব্বানা- অলা-তুহাম্মিল্না- মা-লা-ত্বোয়া-ক্বাতা লানা-বিহ্;অ’ফু ‘আন্না-অর্গ্ফি লানা- র্অহাম্না- আন্তা মাওলা-না- ফান্ছুরনা- ‘আলাল্ ক্বাওমিল্ কা-ফিরীন্। বাংলা অনুবাদ ২.২৮৬ আল্লাহ কোন ব্যক্তিকে তার সামর্থ্যরে বাইরে দায়িত্ব দেন না। সে যা অর্জন করে তা তার জন্যই এবং সে যা কামাই করে তা তার উপরই বর্তাবে। হে আমাদের রব! আমরা যদি ভুলে যাই, অথবা ভুল করি তাহলে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের রব, আমাদের উপর বোঝা চাপিয়ে দেবেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না, যার সামর্থ্য আমাদের নেই। আর আপনি আমাদেরকে মার্জনা করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আর আমাদের উপর দয়া করুন। আপনি আমাদের অভিভাবক। অতএব আপনি কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।

সূরা বাকারা তাফসীর | সূরা বাকারা তাফসীর pdf | surah baqarah last 2


হাদিস নাম্বার ২৯৫৫

আবু মূসা আল-আশআরী (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা পৃথিবীর সর্বত্র হইতে এক মুঠো মাটি নিয়ে আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করিয়াছেন। তাই আদম-সন্তানরা মাটির বৈশিষ্ট্য প্রাপ্ত হয়েছে। যেমন তাহাদের কেউ লাল, কেউ সাদা, কেউ কালো বর্ণের আবার কেউ বা এসবের মাঝামাঝি, কেউ বা নরম ও কোমল প্রকৃতির। আবার কেউ কঠোর প্রকৃতির, কেউ মন্দ স্বভাবের, আবার কেউ বা ভালো চরিত্রের।

সহীহ : মিশকাত (১০০), সহীহাহ (১৬৩০)।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

 সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৫৬

আবু হুরাইরাহ্ (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলার বাণী “তোমরা সিজদাবনত শিরে প্রবেশ করো”- (সূরা বাকারাহ ৫৮)-এর ব্যাখ্যায় রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তারা "বানী ইসরাঈল" তাহাদের নিতম্বে ভর করে দরজা দিয়ে প্রবেশ করেছিল। একই সনদে “কিন্তু যারা অন্যায় করেছিল, তারা তাহাদের যা বলা হয়েছিল তার পরিবর্তে অন্য কথা বলল- (সূরা আল-বাক্বারাহ ৫৯) এ আয়াত প্রসঙ্গে রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তারা 'হিত্তাতুন-এর পরিবর্তে' বলেছিল, “হাব্বাতুন ফী শারাতিন” যবের মধ্যকার শস্যদানা”।

সহীহ : বোখারি (৪৪৭৯), মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

 সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৫৭

আব্দুল্লাহ ইবনি আমির ইবনি রাবীআহ (রঃ) হইতে তার বাবা হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এক অন্ধকার রাতে আমরা নাবী (সাঃআঃ) এর সাথে সফরে ছিলাম। আমরা ধারণা করিতে পারছিলাম না ক্বিবলাহ কোন দিকে হইবে। কাজেই আমাদের সকলেই নিজ নিজ ধারণা মোতাবিক ক্বিবলার দিক নির্ধারণ করে নামায আদায় করে। আমরা বিষয়টি সকাল বেলা নাবী (সাঃআঃ) এর নিকট উত্থাপন করলাম। তখন নাযিল হয়ঃ “তোমরা যে দিকেই মুখ ফিরাও সেদিকই আল্লাহ তাআলার চেহারা” – (সূরা বাক্বারাহঃ ১১৫)।

হাসান : ইবনি মাজাহ (১০২০)।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা আশআস – আসসাম্মান-আবুর রাবী বর্ণনাকারী কর্তৃক আসিম ইবনি উবাইদুল্লাহার হাদীস ব্যতীত আর কারো নিকট হইতে এটিকে অবহিত নই। আর আশআসকে হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল বলে অভিহিত করা হয়েছে।

 সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ হাসান হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৫৮

ইবনি উমার (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) মক্কা হইতে মাদীনায় ফেরার পথে তাহাঁর সাওয়ারী তাঁকে নিয়ে যে অভিমুখে অগ্রসর হত তিনি সেদিকে ফিরেই নফল নামায আদায় করিতেন। তারপর ইবনি উমার (রা:) এই আয়াত পাঠ করেনঃ পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহ তাআলারই। অতএব, তোমরা যেদিকেই মুখ ফিরাও সেদিকই আল্লাহ তাআলার চেহারা” – (সূরা আল-বাক্বারাহ ১১৫)। ইবনি উমার (রা:) বলেন, এ প্রসঙ্গেই উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়।

সহীহ : সিফাতুস সালাত, মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ক্বাতাদাহ (রঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, তিনি এ আয়াত প্রসঙ্গে বলেন যে, এর নির্দেশ রহিত "মানসূখ" হয়ে গেছে। রহিতকারী (নাসিখ) আয়াতটি হল : “অতএব তুমি মাসজিদুল হারামের দিকে তোমার মুখ ফিরাও” – (সূরা আল-বাক্বারাহ ১৪৪) । শাতরাল মাসজিদিল হারাম” অর্থাৎ “কাবার দিকে”। তার এই মত নিম্নোক্ত সূত্রে বর্ণিত হয়েছে : মুহাম্মাদ ইবনি আব্দুল মালিক ইবনি আবুশ শাওয়ারিব-ইয়াযীদ ইবনি যুরাইহ হইতে, তিনি সাঈদ হইতে, তিনি ক্বাতাদাহ (রঃ) হইতে। মুজাহিদ (রঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, তিনি “ফাছাম্মা ওয়াজহুল্লাহ” অর্থ করিয়াছেন, “ফাসাম্মা ক্বিবলাতুল্লাহ” (সেদিকেই আল্লাহ তাআলার ক্বিবলাহ রয়েছে)। তার এই মত নিম্নোক্ত সূত্রে বর্ণিতঃ আবু কুরাইব মুহাম্মদ ইবনিল আলা-ওয়াকী হইতে, তিনি নাযর ইবনি আরাবী হইতে, তিনি মুজাহিদ (রঃ) হইতে।

সানাদ সহীহ, মাকতূ ।

 সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৫৯

আনাস (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

“উমার ইবনিল খাত্তাব (রা:) বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা যদি মাক্বামে ইবরাহীমের পেছনে নামায আদায় করতাম 'তাহলে ভালো হত'। এ প্রসঙ্গেই অবতীর্ণ হয় : “তোমরা মাক্বামে ইবরাহীমকে (ইবরাহীমের দাঁড়াবার স্থানকে) নামাযের জায়গা হিসেবে গ্রহণ কর”- (সূরা আল-বাক্বারাহঃ ১২৫)

সহীহ : বোখারি (৪৪৮৩), মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

 সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৬০

আনাস (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, উমার ইবনিল খাত্তাব (রা:) বলেছেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি মাক্বামে ইবরাহীমকে যদি নামাযের জায়গা হিসেবে গ্রহণ করিতেন! এ প্রসঙ্গেই অবতীর্ণ হয়ঃ “ওয়াত্তাখিযূ মিম মাক্বামি ইবরাহীমা মুসাল্লা”। তোমরা ইবরাহীমের দাঁড়াবার স্থানকে নামাযের জায়গা বানিয়ে নাও।

সহীহ : বোখারি ও মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ইবনি উমার (রা:) হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

 সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৬১

আবু সাঈদ (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

নাবী (সাঃআঃ) আল্লাহ তাআলার বাণী “এভাবে আমি তোমাদেরকে এক ন্যায়নিষ্ঠ জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি” (সূরা বাক্বারাহঃ ১৪৩) প্রসঙ্গে বলেছেনঃ ওয়াসাতান অর্থ আদলান "ন্যায়নিষ্ঠ"।

সহীহ : বোখারি (৪৪৮৭), মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

আবু সাঈদ (রা:) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ "ক্বিয়ামাত দিবসে" নূহ (আঃ)-কে ডেকে বলা হইবে, তুমি কি "তোমার সম্প্রদায়কে আল্লাহ তাআলার বাণী" পৌঁছে দিয়েছিলে? তিনি বলবেনঃ হ্যাঁ। তারপর তাহাঁর সম্প্রদায়কে ডেকে প্রশ্ন করা হইবে : তিনি কি তোমাদের নিকট (আল্লাহ তাআলার বাণী) পৌছিয়েছিলেন? তিনি কি তোমাদের নিকট (আল্লাহ তাআলার বাণী) পৌছিয়েছিলেন? তারা বলবে, আমাদের নিকট কোন সতর্ককারী আসেনি। আমাদের নিকট কেউই আসেনি। তখন তাঁকে বলা হইবে, আপনার সাক্ষী কারা? তিনি বলবেন : মুহাম্মদ (সাঃআঃ) ও তাহাঁর উম্মাতগণ। তারপর তোমাদেরকে ডেকে আনা হইবে। তোমরা সাক্ষ্য দিবে যে, নিশ্চয়ই তিনি "দাওয়াত" পৌছে দিয়েছিলেন। তার প্রামাণ হচ্ছে বারাকাতময় আল্লাহ তাআলার বাণী : “এভাবে আমি তোমাদেরকে এক ন্যায়নিষ্ঠ জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি। যাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষীস্বরূপ এবং রাসূল তোমাদের সাক্ষীস্বরূপ হইবে” – (সূরা আল-বাক্বারাহ ১৪৩) ।

সহীহ : বোখারি (৪৪৮৭) ।

মুহাম্মদ ইবনি বাশশার-জাফার ইবনি আওন হইতে, তিনি আমাশ (রঃ) হইতে এই সূত্রেও একই রকম বর্ণনা করিয়াছেন। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

 সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৬২

আল –বারাআ ইবনি আযিব (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) মাদীনায় পদার্পণ করে ষোল বা সতের মাস পর্যন্ত বাইতুল মাকদিসের দিকে "ফিরে" নামায আদায় করেন। কিন্তু রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) কাবার দিকে (মুখ করে) নামায আদায় করার আগ্রহ পোষণ করিতেন। এ প্রেক্ষিতেই আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করেন : “আকাশের দিকে তোমার বারবার তাকানোকে আমি অবশ্যই লক্ষ্য করেছি। কাজেই আমি তোমাকে অবশ্যই এমন ক্বিবলার দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছি যা তুমি পছন্দ কর। অতএব তুমি মাসজিদুল হারামের দিকে তোমার মুখ ফিরাও” – (সূরা আল-বাক্বারাহঃ ১৪৫)। ফলে কাবার দিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া হলো। আর তিনি এটাই পছন্দ করিতেন। এক লোক তাহাঁর সাথে আসরের নামায আদায় করে একদল আনসারীর সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা তখন বাইতুল মাকদিসের দিকে (মুখ করে) আসরের নামাযের রুকূতে ছিল। তিনি বলিলেন, এই লোকটি সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, সে রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর সাথে নামায আদায় করে এসেছে। আর প্রকৃত অবস্থা এই যে, 'নামাযে' কাবার দিকে মুখ ফিরানো হয়েছে। তারাও তৎক্ষণাৎ রুকূ অবস্থায়ই "কাবার দিকে" ঘুরে যান।

সহীহ : সিফাতুস সালাত, বোখারি (৪৪৯২), মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। সুফইয়ান সাওরীও এটি আবু ইসহাক হইতে বর্ণনা করিয়াছেন।

 সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৬৩

ইবনি উমার (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন যে, তারা (কুবা মাসজিদে) ফজরের নামাযে রুকূ অবস্থায় ছিলেন।

সহীহঃ প্রাগুক্ত, ইরওয়াহ (২৯০), বোখারি (৪৪৮৮), মুসলিম।

এ অনুচ্ছেদে আমর ইবনি আওফ আল –মুযানী, ইবনি উমার, উমারাহ ইবনি আওস ও আনাস ইবনি মালিক (রা:) হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেন, ইবনি উমার (রা:) এর বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ।

 সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৬৪

ইবনি আব্বাস (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) কে কাবার দিকে ফিরিয়ে দেয়া হলে সাহাবীগণ তাঁকে প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের যেসব ভাই বাইতুল মাকদিসের দিকে "ফিরে" নামায আদায় করা অবস্থায় মারা গেছেন তাহাদের কি হইবে? আল্লাহ তাআলা তখন নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ করেন (অনুবাদ) : “আল্লাহ তাআলা তোমাদের ঈমানকে বিনষ্ট করেন না”- (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৪৩)

সহীহ লিগাইরিহী : তালীকাতু হাসসান (১৭১৪), বোখারি।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

সূরা আল বাকারার তাফসীর  এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৬৫

উরওয়া (রঃ) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রা:)-কে বললাম, যে ব্যক্তি সাফা ও মারওয়ার তাওয়াফ "সাঈ" করেনি আমি তাতে সমস্যা মনে করি না। আমি নিজেও এ দুই পাহাড়ের মাঝে তাওয়াফ না করিতে কোন পরোয়া করি না। আয়িশাহ [রাদি.] বলিলেন, হে আমার বোন পুত্র! তুমি যা বললে তা খুবই অন্যায় কথা। রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) নিজে এই দুই পাহাড়ের মাঝে তাওয়াফ করিয়াছেন, মুসলিমরাও এর তাওয়াফ করিয়াছেন। তবে মুশাল্লাল নামক স্থানে স্থাপিত মানাত নামক প্রতিমার নামে যেসব কাফির ইহরাম বাঁধতো তারা সাফা ও মারওয়ার তাওয়াফ করত না। অতঃপর বারকাতময় আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করেনঃ “যে লোক বাইতুল্লাহর হাজ্জ করে বা উমরা করে এই পাহাড়দ্বয়ের মাঝে তাওয়াফ করায় তার কোন সমস্যা নেই”- (সূরা আল-বাক্বারাহঃ ১৫৮)। তোমাদের কথাই যদি সঠিক হত, তাহলে এভাবে বলা হতঃ “ফালা জুনাহা আলাইহি আল –লা ইয়াত্তাওয়াফা বিহিমা” (এই পাহাড়দ্বয়ের মাঝে তাওয়াফ না করাতে কোন সমস্যা নেই)। যুহরী (রঃ) বলেন, আমি আবু বাকর ইবনি আবদুর রাহমান ইবনিল হারিস ইবনি হিশামের নিকট এটি বর্ণনা করলে তিনি খুবই আনন্দিত হন এবং বলেন, এটা তো হল ইল্মের "জ্ঞানের" কথা! আমি বহু আলিমকে বলিতে শুনিয়াছি, যেসব আরববাসী সাফা-মারওয়ার তাওয়াফ করে না তারা বলে, এ দুটি পাহাড়ের মাঝে তাওয়াফ করা জাহিলী যুগের প্রথা। অপর দিকে কিছু সংখ্যক আনসারী বলত, আমাদেরকে বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করার আদেশ করা হয়েছে এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফের আদেশ দেয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গেই আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করলেনঃ “নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহ তাআলার নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভূক্ত” – (সূরা আল-বাক্বারাহ ১৫৮)। আবু বাকর ইবনি আব্দুর রাহমান বলেন, আমার মতে উপরোক্ত উভয় দলের প্রসঙ্গেই এ আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে।

সহীহ : ইবনি মাজাহ (২৯৮৬), বোখারি (৪৪৯৫), মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

 সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৬৬

আসিম আল –আওয়াল (রঃ)হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনি মালিক (রা:)-কে সাফা ও মারওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। তিনি বলিলেন, এ দুটি "পাহাড়" ছিল জাহিলিয়াতের নিদর্শন। ইসলামের আবির্ভাব হলে আমরা এতদুভয়ের মাঝে সাঈ করা হইতে বিরত থাকলাম। তখন বারকাতময় আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করেনঃ “সাফা ও মারওয়া হল আল্লাহ তাআলার নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভূক্ত। অতএব বাইতুল্লাহর হাজ্জকারী বা উমরাকারী ব্যক্তির জন্য এতদুভয়ের মাঝে তাওয়াফ করাতে কোন সমস্যা নেই”- (সূরা আল –বাক্বারাহঃ ১৫৮)। আনাস (রা:) বলেন, এটা হল নফল ইবাদাত। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎকাজ করলে আল্লাহ তাআলা তো গুণগ্রাহী ও সর্বজ্ঞ”- (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৫৮)।

সহীহ : বোখারি (৪৪৯৬), মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ।

 সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৬৭

জাবির ইবনি আবদুল্লাহ (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) যখন মক্কায় এলেন, তখন সাতবার বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করিলেন। তখন আমি তাঁকে এ আয়াত পাঠ করিতে শুনলাম (অনুবাদ) : “তোমরা ইবরাহীমের দাঁড়াবার স্থানকে নামাযের স্থানরূপে গ্রহণ কর”- (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১২৫)। তারপর তিনি মাক্বামে ইবরাহীমের পিছনে নামায আদায় করিলেন, তারপর হাজরে আসওয়াদের নিকট এসে তাতে চুমু দিলেন, তারপর বললেনঃ আল্লাহ তাআলা প্রথমে যা উল্লেখ করিয়াছেন আমরা তা হইতে শুরু করব। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করিলেন : “সাফা ও মারওয়া আল্লাহ তাআলার নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভূক্ত”- (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৫৮)।

সহীহ : ইবনি মাজাহ (২৯৬০), বোখারি ও মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

 সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৬৮

আল –বারাআ (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) এর সাহাবীগণের এ নিয়ম ছিল যে, কোন রোযাদার ইফতারের পূর্বে ঘুমিয়ে পড়লে তিনি সেই রাত ও পরবর্তী দিনে কিছু খেতেন না, এভাবে পরবর্তী সন্ধ্যা পর্যন্ত অভুক্ত থাকতেন। একবার ক্বাইস ইবনি সিরমাহ আল –আনসারী (রা:) রোযা অবস্থায় ছিলেন। ইফতারের সময় উপস্থিত হলে তিনি তার স্ত্রীর নিকট এসে বলিলেন, কোন খাবার আছে কি? তাহাঁর স্ত্রী বলিলেন, না। তবে আমি আপনার জন্য কিছু খুঁজে আনতে যাচ্ছি। কাইস (রা:) ঐ দিন কায়িক পরিশ্রম করেছিলেন। তাই তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। তার স্ত্রী এসে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখিতে পেয়ে বলিলেন, আপনার জন্য আফসোস! পরবর্তী দিন দুপুর হলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এ ঘটনা নাবী (সাঃআঃ) এর নিকট বর্ণনা করা হলে তখন নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ): “রোযার রাতে তোমাদের জন্য স্ত্রী সম্ভোগ হালাল করা হল” (সূরাঃ আল-বাক্বারাহঃ ১৮৭)। এতে তারা অত্যন্ত আনন্দিত হলেন। আয়াতের শেষাংশ নিম্নরূপ (অনুবাদ) : “রাতের কালো রেখা হইতে ভোরের সাদা রেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হওয়া পর্যন্ত তোমরা পানাহার কর” – (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৮৭)

সহীহ : সহীহ আবু দাঊদ (২০৩৪), বোখারি ও মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

 সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৬৯

নুমান ইবনি বাশীর (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) আল্লাহ তাআলার বাণী “তোমাদের প্রভু বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো আমি তোমাদের ডাকে সারা দিব”- (সূরা মুমিন ৬০) প্রসঙ্গে বলেছেনঃ দুআও একটি ইবাদাত। তারপর তিনি পাঠ করিলেন : “তোমাদের প্রভু বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। যারা অহংকারবশে আমার ইবাদাতে বিমুখ, তারা লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করিবে” (সূরা মুমিনঃ ৬০)।

সহীহ : ইবনি মাজাহ (৩৮২৮)।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

 সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৭০

আদী ইবনি হাতিম (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, হাত্তা ইয়াতাবাইয়্যানা লাকুমুল খাইতুল-আবইয়াযু মিনাল-খাইতিল আসওয়াদি মিনাল-ফাজরি” – (সূরা বাক্বারাহঃ ১৮৭) আয়াত অবতীর্ণ হলে নাবী (সাঃআঃ) আমাকে বললেনঃ এখানে খাইতুল আবইয়াযি মিনাল খাইতিল আসওয়াদি বলিতে “রাতের অন্ধকার ও দিনের আলো” বুঝানো হয়েছে।

সহীহ : সহীহ আবু দাঊদ (২০৩৪), বোখারি (৪৫১০), মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আহমাদ ইবনি মানী-হুশাইম হইতে, তিনি মুজালিদ হইতে, তিনি শাবী হইতে, তিনি আদী ইবনি হাতিম (রা:) হইতে, তিনি নাবী (সাঃআঃ) হইতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করিয়াছেন।

সূরা আল বাকারার তাফসীর  এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৭১

আদী ইবনি হাতিম (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রোযা বিষয়ে "সাহরীর সময়সীমা প্রসঙ্গে" রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেনঃ কালো সুতা হইতে সাদা সুতা যে পর্যন্ত না স্পষ্ট প্রতিভাত হয়”- (সূরা আল-বাক্বারাহ ১৮৭)। আদী (রা:) বলেন, আমি সাদা ও কালো দুটি রশি নিলাম, 'শেষ রাতে' আমি উভয়টি দেখিতে লাগলাম (এবং সাদা-কালোর পার্থক্য নিরূপণের চেষ্টা করলাম)। "এ ঘটনা শুনে" রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমাকে কিছু বলেন। কি বলেছিলেন তা বর্ণনাকারী সুফইয়ান মনে রাখতে পারেননি। এরপর রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বললেনঃ এর অর্থ হল রাত ও দিন।

সহীহ : প্রাগুক্ত, বোখারি ও মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

সূরা আল বাকারার তাফসীর  এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৭২

আসলাম আবু ইমরান আত –তুজীবী (রঃ) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা রোম সাম্রাজ্যের কোন এক শহরে অবস্থানরত ছিলাম। তখন আমাদেরকে মুকাবিলা করার উদ্দেশে রোমের এক বিশাল বাহিনী যাত্রা শুরু করিল। মুসলিমদের পক্ষ হইতেও একই রকম বা আরো বিশাল একটি বাহিনী যাত্রা শুরু করিল। তখন মিসরবাসীর শাসক ছিলেন উক্ববাহ ইবনি আমির (রা:) এবং বাহিনীর সেনাপতি ছিলেন ফাযালাহ ইবনি উবাইদ (রা:)। একজন মুসলিম সেনা রোমীয়দের উপর প্রচন্ড আক্রমণ করেন। এমনকি বুহ্য ভেদ করে তিনি তাহাদের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তখন মুসলিমগণ সশব্দে চিৎকার করেন এবং বলেন, সুবহানাল্লাহ! লোকটি নিজেকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। তখন আবু আইয়ূব আল –আনসারী (রা:) দাঁড়িয়ে বলিলেন, হে জনমন্ডলী! তোমরা এ আয়াতের এরূপ ব্যাখ্যা করছ? অথচ এ আয়াতটি আমাদের তথা আনসারদের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে। আল্লাহ তাআলা যখন ইসলামকে বিজয় দান করিলেন এবং ইসলামের বিপুল সংখ্যক সাহায্যকারী হয়ে গেল, তখন আমাদের মধ্যে কেউ কেউ রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) কে না শুনিয়ে চুপে চুপে বলল, আমাদের মাল-সম্পদ তো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ তাআলা ইসলামকে এখন শক্তিশালী করিয়াছেন। তার সাহায্যকারীর সংখ্যাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন যদি আমরা আমাদের মাল-সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অবস্থান করিতে এবং বিনষ্ট হয়ে যাওয়া সম্পদের পুনর্গঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করতাম "তাহলে ভাল হতো"। এ প্রসঙ্গেই আল্লাহ তাআলা আমাদের ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করে তাহাঁর নাবী (সাঃআঃ)-এর প্রতি নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ করেন : “তোমরা আল্লাহ তাআলার পথে ব্যয় কর এবং নিজেদের হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করো না” (সূরা আল-বাক্বারাহ ১৯৫)। কাজেই মাল-সম্পদের তত্ত্বাবধান ও তার পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করা এবং জিহাদ ত্যাগ করাই হচ্ছে ধ্বংস। অতএব আবু আইয়ূব আল –আনসারী (রা:) বাড়িঘর ছেড়ে সব সময় আল্লাহ তাআলার রাস্তায় জিহাদে ব্যাপৃত থাকতেন। অবশেষে তিনি রোমে "তৎকালীন এশিয়া মাইনর, বর্তমানে তুরস্ক" ইন্তিকাল করেন এবং সেখানেই তাঁকে দাফর করা হয়।

সহীহ : সহীহাহ (১৩)।

আবী ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।

 সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৭৩

কাব ইবনি উজরাহ (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, যে মহান সত্তার হাতে আমার প্রাণ নিবদ্ধ তাহাঁর শপথ! আমার সম্পর্কেই নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে এবং তাতে আমার প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে : “তোমাদের মধ্যে যদি কেউ পীড়িত হয়, বা মাথায় ক্লেশ থাকে, তবে রোযা অথবা দান-খাইরাত অথবা কুরবানীর দ্বারা তারা ফিদিয়া দিবে” *সূরা আল-বাক্বারাহ ১৯৬)। কাব ইবনি উজরাহ (রা:) বলেন, আমরা নাবী (সাঃআঃ) এর সাথে হুদাইবিয়াতে ইহ্‌রাম অবস্থায় ছিলাম। মুশরিকরা আমাদেরকে "হাজ্জ বা উমরার উদ্দেশ্যে মক্কায় যেতে" বাধা দিল। আমার মাথায় বাবরী চুল ছিল। উকুন আমার মুখমন্ডলে পতিত হচ্ছিল। নাবী (সাঃআঃ) আমার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বললেনঃ তোমার মাথার কীটগুলো কি তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বললেনঃ তুমি তোমার মাথার চুল মুন্ডন করে ফেল। এ প্রসঙ্গেই এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। মুজাহিদ (রঃ) বলেন, এক্ষেত্রে তিনটি রোযা রাখতে হইবে অথবা খাদ্য দান করিতে হইবে ছয়জন মিসকীনকে অথবা এক বা একাধিক ছাগল যবেহ করিতে হইবে।

সহীহ : বোখারি [৪৫১৭], মুসলিম, অনুরূপ হাদীস পূর্বে (৯৫৩) নং উল্লেখ হয়েছে।

আলী ইবনি হুজর-হুশাইম হইতে, তিনি আশআস ইবনি সাওওয়ার হইতে, তিনি শাবী হইতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনি মাকিল হইতে, তিনি কাব ইবনি উজরাহ (রা:) হইতে, তিনি নাবী (সাঃআঃ) হইতে এই সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করিয়াছেন। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবদুর রহমান ইবনিল আসবাহানী (রঃ) আবদুল্লাহ ইবনি মুগাফফালের সূত্রে একই রকম হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

 সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৭৪

কাব ইবনি উজরাহ (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমার নিকট আসলেন। আমি তখন ডেকচির নিচে আগুন জ্বালাচ্ছিলাম। তখন আমার কপালের উপর অথবা বলেছেন আমার চোখের ভ্রুর উপর দিয়ে উকুন ঝরে পড়ছিল। রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বললেনঃ তোমার কীটগুলো কি তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে? আমি বললামঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তুমি তোমার মাথা কামিয়ে ফেল এবং তার পরিবর্তে একটি পশু যবেহ কর অথবা তিন দিন রোযা রাখ অথবা ছয়জন মিসকীনকে আহার করাও। বর্ণনাকারী আইয়ূব বলেন, তিনি কোন বিষয়টি প্রথমে বলেছেন তা আমি অবগত নই।

সহীহ : দেখুন পূর্বের হাদীস।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

সূরা আল বাকারার তাফসীর  এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৭৫

আবদুর রাহমান ইবনি ইয়ামার (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ হাজ্জ হচ্ছে আরাফাতে অবস্থান, হাজ্জ হচ্ছে আরাফাতে অবস্থান, হাজ্জ হচ্ছে আরাফাতে অবস্থান। মিনার জন্য নির্ধারিত আছে তিন দিন। “কোন ব্যক্তি যদি দুই দিন থেকে তাড়াতাড়ি চলে আসে তবে তার কোন গুনাহ হইবে না। আর যদি কোন ব্যক্তি বিলম্ব করে, তারও কোন গুনাহ হইবে না” –(সূরা আল-বাক্বারাহ ২০৩)। ফজর উদয়ের পূর্বেই যে ব্যক্তি আরাফাতে পৌছে যায়, সে হাজ্জ পেয়ে গেল।

সহীহ : (৮৮৯) নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।

ইবনি আবী উমার বলেন, সুফইয়ান ইবনি উয়াইনা বলেছেন : সুফইয়ান সাওরীর বর্ণিত হাদীসগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে উৎকৃষ্ট। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এটি শুবাহ (রঃ) বুকাইর ইবনি আতা হইতে বর্ণনা করিয়াছেন। বুকাইর ইবনি আতার সূত্র ব্যতীত এটি সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না।

সূরা আল বাকারার তাফসীর  এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৭৬

আয়িশাহ (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ ভীষণ কলহপ্রিয় লোক আল্লাহ তাআলার নিকট সবচাইতে ঘৃণ্য।

সহীহ : বোখারি (৪৫২৩), মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।

সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৭৭

আনাস (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, ইয়াহূদীদের এই নিয়ম ছিল যে, তাহাদের কোন নারীর মাসিক ঋতুস্রাব হলে তারা তার সাথে একত্রে পানাহারও করত না এবং একই ঘরে একত্রে বসবাসও করত না। এ বিষয়ে নাবী (সাঃআঃ)-কে প্রশ্ন করা হলে আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করেন : “লোকেরা আপনাকে হায়িয প্রসঙ্গে প্রশ্ন করে। বলুন, তা অশুচি” –(সূরা আল-বাক্বারাহ ২২২)। তখন রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) তাহাদের সাথে যথারীতি একত্রে পানাহারের ও ঘরে একসাথে বসবাসের নির্দেশ দেন, শুধু সহবাস প্রসঙ্গ ব্যতীত। এতে ইয়াহূদীরা বলল, এ লোকটি আমাদের কোন একটি বিষয়েরও বিরোধিতা না করে ছাড়ছে না। বর্ণনাকারী বলেন, আব্বাদ ইবনি বিশর ও উসাইদ ইবনি হুযাইর (রা:) রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর নিকট আসেন এবং বিষয়টি তাঁকে জানান। তারা বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি ঋতুস্রাব চলাকালে স্ত্রী-সহবাস করব না? এতে রাসূলু্ল্লাহ (সাঃআঃ) -এর চেহারা রক্তিম বর্ণ হয়ে গেল। আমরা অনুমান করলাম, রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) তাহাদের উভয়ের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন। তারা দুজনে উঠে রাওনা করিলেন। তাহাদের সামনে দিয়েই রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর জন্যে দুধ হাদিয়া এলো। রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) তাহাদেরকে ডেকে পাঠান এবং তাহাদেরকে দুধ পান করান। এতে তারা বুঝতে পারল রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) তাহাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হননি।

সহীহ : আদাবুয, যিফাফ (৪৪), সহীহ আবু দাঊদ (২৫০)।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। মুহাম্মদ ইবনি আবদুল আলা-আবদুর রাহমান ইবনি মাহদী হইতে, তিনি হাম্মাদ ইবনি সালামা হইতে, তিনি সাবিত হইতে, তিনি আনাস (রা:) হইতে অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

 সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৭৮

ইবনিল মুনকাদির (রঃ)হইতে বর্ণীতঃ

তিনি জাবির (রা:)-কে বলিতে শুনেছেনঃ ইয়াহূদীরা বলত, কোন ব্যক্তি স্ত্রীর পেছন দিক হইতে তার জননেন্দ্রিয়ে সহবাস করলে সন্তন হয় টেরা চোখবিশিষ্ট। এ প্রসঙ্গেই এ আয়াত অবতীর্ণ হয় : “তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের শস্যক্ষেত্র। কাজেই তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা যেতে পার” – (সূরা আল-বাক্বারাহ ২২৩)।

সহীহ : ইবনি মাজাহ (১৯২৫), বোখারি (৪৫২৮), মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৭৯

উম্মু সালামা (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, “তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেত্র স্বরূপ। অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা যেতে পার”- (সূরা আল-বাক্বারাহ ২২৩), এ আয়াত প্রসঙ্গে নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, অর্থাৎ একই রাস্তায় "জননেন্দ্রিয়ে" সহবাস করিবে।

সহীহ : আদাবুয যিফাফ (২৭-২৮)।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ইবনি খুসাইম হচ্ছেন আবদুল্লাহ ইবনি উসমান ইবনি খুসাইম। ইবনি সাবিত হচ্ছেন আবদুর রাহমান ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি সাবিত আল –জুমাহী আল –মাক্কী। আর হাফসা (রা:) হচ্ছেন, আবদুর রাহমান ইবনি আবু বাকর আস –সিদ্দীক-এর কন্যা।

 এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৮০

ইবনি আব্বাস (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, “উমার (রা:) রসুলুল্লাহ
(সাঃআঃ) এর নিকট এসে বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। তিনি বললেনঃ কিসে তোমাকে ধ্বংস করিল? উমার (রা:) বললেনঃ রাতে আমার বাহনটি উল্টা করে ব্যবহার করেছি (পেছনের দিক হইতে সহবাস করেছি)। বর্ণনাকারী বলেন, রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর প্রতি নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হল : “তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের শস্যক্ষেত্র। অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা যেতে পার”- (সূরা আল-বাক্বারাহঃ ২২৩)। সামনের দিক হইতেও বা পেছনের দিক হইতেও "জননেন্দ্রিয়ে" সঙ্গত হইতে পারে, তবে মলদ্বারে অথবা হায়িয অবস্থায় (সহবাস হইতে) বিরত থাক।

হাসান : আদাবুয যিফাফ (২৮-২৯)।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। ইয়াকূব ইবনি আবদুল্লাহ আল-আশআরী হচ্ছেন ইয়াকুব আল –কুম্মী।

 সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ হাসান হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৮১

মাক্বিল ইবনি ইয়াসার (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর যামানায় তার বোনকে এক মুসলিমের নিকট বিবাহ দেন। এ মহিলা তার নিকট যত দিন জীবন অতিবাহিত করার করলো। তারপর তার স্বামী তাকে এক তালাক দেয়। ইদ্দাত শেষ হয়ে যাওয়ার পূর্বে সে তাকে আবার স্ত্রীত্বে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেনি। এমতাবস্থায় ইদ্দাত শেষ হয়ে যাওয়ার পর লোকটি তার স্ত্রীর প্রতি এবং স্ত্রী স্বামীর প্রতি আকৃষ্ট হল। তাই সেও এক প্রস্তাবকের মাধ্যমে তাকে পুনর্বিবাহের প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু তার ভাই "মাক্বিল" বলেন, হে ইতর প্রাণী! আমি তোমার সাথে আমার বোনের বিবাহ দিয়ে তোমাকে সম্মানিত করেছিলাম, কিন্তু তুমি তাকে তালাক দিয়েছ। আল্লাহর কসম! সে আর কখনো তোমার নিকট ফিরে যাবে না। এই তোমার সাথে শেষ কথা। বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহ তাআলা জানতেন ঐ নারীর প্রতি লোকটির আকর্ষণ এবং লোকটির প্রতি নারীর আকর্ষণের কথা। তখন বারকাতময় আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করেনঃ “তোমরা যখন স্ত্রীদের তালাক দাও এবং তারা তাহাদের ইদ্দাত কাল পূর্ণ করে, তখন তারা যদি বিধিমত পরস্পর সম্মত হয় তবে স্ত্রীরা নিজেদের স্বামীদের বিবাহ করিতে চাইলে তোমরা তাহাদের বাধা দিও না। তোমাদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ তাআলা ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাকে এর দ্বারা উপদেশ দেয়া হচ্ছে। এটা তোমাদের জন্য শুদ্ধতম ও পবিত্রতম। আল্লাহ তাআলা জানেন, তোমরা জান না”- (সূরা আল-বাক্বারাহ ২৩২)। বর্ণনাকারী বলেন, মাক্বিল (রা:) এ আয়াত শোনার পর বলিলেন, আমার প্রভুর আদেশ সর্বোপরি শিরোধার্য। আমি শুনলাম এবং আনুগত্যের শির অবনত করলাম। তিনি ঐ লোককে ডেকে পাঠালেন এবং বলিলেন, "চলো" তোমার সাথে তাকে বিবাহ দিয়ে দিচ্ছি এবং তোমার খাতির সম্মান বহাল করছি।

সহীহ : ইরওয়াহ (১৮৪৩), সহীহ আবু দাঊদ (১৮২০), বোখারি (৪৫২৯)।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। হাসান (রঃ) হইতে এটি অন্যান্য সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে। হাসান (রঃ) সূত্রে হাদীসটি গারীব। এ হাদীস হইতে জানা গেল যে, ওয়ালী অর্থাৎ অভিভাবক ব্যতীত বিবাহ বৈধ হয় না। কারণ মাক্বিল ইবনি ইয়াসার (রা:)-এর বোন প্রাপ্তবয়স্কা তালাক্বপ্রাপ্তা ছিলেন। ওয়ালী ব্যতীত নিজের বিবাহ করার এখতিয়ার থাকলে তিনি নিজেই বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হয়ে যেতে পারতেন এবং তার ওয়ালী মাক্বিল ইবনি ইয়াসার (রা:) এর প্রয়োজন বোধ করিতেন না। আল্লাহ তাআলাও এ আয়াতে ওয়ালী অর্থাৎ অভিভাবকদেরই সম্বোধন করিয়াছেন। যেমন তিনি বলেছেনঃ “তারা যদি বিধিমত পরস্পর সম্মত হয় তবে স্ত্রীগণ নিজেদের স্বামীদের বিবাহ করিতে চাইলে তোমরা তাহাদের বাধা দিও না”। এ আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, বিবাহের ব্যাপারটি নারীদের সম্মতি সাপেক্ষে ওয়ালীর উপর ন্যস্ত করা হয়েছে।

এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৮২

আয়িশাহ (রা:) এর মুক্ত দাস আবু ইউনুস (রঃ) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আয়িশাহ (রা:)আমাকে তার জন্য কুরআনের একটি কপি লিখে দেয়ার আদেশ দিয়ে বলেনঃ “তোমরা নামাযসমূহের প্রতি যত্নবান হইবে, বিশেষত মধ্যবর্তী নামাযের প্রতি” (সূরা বাক্বারাহ ২৩৮) আয়াতে পৌছে আমাকে জানাবে। আবু ইউনুস (রঃ) বলেন, আমি উক্ত আয়াতে পৌছে আয়িশাহ (রা:) কে জানালাম। তিনি আমাকে এভাবে লেখার আদেশ দিলেনঃ “তোমরা নামাযসমূহের প্রতি যত্নবান হইবে, বিশেষত মধ্যবর্তী নামাযের তথা আসর নামাযের প্রতি এবং আল্লাহ তাআলার উদ্দেশে বিনীতভাবে দাঁড়াবে”। আয়িশাহ (রা:) বলেন, আমি তা রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর নিকট শুনিয়াছি।

সহীহ : সহীহ আবু দাঊদ (৪৩৭), মুসলিম।

এ অনুচ্ছেদে হাফসাহ (রা:) হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৮৩

সামুরাহ ইবনি জুনদাব (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ সালাতুল উসতা "মধ্যবর্তী নামায" হল আসরের নামায।

সহীহ : মিশকাত (৬৩৪)।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

 এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৮৪

আলী (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) আহযাবে যুদ্ধের দিন (এই) দুআ করেনঃ “হে আল্লাহ! তুমি এদের (কাফিরদের) ক্ববরসমূহ ও ঘরসমূহকে আগুন দিয়ে ভর্তি করে দাও, যেমন তারা আমাদেরকে মধ্যবর্তী নামায হইতে বিরত রেখেছে, এমনকি সূর্য ডুবে গেছে।

সহীহ : সহীহ আবু দাঊদ (৪৩৬), বোখারি (৪৫৩৩), মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আলী (রা:) হইতে এটি অন্যান্য সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে। আবু হাসসান আল –আরাজের নাম মুসলিম।

সূরা আল বাকারার তাফসীর  এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৮৫

আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ সালাতুল উসতা "মধ্যবর্তী নামায" হল আসরের নামায।

সহীহ : মিশকাত (৬৩৪)।

যাইদ ইবনি সাবিত, আবু হাশিম ইবনি উতবাহ ও আবু হুরাইরাহ্‌ (রা:) হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৮৬

যাইদ ইবনি আরক্বাম (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর যামানায় আমরা নামাযের মধ্যে কথাবার্তা বলতাম। এ প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়ঃ “তোমরা আল্লাহ তাআলার উদ্দেশে অনুগত সেবকের মত দাঁড়াও” – (সূরা আল-বাক্বারাহঃ ২৩৮)। এতদ্বারা আমাদেরকে "নামাযে" চুপ থাকার নির্দেশ দেয়া হল।

সহীহ : সহীহ আবু দাঊদ (৮৭৫)।

আহমাদ ইবনি মানী-হুশাইম হইতে, তিনি ইসমাঈল ইবনি আবু খালিদ (রঃ) হইতে এই সূত্রেও একই রকম বর্ণনা করিয়াছেন। তবে তাতে আরও আছে : ওয়া নুহীনা আনিল কালাম (আমাদেরকে কথা বলিতে নিষেধ করে দেয়া হয়)।

সহীহ : সহীহ আবু দাঊদ (৮৭৫), বোখারি ও মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবু আমর আশ-শাইবানীর নাম সাদ ইবনি ইয়াস।

সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৮৭

আল –বারাআ (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, “তোমরা নিকৃষ্ট বস্তু দান করার ইচ্ছা করিবে না” – (সূরা আল-বাক্বারা ২৬৭) আয়াতটি আমাদের আানসারদের প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ছিলাম খেজুর বাগানের মালিক। লোকেরা তাহাদের খেজুর বাগান হইতে বেশী বা স্বল্প পরিমাণ অনুসারে খেজুর নিয়ে আসতো। কেউ বা এক দুই ছড়া খেজুর এনে মাসজিদে ঝুলিয়ে রাখতো। সুফফাবাসী সাহাবীগণের খাদ্য সংস্থানের বিশেষ কোন নির্দিষ্ট উৎস ছিল না। তাহাদের কারো ক্ষুধা পেলে তিনি উক্ত খেজুরের ছড়ার নিকট এসে তাতে লাঠি দ্বারা আঘাত করিতেন। ফলে কাঁচা-পাকা খেজুর ঝরে পড়ত এবং তিনি তা খেতেন। কিন্তু কিছু সংখ্যক লোকের কল্যাণকর কাজের প্রতি খুব একটা আগ্রহ ছিল না। তাহাদের কেউ নিকৃষ্ট ও পচা খেজুরের ছড়াও নিয়ে আসতো, আবার কেউ ভেঙ্গে পড়া ছড়াও নিয়ে আসতো এবং তা "মাসজিদে" ঝুলিয়ে রাখতো। কল্যাণময় আল্লাহ তাআলা এ প্রসঙ্গে আয়াত অবতীর্ণ করেন (অনুবাদ) : “হে ঈমানদারগণ! তোমরা যা উপার্জন কর এবং আমি যা জমিন হইতে তোমাদের জন্য উৎপাদন করি, তন্মধ্যে যা উৎকৃষ্ট তা ব্যয় কর এবং তা হইতে নিকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করার সংকল্প করো না, অথচ তোমরা তা গ্রহণ করিবে যা, যদি না তোমরা চক্ষু বন্ধ করে থাক” (সূরা আল-বাক্বারাহঃ ২৬৭)। তিনি বলেন, অর্থাৎ দাতা যেরূপ দান করেছে, অনুরূপই যদি তাকে উপহারস্বরূপ দেয়া হয়, তাহলে সে কখনো তা গ্রহণ করিবে না, চক্ষুর লজ্জায় পড়া বা দৃষ্টি এড়িয়ে রাখা ব্যতীত। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর হইতে আমাদের কেউ কিছু আনলে তার নিকট যা আছে তার মধ্যকার সর্বোৎকৃষ্টগুলো নিয়ে আসতো।

সহীহ : ইবনি মাজাহ (১৮২২)।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ। আবু মালিক হচ্ছেন আবু মালিক আল-গিফারী। তার নাম গাযওয়ান বলেও কথিত আছে। সাওরী (রঃ)সুদ্দীর সূত্রে উক্ত হাদীসের অংশবিশেষ রিওয়ায়াত করিয়াছেন।

সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৮৮

আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ আদম সন্তানের প্রতি শাইতানের এক স্পর্শ রয়েছে এবং ফেরেশতারও এক স্পর্শ রয়েছে। শাইতানের স্পর্শ হচ্ছে মন্দ কাজের প্ররোচনাদান ও সত্যকে অস্বীকার করার। ফেরেশতার স্পর্শ হচ্ছে কল্যাণের কাজে উৎসাহিত করা এবং সত্যকে স্বীকার করা। কাজেই যে ব্যক্তি নিজের মধ্যে এরূপ নেকীর স্পর্শ অনুভব করে সে যেন জ্ঞাত হয় যে, এটা আল্লাহ তাআলার পক্ষ হইতে এবং এজন্য সে যেন আল্লাহ তাআলার প্রতি শুকরিয়া আদায় করে। আর কেউ নিজের মধ্যে এর বিপরীত স্পর্শ উপলব্ধি করলে সে যেন তখন শাইতান হইতে আল্লাহ তাআলার নিকট আশ্রয় চায়। তারপর রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) নিম্নোক্ত আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) : “শাইতান তোমাদেরকে দারিদ্র্যের ভয় দেখায় এবং অশ্লীল কাজের নির্দেশ দেয়। আর আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে তাহাঁর ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন। আল্লাহ তাআলা প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ” – (সূরা আল-বাক্বারাহ ২৬৮)।

সহীহ : মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী (৭৪)।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এটি হচ্ছে আবুল আহওয়াসের রিওয়ায়াত। আমরা আবুল আহওয়াসের সূত্র ব্যতীত এটিকে অন্য কোন সূত্রে মারফূ হিসেবে জানতে পারিনি।

সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৮৯

আবু হুরাইরাহ্‌ [রা:] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ হে লোক সকল ! আল্লাহ তাআলা পবিত্র। তিনি পবিত্র জিনিস ব্যতীত কিছু ক্ববূল করেন না। আল্লাহ তাহাঁর রাসূলদেরকে যেসব বিষয়ের হুকুম দিয়েছেন, মুমিনদেরকেও সেসব বিষয়ের হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেনঃ “হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু হইতে আহার কর এবং সৎকাজ কর। তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবগত” – (সূরা আল-মুমিনূন ৫১)। তিনি আরো বলেনঃ “হে মুমিনগণ! তোমাদেরকে আমি যে রিযিক্ব দিয়েছি তা হইতে পবিত্র বস্তু আহার কর” – (সূরা আল-বাক্বারাহঃ ১৭২)। বর্ণনাকারী বলেন, রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করিলেন, দীর্ঘ সফরের ক্লান্তিতে যার মাথার চুল বিক্ষিপ্ত, অবিন্যস্ত এবং সারা শরীর ধূলি মলিন। সে আসমানের দিকে হাত দরায করে বলে, হে আমার প্রভু! হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য ও পানীয় হারাম, তার পোশাক হারাম, তার জীবন জীবিকাও হারাম। এমতাবস্থায় তার দুআ কিভাবে ক্ববূল হইতে পারে।

হাসান : গাইয়াতুল মারাম (২৭), মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এটিকে ফুযাইল ইবনি মারযূক্বের হাদীস হিসেবে জানি। আবু হাযিম হচ্ছেন আবু হাযিম আল-আশজাঈ। তার নাম সালমান, আজ্জা আল-আশজাইয়্যার মুক্তদাস।

 সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ হাসান হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৯০

আলী (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

আলী (রা:) বলেন, নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হলে আমরা সবাই উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়লামঃ “তোমাদের মনে যা আছে তা ব্যক্ত কর বা লুকিয়ে রাখ, আল্লাহ্ তাআলা তোমাদের নিকট হইতে তার হিসাব গ্রহণ করবেন। তারপর তিনি যাকে ইচ্ছা মাফ করবেন এবং যাকে ইচ্ছা সাজা দিবেন। আল্লাহ্ তাআলা সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান” (সূরাঃ আল-বাকারা- ২৮৪)। আমরা বললাম, আমাদের কেউ মনে মনে যা কিছু বলে তারও হিসাব গ্রহণ করা হইবে। জানি না, তার মধ্যে কতটুকু ক্ষমা করা হইবে আর কতটুকু ক্ষমা করা হইবে না। তখন পূর্বোক্ত আয়াতের হুকুম বাতিল "মানসূখ" করে নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “আল্লাহ্ তাআলা কারো উপর তার সাধ্যাতীত কষ্টদায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না। সে ভালো যা কামাই করে তা তারই এবং মন্দ যা কামাই করে তাও তারই” (সূরাঃ আল-বাকারা- ২৮৬)।

সনদ দুর্বল।

এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৯১

উমাইয়্যা নাম্নী রাবী হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেনঃ আমি আইশা (রা:)-কে বারকাতময় আল্লাহ্ তাআলার বাণী “তোমাদের মনে যা আছে তা প্রকাশ কর বা গোপন রাখ, আল্লাহ্ তাআলা তোমাদের নিকট হইতে তার হিসাব গ্রহণ করবেন” (সূরাঃ আল-বাকারা- ২৮৪) এবং “কেউ খারাপ কাজ করলে তার প্রতিদান সে পাবে” (সূরাঃ আন-নিসা- ১২৩) প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। আইশা (রা:) বলেনঃ আমি রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করার পর হইতে এ পর্যন্ত আর কেউ আমার নিকট এ প্রসঙ্গে জানতে চায়নি। রসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেনঃ এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ্ তাআলা জ্বর ও বিভিন্ন বালা মুসিবত দ্বারা বান্দাকে যে সাজা দেন এটা হল তাই। এমনকি যে সামান্য জিনিসপত্র সে তার জামার হাতার মধ্যে রাখে তা হারিয়ে গেলে সে যে অস্থির হয় তাও (তাতেও তার গুনাহ মাফ হয়)। অবশেষে লাল সোনা যেমন হাঁপড় হইতে "অগ্নিদগ্ধ হয়ে" নির্মল হয়ে বেরিয়ে আসে তেমনি বান্দাও তার গুনাহসমূহ হইতে (পরিচ্ছন্ন হয়ে) মুক্তা হয়ে যায়।

সনদ দুর্বল। আবু ঈসা বলেনঃ আইশা (রা:)-এর রিওয়ায়াত হিসেবে এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এটিকে হাম্মাদ ইবনি সালামার সূত্র ব্যতীত অন্য কোন সূত্রে জানি না।

 সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

হাদিস নাম্বার ২৯৯২

ইবনি আব্বাস (রা:) হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, যখন “তোমাদের মনে যা আছে তা প্রকাশ কর অথবা গোপন রাখ আল্লাহ তাআলা তোমাদের নিকট হইতে তার হিসাব গ্রহণ করবেন”- (সূরা বাক্বারাহ ২৮৪) এ আয়াত অবতীর্ণ হয়, তখন মানুষদের অন্তরে এরূপ একটা জিনিস (আশংকা ও খটকা) সৃষ্টি হয় যা অন্য কিছুতে সৃষ্টি হয়নি। তাই তারা নাবী (সাঃআঃ)-কে এ ব্যাপারে জানালেন। তিনি বললেনঃ তোমরা বল “আমরা শুনলাম ও অনুগত্য করলাম”। এতে আল্লাহ তাআালা তাহাদের অন্তরে ঈমান ঢেলে দিলেন। তারপর কল্যাণময় আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করেন : “রাসূল ঈমান এনেছে তার প্রতি তার প্রভুর পক্ষ হইতে যা অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুমিনগণও…..” - (সূরা আল –বাক্বারাহ ২৮৫)। “আল্লাহ তাআলা কারো উপর তার সাধ্যাতীত দায়িত্ব্ চাপান না। সে ভালো যা করে তা তারই এবং মন্দ যা করে তাও তারই। হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমরা ভুলে যাই বা অন্যায় করে ফেলি, তবে তুমি আমাদের (অপরাধীরূপে) পাকড়াও করো না” - (সূরা আল –বাক্বারাহ ২৮৬)। আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি তা করলাম। “হে আমাদের প্রভু! আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর যেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেছিলে, আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করো না”। আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি ক্ববূল করলাম। “হে আমাদের প্রভু! আমাদের উপর এমন ভার অর্পণ করো না, যা বহনের শক্তি আমাদের নেই। আমাদের গুনাহ মোচন কর, আমাদের ক্ষমা কর, আমাদের প্রতি দয়া কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক। কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের জয়যুক্ত কর”- (সূরা আল –বাক্বারাহঃ ২৮৬)। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ আমি ক্ববূল করলাম।

সহীহ : মুসলিম (১/৮১)।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি ইবনি আব্বাস (রা:) হইতে অন্য সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরাইরাহ্‌ (রা:) হইতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আদম ইবনি সুলাইমান প্রসঙ্গে কথিত আছে যে, তিনি ইয়াহইয়া ইবনি আদমের বাবা।

সূরা আল বাকারার তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

সূরা বাকারা শানে নুযুল 


এই সূরার ৬৭-৭১নং আয়াতে একটি গাভীর কথা উল্লেখ হয়েছে। এই জন্যই এই সূরাকে ‘সূরা বাক্বারাহ’ (গাভীর ঘটনা সংক্রান্ত সূরা) বলা হয়। হাদীসে এই সূরার বিশেষ ফযীলত এই বলা হয়েছে যে, যে ঘরে এই সূরা পড়া হয়, সে ঘর থেকে শয়তান পলায়ন করে। রসূল (সাঃ) বলেন, তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কবরে পরিণত করো না। কারণ যে ঘরে সূরা বাক্বারাহ পড়া হয়, সে ঘরে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না। (মুসলিম, পরিচ্ছেদঃ মুসাফিরদের নামায, অধ্যায়ঃ বাড়ীতে নফল নামায পড়া মুস্তাহাব)


নাযিল হওয়ার দিক দিয়ে এটি প্রথম পর্যায়ের মাদানী সূরাগুলির অন্তর্ভুক্ত। তবে এর কতকগুলি আয়াত (বিদায়ী হজ্জের) সময়ে নাযিল হয়েছে। কোন কোন আলেমদের নিকট এর মধ্যে রয়েছে এক হাজার বার্তা, এক হাজার বিধি-বিধান এবং এক হাজার বাধা-নিষেধ। (ইবনে কাসীর)

সূরা বাকারা pdf


                  
                       Surah_Al-Baqarah pdf


উক্ত লিংকটিতে ক্লিক করে পড়তে বা ডাউনলোড করতে পারবেন।



Tag: সূরা বাকারা mp3, সূরা বাকারা mp3 download, সূরা বাকারা বাংলা উচ্চারণ সহ অর্থ, সূরা বাকারা বাংলা উচ্চারণ সহ, সূরা বাকারা তাফসীর pdf, বাকারা সূরা, সূরা বাকারা শানে নুযুল, সূরা বাকারা, সূরা বাকারা অডিও ডাউনলোড, সূরা বাকারা বাংলা উচ্চারণ, সূরা বাকারা বাংলা, সূরা বাকারা তেলাওয়াত, সুরা বাকারা ডাউনলোড, সূরা বাকারা তাফসীর, সূরা আল বাকারা তেলাওয়াত, সূরা বাকারা অডিও, সূরা বাকারা pdf, সূরা আল বাকারা, সূরা বাকারা তেলাওয়াত mp3, surah baqarah last 2

Post a Comment

0Comments

প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

Post a Comment (0)