রবীন্দ্রনাথের প্রেমের কবিতা | ফুল বন্ধু ও নদী নিয়ে কবিতা | কাজলা দিদি কবিতা

Sadia
0

 

কাজলা দিদি কবিতা, ফুল নিয়ে কবিতা , লিচু চোর কবিতা , নদী নিয়ে কবিতা , রবীন্দ্রনাথের প্রেমের কবিতা, বন্ধু কবিতা


প্রিয় পাঠকবৃন্দ টাইম অফ বিডির পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা এবং সালাম আসসালামু আলাইকুম আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আপনারা হয়তো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের কবিতা খুঁজছেন কিন্তু অনেকেই হয়তো পাচ্ছেন না আর তাই আমরা আমাদের এই পোস্টটি তৈরি করেছি যে কবিতাগুলো নিয়ে তা হল কাজলা দিদি কবিতা, ফুল নিয়ে কবিতা , লিচু চোর কবিতা , নদী নিয়ে কবিতা , রবীন্দ্রনাথের প্রেমের কবিতা, বন্ধু কবিতা ।আশাকরি ধৈর্য সহকারে পুরো পোস্টটি পড়বেন । তাই চলুনন দেরী না করে পুরো পোস্টটি পড়ে আসা যাক আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে।



কাজলা দিদি কবিতা

কাজলা দিদি

____যতীন্দ্রমোহন বাগচী


বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,

মাগো আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?

পুকুর ধারে লেবুর তলে থোকায় থোকায়

জোনাক জ্বলে

ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না একলা জেগে রই-

মাগো আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?

সেদিন হতে কেন মা আর দিদিরে না ডাকো;-

দিদির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?

খাবার খেতে আসি যখন, দিদি বলে ডাকি তখন,

ওঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো?

আমি ডাকি তুমি কেন চুপটি করে থাকো?

বল মা দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?

কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল-বিয়ে হবে!

দিদির মত ফাঁকি দিয়ে, আমিও যদি লুকাই গিয়ে

তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে রবে,

আমিও নাই-দিদিও নাই- কেমন মজা হবে।

ভুঁই চাপাতে ভরে গেছে শিউলি গাছের তল,

মাড়াস্ নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল।

ডালিম গাছের ফাঁকে ফাঁকে বুলবুলিটি লুকিয়ে থাকে,

উড়িয়ে তুমি দিও না মা, ছিঁড়তে গিয়ে ফল,-

দিদি এসে শুনবে যখন, বলবি কি মা বল!

বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই-

এমন সময় মাগো আমার কাজলা দিদি কই?

লেবুর ধারে পুকুর পাড়ে ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে

ঝাড়ে’

ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, তাইতে জেগে রই

রাত্রি হলো মাগো আমার কাজলা দিদি কই?

 ফুল নিয়ে কবিতা

ফাগুন বৌ 

মালা সেন দে 



এক সকালে তুমি একরাশ ফুল হাতে দিয়ে বলেছিলে , 

আজ থেকে তুমি আমার বন্ধু হলে । 

সেদিন থেকেই আমাদের পথচলা শুরু , 

ফাগুনের হাওয়ায় ভেসে পৌঁছে গেছি চৈত্রের গাজনে । 

চৈত্রের দহনে পুড়িয়ে নিয়ে স্নান করেছি আষাঢ়ের ঝরা জলে , 

শরতের কাশবনে হারিয়ে যেতেই হৈমন্তীর সাড়া পেয়েছি । 

ফাগের রঙ মেখে লাল মাটির পথে দুজনে হেঁটে গেছি , 

পুরোনো পাতায় ছাওয়া চালাটায় বসে বাউলের সুরে মেতেছি। 

চলার পথটা হঠাৎ কোথায় হারিয়ে গেলো এক নিমেষে , 

একটা সময় দুজনকে করলো যোজন যোজন দূর । 

আমরা তো ভেবেছিলাম ভালোবাসা হবে সুখের বাহক, 

 আজ এসে দেখি শুধুই একবুক যন্ত্রণার ধারক । 


চোখের পাতা আজও তুমি ময় , হাত বাড়াও বন্ধু , 

সমর্পণের ইচ্ছেগুলো দিতে চাই বন্ধু দাঁড়াও । 

এই মন স্বপ্ন সাজিয়ে তোমায় ছুঁতে চায় , 

ভিখারি মন খোঁজে আজও ভালবাসায় । 

আলোকবর্ষ দূরের পথ কেনো আশা জাগায় , 

ফিরে এসো ফাগুন বৌ , ভালবাসা শুধুই তোমাকে জড়ায় ॥

 লিচু চোর কবিতা 

-------লিচু চোর------


বাবুদের তাল-পুকুরে  

হাবুদের ডাল-কুকুরে  

সে কি বাস করলে তাড়া,  

বলি থাম একটু দাড়া।  

  

 পুকুরের ঐ কাছে না  

লিচুর এক গাছ আছে না  

হোথা না আস্তে গিয়ে  

য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে  

গাছে গো যেই চড়েছি  

ছোট এক ডাল ধরেছি,  

  

 ও বাবা মড়াত করে  

পড়েছি সরাত জোরে।  

পড়বি পড় মালীর ঘাড়েই,  

সে ছিল গাছের আড়েই।  

ব্যাটা ভাই বড় নচ্ছার,  

ধুমাধুম গোটা দুচ্চার  

দিলে খুব কিল ও ঘুষি  

একদম জোরসে ঠুসি।  

  

 আমিও বাগিয়ে থাপড়  

দে হাওয়া চাপিয়ে কাপড়  

লাফিয়ে ডিঙনু দেয়াল,  

দেখি এক ভিটরে শেয়াল!  

ও বাবা শেয়াল কোথা  

ভেলোটা দাড়িয়ে হোথা  

দেখে যেই আঁতকে ওঠা  

কুকুরও জাড়লে ছোটা!  

আমি কই কম্ম কাবার  

কুকুরেই করবে সাবাড়!  

  

 ‘বাবা গো মা গো’ বলে  

পাঁচিলের ফোঁকল গলে  

ঢুকি গিয়ে বোসদের ঘরে,  

যেন প্রাণ আসলো ধড়ে!  

  

 যাব ফের? কান মলি ভাই,  

চুরিতে আর যদি যাই!  

তবে মোর নামই মিছা!  

কুকুরের চামড়া খিঁচা  

সেকি ভাই যায় রে ভুলা-  

মালীর ঐ পিটুনিগুলা!  

কি বলিস ফের হপ্তা!  

তৌবা-নাক খপ্তা…!

নদী নিয়ে কবিতা

নদী

-----


তুমি প্রকৃতির অপরুপ সৃষ্টি

তুমি কুল কুল রবে বয়ে যাও অবিরত 

নেই কোনো বাধা নেই কোনো সীমানা 

তুমি খরস্রোতা তুমি স্রোতস্বিনী

তুমি জলধারা তুমি ঝর্ণাধারা

তুমি তৃষ্ণা মেটাও তৃষিতের

তোমার রয়েছে শাখা প্রশাখা

তেমার রয়েছে জোয়ার ভাটা!

আকাশের সাথে, মেঘের সাথে, 

সূর্যের সাথে মিতালী তোমার

তোমার বুকে নানা রঙের খেলা চলে

রাত দিনের প্রভাব পড়ে

উদাসী মন হালকা হয় তোমার পাড়ে বসে

দুঃখ বেদনা ভুলিয়ে কাছে টেনে নাও

পরম মমতায়।

তোমার বিশালতায় অভিভূত হয়ে 

প্রকৃতি হয় রুপ বৈচিত্র্য পূর্ণ 

তোমায় ঘিরে কত স্বপ্ন! কত আকাঙ্খা!

নিয়ে আসো তুমি সাফল্যের বারতা

তোমায় নিয়ে রচিত হয় কবিতা,গাঁথা,পালা!

 রবীন্দ্রনাথের প্রেমের কবিতা 

প্রেমবিলাস 

______________________________

প্রকৃতিকে আমার বই মনে করে

বিড়াল ছানার মত

মায়ের কাছে বসে 

এখনো অ আ শিখি

যদিও আমি এত কাব্যিক বুঝি না 

প্রেম বুঝি 

যে প্রেম মানুষকে পূর্ণ করে

আবার শূন্যও করে

তাই বলে কি মানুষ

প্রেমের কথা ভুলে গেছে?

প্রেম হল বুকের ভিতর

বৃন্দাবন প্রতিষ্ঠা করা 

হৃদয়ের জলাশয়ে 

বসে পাখি মেলা

প্রজাপতির ওড়াউড়ি

যে জীবনে অনেক জীবন

যখন আমি স্কুলে পড়ি

এক রূপবতীকে

আয়নায় দেখেছিলাম

তখন কিন্তু সময় নয় 

যখন আমি কলেজে গেলাম

আমার পাশের বেঞ্চে 

আরেক চাঁদকন্যার দেখা পেলাম 

সেদিনও কী মনে করে

দুরে সরে গেলাম

আসলে সৌভাগ্য 

সবার দুয়ারে এসে অপেক্ষা করে

কিন্তু উপযাচক হয়ে আসে না

তাকে ডেকে আনতে হয়

যা সবচেয়ে সহজ 

আবার সবচেয়ে কঠিন 

যা বেশী সুখ দেয়

অথচ আশ্চর্য রকমের 

নির্বুদ্ধিতায় ভোগায়

মারার জন্যও যথেষ্ট

যদি পাদটীকা দিয়ে বলতে হয় 

এতকথা ভেবে প্রেম হয় না

বরং ভালোবাসা দেয় 

নতুন একজোড়া চোখ

ভালোলাগার হাতপাখা

অতল জলের আহবান 

যত বেশী ডুবে যায় ততই ইশ্বর 

অবাধ সাঁতার  

যদি বলি এ জীবনে 

কখনো না কখনো

কোনো না কোনোভাবে 

সবাই প্রেমে পড়েছি

কিছু পাগলামিও নিশ্চয়ই করেছি

হয়তো সঠিকভাবে 

অনুভূতি প্রকাশ করতে পারিনি বলে

দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া মনটাকে

মেরামত করতে কতটা

কাঠখড় পুড়াতে হয়েছে 

তার কতটুকুই জেনেছ তুমি?

আজ আর না জানলেও চলবে 

এসব পড়ার বইয়ের বাইরে পড়া

কর্ম যে শুধু প্রেম কর্ম তাতো নয়

রবীন্দ্রনাথের দু'চার লাইন 

প্রেমের কবিতা মুখস্থ করে

প্রেমিকার হৃদয়ে 

প্রবেশের ছাড়পত্র মিলবে

এখন আর সেদিন নেই

কঠিন কাজের মত 

আরেক কঠিন কাজ 

এই প্রেমবিলাস 

যদিও মন কাঁদে 

ভালোবাসা পাওয়ার লোভে

আসলে যা অবশ্যম্ভাবী

তা তো ঘটবেই

মনের শব্দগুলো 

কোনো নিয়ম মানে না 

শুধু নিয়ম ভাঙ্গে 

তোমার চোখের উষ্ণতায়

চোখ জোড়া সমুদ্র অ্যাকুরিয়াম 

সুতো ছাড়া বড়শীতে মাছ ধরি 

তবে এ যুগের প্রেম

কৌতুহল থাকবে বেশী

কিন্ত কৌতুহল মিটবে কম

কখন যে কোথায় থেমে যায় 

হারিয়ে যায় 

হৃৎপিণ্ডের যে আকাঙ্ক্ষা 

আর সন্তুষ্টির ভুনাখিচুড়ি

তবু শব্দের বৈচিত্র্য খুঁজি

শূণ্য থেকে শুরু করি 

হৃদয়ে নৈবেদ্য সাজাই 

কৃষ্ণচূড়া ও রাধাচূড়া ফুল 

অদ্ভুত এক ভাব জাগায়

ভালোলাগার ও ভালোবাসার 

সেবনের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ 

চোখভর্তি কত স্বপ্নঘোর 

এক নীলপরি বৃক্ষচারী

তার মনের কথা শুনি

কথা শোনা সুপারপাওয়ারের মত

একদিন সে বাউল হবেই। 


সুভাষ চৌধুরী

বন্ধু কবিতা 

- আসবো বন্ধু 

মাত্রাবৃত্ত-6+6+6+2

কলমে - মঞ্জুলা বর


হৃদয় বাগানে আসবো বন্ধু

কেবল ভোমর সাজে

 আদর সোহাগে ভরবো সিন্ধু

 মধুর সুরটি বাজে।


হৃদয় বাগানে আসবো যখন

সদাই মাতাল হয়ে 

মধুর সুবাসে বসবো তখন

 মনের খুশিতে রয়ে।


সদাই থাকবো প্রেমের পরশে

 হৃদয় পাঁজর খুলে

 জড়িয়ে ধরবো মনের হরষে

 বক্ষে কেবল তুলে।


হিয়ার মাঝারে করবো যতন

 হীরের চেয়েও দামি

মনের ঘরেতে সুখের রতন 

জায়গা করবো আমি।


  মিষ্টি হাসিতে কাঁপন লাগবে

  প্রেমের সুবাসে ভাসবো

 মধুর সুরেতে আবেগ জাগবে

 কেবল খুশিতে হাসবো।।

Tag:কাজলা দিদি কবিতা, ফুল নিয়ে কবিতা , লিচু চোর কবিতা , নদী নিয়ে কবিতা , রবীন্দ্রনাথের প্রেমের কবিতা, বন্ধু কবিতা 

Post a Comment

0Comments

প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

Post a Comment (0)