উপনিষদের ভালোবাসা কষ্টের প্রেমের অমর স্মরণীয় বাণী 2024

 

উপনিষদের বাণী ভালোবাসার বাণী কষ্টের বাণী প্রেমের বাণী অমর বাণী স্মরণীয় বাণী


প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনাদের সবাইকে টাইম অফ বিডির পক্ষ থেকে জানাই সালাম ও শুভেচ্ছা আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন । আমিও আল্লার রহমতে অনেক ভাল আছি।আপনারা অনেকে বিভিন্ন বাণী সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন যে বাণীগুলো সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন সেই বাণী গুলো নিয়েই আমরা আজকের পোস্টটি হাজির হয়েছি আশা করি পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। যে যে বাণীগুলো এখানে আলোচনা করা হয়েছে তা হলো উপনিষদের বাণী ভালোবাসার বাণী কষ্টের বাণী প্রেমের বাণী অমর বাণী স্মরণীয় বাণী 


উপনিষদের বাণী

আমাদের অনেক হিন্দু ভাই-বোন আছে যারা উপনিষদের বাণী সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাই তাদের জন্য আমরা উপনিষদের বাণী নিয়ে একটি পোস্ট হাজির করেছে আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

ভগবদগীতা (ভগবানের গান) বা শ্রীমদ্ভগবদগীতা বা গীতা একটি ৭০০-শ্লোকের হিন্দু ধর্মগ্রন্থ। এটি প্রাচীন সংস্কৃত মহাকাব্য মহাভারত-এর একটি অংশ। যদিও গীতা একটি স্বতন্ত্র ধর্মগ্রন্থ তথা একটি পৃথক উপনিষদের মর্যাদা পেয়ে থাকে। হিন্দুরা গীতা-কে ভগবানের মুখনিঃসৃত বাণী মনে করেন। হিন্দুধর্ম, দর্শন ও সাহিত্যের ইতিহাসে গীতা এক বিশেষ স্থানের অধিকারী।


গীতা-র বিষয়বস্তু কৃষ্ণ ও পাণ্ডব রাজকুমার অর্জুনের কথােপকথন। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরু ঠিক আগে শত্রুপক্ষে আত্মীয়, বন্ধু ও গুরুকে দেখে অর্জুন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিলেন। এই সময় কৃষ্ণ তাঁকে ক্ষত্রিয় যােদ্ধার ধর্ম স্মরণ করিয়ে দিয়ে এবং বিভিন্ন প্রকার যােগশাস্ত্র ও বৈদান্তিক দর্শন ব্যাখ্যা করে তাঁকে যুদ্ধে যেতে উৎসাহিত করেন। তাই গীতা-কে বলা হয় হিন্দু ধর্মতত্ত্বের একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ এবং হিন্দুদের জীবনচর্যার একটি ব্যবহারিক পথনির্দেশিকা। 1.


যােগশাস্ত্র ব্যাখ্যার সময় কৃষ্ণ নিজের "স্বয়ং ভগবান" রূপটি


উন্মােচিত করেন এবং বিশ্বরূপে অর্জুনকে দর্শন দিয়ে আশীর্বাদ করেন। অর্জুন ছাড়া প্রত্যক্ষভাবে কৃষ্ণের মুখ থেকে গীতা শুনেছিলেন সঞ্জয় (তিনি যুদ্ধের ঘটনা ধৃতরাষ্ট্রের কাছে বর্ণনা করার জন্য বেদব্যাসের কাছ থেকে দিব্য দৃষ্টি


লাভ করেছিলেন), হনুমান (তিনি অর্জুনের রথের চূড়ায় বসে ছিলেন) ও ঘটোৎকচের পুত্র বর্বরিক যিনি কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সব ঘটনা দেখেছিলেন)।

 ভালোবাসার বাণী

ভালোবাসা ছাড়া কোনো মানুষ বাঁচতে পারে না প্রত্যেক মানুষের জীবনে ভালোবাসা আছে। আপনাদের অনেকেরই ভালোবাসা সম্পর্কে বাণী গুলো জানতে চেয়েছেন সেগুলো নিয়েই আমাদের এই পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে আশা করি পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

দুটি শব্দ দিয়ে ঘটিত একটি বাক্য। বাক্য অতি ক্ষুদ্র , কিন্তু তার অর্থ অনেক বিস্তৃত। পৃথিবীতে যত সৃষ্টি আছে, সবার মাঝেই প্রেম বিদ্যমান আছে। কারো মাঝে কম, কারো মাঝে বেশী। প্রেম আছে বলেই জগতটা আজ এতো প্রেমময়। প্রেমের জন্য মানুষের কতো সুন্দর সৃষ্টি (তাজমহল) উপমা স্বরূপ পড়ে রয়েছে আমাদের সামনে। প্রেম নেই এমন সৃষ্টি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।


জেনে নিন প্রেম নিয়ে কিছু বিখ্যাত ব্যাক্তিদের বিখ্যাত কিছু উক্তি।


(১) ছেলেরা ভালোবাসার অভিনয় করতে করতে যে কখন সত্যি সত্যি ভালোবেসে ফেলে তারা তা নিজেও জানেনা ... মেয়েরা সত্যিকার ভালোবাসতে বাসতে যে কখন অভিনয় শুরু করে তারা তা নিজেও জানেনা - সমরেশ মজুমদার । 


(২) বিশ্বাস করুন,আমি কবি হতে আসিনি,আমি নেতা হতে আসি নি-আমি প্রেম দিতে এসেছিলাম,প্রেম পেতে এসেছিলাম-সে প্রেম পেলামনা বলে আমি এই প্রেমহীন নীরস পৃথিবী থেকে নীরব অভিমানে চির দিনের জন্য বিদায় নিলাম- কাজী নজরুল ইসলাম।


(৩) প্রেম হয় শুধু দেখা ও চোখের ভাল লাগা থেকে, রাগ থেকে প্রেম হয়, ঘৃণা থেকে প্রেম হয়, প্রেম হয় অপমান থেকে, এমনকি প্রেম হয় লজ্জা থেকেও। প্রেম আসলে লুকিয়ে আছে মানবসম্প্রদায়ের প্রতিটি ক্রোমসমে। একটু সুযোগ পেলেই সে জেগে উঠে-হুমায়ূন আহমেদ। 


(৪) প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। 


(৫) এই পৃথিবীতে প্রিয় মানুষগুলোকে ছাড়া বেঁচে থাকাটা কষ্টকর কিন্তু অসম্ভব কিছু নয়। কারো জন্য কারো জীবন থেমে থাকে না, জীবন তার মতই প্রবাহিত হবে-হুমায়ূন আহমেদ। 


(৭) প্রেম মানুষকে শান্তি দেয় কিন্তু স্বস্তি দেয় না-বায়রন।


(৮) কাউকে প্রচন্ডভাবে ভালবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। এই ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়- হুমায়ূন আহমেদ।


(৯) প্রেমে পড়লে বোকা বুদ্ধিমান হয়ে উঠে, বুদ্ধিমান বোকা হয়ে যায়-স্কুট হাসসুন।


(১০) মেয়েদের তৃতীয় নয়ন থাকে। এই নয়নে সে প্রেমে পড়া বিষয়টি চট করে বুঝে ফেলে- হুমায়ূন আহমেদ।


(১১) প্রেমের মধ্যে ভয় না থাকিলে রস নিবিড় হয় না-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।


(১২) ছেলে এবং মেয়ে বন্ধু হতে পারে, কিন্তু তারা অবশ্যই একে অপরের প্রেমে পড়বে। হয়ত খুবই অল্প সময়ের জন্য, অথবা ভুল সময়ে। কিংবা খুবই দেরিতে, আর না হয় সব সময়ের জন্য। তবে প্রেমে তারা পড়বেই- হুমায়ূন আহমেদ।


(১৩) বিচ্ছেদের দুঃখে প্রেমের বেগ বাড়িয়া উঠে-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।


(১৪) যে ভালোবাসা না চাইতে পাওয়া যায়, তার প্রতি কোনো মোহ থাকে না- হুমায়ূন আহমেদ।


(১৫) নারীর প্রেমে মিলিনের গান বাজে, পুরুষের প্রেমে বিচ্ছেদের বেদনা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

 কষ্টের বাণী 

সবার জীবনে যেমন ভালোবাসা আছে তেমনি কষ্ট আছে ভালোবাসায় এবং কষ্ট একে অপরের সাথে জড়িত। কিছু কষ্টের বাণী নিয়ে আমরা এই পোস্টটি তৈরি করেছি আশা করি আপনারা পোস্টটি ধৈর্য্য সহকারে পড়বেন।

হতাশ হবেন না। আল্লাহ তো সবই জানেন।তিনি আপনার সম্পর্কে বেখবর নন।আপনার দুঃখ-কষ্টের কথা আর কেউ না জানলেও আল্লাহ ঠিকই জানেন।মাঝেমাঝে আপনি এতোটাই হতাশায় ভোগেন যে,আপনার বাঁচতে ইচ্ছে করে না।আপনার জন্য রইলো কুরআন থেকে কিছু হতাশা থেকে মুক্তির বাণী।


একের পর এক বিপদের কারণে যখন আপনি দিশেহারা হয়ে পড়েন তখন কুরআনের এই আয়াতটির দিকে খেয়াল করুন।আল্লাহ বলেন,

আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন (সূরা বাক্বারাহ:১৫৩)।


কোনো কিছু আল্লাহর কাছে খুব চেয়েছিলেন কিন্তু আল্লাহ সেটা আপনাকে না দেওয়ার কারণে আপনি হতাশায় ভোগেন তখন কুরআনের এই আয়াতটির দিকে খেয়াল করুন।আল্লাহ বলেন,

হতে পারে কোনো জিনিস তোমাদের কাছে অপ্রীতিকর অথচ তা তোমাদের জন্য ভালো। আবার হতে পারে কোনো জিনিস তোমরা পছন্দ করো অথচ তা তোমাদের জন্য খারাপ। আল্লাহ‌ জানেন, তোমরা জানো না (সূরা বাক্বারাহ:২১৬)।


গুনাহ করার কারণে যখন আপনি হতাশ হয়ে পড়েন তখন কুরআনের এই আয়াতটির দিকে খেয়াল করুন।আল্লাহ বলেন,

আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং যারা পবিত্র থাকে তাদেরও ভালোবাসেন(সূরা বাক্বারাহ:২২২)।


কোনো বিষয়ে কি করবেন,কি করা উচিত এই নিয়ে যখন আপনি দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন তখন কুরআনের এই আয়াতটির দিকে খেয়াল করুন।আল্লাহ বলেন,

সবর করো যতক্ষণ না ফায়সালা করেন আল্লাহ।বস্তুত,তিনি হচ্ছেন সর্বোত্তম ফায়সালাকারী(সূরা ইউনুস:১০৯)।


যখন আপনি আপনার রিযিক নিয়ে পেরেশানিতে ভোগেন তখন কুরআনের এই আয়াতটির দিকে খেয়াল করুন।আল্লাহ বলেন,

আল্লাহ যাকে ইচ্ছা রিযিক সম্প্রসারিত করেন এবং যাকে চান মাপাজোকা রিযিক দান করেন। এরা দুনিয়ার জীবনে উল্লাসিত, অথচ দুনিয়ার জীবন আখেরাতের তুলনায় সামান্য সামগ্রী ছাড়া আর কিছুই নয় (সূরা রাদ:২৬)।


যখন আপনি জালেমদের জুলুমের শিকার হওয়ার ভয় করেন তখন কুরআনের এই আয়াতটির দিকে খেয়াল করুন।আল্লাহ বলেন,

ভয় করো না।আমি তোমাদের সাথে আছি,সবকিছু শুনছি ও দেখছি (সূরা বাক্বারাহ:৪৬)।


যখন দ্বীনপ্রচারের কারণে জালেমদের রোষানলে পড়েন তখন কুরআনের এই আয়াতটির দিকে খেয়াল করুন।আল্লাহ বলেন,

মুমিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব(সূরা রূম:৪৭)।


যখন আপনি খুব হতাশ হয়ে পড়েন, জীবনটা আপনার কাছে খুব কঠিন মনে হয় তখন কুরআনের এই আয়াতটির দিকে খেয়াল করুন।আল্লাহ বলেন,

আমাকে ডাকো।আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো (সূরা মুমিন:৬০)।


প্রেমের বাণী 

আপনারা অনেকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমের বাণী সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন আর তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমরা এখানে কিছু প্রেমের বাণী নিয়ে চলে এসেছি আশা করে এগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।

১. ছেলেদের জন্য পৃথিবীতে সব চাইতে মূল্যবান হল মেয়েদের হাসি- হুমায়ূন আহমেদ।

২.প্রেমের ক্ষেত্রে জয়ী হয়ে কেউ শিল্পী হতে পারে না, বড় জোর বিয়ে করতে পারে-ওয়াশিংটন অলসটন।

৩.ভালবাসা কারো জন্য দীর্ঘ প্রক্রিয়া আবার কারো জন্য স্বল্প। কিন্তু কষ্ট দুটোতেই সমান- হুমায়ূন আহমেদ।

৪.একই ব্যাক্তির সাথে বহুবার প্রেমে পড়াই হল সার্থক প্রেমের নির্দশন-ব্রাটন।

৫. যে ভালবাসা যত গোপন, সেই ভালবাসা তত গভীর- হুমায়ূন আহমেদ।

৬.দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম প্রেম বলে কিছু নেই। মানুষ যখন প্রেমে পড়ে, তখন প্রতিটি প্রেমই প্রথম প্রেম- হুমায়ূন আজাদ।

৭. ভালোবাসার জন্য যার পতন হয় সে বিধাতার কাছে আকাশের তারার মত উজ্জ্বল- জনসন।

৮. প্রেম হল সিগারেটের মতো, যার আরম্ভ হল অগ্নি দিয়ে, আর শেষ পরিণতি ছাই দিয়ে-জর্জ বার্নার্ড শ।

৯.ধোয়া, টাকা আর প্রেম কিছুতেই চেপে রাখা যায় না ঠিক ফুটে বেরুবেই-শংকর।

১০. ভালোবাসা পাওয়ার চাইতে ভালোবাসা দেওয়াতেই বেশি আনন্দ- জর্জ চ্যাপম্যান।

১১.প্রেম হচ্ছে স্বার্থ সিদ্ধির চরম অভিব্যক্তি- হল.রুক.জ্যাকসন।

১২প্রেম নারীর লজ্জাশীলতাকে গ্রাস করে, পুরুষের বাড়ায়-জ্যা পল বিশার।

১৩. যে ভালোবাসা পেলো না, যে কাউকে ভালোবাসতে পারলো না সংসারে তার মতো হতভাগা কেউ নেই- কীটস্।

১৪. ভালোবাসা হচ্ছে একধরনের মায়া যেখানে পুরুষ এক নারীকে অন্য নারী থেকে আলাদা করে দেখে আর নারী এক পুরুষকে অন্য পুরুষ থেকে আলাদা করে দেখে- লুইস ম্যাকেন।

১৫. ভালোবাসা হচ্ছে একটা আদর্শ ব্যাপার আর বিয়ে হচ্ছে বাস্তব। আদর্শ ও বাস্তবতার দ্বন্দ্ব তাই কখনোনিষ্পত্তি হবে না- গ্যেটে।


অমর বাণী 

বাংলার সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যিনি আমাদের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছেন যার জন্য আমরা পেয়েছি মহান স্বাধীনতা সেই নেতারা কিছু অমর বাণী নিচে দেয়া হল আশা করি এগুলো আপনাদের কাজে লাগবে।

গণতন্ত্র, বিরোধী দল, বাক্ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রশ্নে


দেশে কোর্ট-কাচারি আছে, আছে প্রচলিত আইন এবং কাউকে শাস্তি দিতে হলে যথাযোগ্য বিচারের মাধ্যমে সেটা দিতে হবে। আমরা জানি যে বিগত সাত বছর এই পবিত্র সংসদের অনেক সদস্যকে বিনা বিচারে জেলে নেওয়া হয়েছে। একজন মাননীয় সদস্য পূর্ববঙ্গে গিয়েছিলেন, তাঁকে পাকিস্তানের স্বার্থে জননিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়।


—২১ জানুয়ারি ১৯৫৬


পাকিস্তান গণপরিষদের করাচি অধিবেশনে ইসলামিক রাষ্ট্রের সব নাগরিকের সম-অধিকার বিষয়ে আলোচনায়


আমাদের টেলিফোন টেপ করা হয় এবং চিঠিগুলো পুনরায় সেন্সর করা হয়। আপনারা বলে থাকেন যে বাক্স্বাধীনতা মানেই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। আপনি কি জানেন যে পূর্ববঙ্গে সম্পাদকদের ডেকে বলা হয় আপনারা এটা ছাপাতে পারবেন না; আপনারা ওটা ছাপতে পারবেন না। স্যার, তাঁরা সত্য কথা পর্যন্ত লিখতে পারেন না এবং আমি সেটা প্রমাণ করে দিতে পারি। পূর্ব বাংলা সরকার লিখুক আর একজন কেরানি লিখুক, সেটা বড় কথা নয়। নির্দেশটা যায় সচিবালয় থেকে যে আপনি বিষয়গুলো সম্পর্কে লিখতে পারবেন না। সরকারের তরফ থেকে একজন ইন্সপেক্টর গিয়ে নির্দেশনা দেন যে আপনি একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে লিখতে পারবেন না।


—৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬


পাকিস্তান গণপরিষদের করাচি অধিবেশনে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও বাক্স্বাধীনতা বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে


অসাম্প্রদায়িকতা


শাসনতন্ত্রে লিখে দিয়েছি যে কোনো দিন আর শোষকেরা বাংলার মানুষকে শোষণ করতে পারবে না ইনশা আল্লাহ। দ্বিতীয় কথা, আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। জনগণের ভোটে জনগণের প্রতিনিধিরা দেশ চালাবে, এর মধ্যে কারও কোনো হাত থাকা উচিত নয়। তৃতীয়, আমি বাঙালি। বাঙালি জাতি হিসেবে বাঁচতে চাই সম্মানের সঙ্গে। চতুর্থ, আমার রাষ্ট্র হবে ধর্মনিরপেক্ষ। মানে ধর্মহীনতা নয়। মুসলমান তার ধর্ম-কর্ম পালন করবে, হিন্দু তার ধর্ম-কর্ম পালন করবে, বুদ্ধিস্ট তার ধর্ম-কর্ম পালন করবে। কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না। তবে একটা কথা হলো, এই ধর্মের নামে আর ব্যবসা করা যাবে না।


—২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩


সিরাজগঞ্জে দেওয়া এক জনসভার ভাষণ


বৈষম্যের বিরোধিতা, স্বাধীনতার সংগ্রাম


কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে তোমরা ৮৫ জন, আমরা ১৫ জন। সামরিক বিভাগে তোমরা ৯০ জন, আমাদের দিয়েছ ১০ জন। বৈদেশিক সাহায্যের তোমরা খরচ করেছ ৮০ ভাগ, আমাদের দিয়েছ ২০ ভাগ। মহাপ্রলয়ে দক্ষিণ বাংলার ১০ লাখ লোক মারা গেল। লাখ লাখ লোক অসহায় অবস্থায় রইল। রিলিফ কাজের জন্য বিদেশ থেকে হেলিকপ্টার এসে কাজ করে গেল—অথচ ঢাকায় একখানা মাত্র সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার ছাড়া পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আর কোনো হেলিকপ্টার আসলো না। আমরা এসব বেইনসাফির অবসান করব।


—৩ জানুয়ারি ১৯৭১


রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নবনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সদস্যদের জনগণের সামনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান


কারও ওপর আমাদের কোনো আক্রোশ নাই। আমরা স্বাধিকার চাই। আমরা চাই আমাদের মতোই পাঞ্জাবি, সিন্ধি, বেলুচ, পাঠানরা নিজ নিজ অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকুক। কিন্তু তার মানে এই না যে সাত কোটি বাঙালি কারও গোলাম হয়ে থাকবে। ভ্রাতৃত্বের অর্থ দাসত্ব নয়—সম্প্রীতির, সংহতির নামে বাংলাকে আর কলোনি বা বাজার হিসাবে ব্যবহার করতে হবে না।


—২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১


শহীদ মিনার থেকে মশাল মিছিল শুরুর আগে


মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশা আল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।


—সাতই মার্চ ১৯৭১


স্মরণীয় বাণী 

জীবন একটি সুযােগ, একে কাজে লাগান।


বিন সুন্দর, একে ভালােবাসুন।


জীবন একটি স্বপ্ন, একে বাস্তবে রূপান্তর করুন। জীবন একটি চ্যালেঞ্জ, একে গ্রহণ করুন।


জীবন একটি খেলা, এতে নৈগূণ্য প্রদর্শন করুন।


জীবন একটি প্রতিশ্রুতি, একে পূরণ করুন। জীবন একটি ভাগ্য, একে তৈরি করুন।


জীবন দুঃখময়, অতিক্রম করুন।


জীবন একটি গান, এতে সুর দিন।


জীবন একটি সংগ্রাম, এতে বঁপিয়ে পড়ন। জীবন একটি ট্র্যাজেডি, এর মুখােমুখি হােন।


জীবন একটি দুঃসাহসিক অভিযান, সাহস করে ভ্রমণ করুন।


জীবন খুবই মূল্যবান, একে ধ্বংস করবেন না।


জীবন জীবনই, এর জন্য অবিরত যুদ্ধ করুন।


Tag:উপনিষদের বাণী ভালোবাসার বাণী কষ্টের বাণী প্রেমের বাণী অমর বাণী স্মরণীয় বাণী