রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রেষ্ট কবিতা | Rabindranath best poem

Educational help
0

 

বিদ্রোহী কবিতা, কবর কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রেষ্ট কবিতা, প্রতিনিধি কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিনিধি কবিতা, পূজারিণী কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূজারিণী কবিতা, বন্দী বীর কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বন্দী বীর কবিতা, দুই বিঘা জমি কবিতা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুই বিঘা জমি কবিতা, প্রতিশোধ কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিশোধ কবিতা,

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা 

    টাইম অফ বিডি এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি বারকাতুহু । প্রিয় পাঠকবৃন্দ কেমন আছেন আপনারা সবাই ? আশা করছি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আমিও ভাল আছি। আজকে আমরা আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রেষ্ট কবিতাবিদ্রোহী কবিতারবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতাকবর কবিতা । আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

    প্রতিনিধি কবিতা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিনিধি কবিতা


    বসিয়া প্রভাতকালে           সেতারার দুর্গভালে 
    শিবাজি হেরিলা এক দিন-- 
    রামদাস গুরু তাঁর           ভিক্ষা মাগি দ্বার দ্বার 
    ফিরিছেন যেন অন্নহীন। 
    ভাবিলা, এ কী এ কাণ্ড          গুরুজির ভিক্ষাভাণ্ড-- 
    ঘরে যাঁর নাই দৈন্যলেশ! 
    সব যাঁর হস্তগত,           রাজ্যেশ্বর পদানত, 
    তাঁরো নাই বাসনার শেষ! 
    এ কেবল দিনে রাত্রে           জল ঢেলে ফুটা পাত্রে 
    বৃথা চেষ্টা তৃষ্ণা মিটাবারে। 
    কহিলা, "দেখিতে হবে          কতখানি দিলে তবে 
    ভিক্ষাঝুলি ভরে একেবারে।' 
    তখনি লেখনী আনি           কী লিখি দিলা কী জানি, 
    বালাজিরে কহিলা ডাকায়ে, 
    "গুরু যবে ভিক্ষা-আশে           আসিবেন দুর্গ-পাশে 
    এই লিপি দিয়ো তাঁর পায়ে।' 
    গুরু চলেছেন গেয়ে,           সম্মুখে চলেছে ধেয়ে 
    কত পান্থ কত অশ্বরথ!-- 
    "হে ভবেশ, হে শংকর,           সবারে দিয়েছ ঘর, 
    আমারে দিয়েছ শুধু পথ। 
    অন্নপূর্ণা মা আমার           লয়েছে বিশ্বের ভার, 
    সুখে আছে সর্ব চরাচর-- 
    মোরে তুমি, হে ভিখারি,           মার কাছ হতে কাড়ি 
    করেছ আপন অনুচর।' 
    সমাপন করি গান           সারিয়া মধ্যাহ্নস্নান 
    দুর্গদ্বারে আসিয়া যখন-- 
    বালাজি নমিয়া তাঁরে           দাঁড়াইল এক ধারে 
    পদমূলে রাখিয়া লিখন। 
    গুরু কৌতূহলভরে           তুলিয়া লইলা করে, 
    পড়িয়া দেখিলা পত্রখানি-- 
    বন্দি তাঁর পাদপদ্ম           শিবাজি সঁপিছে অদ্য 
    তাঁরে নিজরাজ্য-রাজধানী। 

    পরদিনে রামদাস           গেলেন রাজার পাশ, 
    কহিলেন, "পুত্র, কহো শুনি, 
    রাজ্য যদি মোরে দেবে            কী কাজে লাগিবে এবে-- 
    কোন্‌ গুণ আছে তব গুণী?' 
    "তোমারি দাসত্বে প্রাণ           আনন্দে করিব দান' 
    শিবাজি কহিলা নমি তাঁরে। 
    গুরু কহে, "এই ঝুলি           লহ তবে স্কন্ধে তুলি, 
    চলো আজি ভিক্ষা করিবারে।' 
    শিবাজি গুরুর সাথে            ভিক্ষাপাত্র লয়ে হাতে 
    ফিরিলে পুরদ্বারে-দ্বারে। 
    নৃপে হেরি ছেলেমেয়ে           ভয়ে ঘরে যায় ধেয়ে, 
    ডেকে আনে পিতারে মাতারে। 
    অতুল ঐশ্বর্যে রত,           তাঁর ভিখারির ব্রত! 
    এ যে দেখি জলে ভাসে শিলা! 
    ভিক্ষা দেয় লজ্জাভরে,           হস্ত কাঁপে থরেথরে, 
    ভাবে ইহা মহতের লীলা। 
    দুর্গে দ্বিপ্র�

    পূজারিণী কবিতা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূজারিণী কবিতা


    অবদানশতক
           নৃপতি বিম্বিসার
    নমিয়া বুদ্ধে মাগিয়া লইলা
           পাদনখকণা তাঁর।
    স্থাপিয়া নিভৃত প্রাসাদকাননে
    তাহারি উপরে রচিলা যতনে
    অতি অপরূপ শিলাময় স্তূপ
           শিল্পশোভার সার।

    সন্ধ্যাবেলায় শুচিবাস পরি
          রাজবধূ রাজবালা
    আসিতেন ফুল সাজায়ে ডালায়,
    স্তূপপদমূলে সোনার থালায়
    আপনার হাতে দিতেন জ্বালায়ে
          কনকপ্রদীপমালা।

    অজাতশত্রু রাজা হল যবে,
           পিতার আসনে আসি
    পিতার ধর্ম শোণিতের স্রোতে
    মুছিয়া ফেলিল রাজপুরী হতে--
    সঁপিল যজ্ঞ-অনল-আলোতে
          বৌদ্ধশাস্ত্ররাশি।

    কহিল ডাকিয়া অজাতশত্রু
          রাজপুরনারী সবে,
    "বেদ ব্রাহ্মণ রাজা ছাড়া আর
    কিছু নাই ভবে পূজা করিবার
    এই ক'টি কথা জেনো মনে সার--
          ভুলিলে বিপদ হবে।'

    সেদিন শারদ-দিবা-অবসান--
           শ্রীমতী নামে সে দাসী
    পুণ্যশীতল সলিলে নাহিয়া,
    পুষ্পপ্রদীপ থালায় বাহিয়া,
    রাজমহিষীর চরণে চাহিয়া
          নীরবে দাঁড়ালো আসি।

    শিহরি সভয়ে মহিষী কহিলা,
          "এ কথা নাহি কি মনে,
    অজাতশত্রু করেছে রটনা
    স্তূপে যে করিবে অর্ঘ্যরচনা
    শূলের উপরে মরিবে সে জনা
           অথবা নির্বাসনে?'

    সেথা হতে ফিরি গেল চলি ধীরে
          বধূ অমিতার ঘরে।
    সমুখে রাখিয়া স্বর্ণমুকুর
    বাঁধিতেছিল সে দীর্ঘ চিকুর,
    আঁকিতেছিল সে যত্নে সিঁদুর
          সীমন্তসীমা-'পরে।

    শ্রীমতীরে হেরি বাঁকি গেল রেখা,
          কাঁপি গেল তার হাত--
    কহিল, "অবোধ, কী সাহস-বলে
    এনেছিস পূজা! এখনি যা চলে।
    কে কোথা দেখিবে, ঘটিবে তা হলে
          বিষম বিপদপাত।'
    অস্তরবির রশ্মি-আভায় 
          খোলা জানালার ধারে 
    কুমারী শুক্লা বসি একাকিনী 
    পড়িতে নিরত কাব্যকাহিনী, 
    চমকি উঠিল শুনি কিংকিণী-- 
          চাহিয়া দেখিল দ্বারে। 

    শ্রীমতীরে হেরি পুঁথি রাখি ভূমে 
          দ্রুতপদে গেল কাছে। 
    কহে সাবধানে তার কানে কানে, 
    "রাজার আদেশ আজি কে না জানে, 
    এমন ক'রে কি মরণের পানে
          ছুটিয়া চলিতে আছে!'

    দ্বার হতে দ্বারে ফিরিল শ্রীমতী 
          লইয়া অর্ঘ্যথালি। 
    "হে পুরবাসিনী' সবে ডাকি কয় 
    "হয়েছে প্রভুর পূজার সময়'-- 
    শুনি ঘরে ঘরে কেহ 

    বন্দী বীর কবিতা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বন্দী বীর কবিতা


    পঞ্চনদীর তীরে 
             বেণী পাকাইয়া শিরে 
    দেখিতে দেখিতে গুরুর মন্ত্রে 
             জাগিয়া উঠেছে শিখড্ড 
             নির্মম নির্ভীক। 
    হাজার কণ্ঠে গুরুজির জয় 
             ধ্বনিয়া তুলেছে দিক্‌। 
             নূতন জাগিয়া শিখ 
    নূতন উষার সূর্যের পানে 
             চাহিল নির্নিমিখ। 

             "অলখ নিরঞ্জন' 
    মহারব উঠে বন্ধন টুটে 
             করে ভয়ভঞ্জন। 
    বক্ষের পাশে ঘন উল্লাসে 
             অসি বাজে ঝন্‌ঝন্‌। 
    পঞ্জাব আজি গরজি উঠিল, 
             "অলখ নিরঞ্জন!' 

             এসেছে সে এক দিন 
    লক্ষ পরানে শঙ্কা না জানে 
             না রাখে কাহারো ঋণ। 
    জীবন মৃত্যু পায়ের ভৃত্য, 
             চিত্ত ভাবনাহীন। 
    পঞ্চনদীর ঘিরি দশ তীর 
             এসেছে সে এক দিন। 

             দিল্লিপ্রাসাদকূটে 
    হোথা বারবার বাদশাজাদার 
             তন্দ্রা যেতেছে ছুটে। 
    কাদের কণ্ঠে গগন মন্থ, 
             নিবিড় নিশীথ টুটে-- 
    কাদের মশালে আকাশের ভালে 
             আগুন উঠেছে ফুটে! 

             পঞ্চনদীর তীরে 
    ভক্তদেহের রক্তলহরী 
             মুক্ত হইল কি রে! 
             লক্ষ বক্ষ চিরে 
    ঝাঁকে ঝাঁকে প্রাণ পক্ষীসমান 
             ছুটে যেন নিজনীড়ে। 
             বীরগণ জননীরে 
    রক্ততিলক ললাটে পরালো 
             পঞ্চনদীর তীরে। 

             মোগল-শিখের রণে 
             মরণ-আলিঙ্গনে 
    কণ্ঠ পাকড়ি ধরিল আঁকড়ি 
             দুইজনা দুইজনে। 
    দংশনক্ষত শ্যেনবিহঙ্গ 
             যুঝে ভুজঙ্গ-সনে। 
             সেদিন কঠিন রণে 
    "জয় গুরুজির' হাঁকে শিখ বীর 
             সুগভীর নিঃস্বনে। 
    মত্ত মোগল রক্তপাগল 
             "দীন্‌ দীন্‌' গরজনে। 

             গুরুদাসপুর গড়ে 
    বন্দী যখন বন্দী হইল 
             তুরানি সেনার করে, 
    সিংহের মতো শৃঙ্খল গত 
             বাঁধি লয়ে গেল ধরে 
             দিল্লিনগর-'পরে। 
    বন্দা সমরে বন্দী হইল 
             গুরুদাসপুর গড়ে। 

    সম্মুখে চলে মোগল-সৈন্য 
             উড়ায়ে পথের ধূলি, 
    ছিন্ন শিখের মুণ্ড লইয়া 
             বর্শাফলকে তুলি। 
    শিখ সাত শত চলে পশ্চাতে, 
             বাজে শৃঙ্খলগুলি। 
    রাজপথ-'পরে লোক নাহি ধরে, 
             বাতায়ন যায় খুলি। 
    শিখ গরজয়, "গুরুজির জয়' 
             পরানের ভয় ভুলি। 
    মোগলে ও শিখে উড়ালো আজিকে 
             দিল্লিপথের ধূলি। 

    পড়ি গেল কাড়াকাড়ি, 
    আগে কে�

    দুই বিঘা জমি কবিতা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুই বিঘা জমি কবিতা


    শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভুঁই আর সবই গেছে ঋণে।

    বাবু বলিলেন, "বুঝেছ উপেন, এ জমি লইব কিনে।'

    কহিলাম আমি, "তুমি ভূস্বামী, ভূমির অন্ত নাই।

    চেয়ে দেখো মোর আছে বড়ো-জোর মরিবার মতো ঠাঁই।'

    শুনি রাজা কহে, "বাপু, জানো তো হে, করেছি বাগানখান

    পেলে দুই বিঘে প্রস্থে ও দিঘে সমান হইবে টানা--

    ওটা দিতে হবে।' কহিলাম তবে বক্ষে জুড়িয়া পাণি

    সজল চক্ষে, "করুণ বক্ষে গরিবের ভিটেখানি।

    সপ্ত পুরুষ যেথায় মানুষ সে মাটি সোনার বাড়া,

    দৈন্যের দায়ে বেচিব সে মায়ে এমনি লক্ষ্মীছাড়া!'

    আঁখি করি লাল রাজা ক্ষণকাল রহিল মৌনভাবে,

    কহিলেন শেষে ক্রূর হাসি হেসে, "আচ্ছা, সে দেখা যাবে।'


    পরে মাস দেড়ে ভিটে মাটি ছেড়ে বাহির হইনু পথে--

    করিল ডিক্রি, সকলই বিক্রি মিথ্যা দেনার খতে।

    এ জগতে, হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি--

    রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।

    মনে ভাবিলাম মোরে ভগবান রাখিবে না মোহগর্তে,

    তাই লিখি দিল বিশ্বনিখিল দু বিঘার পরিবর্তে।

    সন্ন্যাসীবেশে ফিরি দেশে দেশে হইয়া সাধুর শিষ্য

    কত হেরিলাম মনোহর ধাম, কত মনোরম দৃশ্য!

    ভূধরে সাগরে বিজনে নগরে যখন যেখানে ভ্রমি

    তবু নিশিদিনে ভুলিতে পারি নে সেই দুই বিঘা জমি।

    হাটে মাঠে বাটে এই মতো কাটে বছর পনেরো-ষোলো--

    একদিন শেষে ফিরিবারে দেশে বড়ই বাসনা হল।


    নমোনমো নম সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি!

    গঙ্গার তীর স্নিগ্ধ সমীর, জীবন জুড়ালে তুমি।

    অবারিত মাঠ, গগনললাট চুমে তব পদধূলি,

    ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় ছোটো ছোটো গ্রামগুলি।

    পল্লবঘন আম্রকানন রাখালের খেলাগেহ,

    স্তব্ধ অতল দিঘি কালোজল-- নিশীথশীতল স্নেহ।

    বুকভরা মধু বঙ্গের বধূ জল লয়ে যায় ঘরে--

    মা বলিতে প্রাণ করে আনচান, চোখে আসে জল ভরে।

    দুই দিন পরে দ্বিতীয় প্রহরে প্রবেশিনু নিজগ্রামে--

    কুমোরের বাড়ি দক্ষিণে ছাড়ি রথতলা করি বামে,

    রাখি হাটখোলা, নন্দীর গোলা, মন্দির করি পাছে

    তৃষাতুর শেষে পঁহুছিনু এসে আমার বাড়ির কাছে।


    ধিক্‌ ধিক্‌ ওরে, শতধিক্‌ তোরে,

    প্রতিশোধ কবিতা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিশোধ কবিতা 


    মহাবস্তবদান



    "রাজকোষ হতে চুরি! ধরে আন্‌ চোর,

    নহিলে নগরপাল, রক্ষা নাহি তোর--

    মুণ্ড রহিবে না দেহে!' রাজার শাসনে

    রক্ষী দল পথে পথে ভবনে ভবনে

    চোর খুঁজে খুঁজে ফিরে। নগর-বাহিরে

    ছিল শুয়ে বজ্রসেন বিদীর্ণ মন্দিরে

    বিদেশী বণিক পান্থ তক্ষশিলাবাসী;

    অশ্ব বেচিবার তরে এসেছিল কাশী,

    দস্যুহস্তে খোয়াইয়া নিঃস্ব রিক্ত শেষে

    ফিরিয়া চলিতেছিল আপনার দেশে

    নিরাশ্বাসে--তাহারে ধরিল চোর বলি।

    হস্তে পদে বাঁধি তার লোহার শিকলি

    লইয়া চলিল বন্দীশালে।



    সেই ক্ষণে

    সুন্দরীপ্রধানা শ্যামা বসি বাতায়নে

    প্রহর যাপিতেছিল আলস্যে কৌতুকে

    পথের প্রবাহ হেরি--নয়নসম্মুখে

    স্বপ্নসম লোকযাত্রা। সহসা শিহরি

    কাঁপিয়া কহিল শ্যামা, "আহা মরি মরি!

    মহেন্দ্রনিন্দিতকান্তি উন্নতদর্শন

    কারে বন্দী করে আনে চোরের মতন

    কঠিন শৃঙ্খলে! শীঘ্র যা লো সহচরী,

    বল্‌ গে নগরপালে মোর নাম করি

    শ্যামা ডাকিতেছে তারে, বন্দী সাথে লয়ে

    একবার আসে যেন এ ক্ষুদ্র আলয়ে

    দয়া করি!' শ্যামার নামের মন্ত্রগুণে

    উতলা নগররক্ষী আমন্ত্রণ শুনে

    রোমাঞ্চিত; সত্বর পশিল গৃহমাঝে,

    পিছে বন্দী বজ্রসেন নতশির লাজে

    আরক্তকপোল। কহে রক্ষী হাস্যভরে,

    "অতিশয় অসময়ে অভাজন-'পরে

    অযাচিত অনুগ্রহ! চলেছি সম্প্রতি

    রাজকার্যে। সুদর্শনে, দেহো অনুমতি।'

    বজ্রসেন তুলি শির সহসা কহিলা,

    "একি লীলা, হে সুন্দরী, একি তব লীলা!

    পথ হতে ঘরে আনি কিসের কৌতুকে

    নির্দোষ এ প্রবাসীর অবমানদুখে

    করিতেছ অবমান!' শুনি শ্যামা কহে,

    "হায় গো বিদেশী পান্থ, কৌতুক এ নহে,

    আমার অঙ্গতে যত স্বর্ণ-অলংকার

    সমস্ত সঁপিয়া দিয়া শৃঙ্খল তোমার

    নিতে পারি নিজদেহে; তব অপমানে

    মোর অন্তরাত্মা আজি অপমান মানে।'

    এত বলি সিক্তপক্ষ্ণ দুটি চক্ষু দিয়া

    সমস্ত লাঞ্ছনা যেন লইল মুছিয়া

    বিদেশীর অঙ্গ হতে। কহিল রক্ষীরে,

    "আমার যা আছে লয়ে নির্দোষ বন্দীরে

    মুক্ত করে দিয়ে যাও।' কহিল প্রহরী,

    "তব অনুনয় আজি ঠেলিনু সুন্দরী,

    এত এ অসাধ্য কাজ। হৃত রাজ�



    Tag: বিদ্রোহী কবিতা, কবর কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রেষ্ট কবিতা, প্রতিনিধি কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিনিধি কবিতা, পূজারিণী কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূজারিণী কবিতা, বন্দী বীর কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বন্দী বীর কবিতা, দুই বিঘা জমি কবিতা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুই বিঘা জমি কবিতা, প্রতিশোধ কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিশোধ কবিতা, 

    Post a Comment

    0Comments

    প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

    Post a Comment (0)