কি খেলে লম্বা হয় | তেঁতুল খেলে কি হয় | কাঠ বাদাম খেলে কি হয়
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি বারাকাতুহু ।আপনারা সবাই কেমন আছেন? আল্লাহর রহমতে আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি।
আমরা অনেকেই জানিনা কি খেলে কি হয়। কোন খাবারে কি পুষ্টি বিদ্যমান , বাদাম খেলে কি হয় ,বাদামের উপকারিতা ,কাঠ বাদামের উপকারিতা ,কাঠ বাদাম খেলে কি হয় ,আঙ্গুর খেলে কি হয় , ডাব না খেলে কি হয় , তেঁতুল খেলে কি উপকার হয়, কি খেলে লম্বা হয় এসব সম্পর্কে তথ্য দেওয়া আছে আপনারা খুব সহজেই কি খেলে কি হয় জেনে নিতে পারবে।
বাদাম
বাদামের উপকারিতা:
দাঁতের যত্নে বাদাম একটি অতি উপকারী খাদ্য। এতে ভিটামিন বেশি না পাওয়া গেলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। এ ছাড়া ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও জিংকসহ প্রয়োজনীয় অনেক খনিজ উপাদানও এতে রয়েছে। আর এসব খনিজ উপাদান দাঁত এবং দাঁতের অস্থিকে মজবুত এবং সুস্থ রাখে।
দাঁতের ক্ষয়রোগ প্রতিরোধ করে। তাছাড়া ওজন কমানো, কিডনির রোগ, হৃদরোগ, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও নিয়মিত বাদাম খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন আপনার খাবারের আইটেমের মধ্যে থাকুক অন্তত এক মুঠ বাদাম।
কাঠবাদাম খেলে কি হয়
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যেকোনো বড় অস্ত্রোপচারের পর বা দেহের কোনো হাড় ভেঙে গেলে, কাঠবাদাম খেলে হাড় পুষ্টি পাবে দ্রুত। লম্বা আকারের বাদাম, খোসা (পাতলা আবরণ) ছাড়িয়ে খেতে হয়। কাঁচা খেতে পারলে খুব ভালো। কাঁচা হজম করতে না পারলে পানিতে ভিজিয়ে খাবেন।
বাদামের ওপর পাতলা বাদামি বা খয়েরি রঙের আবরণ থাকে। পানিতে ১০ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলেই খোসাটা উঠে যায়। চিবিয়ে বা খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে সেদ্ধ করে খাওয়া যায়। গর্ভবতী মহিলা, বাড়ন্ত শিশু ও মেনোপোজ (চিরতরে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়ে গেছে—এমন নারীদের জন্যও কাঠবাদাম ভীষণ জরুরি। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম।
আবার বয়স্ক নারী ও পুরুষের জন্যও এই বাদাম ভীষণ জরুরি। কারণ, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে আমাদের দেশে ৪০ বছরের পর বেশির ভাগ মানুষের অসটিও পোরোসিস হয়, এই অসুখে হাড় দুর্বল হয়ে যায়, যা পুরো শরীরের ওপর ফেলে ক্ষতিকর প্রভাব।
এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজন দেহের ওজন কমানো, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা ও নিয়মিত ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। মেনোপোজ হয়ে যাওয়া নারীদের হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। তাঁদের দেহে জরুরি অনেক হরমোন তৈরি হয় না (হরমোন শরীরের জন্য উপকারী উপাদান)—এমন অবস্থায়ও কাঠবাদাম হতে পারে আপনার বন্ধু। প্রতিদিন সর্বোচ্চ তিনটা খাওয়া যেতে পারে।
এতে শরীরের জন্য জরুরি অনেক উপকরণ রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ত্বকে জোগায় পুষ্টি, সাহায্য করে বার্ধক্যকে দূরে ঠেলতে। ত্বকের অসুখগুলোকে দূরে রাখে। দাঁত, হাড়, নখ, চুলকে উজ্জ্বল ও সুন্দর করতে এই বাদামের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। তবে সবাই হজম করতে পারে না।
অবশ্যই নিজের হজমক্ষমতা বুঝে বাদাম খান।কাঠবাদাম খেলে ত্বক ভালো থাকে। আমরা অনেকেই জানিনা কি খেলে ত্বক ভালো থাকে।
আঙ্গুর খেলে কি হয়
আঙ্গুরের প্রায় ৭৯ শতাংশই পানি। এ ছাড়া, এতে ফ্রুকটোজ এবং খনিজ উপাদানসহ দেহের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান আছে।
আঙ্গুরের উপকারিতা:
‘রেজভারেট্রল’ নামের রাসায়নিক উপাদান হৃৎপিণ্ড এবং রক্তনালীগুলোকে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। কম ক্যালোরিযুক্ত এ লোহিত উপাদান বাড়ায় এবং বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া, ভিটামিন এ, বি, সি ছাড়াও আঙ্গুরে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, লৌহ, আয়োডিন এবং ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদান। আঙ্গুরের ফ্রুকটোজ সহজে রক্তে প্রবেশ করতে পারে এবং একে গুরুত্বপূর্ণ শর্করা হিসেবে গণ্য করা হয়।
পুষ্টি ও স্বাস্থ্য নিয়ে মহানবী সা. এবং পবিত্র আহলে বাইতের সদস্যরা অনেক প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তবে ,তারা জনগণকে কয়েকটি বিশেষ খাবার খাওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করেছেন। হযরত আলী আ. আঙ্গুরকে শুধু উপকারী ফলই বলেননি একে পুর্ণাঙ্গ খাদ্য হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।
আঙ্গুর হতাশা প্রতিহত করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে দুঃখ-বেদনা, মানসিক পীড়ন ও বিষন্নতা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে আঙ্গুর বিশেষ ফলদায়ক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি, মহাপ্লাবনের পর হযরত নূহ আ. ভূমিতে নামলেন তখন চারপাশে মৃত মানুষ ও প্রাণীর অসংখ্য কংকাল দেখতে পান।
চারপাশে মহাপ্রলয়ের এই ভয়াবহ ধ্বংসলীলা দেখে হযরত নূহ আ.এর কোমল হৃদয় প্রচণ্ডভাবে ব্যথিত হয়ে ওঠে। বেদনায় মুষড়ে পড়েন তিনি। এ সময় হতাশাবোধ কাটিয়ে ওঠার জন্য তাকে কালো আঙ্গুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে অবতীর্ণ হয় ঐশী বাণী।
আধুনিককালের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা কালো আঙ্গুরে হতাশা বা বিষন্নতা প্রতিরোধক উপাদানের সন্ধান পেয়েছেন। এ ধরনের আঙ্গুরে পটাশিয়াম আছে আর তাই হতাশা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে এ আঙ্গুর। বুক ধড়ফড় করার মতো উপসর্গও দূর করতে সাহায্য করে পটাশিয়াম।
এই উপাদান বিষন্নতা দূর করে ও সুখ এবং আনন্দের একটি অনুভূতি সৃষ্টি করে। আঙ্গুর এভাবে হৃৎপিণ্ডের অনিয়মিত স্পন্দন দূর করে মানসিক বিষন্নতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।
ইরানের বিশ্বখ্যাত ইসলামী দার্শনিক ও বিজ্ঞানী আবু আলী সিনা আঙ্গুরকে অন্ত্রের বেদনা উপশমকারী হিসেবে বর্ণনা করেছেন। দেহে টক্সিন বা অধিবিষ নামে যে সব বিষাক্ত উপাদান জন্মে তা দূর হয় আঙ্গুর খাওয়ার মাধ্যমে। এ ছাড়া, আঙ্গুর রক্ত পরিশোধনের কাজও করে। আর এ কারণে শ্রান্তি দূর হয় ও দেহ চাঙ্গা হয়ে ওঠে। আমরা জানি না অনেকেই কি খেলে ত্বক ভালো থাকে। আঙ্গুর খেলে ত্বক ভাালো থাকে।
আঙ্গুর উচ্চরক্ত চাপ, ডায়রিয়া ও ত্বকের সমস্যা দূর করতেও সহায়তা করে।
ত্বকের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য মুখে ভেষজ বা ভেষজ নয় এমন ‘মাস্ক’ ব্যবহার করা হয়। অল্প সময়ের জন্য এ জাতীয় ‘মাস্ক’ মুখে রাখতে হয় এবং তারপর তা ধুয়ে ফেলা হয়। আঙ্গুরের নির্যাস থেকে সহজেই প্রাকৃতিক ‘মাস্ক’ তৈরি করা যেতে পারে। এ ধরণের ‘মাস্ক’ ব্যবহারে মুখের বলি রেখা দূর হতে পারে।
এ ছাড়া, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে এ ধরণের ‘মাস্ক’। আঙ্গুর থেকে নানা ধরণের উপাদান তৈরি হয়। এ সব উপাদানের মধ্যে আঙ্গুরের নির্যাস, আঙ্গুর বীজের তেল, সিরকা, আঙ্গুরের টক রস, কিশমিশ প্রভৃতি।
আঙ্গুর শুকিয়ে তৈরি হয় কিশমিশ এবং কিশমিশে ৬০ শতাংশ ফ্রুকটোজ রয়েছে। খুবানি বা কুল জাতীয় ফলে যতটা এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে কিশমিশেও প্রায় সে পরিমাণ বিজারক উপাদান থাকে। আরেকটি মজার ব্যাপার হলো, কিসমিসকে যতই শুকানো হবে ততই তার পুষ্টিমান বাড়বে। তাই কিশমিশ আঙ্গুরের চেয়ে বেশি শক্তির যোগান দিতে পারে।
শ্বাসতন্ত্রের অসুখ-বিসুখসহ যকৃত, মুত্রথলি, বৃক্ক বা কিডনির নানা রোগ সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়তা করে কিশমিশ। বিশেষ ধরণের কিশমিশের চমৎকার সব গুণের কথা বলা হয়েছে পবিত্র হাদিসে। বীচি ছাড়া কালো ও লাল আঙ্গুর থেকে যে সব কিশমিশ তৈরি হয় সে প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ সা.।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. বলেছেন, তোমরা কিশমিশ বা আঙ্গুর খেতে অবহেলা করো না কারণ আঙ্গুর ও কিশমিশ দেহমন ভাল রাখে । এ ধরনের আঙ্গুর স্নায়ুতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং দুর্বল দেহকে চাঙ্গা করে তুলতে সহায়তা যোগায়।
হাদিসে বলা হয়েছে, সকালে নাস্তার আগে খালি পেটে বীচি ছাড়া আঙ্গুর হতে তৈরি ২১টি কিশমিশ খেলে শারীরিক দুর্বলতা এবং আল জাইমার রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।
সাম্প্রতিক জরিপেও এর সত্যতা খুঁজে পাওয়া গেছে। বৃটেন থেকে প্রকাশিত ‘কেমেস্ট্রি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’ নামের সাময়িকীতে বলা হয়েছে, কিশমিশে এমন কিছু শক্তিশালী উপাদান আছে যা আলজাইমার রোগ প্রতিহত করতে সহায়তা করে।
গবেষণাগারের পরীক্ষায় দেখা গেছে, কিশমিশের অ্যান্টো-সিয়ানিন এবং পলি-ফেনোলিক উপাদানসহ আরো কিছু উপাদান আছে যা আলজাইমার সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়তা করে। এ ছাড়া, এ জাতীয় কিশমিশে ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স, ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
ইরানের চিকিৎসা বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, বীচিবিহীন আঙ্গুর থেকে তৈরি কিশমিশে ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আছে । শুধু তাই না কোনো কোনো ক্যান্সার এবং হৃদরোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে এ ধরনের কিশমিশ।
এ জাতীয় কিশমিশ রক্তনালীগুলোকে ফ্রি রেডিক্যাল থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করে এবং রক্তনালীগুলোর কোমলতা বজায় রাখে।
আঙ্গুর থেকে যে সব জিনিস বানানো হয় তার অন্যতম হলো সিরকা। খেজুর বা আপেল হতেও সিরকা তৈরি হয়। সালাদ, আচার প্রভৃতি তৈরিতে সিরকা অপরিহার্য।
খাবারের সাথে সিরকা খেলে তাতে রক্ত প্রবাহ সহজতর হয়। এ ছাড়া, রক্তের চর্বি ও বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং কোলেস্টরেল কমায় । সিরকা মানুষের প্রজ্ঞা ও মানসিক শক্তি বাড়ায় এবং হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে। সিরকায় সাইট্রিক এসিড আছে।
খাদ্যের মধ্যে যে ক্যালসিয়াম আছে তা দেহকে গ্রহণ ও হজমে সাহায্য করে এবং একই সঙ্গে বিপাকক্রিয়াও বাড়াতে সাহায্য করে এই সাইট্রিক এসিড। পরিপাকতন্ত্রে অনেক ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করতে সাহায্য করে সিরকা। অন্ত্রের নানাবিধ রোগ যেমন, ডায়রিয়া, পেটব্যাথা এবং কোষ্টকাঠিন্যে যারা কষ্ট পান তারা সিরকা ব্যবহার করে এ সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
সিরকা মাড়ির প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে এবং পরিপাকতন্ত্রে এসিড নির্গমনের ভারসাম্য বজায় রাখে। দুর্বল চিত্তের মানুষরা সিরকা খেলে উপকার পাবেন বলে চিকিৎসাবিদরা মনে করেন।
ডাব না খেলে কি হয়
ডাবের পানির ব্যপারে নতুন করে কিছু বলার নেই। সুস্বাদু এই পানীয়টি গোটা এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার মানুষের কাছে এটি সমান প্রিয়। তবে কেবল পানীয় হিসাবেই নয়, ডাবের পানির মধ্যে বিজ্ঞানীরা ওষুধিগুণও খুঁজে পেয়েছেন। ডায়রিয়াতে এর পানি উপকার অনেক বেশী।
এটি হার্টের পক্ষেও ভালো কাজ করে। এখন আবার জানা গেছে ডাবের পানি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে অনেক বেশী সক্ষম। বছরের পর বছর ব্যবহার করার ফলে চলতি এন্টিবায়োটিক ওষুধ রোগজীবাণু প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে।
ডাব না খেলে হার্টের সমস্যা হয়। আমারা ডাব খাই কিন্তু জানিনা ডাব না খেলে কি হয়।
ফলে এই সমস্যা মোকাবিলায় বিজ্ঞানীরা নজর দিয়েছেন শরীরে রোগ প্রতিরোধ গড়ে তোলার মূল বস্তু বিভিন্ন প্রোটিনের প্রতি। যখন কোনো রোগজীবাণূ শরীরে প্রবেশ করে, আমাদের দেহের প্রতিরোধ কোষ প্রোটিন দিয়ে তৈরি এন্টিবড়ি উত্পন্ন করে।
বিজ্ঞানীরা গাছপালার বিভিন্ন অংশ যেমন ফুল, পাতা, মূল ইত্যাদি থেকে রোগজীবাণু ধ্বংসকারী প্রোটিন তৈরি করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ ও ব্রাজিলের একদল গবেষক ডাবের পানির মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন তিনটি নতুন ধরনের বিভিন্ন গুণসম্পন্ন পেপটাইজম যা বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া যারা খাদ্যকে বিষিয়ে দেয়, দুধ ও মাংসকে নষ্ট করে তাদের মেরে ফেলে।
আগামী দিনে এইসব পেপটাইজম ভবিষ্যতের এন্টিবায়োটিক ওষুধের উপাদান হিসেবে ব্যবহূত হবে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।
কি খেলে কি হয়
তেঁতুল খেলে কি উপকার হয়
তেঁতুলের নাম শুনলেই জিভে জল আসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। টক তেঁতুল মুখে দিলে আমাদের যে ভিন্ন এক অনুভূতি হয় তা নিশ্চয়ই বলতে হবে না। আমাদের অনেকেরই ধারণা তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তেঁতুল কোনোভাবেই আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। বরং হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে খুব উপকারী। তেঁতুল বসন্ত-কালের ফল হলেও বছরের সব সময়ই পাওয়া যায়।
তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর ভেষজ ও পুষ্টিগুণ:
- তেঁতুল দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী
- রক্তের কোলেস্টেরল কমায়
- শরীরের মেদ কমাতেও কাজ করে তেঁতুল
- পেটে গ্যাস, হজম সমস্যা, হাত-পা জ্বালায় তেঁতুলের শরবত খুব উপকারী
- খিদে বাড়ায়
- গর্ভাবস্থায় বমি বমি বমি ভাব দূর করে
- মুখের লালা তৈরি হয়
- তেঁতুল পাতার ভেষজ চা ম্যালেরিয়া জ্বর কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়
- শিশুদের পেটের কৃমিনাশক
- তেঁতুল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে
- পাইলস্ চিকিত্সার জন্য ব্যবহার করা হয়
- মুখে ঘাঁ ও ত্বকের প্রদাহ সারাতে সাহায্য করে
- তেঁতুল রক্ত পরিস্কার করে
- বাত বা জয়েন্টগুলোতে ব্যথা কমায়
- ভিটামিন সি-এর বড় উৎস
- পুরনো তেঁতুল খেলে কাশি সারে
- পাকা তেঁতুলে খনিজ পদার্থ অন্য যে কোনো ফলের চেয়ে অনেক বেশি
- খাদ্যশক্তিও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে:
- ক্যালসিয়ামের পরিমাণ সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ১৭ গুণ বেশি
- আর আয়রনের পরিমাণ নারকেল ছাড়া সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ২০ গুণ বেশি।
- প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা তেঁতুলের পুষ্টিমান:
- ক্যালরি ২৩৯,
- আমিষ বা প্রোটিন – ২.৮,
- শর্করা – ৬২.৫ গ্রাম,
- ফাইবার – ৫.১ গ্রাম,
- চর্বি – ০.৬ গ্রাম,
- ফসফরাস - ১১৩ মিলিগ্রাম,
- লৌহ – ২.৮২ মিলিগ্রাম,
- ক্যালসিয়াম - ৭৪ মিলিগ্রাম,
- ভিটামিন সি - ২ মিলিগ্রাম,
- মিনারেল বা খনিজ পদার্থ ২.৯ গ্রাম,
- ভিটামিন বি – ০.৩৪ মিলিগ্রাম,
- পটাসিয়াম - ৬২৮ মি:লি,
- ভিটামিন ই – ০.১ মিলিগ্রাম,
- ক্যারোটিন ৬০ মাইক্রোগ্রাম,
- সেলেনিয়াম – ১.৩ মিলিগ্রাম,
- সোডিয়াম - ২৮ মিলিগ্রাম,
- দস্তা – ০.১২ মিলিগ্রাম,
- ম্যাগনেসিয়াম - ৯২ মিলিগ্রাম,
- এবং তামা – ০,৮৬ মিলিগ্রাম।
কি খেলে লম্বা হয়
আমরা অনেকে দেখা যায় ও হাইটে সামান্য ছোট তার জন্য খারাপ দেখা যায় । আপনারা অনেক চিন্তিত থাকেন আপনার হাইট নিয়ে । এজন্য আপনাদের সাথে আজ কি খেলে লম্বা হয় এটা নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি।
পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার
লম্বা হওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার দেহের হাড় ও কোষের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
লম্বা হওয়ার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে সুষম খাদ্য খাওয়ার অভ্যাস। প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, জিঙ্ক যুক্ত খাদ্য খেতে হবে।
আমাদের দেহে ভিটামিন ডি গ্রোথ হরমোন উৎপন্ন করে।
আমাদের দেহে ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠন এবং হাড় মজবুত করে। দুধে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে, দুধের পরিবর্তে ডাল ও বাদাম খেয়ে দুধের অভাব অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব। ৬০ গ্রাম ডালে প্রায় ২৫০ মিঃ লিঃ দুধের সমান প্রোটিন আছে। এছাড়া দই, সবুজ শাকসবজীতেও ক্যালসিয়াম পাবেন।
ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, এবং কার্বোহাইড্রেট কোষ গঠন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
আমাদের দেহে প্রোটিন পেশীর বৃদ্ধি ও হাড়ের সঠিক বিকাশে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ চর্বিহীন প্রোটিন খাবার খাবেন। চর্বিহীন প্রোটিন খাবার বলতে মুরগীর মাংস, ডাল, মাছ, দুধ এই ধরনের খাদ্য।
উচ্চতা বৃদ্ধিতে ভাত এর বদলে রুটি খাওয়া ভাল।
এছাড়াও খাবার হজম ও সম্পূর্ণ দেহে পুষ্টি পৌঁছানোর বিষয়ের উপরও লম্বা হওয়া নির্ভরশীল। সুষম খাদ্য নিয়মিত খাবার চেষ্টা করবেন।
আপেল
আপেলে থাকা ফাইবার এবং পানি লম্বা হতে সাহায্য করে থাকে। তাই প্রতিদিন খাবারের আধা ঘন্টা আগে বা পরে একটি করে আপেল খেয়ে নিন।
পালংশাক
পালং শাক পৃথিবীর সবচাইতে বেশি পুষ্টিকর খাবারগুলোর মধ্যে একটি। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফাইবার ও মিনারেল আছে। ফলে পালং শাকও গ্রোথ হরমোনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি স্যুপ
পালং শাক পৃথিবীর সবচাইতে বেশি পুষ্টিকর খাবারগুলোর মধ্যে একটি। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফাইবার ও মিনারেল আছে। ফলে পালং শাক গ্রোথ হরমোনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দেহের উচ্চতা বাড়াতে সহায়তা করে।
স্যুপ
স্যুপ স্বাস্থ্য উপযোগী একটি খাবার। এতে ক্যালরি রয়েছে যা ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়। ফলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের ফলে কোষ বৃদ্ধি করে লম্বা করে তোবাদাম
বাদাম
বাদাম বা কাজুবাদামও স্বাস্থ্য উপযোগী একটি খাবার। এতে থাকা বিভিন্ন প্রোটিন ও ভিটামিন দেহে পুষ্টি যোগায় এবং লম্বা হতেও সহায়তা ঢেঁড়স
ঢেঁড়স
ঢেঁড়সে আছে ভিটামিন, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট, পানি ও ফাইবার। এই উপাদানগুলো গ্রোথ হরমোনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে উচ্চতা বাড়াতে সহায়তা মটরশুঁটি, ছোলা ও মসূর
কিছুটা আঠালো এই সবজিটি অনেকেরই প্রিয় খাবার। আবার আঠালো ভাবের জন্য কেউ, কেউ অপছন্দও করেন ঢেঁড়স সবজিটি। ঢেঁড়স কারো, কারো কাছে ভেনডি নামেও পরিচিত। ঢেঁড়স একটি পুষ্টিকর সবজি। এতে আছে ভিটামিন, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট, পানি ও ফাইবার। এই উপাদানগুলো গ্রোথ হরমোনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে উচ্চতা বাড়াতে সহায়তা করে।
ব্রোকলি
এই খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন বি এবং আয়রন রয়েছে যেগুলো শরীরের কোষ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। ফলে লম্বা হতেও সাহায্য ব্রোকলি
ব্রোকলি হলো ফুলকপি গোত্রের একটি সবজি। দেখতে ফুলকপির মতো এই সবজিটির রঙ সবুজ। ব্রোকলি খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি। ব্রোকলিতে ভিটামিন সি, ফাইবার, আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। ব্রোকলি গ্রোথ হরমোনের কার্যক্ষমতা বাড়ায় যা উচ্চতা বাড়াতে সহায়তা করে।করে।করে।করে।লে।করে।
ব্রোকলি হলো ফুলকপি গোত্রের একটি সবজি। দেখতে ফুলকপির মত এই সবজিটির রঙ সবুজ। ব্রোকলি খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি। ব্রোকলিতে ভিটামিন সি, অনেক রকম ফাইবার ও আয়রন আছে। এছাড়াও ব্রকলিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। ব্রকলি গ্রোথ হরমোনের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং উচ্চতা বাড়াতে সহায়তা করে।
মটরশুঁটি
শীতকালীন এই সবজিটি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু ও সবার কাছে বেশ জনপ্রিয়। বড় ছোট সবাই খুব পছন্দ করে মটরশুঁটি খেয়ে থাকেন। মটরশুটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, লু্টেইন ও প্রোটিন আছে যা শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং উচ্চতা বাড়াতে সহায়ক।
বাঁধাকপিঃ
বাঁধাকপিতে আছে ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান। এছাড়াও বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন, প্রোটিন ও ফাইবার আছে। এই উপাদান গুলো সম্মিলিত ভাবে শরীরের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে এবং গ্রোথ হরমোনের কার্যকারিতা বাড়ায়। তরকারী হিসেবেও বাঁধাকপি খুবই সুস্বাদু। বাঁধাকপিকে আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন প্রতিদিনই।
দুধ:
দুধ পান আপনাকে লম্বা হওয়ায় অনেক সাহায্য করবে কারণ ক্যালসিয়াম আপনার শরীরের হাঁড় এর বৃদ্ধি ঘটায়, আরেকটা বেপার যা আমাদের দেশে নেই সেটা হল আমেরিকায় তাদের গরু মধ্যে বিভিন্ন হরমোন ইনজেকশন দেওয়া হয় যার মাধ্যমে - হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি হয়, এবং সেই প্রকিয়াজাতকরণ দুধ হয় সাধারণ দুধ এর বিকল্প।
ট্যাগ : বাদাম খেলে কি হয় ,বাদামের উপকারিতা ,কাঠ বাদামের উপকারিতা ,কাঠ বাদাম খেলে কি হয় ,আঙ্গুর খেলে কি হয় , ডাব না খেলে কি হয় , তেতুল খেলে কি উপকার হয়, কি খেলে লম্বা হয়