২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য | ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস | ২৬ শে মার্চ এর উপস্থাপনা - Time Of BD - Education Blog

For any Business Enquiry Contact Us


[ সবার আগে সকল তথ্য,গুরুত্বপূর্ণ সকল পিডিএফ বই নোট সাজেশন ও অন্যান্য সেবা পেতে ফলো করুন আমাদের Google News, Facebook এবং Telegram পেইজ ও গ্রুপে ]

২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য | ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস | ২৬ শে মার্চ এর উপস্থাপনা

২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস, ২৬ শে মার্চ এর উপস্থাপনা, ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য, ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য pdf download, ২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস, ২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস, ২৬ শে মার্চ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান, ২৬ মার্চ ১৯৭১ এর ইতিহাস, ২৬ শে মার্চ এর তাৎপর্য, ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস

টাইম অফ বিডির পক্ষ থেকে টাইম অফ বিডির প্রিয় পাঠক বৃন্দদের জানাই আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আমরাও ভালো আছি। 

২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস

প্রতিদিনের মতো আমরা আজও আপনাদের মাঝে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরেছি। আজ আমরা ২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস নিয়ে আলোচনা করব।

২৬ শে মার্চ এর উপস্থাপনা, ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য, ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য pdf download

আপনারা যারা ২৬ শে মার্চ এর উপস্থাপনা, ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য, ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য pdf download নিয়ে জানতে চাচ্ছেন বা ২৬ শে মার্চ এর উপস্থাপনা, ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য, ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য pdf download লিখে সার্চ করছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না তাদের জন্য আমরা এখানে ২৬ শে মার্চ এর উপস্থাপনা, ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য, ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য pdf তুলে ধরেছি।

২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস, ২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস, ২৬ শে মার্চ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

আপনারা ২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস, ২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস, ২৬ শে মার্চ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান জানার জন্য সম্পূর্ণ পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন এবং দেখুন। কারণ এই পোস্টটির মাধ্যমে ২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস, ২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস, ২৬ শে মার্চ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কিত সকল বিষয় জানতে পারবেন।

২৬ মার্চ ১৯৭১ এর ইতিহাস, ২৬ শে মার্চ এর তাৎপর্য, ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস 

আপনারা যারা গুগলের বিভিন্ন সাইটে ২৬ মার্চ ১৯৭১ এর ইতিহাস, ২৬ শে মার্চ এর তাৎপর্য, ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস লিখে সার্চ করছেন সেসব শিক্ষার্থীদের জানার সুবিধার্থে আমরা এখানে ২৬ মার্চ ১৯৭১ এর ইতিহাস, ২৬ শে মার্চ এর তাৎপর্য, ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কিত সামগ্রিক বিষয়বস্তু তুলে ধরেছি। 

২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, ২৬ শে মার্চ এর উপস্থাপনা

২৬ শে মার্চ এর নমুনা বক্তব্য । স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য
নিচের নমুনা বক্তব্যটি থেকে আপনি সম্পূর্ণ ধারনা নিয়ে যেকোনো জায়গায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য হিসেবে দিতে পারবেন।
শুরু করছি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু এর বলা অমূল্য দুতি লাইন দিয়ে,
“তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দেব”।
কথাটি বলেছিলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু।
শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে।
উপস্থিত আমার শিক্ষক, গুরু জনদের প্রতি আমার সালাম এবং স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
আজ, ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে প্রান হারানো সকল শহীদদের।
একই সাথে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ভাষা আন্দোলন এবং বিভিন্ন সময়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া সকল বির শহীদদের প্রতি।
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট যখন পাকিস্তান এবং ভারত আলাদা হয়ে যায় তখন তৎকালীন পাকিস্তানকে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়। তখন পূর্ব পাকিস্তান – ই আজকের বাংলাদেশ।
দেশ স্বাধীনের সুধু শুরু ১৯৮৭ সালের ১৬ আগস্ট থেকেই। এরপর ভাষা আন্দোলন সংগঠিত হয় ১৯৫২ সালে।
এরপর ৬৬ এ ৬ দফা আন্দোলন হয়। ৬৯ এর এর গণঅভ্যুত্থান এবং ৭০ এর সাধারণ নির্বাচন।
এর প্রত্যেকটি ছিলও দেশ স্বাধীনের একেকটি সার্থক পদক্ষেপ।
১৯৭ এর নির্বাচনে আওয়ামী মুসলিম লীগ বিজয় অর্জন করলেও পশ্চিম পাকিস্তান সরকার যখন ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করেন তখন বঙ্গবন্ধু সহ সকলে বুঝে যায়।
এরপর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দান বর্তমান সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যানে ১৮ মিনিটের একটি ভাশন দেন জাতির উদ্দেশ্যে।
এরপর-ই মূলত বাংলার আপামর জনসাধারন মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।
এরপর ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ যখন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার দেশের ঘুমন্ত নিরীহ মানুষের উপর হামলা চালান তখন রেডিও যোগে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেন।
এরপর ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু আটক হলে দেশের জনগন সেই মুহূর্তে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরে।
এরপরের ঘটনা আমাদের সবার জানা। নানান বাধা বিপত্তি পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা মহান বিজয় অর্জন করি।
বাংলাদেশ নামের একটি নতু রাষ্ট্রের জন্ম হয়।

২৬ মার্চ ১৯৭১ এর ইতিহাস, ২৬ শে মার্চ এর তাৎপর্য, ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ পালিত বাংলাদেশের জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে (কাল রাত) তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করে। ২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে এক তার বার্তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ২৬ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে এম এ হান্নান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণের ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। পরে ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান একই কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠ করেন।১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার গভীর রাতে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) নিরীহ জনগণের উপর হামলা চালায়। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গোলাবর্ষণ করা হয়, অনেক স্থানে নারীদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় এবং অনেক স্থানে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এমতাবস্থায় বাঙালিদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয় এবং অনেক স্থানেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা না করেই অনেকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। পরবর্তিতে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাবার পর আপামর বাঙালি জনতা পশ্চিম পাকিস্তানি জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে এবং ভারতের অবিস্মরণীয় সমর্থনের ফলস্বরূপ দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন করে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটায়।
অগ্নিঝরা মার্চ মাস বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের সাক্ষী। ১৯৭১ সালের এ মাসে তীব্র আন্দোলনের পরিণতিতে শুরু হয় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ। বাংলার আন্দোলন-সংগ্রামের ঘটনাবহুল ও বেদনাবিধূর স্মৃতিবিজড়িত ১৯৭১-এর এ মার্চ মাসেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্বে এসে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল বাংলাদেশ নামক স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা হলেও চূড়ান্ত আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল একাত্তরের ১ মার্চ থেকেই। বছর ঘুরে এক অন্যরকম পরিবেশে এবার বাঙালির জীবনে এসেছে মার্চ। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশও এখন যুদ্ধ করছে করোনাভাইরাস মহামারির সঙ্গে। তার মধ্যেই এবারের মার্চ বাঙালির জীবনে এসেছে অনন্য সাধারণ এক উদযাপনের উপলক্ষ্য নিয়ে। যার হাত ধরে একাত্তরে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সেই মহান নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদযাপন চলছে। দেশের মানুষ নতুন করে শপথ নেবেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির পিতার স্বপ্নের সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ, সারা দেশই ছিল তখন অগ্নিগর্ভ। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এদিন বেতার ভাষণে ৩ মার্চের গণপরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের একটি প্রধান দল পিপলস পার্টি এবং অন্য কয়েকটি দল ৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান না করার ইচ্ছা প্রকাশ করায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বেতারে এ ঘোষণা প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী ঢাকা প্রচ- বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এ সময় তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম) পাকিস্তান বনাম বিশ্ব একাদশের ক্রিকেট খেলা চলছিল। ইয়াহিয়া খানের ওই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দর্শক খেলা ছেড়ে বেরিয়ে আসে। ততক্ষণে হাজারো মানুষ পল্টন-গুলিস্তানে বিক্ষোভ শুরু করে দিয়েছে। সে আন্দোলন শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ নেয়। সেদিন মতিঝিল-দিলকুশা এলাকার পূর্বাণী হোটেলে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ক্ষুব্ধ ছাত্ররা সেখানে গিয়ে প্রথমবারের মতো সেøাগান দেয়, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’। ছাত্ররা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে কর্মসূচি ঘোষণার দাবি জানায়। বিক্ষোভ-সেøাগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকাসহ গোটা দেশ। এরপর একে একে পার হয় ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ ২৫টি দিন। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালায়, শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। এই পথ ধরে বাঙালি দামাল ছেলেরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনেন একটি স্বাধীন দেশ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। বাঙালির জীবনে নানা কারণে মার্চ মাস অন্তনির্হিতি শক্তির উৎস। এ মাসেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর আগে তিনি পাকিস্তানি শাসকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘৭ কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। মরতে যখন শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। রক্ত যখন দিয়েছি, আরও দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বÑ ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা’। ১৯৭১-এর ৭ মার্চ সাবেক রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া এই ঐতিহাসিক ভাষণের সময় মুহুর্মুহু গর্জনে উত্তাল ছিল জনসমুদ্র। লক্ষ কণ্ঠের একই আওয়াজ উচ্চারতি হতে থাকে, দেশের এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। ঢাকাসহ গোটা দেশে পতপত করে উড়ছিল সবুজ জমিনের ওপর লাল সূর্যের পতাকা। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য যে আগুন জ্বলে উঠছেলি, সে আগুন যেন ছড়িয়ে পড়ে বাংলার সর্বত্র। এর পরে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সিঁড়ি বেয়ে একাত্তরের মার্চ বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে নতুন বারতা। এ বছরের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এর আগে ২৫ মার্চ রাত একটার অল্প পরে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি সৈন্যরা গ্রেপ্তার করে তার বাড়ি থেকে। পাহাড়ের দৃঢ়তার চেয়ে দৃঢ় যাদের মনোবল সে জাতি কখনও পরাধীন থাকতে পারে না। বাঙালি জাতি এমনই এক বীরের জাতি। আমাদের স্বাধীনতা আমাদের অহংকার। মার্চ মাস আমাদের গৌরবের মাস। অহংকারের মাস। স্বাধীনতা ঘোষণার মাস। আনুষ্ঠানিক সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মাস। একাত্তরের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ রেডিওতে প্রচার না করায় প্রতিবাদে ফেটে পড়ে বাংলার মানুষ। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে বেতারকর্মীরা। বন্ধ হয়ে যায় রেডিওর সম্প্রচার। ফলে ৮ মার্চ সকালে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রেডিওতে প্রচারে বাধ্য হয়। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে বাঙালি জাতি নতুন করে স্বাধীনতায় উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে। ঘরে ঘরে শুরু হয় স্বাধীনতার প্রস্তুতি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সচিবালয়সহ সব সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত বন্ধ হয়ে যায়। শুধু ব্যাংকগুলো প্রতিদিন দুই ঘণ্টা খোলা থাকে স্বাভাবিক লেনদেনের জন্য। এক কথায় গোটা পূর্ব বাংলা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে পরিচালিত হয়। শুরু হয় অদম্য সাহস আর আত্মপ্রত্যয়ের স্বাধীনতার সংগ্রাম। এ মাসেই দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন স্বাধীনতাকামী জনতা। এ মাসেই সাধারণ বাঙালি হয়ে উঠে অসাধারণ যোদ্ধায়। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য যে আগুন জ্বলে উঠেছিল, মার্চে এসে সেই আগুন যেন ছড়িয়ে পড়ে বাংলার সর্বত্র। এরপর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সিঁড়ি বেয়ে একাত্তরের মার্চ বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে নতুন বার্তা। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এর আগে ২৫ মার্চ রাত ১টার দিকে পাকিস্তানি সৈন্যরা বঙ্গবন্ধুকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানিরা বাঙালির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বাঙালি নিধনে নামে। ঢাকার রাস্তায় সৈন্যরা নির্বিচারে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষককে হত্যা করে। এর পরের ঘটনাপ্রবাহ প্রতিরোধের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলা হয়। আবালবৃদ্ধবনিতা যোগ দেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্রযুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে জাতি লাভ করে স্বাধীনতা। 

২৬ শে মার্চ এর তাৎপর্য

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাঙালির জীবনে নানা কারণে এ মাস অন্তর্নিহিত শক্তির উৎস। অসংখ্য ঘটনার উজ্জ্বল সাক্ষী। এ মাসেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য যে আগুন জ্বলে উঠেছিলÑ সে আগুন যেন ছড়িয়ে পড়ে বাংলার সর্বত্র। এরপর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সিঁড়ি বেয়ে একাত্তরের মার্চ বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে নতুন বারতা। এ বছরের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচির ভিত্তিতে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এগোতে হয়েছে। লক্ষ্য স্থির করে, ধাপে ধাপে আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনা করে প্রস্তুতি গ্রহণ করেন তিনি। স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করা শুরু হয়েছিল মূলত ৬ দফার মধ্য দিয়েই। ঊনসত্তরের বিশাল গণআন্দোলনে সামরিক শাসক আইয়ুব খানের পতন হলো। নিয়মতান্ত্রিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধু ’৭০-এর নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। বঙ্গবন্ধু সত্তরের নির্বাচনকে নিলেন তার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণভোট হিসেবে। আর ব্যালটে তিনি এমন অভাবিত বিজয় অর্জন করলেন, যখন পাকিস্তানিদের বুলেট, ট্যাঙ্ক, কামান সবই তুচ্ছ হয়ে গিয়েছিল। এ নির্বাচনে বাঙালি বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাকে অভূতপূর্ব একটা বিজয় উপহার দিয়েছিল।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এখন বিশ্বের অনেক দেশের জন্যই উদাহরণ। অর্থনীতি ও আর্থসামাজিক, বেশিরভাগ সূচকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশকে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে ছাড়িয়েছে তো অনেক আগেই। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, আধুনিক জীবনমানসম্পন্ন একটি সুখী সমৃদ্ধশালী উন্নত দেশ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে আজ এ দেশের অবস্থান। বাংলাদেশের এ উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অপ্রতিরোধ্য। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা এখন মূল লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এগিয়ে যাক বাংলাদেশ এই কামনা আমাদের সবার।

Tag: ২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস, ২৬ শে মার্চ এর উপস্থাপনা, ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য, ২৬ শে মার্চ এর বক্তব্য pdf download, ২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস, ২৬ শে মার্চ ২০২৩ কত তম স্বাধীনতা দিবস, ২৬ শে মার্চ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান, ২৬ মার্চ ১৯৭১ এর ইতিহাস, ২৬ শে মার্চ এর তাৎপর্য, ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url