ইমান শব্দের অর্থ কী - Time Of BD - Education Blog

হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০২৩ ভিজিটর বন্ধুরা। দোয়া করি, এই বছরের প্রতিটি মুহুর্ত যেনো সকলের অনেক আনন্দে কাটে।

ইমান শব্দের অর্থ কী

ইমান শব্দের অর্থ  কী














ইমান শব্দটি আরবি। আমনুন মূল শব্দ থেকে ইমান শব্দটি এসেছে। ইমান শব্দের অর্থ হলো আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা, তাঁর রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা এবং আল্লাহর বিধি-বিধান মেনে নেওয়া ।
ইমান শব্দের অর্থ কী
ইসলামের পরিভাষায় ঈমান হল, মুখে স্বিকার করা এবং মনে প্রানে বিশ্বাস স্থাপন করা এবং আল্লাহর বিধি-বিধান অনুযায়ী নেক আমল করা।
আল্লাহ ও তার ফেরেশতা, সকল কিতাব সমূহ,নবী-রাসূলগ্‌ ইহকাল ও পরকাল এবং ভালো-মন্দ সবকিছু এর প্রতি আমাদেরকে মনে প্রানে বিশ্বাস করতে হবে (মুসলিম)।আর এটিই হল ঈমান।
ঈমান হলো ইসলামের মূল বিষয় বস্তুর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস আনা যা আল্লাহ তাআলা প্রদত্ত আল-কোরআন ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র হাদীসে বর্ণনা করা হয়েছে
। ঈমানে মুফাসসালে (কালিমা) ঈমানের মৌলিক বিষয়গুলো একসাথে করে বর্ণনা করা হয়েছে।
আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলাম এবং তার ফেরেশতার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। আল্লাহ তায়ালার কিতাবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম এবং তার রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম, আখেরাত সুনিশ্চিত এটা বিশ্বাস করলাম , তকদিরের সকল ভালো-মন্দ আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকেই হয় এবং মৃত্যুর পর আখেরাতের জীবন রয়েছে এটা বিশ্বাস করলাম।
একজন মুসলমানের ঈমানের অনেকগুলো মৌলিক বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস করতে হয় এগুলো কোরআন ও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত এগুলো ছাড়া কোন ব্যক্তি প্রকৃত মুসলিম হতে পারবে না
এরূপ মোট সাতটি এগুলো হলো
আল্লাহ তায়ালার প্রতি বিশ্বাস
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এটা হল ঈমানের সর্ব প্রধান ও সর্বপ্রথম বিষয়। আল্লাহতায়ালা এক ও অদ্বিতীয় তাঁর কোন শরীক নেই, সকল সৃষ্টির মালিক তিনি, তিনি সকল সৃষ্টির পালনকর্তা, তিনি সব ক্ষমতার মালিক।
ফেরেশতার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন
আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি ফেরেশতা। তারা হল নূরের তৈরি। সর্ব সময় তারা মহান আল্লাহ তাআলার হুকুম ও ইবাদাত করার কাজে নিয়োজিত থাকে। তারা হল অগণিত,ফেরেশতাগণ নারী ও নয় পুরুষ ও নয় । ফেরেশতাগণ পানাহার খাদ্য চাহিদা, যৌবীক চাহিদা সবকিছু থেকে মুক্ত। ফেরেশতার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা ঈমানের অন্তর্ভুক্ত।
আসমানী কিতাবের প্রতি বিশ্বাস
আল্লাহ তাআলার বাণী আসমানী কিতাব সমূহ। আসমানী কিতাবে আল্লাহ তা'আলা মানুষকে নিজের পরিচয় সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছেন।মহান আল্লাহ তা'আলা এই কিতাব গুলো পাঠিয়েছেন নবী রাসূলদের নিকট।আসমানী কিতাব 104 খানা, চারখানা বড় 100 খানা ছোট এবং প্রত্যেকটি কিতাবের প্রতি বিশ্বাস আনা ফরজ এগুলো আমাদের সবাইকে মানতে হবে এবং সে অনুযায়ী আমল করতে হবে এবং জীবনযাপন করতে হব।
নবী রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যুগে যুগে বহু নবী-রাসূলগণ প্রেরণ করেছেন মানবজাতিকে হেদায়েতের জন্য। আল্লাহ তাআলার মনোনীত নির্বাচিত বান্দা নবী-রাসূলগণ। তারা হলেন সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী। তারা নিষ্পাপ মনের মানুষ তাদের মনে অহংকার ছিল না নবী রাসূলের প্রতি ঈমান আনা ঈমানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আখিরাতে বিশ্বাস
পরকাল হলো আখিরাত। আখিরাতের জীবন শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। সেখানে সকল মানুষের পাপ কর্মের হিসাব দিতে হবে। দুনিয়ায় ভালো কাজ করলে মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে এবং আমল না করলে অর্থাৎ খারাপ কাজ করলে মানুষ জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
তকদিরে বিশ্বাস
ভালো মন্দের পরিমাণ হল তকদির। সকল মানুষের ভাগ্যের নিয়ন্ত্রণকারী মহান আল্লাহ তা'আলা। তিনি সবকিছু ভাল মন্দ নির্ধারণ করেন। মানুষ যেটা চাই সেটা করতে পারবে না অর্থাৎ, মানুষ তার কাজের জন্য চেষ্টা সাধনা করতে পারবে কিন্তু ফলাফলের জন্য আল্লাহর উপর বিশ্বাস করতে হবে।
মৃত্যুর পর পরবর্তী জীবনের প্রতি বিশ্বাস
মানুষের মৃত্যুর সাথে সাথেই তার জীবন শেষ হয়ে যায় না অর্থাৎ দুইভাবে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। ইহকাল ও পরকাল ।দুনিয়ার জীবনটা হলো ইহকাল এবং মৃত্যুর পর পরবর্তী জীবনটা হলো পরকাল। মৃত্যুর পরে মানুষকে আল্লাহ তা'আলা আবার জীবিত করবেন সে সময় মানুষ হাশরের ময়দানে একত্রিত হবে বিচারক হিসেবে আল্লাহতালা থাকবেন মানুষের ভালো কাজের জন্য পুরস্কার দিবেন জান্নাত এবং মন্দ কাজের জন্য শাস্তি দিবেন জাহান্নাম। এজন্য মৃত্যুর পর আমরা সবাই পুনরায় জীবিত হবো এ বিশ্বাস অপরিহার্য ঈমানের জন্য।

Tags:   ইমান শব্দের অর্থ  কী

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url