get real information সিজোফ্রেনিয়া | সিজোফ্রেনিয়া কি/কী | সিজোফ্রেনিয়া রোগের লক্ষন | সিজোফ্রেনিয়া রোগের কারণ | সিজোফ্রেনিয়া রোগের ধরণ | সিজোফ্রেনিয়া রোগের চিকিৎসা ২০২২
সিজোফ্রেনিয়া
সিজোফ্রেনিয়া কি
সিজোফ্রেনিয়া একটি গুরুতর এবং দীর্ঘকালস্থায়ী মানসিক ব্যাধি যা মানুষের চিন্তাভাবনা, আচার-আচরণ, অনুভুতির প্রকাশ এবং বাস্তবতাকে অনুভব করার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে পাশাপাশি দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটায়।
লক্ষণ
বিভ্রম-সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে এই লক্ষণ টি দেখা যায়। আক্রান্ত ব্যক্তি মনে করে তাকে ক্ষতিগ্রস্ত এবং হয়রানি করা হচ্ছে,তার ব্যাতিক্রমধর্মী কোনো খ্যাতি আছে বা বড় ধরনের বিপর্যয় হতে যাচ্ছে।
অলীক কিছুর অস্তিত্বে বিশ্বাস বা হ্যালুসিনেশন -আক্রান্ত ব্যক্তি এমন কিছু দেখে বা শুনে যার প্রকৃতপক্ষে কোনো অস্তিত্ব নেই।
এলোমেলো চিন্তাভাবনা – আক্রান্ত ব্যক্তির কার্যকর যোগাযোগ করতে বাধার সৃষ্টি হয়,কোনো প্রশ্নের উত্তরে আংশিক বা পুরোপুরি অসামঞ্জস্যপূর্ণ উত্তর দিতে পারে।
অস্বাভাবিক ব্যবহার ও কাজকর্ম – এটি বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেতে পারে,বাচ্চাসুলভ বোকামি থেকে অপ্রত্যাশিত বিচলন পর্যন্ত। অসঙ্গত অঙ্গভঙ্গি, ডাকে সাড়া না দেওয়া এর অন্তর্ভুক্ত।
নেতিবাচক লক্ষণ- আক্রান্ত ব্যক্তির কাজ করার সামর্থ্য কমে যায়,নিজের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধিকে অগ্রাহ্য করে,দৈনন্দিন কাজকর্মে অনীহা প্রকাশ করে।কথোপকথনে চোখ মেলায় না, চেহারার অভিব্যক্তি পরিবর্তন করে না।
কারণ
ঠিক কোন কারনে সিজোফ্রেনিয়া হয় তা এখনো অজানা।তবে গবেষকেরা কয়েকটি কারনের কথা উল্লেখ করেছেন-
🔷মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা।
🔷পরিবেশগত কারনে (ভাইরাল ইনফেকশন, মনোসামাজিক ফ্যাক্টর যেমন জীবনের কোন পর্যায়ে কোন মানসিক আঘাতের কারনে)
🔷নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ।
🔷পারিবারিক ইতিহাস বা জিনগত কারনে।
আক্রানের হার এবং লক্ষণ প্রকাশের সময়
National Institute of Mental Health (NIMH) এর তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ০.২৫ থেকে ০.৬৪% মানুষ সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। সাধারণত ২০-৩০ বছর বয়সের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পায়।মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের ক্ষেত্রে লক্ষণ আগেই প্রকাশ পায়।
ধরন
DSM(Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders) এর পূর্ববর্তী ভার্শন DSM-IV যেসব ধরনের কথা বলেছে তা হলো-
🔷 paranoid
🔷 Catatonic
🔷 Hebephrenic
🔷 Residual
🔷 Undifferentiated
তবে DSM এর বর্তমান ভার্শন DSM-V, ২০১৩ সালে এই ক্যাটাগরি গুলোকে বাতিল করেছে।
চিকিৎসা
সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ প্রশমিত হলেও জীবনব্যাপী চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। ওষুধপ্রয়োগ,মনোসামাজিক থেরাপি,কাউন্সেলিং এর সাহায্যে অবস্থার উন্নতি সম্ভব।এক্ষেত্রে সাধারণত এন্টিসাইকোটিক ওষুধের পরামর্শ দেওয়া হয় যা মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটার ডোপামিনে প্রভাব ফেলার মাধ্যমে লক্ষণ প্রশমনে কাজ করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়।
আপনার করণীয়
সিজোফ্রেনিয়ার চিকিৎসা এবং আরোগ্য লাভের ক্ষেত্রে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের ভালোবাসা ও সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। আপনার পরিচিত কেউ সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হলে তার সঠিক চিকিৎসায় সহায়তা করুন,তাকে উৎসাহ দিন,মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করুন।
— মারজিয়া রহমান
বি.ফার্ম প্রফেশনাল ইয়ার-১
ডিপার্টমেন্ট অফ ফার্মেসী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
⭐ References:
(1) https://www.mayoclinic.org/diseases-conditions/schizophrenia/symptoms-causes/syc-20354443
(2) https://www.mayoclinic.org/diseases-conditions/schizophrenia/diagnosis-treatment/drc-20354449
(3) https://www.verywellmind.com/what-causes-schizophrenia-2953136
(4) https://www.medicalnewstoday.com/articles/192770
Tag: সিজোফ্রেনিয়া, সিজোফ্রেনিয়া কি/কী, সিজোফ্রেনিয়া রোগের লক্ষন, সিজোফ্রেনিয়া রোগের কারণ, সিজোফ্রেনিয়া রোগের ধরণ, সিজোফ্রেনিয়া রোগের চিকিৎসা