সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত | সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত | সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের অর্থ | সূরা তাওবার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত - Time Of BD - Education Blog

হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০২৩ ভিজিটর বন্ধুরা। দোয়া করি, এই বছরের প্রতিটি মুহুর্ত যেনো সকলের অনেক আনন্দে কাটে।

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত | সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত | সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের অর্থ | সূরা তাওবার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত, সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত, বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের অর্থ, সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াতের ফজিলত, সূরা তাওবার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত।

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। আমার দ্বীনী ভাই ও বোনেরা আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রিয়  ভাই ও বোনেরা আজ আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম:- সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত, সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত, বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের অর্থ, সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াতের ফজিলত, সূরা তাওবার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত।

সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফযীলত / বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত 


সুরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত (২৮৫+২৮৬, আমানার রাসূলু থেকে শেষ পর্যন্ত) তেলাওয়াত করার অনেক উপকারের কথা সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। শেষ আয়াতে অত্যন্ত জরুরি কয়েকটি দুয়া রয়েছে। এসব দুয়া কবুল হওয়ার ওয়াদাও করা হয়েছে।


> প্রিয় নবীজী (সাঃ) একদিন বললেন, “এই মাত্র আকাশের একটি দরজা খোলা হয়েছে। এর আগে কখনও এ দরজাটি খোলা হয়নি, এ দরজা দিয়ে একজন ফেরেশতা অবতরণ করছেন। এর আগে তিনি কখনও পৃথিবীতে অবতরণ করেননি। এ ফেরেশতা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে সালাম করে বলেন, সুসংবাদ গ্রহণ করুন আপাদমস্তক দুটি নূরের, যা আপনার আগে কোন নবীকে দেয়া হয়নি।


১) ফাতেহাতুন কিতাব অর্থাৎ সুরা ফাতেহা এবং
২) সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত।


> উভয় আয়াতে দোয়া আছে। আল্লাহর উসিলা করে, আপনি এসব দোয়ার যে অংশই পাঠ করবেন আল্লাহ আপনাকে অবশ্যই রহমত দান করবেন, (অর্থাত কবুল করা হবে)।  
(সহীহ মুসলিম)


> রাতের বেলা ঘুমানোর পূর্বে সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করলে তাহাজ্জুদ নামাযের সমান সওয়াব পাওয়ার আশা করা যেতে পারেঃ
 রাসুলুলাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

“যে ব্যক্তি রাতের বেলা সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পড়বে সেটা তার জন্য যথেষ্ঠ হবে।”

(বুখারি ৫০১০, মুসলিম ৮০৭)


> বিখ্যাত হাদীসের কিতাব, ‘রিয়াদুস সালেহীন’ এর লেখক ও সহীহ মুসলিমের ভাষ্যকার, ইমাম আন-নববী (রহঃ) বলেন,
“এর অর্থ কেউ বলেছেন, কিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুদ নামাযের জন্য যথেষ্ঠ হবে। কেউ বলেছেন, শয়তানের অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য যথেষ্ঠ হবে। কেউ বলেছেন, বালা-মুসিবত থেকে নিরাপত্তা পাওয়া যাবে। তবে সবগুলো অর্থ সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
শারহুন নববী আলা সহিহ মুসলিমঃ 
(৬/৩৪০, হাদীস ৮০৭)


> সহীহ বুখারীর ভাষ্যকার, আমিরুল মুমিনিন ফিল হাদীস, ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রহঃ) এই অভিমত সমর্থন করে বলেন, উপরের সবগুলো অর্থ নেওয়া সঠিক। আল্লাহ ভালো জানেন। প্রথম অর্থটি (তাহাজ্জুদের সমান সওয়াব পাওয়া যাবে) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে একটি মারফু হাদীসে স্পষ্ট ঊল্লেখ আছে।
 (ফাতহুল বারীঃ ৮/৬৭৩, হাদীস নং- ৫০১০)


> এ কারণেই আলী (রাঃ) বলেন, “আমার মতে যার সামান্যও বুদ্ধিজ্ঞান আছে, সে এ দুটি আয়াত পাঠ করা ছাড়া নিদ্রা যাবে না”।
মানাকিবুস সাহাবা, ইমাম নববী এটাকে সহীহ বলেছেন, আল-আযকার।


> হজরত আবু মাসউদ (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত রাতে পাঠ করবে, তার জন্য এ দুটি আয়াত যথেষ্ট হবে; অর্থাৎ সারারাত সে জিন ও মানুষের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে এবং প্রতিটি অপ্রিয় বিষয় থেকে তাকে হেফাজত করা হবে।
(সহীহ বুখারি ও সহীহ মুসলিম)

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত 


হজরত মাকাল ইবনে ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালে তিন বার “আউযুবিল্লাহিস্সামিউল আলিমি মিনাশ শাইত্বানির রাজীমʼʼ পাঠ করার পর  ‘সুরা হাশরের’ সর্বশেষ তিন আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য আল্লাহ তাআলা ৭০ হাজার রহমতের ফেরেশতা নিয়োগ করবেন।সে ফেরেশতাগণ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার ওপর আল্লাহর রহমত প্রেরণ করতে থাকবে। যদি ঐ দিন সে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন তবে সে শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করবে।আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যার সময় এ আয়াতগুলো পাঠ করবে তাঁর জন্যও আল্লাহ তাআলা ৭০ হাজার রহমতের ফেরেশতা নিয়োগ করবেন। যারা তাঁর ওপর সকাল হওয়া পর্যন্ত রহমত প্রেরণ করতে থাকবে। আর যদি ঐ রাতে সে মৃত্যুবরণ করে তবে শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করবে।ʼʼ

সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের অর্থ 


২৮৫. রসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। তারা বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।

২৮৬. আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।

সূরা তাওবার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত 


মানুষের কল্যাণে কুরআ নাজিল করা হয়েছে। যা মুমিনের পথ প্রদর্শক এবং সকল সমস্যার সমাধানকারী। যার মধ্যে নিহিত রয়েছে সকল সমস্যার সমাধান। মানুষের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণে রয়েছে বিশেষ কিছু আয়াত। তন্মধ্যে সুরা তাওবার শেষ দুই আয়াতও বিদ্যমান। এখানে আয়াতদ্বয় ও তার ফজিলত তুলে ধরা হলো


উচ্চারণ:- লাক্বাদ ঝা-আকুম রাসু-লুম মিন আংফুসিকুম আযিযুন আলাইহি মা- আনিত্তুম হারিছুন আলাইকুম বিলমু’মিনি-না রাউ’-ফুর রাহি-ম। ফা ইং তাওয়াল্লাও ফাক্বুল হাসবিয়াল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা- হুয়া আলাইহি তাওয়াক্‌কাল্‌তু ওয়া হুয়া রাব্বুল আ’রশিল আজি-মি। (সুরা তাওবা : আয়াত ১২৮-১২৯ )


> হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি لَقَدْ جَاءكُمْ হতে رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ পর্যন্ত প্রত্যেকদিন একশত (১০০) বার পাঠ করবে, সে পার্থিব ও পরকালীন সকল বিপদ-আপদ হতে মুক্তি পাবে।


> অন্য এক বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তি এ দুই আয়াত পাঠ করে কোনো বিচারকের সামনে যাবে বিচারক তার প্রতি সহৃদয়তা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে।


> অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, ‘যে ব্যক্তি এ দু’ আয়াত দিনে কমপক্ষে দু’বার পাঠ করবে, সে দিন তার মৃত্যু হবে না।


আল্লাহ তাআলা সকল মুসলিম জাতিকে  সুরা তাওবার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত অর্জনের তাওফিক দান করুন। (আমিন)



Tag: সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত, সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত, বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের অর্থ, সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াতের ফজিলত, সূরা তাওবার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url