কোরআন শরীফের শেষ দশটি সূরা | কোরআন শরীফে মোট কতটি সূরা আছে | কোরআন শরীফের ছোট সূরা সমূহ | কোরআন শরীফের শেষ সূরা কোনটি

কোরআন শরীফের শেষ দশটি সূরা, কোরআন শরীফে মোট কতটি সূরা আছে, কোরআন শরীফের ছোট সূরা সমূহ, কোরআন শরীফের সূরা, কোরআন শরীফের শেষ সূরা কোনটি।

 আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। আমার দ্বীনী ভাই ও বোনেরা আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রিয়  ভাই ও বোনেরা আজ আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম:- কোরআন শরীফের শেষ দশটি সূরা, কোরআন শরীফে মোট কতটি সূরা আছে, কোরআন শরীফের ছোট সূরা সমূহ, কোরআন শরীফের সূরা, কোরআন শরীফের শেষ সূরা কোনটি।

কুরআন শরীফের শেষ  দশটি সূরা 


সূরা ফীল:-

بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

 শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু


[1]  أَلَم تَرَ كَيفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصحٰبِ الفيلِ

[1] আলাম্ তার কাইফা ফা‘আলা রব্বুকা বিআছ্হা-বিল্ ফীল্।

[1] আপনি কি দেখেননি আপনার পালনকর্তা হস্তীবাহিনীর সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন? 
 

[2]  أَلَم يَجعَل كَيدَهُم فى تَضليلٍ

[2] আলাম্ ইয়াজ‘আল্ কাইদাহুম্ ফী তাদ্ব্লীলিঁও

[2] তিনি কি তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেননি?


[3]  وَأَرسَلَ عَلَيهِم طَيرًا أَبابيلَ

[3] অ র্আসালা ‘আলাইহিম্ ত্বোয়াইরন্ আবা-বীলা-

[3] তিনি তাদের উপর প্রেরণ করেছেন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী,


[4]  تَرميهِم بِحِجارَةٍ مِن سِجّيلٍ

[4] তারমীহিম্ বিহিজ্বা-রতিম্ মিন্ সিজ্জ্বীলিন্

[4] যারা তাদের উপর পাথরের কংকর নিক্ষেপ করছিল।


[5]  فَجَعَلَهُم كَعَصفٍ مَأكولٍ

[5] ফাজ্বা‘আলাহুম্ কা‘আছ্ফিম্ মাকূল্।

[5] অতঃপর তিনি তাদেরকে ভক্ষিত তৃণসদৃশ করে দেন।


সূরা কোরাইশ:-

[1]  لِإيلٰفِ قُرَيشٍ

[1] লিঈলা-ফি কুরইশিন্।

[1] কোরাইশের আসক্তির কারণে,
 

[2]  إۦلٰفِهِم رِحلَةَ الشِّتاءِ وَالصَّيفِ

[2] ঈলা-ফিহিম্ রিহ্লাতাশ্ শিতা-য়ি অছ্ছোয়াইফ্।

[2] আসক্তির কারণে তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালীন সফরের।
 

[3]  فَليَعبُدوا رَبَّ هٰذَا البَيتِ

[3] ফাল্ইয়া’বুদূ রব্বাহা-যাল্ বাইতি

[3] অতএব তারা যেন এবাদত করে এই ঘরের পালনকর্তার


[4]  الَّذى أَطعَمَهُم مِن جوعٍ وَءامَنَهُم مِن خَوفٍ

[4] ল্লাযী আত্ব‘আমাহুম্ মিন্ জুইঁও ওয়া আ-মানাহুম্ মিন্ খাওফ্।

[4] যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।


সূরা মাউন:-

[1]  أَرَءَيتَ الَّذى يُكَذِّبُ بِالدّينِ

[1] আরয়াইতাল্লাযী- ইয়ুকায্যিবু বিদ্দীন্।

[1] আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে?


[2]  فَذٰلِكَ الَّذى يَدُعُّ اليَتيمَ

[2] ফাযা-লিকাল্লাযী ইয়াদু’উ’ল্ ইয়াতীমা

[2] সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়
 

[3]  وَلا يَحُضُّ عَلىٰ طَعامِ المِسكينِ

[3] অলা-ইয়াহুদ্ব্দু ‘আলা-তোয়া‘আ- মিল্ মিসকীন্।

[3] এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।


[4]  فَوَيلٌ لِلمُصَلّينَ

[4] ফাওয়াইলুল্লিল্ মুছোয়াল্লীনা।

[4] অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,


[5]  الَّذينَ هُم عَن صَلاتِهِم ساهونَ

[5] ল্লাযীনাহুম্ ‘আন্ ছলা-তিহিম্ সা-হূন্।

[5] যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর;


[6]  الَّذينَ هُم يُراءونَ

[6] আল্লাযীনা হুম্ ইয়ুরা-য়ূনা

[6] যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে


[7]  وَيَمنَعونَ الماعونَ

[7] অইয়াম্ না‘ঊনাল্ মা-‘ঊন্।

[7] এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।


সূরা কাওসার:-

[1]  إِنّا أَعطَينٰكَ الكَوثَرَ

[1] ইন্না য় আ’ত্বোয়াইনা-কাল্ কাওর্ছার।

[1] নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি।


[2]  فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانحَر

[2] ফাছোয়াল্লি লিরব্বিকা ওয়ার্ন্হা।

[2] অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন।
 

[3]  إِنَّ شانِئَكَ هُوَ الأَبتَرُ

[3] ইন্না শা য় নিয়াকা হুওয়াল্ আর্ব্তা।

[3] যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ।


সূরা কাফিরুন:-

[1]  قُل يٰأَيُّهَا الكٰفِرونَ

[1] কুল্ ইয়া য় আইয়ুহাল্ কা-ফিরূনা ।

[1] বলুন, হে কাফেরকূল,
 

[2]  لا أَعبُدُ ما تَعبُدونَ

[2]  লা য় আ’বুদু মা তা’বুদূনা।

[2] আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর।
 

[3]  وَلا أَنتُم عٰبِدونَ ما أَعبُدُ

[3] অলা য় আন্তুম্ ‘আ-বিদূনা মা য় আ’বুদ্।

[3] এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি


[4]  وَلا أَنا۠ عابِدٌ ما عَبَدتُم

[4] অলা য় আনা ‘আ-বিদুম্ মা-‘আবাততুম্।

[4] এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর।


[5]  وَلا أَنتُم عٰبِدونَ ما أَعبُدُ

[5] অলা য় আন্তুম্ ‘আ-বিদূনা মা য় আ’বুদ্।

[5] তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি।
 

[6]  لَكُم دينُكُم وَلِىَ دينِ

[6] লাকুম্ দীনুকুম্ অলিয়াদীন্।

[6] তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।


সূরা নছর:-

[1]  إِذا جاءَ نَصرُ اللَّهِ وَالفَتحُ

[1] ইযা-জ্বা-য়া নাছ্রুল্লা-হি অল্ফাত্হু

[1] যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়


[2] وَرَأَيتَ النّاسَ يَدخُلونَ فى دينِ اللَّهِ أَفواجًا

[2]  অরয়াইতান্না-সা ইয়াদ্খুলূনা ফী দীনিল্ লা-হি আফ্ওয়া-জ্বা-।

[2] এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন,
 

[3]  فَسَبِّح بِحَمدِ رَبِّكَ وَاستَغفِرهُ ۚ إِنَّهُ كانَ تَوّابًا

[3] ফাসাব্বিহ্ বিহাম্দি রব্বিকা অস্তার্গ্ফিহু; ইন্নাহূ কা-না তাওয়্যা-বা-।

[3] তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী।


সূরা লাহাব:-

[1]  تَبَّت يَدا أَبى لَهَبٍ وَتَبَّ

[1] তাব্বাত্ ইয়াদা য় আবী লাহাবিঁও অতাব্।

[1] আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে,
 

[2]   ما أَغنىٰ عَنهُ مالُهُ وَما كَسَبَ

[2] মা য় আগ্না-‘আন্হু মা-লুহূ অমা-কাসাব্

[2] কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে।
 

[3]  سَيَصلىٰ نارًا ذاتَ لَهَبٍ

[3] সাইয়াছ্লা- না-রন্ যা-তা লাহাবিঁও।

[3] সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে
 

[4]  وَامرَأَتُهُ حَمّالَةَ الحَطَبِ

[4] অম্রয়াতুহ্; হাম্মা-লাতাল্ হাত্বোয়াব্।

[4] এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে,


[5]  فى جيدِها حَبلٌ مِن مَسَدٍ

[5] ফী জ্বীদিহা-হাব্লুম্ মিম্ মাসাদ্। 

[5] তার গলদেশে খর্জুরের রশি নিয়ে।


সূরা এখলাছ:-

[1]  قُل هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

[1] কুল্ হুওয়াল্লা-হু আহাদ্।

[1] বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,


[2]  اللَّهُ الصَّمَدُ

[2] আল্লা-হুচ্ছমাদ্।

[2] আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,


[3]  لَم يَلِد وَلَم يولَد

[3] লাম্ ইয়ালিদ্ অলাম্ ইয়ূলাদ্।

[3] তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি।

 
[4]  وَلَم يَكُن لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ

[4] অলাম্ ইয়া কুল্লাহূ কুফুওয়ান্ আহাদ্।

[4] এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।


সূরা ফালাক:-

[1]  قُل أَعوذُ بِرَبِّ الفَلَقِ

[1] কুল্ আ‘ঊযু বিরব্বিল্ ফালাক্বি।

[1] বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার,
 

[2]  مِن شَرِّ ما خَلَقَ

[2] মিন্ শাররি মা-খলাক্ব।

[2] তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে,


[3]  وَمِن شَرِّ غاسِقٍ إِذا وَقَبَ

[3]  অমিন্ শাররি গ-সিক্বিন্ ইযা-অক্বাব্।

[3] অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়,
 

[4]  وَمِن شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِى العُقَدِ

[4] অমিন্ শাররি ন্নাফ্ফা-ছা-তি ফিল্ ‘উক্বদ্।

[4] গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে।


[5]  وَمِن شَرِّ حاسِدٍ إِذا حَسَدَ

[5] অমিন্ শাররি হা-সিদিন্ ইযা-হাসাদ্।

[5] এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।


সূরা নাস:-

[1]  قُل أَعوذُ بِرَبِّ النّاسِ

[1] কুল্ আ‘ঊযু বিরব্বিন্না-স্।

[1] বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার,


[2]  مَلِكِ النّاسِ

[2] মালিকিন্না-স্ ।

[2] মানুষের অধিপতির,

 

[3]  إِلٰهِ النّاسِ

[3] ইলা-হি ন্না-স্

[3] মানুষের মা’বুদের
 

[4]  مِن شَرِّ الوَسواسِ الخَنّاسِ

[4]  মিন্ শাররিল ওয়াস্ ওয়া-সিল্ খান্না-সি

[4] তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে,


[5]  الَّذى يُوَسوِسُ فى صُدورِ النّاسِ

[5] আল্লাযী ইউওয়াস্ওয়িসু ফী ছুদূরিন্না-স্।

[5] যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে
 

[6]  مِنَ الجِنَّةِ وَالنّاسِ

[6] মিনাল্ জ্বিন্নাতি অন্না-স্।

[6] জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।

কোরআন শরীফে মোট কতটি সূরা আছে 


কোরআন শরীফে "সর্বমোট ১১৪ টি" সূরা আছে

কোরআন শরীফের ছোট সূরা সমূহ


> সূরা ফাতিহা
> সূরা বালাদ
> সূরা শামস 
> সুরা লাইল 
> সূরা দুহা 
> সূরা ইনশিরাহ 
> সূরা তীন 
> সূরা আলাক 
> সূরা কদর 
> সুরা বায়্যিনাহ 
> সূরা যিলযাল 
> সূরা আদিয়াত 
> সূরা কারিআহ
> সুরা তাকাছুর
> সূরা আসর 
> সূরা হুমাযাহ 
> সূরা ফীল 
> সূরা কুরাইশ
> সুরা মাউন
> সূরা কাউছার
> সূরা কাফিরুন
> সূরা নাছর 
> সুরা লাহাব
> সূরা ইখলাছ
> সূরা ফালাক 
> সূরা নাস

কোরআন শরীফের সূরা 


কোরআন শরীফের সূরা "১১৪ টি"

কোরআন শরীফের শেষ সূরা কোনটি 


কোরআন শরীফের শেষ সূরা "আন-নাস"


বিঃদ্রঃ কোনো ভুল হলে কমেন্টে জানাবেন সঠিক করে নিবো ইনশাআল্লাহ।


Tag: কোরআন শরীফের শেষ দশটি সূরা, কোরআন শরীফে মোট কতটি সূরা আছে, কোরআন শরীফের ছোট সূরা সমূহ, কোরআন শরীফের সূরা, কোরআন শরীফের শেষ সূরা কোনটি।