সূরা ফাতিহার আরবি অর্থ উচ্চারণ বাংলা ইংরেজি অনুবাদ শানে নুযুল ফজিলত তাফসীর Surah Fatiha Arabic Meaning Pronunciation Thafseer of Bengali English at Surah Fatiha

Mijan Ahmed
0
সূরা ফাতিহার আরবি অর্থ উচ্চারণ বাংলা ইংরেজি অনুবাদ শানে নুযুল ফজিলত তাফসীর Surah Fatiha Arabic Meaning Pronunciation Thafseer of Bengali English at Surah Fatiha


সূরা ফাতিহার আরবি অর্থ উচ্চারণ বাংলা ইংরেজি অনুবাদ শানে নুযুল ফজিলত তাফসীর Surah Fatiha Arabic Meaning Pronunciation Thafseer of Bengali English at Surah Fatiha|


আসসালামুয়ালাইকুম, প্রিয় বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালই আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালই আছি। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি। বিষয়টি হলো সূরা ফাতিহার আরবি অর্থ উচ্চারণ বাংলা ইংরেজি অনুবাদ শানে নুযুল ফজিলত তাফসীর ও আরও বিভিন্ন বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে আপনারা যা জানতে পারবেন তা হচ্ছেঃ সূরা ফাতিহা বাংলা তাফসীর, সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ, সূরা ফাতিহা বাংলা অনুবাদ সহ, সূরা ফাতিহা বাংলা অর্থসহ, ইমামের পিছনে কি সূরা ফাতিহা পড়তে হবে, সূরা ফাতিহা বাংলা লেখা, সূরা ফাতিহা ও অর্থ, সূরা ফাতিহা এর বাংলা অর্থ, সূরা ফাতিহা বাংলা অর্থসহ,  সূরা ফাতিহা এর শানে নুযুল, ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়ার দলিল, ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়া যাবে কি না,  কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমান কি, সূরা ফাতিহা এর ফজিলত, নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার বিধান। নিচে সূূূরা ফাতিহার বিভিন্ন বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। 

               সূরা আল ফাতিহা

             بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ

         বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম


শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

In the name of Allah, the Beneficent, the Merciful.


[1] الحَمدُ لِلَّهِ رَبِّ العٰلَمينَ

[1] আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আ’লামীন

[1] যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।

[1] All the praises and thanks be to Allah, the Lord of the 'Âlamîn (mankind, jinn and all that exists).


[2] الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ

[2] আর রাহমানির রাহীমি

[2] যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।

[2] The Most Gracious, the Most Merciful


[3] مٰلِكِ يَومِ الدّينِ

[3] মালিকি ইয়াওমিদ্দীন

[3] যিনি বিচার দিনের মালিক।

[3] The Only Owner (and the Only Ruling Judge) of the Day of Recompense (i.e. the Day of Resurrection)


[4] إِيّاكَ نَعبُدُ وَإِيّاكَ نَستَعينُ

[4] ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাঈন

[4] আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।

[4] You (Alone) we worship, and You (Alone) we ask for help (for each and everything).


[5] اهدِنَا الصِّرٰطَ المُستَقيمَ

[5] ইহ্দিনাস্ সিরাতাল মোস্তাকীম

[5] আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,

[5] Guide us to the Straight Way.


[6] صِرٰطَ الَّذينَ أَنعَمتَ عَلَيهِم غَيرِ المَغضوبِ عَلَيهِم وَلَا الضّالّينَ

[6] সিরাতাল্লাজীনা আন আমতা আলাইহিম গাইরিল মাগদূবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দোয়াল্লিন

[6] সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।

[6] The Way of those on whom You have bestowed Your Grace, not (the way) of those who earned Your Anger (such as the Jews), nor of those who went astray (such as the Christians).

 

[7] آمين

[7] আমিন

[7] আমীন

[7] Amen

_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_

                      শানে নুযূল 

সূরার নাম ও কিছু বৈশিষ্ট্যঃ সূরা আল-ফাতিহা-ই সর্বপ্রথম কুরআন মজীদের একটি পূর্ণাঙ্গ সূরা হিসাবে রাসূলের প্রতি নাযিল হয়েছে। [তাবারী, কাশশাফ,, আল-ইতকান] সর্বপ্রথম অহীর মাধ্যমে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি যে আয়াত বা সূরার অংশ নাযিল হয় তা হচ্ছে সূরা আল-আলাক'-এর প্রাথমিক আয়াত কয়টি। দেখুন, বুখারী: ৩] সূরা আল-মুদাসসির-এর প্রাথমিক কতক আয়াত এর কিছুদিন পর নাযিল হয়। বুখারী ৪৯২২, ৪৯২৪] কিন্তু এই খণ্ড আয়াতসমূহ নাযিল হওয়ার মধ্যে একটিও পূর্ণাঙ্গ সূরা ছিল না। পূর্ণাঙ্গ সূরা প্রথম যা নাযিল হয়েছে, তা হচ্ছে সূরা আল ফাতিহা। কুরআন মজীদের ১১৪ টি সূরার মধ্যে প্রত্যেকটির জন্য একটি নাম নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এই নামকরণ ব্যাপারে কয়েকটি বিশেষ নীতি অনুসরণ করা হয়েছে। কোন কোন সূরার নাম রাখা হয়েছে এর প্রথম শব্দ দ্বারা। কোন সূরায় আলোচিত বিশেষ কোন কথা কিংবা তাতে উল্লেখিত বিশেষ কোন শব্দ নিয়ে তা-ই নাম হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। আবার কোন কোন সূরার নামকরণ করা হয়েছে তার আভ্যন্তরীণ ভাবধারা ও বিষয়বস্তুকে সম্মুখে রেখে। কয়েকটি সূরার নাম রাখা হয়েছে কোন একটি বিশেষ ঘটনার প্রতি খেয়াল রেখে। সূরা আল-ফাতিহার নাম রাখা হয়েছে কুরআনে এর স্থান-মর্যাদা, বিষয়বস্তু-ভাবধারা, এর প্রতিপাদ্য বিষয় ইত্যাদির প্রতি লক্ষ্য রেখে। এদিক দিয়ে সূরা আল-ফাতিহার স্থান সর্বোচ্চ। কননা অন্যান্য সূরার ন্যায় সূরা আল-ফাতিহার নাম মাত্র একটি নয়, অনেকগুলো। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নাম হচ্ছে।

ফাতিহাতুল কিতাবঃ কুরআনের চাবি-কাঠি৷ কেননা, এই সূরা দ্বারাই কুরআনের সূচনা হয়, কুরআনের প্রথম স্থানেই একে রাখা হয়েছে। কুরআন খুলে সর্বপ্রথম এই সূরা-ই পাঠ করতে হয়। কখনও কখনও এই নামের রূপান্তর হয়ে ফাতিহাতুল কুরআন হয়ে থাকে। এতে অর্থের দিক দিয়ে কোন পার্থক্যই সুচিত হয় না। 

উম্মুল কিতাবঃ আরবী ভাষায় 'উম্ম’ বলা হয় সর্ব ব্যাপক ও কেন্দ্ৰীয় মর্যাদাসম্পন্ন জিনিসকে। সৈন্য বাহিনীর ঝান্ডাকে বলা হয় উম্ম। কেননা সৈনিকবৃন্দ তারই ছায়াতলে সমবেত হয়ে থাকে। মক্কা নগরের আর এক নাম হচ্ছে, ‘উম্মুল কুরা’-জনপদসমূহের মা। কেননা, হজ্জের মৌসুমে সমস্ত মানুষ-সকল গোত্র ও জাতি এই শহরেই একত্রিত হয়। 

ইমাম বুখারী কিতাবুত তাফসীর-এর শুরুতে লিখেছেনঃ এর নাম ‘উম্মুল কিতাব’ এজন্য বলা হয়েছে যে, কুরআন লিখতে ও পড়তে তা-ই প্রথম এবং সালাতের কেরাতেও তা-ই প্রথম পাঠ করতে হয়। 

সূরাতুল হামদঃ তা'রীফ ও প্রশংসার সূরা। হামদ এই সূরার প্রথম শব্দ। ইহাতে আল্লাহর হামদ-তা'রীফ-প্রশংসা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে, সেই জন্য এটি এ সূরার জন্য যথার্থ নাম। 

সূরাতুস-সালাতঃ অর্থাৎ সালাতের সূরা। যেহেতু সব সালাতের সব রাকাআতেই এটি পাঠ করতে হয় সেজন্যই এই নামকরণ হয়েছে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, hijjad hot yj] autē, অর্থাৎ, যে ব্যক্তি নামাযে সূরা ফাতিহা পড়বে না, তার সালাত হবে না। বুখারীঃ ৭৫৬, মুসলিমঃ ৩৯৪]

আস-সাব'য়ুল মাসানীঃ বার বার পাঠ করার সাতটি আয়াত'। সূরা ফাতিহার সাতটি আয়াত রয়েছে এবং তা বার বার পাঠ করা হয় বলে এর আর এক নাম সাব’য়ুল মাসানী। অথবা সালাতের প্রতি রাকাআতেই তা পড়া হয় বলেই এর এই নাম। [আল-কাশশাফ, বাগভী, তাফসীর ইবন কাসীর, আল-ইতকান, আত-তাফসীরুস সহীহ] আয়াত সংখ্যাঃ এ ব্যাপারে কারও কোন দ্বিমত নেই যে, সূরা ফাতিহার মোট সাতটি আয়াত রয়েছে। এ জন্য হাদীস শরীফে একে সাতটি পুনরাবৃত্তিমূলক আয়াতের সূরা & all এা বলা হয়েছে। [বুখারী ৪৭০৩] পবিত্র কুরআনেও একে এ নামে উল্লেখ করা হয়েছে। [সূরা আল-হিজরঃ ৮৭] 

এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জেগেছেঃ সূরার পূর্বে যে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” উল্লেখিত হয়েছে তা সূরা ফাতিহার মধ্যে গণ্য আয়াত ও এর অংশ, না তা হতে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র কোন জিনিস? এর উত্তরে বলা যায়, কোন কোন সাহাবী “বিসমিল্লাহ” কে সূরা ফাতিহার অংশ মনে করতেন। পক্ষান্তরে অপর সাহাবীদের মতে এটি এ সূরার অংশ নয়। তবে মদীনা শরীফে সংরক্ষিত কুরআনে এটিকে সূরা আল-ফাতিহার অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। তাছাড়া অধিকাংশ কেরাআতেও এটিকে সূরার প্রথমে একটি আয়াত ধরা হয়েছে। এবং “সিরাতাল্লাযীনা আন'আমতা আলাইহিম গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওলাদ দ্বলীন” পর্যন্ত পুরোটাকে একই আয়াত ধরা হয়েছে। আর যারা বিসমিল্লাহকে সূরার আয়াত হিসেবে গণ্য করেননি তারা “সিরাতাল্লাযীনা আন'আমতা আলাইহিম” এই পর্যন্ত এক আয়াত, আর তার পরের অংশ "গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওলাদ দ্বলীন” কে আলাদা আয়াত সাব্যস্ত করে সাত আয়াত পূর্ণ করেছেন। [বাগভী]

নাযিল হওয়ার স্থানঃ গ্রহণযোগ্য মত হচ্ছে যে, সূরা আল-ফাতিহা মক্কায় অবতীর্ণ সূরা। অবশ্য কেউ কেউ বলেছেন, এটি মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে। আবার কারও মতে এটা একবার মক্কায় এবং আর একবার মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছিল। তাছাড়া এর অর্ধেক মক্কায় এবং অপর অর্ধেক মদীনায় নাযিল হয়েছে বলেও কেউ কেউ মত প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এ সব মত গ্রহণযোগ্য নয়। তার বড় প্রমাণ এই যে, সূরা আল-হিজর সর্বসম্মতভাবে মক্কী। তার ৮৭ নং আয়াতে বলা হয়েছেঃ 'আমরা আপনাকে সাতটি বার বার পঠনীয় আয়াত ও কুরআনে 'আযীম প্রদান করেছি।' এই বার বার পঠনীয় সাতটি আয়াতই হল সূরা আল-ফাতিহা। [বাগভী] তাছাড়া সালাত মক্কায়ই ফরয হয়েছিল এবং সূরা ফাতিহা ছাড়া কখনই সালাত পড়া হয়নি- এটাও সর্বসম্মত কথা।

================================

                      জিলত    

•পুরো কুরআন শরীফের গুরুত্বপূর্ণ সূরা ফাতিহা। এ সূরার মাধ্যমেই সূচনা হয়েছে পবিত্র কুরআনের। সূরাটিকে আল কুরআনের সার সংক্ষেপও বলা হয়। এ সূরা নাজিল হয়েছে মানুষের সার্বিক কল্যাণ মুক্তি ও পথপ্রদর্শক হিসেবে। সূরাটি ফজিলত ও বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে অন্য সব সূরার আলাদা। 

সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্যঃ এই সূরা কুরআনের সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ সূরা। তাওরাত, জবুর, ইনজিল, কুরআন কোনো কিতাবে এই সূরার তুলনীয় কোন সূরা নেই। বুখারি, মিশকাত : ২১৪২ º এই সূরা এবং সূরায়ে বাকারা’র শেষ তিনটি আয়াত হল আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত বিশেষ নূর, যা ইতিপূর্বে কোনো নবীকে দেওয়া হয়নি। মুসলিম শরীফ : ৮০৬

◑যে ব্যক্তি নামাজে সূরা ফাতিহা পাঠ করল না, তার ছালাত অপূর্ণাঙ্গ। রাসূলুল্লাহ (সা.) এ কথাটি তিনবার বললেন। মিশকাত : ৮২৩ 

➤আবু সাঈদ খুদরী রা. বলেন, একবার এক সফরে আমাদের এক সাথী জনৈক গোত্রপতিকে শুধুমাত্র সূরায়ে ফাতিহা পড়ে ফুঁ দিয়ে সাপের বিষ ঝাড়েন এবং তিনি সুস্থ হন। বুখারি শরীফ : ৫৪০৫ সুরা ফাতিহার বিশেষ মর্যাদা হলো, আল্লাহ এটিকে নিজের ও নিজের বান্দার মধ্যে ভাগ করে নিয়েছেন। একে বাদ দিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা সম্ভব নয়। সেজন্যই এর নাম দেয়া হয়েছে ‘উম্মুল কুরআন'। পবিত্র কুরআন মূলত তিনটি বিষয়ে বিন্যস্ত। তাওহীদ, আহকাম ও নছীহত। সূরায়ে ইখলাছে 'তাওহীদ' পূর্ণাঙ্গভাবে থাকার কারণে তা কুরআনের এক তৃতীয়াংশের মর্যাদা পেয়েছে। কিন্তু সূরায়ে ফাতিহায় তিনটি বিষয় একত্রে থাকার কারণে তা ‘উম্মুল কুরআন’ হওয়ার মহত্তম মর্যাদা লাভে ধন্য হয়েছে। তাফসীরে কুরতুবী : ১৪৮ সূরা ফাতিহার ফজিলতঃ সুরা ফাতিহার ফজিলত অপরিসীম। এর ফযীলত সম্পর্কে অনেক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি নিন্মরূপ। 

➤উবাই ইবনু কা'ব (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'আল্লাহ উম্মুল কুরআনের মত তাওরাত ও ইনজিলে কিছু নাযিল করেননি। এটিকেই বলা হয়, ‘আস-সাব’উল মাছানী' (বারবার পঠিত সাতটি আয়াত), যাকে আমার ও আমার বান্দার মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। আর আমার বান্দার জন্য তাই রয়েছে, সে যা চাইবে'। নাসায়ী শরীফ : ৩১৯ 

➤আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, তোমরা সূরা ফাতিহা পড়। কোন বান্দা যখন বলে আলহামদুলিল্লাহি রাবিবল আলামীন, তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। যখন বলে, আর-রহমা-নির রহীম, তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার গুণ বর্ণনা করেছে। বান্দা যখন বলে, মালিকি ইয়াউমিদ্দীন। আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার মর্যাদা বর্ণনা করেছেন। বান্দা যখন বলে, ইয়্যাকানা'বুদু ওয়া ইয়্যা কানাস্তাইন, আল্লাহ বলেন, হচ্ছে আমার ও আমার বান্দার মাঝের কথা। আমার বান্দার জন্য তাই রয়েছে, যা সে চায়। বান্দা যখন বলে, ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম.. (শেষ পর্যন্ত)। আল্লাহ বলেন, এসব হচ্ছে আমার বান্দার জন্য। আমার বান্দার জন্য তাই রয়েছে, যা সে চায়। মুসলিম শরীফ : ৩৯৫

➤ ইবনে আববাস (রা.) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে জিবরাঈল (আ.) উপাস্থিত ছিলেনা হঠাৎ জিবরাঈল (আ.) ওপর দিকে এক শব্দ শুনতে পেলেন এবং চক্ষু আকাশের দিকে করে বললেন, এ হচ্ছে আকাশের একটি দরজা যা পূর্বে কোনদিন খোলা হয়নি। সে দরজা দিয়ে একজন ফেরেশতা অবতীর্ণ হলেন এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে এসে বললেন, ‘আপনি দু'টি নূরের সুসংবাদ গ্রহণ করুন। যা আপনাকে প্রদান করা হয়েছে। তা আপনার পূর্বে কোন নবীকে প্রদান করা হয়নি। তা হচ্ছে সূরা ফাতিহা এবং সূরা বাকারার শেষ দু'আয়াত। মুসলিম শরীফ : ৮০৬ সূরা ফাতিহার সর্বাধিক পরিচিত নাম ‘সূরাতুল ফাতিহা’। তারপরও সূরা ফাতিহার স্থান, মর্যাদা, বিষয়বস্তু, ভাবভাষা, প্রতিপাদ্য বিষয় ইত্যাদির প্রতি লক্ষ্য রেখে এর বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যেক নামের সাথেই সূরাটির সামঞ্জস্য বিদ্যমান। এই সূরাটির ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। 


বিঃদ্রঃ কোনো ভুল হলে কমেন্টে জানাবেন সঠিক করবো ইনশাআল্লাহ।
ট্যাগঃ সূরা ফাতিহা বাংলা তাফসীর, সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ, সূরা ফাতিহা বাংলা অনুবাদ সহ, সূরা ফাতিহা বাংলা অর্থসহ, ইমামের পিছনে কি সূরা ফাতিহা পড়তে হবে, সূরা ফাতিহা বাংলা লেখা, সূরা ফাতিহা ও অর্থ, সূরা ফাতিহা এর বাংলা অর্থ, সূরা ফাতিহা বাংলা অর্থসহ,  সূরা ফাতিহা এর শানে নুযুল, ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়ার দলিল, ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়া যাবে কি না,  কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমান কি, সূরা ফাতিহা এর ফজিলত, নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার বিধান।

Post a Comment

0Comments

প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

Post a Comment (0)