ড্রোন কী/কি এবং ড্রোন টেকনোলজি কীভাবে কাজ করে | ড্রোন টেকনোলজি কীভাবে কাজ করে | ড্রোন কীভাবে কাজ করে | ড্রোন

Safwan Alam
0

 
ড্রোন কী/কি এবং ড্রোন টেকনোলজি কীভাবে কাজ করে | ড্রোন টেকনোলজি কীভাবে কাজ করে | ড্রোন কীভাবে কাজ করে | ড্রোন


ড্রোন কী/কি | ড্রোন টেকনোলজি কীভাবে কাজ করে


বর্তমান বিশ্বে প্রায় দেশেই ড্রোন ব্যবহার করছে, এর ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বে ড্রোন এর কদর ও বাড়ছে। ড্রোন ব্যবহারের কারনে প্রায় দেশ ই বাড়তি সুবিধা নিচ্ছে অনুন্নত দেশের তুলনায়। আসুন ড্রোন নিয়ে কিছু আলোচনা করি।


ড্রোন টেকনোলজিকে বলা হয় UAV বা Unmanned Aerial Vehicle প্রযুক্তি। এই সেক্টরে বিশাল বিনিয়োগের ফলে অনেক নতুন উদ্ভাবন আসছে। তাই প্রতি মাসেই বাজারে আমরা নিত্য নতুন প্রযুক্তির ড্রোন দেখছি।


ড্রোনের এরোডায়নামিক্স থেকে শুরু করে, ড্রোনের কাঠামো কোন ম্যাটেরিয়াল দিয়ে বানানো হবে, এর সার্কিট বোর্ড, চিপসেট, সফটওয়্যার এগুলি সব কিছু নিয়ে কাজ করে UAV।


কীভাবে ড্রোন কাজ করে

ড্রোনে সাধারণত কম ওজনের ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা হয়, যাতে এটি সহজেই উড়তে পারে। কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করার কারণে মিলিটারি ড্রোন তীব্র গতিতে অনেক উঁচুতেও উড়তে পারে।


আধুনিক ড্রোনগুলিতে বিভিন্ন প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানো হয়। এগুলিতে থাকে ইনফ্রারেড ক্যামেরা, জিপিএস, লেজার (কনজিউমার, কমার্শিয়াল, মিলিটারি ইএভি)। ড্রোনগুলি নিয়ন্ত্রণ করা হয় রিমোট গ্রাউন্ড কন্ট্রোল সিস্টেম দিয়ে। একে গ্রাউন্ড ককপিটও বলা হয়ে থাকে।

.


ড্রোনের গঠন

ড্রোনের মূলত দুটি অংশ থাকে। একটি ড্রোনের কাঠামো, অন্যটি ড্রোনের কন্ট্রোল সিস্টেম। ড্রোনের নাকের দিকে সেন্সর ও ন্যাভিগেশনাল সিস্টেম থাকে। বাকি অংশ ড্রোনের অন্যান্য যন্ত্রাংশ বসানোর কাজে লাগে। যেহেতু ড্রোনে মানুষ বসানোর প্রয়োজন হয় না, এর পুরো কাঠামোই টেকনোলজির কাজে ব্যবহার করা হয়।


ড্রোন তৈরিতে উচ্চ মানের জটিল কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা হয়। যা ড্রোনের ভাইব্রেশন কমিয়ে ফেলে। এতে করে ওড়ার সময় সাউন্ড কম হয়। ম্যাটেরিয়ালগুলি খুবই কম ওজনের হয়।

.


বিভিন্ন আকার ও ধরনের ড্রোন

ড্রোন ভিন্ন ভিন্ন আকারের হয়। সবচেয়ে বড় প্রিডেটর ড্রোন, এগুলি মিলিটারি কাজে ব্যবহার করা হয়।


এর পরে আছে আনম্যানড এয়ারক্রাফট। ফিক্সড পাখা থাকে, ওড়ানোর জন্য ছোট রানওয়ের প্রয়োজন হয়। সাধারণত বড় এলাকা নিয়ে কাজ করার সময় এই ড্রোনের প্রয়োজন হয়। কোনো এলাকার ভৌগোলিক সার্ভে করার সময় বা বন্য প্রাণী শিকারিদের ওপর নজর রাখতে ব্যবহৃত হয় এই ড্রোন।

.


রাডার পজিশনিং ও রিটার্ন হোম


সবচেয়ে নতুন ড্রোনে এখন দুটি গ্লোবাল নেভিগেশনাল স্যাটেলাইট সিস্টেমস (GNSS) ব্যবহার করা হয়। এর একটি হচ্ছে জিপিএস (GPS) এবং অন্যটি GLONASS। ড্রোন GNSS মোডে চলতে পারে আবার নন স্যাটেলাইট মোডেও চলতে পারে। যেমন DJI ড্রোন P মোডেও (GPS & GLONASS) চলে আবার ATTI মোডেও চলে, যেখানে জিপিএসের দরকার হয় না।


ড্রোন ওড়ার সময় নিখুঁত নেভিগেশনের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে যখন ড্রোন দিয়ে থ্রি-ডি ম্যাপ, ল্যান্ডস্কেপ সার্ভে ও সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ মিশন চালানো হয়।


কোয়াডকপ্টার অন করা হলে, সেটি জিএনএস স্যাটেলাইট খুঁজে বের করে। অনেকগুলি স্যাটেলাইট মিলে একসাথে কাজ করে যখন একটা সমন্বিত কাভারেজ দেয় সেটাকেই বলা হয় স্যাটেলাইট কনস্টেলেশন টেকনোলজি। তার মানে একটা স্যাটেলাইটের ইমেজের সাথে আরেকটা ওভারল্যাপ করে।


UAV ড্রোন প্রপালশন টেকনোলজি

প্রপালশন সিস্টেম বলতে বোঝানো হয় মোটর, ইলেক্ট্রনিক স্পিড কন্ট্রোলার ও প্রপেলার। এগুলির সাহায্যে ড্রোন আকাশে ওড়ে ও যেকোনো দিকে যেতে পারে। কোয়াডকপ্টারে মোটর ও প্রপেলার জোড়ায় কাজ করে। এখানে দুটি মোটর/প্রপেলার ঘোরে ঘড়ির কাঁটার দিকে (সিডব্লিউ প্রপেলার) অন্য দুইটা ঘোরে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত (সিসিডব্লিউ প্রপেলার) দিকে।


ওড়ার বা হোভার করার নির্দেশনা প্রপেলারগুলি ফ্লাইট কন্ট্রোলার ও ইলেকট্রনিক স্পিড কন্ট্রোলার থেকে পায়। UAV মোটর ও প্রপালশন সিস্টেমে খুবই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত এতে এই অংশগুলি থাকে:


• মোটর স্টেটর

• মোটর বেল (রোটর)

• বেয়ারিং

• উইন্ডিং (পাখা)

• কুলিং সিস্টেম

• ইলেকট্রনিক স্পিড কন্ট্রোলার

• ইএসসি আপডেইটার

• প্রপেলার

• ওয়ারিং

• আর্ম  


ইলেকট্রনিক স্পিড কন্ট্রোলার ড্রোনের মোটরকে স্পিড, ব্রেকিংয়ের ব্যাপারে সিগন্যাল দেয়। এই সফটওয়্যারের আরো কাজ হচ্ছে মোটর মনিটর করা ও ফল্ট টলারেন্স দেয়া। এখনকার বেশির ভাগ ড্রোন রিমোট কন্ট্রোল বা স্মার্টফোন অ্যাপ দিয়ে দিয়ে ওড়ানো যায়। এই অ্যাপগুলি গুগল প্লে বা অ্যাপল স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যায়।


ড্রোনে একাধিক ধরনের সেন্সর থাকতে পারে। একাধিক সেন্সর থেকে প্রাপ্ত ডেটা ব্যবহার করে ড্রোনের সফটওয়্যার আরো ভালো রেজাল্ট পায়। এই প্রযুক্তির নাম সেন্সর ফিউশন। সেন্সর ফিউশন হচ্ছে এমন একটি সফটওয়্যার যেটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে একাধিক সেন্সরের ডেটা থেকে রেজাল্ট বের করতে পারে। 


ধরা যাক একটি থার্মাল ক্যামেরা ও একটা রেগুলার আরজিবি ক্যামেরা আছে। সফটওয়্যার ফিউশন এই দুটি থেকে ডেটা নিয়ে অনেক ভালো পারফরমেন্সের নেভিগেশন করবে, যেটা একটা ক্যামেরা ব্যবহার করলে সম্ভব হতো না। একাধিক সেন্সর ব্যবহার করার ফলে একটি সেন্সরের ত্রুটি অন্যটি ঠিক করে দেয় ও নির্ভুল পজিশনিং, ওরিয়েন্টেশনের তথ্য পাওয়া যায়।


ভবিষ্যতে ড্রোন টেকনোলজির কারণে আমাদের শহুরে জীবনের অনেক কিছুই বদলে যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, আমাদের ভ্রমণ, পণ্য পরিবহণ, এমনকি আমাদের দালানকোঠার কীভাবে বানানো হবে তাও ঠিক করে দেবে এই ড্রোন প্রযুক্তি।

Tag:ড্রোন কী/কি এবং ড্রোন টেকনোলজি কীভাবে কাজ করে, ড্রোন টেকনোলজি কীভাবে কাজ করে | ড্রোন কীভাবে কাজ করে, ড্রোন

Tags

Post a Comment

0Comments

প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

Post a Comment (0)