ভারতের আয়তন ও জনসংখ্যা | Size and population of India

ভারত বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় পঞ্চমাংশ সহ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশ। বিশ্ব জনসংখ্যা সম্ভাবনাগুলির ২০১৯ সংশোধন অনুসারে জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৩৫২,৬৪২,২৮০।

১৯৭৫ এবং ২০১০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ১.২ বিলিয়নে পৌঁছেছিল, ১৯৯৮ সালে ভারত চীনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল দেশে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি প্রথম দেশে ১.৫ এরও বেশি আবাসিক দেশ হওয়ার আশা করা হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে বিলিয়ন মানুষ, এবং এর জনসংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে ১.৭ বিলিয়ন পৌঁছে যাবে। এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.১৩%, যা ২০১৩ সালে বিশ্বের ১১২ তম।

ভারতের জনসংখ্যার ২৫% বয়সের নিচে এবং ৩৫% এরও বেশি বয়স ৩৫ বছরের নিচে রয়েছে। আশা করা যায় যে, ২০২০ সালে একজন ভারতীয়ের গড় বয়স ২৯ বছর হবে, চীনের পক্ষে ৩৭ এবং ৪৮ এর তুলনায় জাপানের পক্ষে; এবং, ২০৩০ সালের মধ্যে, ভারতের নির্ভরতা অনুপাতটি ০.৪-এরও বেশি হওয়া উচিত।তবে, এক দশকেরও বেশি আগে ভারতে বাচ্চাদের সংখ্যা তুঙ্গে এবং এখন হ্রাস পাচ্ছে। ২০০৭ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী বাচ্চার সংখ্যাটি শীর্ষে উঠেছে এবং তার পর থেকে এই সংখ্যাটি হ্রাস পাচ্ছে। ১৫ বছরের কম বয়সী ভারতীয়ের সংখ্যা কিছুটা পরে শিখেছে (২০১১ সালে) এবং এখন হ্রাস পাচ্ছে।

ভারতে দুই হাজারেরও বেশি নৃগোষ্ঠী রয়েছে এবং প্রতিটি বড় ধর্মের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে, যেমন চারটি ভাষার প্রধান পরিবার (ইন্দো-ইউরোপীয়, দ্রাবিড়ীয়, অস্ট্রোয়াসিয়াটিক এবং সিনো-তিব্বতি ভাষা) পাশাপাশি দুটি ভাষার বিচ্ছিন্নতা: নিহালি ভাষা, যার মধ্যে কথা বলা হয় জম্মু ও কাশ্মীরের (কাশ্মীর) অংশে কথিত মহারাষ্ট্রের কিছু অংশ এবং বুরুশস্কি ভাষা। ভারতে ১,০০,০০০ মানুষ অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৭০০.০০০ পশ্চিমা ভারতে বসবাস করছেন।  তারা ভারতের মোট জনসংখ্যার ০.১% এর বেশি প্রতিনিধিত্ব করে। সামগ্রিকভাবে, কেবল আফ্রিকা মহাদেশই ভারত জাতির ভাষাগত, জেনেটিক এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে ছাড়িয়ে গেছে।

লিঙ্গ অনুপাত ২০১৬ সালে ১০০০ পুরুষের জন্য ৯৪৪ জন এবং ২০১১ সালে ১০০০ প্রতি .৯৪০ছিল।

ভারত ভারতীয় প্লেটের উপর অবস্থিত, ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের উত্তর অংশ, যার মহাদেশীয় ভূত্বকটি ভারতীয় উপমহাদেশের গঠন করে। দেশটি নিরক্ষরেখার উত্তরে 8 ° 4 'উত্তর থেকে 37°6' উত্তর অক্ষাংশ এবং 68°7 'পূর্ব থেকে 97 ° 25' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত t এটি বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম দেশ, মোট অঞ্চল সহ 3,287,263 বর্গকিলোমিটার (1,269,219 বর্গ মাইল)। ভারত উত্তর থেকে দক্ষিণে 3,214 কিমি (1,997 মাইল) এবং পূর্ব থেকে পশ্চিমে 2,933 কিমি (1,822 মাইল) পরিমাপ করে। এটির ভূমির সীমানা 15,200 কিলোমিটার (9,445 মাইল) এবং উপকূলরেখা 7,516.6 কিলোমিটার (4,671 মাইল) রয়েছে।

দক্ষিণে ভারত ভারত মহাসাগর দ্বারা সীমাবদ্ধ এবং এটি বিশেষত পশ্চিমে আরব সাগর, দক্ষিণ-পশ্চিমে লক্ষদ্বীপ সাগর, পূর্বে বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণে ভারত মহাসাগরের দ্বারা আবদ্ধ। পলক স্ট্রেইট এবং মান্নার উপসাগর ভারত শ্রীলঙ্কা থেকে তত্ক্ষণাত দক্ষিণপূর্ব পর্যন্ত পৃথক করে এবং মালদ্বীপ আট ডিগ্রি চ্যানেল জুড়ে ভারতের লক্ষদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে প্রায় 125 কিলোমিটার (78 মাইল) দূরে অবস্থিত। ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, মূল ভূখণ্ডের প্রায় 1,200 কিলোমিটার (750 মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে।

 কন্যাকুমারী 8 ° 4′41 ″ N এবং 77 ° 55′230 ″  এ ভারতীয় মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণতম প্রান্ত, যখন ভারতের দক্ষিণতম পয়েন্টটি গ্রেট নিকোবার দ্বীপের ইন্দিরা পয়েন্ট। ভারতীয় প্রশাসনের অধীনে যে উত্তরেরতম অবস্থানটি হ'ল তা হল ইন্দিরা করল, সিয়াচেন হিমবাহ।ভারতের উপকূলীয় জল সমুদ্রের উপকূলরেখা থেকে 12 নটিক্যাল মাইল (১৩.৮ মাইল; ২২.২ কিলোমিটার) পর্যন্ত সমুদ্রের মধ্যে বিস্তৃত ভারতের ১৮ তম বৃহত্তম আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অঞ্চল ২,৩০৫,১3৩ কিমি 2 (৮৯০,০১২ বর্গ মাইল) রয়েছে।

ভারতের উত্তর সীমান্ত মূলত হিমালয় পর্বতশ্রেণীর দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, যেখানে দেশটি চীন, ভুটান এবং নেপাল সীমান্তবর্তী। পাকিস্তানের সাথে এর পশ্চিম সীমান্তটি কারাকোরাম পরিসীমা, পাঞ্জাব সমভূমি, থার মরুভূমি এবং কাঁচা লবণের জলাভূমিতে অবস্থিত। সুদূর উত্তর-পূর্বে, চিন পাহাড় এবং কাচিন পাহাড়গুলি গভীরভাবে বনাঞ্চলীয় পার্বত্য অঞ্চলগুলি ভারতকে বার্মার থেকে পৃথক করেছে।

পূর্বে, বাংলাদেশের সাথে এর সীমানা মূলত খাসি পাহাড় এবং মিজো পাহাড় এবং ইন্দো-গাঙ্গেটিক সমভূমির জলাবদ্ধ অঞ্চল দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। স্পষ্টকরণের প্রয়োজন

গঙ্গা ভারতের দীর্ঘতম নদী। গঙ্গা – ব্রহ্মপুত্র সিস্টেমটি উত্তর, মধ্য ও পূর্ব ভারতবর্ষের বেশিরভাগ অংশ দখল করে এবং ডেকান মালভূমি দক্ষিণ ভারতের বেশিরভাগ অংশ দখল করে। ভারতের সিকিম রাজ্যের কাঞ্চনজঙ্ঘা 8,586 মিটার (28,169 ফুট) এবং বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ শিখর ভারতের সর্বোচ্চ পয়েন্ট ভারত জুড়ে জলবায়ু সুদূর দক্ষিণে নিরক্ষীয় থেকে শুরু করে হিমালয়ের উপরের অঞ্চলগুলিতে আলপাইন এবং টুন্ড্রা পর্যন্ত রয়েছে।