মহিলাদের নামাজের নিয়ম | মহিলাদের ঈদের জুমার নামাজের নিয়ম | Rules of women's prayers

মহিলাদের নামাজ, মহিলাদের নামাজের নিয়ম, মহিলাদের নামাজ পড়ার নিয়ম, মহিলাদের নামাজের সঠিক নিয়ম, মহিলাদের ঈদের নামাজ, মহিলাদের ঈদের নামাজের নিয়ম, মহিলাদের জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম, মহিলাদের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম

    মহিলাদের নামাজ

    আসসালামু আলাইকুম,প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করি আপনারা ভালো আছেন ।আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ । আজ আমরা আপনাদের শেয়ার করব মহিলাদের নামাজ  নিয়ে ।

    মহিলাদের নামাজের নিয়ম

    মহিলাদের নামাজের মধ্যে যেসব বড় সমস্যা দেখা দেয় তা ফরজের মধ্যেই বেশির ভাগ। যেমন- সতর ঢাকা একটি ফরজ। মহিলাদের সতর মুখমণ্ডল, হাতের কবজি এবং পায়ের গিরার নিচের অংশ। নামাজের সময় এই সতর পুরাপুরি ঢেকে রাখা একটি ফরজ তা বদ্ধ ঘরেই হোক বা লোকালয়ে সবার সামনেই হোক। নামাজের সময় দেখা যায় আমাদের প্রচলিত শাড়ি পরিধানের কারনে হাত বা পেটের অংশ বা মাথার চুলের অংশ দেখা যেতে থাকে। অত্যন্ত সতর্কতার সাথে এমন কাপড় পরিধান করে নামাজ পড়া যেন এই অংশ গুলো দেখা না যায়। যেমন- হজ্জে যাওয়ার সময় মহিলারা যে কাপড় পড়েন তাতে সতর পুরাপুরি ঢেকে থাকে। এই জন্য উত্তম হচ্ছে নামাজের জন্য আলাদা কাপড় রাখা। এবং ভাল ভাবে বুঝে নেই যে এই ফরজ আদায় ছাড়া নামাজ আদায় হবে না। যেমন অজু ছাড়া নামাজ আদায় হয়না তেমনি সতর খলা রেখে নামাজ পড়লেও সেই নামাজ আদায় হবেনা।

    মহিলাদের নামাজ পড়ার নিয়ম

    দ্বিতীয় যে জিনিসটি উল্লেখযোগ্য তা হল কিরাত। নামাজের মধ্যে কিরাত পড়া একটি ফরজ। কিরাত পড়ার শর্ত হচ্ছে ঠোঁট নড়বে, জিহবা নড়বে এবং সেটা সহিহ মাখরাজ থেকে আদায় হতে হবে। বহু লোক আছে যারা নামাজে মন্ত্র উচ্চারণের মত কিছু কথা বলে যাই যা আসলে সঠিক উচ্চারণ অনুযায়ী হয়না। অনেকেই ঠোঁট জিহবা নাড়ান না। বা নাড়ালেও এত দ্রুত নাড়ান যে উচ্চারণ সঠিক হয়না। এখানে আল্লাহর সাথে কথা বলা হচ্ছে। ধীর স্থির ভাবে আমরা একজন মানুষের সাথে যেভাবে কথা বলি সেভাবে কিরাত পড়া। আইন, হা এগুলকে সহিহ মাখরাজ থেকে আদায় করা। যদি কোন মহিলা না শিখে থাকি তবে মাহরাম এর কাছ থেকে শিখে নেব। অথবা অন্যান্য মহিলাদের কাছ থেকে শিখে নেব। শিখা টাও একটা ফরজ।

    মহিলাদের নামাজের সঠিক নিয়ম

    তৃতীয় যে বিষয় তা হল রুকু সিজদাহ’র মধ্যে অত্যন্ত তারাহুরা কর। রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর পর এক তাসবিহ পরিমান অপেক্ষা করা অর্থাৎ সুবহানআল্লাহ বলার সময় পরিমান সময় অপেক্ষা করা ওয়াজেব। দুই সিজদাহ’র মাঝখানে অই সময় পরিমান অপেক্ষা করা ওয়াজেব। রুকু থেকে উঠে সোজা হয়ে না দাড়ায়েই সিজদায় চলে যাওয়া বা দুই সিজদার মাঝে সোজা হয়ে না বসা আমাদের প্রচলিত একটি ভুল।

    মহিলাদের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম

    ওয়াক্ত মত নামাজ পড়া আরেকটি ফরজ। মহিলাদের জন্য উত্তম হচ্ছে আওয়াল ওয়াক্তে অর্থাৎ ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে নামাজ পরে নেওয়া।এটি আজানের সাথে সম্পৃক্ত নয়, আজান তো মসজিদে ডাকা হচ্ছে। ওয়াক্ত আরও আগেই শুরু হয়ে যায়। এজন্ন আওয়াল ওয়াক্তেই নামাজ পরে নেওয়া। অনেক সময় দেখা যায় রাতে গোসল ফরজ হওয়ার কারনে সকালে অনেক দেরি করে গোসল করে নামাজ পড়া হচ্ছে যা উচিৎ না। যদি ওয়াক্ত মত উঠা হয় তবে সাথে সাথেই গোসল করে ফজরের নামাজ পরতে হবে। যদি কখনো এমন হয় যে এখন গোসল করলে অসুস্থতার সম্ভাবনা আছে তবে গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করতে হবে, কিন্তু ওয়াক্ত ছাড়া যাবেনা। মহিলাদের যে বিশেষ সময়ে নামাজ পড়ার অনুমতি থাকে না, সেই সময়ে অন্যান্য দোআ পড়া আল্লাহ অত্যন্ত পছন্দ করেন। এসময় কুরআন পড়া যাবেনা কিন্তু কুরআনের অংশ দোআ হিসাবে পড়া যাবে। অনেক সময় সফরের কারনে নাকাজ ক্বাযা হয়ে যায়, তাই নামাজের সময় হিসাব করে সফর করা বা পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী নামাজ কে আদায় করে নেওয়া।

    মহিলাদের ঈদের নামাজ

    রমজান মাসব্যাপী রোজা পালন করার পর রোজাদারের জন্য রয়েছে ঈদ বা আনন্দ। শাওয়াল মাসের প্রথম দিন মুমিন মুসলমান পুরুষরা দলে দলে ঈদগাহে একত্রিত হয়। ঈদের নামাজ আদায় করে, পরস্পর কুশল বিনিময় করে। কিন্তু নারীদের বেলায় করণীয় কী? তারা কি ঈদগাহে যেতে পারবে বা ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবে? নারীদের ঈদের নামাজ আদায়ের হুকুমই বা কী?

    হ্যাঁ, মুসলিম নারীরা ঈদগাহে যেতে পারবে, ঈদের নামাজ পড়া এবং দোয়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম এমনটিই নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে-

    হজরত উম্মে আতিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে এ মর্মে আদেশ করেছেন, আমরা যেন মহিলাদেরকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাতে নামাজের জন্য বের হয় এবং নামাজে অংশগ্রহণ করেন। পরিণত বয়স্কা, ঋতুবতী ও গৃহবাসিনীসহ সবাই। তবে ঋতুবতী মেয়েরা নামাজ আদায় থেকে বিরত থাকবে তবে কল্যাণ ও মুসলিমদের দোয়ায় অংশ নিবে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল ! আমাদের মাঝে কারো কারো ওড়না নেই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সে তার অন্য বোন থেকে ওড়না নিয়ে পরিধান করবে।’ (মুসলিম)

    মহিলাদের ঈদের নামাজের নিয়ম

    তবে নারীদের ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক নয়, বরং তা সুন্নাত। কেউ কেউ বলেছেন নারীদের ঈদের নামাজ পড়া নফল ইবাদত। মেয়েদের ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মাজহাবগুলোতে রয়েছে মত পার্থক্য। আর তাহলো-

    > ইমাম শাফেঈ রহমাতুল্লাহি আলাইহির মতে নারীদের ঈদগাহে নামাজ আদায় সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ।

    > হানাফি মাজহাব মতে, যদি কোনো নারী ঈদের নামাজ পড়ে তবে তা নফল হবে। আর নফল নামাজ জামাআতে পড়া মাকরূহ। সুতরাং ফেতনার আশংকায় নারীদের ঈদের নামাজ আদায় করাও মাকরূহ।

    আমাদের দেশের ঈদগাহগুলোতে নারীদের ঈদের নামাজ আদায়ের আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই। সেক্ষেত্রে ফেতনা ও বেপর্দার আশংকাই বেশি। আর এ কারণে নারীদের ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ না করাই উত্তম।

    নারীদের যদি ঈদের জামাআতে অংশগ্রহণের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়; সেক্ষেত্রে নারীরাও ঈদের জামাআতে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

    মহিলাদের জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম

    যেমনিভাবে জুমআর নামাজে নারীদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুমোদন রয়েছে। মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববিতে নারীরা জামাআতে নামাজে অংশগ্রহণ করে থাকে। সব যুগের সব আলেম-ওলামার সম্মতিক্রমেই তা সাব্যস্ত হয়েছে।


    tags; মহিলাদের নামাজ, মহিলাদের নামাজের নিয়ম, মহিলাদের নামাজ পড়ার নিয়ম, মহিলাদের নামাজের সঠিক নিয়ম, মহিলাদের ঈদের নামাজ, মহিলাদের ঈদের নামাজের নিয়ম, মহিলাদের জুমার নামাজ পড়ার নিয়ম, মহিলাদের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম