একা সকল নামাজ পড়ার নিয়ম | Rules for performing all prayers alone - Time Of BD - Education Blog

হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০২৩ ভিজিটর বন্ধুরা। দোয়া করি, এই বছরের প্রতিটি মুহুর্ত যেনো সকলের অনেক আনন্দে কাটে।

একা সকল নামাজ পড়ার নিয়ম | Rules for performing all prayers alone

একা নামাজ পড়ার নিয়ম, জুমার নামাজ একা পড়ার নিয়ম, একা একা নামাজ পড়ার নিয়ম, একা ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ম, একা একা ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ম, জুমার নামাজ কি একা একা পড়া যায়, একা নামাজ পড়ার সময় ইকামত, একা ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

    একা নামাজ পড়ার নিয়ম

    আসসসালামু আলাইক,প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা ভালো আছেন । আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ ।বন্ধুরা আজ আমরা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব একা নামাজ পড়ার নিয়ম ।আশা করি এতে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।

    জুমার নামাজ একা পড়ার নিয়ম

    জুমআ নামাজ পড়া আল্লাহ তাআলার নির্দেশ। শুক্রবার জোহরের ওয়াক্তে এ নামাজ পড়তে হয়। আল্লাহ তাআলা ঈমানদার বান্দাকে লক্ষ্য করে বলেন-

    হে ঈমানদারগণ! জুমআর দিন (শুক্রবার) যখন নামাজের জন্য (আজানের মাধ্যমে) আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা দ্রুত আল্লাহর স্মরণে ছুটে চল এবং বেচা-কেনা বন্ধ করে দাও। এটি তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা উপলব্দি করতে পার।’ (সুরা জুমআ : আয়াত ৯)

    কুরআনে এ আয়াতের মাধ্যমে জুমআ আদায় করা মানুষের জন্য আবশ্যক করা হয়েছে। এ জন্য প্রতিটি মুসলিমকে অবশ্যই জুমার নামাজ গুরুত্বসহ পড়া উচিত। হাদিসে প্রত্যেকে প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির জন্য জুমআ আবশ্যক।

    হজরত হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ওয়াজিব তথা অপরিহার্য কর্তব্য।’ (নাসাঈ)

    একা একা নামাজ পড়ার নিয়ম

    আবার জুমআর নামাজ ছেড়ে দেয়া মারাত্মক অপরাধ। আল্লাহর বিধানের লঙ্ঘন। কেননা জুমআ নামাজ পড়া আল্লাহর নির্দেশ। যারা এ নামাজ ছেড়ে দেয়, তাদের প্রসঙ্গে হাদিসের ভয়বাহ অপরাধ ও শাস্তির কথা বর্ণনা করা হয়েছে। হাদিসে এসেছে-

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি অবহেলা ও অলসতা করে পর পর তিন জুমআ নামাজ পা ছেড়ে দেবে, মহান আল্লাহ তার অন্তরে মোহর মেরে দেবেন।’ (আবু দাউদ)

    অন্য হাদিসে এসেছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো ওজর এবং অনিষ্টের ভয় ছাড়া জুমআ নামাজে অংশ গ্রহণ করে না, ওই ব্যক্তির নাম মুনাফিকের এমন দফতরে লেখা হয়, যেখান থেকে তার নাম কখনো মোছা কিংবা রদবদল করা হয় না।’

    একা ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ম

    বর্তমান সময়ে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা মসজিদকে অনাবাদী রেখে নিজ নিজ ঘরে নামাজ আদায় করে। এটা অনেব বড় ভুল কাজ। তাই মসজিদ থেকে নিজেদের নিবৃত রাখা একেবারেই ঠিক নয়।

    জামাআতের সঙ্গে নামাজ আদায়ে হজরত উম্মে মাকতুমের প্রতি প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নির্দেশনা ছিলো অনেক জোরালো। আর তাহলো-

    হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে এসে নিবেদন করলেন, ‘হে আল্লহর রাসুল! আমি অন্ধ এবং আমার ঘর মসজিদ থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। আমি কি জামাআতে অংশগ্রহণ না করে আমার ঘরে নামাজ পড়ার অনুমতি পেতে পারি?

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন- ‘তুমি কি নামাজের দেয়া আজানের শব্দ শুনতে পাও?

    একা একা ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ম

    আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম বললেন, ‘জি হ্যাঁ’ শুনতে পাই।

    তখন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তবে তুমি সেই (আজানের) ডাকে সাড়া দাও। আজানের শব্দ শুনলে উহার ডাকে তোমার মতো অন্ধকেও তাতে সাড়া দিয়ে মসজিদে নামাজের জামাআতে অংশগ্রহণ করতে হবে।

    সুতরাং বুঝা যায় যে ফরয নামাজ একা পড়া উত্তম নয়।

    জুমার নামাজ কি একা একা পড়া যায়

    পবিত্র জুমার নামাজ একা পড়া যায় না । বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

    একা নামাজ পড়ার সময় ইকামত

    আজানের বিষয়টি জামাত ও মসজিদের জন্য। মসজিদে আজান দেওয়া হয়ে থাকে। এখান থেকে বোঝা যায়, মসজিদের সঙ্গে আজানের সম্পর্ক রয়েছে। একাকী সালাতের জন্য আজান শর্ত নয়। তবে জামাত হলে সেখানে আজান দেওয়াটা সুন্নাহ।

    একাকী সালাত আদায় করলে তিনি একামত দিতে পারবেন এবং জামাতের জন্যও একামত দেওয়াটা সুন্নাহ।

    একা ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

    মিজানুর রহমান আজহারী বলেন,  নামাজে দাঁড়িয়ে তাকবিরে তাহরীমা অর্থাৎ 'আল্লাহু আকবার' বলে সানা পড়তে হবে। তারপর কেরাত পড়ার আগে অতিরিক্ত তিনটি তাকবির দিতে হবে অর্থাৎ 'আল্লাহু আকবর' তিনবার বলতে হবে। এরপর সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সূরা এবং অন্য সকল নামাজের ন্যায় রুকু ও সিজদাহ করতে হবে।

    এবার দ্বিতীয় রাকাআতের জন্য দাঁড়িয়ে প্রথমে কেরআন পড়তে হবে অর্থাৎ সূরা ফাতিহা ও সঙ্গে অন্য একটা সূরা পড়তে হবে। এরপর রুকুতে যাওয়ার আগে তিনটি তাকবির অর্থাৎ ‘আল্লাহু আকবার’ তিনবার বলতে হবে এবং চতুর্থ তাকবির দিয়ে তারপর রুকুতে যেতে হবে। এখানে তিনটি অতিরিক্ত তাকবির ও চতুর্থটি নামাজের স্বাভাবিক তাকবির। এভাবে ছয়টি অতিরিক্ত তাকবির দেয়ার মধ্য দিয়ে খুব সহজেই ঈদের নামাজ আদায় করা যেতে পারে।তবে ঈদের সালাত ঘরে আদায়ের ক্ষেত্রে খুতবার প্রসঙ্গটি বাদ যাবে। কেননা খুতবা সবার উদ্দেশে ইমাম সাহেব দিয়ে থাকেন।

    tags: একা নামাজ পড়ার নিয়ম, জুমার নামাজ একা পড়ার নিয়ম, একা একা নামাজ পড়ার নিয়ম, একা ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ম, একা একা ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ম, জুমার নামাজ কি একা একা পড়া যায়, একা নামাজ পড়ার সময় ইকামত, একা ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

    Next Post Previous Post
    No Comment
    Add Comment
    comment url