লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ম | লাইলাতুল কদর নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত | Rules and intentions of performing Lailatul Qadr prayers

লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ম, লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ত, লাইলাতুল কদর নামাজ পড়ার নিয়ম, লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, শবে কদর কত রাকাত, লাইলাতুল কদর নামাজের দোয়া

    লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ম

    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন । আশা করি আপনারা ভালো আছেন । আমিও ভাল আছি,আলহামদুলিল্লাহ। রমজান মাসের শেষ দশ দিনের যেকোন বেজোড় রাত শবে-কদর। তবে সাধারণভাবে ২৭ রমজানের রাতকেই শবে-কদর ধরা হয়। এই রাতের কোন এক সময় পৃথিবীর সকল অচেতন পদার্থ, বৃক্ষ-লতা ইত্যাদি আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্যে সিজদাহ্‌ করে থাকে।এই রাতে ফেরেশতাগণ পৃথিবীতে এসে মানুষের ইবাদত পর্যবেক্ষণ করেন এবং তাদের শান্তি কামনা করেন। তাই এই রাতে জেগে থেকে কুরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, দোয়া-দুরূদ, জিকির ইত্যাদি ইবাদত বেশি করে করা প্রত্যেক মুসলমানের একান্ত কর্তব্য।

    লাইলাতুল কদর নামাজ পড়ার নিয়ম

    শবে-কদরের নামাজ দুই রাকআত করে চার রাকআত পড়তে হয়। এরপর যত ইচ্ছা নফল নামাজ পড়া যায়। এই নামাজের প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর একবার সূরা কদর ও তিনবার সূরা ইখ্‌লাস পড়তে হয়।

    শবে কদর কত রাকাত

    শবে কদরে নফল নামায ন্যূনতম ১২ রাকাত থেকে যত সম্ভব পড়া যেতে পারে। এ জন্য সাধারণ সুন্নতের নিয়মে দুই রাকাত নফল পড়ছি। এ নিয়তে নামাজ শুরু করে শেষ করতে হবে। এ জন্য সূরা ফাতেহার সাথে আপনার জানা যেকোনো সূরা মিলাইলেই চলবে। এ ছাড়া সালাতুল তওবা, সালাতুল হাজত, সালাতুল তাসবিহ নামাজও আপনি পড়তে পারেন। রাতের শেষভাগে কমপে আট রাকাত তাহাজ্জুদ পড়ার চেষ্টা আমরা অবশ্যই করব।কারণ এ নামাজ সর্বশ্রেষ্ঠ নফল নামাজ।আর রাতের এ অংশে দোয়া কবুল হয়।

    লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ত

    প্রিয় বন্ধুরা আপনাদের সুবিধার্থে আমরা নিম্নে পবিত্র লাইলাতুল কদরের নফল নামাজের নিয়ত উল্লেখ্য করেছি ।

    লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ম ও নিয়ত

    নিয়তঃ নাওয়াইতু আন্‌ উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা’য়ালা রাকআতাই সালাতিল লাইলাতিল কাদ্‌রি নফ্‌লে মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি- আল্লাহু আকবর।

    অর্থ: আমি কাবামুখী হয়ে আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্য শবে কদরের দুই রাকআত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম- আল্লাহু আকবর।

    লাইলাতুল কদর নামাজের দোয়া

    নামাজ শেষে নিচের দোয়াটি কমপক্ষে একশত বার পড়া উত্তম:

    “সুব্‌হানাল্লাহি ওয়াল হাম্‌দু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, লা হা’ওলা কুয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহিল্‌ আলীয়্যিল আযীম”।

    ‘লাইলতুল কদর’ আরবি শব্দ। শবে-কদর হলো ‘লাইলাতুল কদর’ -এর ফারসি পরিভাষা। কয়েক শতাব্দী মুঘল শাসন এবং উপমহাদেশে ফারসি রাজকীয় ভাষা থাকার কারণে ধর্ম, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও বিচার-আচারের বহু ফারসি শব্দ আমাদের সংস্কৃতির সাথে একাকার হয়ে গেছে। ‘সালাতের’ পরিবর্তে নামাজ, ‘সাওমের’ পরিবর্তে রোজার মতো লাইলাতুল কদর এর ফারসি পরিভাষা শবে কদর সাধারণ মানুষের কাছে তাই বেশি পরিচিত।

    ‘শব’ অর্থ রাত, আর আরবি ‘লাইলাতুন’ শব্দের অর্থও রাত বা রজনী। কদর অর্থ সম্মানিত, মহিমান্বিত। সুতরাং লাইলাতুল কদরের অর্থ সম্মানিত রজনী বা মহিমান্বিত রজনী।


    tags: লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ম, লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ত, লাইলাতুল কদর নামাজ পড়ার নিয়ম, লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, শবে কদর কত রাকাত, লাইলাতুল কদর নামাজের দোয়া