ngo কি ও করার নিয়ম | ngo এর পূর্ণ রূপ কি | ngo কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়

Sadia
0

 

ngo কি, এনজিও কি , ngo কাজ কি, ngo করার নিয়ম , ngo এর পূর্ণ রূপ কি, ngo কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়


    ngo কি | এনজিও কি

    প্রিয় পাঠকবৃন্দ টাইম অফ বিডি এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করি সবাই ভাল আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আপনারা অনেকেই এনজিও সম্পর্কে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় জানতে চাচ্ছেন। আর তাই আজকে আমরা আমাদের পোস্ট তৈরী করেছি।

    আমাদের আজকের এই পোস্টটিতে এনজিও সম্পর্কে যা যা থাকছেঃ সেগুলো হলোngo কি, এনজিও কি , ngo কাজ কি, ngo করার নিয়ম , ngo এর পূর্ণ রূপ কি, ngo কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।আশা করি আপনারা পুরো পোস্টটি ধৈর্য্য সহকারে পড়বেন এবং সঠিক তথ্যটি পাবেন।

     ngo কাজ কি

    যদি এনজিও হিসেবে কোন

    প্রতিষ্ঠানকে তৈরি করতে হয় তবে

    নির্দিষ্ট ফোকাস থাকতে হয়। যেমন-

    শাসন (সুজন), দুর্নীতি (টিআইবি),

    স্বাস্থ্য (গণস্বাস্থ্য), শিক্ষা (ব্রাক,

    গণস্বাক্ষরতা আন্দোলন), আইনগত

    সহায়তা (আইন ও সালিশ কেন্দ্র), নারী

    ক্ষমতায়ন (উইমেন ফর উইমেন), পরিবেশ

    (উন্নয়ন অনেষণ)। কাজের পরিসর যত বড়

    হবে কনসেন্ট্রেসন তত কমে যাবে, ভাল

    ফিডব্যাক পাওয়ার সম্ভবনা ক্ষীণ হয়ে

    আসবে। তাই প্রথমে ঠিক করতে হবে মূল

    ফোকাসটা কোথায় থাকবে?

    ফাইন্যান্স একটি বড় বিষয়।

    আমাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক

    উন্নয়নের জন্য দাতাসংস্থাগুলো

    প্রাধান্য দিচ্ছে এনজিওকে। সরকারও

    এই বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে

    জাতীয় উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে

    এনজিওগুলোর সম্পৃক্ততা রেখে প্রকল্প

    করছে। এনজিও হচ্ছে বেসরকারি

    অলাভজনক সংগঠন যারা দেশ, সমাজ ও

    মানুষের উন্নয়নের জন্য নানামুখী কাজ

    করে থাকে। এদের উদ্দেশ্য হচ্ছে

    বিভিন্ন বিদেশি দাতাদের

    অর্থায়নের ভিত্তিতে সরকারকে

    উন্নয়নে সহযোগীতা করা ও আর্থ-

    সামাজিক উন্নয়নে সক্রিয় অবদান

    রাখা। বাংলাদেশে বর্তমানে দুই

    হাজারের বেশি এনজিও আছে, এরা

    শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, কর্মসংস্থান ও

    অন্যান্য বিষয় নিয়ে কাজ করছে।

    এনজিও হচ্ছে উন্নয়ন কর্মকান্ডে

    নিয়োজিত অমুনাফাভিত্তিক এক

    ধরনের বিশেষ স্বেচ্ছাসেবী

    সামাজিক সংগঠন। উন্নয়নশীল

    দেশগুলোতে এ স্বেচ্ছাসেবী

    সংস্থার প্রবৃদ্ধি ও কার্যকরণের

    সম্প্রসারণ ঘটেছে। এনজিও শুধু

    জাতীয়ভাবেই নয়, আঞ্চলিক এবং

    আন্তর্জাতিক পর্যায়েও রয়েছে।

    দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং পল্লী উন্নয়নে

    কাজ করছে এসব এনজিও।বর্তমানে

    এনজিওগুলোর মূল কাজ হচ্ছে মানুষের

    মধ্যে যে আত্মবিকাশের ক্ষমতা আছে

    সেটা কাজে লাগানো। মানুষ যেন

    নিজেই নিজের অবস্থা পরিবর্তন

    করতে পারে তার ব্যবস্থা করে

    দেওয়া। এই প্রক্রিয়া থেকে

    সুবিধাবঞ্চিত হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী যখন

    লাভবান হন তখন তাদের মধ্যে একটি

    বিশেষ আত্মতৃপ্তি কাজ করে, তাদের

    সামাজিক মর্যাদা বাড়ে- যা

    তাদের আরো সামনে এগিয়ে যেতে

    উদ্বুদ্ধ করে। এনজিওগুলো দেখে যে

    একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী/

    লোকালয়ের মানুষদের কোন্ কোন্

    ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রয়োজন, সেই অনুযায়ী

    তারা কাজ করে থাকে।

    বাংলাদেশের সব জায়গাতেই এরা

    কাজ করে থাকে। এদের মধ্যে কিছু

    কিছু শহরকেন্দ্রীক, কিছু আছে গ্রাম

    কেন্দ্রীক, আবার কিছু এনজিও আছে

    যারা শহর ও গ্রাম উভয় এলাকাতেই

    কর্মপরিচালনা করে। এনজিওগুলোর

    কাজ বিশেষ ভৌগোলিক এলাকা

    ভিত্তিক-ও হয়ে থাকে, যেমন চর/

    উপকূলীয়/পার্বত্য এলাকা কেন্দ্রীক

    এনজিও। এছাড়া তারা বিশেষ

    জনগোষ্ঠীকে নিয়েও কাজ করে,

    যেমন- প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী,

    শ্রমজীবি শিশু, কিংবা নির্যাতিতা

    নারী।

    এনজিও-র আওতায় পড়ে অনানুষ্ঠানিক

    বিভিন্ন সমিতি, সীমিত দায়ের

    আনুষ্ঠানিক সমবায় সমিতি এবং

    নিবন্ধিত বিভিন্ন বেসরকারি

    সংস্থা। উন্নয়ন-এনজিও নামেও একটি

    ধারণা গড়ে উঠেছে। এগুলি গ্রাম ও শহর

    এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-

    সামাজিক উন্নয়নের জন্য নানা

    কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ জাতীয়

    প্রতিষ্ঠানকে অনেকে বেসরকারি

    স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা বা শুধু

    স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা নামে

    অভিহিত করে। এদের কার্য তালিকায়

    থাকে উন্নয়নের আর্থ-সামাজিক

    নানা কার্যক্রমসহ পরামর্শ সেবা,

    আইনি সহায়তা ও ত্রাণ তৎপরতা।

    এনজিওর কাজ বহুমুখী, সেখানে

    কাজের ক্ষেত্রও ব্যাপক। মাঠ পর্যায়ে

    ছোট-বড় বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সাথে

    মেশা, তাদের সমস্যার কথা সরকার ও

    সমাজের প্রতিষ্ঠিত মহলকে

    জানানো, তাদের উন্নয়নে বিভিন্ন

    প্রজেক্ট হাতে নেওয়া, এর জন্য

    দাতাগোষ্ঠীর কাছ থেকে অনুদান

    সংগ্রহ করা, সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন

    প্রজেক্ট পরিচালনা করা- নানা স্তরে

    এনজিওতে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ

    রয়েছে।

    বর্তমান বাংলাদেশে এনজিও

    গোটা বাংলাদেশে জালের মত

    ছড়িয়ে আছে এনজিও। স্বাধীনতার পর

    পরই শুরু হয় এনজিও কার্যক্রম। প্রথম দিকে

    জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো

    যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এ দেশটির ত্রাণ ও পূনর্বাসন

    দিয়ে তার কাজ শুরু করে। এরপর

    এনজিওগুলো গ্রামীণ দরিদ্র জনগণের

    সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে

    সহায়তার লক্ষ্যে তাদের কার্যক্রম

    অব্যাহত রেখেছে। ১৯৭০-এর প্রলয়ঙ্করী

    ঘূর্ণিঝড় ও এর পরবর্তী নানা প্রাকৃতিক

    দুর্যোগ সিডর ও বিজলি পরবর্তী

    বিধ্বস্ত বাংলাদেশে পুনর্বাসন

    কার্যক্রমে এনজিওগুলোর ভূমিকা স্মরণ

    করার মত। বর্তমানে আর্থিক ভিত্তি ও

    কর্মসূচির প্রসারতায় এনজিওগুলো

    দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সরকারের

    পাশাপাশি তাদের অপরিহার্যতাকে

    প্রমাণ করেছে। বর্তমানে যেসব

    এনজিও আমাদের দেশে কাজ করে এর

    মধ্যে কয়েকটি হলো- ব্র্যাক, আশা,

    প্রশিকা, অক্সফাম, গ্রামীণ ব্যাংক,

    সেইভ দ্যা চিলড্রেন, মুসলিম এইড, একশন

    এইড, এডুকেশন ওয়াচ, জাতিসংঘের

    ইউএনডিপি, ইউনেস্কো ইত্যাদি।

    বাংলাদেশের মত অনুন্নত দেশসমূহে

    এনজিওগুলোর কাজ করার বিশাল

    ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। অনুন্নত বা

    উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দাতা

    সংস্থাগুলো সামাজিক ও অর্থনৈতিক

    উন্নয়নের জন্য এনজিও পরিচালনার ওপর

    জোর দিচ্ছে। এদেশে বিপুল সংখ্যক

    এনজিওতে কাজ করছে বিপুল জনশক্তি।

    প্রতিদিনই কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে

    দক্ষ ও অদক্ষ জনগোষ্ঠীর। এনজিও’র

    বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যে

    জনশক্তির প্রয়োজন তার চাহিদা পূরণ

    করা হচ্ছে স্থানীয় জনগোষ্ঠী থেকে।

    কাজেই বাংলাদেশের শিক্ষিত, দক্ষ,

    তরুণ তরুণীদের জন্য কাজের বিশাল

    দুয়ার খুলে গেছে। এখন সরকারি

    বেসরকারি সংস্থাগুলোর পরে

    এনজিওগুলোই হয়ে উঠেছে দক্ষ

    জনশক্তির গন্তব্য।

    বাংলাদেশে এনজিওগুলো

    সামাজিক উন্নয়নে নানাবিধ

    কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এর

    কার্যক্রমগুলোর মধ্যে নিম্নোক্ত

    কর্মসূচি উল্লেখযোগ্য।১.মানব সম্পদ

    উন্নয়ন ২. স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা

    কার্যক্রম ৩.জেন্ডার, মানবাধিকার ও

    আইনি কার্যক্রম ৪. ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম ৫.

    শিক্ষা কার্যক্রম।

    এনজিওতে বিশেষ পরিকল্পনা,

    প্রোগ্রামে, ক্যাম্পেইনের সময় জনবল

    লাগে। এনজিওগুলো যদি বিভিন্ন

    প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে যেমন-

    ব্র্যাকের ব্র্যাক ব্যাংক, ব্র্যাক

    ইউনিভার্সিটি; গ্রামীণ ব্যাংক

    ইত্যাদি- তবে তাতে লোক লাগে।

    দেশের ক্রমবর্ধমান শিক্ষিত

    যুবসমাজের বিপরীতে চাকরির

    ক্ষেত্র ততটা সম্প্রসারিত নয়। দুর্নীতি,

    সমন্বয়হীনতা, রাজনৈতিক মেরুকরণের

    মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন উৎপাদনশীল

    প্রতিষ্ঠান বন্ধ অথবা সঙ্কোচনের ফলে

    তৈরি হচ্ছে বেকার সমস্যা। এ সমস্যা

    সমাধানে সরকারের পাশাপাশি

    এনজিও সেক্টর বাংলাদেশে

    সম্ভাবনাময় কাজের ক্ষেত্র তৈরিতে

    সক্ষম হয়েছে।

    এনজিওতে কাজের ধরন:

    এনজিওতে কাজের ধরন অন্যান্য

    সেক্টরগুলো থেকে ভিন্ন হয়ে থাকে।

    এ পেশায় আসার আগে অবশ্যই একজনকে

    মানসিকভাবে ঠিক করে নিতে হবে

    যে, আদৌ এ পেশাটি তার জন্য উপযুক্ত

    কিনা। এখানে প্রতিটি কর্মীকে

    মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হয়

    স্বতঃস্ফূর্তভাবে। তাই এনজিওতে

    আপনি কেন কাজ করবেন তা নির্ভর

    করছে আপনার সমাজের সুবিধা বঞ্চিত

    মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা

    থেকে। এছাড়াও নিজের ক্যারিয়ার

    গড়ার সহায়ক উপাদান হিসেবে

    এনজিওতে কর্মরত অবস্থায় আপনি

    বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা পেয়ে

    থাকবেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে

    ভ্রমণের সুযোগ থেকে আপনি সে সকল

    অঞ্চলের মানুষ এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে

    জানতে পারবেন একেবারে কাছ

    থেকে। সর্বোপরি দরিদ্র সুবিধা

    বঞ্চিতদের উন্নয়নমূলক কাজে সরাসরি

    নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবেন।

    এনজিওতে কাজের ধরনকে প্রধানত

    দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হচ্ছে

    প্রজেক্ট ভিত্তিক, এবং আরেকটি

    হচ্ছে পার্মানেন্ট বা স্থায়ী

    ভিত্তিক। প্রজেক্ট ভিত্তিক

    কাজগুলোতে কর্মীরা চুক্তি

    ভিত্তিতে নিযুক্ত হন। অর্থাৎ

    প্রজেক্টের মেয়াদ যতদিন থাকবে, ঐ

    পদের জন্য তারা ততোদিনই কাজ

    করবেন। এনজিওতে কিছু পদ আছে

    যেগুলোকে বলা হয়ে থাকে রেগুলার

    পজিশন। প্রজেক্টের সাথে এগুলো

    সরাসরি সম্পৃক্ত থাকে না। এগুলোকে

    সুপারভাইজরি পজিশন-ও বলা হয়ে

    থাকে। যেমন, ফিন্যান্স ম্যানেজার,

    একাউন্টস ম্যানেজার, হিউম্যান

    রিসোর্স ম্যানেজার ইত্যাদি।

    স্থায়ী ম্যানেজারদের বেতন-

    ভাতাদি নির্দিষ্ট কোনো

    প্রজেক্টের উপর নির্ভর করে না। এদের

    তত্ত্বাবধানে থাকেন প্রজেক্টের

    অফিসাররা। নিয়োগপ্রাপ্তদের

    চাকরির প্রথম ৩ থেকে ৬ মাস

    প্রবেশনারি পিরিয়ড হিসেবে

    বিবেচিত হয়ে থাকে। এন্ট্রি

    লেভেল এর জন্য সাধারণত Assistant

    Officer/ Assistant Program Officer/ Assistant

    Monitoring Officer, Associate officer পদে লোক

    নিয়োগ করা হয়ে থাকে। আবার

    কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান সরাসরি

    অফিসার পদে লোক নেয়। এসব পদ

    সাধারণত যারা মাস্টার্স শেষ

    করেছে, তাদের জন্য খোলা থাকে।

    আবার এস.এস.সি ও এইচ.এস পাশ করে

    যারা কাজ শুরু করতে চান, তাদের জন্য

    কিছু পদ রয়েছে, যেমন- Facilitator,

    Community Facilitator, Community Teacher,

    Community Mobilizer ইত্যাদি। এদের বেতন

    কাঠামো ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার

    টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকে।

    এদের কাজ হলো: স্থানীয় জনগণের

    সাথে সভা করা, এলাকায়

    ব্যবহারযোগ্য এমন সম্পদ যা জনগণ কাজে

    লাগাতে পারে- সেগুলোর মানচিত্র

    তৈরী করা, নির্দিষ্ট সময় পর পর

    প্রজেক্ট লিডারকে রিপোর্ট দেওয়া

    ইত্যাদি।

    এনজিওতে কাজের যোগ্যতা

    এনজিওতে যোগ্যতার বিকল্প নেই।

    দরকার মানসিকতা, ধৈর্য, সাহস,

    পরিশ্রমী মনোভাব, সমাজব্যবস্থা

    সম্পর্কে জানা। গ্রামীণ অর্থনীতি,

    সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সম্পর্কে স্বচ্ছ

    ধারণা মৌলিক একাউন্টিং

    ব্যবস্থাপনাগত জ্ঞান ও দক্ষতা,

    কম্পিউটারে দক্ষতা, রিপোর্টিং,

    উপস্থাপন দক্ষতা, উপস্থিত বুদ্ধি,

    অভিযোজনশীলতা এবং চ্যালেঞ্জ

    গ্রহণের অদম্য ইচ্ছা। এনজিওতে কাজের

    সম্মানী মোটামুটি ভালো। এখানে

    পার্টটাইম জব করার সুযোগও রয়েছে।

    কেউবা কাজের সময়ানুযায়ী সম্মানী

    নির্ধারণ করে থাকে। এনজিওতে

    পদোন্নতির ধরনটা অন্যান্য সেক্টরগুলো

    থেকে অনেকটাই আলাদা।

    বেশিরভাগ এনজিওতে পদোন্নতি ‘সময়

    ভিত্তিক’ না হয়ে ‘পারফর্মেন্স

    ভিত্তিক’ হয়ে থাকে। ভালো

    প্রতিষ্ঠানগুলোতে “Annual Performance

    Appraisal System” থাকে, যা বছর শেষে

    কর্মীদের কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন করে। তাই,

    অন্যান্য সেক্টরের মত এখানে একটি

    নির্দিষ্ট সময় কাজ করলেই পদোন্নতির

    নিশ্চয়তা পাওয়া যায় না, বরং তা

    নির্ভর করে কর্মীর কৃতিত্ব ও

    কর্মদক্ষতার উপর। বর্তমান প্রেক্ষাপটে

    এনজিওতে ‘প্রজেক্ট বা প্রোগ্রাম

    অফিসার’ পদে ক্যারিয়ার গড়ার

    চাহিদা সব চাইতে বেশী। এই পদে

    কর্মরত অবস্থায় একজন কর্মী যেমন

    নানামুখী কাজ শিখতে পারেন, ঠিক

    তেমনি ভাবে নিজের কর্ম দক্ষতা

    দিয়ে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার উজ্জ্বল

    করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে ‘মানুষের জন্য

    ফাউন্ডেশন’ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার

    আব্দুল্লা আল মামুন বলেন: ‘It is a challenge.

    Initially you have to move a lot, you have to work a

    lot, you have to learn a lot.’

    এনজিওতে সফল হতে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা

    ১. ভালো উপস্থাপন কৌশল: এনজিওতে

    কাজ করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

    হলো ভালো উপস্থাপন কৌশল।

    এনজিওদের টার্গেট গ্রুপ বা তৃণমূল

    পর্যায়ের জনগণকে সংস্থার

    কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করানোর জন্য যে সকল

    কার্যক্রম গ্রহণ করা হয় তার

    প্রত্যেকটিতেই ভালো উপস্থাপন

    জানা প্রোফেশনাল। আপনি আপনার

    উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রকৃত

    ম্যাসেজটি টার্গেটগ্রুপের কাছে

    কতটা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে

    পারছেন আর তারা সেটা

    যথাযথভাবে বুঝলো কি না তার ওপরই

    পরিমাপ হয় আপনার এ যোগ্যতা। তবে

    আপনার চিন্তাভাবনাগুলো Logically

    বিন্যস্ত হতে হবে। প্রত্যেকটির

    যৌক্তিক ব্যাখ্যা থাকবে। আপনাকে

    হতে হবে উন্নয়নমূলক চিন্তাবিদ ও

    বিজ্ঞানমনস্ক। ভুলে গেলে চলবে না,

    প্রোজেক্টের সুন্দর উপস্থাপন খুবই

    গুরুত্বপূর্ণ।

    ২.ভালো লেখার ক্ষমতা: আরেকটি

    গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা হলো ভালো

    রাইটিং স্কিল। ডাটা

    অ্যানালাইসিস, রিপোর্টিং মূল্যায়ন

    ইত্যাদির জন্য ভালো লিখিত

    উপস্থাপনার বিকল্প নেই যে কোনো

    এনজিওতে প্রোজেক্ট প্ল্যানিংকে

    লিখিতভাবে উপস্থাপনার জন্য।

    বিভিন্ন ডোনার এজেন্সি প্রোজেক্ট

    প্রোপোজাল দেখেই সাহায্য দিয়ে

    থাকে। এক্ষেত্রে ইংরেজিসহ

    ভালো অনুবাদও গুরত্বপূর্ণ। রিপোর্ট

    লেখাসহ বড় সমস্যাকে ছোট করে বুলেট

    পয়েন্টে তুলে ধরা জানতে হবে।

    ৩. সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পন্ন করা:

    এনজিওতে কাজের প্রধান ধাপগুলো

    যথাক্রমে- ১. প্রকল্প সনাক্তকরণ ২.

    পরিকল্পনা ৩. বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ৪.

    মূল্যায়ন ও গবেষণা ৫. রিপোর্টিং ৬.

    পুন:পরিকল্পনা। কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে

    করার জন্য এনজিওগুলোতে প্রধানত যে

    পদ রয়েছে তা হলো-চেয়ারম্যান,

    পরিচালক পর্ষদের অধীনে

    পরিচালকবৃন্দ, গবেষণা পর্ষদের অধীনে

    গবেষকবৃন্দ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা,

    এইচ আর ম্যানেজার, জনসংযোগ

    কর্মকর্তা, প্রোজেক্ট ম্যানেজার,

    প্রোগ্রাম ম্যানেজার, কর্মসূচি

    সংগঠক।

    ৪. টিমওয়ার্ক: যে কোনো এনজিওর

    সাফল্য নির্ভর করে এর টিম ওয়ার্কের

    ওপর। টিমওয়ার্ক মূলত একই উদ্দেশ্যে

    একটি সংঘবদ্ধ কর্ম। প্রকল্প ব্যবস্থাপককে

    এজন্য তার টিমের ব্যাপারে সজাগ

    থাকতে হয়। টিম ভালো করলেই

    প্রোজেক্ট আউটপুট ভালো হবে। আর

    টিম খারাপ করলে প্রোজেক্টে এর

    বিরূপ প্রভাব পড়বে। এজন্য প্রকল্প

    ব্যবস্থাপককে সংস্থার মিশন-ভিশনের

    সঙ্গে প্রকল্পের যোগসূত্র সম্পর্কে

    সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হয় তার টিমকে।

    সবাই যাতে একই উদ্দেশ্যে

    সমানভাবে নিজের দক্ষতাকে কাজে

    লাগাতে পারে তার জন্য নিতে হয়

    প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। টিম ওয়ার্কের

    মাধ্যমে প্রকল্পকে কাজে পরিণত

    করতে একদল কর্মীর সম্মিলিত প্রয়াস

    থাকে। এক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুণাবলী

    থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। একাডেমিক

    যোগ্যতার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই

    অনার্স বা ডিগ্রিধারী হতে হবে।

    এনজিওতে সুযোগ-সুবিধা:

    এনজিওতে নারীদের জন্য বিশেষ

    সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এই সেক্টরটি

    কে বলা হয়ে থাকে ‘Women Friendly’।

    এখানে নারীদের নিয়োগের

    ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়ে

    থাকে। কোনো কোনো এনজিওতে

    যাতায়াত ভাতা পুরুষদের তুলনায়

    মহিলাদের বেশি দেওয়া হয়। এছাড়া

    তাদের নিরাপত্তার দিকেও যথেষ্ট

    খেয়াল রাখা হয়। এনজিওতে মৌলিক

    বেতনের পাশাপাশি বাড়ি ভাড়া,

    যাতায়াত ভাতা, উৎসব ভাতা,

    মাতৃত্বকালীন/ পিতৃত্বকালীন ছুটি

    (পিতৃত্বকালীন ছুটি সাধারণত ১০ দিন)

    ইত্যাদি দেওয়া হয়। এছাড়া Hardship

    Allowance ও প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য যে,

    আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো যেহেতু

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করে,

    সেহেতু তারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের

    নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি

    রাখে। কারণ, কোনো একটি দেশের

    কেউ যদি অনিরাপত্তাজনিত ঘটনায়

    আক্রান্ত হন, এনজিওকে তার জন্য বাকি

    সবকয়টি দেশে জবাবদিহি করতে হয়।

    সম্ভাবনাময় এনজিও প্রতিষ্ঠা করতে

    পারেন আপনিও

    বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান

    হিসেবে কাজ শুরু করতে হলে প্রথম ধাপ

    হলো অনুমতি গ্রহণ বা বৈধতা অর্জন।

    বাংলাদেশে এনজিওদের গঠনগত

    আইনী বৈধতার জন্য বিধিবদ্ধ সংস্থা

    হলো সমাজসেবা অধিদপ্তর, সমবায়

    অধিদপ্তর, NGO Affairs Bureau এবং Joint Stock

    Company উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের

    প্রচলিত স্ব-স্ব নিয়ম-নীতির পদ্ধতিগত

    পরিমাপের আলোকে সংশ্লিষ্ট

    কর্র্তৃপক্ষ তাদের আইনগত বৈধতা প্রদান

    করে থাকে। উল্লেখ্য যে, বৈদেশিক

    কোনো আর্থিক ও কারিগরী সাহায্য

    সহযোগিতা পেতে হলে অবশ্যই

    সংশ্লিষ্ট এনজিও’কে NGO Affairs Bureau

    হতে রেজিস্ট্রার হতে হবে বা

    রেজিস্ট্রেশন থাকতে হবে। Co-Operative

    Society এবং Voluntary Organization হতে হলে

    অবশ্যই প্রথমে সমবায় অধিদপ্তরের

    রেজিস্ট্রার হতে হবে।

    বাংলাদেশের যেসব এনজিও

    বিদেশি উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে

    আগ্রহী তাদের জন্য বাংলাদেশ

    সরকারের এনজিও-বিষয়ক ব্যুরো-তে

    নিবন্ধিত হওয়া আইনত বাধ্যতামূলক। এ

    ব্যুরো ১৯৯০ সালে গঠিত এবং এটি

    প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত।

    এনজিও সেক্টরে কাজের প্রস্তুতি

    এনজিওতে কাজ খুবই প্রাণবন্ত এবং

    বহুমাত্রিক।এনজিওতে কঠোর শ্রম ও

    একাগ্রতা দিয়ে কাজ করলে তা যেমন

    দেশ ও সমাজের উপকারে আসবে,

    তেমনিভাবে সেটি আপনার নিশ্চিত

    ভবিষৎ গঠনে সহায়তা করবে। এই

    সেক্টরে কাজ করতে হলে যে

    প্রাথমিক প্রস্তুতি দরকার তা হলো-

    ১. মানসিক প্রস্তুতি: এনজিওতে

    কোনো চাকরীপ্রার্থীকে কাজ

    দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার আগে দেখা

    হয় প্রার্থী মানসিকভাবে উপযুক্ত কি-

    না। প্রজেক্ট সাপোর্ট সেকশনে

    কাজের ক্ষেত্রে মানসিক প্রস্তুতি

    মুখ্য বিষয় নয়, তবে মাঠপর্যায়ে চাকরীর

    জন্য প্রার্থীর থাকতে হবে সবার

    সাথে কাজ করার ও মেশার ইচ্ছা,

    মানুষকে জানার আকাঙ্ক্ষা, সমাজের

    উন্নয়নে উদ্যোগী মনোভাব। তার

    সাথে সমাজের গঠন সম্পর্কে ধারনা

    থাকতে হবেঃ মানুষ কেনো দরিদ্র,

    নারী-পুরুষের বৈষম্য শুরু হয় কোথা

    থেকে, সংস্কৃতি কিভাবে

    পরিবর্তিত হয়, শহরায়ন কিভাবে হয়

    ইত্যাদি। এখানে গতানুগতিক ধারায়

    চিন্তা করার অবকাশ নেই। এর জন্য পত্র-

    পত্রিকা ও সমাজ বিশ্লেষণের বইপত্র

    পড়তে হবে। মনে রাখতে হবে যে,

    এন্ট্রি লেভেলে প্রকল্প বাস্তবায়নের

    কাজে আপনাকে পাঠানো হতে

    পারে দুর্গম কোনো অঞ্চলে। সুতরাং,

    সেই এলাকার মানুষের সাথে একাত্ম

    হয়ে তাদের উন্নয়নে কাজ করার

    মানসিকতা আপনার থাকতে হবে। এ

    ধরনের চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে

    প্রার্থীর প্রতিশ্রুতি, সমাজ সম্পর্কে

    জ্ঞান এবং মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাকে

    গুরুত্বের সাথে দেখা হয়।

    ২. শিক্ষা ও জ্ঞানগত প্রস্তুতি:

    বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্য বা অন্য

    যেকোন অনুষদে যারা পড়াশোনা

    করেছেন- সবার জন্যই এনজিওতে কাজ

    আছে। সামাজিক বিজ্ঞান নিয়ে

    যারা পড়াশোনা করেছেন তাদের

    জন্য সুবিধা। যে কেউ প্রাথমিক

    প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন,

    পরে কাজ ভালো লাগলে

    ডেভেলপমেন্ট স্টাডিস এ একটা

    মাস্টার্স ডিগ্রী নিতে পারেন।

    Bdjobs Training, ব্র্যাক, ঢাকা

    বিশ্ববিদ্যালয় (ডেভেলপমেন্ট

    স্টাডিস ডিপার্টমেন্ট) ইত্যাদি

    স্থানে এনজিও সম্পর্কিত বিভিন্ন

    কোর্স করতে পারেন। এগুলোর জন্য

    সুনির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা দরকার

    হয় না। অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য

    বিভিন্ন এনজিওতে ইন্টার্ন হিসেবে

    কাজ করা যায়। ইন্টার্শিপ এর

    বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় কম। কোনো

    এনজিও তে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইন্টার্ন

    না চাইলে, আপনি নিজে থেকে

    তাদের অনুরোধ করতে পারেন যে,

    সপ্তাহে কিছুদিন বিনা বেতনে কাজ

    করার বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময় পরে

    তারা আপনাকে একটা সার্টিফিকেট

    দিবে। এছাড়া কারও যদি

    ছাত্রাবস্থায় কমিউনিটি সার্ভিসের

    রেকর্ড থাকে, তাহলে সেটি

    অভিজ্ঞতা হিসেবে গণ্য করা হয়।

    অর্থ পাবেন কোথায়?

    কিছু বড় বড় এনজিও’র ফান্ড রেইজিং

    নামে পৃথক বিভাগও থাকে যারা

    সংশ্লিষ্ট এনজিও’র ফান্ড সংগ্রহের

    জন্য কাজ করে। বাংলাদেশে হাতে

    গোনা কয়েকটি এনজিও স্থানীয়

    সম্পদের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত

    হয়ে থাকে। বাকি অধিকাংশ

    এনজিওই পরিচালিত হয় বাইরের দাতা

    সংস্থাগুলোর আর্থিক অনুদানে। আবার

    কিছু আন্তর্জাতিক এনজিও

    বাংলাদেশে তাদের কান্ট্রি

    অফিসের মাধ্যমে সরাসরি বাস্তবায়ন

    করে থাকে। তবে ফান্ড পেতে হলে

    দাতারা প্রথমেই বিবেচনা করেন এ

    ফান্ড কাজে লাগানোর সক্ষমতা

    আছে কি-না। কোন দাতার কাছে

    প্রোজেক্ট প্রোপোজাল সাবমিট

    করলেন, আপনার পরিকল্পনাও

    দাতাদের পছন্দ হলো, কিন্তু তারা তখন

    চিন্তা করতে থাকে আপনার এনজিওর

    সক্ষমতার কথা;তাদের অর্থ কতোটা

    নিরাপদ ও ফলপ্রসূ। তবে দাতারা

    প্রথমে ছোট ফান্ডের বিষয়টিকে

    বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এরপর

    সফলভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে

    পারলে পুনরায় বড় অর্থ সাহায্য আসতে

    পারে।দাতারা আপনার এনজিওর

    প্রকল্প ব্যয় ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যয়

    নিয়েও আগ্রহী। অর্থাৎ তারা দেখে

    প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও প্রকল্প

    ব্যয়ের মধ্যে কতটা ভারসাম্য আছে। এ

    জায়গাতেই চমক দেখাতে হবে।

    যে কোনো এনজিও’র টিকে থাকাটা

    নির্ভর করে বৈদেশিক সাহায্য ও

    নিজস্ব সম্পদের ওপর। বাংলাদেশের

    অধিকাংশ এনজিও মূলত দাতাদের কাছ

    থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে তাদের

    সুবিধাভোগীদের সেবা দিয়ে

    থাকে। এ সেবার মেয়াদ বিভিন্ন

    প্রকল্পের ছকে বাঁধা থাকে। প্রকল্পের

    মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সেবার

    সমাপ্তি ঘটে। তখন আবার খুঁজতে হয় নতুন

    নতুন প্রোজেক্ট। বিকল্প কোনো ফান্ড।

    দাতা সংস্থাগুলো বাংলাদেশের

    উপযুক্ত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠাণ ও

    এনজিওগুলোর থেকে প্রতিনিয়তই

    আহ্বান করে প্রজেক্ট প্রোফাইল। ছোট

    প্রকল্পের জন্য তারা অফার করে ৫

    থেকে ৫০ লক্ষ টাকা। তাদের প্রধানতম

    শর্ত, এ পরিমান টাকা আপনি কিভাবে

    ব্যয় করবেন, তার বিশদ পরিকল্পনার

    প্রপোজাল। প্রতিটি ফান্ডের

    বিপরীতে তারা ২০/২৫ টি প্রশ্ন

    রাখে। একটি পূর্ণাঙ্গ প্রোপোজাল

    তৈরীতে বাজেটসহ এতদ সংখ্যক

    প্রশ্নের সুষ্ঠ সমন্বয় সাধন করতে হয়। অনেক

    কারণেই বাংলাদেশের ছোট ও

    মাঝারী ধরণের এনজিওগুলোর পক্ষে

    প্রপোজাল তৈরী করাই সম্ভবপর হয়ে

    ওঠে না। ফলে অধরা থেকে যায়

    উন্নয়নের সুযোগ।

    এনজিওর সমন্বয়কারী সংস্থা

    বাংলাদেশে এনজিওসমূহ সমন্বয়কারী

    বেশ কয়েকটি সংস্থা রয়েছে।

    প্রথমদিকে এগুলির মধ্যে বৃহত্তম সংগঠন

    হিসেবে অ্যাডাব কার্যক্রম

    পরিচালনা করে আসছিল। তবে

    সাম্প্রতিককালে অ্যাডাবের

    কর্মতৎপরতা হ্রাস পেয়েছে এবং আরো

    কিছু সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে।

    এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ফেডারেশন

    অব এনজিওস ইন বাংলাদেশ (এফএনবি)।

    সরকার ও এনজিওগুলির পারস্পরিক

    সম্পর্ক উন্নয়নে বেশকিছু কার্যকর

    পদক্ষেপ নিয়েছে, যেমন পল্লী

    কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন, এনজিও বিষয়ক

    ব্যুরো এবং সরকার-এনজিও পরামর্শ

    পরিষদ গঠন। পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন

    (পিকেএসএফ) ১৯৯০-এর মে মাসে

    প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি প্রতিষ্ঠার প্রধান

    উদ্দেশ্য, দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে

    ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনায়

    নিয়োজিত সম্ভাবনাময় এনজিওসমূহের

    অর্থসংস্থানে সাহায্য প্রদান।

    পিকেএসএফ নিজে কোম্পানি আইনের

    অধীনে নিবন্ধিত একটি অলাভজনক

    সংস্থা।বর্তমানে এটি ক্ষুদ্রঋণ

    কার্যক্রম সমন্বয়কারী একটি শীর্ষ

    প্রতিষ্ঠান এবং এশিয়ার বৃহত্তম ও

    সবচেয়ে সফল সংস্থা।

    এনজিও সংক্রান্ত আইন

    দেশে এনজিওসমূহ নিয়ন্ত্রণের যেসব

    আইন আছে সেগুলিকে মোটামুটি দু

    ভাগে ভাগ করা যায়: ১.

    স্বেচ্ছাসেবী ও বেসরকারি

    সমিতিসমূহকে বৈধ বলে স্বীকৃতি

    দেওয়ার আইন, ২. এ সকল সমিতির সঙ্গে

    সরকারের সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত

    আইন। প্রথমোক্ত ধরনের আইনসমূহ

    এনজিওগুলির গঠন, ব্যবস্থাপনা ও আইনগত

    দায়দায়িত্ব সম্পর্কিত এবং এ ধরনের

    বিদ্যমান চারটি আইন হচ্ছে

    সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট

    ১৮৬১, ট্রাস্ট অ্যাক্ট ১৮৮২,

    কোঅপারেটিভ সোসাইটিজ

    রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৯২৫ এবং

    কোম্পানি আইন ১৯৯৪। দ্বিতীয় ধরনের

    আইনসমূহের মধ্যে আছে স্বেচ্ছাসেবী

    সমাজকল্যাণ সংস্থা (নিয়ন্ত্রণ)

    অধ্যাদেশ ১৯৬১, বিদেশি অনুদান

    (স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম) নিয়ন্ত্রণ

    অধ্যাদেশ ১৯৭৮ (১৯৮২-তে সংশোধিত)

    এবং বিদেশি চাঁদা/অর্থসাহায্য

    (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২। ১৯৯৩

    সালের এনজিও-বিষয়ক ব্যুরো

    ‘বিদেশি এবং বিদেশি সাহায্যপুষ্ট

    দেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাসমূহের

    কার্যপ্রণালী বিধি’ নামে একটি

    নির্দেশ জারি করে।

    বাংলাদেশে এনজিওর বিকাশ

    ১৯৫০-এর দশকে বাংলাদেশে

    এনজিওগুলির প্রাথমিক ও প্রধান কাজ

    ছিল ত্রাণ, পুনর্বাসন এবং দাতব্য

    কার্যক্রম পরিচালনা। দ্বিতীয়

    বিশ্বযুদ্ধোত্তর পরিস্থিতিতে এ

    এনজিওগুলি কমিউনিটি উন্নয়নের

    মাধ্যমে পুনর্নির্মাণের নতুন ধারণা

    নিয়ে কাজ শুরু করে। বিশ শতকের

    ষাটের ও সত্তরের দশকে এসে

    এনজিওগুলি ঋণ সমিতি, সমবায় সমিতি

    ইত্যাদি ও কমিউনিটি-ভিত্তিক

    বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গড়ে তুলতে শুরু

    করে এবং উন্নয়নের জন্য সমষ্টিগত

    উদ্যোগের চেয়ে ব্যষ্টিক উদ্যোগের

    ওপর অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করে। বর্তমান

    এনজিওসমূহের অধিকাংশই এখন কৃষি

    সংস্কার ও পল্লী উন্নয়ন কর্মকান্ডে

    নিয়োজিত। এদের অধিকাংশই সৃষ্টি

    হয়েছে ১৯৮০-র দশকে এবং এরা নানা

    ব্যষ্টিক কার্যক্রমের সঙ্গে পরিবেশ,

    বৈদেশিক সহায্য ও ঋণ, অবকাঠামোগত

    সংস্কার ইত্যাদি সমষ্টিগত বিষয় সমন্বয়

    করে কৃষি, পল্লী উন্নয়ন, সামগ্রিক

    প্রবৃদ্ধি ও বিকাশের সর্বজনীন

    দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

    তিন পর্যায়ের এনজিও আন্দোলন

    থেকে বোঝা যায়, তারা বিভিন্ন

    সময়ে বিদ্যমান পরিস্থিতির

    প্রেক্ষাপটে নিজস্ব কার্যক্রম ও

    কার্যপদ্ধতির অনুসরণকারী।

    এনজিওসমূহের অনেকগুলিই প্রাথমিক,

    আবার কিছু কিছু মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠান

    হিসেবে কাজ করে। এসব সংস্থায়

    বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কাজ করে

    পেশাদার কর্মকর্তা-কর্মচারী, তবে

    কোনো কোনোটিতে স্বেচ্ছাশ্রমের

    ভিত্তিতেও অনেক লোক কাজ করে

    থাকে। বাংলাদেশে কার্যক্রম

    পরিচালনা করছে এমন অনেক এনজিও-র

    জন্ম বা উৎস উন্নত দেশগুলিতে এবং

    তাদের অর্থসম্পদও অনেক বেশি। তবে

    দেশের বেশির ভাগ এনজিও-ই স্থানীয়

    এবং এরা সীমিত সম্পদ নিয়েই

    কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।

    বাংলাদেশে বর্তমানে যে উন্নয়ন-

    কৌশল অনুসরণ করা হচ্ছে তার তিনটি

    গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হচ্ছে দারিদ্র্য

    বিমোচনের লক্ষ্য, সুবিধার সুষম বণ্টন

    এবং উন্নয়নে জনগণের অংশগ্রহণ। এর

    উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্থনৈতিক ও

    রাজনৈতিক ক্ষমতার পুনর্বিন্যাস,

    জাতীয় উন্নয়ন প্রয়াস ও কর্মকান্ডসমূহে

    গ্রামীণ সকল এলাকার পূর্ণতর

    ঐকাত্ম্যকরণ, গ্রামীণ এলাকায় অধিকতর

    কর্মসংস্থান ও উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি

    এবং কৃষক সমিতি, সমবায় সমিতি ও

    প্রাথমিক উৎপাদনকারী ও গ্রামীণ

    শ্রমিকদের স্বায়ত্তশাসিত

    স্বেচ্ছাসেবী গণতান্ত্রিক নানা

    সংগঠনের বিকাশ। গ্রামীণ এলাকার

    সব সমস্যা এত ব্যাপক ও জটিল যে

    জনগণের পূর্ণ সমর্থন ও অংশগ্রহণ ছাড়া

    সরকার বা কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত

    সংস্থার পক্ষে সেগুলির সমাধান

    প্রায় অসম্ভব। এর অর্থ, সরকারি উন্নয়ন-

    উদ্যোগ যথাযথ বাস্তবায়িত হবার জন্য

    জনগণের দ্বারা গঠিত সংস্থা-

    সংগঠনের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

    সাধারণভাবে এনজিও নামে পরিচিত

    এসব সংস্থার মধ্যে আছে বিভিন্ন

    ধরনের সমবায় সমিতি, ইউনিয়ন, কৃষক

    সমিতি, শ্রমিক সমিতি, মহিলা

    সমিতি ও অন্যান্য বেসরকারি সমিতি-

    সংগঠন।

    দারিদ্র্য দূরীকরণ ও পল্লী উন্নয়নের

    লক্ষ্য নিয়ে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবী

    সংস্থাসমূহকে মোটামুটি তিন

    শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়।

    ভৌগোলিক বিবেচনায় শ্রেণিকৃত

    প্রথম ধরনের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার

    মধ্যে অনেকগুলি আছে যাদের

    কর্মকান্ড স্থানীয় কিছু এলাকায়

    সীমিত। এগুলি আয়তনে ছোট, এদের

    সম্পদ সীমিত এবং ব্যবস্থাপনা-

    কাঠামো সরল। কয়েকটি গ্রাম বা

    উপজেলাতেই এদের কার্যক্রম

    সীমাবদ্ধ। একই শ্রেণির অনেক এনজিও

    বস্ত্তত আঞ্চলিক বা উপ-আঞ্চলিক বা

    জাতীয় সংস্থারূপে বিন্যাসিত এবং

    এদের কার্যক্রম সীমিতসংখ্যক গ্রাম

    ছাড়িয়ে এবং বা একাধিক জেলায়

    বা বিভাগে, এমনকি সারা

    দেশব্যাপী বিস্তৃত। কার্যক্রমের

    ক্ষেত্র বিবেচনায় দেখা যায় কোনো

    কানো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কৃষি,

    পশুসম্পদ, ক্ষুদ্র শিল্প, সেচ, বনায়ন, স্বাস্থ্য

    ইত্যাদি বিভিন্ন খাতের কোনো

    একটি বা কয়েকটি খাতে কার্যক্রম

    পরিচালনা করছে।

    আবার অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা

    কয়েকটি খাতের সমন্বিত কার্যক্রম

    চালাচ্ছে। এভাবেই, স্বেচ্ছাসেবী

    সংস্থাগুলির কোনোটি স্বাস্থ্য

    সংগঠন, কোনোটি কৃষি সংগঠন,

    কোনোটি শিক্ষা সংগঠন ইত্যাদি।

    বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন

    পরিবেশ বা মহিলাবিষয়ক কর্মসূচিতে

    নিয়োজিত থাকায় বা বিশেষায়নের

    কারণে সংশ্লিষ্ট বিষয়-নামে বা

    শ্রেণিরূপে চিহ্নিত।

    স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিতে

    শ্রেণিকরণের তৃতীয় একটি ভিত্তি

    হচ্ছে এসব সংস্থা যাদের জন্য কার্যক্রম

    পরিচালনা করে সে লক্ষ্যকৃত গোষ্ঠী।

    বস্তিবাসীদের জন্য এনজিও, গ্রামীণ

    বেকারদের জন্য এনজিও, মাদকাসক্ত

    পুনর্বাসনের জন্য এনজিও ইত্যাদি

    স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এভাবেই গঠিত।

    বাংলাদেশে এনজিওসমূহের সৃষ্টি ও

    তাদের কর্মতৎপরতার শুরু হয় ১৯৭১-এ

    মুক্তিযুদ্ধের পরপরই। এসব সংস্থার প্রধান

    কাজ ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির ত্রাণ ও

    পুনর্বাসনে সার্বিক সহযোগিতা দান।

    একসময় ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজ কমে এলে

    এসব সংস্থার অনেকগুলিই গ্রামীণ

    দরিদ্র জনগণের সামাজিক ও

    অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য দানের

    কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে আসে। এভাবেই

    দেশে উন্নয়নে অংশীদারিত্বের

    একটি নতুন ধারা সৃষ্টি হয়। এনজিওগুলি

    এখন প্রধান যেসব ক্ষেত্রে কার্যক্রম

    পরিচালনা করছে সেগুলি হচ্ছে

    দারিদ্র্য বিমোচন, পল্লী উন্নয়ন,

    লৈঙ্গিক সমতা, পরিবেশ প্রতিরক্ষা,

    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং

    মানবাধিকার। বাংলাদেশে

    এনজিওসমূহের সংখ্যা ও কর্মতৎপরতার

    ব্যাপক বৃদ্ধির একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে

    দারিদ্র্য সমস্যার চ্যালেঞ্জ

    মোকাবেলায় সরকারের সীমাবদ্ধতা।

    বিগত তিন দশকে বাংলাদেশে

    এনজিও কার্যক্রমসমূহ বেশ কয়েকটি

    ক্ষেত্রে সুসংগঠিতভাবে পরিচালিত

    হয়ে আসছে। এগুলি হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়ে

    কার্যকর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রচলন,

    দারিদ্র্য বিমোচন, নারী অধিকার,

    শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা

    এবং পরিবেশ। বাংলাদেশে এনজিও

    তৎপরতা বস্ত্তত উন্নয়ন উপযোগিতা

    আছে এমন সকল খাতেই বিস্তৃত। দেশের

    এনজিওসমূহ নানা নবোদ্ভাবনার জন্য

    বিশ্ব জুড়ে পরিচিতি লাভ করেছে।

    উল্লেখযোগ্য নবোদ্ভাবনার মধ্যে

    আছে ক্ষুদ্রঋণ, অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা

    ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা-য় গ্রামীণ

    ব্যাংক, ব্র্যাক ও আশা-র অনুসৃত

    মডেলসমূহ। এনজিওসমূহ এখন সমাজজীবনে

    পরিবর্তন আনয়নে সক্ষম এমন অনেক নতুন

    নতুন কার্যক্রম ও কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে

    আসছে, নানারকম নতুন ধারণা নিয়ে

     ngo করার নিয়ম

    কিভাবে বাংলাদেশে একটি এনজিওর কাজ শুরু করবেন তা আমাদের এই পোস্টটি পড়লে আপনারা খুব সহজে বুঝতে পারবেন। আশা করি এটি আপনাদের উপকারে আসবে।

    আমাদের দেশে অনেকেই আছেন যারা বিভিন্ন ধরনের এনজিও (NGO) প্রতিষ্ঠা করতে চান। কিন্তু তাদের অনেকেই যানেন না কিভাবে আইনগত বৈধতার মাধ্যমে একটি এনজিও এর কার্যক্রম শুরু করতে হয়।আসুন জেনে নেই কিভাবে বাংলাদেশে একটি এনজিও এর কাজ শুরু করবেন।


    বাংলাদেশে এনজিও এর কার্যক্রম অথবা কোন স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে দেশি কিংবা বিদেশি তহবিল পরিচালনা করার জন্য উক্ত সংস্থাকে প্রথমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট নিবন্ধিত হতে হবে এবং সরকারের নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে।কৃষি, ত্রাণ, মিশনারি, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, বৃত্তিমূলক, সামাজিক, কল্যাণ ও উন্নয়নমূলক সেবা প্রদানের জন্য যেকোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তার নিজের ইচ্ছামত সংস্থা (আংশিক বা সম্পূর্ণ বাহ্যিক সহায়তার মাধ্যমে) প্রতিষ্টা করতে পারবে।তবে অবশ্যই সেটা সরকার অনুমোদিত হতে হবে।

    একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারী সংস্থা (আইএনজিও) বা স্থানীয় ভিত্তিক বেসরকারী সংস্থা (এনজিও) নিবন্ধিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট একটি আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে। এনজিও বিষয়ক ব্যুরো (এনজিওএবি) “যা বাংলাদেশের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে” এবং গৃহায়ন মন্ত্রণালয় হচ্ছে এই বিষয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মূলত এদের কাছেই আবেদন দাখিল করতে হয়।

    প্রথমত, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো (এনজিওএবি) এর নিকট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর নির্ধারিত ফর্মে এনজিওএবি এর প্রয়োজনীয় ফি এবং আনুসাংগিক সকল প্রকার নথিপত্র, যেমন: কার্যকলাপ প্রতিবেদন, অভিপ্রায় পত্র, সংবিধান, রেজিস্ট্রেশন ফি ইত্যাদি এবং ট্রেজারি চালানের অনুলিপি বা কপি জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে।

    এনজিওএবি তে আবেদন জমা দেওয়ার পর এটি পরিক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সমাজ-কল্যান মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো হবে ।নথিপত্র গ্রহণের পর সংশ্লিষ্ঠ কর্তিপক্ষ পুলিশ ও বিশেষ গোয়েন্দা বাহিনীর ধারা অনুযায়ি আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য তদন্ত করে একটি তদন্ত রির্পোট পাওয়ার পর তা এনজিওএবি কে দেওয়া হলে তারা পর্যালোচনার ধারা ডকুমেন্ট চুড়ান্ত করে সামনে আগাবেন।

    আবেদন অনুমোদনে যে বিষয় গুলো মন্ত্রণালয় বিবেচনা করবেন তা হলোঃ-

    নিবন্ধীকরণের জন্য এনজিও টি কোন প্রকার রাষ্ট্র-বিরোধী কাজ কিংবা সমাজ বিরোধী কাজ কিংবা কোন অপরাধ মূলক কাজের সাথে জরিত কি না।

    আবেদনকারী সংস্থার সদস্যের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক কেমন,তাদের সামাজিক মর্যাদা,সামাজিক কল্যান মূলক কর্মকান্ড,পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা, তাদের নিজস্ব অফিস আছে কিনা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করবে।

    অতপর, কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবে আবেদনটি অনুমোদন দিবে কি না।যদি আবেদনটি অনুমোদিত হয় তাহলে উক্ত এনজিও টি বাংলাদেশে কাজ করার অনুমতি পাবে।অন্যথায় তা বাতিল বলে গন্য হবে। উক্ত কার্যক্রম সম্পূর্ণ করবে ৯০ কার্যদিবসে। তবে ক্ষেত্রবিশেষে এটি ৬ মাসও লাগতে পারে।

     ngo এর পূর্ণ রূপ কি

    প্রিয় পাঠকবৃন্দ আমরা কমবেশি সবাই এনজিও এর নাম শুনেছি কিন্তু এনজিও এর পূর্ণরূপ কি তোমরা হয়তো অনেকেই জানিনা। আজকে আপনারা আমাদের এই পোস্টটি পড়লে খুব সহজে জানতে পারবেন এনজিও এর পূর্ণরূপ কি।

    ngo -non government organization যার অর্থ বেসরকারি সংস্থা

     ngo কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয় 

    এনজিও 1972 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যা ব্র্যাক মানি পরিচিত এটি এমন একটি সংস্থা যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় উন্নয়নমূলক একটি সংস্থা এবং এই সংস্থাটির পরিচালক হল ফজলে হাসান আবেদ। স্বাধীনতার পর 1972 সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি বর্তমানে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করছে।

    Tag:ngo কি, এনজিও কি , ngo কাজ কি, ngo করার নিয়ম , ngo এর পূর্ণ রূপ কি, ngo কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়

    Post a Comment

    0Comments

    প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

    Post a Comment (0)