মেঘের দিন সাদাত হোসাইন পিডিএফ ডাউনলোড | Megher din Sadat Hosaain pdf download

Monjurul Hasan Manik
0

 


    মেঘের দিন সাদাত হোসাইন pdf

    আসসালামুআলাইকুম। আশাকরি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সকলে সুস্থ আছেন। timeofbd.com এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

    মেঘেদের দিন সাদাত হোসাইন এর লেখা একটি উপন্যাস। উপন্যাসের সংক্ষিপ্ত অংশ আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। আশা করি উপন্যাসটি সম্পূর্ণ পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আমাদের এই সাইট থেকে পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করতে পারেন।

    নদীর দুই ধারে নলখাগড়ার ঝােপগুলাে দেড়-মানুষসমান উঁচু। তার ভেতর হাঁটুসমান জল। সেই জলের ভেতর ছপছপ শব্দ তুলে হাঁটছে বুড়ি। সে এবার এগারােয় পড়েছে। তার পরনে বুকের কাছে কুঁচি দেওয়া ফ্রক। নতুন এই ফ্রকখানা তার ভীষণ পছন্দের। কারণে-অকারণে নানান অজুহাতে এই ফ্রক পরে সে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে। আজ অবশ্য বেরিয়েছে কাজে। 

    আকাশজুড়ে ঘন কালাে মেঘ। থেকে থেকে বিদ্যুৎও চমকাচ্ছে। খানিক বাদেই বৃষ্টি নামবে। এর মধ্যে হাঁসের বাচ্চাগুলােকে পাওয়া যাচ্ছে না। এবার বর্ষাকালটা চলে এসেছে অনেক আগেভাগেই। জ্যৈষ্ঠ মাসেই একটানা বৃষ্টি।

    সেই বৃষ্টিতে নতুন পানি উঠে এসেছে বাড়ির আশপাশে। দুদিন আগে ফোটা হাঁসের বাচ্চাগুলাে সেই পানিতে শােলার মতন ভেসে বেড়ায়। তাদের আটকে রাখা ভারি মুশকিল!
    ‘ও বুড়ি, এই জলার ভিতরে কী খোজস ?
    বুড়ি চমকে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাল। হারু ব্যাপারী ডিঙি নৌকার মাথায় বসে জংলা ঘাস কাটছে। তার হাতে চকচকে নতুন কচি। নৌকার মাঝখানে স্থূপ হয়ে আছে সবুজ ঘাস।

    “হাঁসের ছাওগুলান খুঁজি কাকু।
    ‘এতদূর কি আইছে নি ছাও ?

    বুড়ি মৃদু হাসে, “ওইগুলানরে বিশ্বাস নাই, যহন তহন যেদিক ইচ্ছা হারাই যায়।

    হারু ব্যাপারীও হাসল। তারপর কাঁচি ধরা হাতের উল্টোপিঠে খোঁচাখোঁচা দাড়িগুলাে চুলকে নেওয়ার চেষ্টা করল। বুড়ি বলল, “হাঁসগুলান দেখছেন নি কাকু ?

    হারু ব্যাপারী ঘাসের মুঠিটা নৌকার মাঝ বরাবর ছুড়ে দিতে দিতে বলল, ‘ওই দিকে মনে লয় কয়ডা হাঁস দেখলাম। সাথে কতগুলান ছাওও।

    ‘আমাগাে ছওগুলান দেখছেন ?
    ‘তােগাে গুলান আমি চিনমু ক্যামনে? আমি তাে আগে দেহি নাই!’ তাও তাে কথা! বুড়ি খানিক দুশ্চিন্তায়ই পড়ে গেল। আশপাশে কোথাও আর হাঁসের বাচ্চাগুলােকে দেখা যাচ্ছে না। সে কতির গলায় বলল, “কোনদিকে দেখছেন কাকু ?”

    হারু ব্যাপারী হাত তুলে উত্তর দিকে খালের পাড়টা দেখাল। ওখানে জলের গভীরতা ও স্রোত বেশি। বুড়ি চাইলেও যেতে পারবে না। সে অসহায় চোখে সে দিকে তাকিয়ে রইল। হারু ব্যাপারী অবশ্য বলল, ‘তুই এক কাম কর, নাওয়ে উইঠ্যা আয়, আমি তােরে নিয়া যাইতেছি।’

    বুড়ি নৌকায় উঠল। আর সেই মুহূর্তে ঝমঝম বৃষ্টি শুরু হলাে। গাছের ডাল কেটে বানানাে লম্বা ডাটের ছাতা আছে হারু ব্যাপারীর কাছে। সে সেই ছাতা মেলে তার নিচে বুড়িকে ডাকল। অতটুকু ছাতার নিচে দুজনকে ধরার কথা না। কিন্তু হারু ব্যাপারী দুহাতে বুড়িকে বুকের সঙ্গে চেপে ধরল। চারপাশে কেউ নেই, মাথাসমান উঁচু নলখাগড়ার বন। এর মধ্যে হারু ব্যাপারী তাকে অমন করে চেপে ধরছে কেন! বুড়ির আচমকা ভয় লাগতে শুরু করল।

    হারু ব্যাপারীর একখানা হাত বুড়ির কুঁচি দেওয়া ফ্রকের বুকের কাছটায় ঢুকে যেতে চাইছে। বুড়ি প্রাণপণে চেষ্টা করছে তার হাতখানাকে আটকে রাখতে, কিন্তু পারছে না। মানুষটার গায়ে যেন ক্রমশই অসুরের শক্তি ভর করছে। বুড়ি অবাক চোখে লােকটার দিকে তাকাল, হারু কাকু রােজ বাবার সঙ্গে তাদের বাড়িতে আসে। 

    রাতে উঠানে বসে মাঝরাত্তির অব্দি গল্প করে।
    মাঝেমধ্যে বাজার থেকে তার জন্য লজেন্স-বিস্কুটও নিয়ে আসে। সেই হারু কাকুর হঠাৎ কী এমন হলাে! বুড়ির খুব ভয় করছে, খুব ভয়। সঙ্গে কান্নাও পাচ্ছে। কিন্তু এখানে সে কাদলে শুনবে কে ? মেঘেদের দিন pdf download   বুড়ির কান্না অবশ্য শুনল আকাশ। আচমকা বিকট শব্দে কাছেই কোথাও বজ্রপাত হলাে। সেই শব্দে হারু ব্যাপারী ভয় খেয়ে গেল। সে ঝট করে বুড়িকে ছেড়ে দিয়ে আকাশের দিকে তাকাল। তারপর বার-দুই এদিক-সেদিক তাকিয়ে বলল, “আসমানের অবস্থা ভালাে না, বুঝলি ? খােলা জায়গায় থাহন। ঠিক না। চল ওইদিকে যাই।”

    বুড়ি আর হারু কাকুর সঙ্গে কোনাে দিকেই যাবে না। কিন্তু তার উপায় নেই। সে এক হাতে হারু কাকুর হাত খামচে ধরেছে। আরেক হাতে নৌকার পাটাতন। যেন এই নৌকার পাটাতন তাকে হারু কাকুর বজ্র আঁটুনি থেকে বাঁচাবে। কিন্তু হারু কাকু তাকে প্রায় বগলদাবা করে নৌকাটাকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে লাগল মূল খালের দিকে। খালের ওপাশটায় লােকালয় নেই।

    সেখানে আরও ঘন ঝােপ। সেই ঝােপের ভেতর সে নৌকা নিয়ে যেতে চাইছে। বুড়ির এখন চোখ বেয়ে জল নামছে। যদিও বৃষ্টির কারণে তার চোখের জল দেখা যাচ্ছে না। সে আচমকা হারু কাকুর হাতে কামড় বসিয়ে দিল। হারু কাকু অবশ্য তাতে খুব-একটা বিচলিত হলাে না। সে ঝাড়া দিয়ে বুড়ির মুখ থেকে হাতখানা ছাড়িয়ে নিয়ে বুড়িকে নৌকার মাঝখানে ঘাসের ভেতর ছুড়ে ফেলে দিল। 

    বুড়ি ঘাসের ভেতর চিৎ হয়ে পড়ে রইল। তার চোখের সামনে বিস্তৃত মেঘলা আকাশ। আকাশ বেয়ে তিরের ফলার মতাে বৃষ্টি নেমে আসছে। সেই বৃষ্টির ভেতর অন্ধকার আকাশের গায়ে হারু কাকুর শরীরটা কেমন বিদঘুটে দেখাচ্ছে।

    হারু ব্যাপারী নৌকা নিয়ে উত্তর দিকের মূল খালের দিকে সরে যাচ্ছে। ঘন লম্বা ঘাসের কারণে নৌকা সহজে নড়ছে না। বুড়ির হঠাৎ মার কথা খুব মনে পড়তে লাগল। আজিকাল মা আর তাকে কোথাও একা একা যেতে দিতে চায় না। শাসন-বারণটাও আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। গায়ের ছেলেছােকরাদের সঙ্গে আর খেলতেও দিতে চায় না। হাঁটু-ঢাকা লম্বা জামা পরতে দেয়।

    জামার সামনে বুকের কাছের জায়গাটা ঈষৎ স্ফীত হয়ে উঠছে বলে মা সেখানে জোর করে একটা গামছাও ঝুলিয়ে দেয়। সেই গামছা সামান্য সরে গেলেও ধমকে ওঠে। নতুন ফ্রকখানাতে বুকের কাছটাতে তাে কুঁচিই লাগিয়ে দিয়েছে মা।

    পুরো উপন্যাসটি পড়ার জন্য pdf file টি ডাউনলোড করুন।


    বইয়ের বিবরণঃ


    বইয়ের নামঃ মেঘের দিন

    লেখকঃ সাদাত হোসাইন

    ক্যাটাগরিঃ উপন্যাস

    প্রকাশনীঃ অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী

    File format: Pdf

    File size: 


    আপনারা চাইলে আমাদের এই সাইট থেকে সাদাত হোসাইন এর লেখা মেঘের দিন উপন্যাস টি ডাউনলোড করতে পারেন।


    Download link: Click here to download


    ট্যাগঃ মেঘের দিন সাদাত হোসাইন pdf

    Post a Comment

    0Comments

    প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

    Post a Comment (0)