গোসলের বর্ণনা, গোসলের বিধান | গোসলের ওয়াজিব, গোসলের ফরয, গোসলের সুন্নাত, গোসলের মুস্তাহাব | Gusoler Foroz , sunnat, Bornona , owazib , musthahab |

গোসলের বর্ণনা, গোসলের বিধান। গোসলের ওয়াজিব, গোসলের ফরয, গোসলের সুন্নাত, গোসলের মুস্তাহাব। Gusoler Foroz , Bornona , owazib , musthahab,sunnat |



গোসলের বর্ণনা, ফরয, সুন্নাত,ওয়াজিব ও মুস্থাহাব।

আসসালামুয়ালাইকুম, 

প্রিয় বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে বেশ ভালই আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালই আছি। এ বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে নিয়ে আসলাম কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে.... গোসলের বর্ণনা, গোসলের বিধান। গোসলের ওয়াজিব, গোসলের ফরয,  গোসলের সুন্নাত, গোসলের মুস্তাহাব। 


সেই বিষয় হলো গোসলের বর্ণনা,গোসলের ফরয, গোসলের ওয়াজিব ও মুস্থাহাব গোসলের বর্ণনা গোসল আরবী শব্দ। এর অর্থ ধৌত করা৷ এ হিসেবে কোন অঙ্গ বা সম্পূর্ণ অঙ্গটি ধোয়া বা সম্পূর্ণ শরীরটি ধোয়া ঐ একই কথা৷ সব ধরনটিকেই গোসল বলা হয়৷ কিন্তু প্রচলিত ভাষায় আমরা যাকে গোসল বলি তা হলো, দৈনন্দিন গোসল ফরয হওয়ার জন্য হোক কিংবা ময়লা পরিষ্কার করার উদ্দেশ্যেই হোক সম্পূর্ণ শরীর ধৌত করার নামই গোসল। এক্ষেত্রে আহারাদি করার সময় হাত-পা ধুয়ে জুতো মুজা ইত্যাদি পরিধানকালে, এমন কি ওযু করাকেও আমরা গোসল বলে বাখ্যা দেই না। 

ফরয গোসল 

মূলতঃ চারটি কারণে গোসল ফরয হয়ে থাকে।

১। জাগ্রত অবস্থায় হোক কিংবা নিদ্রিত অবস্থায় হোক, নারী অথবা পুরুষ যার হোক না কেন, আকস্মিক উত্তেজনার কারণে কিংবা বিপুল আসক্তি হেতু স্ববেগে বীর্যপাত হলে গোসল ফরয হয়৷ 

২। স্বামী-স্ত্রী সহবাসকালে পুরুষের লিঙ্গের অগ্রভাগের মসৃন গোশত পিণ্ড যাকে 'হাশফা' বলে তা স্ত্রীলিঙ্গের ভিতর প্রবেশ করা মাত্রই স্বামী-স্ত্রী উভয়ের শরীর নাপাক হয়ে যায়, তখন গোসল করা ফরয। 

৩। নিদ্রা থেকে জাগ্রত হয়ে কাপড়, বিছানার চাদর বা শরীরে বীর্য দেখা গেলেও গোসল ফরয হয়ে থাকে। এটা স্বপ্নদোষ অথবা অন্য কোন কারণ ছাড়াও হতে পারে।

 ৪। মহিলাদের হায়েয অথবা নিফাসের রক্ত বন্ধ হওয়ার পর গোসল করে পাক-পবিত্র হওয়া ফরয, এ গোসলও ফরয গোসলের অন্তভুক্ত।

ওয়াজিব গোসল 

সাধারণতঃ ওয়াজিব গোসল দু'প্রকার৷ মাত্র দুটো কারণেই গোসল ওয়াজিব হয়ে থাকে। 

১। মৃত লোকদের গোসল দেয়া জীবিত লোকদের উপর ওয়াজিব। 

২। কোন কাফির নাপাক হালতে মুসলমান হলে মুসলমান হওয়ার পূর্বে তার গোসল করা ওয়াজিব। 

ভুলবশতঃ গোসল না করে থাকলে পরে গোসল করবে, 

মূলতঃ প্রথমে গোসল করা ওয়াজিব ছিল।

 সুন্নাত গোসল 

প্রকৃতপক্ষে চারটি কারণে গোসল করা সুন্নাত। যেমনঃ

 ১। জুমআর নামাযের পূর্বে, যে গোসল দ্বারা জুমআর নামায আদায় করা হয়। 

২। দু’ঈদের দিনে।

 ৩। যেদিন হাজীগণ হজ্জকার্য সমাপ্ত করে বা আরাফার দিনে। 

৪। হজ্জ করবে এ নিয়তে ইহরাম বাঁধবার সময় গোসল করার সন্নত৷

মুস্তাহাব গোসল 

তিনটি বিশেষ কারণে গোসল করা মুস্তাহাব হয়৷ যেমনঃ 

১। কাফির ব্যক্তির শরীর পাক থাকা অবস্থায় গোসল করা। 

২। নাবালেগ যখনই বালেগ হয়েছে, তা অনুমান করতে পারলে, তখন সাথে সাথে গোসল করা। ৩। শবে বরাত ও শবে কদর ইত্যাদি নফল ইবাদাত করার পূর্বে গোসল করা।

বিঃদ্রঃ কোনো ভুল হলে কমেন্টে জানাবেন।

টাগঃ গোসলের বর্ণনা, গোসলের বিধান। গোসলের ওয়াজিব, গোসলের ফরয, গোসলের সুন্নাত, গোসলের মুস্তাহাব।