শুক্রবার আসরের পরের আমল | শুক্রবারের আমল সমূহ

Sadia
0

 

শুক্রবারের আমল, শুক্রবার আসরের পরের আমল, শুক্রবারের আমল সমূহ, শুক্রবার আসরের আমল

    শুক্রবারের আমল

    প্রিয় পাঠকবৃন্দ টাইম অফ বিডি এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমরা লক্ষ্য করছি আপনারা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় শুক্রবারের আমল খুঁজছেন। আর তাই আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টটি তৈরি করেছি শুক্রবার এর সম্পর্কে। শুক্রবারের আমল সম্পর্কে আমাদের এই পোস্টে আজকে যা যা থাকছেঃ সেগুলো হলোশুক্রবারের আমল, শুক্রবার আসরের পরের আমল, শুক্রবারের আমল সমূহ, শুক্রবার আসরের আমল ।আশা করি আপনারা পুরো পোস্টটি ধৈর্য্য সহকারে পড়বেন এবং সঠিক তথ্যটি পাবেন।

     শুক্রবার আসরের পরের আমল 

    জুম্মার দিনে নারী হিসেবে আপনি যা যা করতে পারেনঃ

    ●বেশি বেশি দুরূদ পাঠ করা রাসূল এর উপর।

    ●সূরাহ কাহাফ পাঠ করা।

    ●আসরের পরে সময় আল্লাহ এর কাছে নিজের জন্য, অন্যের জন্য ও পুরো মুসলিম উম্মাহ এর জন্য বেশি বেশি সুন্দর ভাল দোয়া করা।

    দোয়া করা ইবাদাত। 

    মুমিনের দোয়া কোন সময় বৃথা যায় না।

    আর কী কিছু করার আছে নারী হিসেবে? অবশ্যই আছে! 

    আপনার ঘরে পুরুষদের ও বাকিদের ভাল কাজ করতে অনুপ্রাণিত করুন।

    যেমনঃ

     আল্লাহ এর কাছে শুক্রবার দিনে ফজরের নামাজ জামাতের সাথে পড়া আল্লাহ এর কাছে অনেক প্রিয়। অনুপ্রাণিত করুন।

    জুম্মাহ এর নামাজে তারাতারি যেতে অনুপ্রাণিত করুন। 

    প্রথম তিনজনের জন্য আছে সুন্দর ও বড় উপহার আল্লাহ তরফ থেকে এবং চতুর্থ ও পঞ্চম জনের জন্য আছে। 

    জুম্মাহ নামাজে যাওয়া এর জন্য যেসব সুন্নাহ আছে তাদের তা মনে করিয়ে দিন। 

    যেমনঃ গোসল করা, মেসওয়াক করা, নক কাটা, ভালো জামা পরিধান করা, সুগন্ধী লাগানো ইত্যাদি।

    একেবারে উপরে তিনটি কাজ পুরুষদের ও বাকিদের করতে অনুপ্রাণিত করুন।

    তারা যদি আপনার অনুপ্রেরণা সেসব কাজ করে তবে আপনি সমপরিমাণ সওয়াব এর অধিকারি হবেন।

    অনেকে ছুটি দিন বলে নিজের রমাদানে না করা রোজা এই দিনে করবেন বলে ভেবে থাকেন। 

    না করাই ভালো, রাসুল এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ বলেছেন। 


    আর করতে চাইলে আপনাকে এর আগের দিন অথাৎ বৃহস্পতিবার রোজা রাখতে হবে বা এই দিনের পরের দিন অথাৎ শনিবার রোজা রাখার নিয়ত থাকতে হবে এবং পরের দিন শনিবার তা রাখতে হবে।


    এবং আমরা অবশ্যই অবশ্যই রিয়া অথাৎ লোক দেখানো (ছোট শিরক) আমল করা থেকে দূরে থাকব এবং নিজের করণীয় আমল গুলো গোপন রাখার চেষ্টা করব। 

    মানুষকে দেখানো এর জন্য করব না, আল্লাহকে খুশি করার জন্য সব করব।


    আল্লাহ আপনাদের চেষ্টাকে কবুল করুক এবং আপনাদের সবাইকে উত্তম প্রতিদান দান করুক।

    হাদিস ____

    দুরুদঃ  

                   রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হল জুমু’আহর দিন। 

    কাজেই এদিন তোমরা আমার উপর বেশী দরূদ পাঠ করো। 

    কারণ তোমাদের দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়। 

    [সুনানে আবু দাউদ: ১০৪৭,হাদিসের মান: সহিহ হাদিস]

                  রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পড়ে আল্লাহ তার উপর দশবার রহমাত নাযিল করেন।

      [সহিহ মুসলিম: ৭৯৮,হাদিসের মান: সহিহ হাদিস]


    সূরাহ কাহাফ পাঠঃ

                    নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা আল কাহাফ পড়বে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমাহ্ হতে আগামী জুমাহ্ পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। 

    [মিশকাতুল মাসাবিহ২১৭৫, হাদিসের মান: সহিহ হাদিস]

    জুমার নামাজে তারাতারি যাওয়ার উপহারঃ

                    রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সর্বাগ্রে সালাতে যে ব্যক্তি উপস্থিত হয় সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি উট কুরবানী করে, তারপর যে ব্যক্তি আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি গাভী কুরবানী করে। 

    এরপর যে ব্যক্তি আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি দুম্বা কুরবানী করে। 

    পরে যে ব্যক্তি আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি মুরগী আল্লাহর রাস্তায় দান করে। তারপর যে ব্যক্তি আগমন করে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি ডিম আল্লাহ্‌র রাস্তায় দান করে।

      [সুনানে আন-নাসায়ী:৮৬৪, হাদিসের মান: সহিহ হাদিস]


    জুমার দিন রোজা রাখা নিয়েঃ

                     নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের কেউ যেন শুধু জুমু’আর দিনে সওম পালন না করে কিন্তু তার পূর্বে একদিন অথবা পরের দিন (যদি পালন করে তবে জুমু’আর দিনে সওম পালন করা যায়)।

    [সহিহ বুখারী: ১৯৮৫, হাদিসের মান: সহিহ হাদিস]

    সিরাতল মুস্তাকিম

    শুক্রবারের আমল সমূহ 

    জুম্মার দিনের গুরুত্ব ও আমল সমূহঃ 

    জুম্মার দিন মুসলিমদের সাপ্তাহিক ঈদ বলে আখ্যায়িত। এই দিনটি সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। শুক্রবার মুসলিম উম্মাহর সাপ্তাহিক উৎসবের দিন। এই দিনকে ‘ইয়াওমুল জুমা’ বলা হয়। জুমার দিনের মৃত্যুর ফজিলত ও রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল ও গোটা জগতকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। এই ছয় দিনের শেষ দিন ছিল জুম্মার দিন। এই দিনেই হজরত আদম (আ.) সৃজিত হন। এ দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং এ দিনেই জান্নাত থেকে পৃথিবীতে নামানো হয়।

    আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়াছে। এই দিনে তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিনে তাঁকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। (মুসলিম, হাদিস : ৮৫৪)

    কেয়ামত এ দিনেই সংঘটিত হবে। আল্লাহ তায়ালা প্রতি সপ্তাহে মানবজাতির সমাবেশ ও ঈদের জন্য এ দিন নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু পূর্ববর্তী উম্মতরা তা পালন করতে ব্যর্থ হয়। ইসলামের জুম্মার গুরুত্ব অপরিসীম।

    স্বয়ং আল্লাহপাক কোরআন পাকে ইরশাদ করেন ‘হে মুমিনগণ জুম্মার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের উদ্দেশেও দ্রুত ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর’। সূরা জুমা, আয়াত নং-৯।

    নিচে শুক্রবারের আমল সম্পর্কে আলোচনা করা হল:

    তাই জুম্মার আজানের আগেই সব কর্মব্যস্ততা ত্যাগ করে জুম্মার নামাজের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে মসজিদে গমন করা সব মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। এ দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, তখন মানুষ যে দোয়াই করে তা-ই কবুল হয়। এই দিনের বিশেষ কিছু আমল রয়েছে, যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। যথাসম্ভব দ্রুত মসজিদে যাওয়া। এই দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে দ্রুত মসজিদে যাওয়া। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বোঝো।’ (সুরা জুমআ, আয়াত : ৯)

    অত:পর অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশতারা অবস্থান করেন এবং ক্রমানুসারে আগে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকেন। যে সবার আগে আসে সে ওই ব্যক্তির ন্যায় যে একটি মোটাতাজা উট কোরবানি করে। এরপর যে আসে সে ওই ব্যক্তি যে একটি গাভী কোরবানি করে। এরপর আগমনকারী ব্যক্তি মুরগি দানকারীর ন্যায়। তারপর ইমাম যখন বের হন তখন ফেরেশতাগণ তাদের লেখা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনতে থাকেন। (বুখারি, হাদিস : ৯২৯)

    শুক্রবারের আমল সম্পর্কে হযরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূল পাক (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জুম্মার দিন আসর নামাজের পর না উঠে ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার নিম্নে উল্লেখিত দরুদ শরিফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হবে এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে। (সুবনহান আল্লাহ)

    দোয়াটি হলো: ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহী ওয়াসাল্লিম তাসলীমা’ ।

    আরো কিছু শুক্রবারের আমল এর মধ্যে রয়েছে—

    ফজিলত পূর্ণ আমল: গোসল করা। উত্তম পোশাক পরিধান করা। সুগন্ধি ব্যবহার করা।

    শুক্রবারের নামাজ: আজানের পরপর নামাজের জন্য মসজিদে প্রবেশ করা উত্তম। এবং মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনাও ওয়াজিব।

    সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা: জুম্মার দিনে সূরা কাহ্ফ তিলাওয়াত করলে কিয়ামতের দিন আকাশতুল্য একটি নূর প্রকাশ পাবে।

    রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহফ পাঠ করবে তার জন্য দুই জুমা পর্যন্ত নূর উজ্জ্বল করা হবে। (আমালুল ইয়াওমী ওয়াল লাইল, হাদিস : ৯৫২)

    বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ করা এবং বেশি বেশি জিকির করা মোস্তাহাব। এ বিষয়ে রাসুল (সা.) বলেন, দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এই দিনে হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এই দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এই দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুশ করা হবে। অতএব তোমরা এই দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)

    শুক্রবার রাতের আমল: জুম্মার রাত (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) ও জুম্মার দিনে নবী করিম (সা.) এর প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠের কথা বলা হয়েছে। এমনিতেই যে কোনো সময়ে একবার দরুদ শরিফ পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা পাঠকারীকে দশটা রহমত দান করেন এবং ফেরেশতারা তার জন্য দশবার রহমতের দোয়া করেন।

    জুম্মার নামাজের পূর্বে দুই খুতবার মাঝখানে হাত না উঠিয়ে মনে মনে দোয়া করা।

    আসরের পরের আমল: সূর্য ডোবার কিছুক্ষণ আগ থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত গুরুত্বের সাথে জিকির, তাসবীহ ও দোয়ায় লিপ্ত থাকা। কারণ এটি শুক্রবার দোয়া কবুলের সময়।

    এ দিন প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার দিন দিবসসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৮৪) 

    এ দিনে বেশি বেশি দোওয়া পড়ার কথা রাসূল সা. নিজেই বলেছেন এভাবে, জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে একটি বিশেষ মুহূর্ত এমন আছে যে, তখন কোনো মুসলমান আল্লাহর নিকট যে দোয়া করবে আল্লাহ তা কবুল করেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮)

    এছাড়াও জুমার দিনের ফজিলতের হাদিস সমূহ বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থ গুলো দ্বারা স্বীকৃত। সবমিলে পবিত্র জুমার ফজিলত অপরিসীম। উপরে বর্ণিত জুম্মার দিনে করণীয় আমল সমূহ যথাযথভাবে পালন করলে কামিয়াবি আসবে ইনশাআল্লাহ।

    শুক্রবার আসরের আমল 

    জুমু'আর দিনের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি নেক আমল:

     দু'আ করা:

    রাসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “জুমু'আর দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, যেখানে এমন কোন মুসলিম নাই যে, সে যদি তখন আল্লাহর নিকট কিছু চায়, আল্লাহ তাকে দিবেন না। আর তোমরা আসরের পরে (মাগরিবের আগের) শেষ ঘণ্টায় সে সময়টা তালাশ করো।”

    (আবু দাউদে বর্ণিত এই হাদিসটি সহিহ)

    ❏ সূরা আল-কাহফ পাঠ:

    রাসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

     “যে ব্যক্তি জুমু'আর দিনে সূরা আল-কাহাফ (কুরআনের ১৮ নং সূরা) পাঠ করবে, তার জন্য পরবর্তী জুমু'আ পর্যন্ত আলোকময় হবে।

     [সহিহ আত-তারগিব: ৭৩৬ হাসান (সহিহ) হাদিস]

    উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত (জুমু'আর রাত) থেকে শুরু করে শুক্রবার মাগরিব পর্যন্ত যে কোন সময় (এক বৈঠকে অথবা একাধিক বৈঠকে) সূরা আল-কাহফ পুরোটা পড়ে শেষ করতে হবে। তাহলে উক্ত মর্যাদা লাভ করা যাবে ইনশাআল্লাহ।

    ❏ অধিক পরিমানে দরুদ পাঠ:

    রাসূলুল্লাহ সল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, 

    “তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হল জুমু'আর দিন। এই দিনে আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাকে মৃত্যু দেওয়া হয়েছে, এই দিনে সিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে এবং মহা বিপর্যয়ও (ক্বিয়ামত) ঘটবে এই দিনেই। তাই এই দিনে তোমরা বেশি বেশি আমার উপর দরুদ পাঠ করবে; কেননা তোমাদের দরুদ আমার উপর পেশ করা হয় জুমু'আর দিনে।

    সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কবরে গলে শেষ হওয়ার পরেও কীভাবে আপনার উপর দরুদ পেশ করা হয়? তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা মাটির জন্য নবিদের দেহ ভক্ষণ করা হারাম করে দিয়েছেন।”

    (সহিহ আত-তারগিব, আবু দাউদ)

    Tag:শুক্রবারের আমল, শুক্রবার আসরের পরের আমল, শুক্রবারের আমল সমূহ, শুক্রবার আসরের আমল 

    Post a Comment

    0Comments

    প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

    Post a Comment (0)