জারন বিজারন অর্ধ বিক্রিয়া | জারণ বিজারণ মনে রাখার টেকনিক
জারণ বিজারণ
জারণ বিজারণ, জারণ বিজারণ বিক্রিয়া, জারণ বিজারণ কাকে বলে, জারন বিজারন অর্ধ বিক্রিয়া, জারণ বিজারণ মনে রাখার টেকনিক।আশা করি আপনারা পুরো পোস্টটি ধৈর্য্য সহকারে পড়বেন এবং সঠিক তথ্যটি পাবেন।
জারণ বিজারণ বিক্রিয়া | জারণ বিজারণ কাকে বলে
জারণ বিজারণ বিক্রিয়া কি সেটা সঠিকভাবে এবং সহজভাবে দেওয়া হল। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।
যদি কোন ছেলে(ধাতু) কোন
মেয়েকে(অধাতু) কিছু (ইলেকট্রন)
প্রদান
করে তাহলে ছেলেটি যেহেতু কিছু
দিল তাহলে ছেলেটি নিজে জারিত
হল আর
মেয়েটি গ্রহণ করল tai সে হল
বিজারিত! আর যেহেতু
ছেলেটি মেয়েটিকে বিজারিত করল
তাহলে ছেলেটি বিজারক আর
মেয়েটি ছেলেটিকে জারিত করল
তাই মেয়েটি জারক!
মোটকথা, ইলেকট্রন হারানোকেই
জারন বলে আর ইলেকট্রন যার
ভিতরে বৃদ্ধি পায় সে জারক!
ইলেকট্রন বৃদ্ধি পাওয়াকে বিজারণ
বলে আর যার কারণে বৃদ্ধি পায়
সে বিজারক!
কারো জারণ-বিজারণ
বিক্রিয়া mone রাখতে অসুবিধা হলে এই
উদাহরণ অনুযায়ী মনে রাখবা!
আশা করি জীবনেও ভুলবে না !
আরেকটা কথা জারণ-বিজারণ
একটি যুগপৎ বিক্রিয়া মানে আদান-
প্রদান একই sathe সংঘটিত হয়!
জারন বিজারন অর্ধ বিক্রিয়া
জারণ বিজারণ যুগপৎ ঘটে-
জারণঃ কোন অণু, পরমাণু বা আয়ন ইলেকট্রন ত্যাগ করলে তাকে জারণ বিক্রিয়া বলে।
বিজারণঃ কোন অনু, পরমানু বা আয়ন ইলেকট্রন গ্রহণ করলে তাকে বিজারণ বিক্রিয়া বলে।
সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) প্রস্তুতির ক্ষেত্রে জারণ বিজারণ যুগপৎ ঘটে তার ব্যাখ্যা করা যায়। সোডিয়াম পরমানু তার নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস থেকে একটি ইলেকট্রন বেশি থাকায় সোডিয়াম পরমাণু সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তর হতে একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে সোডিয়াম(Na) আয়ন (Na+) গঠন করে এবং জারিত হয়।
অপরদিকে ক্লোরিন(Cl) পরমাণুতে নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস থেকে একটি ইলেকট্রন কম থাকায় ক্লোরিন পরমাণু তার বাইরের শক্তিস্তরে একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে ক্লোরাইড আয়ন (Cl-) গঠন করে এবং বিজারিত হয়। সোডিয়াম পরমাণু যে ইলেকট্রন ত্যাগ করে জারিত হয়েছে ক্লোরিন পরমাণু ঐ ইলেকট্রন গ্রহণ করে বিজারিত হয়েছে। কাজেই বলা যায় জারণ বিজারণ যুগপৎ ঘটনা।
Na --------> Na+ + e- ( জারন অর্ধ বিক্রিয়া)
Cl + e- -------> Cl- (বিজারন অর্ধ বিক্রিয়া)
2FeCl₂ + Cl₂ -------> 2FeCl₃
বিক্রিয়াটিতে জারণ বিজারণ যুগপৎ ঘটে এর ব্যাখ্যা নিম্নরূপ :
বিক্রিয়ক ফেরাস ক্লোরাইডে আয়রনের জারণ সংখ্যা +2. এই ফেরাস আয়ন একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে ফেরিক আয়ন গঠন করে জারিত হয় এবং এর জারণ সংখ্যা হয় +3. অপরদিকে বিক্রিয়ক ক্লোরিন অণুর জারণ সংখ্যা শূন্য ছিল। ক্লোরিন একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে ক্লোরাইড আয়ন গঠন করে বিজারিত হয়। উৎপাদে ক্লোরাইড আয়নের জারণ সংখ্যা -1হয়। বিক্রিয়াটিতে ফেরাস আয়ন যে ইলেকট্রন ত্যাগ করে জারিত হয়েছে ঠিক ঐ ইলেকট্রন ক্লোরিন পরমাণু গ্রহণ করে বিজারিত হয়েছে।
অর্থাৎ জারণ বিজারণ যুগপৎ ঘটে।
Fe²+ -------> Fe³+ +e- (জারণ অর্ধ বিক্রিয়া)
Clº + e- ------> Cl- (বিজারণ অর্ধ বিক্রিয়া)
আবার, বিক্রিয়াটিতে ইলেকট্রনের আদান-প্রদান সংঘটিত হওয়ার জন্য বিক্রিয়াটি জারণ বিজারণ বিক্রিয়া
জারণ বিজারণ মনে রাখার টেকনিক
ছন্দঃ জাদা বিগ্রহ
জা দা → জারণ দান
বি গ্রহ → বিজারণ গ্রহন
এখানে ইলেক্ট্রন দান করলে জারন হয়। এবং ইলেক্ট্রন গ্রহন করলে বিজারণ হয় ।
দুই নম্বর টেকনিক
জারণ হয় :
মাইনাস মাইনাস হলেপ্লাস প্লাস হলে ।অর্থাৎ
ঋনাত্মক ইলেক্ট্রন ত্যাগ হলে বা মাইনাস হলে
জারণ হয় এবং ধনাত্মক প্রোটন সংযোগ হলে বা যোগ
হলে জারণ হয়।
বিজারণ হয় :মাইনাস প্লাস হলে প্লাস মাইনাস হলে ।
অর্থাৎ,ঋনাত্মক ইলেক্ট্রন সংযোগ হলে বা যোগ হলে
বিজারণ হয় এবং ধনাত্মক প্রোটন ত্যাগ বা
মাইনাস হলে বিজারণ হয় ।
তিন নম্বর টেকনিক
জোবি জোরা
জো বি → যোজ্যতা বৃদ্ধি = জারণ
জো রা → যোজ্যতা হ্রাস = বিজারণ
Tag:জারণ বিজারণ, জারণ বিজারণ বিক্রিয়া, জারণ বিজারণ কাকে বলে, জারন বিজারন অর্ধ বিক্রিয়া, জারণ বিজারণ মনে রাখার টেকনিক