আল ওলামা ওরাসাতুল আম্বিয়া | সূরা আল আম্বিয়া তাফসীর | সূরা আল আম্বিয়া আয়াত ২২,৮৭
আল উলামাউ ওরাসাতুল আম্বিয়া
আল ওলামা ওরাসাতুল আম্বিয়া
“আল উলামা ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া”
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম bolecen,
“আল উলামা ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া” - আলেম ওলামারা হচ্ছেন নবী-রাসূলদের ওয়ারিশ বা উত্তরাধিকারী।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআ’তের শীর্ষস্থানীয় আলেম যারা বিগত শতাব্দীতে জন্মগ্রহণ korecen এবং ইতিমধ্যে আমাদেরকে ছেড়ে পরকালের জীবনে পাড়ি দিয়েছেনঃ
১. ইমাম আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ বিন বাজ রাহিমাহুল্লাহ, যিনি শায়খ বিন বাজ নামে বেশি পরিচিত। তিনি সৌদি আরবের বিগত প্রধান মুফতি ছিলেন।
জন্মস্থানঃ সৌদি আরব। মৃত্যু ১৯৯৯।
২. ইমাম মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ)।
তিনি বিগত কয়েক শতাব্দীর মাঝে শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস বা হাদিসের উপর বিজ্ঞ আলেম ছিলেন। শায়খ বিন বাজ, শায়খ মুকবিল সহ অনেক আলেম তাকে বিগত শতাব্দীর “মুজাদ্দিদ” বলেছেন।
জন্মস্থানঃ আলবেনিয়া। মৃত্যু ১৯৯৯।
৩. আল্লামাহ, ফকীহ, শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমিন।
তিনি ফিকহের উপরে বড় আলেম ছিলেন, অনেক তাকে “যুগের ইমাম শাফেয়ী” বলে আখ্যায়িত করেছেন।
জন্মস্থানঃ সৌদি আরব। মৃত্যু ২০০১।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআ’তের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের মাঝে যারা এখনো আমাদের মাঝে জীবিত আছেনঃ
১. আল্লামাহ, শায়খ সালিহ আল-ফাওজান (হা’ফিজাহুল্লাহ)
বর্তমান দুনিয়াতে সবচাইতে বড় আলেমদের মধ্যে একজন। আকীদাহ ও ফিকহের উপরে তাঁর অনেক কিতাব রয়েছে।
জন্মস্থানঃ সৌদি আরব।
২. মুহাদ্দিস, শায়খ আব্দুল মুহসিন বিন আল-আব্বাদ (হা’ফিজাহুল্লাহ)
তিনি হাদীসের উপরে ম্নদীনার বড় আলেম। অত্যন্ত প্রবীন এই শায়খ নিয়মিত মদীনাহ ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে ও মদীনার হারামে দারস দেন। তার অনেক ছাত্র রয়েছে।
জন্মস্থানঃ সৌদি আরব।
৩. আল্লামাহ শায়খ উয়াসী উল্লাহ আব্বাস (হা’ফিজাহুল্লাহ)।
তিনি কাবার ডেপুটি মুফতি এবং মসজিদুল হারামের একজন সম্মানিত শিক্ষক।
জন্মস্থানঃ ভারত।
সূরা আল আম্বিয়া তাফসীর
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
[তাফসীর, সূরা আম্বিয়া:১০-১৫]
মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন:
আমিতো tomader প্রতি অবতীর্ণ করেছি কিতাব যাতে আছে তোমাদের জন্য উপদেশ, তবুও কি তোমরা বুঝবেনা?
[সূরা আল-আম্বিয়া:১০]
(১০-১৫ নং আয়াতের তাফসীর:)
কুরআন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-সহ সকল মুসলিমদের জন্য সম্মান, মর্যাদা ও গৌরবের বস্তু। كِتٰبًا দ্বারা উদ্দেশ্য কুরআন,
যিকর দ্বারা উদ্দেশ্য সম্মান।
অর্থাৎ ami আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য যে কুরআন নাযিল করেছি তাতো তোমাদের সম্মান ও মর্যাদার বস্তু।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সম্মান ও মর্যাদা হল, এটা তাঁর ওপর নাযিল করা হয়েছে, এটা তাঁর চিরস্থায়ী মু‘জিযাহ।
আর মুসলিমদের জন্য সম্মান হল যদি মুসলিমরা এ কুরআন অনুসরণ করে তাহলে দুনিয়াতে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে পারবে,
তারা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারবে যেমন অধিষ্ঠিত হয়েছিল সাহাবায়ে কেরাম।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা এ কিতাবের মাধ্যমে একজাতিকে মর্যাদার আসনে উন্নীত করেন
আরেক জাতিকে করেন অপমানিত।
(সহীহ মুসলিম হা: ৮১৭)
আখিরাতের সম্মান হল, কুরআন আমাদের পক্ষে সাক্ষ্য দিবে যদি তা মেনে চলি।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: কুরআন তোমার পক্ষে দলীল হবে অথবা তোমার বিপক্ষে দলীল হবে।
(সহীহ মুসলিম হা: ২২৩)
সুতরাং মুসলিমরা যদি এ কুরআন মেনে চলে তাহলে তারা মর্যাদার আসনে সমাসীন হতে পারবে যে মর্যাদার আসনে সমাসীন হয়েছিল সাহাবায়ে কেরাম।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তিনি অনেক জনপদকে তাদের জুলুমের কারণে ধ্বংস করে দিয়েছেন, তারপর অন্যজাতি নিয়ে এসেছেন।
যেমন সূরা মু’মিনূনে বলা হয়েছে
আল্লাহ তা‘আলা নূহ (আঃ)-এর অবাধ্য জাতিকে ধ্বংস করে অন্য জাতি তথা সামুদ জাতি নিয়ে এসেছেন, তাদের মধ্যে যারা অবাধ্য হয়েছিল তাদেরকে ধ্বংস করে অন্য জাতি তথা লূত, শু‘আইব ও আইয়ূব প্রমুখ নাবীদের জাতি নিয়ে এসেছিলেন।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
“নূহের পর আমি কত মানবগোষ্ঠী ধ্বংস করেছি! তোমার প্রতিপালক তাঁর বান্দাদের পাপাচারের সংবাদ রাখা ও পর্যবেক্ষণের জন্য যথেষ্ট।”
(সূরা বানী ইসরাঈল ১৭:১৭)
অর্থাৎ যখন তারা চোখ দ্বারা আযাব দেখল এবং কান দ্বারা গর্জন শুনতে পেল তখন খুব দ্রুতগতিতে পলায়ন করার চেষ্টা করল।
আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে তিরস্কার করে বলছেন, তোমরা পলায়ন করা না বরং সুখ-শান্তি ও ভোগ-বিলাসের জন্য যে উপকরণ তৈরি সংগ্রহ, জাঁকজমকপূর্ণ প্রাসাদ তৈরি করেছ সেগুলোর দিকে ফিরে এসো।
কিন্তু তাদের পরিত্রাণের কোন উপায় নেই যেখানেই যাক না কেন। خامد অর্থ নিভে যাওয়া আগুন।
অর্থাৎ তাদেরকে শেষ পর্যন্ত কাটা ফসল ও নিভে যাওয়া আগুনের মত ভষ্মস্তুপে পরিণত না করা পর্যন্ত দুঃখ, অকল্যাণ ও আফসোসের আর্তনাদ করতেই থাকবে।
অতএব বোঝা গেল যে, আল্লাহ তা‘আলা কোন জনপদকে অযথা ধ্বংস করবেন না বরং তারা যখন জুলুমের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায় তখনই তাদের ওপর নেমে আসে শাস্তি।
আল্লাহ তা‘আলার শাস্তি নেমে আসার পর আর্তনাদ করে কোন উপকার হবে না।
সুতরাং মক্কাবাসী তোমরা কেন এসব উপদেশ বাণী পাওয়ার পরেও সতর্ক হচ্ছো না?
আয়াত_হতে_শিক্ষণীয়_বিষয়:
১. কুরআন মুসলিমের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মাধ্যম।
২. কুরআনের মাধ্যমে আল্লাহ এক জাতিকে সম্মানিত করেন, অপর জাতিকে অপমানিত করেন।
৩. যুগে যুগে অবাধ্য জাতিকে ধ্বংস করে অন্য জাতি নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশরাই নাবীদের বিরোধিতা করেছে।
[তাফসীর ফাতহুল মাজীদ]
সূরা আম্বিয়া কত পারায়
সূরা আল আম্বিয়া (আরবি: سورة الأنبياء "নবীগণ") মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের একুশতম সূরা। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ hoyece এবং এর ১১২ টি আয়াত সংখ্যা ।
সূরা আল আম্বিয়া আয়াত ২২
لَوْ كَانَ فِيهِمَا آلِهَةٌ إِلَّا اللَّهُ لَفَسَدَتَا فَسُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ عَمَّا يَصِفُونَ
যদি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্য থাকত, তবে উভয়ের ধ্বংস হয়ে যেত। অতএব tara যা বলে, তা থেকে আরশের অধিপতি আল্লাহ পবিত্র। [ সুরা আম্বিয়া ২১:২২ ]
সূরা আল আম্বিয়া আয়াত ৮৭
وَذَا النُّونِ إِذ ذَّهَبَ مُغَاضِبًا فَظَنَّ أَن لَّن نَّقْدِرَ عَلَيْهِ فَنَادَى فِي الظُّلُمَاتِ أَن لَّا إِلَهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
এবং মাছওয়ালার কথা স্মরণ করুন tini ক্রুদ্ধ হয়ে চলে গিয়েছিলেন, অতঃপর মনে করেছিলেন যে, আমি তাঁকে ধৃত করতে পারব না। অতঃপর তিনি অন্ধকারের মধ্যে আহবান করলেনঃ তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তুমি নির্দোষ আমি গুনাহগার। [ সুরা আম্বিয়া ২১:৮৭ ]
Tag:আল উলামাউ ওরাসাতুল আম্বিয়া, আল ওলামা ওরাসাতুল আম্বিয়া, সূরা আল আম্বিয়া তাফসীর, সূরা আম্বিয়া কত পারায়, সূরা আল আম্বিয়া আয়াত ২২, সূরা আল আম্বিয়া আয়াত ৮৭