সূরা হিজর বাংলা উচ্চারণ | সূরা হিজর এর শানে নুযুল ও তাফসীর
সূরা আল হিজর বাংলা উচ্চারণ
সূরা হিজর বাংলা উচ্চারণ
সুরা নং- ০১৫ : আল-হিজর (বাংলা উচ্চারণ সহ অর্থ)
"পাথুরে পাহাড়"
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)।
الر تِلْكَ آيَاتُ الْكِتَابِ وَقُرْآنٍ مُبِينٍ
১। আলিফ্ লাম্ রা- তিল্কা আ-ইয়া-তুল্ কিতা-বি অক্বকুরআনিম্ মুবীন্।
আলিফ-লাম-রা; এ হল কিতাব ও সুস্পষ্ট কুরআনের আয়াতসমূহ।
رُبَمَا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ كَانُوا مُسْلِمِينَ
২। রুবামা- ইয়াওয়াদ্দুল্লাযীনা কাফারূ লাও কা-নূ মুসলিমীন্।
যারা কুফরী করেছে, তারা একসময় কামনা করবে যদি তারা মুসলমান হত!
ذَرْهُمْ يَأْكُلُوا وَيَتَمَتَّعُوا وَيُلْهِهِمُ الْأَمَلُ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ
৩। র্যাহুম্ ইয়াকুলূ অইয়াতামাত্তাঊ অইয়ুল্হিহিমুল্ আমালু ফাসাওফা ইয়ালামূন্।
তাদেরকে ছেড়ে দাও, আহারে ও ভোগে তারা মত্ত থাকুক এবং আশা তাদেরকে গাফেল করে রাখুক, আর অচিরেই তারা জানতে পারবে।
وَمَا أَهْلَكْنَا مِنْ قَرْيَةٍ إِلَّا وَلَهَا كِتَابٌ مَعْلُومٌ
৪। অমা য় আহ্লাক্না-মিন্ র্ক্বইয়াতিন্ ইল্লা-অলাহা-কিতা-বুম্ মালূম্।
আর আমি কোন জনপদকে ধ্বংস করিনি তার জন্য নির্ধারিত সময় ছাড়া ।
مَا تَسْبِقُ مِنْ أُمَّةٍ أَجَلَهَا وَمَا يَسْتَأْخِرُونَ
৫। মা-তাস্বিকু মিন্ উম্মাতিন্ আজ্বালাহা-অমা-ইয়াস্তাখিরূন্।
কোন জাতিই তাদের সুনির্ধারিত সময় থেকে আগে বাড়তে পারে না আর পিছাতেও পারে না।
وَقَالُوا يَا أَيُّهَا الَّذِي نُزِّلَ عَلَيْهِ الذِّكْرُ إِنَّكَ لَمَجْنُونٌ
৬। অক্ব-লূ ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযী নুয্যিলা আলাইহিয্ যিক্রু ইন্নাকা লামাজুনূন্।
আর তারা বলল, হে ঐ ব্যক্তি, যার উপর কুরআন নাযিল করা হয়েছে, তুমি তো নিশ্চিত পাগল।
لَوْ مَا تَأْتِينَا بِالْمَلَائِكَةِ إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ
৭। লাও মা-তাতীনা বিল্ মালা-য়িকাতি ইন্ কুন্তা মিনাছ্ ছোয়া-দিক্বীন্।
কেন আমাদের কাছে ফেরেশতা নিয়ে আসছ না, যদি তুমি সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাক?
مَا نُنَزِّلُ الْمَلَائِكَةَ إِلَّا بِالْحَقِّ وَمَا كَانُوا إِذًا مُنْظَرِينَ
৮। মা-নুনায্যিলুল্ মালা-য়িকাতা ইল্লাÑবিল্হাক্ব্ ক্বি অমা-কা-নূ য় ইযাম্ মুন্জোয়ারীন্।
আমি যথাযথ কারণ ছাড়া ফেরেশতাদের নাযিল করি না, আর (নাযিল করলে) তখন তারা অবকাশও পেত না।
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ
৯। ইন্না-নাহ্নু নায্যাল্নায্ যিক্রা অইন্না-লাহূ লাহা-ফিজূন্।
নিশ্চয় আমি কুরআন নাযিল করেছি, আর আমিই তার হেফাযতকারী।
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ فِي شِيَعِ الْأَوَّلِينَ
১০। অলাক্বদ্ র্আসালনা-মিন্ ক্বব্লিকা ফী শিয়ইল্ আওঅলীন্।
আর আমি তোমার পূর্বে অতীত সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে রাসূল প্রেরণ করেছি।
وَمَا يَأْتِيهِمْ مِنْ رَسُولٍ إِلَّا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُونَ
১১। অমা-ইয়া তীহিম্ র্মি রসূলিন্ ইল্লা- কা-নূ বিহী ইয়াস্তাহ্যিয়ূন্।
আর যখনই তাদের নিকট কোন রাসূল আসত তারা তাকে নিয়ে উপহাস করত।
كَذَلِكَ نَسْلُكُهُ فِي قُلُوبِ الْمُجْرِمِينَ
১২। কাযা-লিকা নাস্লুকুহূ ফী কুলূবিল্ মুজুরিমীন্।
এমনিভাবে আমি তা অপরাধীদের অন্তরে সঞ্চার করি।
لَا يُؤْمِنُونَ بِهِ وَقَدْ خَلَتْ سُنَّةُ الْأَوَّلِينَ
১৩। লা ইয়ুমিনূনা বিহী অক্বদ্ খলাত্ সুন্নাতুল্ আওঅলীন্।
তারা এতে ঈমান আনবে না, আর পূর্ববর্তীদের (ব্যাপারে আল্লাহর) রীতি তো বিগত হয়েছে।
وَلَوْ فَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَابًا مِنَ السَّمَاءِ فَظَلُّوا فِيهِ يَعْرُجُونَ
১৪। অলাও ফাতাহ্না- ‘আলাইহিম্ বা-বাম্ মিনাস সামা-য়ি ফাজোয়াল্ল ফীহি ইয়ারুজুন্।
আর যদি আমি তাদের জন্য আসমানের কোন দরজা খুলে দিতাম, অতঃপর তারা তাতে আরোহণ করতে থাকত,
لَقَالُوا إِنَّمَا سُكِّرَتْ أَبْصَارُنَا بَلْ نَحْنُ قَوْمٌ مَسْحُورُونَ
১৫। লাক্ব -লূ য় ইন্নামা সুক্কিরাত্ আব্ছোয়া- রুনা-বাল্ নাহ্নু ক্বওমুম্ মাস্হুরূন্।
তবুও তারা বলত, নিশ্চয় আমাদের দৃষ্টি কেড়ে নেয়া হয়েছে, বরং আমরা তো যাদুগ্রস্ত সম্প্রদায়।
وَلَقَدْ جَعَلْنَا فِي السَّمَاءِ بُرُوجًا وَزَيَّنَّاهَا لِلنَّاظِرِينَ
১৬। অলাক্বদ্ জ্বা‘আল্না ফিস্ সামায়ি বুরূজ্বাঁও অ যাইয়্যান্না-হা- লিন্না-যিরীন্।
আর আমি আসমানে স্থাপন করেছি কক্ষপথসমূহ এবং তাকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছি দর্শকদের জন্য।
وَحَفِظْنَاهَا مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ رَجِيمٍ
১৭। অ হাফিজ্নাহা-মিন্ কুল্লি শাইত্বোয়া-র্নি রাজ্বীম্।
আর আমি তাকে সুরক্ষিত করেছি প্রত্যেক বিতাড়িত শয়তান থেকে।
إِلَّا مَنِ اسْتَرَقَ السَّمْعَ فَأَتْبَعَهُ شِهَابٌ مُبِينٌ
১৮। ইল্লা-মানিস্ তারাক্বাস সাম্আ ফাআত্ বাআহূ শিহা-বুম মুবীন্।
তবে যে গোপনে শোনে, তৎক্ষণাৎ সুস্পষ্ট জ্বলন্ত অগ্নিশিখা তার পিছু নেয়।
وَالْأَرْضَ مَدَدْنَاهَا وَأَلْقَيْنَا فِيهَا رَوَاسِيَ وَأَنْبَتْنَا فِيهَا مِنْ كُلِّ شَيْءٍ مَوْزُونٍ
১৯। অল্ র্আদ্বোয়া মাদাদ্না-হা- অআল্ক্বাইনা- ফীহা-রঅসিয়া অআম্বাত্না-ফীহা-মিন্ কুল্লি শাইয়িম্ মাওযূন্।
আর যমীনকে আমি বিস্তৃত করেছি এবং তাতে সুদৃঢ় পাহাড় স্থাপন করেছি। আর তাতে উৎপন্ন করেছি সকল প্রকার বস্তু সুনির্দিষ্ট পরিমাণে ।
وَجَعَلْنَا لَكُمْ فِيهَا مَعَايِشَ وَمَنْ لَسْتُمْ لَهُ بِرَازِقِينَ
২০। অ জ্বাআল্না-লাকুম্ ফীহা মাআইয়িশা অমাল্ লাস্তুম্ লাহূ বির-যিক্বীন্।
আর তাতে তোমাদের জন্য এবং তোমরা যার রিয্ক দাতা নও তাদের জন্য রেখেছি জীবনোপকরণ ।
وَإِنْ مِنْ شَيْءٍ إِلَّا عِنْدَنَا خَزَائِنُهُ وَمَا نُنَزِّلُهُ إِلَّا بِقَدَرٍ مَعْلُومٍ
২১। অ ইঁম্মিন্ শাইয়িন্ ইল্লা ইন্দানা- খযা-য়িনুহূ অমা-নুনায্যিলুহূ য় ইল্লা- বিক্বদারিম্ মা’লূম্।
আর প্রতিটি বস্তুরই ভাণ্ডারসমূহ রয়েছে আমার কাছে এবং আমি তা অবতীর্ণ করি কেবল নির্দিষ্ট পরিমাণে।
وَأَرْسَلْنَا الرِّيَاحَ لَوَاقِحَ فَأَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَسْقَيْنَاكُمُوهُ وَمَا أَنْتُمْ لَهُ بِخَازِنِينَ
২২। অর্আসালনার রিয়াহা লাওয়া-ক্বিহা ফাআন্যাল্না-মিনাস্ সামা-য়ি মা য় য়ান্ ফাআস্ ক্বাইনা-কুমূহু অমা য় আন্তুম লাহূ বিখ-যিনীন্।
আর আমি বায়ুকে ঊর্বরকারীরূপে প্রেরণ করি অতঃপর আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করি এবং তা তোমাদের পান করাই। তবে তোমরা তার সংরক্ষণকারী নও।
وَإِنَّا لَنَحْنُ نُحْيِي وَنُمِيتُ وَنَحْنُ الْوَارِثُونَ
২৩। অইন্না-লানাহ্নু নুহয়ীঅনুমীতু অ নাহ্নুল্ ওয়া-রিছূন্।
আর নিশ্চয় আমি জীবিত করি ও মৃত্যু দেই এবং আমিই ওয়ারিস।
وَلَقَدْ عَلِمْنَا الْمُسْتَقْدِمِينَ مِنْكُمْ وَلَقَدْ عَلِمْنَا الْمُسْتَأْخِرِينَ
২৪। অলাক্বদ্ আলিম্নাল্ মুস্তাক্বদিমীনা মিন্কুম্ অলাক্বদ্ আলিম্নাল্ মুস্তাখিরীন্।
আর অবশ্যই আমি জানি তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং অবশ্যই জানি পরবর্তীদেরকে।
وَإِنَّ رَبَّكَ هُوَ يَحْشُرُهُمْ إِنَّهُ حَكِيمٌ عَلِيمٌ
২৫। অইন্না রব্বাকা হুঅ ইয়াহ্শুরুহুম্ ইন্নাহূ হাকীমুন্ আলীম্।
আর নিশ্চয় তোমার রব তাদেরকে একত্র করবেন। নিশ্চয় তিনি প্রজ্ঞাময় ও সর্বজ্ঞানী।
وَلَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ مِنْ صَلْصَالٍ مِنْ حَمَإٍ مَسْنُونٍ
২৬। অলাক্বদ্ খলাক্বনাল্ ইন্সা-না মিন্ ছল্ছোয়া-লিম্ মিন্ হামায়িম্ মাস্নূন্।
আর অবশ্যই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি শুকনো ঠনঠনে, কালচে কাদামাটি থেকে।
وَالْجَانَّ خَلَقْنَاهُ مِنْ قَبْلُ مِنْ نَارِ السَّمُومِ
২৭। অল্জ্বা-ন্না খলাক্বনা-হু মিন্ ক্বব্লু মিন্ না-রিস্ সামূম্।
আর ইতঃপূর্বে জিনকে সৃষ্টি করেছি উত্তপ্ত অগ্নিশিখা থেকে।
وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي خَالِقٌ بَشَرًا مِنْ صَلْصَالٍ مِنْ حَمَإٍ مَسْنُونٍ
২৮। অইয্ ক্ব-লা রব্বুকা লিল্মালা-য়িকাতি ইন্নী খ-লিকুম্ বাশারাম্ মিন্ ছল্ছোয়া-লিম্ মিন্ হামায়িম্ মাসনূন্।
আর স্মরণ কর, যখন তোমার রব ফেরেশতাদের বললেন, ‘আমি একজন মানুষ সৃষ্টি করতে যাচ্ছি শুকনো ঠনঠনে কালচে মাটি থেকে।
فَإِذَا سَوَّيْتُهُ وَنَفَخْتُ فِيهِ مِنْ رُوحِي فَقَعُوا لَهُ سَاجِدِينَ
২৯। ফাইযা সাওঅইতুহূ অনাফাখ্তু ফীহি র্মি রূহী ফাক্বাঊ লাহূ সা-জ্বিদীন্।
অতএব যখন আমি তাকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেব এবং তার মধ্যে আমার রূহ ফুঁকে দেব, তখন তোমরা তার জন্য সিজদাবনত হও।
فَسَجَدَ الْمَلَائِكَةُ كُلُّهُمْ أَجْمَعُونَ
৩০। ফাসাজ্বাদাল্ মালা-য়িকাতু কুল্লহুম্ আজুমাঊন্।
অতঃপর, ফেরেশতারা সকলেই সিজদা করল।
إِلَّا إِبْلِيسَ أَبَى أَنْ يَكُونَ مَعَ السَّاجِدِينَ
৩১। ইল্লা য় ইব্লীস্; আবা য় আইঁ ইয়াকূনা মাআস্ সা-জ্বিদীন্।
ইবলীস ছাড়া। সে সিজদাকারীদের সঙ্গী হতে অস্বীকার করল।
قَالَ يَا إِبْلِيسُ مَا لَكَ أَلَّا تَكُونَ مَعَ السَّاجِدِينَ
৩২। ক্ব-লা ইয়া য় ইব্লীসু মা-লাকা আল্লা-তাকূনা মাআস্ সা-জ্বিদীন্।
তিনি বললেন, হে ইবলীস, তোমার কী হল যে, তুমি সিজদাকারীদের সঙ্গী হলে না?
قَالَ لَمْ أَكُنْ لِأَسْجُدَ لِبَشَرٍ خَلَقْتَهُ مِنْ صَلْصَالٍ مِنْ حَمَإٍ مَسْنُونٍ
৩৩। ক্ব-লা লাম্ আকুল্লি আস্জুদা লিবাশারিন্ খলাক্বতাহূ মিন্ ছল্ছোয়া-লিম্ মিন্ হামায়িম্ মাস্নূন্।
সে বলল, আমি তো এমন নই যে, একজন মানুষকে আমি সিজদা করব, যাকে আপনি সৃষ্টি করেছেন শুকনো ঠনঠনে কালচে মাটি থেকে।
قَالَ فَاخْرُجْ مِنْهَا فَإِنَّكَ رَجِيمٌ
৩৪। ক্ব-লা ফাখ্রুজু মিন্হা-ফাইন্নাকা রাজ্বীম্।
তিনি বললেন, তাহলে তুমি এখান থেকে বেরিয়ে যাও, তুমি বিতাড়িত।
وَإِنَّ عَلَيْكَ اللَّعْنَةَ إِلَى يَوْمِ الدِّينِ
৩৫। অ ইন্না আলাইকাল্ লানাতা ইলা-ইয়াওমিদ্দীন্।
আর নিশ্চয় কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তোমার উপর লানত।
قَالَ رَبِّ فَأَنْظِرْنِي إِلَى يَوْمِ يُبْعَثُونَ
৩৬। ক্ব-লা রব্বি ফাআর্ন্জিনী য় ইলা-ইয়াওমি ইয়ুব্আছ্ন্।
সে বলল, হে আমার রব, তাহলে আমাকে অবকাশ দিন সে দিন পর্যন্ত, যেদিন তাদেরকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে।
قَالَ فَإِنَّكَ مِنَ الْمُنْظَرِينَ
৩৭। ক্ব-লা ফাইন্নাকা মিনাল্ মুন্জোয়ারীন্ ।
তিনি বললেন, তুমি নিশ্চয় অবকাশপ্রাপ্তদের একজন।
إِلَى يَوْمِ الْوَقْتِ الْمَعْلُومِ
৩৮। ইলা-ইয়াওমিল্ অক্বতিল্ মালূম্।
নির্ধারিত সময়ের দিন পর্যন্ত।
قَالَ رَبِّ بِمَا أَغْوَيْتَنِي لَأُزَيِّنَنَّ لَهُمْ فِي الْأَرْضِ وَلَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ
৩৯। ক্ব-লা রব্বি বিমা য় আগ্ওয়াইতানী লাউযাইয়্যিনান্না লাহুম্ ফিল্ র্আদ্বি অলা উগ্ওয়িইয়ান্নাহুম্ আজুমাঈন্।
সে বলল, হে আমার রব, যেহেতু আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, তাই যমীনে আমি তাদের জন্য (পাপকে) শোভিত করব এবং নিশ্চয় তাদের সকলকে পথভ্রষ্ট করব।
إِلَّا عِبَادَكَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِينَ
৪০। ইল্লা-ইবা-দাকা মিন্হুমুল্ মুখলাছীন্।
তাদের মধ্য থেকে আপনার একান্ত বান্দাগণ ছাড়া।
قَالَ هَذَا صِرَاطٌ عَلَيَّ مُسْتَقِيمٌ
৪১। ক্ব-লা হা-যা- ছিরা-তুন্আলাইয়্যা মুস্তাক্বীম্।
তিনি বললেন, এটা আমার দিকে আনয়নকারী সরল পথ।
إِنَّ عِبَادِي لَيْسَ لَكَ عَلَيْهِمْ سُلْطَانٌ إِلَّا مَنِ اتَّبَعَكَ مِنَ الْغَاوِينَ
৪২। ইন্না ইবা-দী লাইসা লাকা আলাইহিম্ সুল্ত্বোয়া-নুন্ ইল্লা-মানিত্তাবা‘আকা মিনাল্ গ-ওয়ীন্।
নিশ্চয় আমার বান্দাদের উপর তোমার কোন ক্ষমতা নেই, তবে পথভ্রষ্টরা ছাড়া যারা তোমাকে অনুসরণ করেছে।
وَإِنَّ جَهَنَّمَ لَمَوْعِدُهُمْ أَجْمَعِينَ
৪৩। অইন্না জ্বাহান্নামা লামাওইদুহুম্ আজুমাঈন্।
আর নিশ্চয় জাহান্নাম তাদের সকলের প্রতিশ্র“ত স্থান।
لَهَا سَبْعَةُ أَبْوَابٍ لِكُلِّ بَابٍ مِنْهُمْ جُزْءٌ مَقْسُومٌ
৪৪। লাহা-সাব্আতু আব্ওয়া-ব্; লিকুল্লি বা-বিম্ মিন্হুম্ জুয্য়ুম্ মাক্বসূম্।
তার সাতটি দরজা রয়েছে। প্রতিটি দরজার জন্য রয়েছে তাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট একটি শ্রেণী।
إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
৪৫। ইন্নাল্ মুত্তাক্বীনা ফী জান্না-তিঁও অউইয়ূন্।
নিশ্চয় মুত্তাকীগণ থাকবে জান্নাত ও ঝর্ণাধারাসমূহে।
ادْخُلُوهَا بِسَلَامٍ آمِنِينَ
৪৬। উদ্খুলূহা-বিসালা-মিন্ আ-মিনীন্।
তোমরা তাতে প্রবেশ কর শান্তিতে, নিরাপদ হয়ে।
وَنَزَعْنَا مَا فِي صُدُورِهِمْ مِنْ غِلٍّ إِخْوَانًا عَلَى سُرُرٍ مُتَقَابِلِينَ
৪৭। অনাযানা মা-ফী ছুদূরিহিম্ মিন্ গিল্লিন্ ইখওয়া-নান্ আলা-সুরুরিম্ মুতাক্ব-বিলীন্।
আর আমি তাদের অন্তর থেকে হিংসা বিদ্বেষ বের করে ফেলব, তারা সেখানে ভাই ভাই হয়ে আসনে মুখোমুখি বসবে।
لَا يَمَسُّهُمْ فِيهَا نَصَبٌ وَمَا هُمْ مِنْهَا بِمُخْرَجِينَ
৪৮। লা-ইয়ামাস্ সুহুম্ ফীহা-নাছোয়াবুঁও অমা-হুম্ মিনহা- বিমুখ্রজ্বীন্।
সেখানে তাদেরকে ক্লান্তি স্পর্শ করবে না এবং তারা সেখান থেকে বহিষ্কৃতও হবে না।
نَبِّئْ عِبَادِي أَنِّي أَنَا الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
৪৯। নাব্বি ইবা-দী য় আন্নী য় আনাল্ গফূর্রু রহীম্।
আমার বান্দাদের জানিয়ে দাও যে, আমি নিশ্চয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
وَأَنَّ عَذَابِي هُوَ الْعَذَابُ الْأَلِيمُ
৫০। অআন্না আযা-বী হুঅল্ আযা-বুল্ আলীম্।
আর আমার আযাবই যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
وَنَبِّئْهُمْ عَنْ ضَيْفِ إِبْرَاهِيمَ
৫১। অ নাব্বিহুম্ আন্ দ্বোয়াইফি ইব্রা-হীম্;।
আর তুমি তাদেরকে ইবরাহীমের মেহমানদের সংবাদ দাও।
إِذْ دَخَلُوا عَلَيْهِ فَقَالُوا سَلَامًا قَالَ إِنَّا مِنْكُمْ وَجِلُونَ
৫২। ইয্ দাখালূ আলাইহি ফাক্বা-লূ সালাম্; ক্বা-লা ইন্না-মিন্কুম্ অজ্ব্লিন্।
যখন তারা তার নিকট প্রবেশ করল, অতঃপর বলল, সালাম। সে বলল, আমরা নিশ্চয় তোমাদের ব্যাপারে শঙ্কিত।
قَالُوا لَا تَوْجَلْ إِنَّا نُبَشِّرُكَ بِغُلَامٍ عَلِيمٍ
৫৩। ক্বা-লূ লা-তাওজ্বাল্ ইন্না-নুবাশ্শিরুকাবিগুলা-মিন্ আলীম্।
তারা বলল, তুমি ভীত হয়ো না, নিশ্চয় আমরা তোমাকে এক জ্ঞানী শিশুর সুসংবাদ দিচ্ছি।
قَالَ أَبَشَّرْتُمُونِي عَلَى أَنْ مَسَّنِيَ الْكِبَرُ فَبِمَ تُبَشِّرُونَي
৫৪। ক্ব-লা আবার্শ্শাতুমূনী আলা য় আম্মাস্সানিইয়াল্ কিবারু ফাবিমা-তুবাশ্শিরূন্।
সে বলল, তোমরা কি আমাকে সুসংবাদ দিচ্ছ, যখন বার্ধক্য আমাকে স্পর্শ করেছে ? সুতরাং তোমরা কিসের সুসংবাদ দিচ্ছ?
قَالُوا بَشَّرْنَاكَ بِالْحَقِّ فَلَا تَكُنْ مِنَ الْقَانِطِينَ
৫৫। ক্বা-লূ বার্শ্শানা-কা বিল্হাক্বক্বি ফালা-তাকুম্ মিনাল্ ক্বা-নিত্বীন্।
তারা বলল, আমরা তোমাকে যথার্থ সুসংবাদ দিচ্ছি। সুতরাং তুমি নিরাশদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
قَالَ وَمَنْ يَقْنَطُ مِنْ رَحْمَةِ رَبِّهِ إِلَّا الضَّالُّونَ
৫৬। ক্ব-লা অমাইঁ ইয়াক্বনাতু র্মি রহমাতি রব্বহী য় ইল্লাদ্ব্ দ্বোয়া য় ল্লূন্।
সে বলল, পথভ্রষ্টরা ছাড়া, কে তার রবের রহমত থেকে নিরাশ হয়?
قَالَ فَمَا خَطْبُكُمْ أَيُّهَا الْمُرْسَلُونَ
৫৭। ক্ব-লা ফামা-খাত্ব বুকুম্ আইয়্যুহাল্ র্মুসালূন্।
সে বলল, তবে তোমাদের কী কাজ হে প্রেরিতগণ?
قَالُوا إِنَّا أُرْسِلْنَا إِلَى قَوْمٍ مُجْرِمِينَ
৫৮। ক্ব-লূ য় ইন্না য় উরসিলনা য় ইলা ক্বওমিম্ মুজুরিমীন্।
তারা বলল, নিশ্চয় আমরা প্রেরিত হয়েছি অপরাধী কওমের নিকট।
إِلَّا آلَ لُوطٍ إِنَّا لَمُنَجُّوهُمْ أَجْمَعِينَ
৫৯। ইল্লা য় আলা লূত্ব; ইন্না-লামুনাজুজুহুম্ আজুমাঈন্।
লূতের পরিবার ছাড়া, আমরা নিশ্চয় তাদের সবাইকে রক্ষা করব
إِلَّا امْرَأَتَهُ قَدَّرْنَا إِنَّهَا لَمِنَ الْغَابِرِينَ
৬০। ইল্লাম্ রায়াতাহূ ক্বর্দ্দানা য় ইন্নাহা-লামিনাল্ গ-বিরীন্।
তবে তার স্ত্রী ছাড়া, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, নিশ্চয় সে শাস্তিপ্রাপ্তদের দলভুক্ত।
فَلَمَّا جَاءَ آلَ لُوطٍ الْمُرْسَلُونَ
৬১। ফালাম্মা- জ্বা-য়া আ-লা লূত্বিনিল্ র্মুসালূন্।
এরপর যখন ফেরেশতাগণ লূতের পরিবারের কাছে আসল,
قَالَ إِنَّكُمْ قَوْمٌ مُنْكَرُونَ
৬২। ক্ব-লা ইন্নাকুম্ কাওমুম্ মুন্কারূন্।
সে বলল,তোমরা তো অপরিচিত লোক।
قَالُوا بَلْ جِئْنَاكَ بِمَا كَانُوا فِيهِ يَمْتَرُونَ
৬৩। ক্ব-লূ বাল্ জ্বিনাকা বিমা-কা-নূ ফীহি ইয়াম্তারূন্।
তারা বলল, বরং আমরা তোমার কাছে এমন বিষয় নিয়ে এসেছি, যাতে তারা সন্দেহ করত।
وَأَتَيْنَاكَ بِالْحَقِّ وَإِنَّا لَصَادِقُونَ
৬৪। অ আতাইনা-কা বিল্হাক্বক্বি অ ইন্না-লাছোয়া-দ্বিক্ব।
আর আমরা তোমার নিকট সত্য নিয়ে এসেছি এবং আমরা অবশ্যই সত্যবাদী।
فَأَسْرِ بِأَهْلِكَ بِقِطْعٍ مِنَ اللَّيْلِ وَاتَّبِعْ أَدْبَارَهُمْ وَلَا يَلْتَفِتْ مِنْكُمْ أَحَدٌ وَامْضُوا حَيْثُ تُؤْمَرُونَ
৬৫। ফাআস্রি বিআহ্লিকা বিক্বিত্ব ঈম্ মিনাল্ লাইলি আত্তাবি’ আদ্বা-রাহুম্ অলা-ইয়াল্তাফিত্ মিন্কুম্ আহাদুঁও অম্দ্ব হাইছু তুমারূন্।
সুতরাং তুমি তোমার পরিবার নিয়ে বেরিয়ে পড় রাতের একাংশে, আর তুমি তাদের পেছনে চল, আর তোমাদের কেউ পেছনে ফিরে তাকাবে না এবং যেভাবে তোমাদের নির্দেশ করা হয়েছে সেভাবেই চলতে থাকবে।
وَقَضَيْنَا إِلَيْهِ ذَلِكَ الْأَمْرَ أَنَّ دَابِرَ هَؤُلَاءِ مَقْطُوعٌ مُصْبِحِينَ
৬৬। অ ক্বাদ্বোয়াইনা য় ইলাইহি যা-লিকাল্ আম্রা আন্না দা-বিরা হা য় উলা-য়ি মাক্বত্বউম্ মুছ্বিহীন্।
আর আমি তাকে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, নিশ্চয় সকালে এদের শিকড় কেটে ফেলা হবে।
وَجَاءَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ يَسْتَبْشِرُونَ
৬৭। অ জ্বা-য়া আহ্লুল্ মাদীনাতি ইয়াস্তাব্শিরূন।
আর শহরের অধিবাসীরা উৎফুল্ল হয়ে হাযির হল।
قَالَ إِنَّ هَؤُلَاءِ ضَيْفِي فَلَا تَفْضَحُونِ
৬৮। ক্ব-লা ইন্না হা য় উলা-য়ি দ্বোয়াইফী ফালা-তাফ্দ্বোয়াহূন্।
সে বলল, নিশ্চয় এরা আমার মেহমান, সুতরাং আমাকে অপমানিত করো না।
وَاتَّقُوا اللَّهَ وَلَا تُخْزُونِ
৬৯। অত্তাকুল্লা-হা অলা-তুখ্যূন্।
তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমাকে লাঞ্ছিত করো না।
قَالُوا أَوَلَمْ نَنْهَكَ عَنِ الْعَالَمِينَ
৭০। ক্ব-লূ য় আঅলাম্ নান্হাকা আনিল্ আ-লামীন্।
৭০ তারা বলল, আমরা কি জগদ্বাসীর কারো মেহমানদারী করতে তোমাকে নিষেধ করিনি?
قَالَ هَؤُلَاءِ بَنَاتِي إِنْ كُنْتُمْ فَاعِلِينَ
৭১। ক্ব-লা হা য় উলা-য়ি বানাতীয় ইন্ কুন্তুম্ ফা-ঈলীন্।
সে বলল, ওরা আমার মেয়ে, যদি তোমরা করতেই চাও (তবে বিবাহের মাধ্যমে বৈধ উপায়ে কর)।
لَعَمْرُكَ إِنَّهُمْ لَفِي سَكْرَتِهِمْ يَعْمَهُونَ
৭২। লাআমরুকা ইন্নাহুম্ লাফী সাক্রাতিহিম্ ইয়া’মাহূন্।
তোমার জীবনের কসম, নিশ্চয় তারা তাদেরকে নেশায় ঘুরপাক খাচ্ছিল।
فَأَخَذَتْهُمُ الصَّيْحَةُ مُشْرِقِينَ
৭৩। ফাআখাযাত্ হুমুছ্ ছোয়াইহাতু মুশ্রিক্বীন্।
অতএব সূর্যোদয়কালে বিকট আওয়াজ তাদের পেয়ে বসল।
فَجَعَلْنَا عَالِيَهَا سَافِلَهَا وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ حِجَارَةً مِنْ سِجِّيلٍ
৭৪। ফাজ্বাআল্না- আ-লিয়াহা- সা-ফিলাহা- অ আমত্বোয়ারনা-আলাইহিম্ হিজ্বা-রাতাম্ মিন সিজ্জ্বীল্।
অতঃপর আমি তার (নগরীর) উপরকে নিচে উলটে দিলাম এবং তাদের উপর বর্ষণ করলাম পোড়া মাটির পাথর।
إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِلْمُتَوَسِّمِينَ
৭৫। ইন্না ফী যালিকা লা আ-ইয়া-তিল্ লিল্মুতাঅস্সিমীন।
নিশ্চয় এতে পর্যবেক্ষণকারীদের জন্য রয়েছে নিদর্শনমালা।
وَإِنَّهَا لَبِسَبِيلٍ مُقِيمٍ
৭৬। অইন্নাহা-লাবিসাবীলিম্ মুক্বীম।
আর নিশ্চয় তা পথের পাশেই বিদ্যমান ।
إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً لِلْمُؤْمِنِينَ
৭৭। ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়াতাল্ লিল্মুমিনীন্।
নিশ্চয় এতে মুমিনদের জন্য রয়েছে নিদর্শন।
وَإِنْ كَانَ أَصْحَابُ الْأَيْكَةِ لَظَالِمِينَ
৭৮। অ ইন্ কা-না আছ্হা-বুল্ আইকাতি লাজোয়া-লিমীন্।
আর নিশ্চয় আইকার অধিবাসীরা ছিল যালিম।
فَانْتَقَمْنَا مِنْهُمْ وَإِنَّهُمَا لَبِإِمَامٍ مُبِينٍ
৭৯। ফান্তাক্বম্না-মিন্হুম্ অইন্নাহুমা-লাবিইমা-মিম্ মুবীন্।
অতঃপর আমি তাদের থেকে প্রতিশোধ নিলাম। আর এ (জনপদ) দু’টি উন্মুক্ত রাস্তার পাশেই বিদ্যমান।
وَلَقَدْ كَذَّبَ أَصْحَابُ الْحِجْرِ الْمُرْسَلِينَ
৮০। অলাকাদ্ কায্যাবা আছ্হা-বুল্ হিজ্বরিল্ র্মুসালীন্।
আর অবশ্যই হিজরের অধিবাসীরা [সালেহের (আঃ) কওম] রাসূলদেরকে অস্বীকার করেছে।
وَآتَيْنَاهُمْ آيَاتِنَا فَكَانُوا عَنْهَا مُعْرِضِينَ
৮১। অ আ-তাইনা-হুম্ আ-ইয়াতিনা- ফাকা-নূ আন্হা-মুরিদ্বীন্।
আর আমি তাদেরকে আমার আয়াতসমূহ দিয়েছিলাম, তবে তারা তা থেকে বিমুখ হয়েছে।
وَكَانُوا يَنْحِتُونَ مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا آمِنِينَ
৮২। অ কা-নূ ইয়ান্হিতূনা মিনাল্ জ্বিবা-লি বুইয়ূতান্ আ-মিনীন্।
আর তারা পাহাড় কেটে বাড়ি বানাত নিরাপদে।
فَأَخَذَتْهُمُ الصَّيْحَةُ مُصْبِحِينَ
৮৩। ফাআখাযাত্ হুমুছ্ ছোয়াইহাতু মুছ্বিহীন্।
কিন্তু ভোরে বিকট আওয়াজ তাদেরকে পাকড়াও করল।
فَمَا أَغْنَى عَنْهُمْ مَا كَانُوا يَكْسِبُونَ
৮৪। ফামা য় আগ্না-আন্হুম্ মা-কানূ ইয়াক্সিবূন্।
আর তারা যা উপার্জন করত, তা তাদের কাজে আসল না।
وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا إِلَّا بِالْحَقِّ وَإِنَّ السَّاعَةَ لَآتِيَةٌ فَاصْفَحِ الصَّفْحَ الْجَمِيلَ
৮৫। অমা-খালাক্বনাস্ সামা-ওয়া-তি অল্র্আদ্বোয়া অমা-বাইনাহুমা য় ইল্লা- বিল্হাক্ব; অইন্নাস্ সা-আতা লাআ-তিয়াতুন্ ফাছ্ফাহিছ্ ছোয়াফ্ হাল্ জ্বামীল্।
আর আমি আসমানসমূহ, যমীন ও তার মধ্যবর্তী যা আছে, তা যথার্থতা ছাড়া সৃষ্টি করিনি এবং নিশ্চয় কিয়ামত আসবে। সুতরাং তুমি সুন্দরভাবে তাদেরকে এড়িয়ে যাও।
إِنَّ رَبَّكَ هُوَ الْخَلَّاقُ الْعَلِيمُ
৮৬। ইন্না রব্বাকা হুওঅল খল্লা-কুল্ আলীম্।
নিশ্চয় তোমার রবই সৃষ্টিকর্তা, মহাজ্ঞানী।
وَلَقَدْ آتَيْنَاكَ سَبْعًا مِنَ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنَ الْعَظِيمَ
৮৭। অলাক্বদ্ আ-তাইনা-কা সাব্আম্ মিনাল্ মাছানী অল্ ক্বকুআ-নাল্ আজীম্।
আর আমি তো তোমাকে দিয়েছি পুনঃপুনঃ পঠিত সাতটি আয়াত ও মহান কুরআন।
لَا تَمُدَّنَّ عَيْنَيْكَ إِلَى مَا مَتَّعْنَا بِهِ أَزْوَاجًا مِنْهُمْ وَلَا تَحْزَنْ عَلَيْهِمْ وَاخْفِضْ جَنَاحَكَ لِلْمُؤْمِنِينَ
৮৮। লা-তামুদ্দান্না আইনাইকা ইলা-মা-মাত্তানা-বিহী য় আয্অজ্বাম্ মিন্হুম্ অলা-তাহ্যান্ আলাইহিম্ অখ্ফিদ্ব্ জ্বানা-হাকা লিল্মুমিনীন্।
আমি তাদের কিছু শ্রেণীকে যে ভোগ-উপকরণ দিয়েছি, তার প্রতি তুমি দু’চোখ প্রসারিত করো না। আর তাদের জন্য দুঃখিত হয়ো না এবং মুমিনদের জন্য তোমার বাহু অবনত কর।
وَقُلْ إِنِّي أَنَا النَّذِيرُ الْمُبِينُ
৮৯। অকুল্ ইন্নী য় আনান্ নাযীরুল্ মুবীন্।
আর বল, নিশ্চয় আমিই সুস্পষ্ট সতর্ককারী।
كَمَا أَنْزَلْنَا عَلَى الْمُقْتَسِمِينَ
৯০। কামা য় আন্যাল্না আলাল্ মুক্বতাসিমীন্।
যেভাবে আমি নাযিল করেছিলাম বিভক্তকারীদের (ইয়াহূদী ও নাসারা) উপর,
الَّذِينَ جَعَلُوا الْقُرْآنَ عِضِينَ
৯১। আল্লাযী না জ্বাআলুল্ ক্বকুআ-না ইদ্বীন্।
যারা কুরআনকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করেছিল।
فَوَرَبِّكَ لَنَسْأَلَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ
৯২। ফাঅরব্বিকা লানাস্য়ালান্নাহুম্ আজুমাঈন। অতএব তোমার রবের কসম, আমি তাদের সকলকে অবশ্যই জেরা করব,
عَمَّا كَانُوا يَعْمَلُونَ
৯৩। আম্মা কা-নূ ইয়ামালূন্।
তারা যা করত, সে সম্পর্কে।
فَاصْدَعْ بِمَا تُؤْمَرُ وَأَعْرِضْ عَنِ الْمُشْرِكِينَ
৯৪। ফাছ্দা বিমা- তুমারু অআরিদ্ব্ আনিল মুশ্রিকীন্। সুতরাং তোমাকে যে আদেশ দেয়া হয়েছে, তা ব্যাপকভাবে প্রচার কর এবং মুশরিকদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও।
إِنَّا كَفَيْنَاكَ الْمُسْتَهْزِئِينَ
৯৫। ইন্না-কাফাইনা-কাল্ মুস্তাহ্যিয়ীন্।
নিশ্চয় আমি তোমার জন্য উপহাসকারীদের বিপক্ষে যথেষ্ট।
الَّذِينَ يَجْعَلُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ
১৫ ৯৬। আল্লাযীনা ইয়াজ্বআলূনা মাআল্লা-হি ইলা-হান্ আ-খরা ফাসাওফা ইয়ালামূন্।
যারা আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহ নির্ধারণ করে। অতএব তারা অচিরেই জানতে পারবে।
وَلَقَدْ نَعْلَمُ أَنَّكَ يَضِيقُ صَدْرُكَ بِمَا يَقُولُونَ
৯৭। অলাক্বদ্ নালামু আন্নাকা ইয়াদ্বীকু ছোয়াদ্রুকা বিমা-ইয়াক্ব লূন্।
আর অবশ্যই আমি জানি যে, তারা যা বলে তাতে তোমার অন্তর সঙ্কুচিত হয়।
فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَكُنْ مِنَ السَّاجِدِينَ
৯৮। ফাসাব্বিহ বিহাম্দি রব্বিকা অকুম্মিনাস্ সা-জ্বিদীন্।
সুতরাং তুমি তোমার রবের প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ কর এবং সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হও।
وَاعْبُدْ رَبَّكَ حَتَّى يَأْتِيَكَ الْيَقِينُ
৯৯। অবুদ্ রব্বাকা হাত্তা-ইয়াতিয়াকাল্ ইয়াক্বীন্।
আর ইয়াকীন (মৃত্যু) আসা পর্যন্ত তুমি তোমার রবের ইবাদাত কর।
সূরা হিজর এর শানে নুযুল
"সূরা আল হিজর"
নামকরণঃ
৮০ আয়াত ( আরবি এর আল হিজর শব্দটি থেকে সূরার নাম গৃহীত হয়েছে ।
নাযিল হওয়ার সময়কালঃ
বিষয়বস্তু ও বর্ণনাভংগী থেকে পরিস্কার বুঝা যায় , এ সূরাটি সূরা ইবরাহীমের সমসময়ে নাযিল হয় । এ পটভূমিতে দু’টি জিনিস পরিস্কার দেখা যাচ্ছে । এক , নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাওয়াতের একটি দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়েছে । যে জাতিকে তিনি দাওয়াত দিচ্ছেন তাদের অবিরাম হঠকারিতা , বিদ্রূপ , বিরোধিতা , সংঘাত ও জুলুম – নিপীড়ন সীমা ছাড়িয়ে গেছে । এরপর বুঝাবার সুযোগ করে এসেছে এবং তার পরিবর্তে সতর্ক করা ও ভয় দেখাবার পরিবেশই বেশী সৃষ্টি হয়েছে । দুই , নিজের জাতির কুফরী , স্থবিরতা ও বিরোধিতার পাহাড় ভাংতে ভাংতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন । মানসিক দিক দিয়ে তিনি বারবার হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন । তা দেখে আল্লাহ তাঁকে সান্তনা দিচ্ছেন এবং তাঁর মনে সাহস যোগাচ্ছেন ।
বিষয়বস্তু ও কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয়ঃ
এই দু’টি বিষয়বস্তুই এ সূরায় আলোচিত হয়েছে । অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাওয়াত যারা অস্বীকার করছিল , যারা তাঁকে বিদ্রূপ করছিল এবং তাঁর কাজে নানা প্রকার বাধার সৃষ্টি করে চলছিল , তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে । আর খোদ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সান্তনা ও সাহস যোগানো হয়েছে । কিন্তু এর মানে এই নয় যে , বুঝবার ও উপদেশ দেবার ভাবধারা নেই । কুরআনে আল্লাহ শুধুমাত্র সতর্কবাণী উচ্চারণ এবং তিরস্কার ও নিন্দাবাদরে মধ্যেও তিনি বুঝাবার ও নসীয়ত করার ক্ষেত্রে কোন কমতি রাখেননি । এ জন্যই এ সূরায়ও একদিকে তাওহীদের যুক্তি – প্রমাণের প্রতি সংক্ষেপে ইংগিত করা হয়েছে এবং অন্যদিকে আদম ও ইবলীসের কাহিনী শুনিয়ে উপদেশ দানের কার্যও সামাধা করা হয়েছে ।
সুরা হিজরের তাফসীর
সূরা হিজর ৪৪ নং আয়াত-এর তাফসির : তাফসিরে আহসানুল বায়ান
لَہَا سَبۡعَۃُ اَبۡوَابٍ ؕ لِکُلِّ بَابٍ مِّنۡہُمۡ جُزۡءٌ مَّقۡسُوۡمٌ ﴿٪۴۴﴾
ওর সাতটি দরজা আছে; প্রত্যেক দরজার জন্য তাদের মধ্য থেকে পৃথক পৃথক দল আছে। [১] [১] অর্থাৎ, প্রত্যেক দরজা এক এক ধরনের বিশেষ লোকেদের জন্য নিদিষ্ট হবে। যেমন একটি হবে মুশরিকদের জন্য, একটি হবে নাস্তিকদের জন্য, একটি হবে ধর্মদ্রোহীদের জন্য, একটি ব্যভিচারী, সুদখোর ও চোর-ডাকাত ইত্যাদিদের জন্য হবে আলাদা আলাদা। অথবা সাতটি দরজা বলতে জাহান্নামের সাতটি স্তরকে বুঝানো হয়েছে। প্রথমটির নাম জাহান্নাম, তারপর লাযা, তারপর হুত্বামাহ, তারপর সায়ীর, তারপর সাক্বার, তারপর জাহীম, তারপর হাবিয়াহ। সবার উপরের স্তরটি আল্লাহর একতত্ত্ববাদে বিশ্বাসীদের জন্য হবে। তাদেরকে (পাপ অনুপাতে) কিছুদিন শাস্তি দেওয়ার পর অথবা কারো সুপারিশের পর বের করে নেওয়া হবে। দ্বিতীয়টিতে ইয়াহুদী, তৃতীয়টিতে খ্রিষ্টান, চতুর্থটিতে সবী, পঞ্চমটিতে অগ্নিপূজক, ষষ্ঠটিতে মুশরিক এবং (সর্বনিম্ন স্তর) সপ্তমটিতে মুনাফিকরা থাকবে। সবচেয়ে উপরের স্তরটির নাম জাহান্নাম তার পর পর্যায়ক্রমে যেমন উল্লেখ হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর)
সূরা আল কাদিয়া
সূরা ক্বারিয়াহ আরবি,বাংলা উচ্চারণ এবং অর্থ মোট আয়াত: ১১
ٱلْقَارِعَةُ
مَا ٱلْقَارِعَةُ
وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا ٱلْقَارِعَةُ
يَوْمَ يَكُونُ ٱلنَّاسُ كَٱلْفَرَاشِ ٱلْمَبْثُوثِ
وَتَكُونُ ٱلْجِبَالُ كَٱلْعِهْنِ ٱلْمَنفُوشِ
فَأَمَّا مَن ثَقُلَتْ مَوَٰزِينُهُۥ
فَهُوَ فِى عِيشَةٍ رَّاضِيَةٍ
وَأَمَّا مَنْ خَفَّتْ مَوَٰزِينُهُۥ
فَأُمُّهُۥ هَاوِيَةٌ
وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا هِيَهْ
نَارٌ حَامِيَةٌۢ
উচ্চারণঃ আল কা-রি‘আহ । মাল কা-রি‘আহ। ওয়ামাআদরা-কা মাল কা-রি‘আহ। ইয়াওমা ইয়াকূনুন্না-ছুকাল ফারা-শিল মাবছূছ। ওয়া তাকূনুল জিবা-লুকাল‘ইহনিল মানফূশ। ফাআম্মা-মান ছাকুলাত মাওয়া-ঝীনুহূ। ফাহুওয়া ফী ‘ঈশাতির রা-দিয়াহ। ওয়া আম্মা-মান খাফফাত মাওয়াঝীনুহূ ফাউম্মুহূহা-বিইয়াহ।ওয়ামাআদরা-কা মা-হিয়াহ। না-রুন হা-মিয়াহ।
অর্থঃ করাঘাতকারী, করাঘাতকারী কি? করাঘাতকারী সম্পর্কে আপনি কি জানেন ? যেদিন মানুষ হবে বিক্ষিপ্ত পতংগের মত এবং পর্বতমালা হবে ধুনিত রঙ্গীন পশমের মত। অতএব যার পাল্লা ভারী হবে, সে সুখীজীবন যাপন করবে। আর যার পাল্লা হালকা হবে, তার ঠিকানা হবে হাবিয়া। আপনি জানেন তা কি? প্রজ্জ্বলিত অগ্নি!
Tag:সূরা আল হিজর বাংলা উচ্চারণ , সূরা হিজর বাংলা উচ্চারণ, সূরা হিজর এর শানে নুযুল, সুরা হিজরের তাফসীর, সূরা আল কাদিয়া