বাংলাদেশ ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি ১৯৭৪ |বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত চুক্তি |কিভাবে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি হয়

Anonymous
0


    বাংলাদেশ ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি ১৯৭৪ 


    পাঠক বৃন্দ আপনাদের সবাইকে জানাই আসসালামু আলাইকুম রাহমাতুল্লাহে বারাকাতুহু । কেমন আছেন আপনারা সবাই ? আশা করি অনেক ভাল আছেন ।আলহামদুলিল্লাহ আমরা অনেক ভালো আছি । আজকে আমরা আপনাদের মাঝে বাংলাদেশ ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি ১৯৭৪ |বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত চুক্তি |কিভাবে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি হয় 

    বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে স্থলসীমান্ত চিহ্নিতকরণ ও সম্পর্কিত বিষয়সংক্রান্ত চুক্তিটির বাংলা ভাষান্তর নিচে দেওয়া হলো (যা পরবর্তী সময়ে স্থলসীমান্ত আইন ১৯৭৪ নামে গৃহীত হয়েছে



    বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত চুক্তি


    নয়াদিল্লি, মে ১৬, ১৯৭৪

    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও গণপ্রজাতন্ত্রী ভারত সরকার দুটি দেশের মধ্যকার বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরও সুনির্দিষ্টভাবে স্থলসীমানা চিহ্নিত ও তা সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে নিম্নোক্ত বিষয়ে মতৈক্যে এসেছে:

    ধারা ১ : নিম্নোক্ত অঞ্চলগুলোতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার স্থলসীমানা চিহ্নিত করা হবে এভাবে:

    ১. মিজোরাম-বাংলাদেশ সেক্টর; সীমানা চিহ্নিত করা হবে দেশ বিভাগপূর্ব সময়ে জারি করা সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি ও রেকর্ডের ভিত্তিতে।

    ২. ত্রিপুরা-সিলেট সেক্টর: মতৈক্যের ভিত্তিতে এ অঞ্চলে যে সীমানা চিহ্নিতকরণ চলছে, তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করতে হবে।

    ৩. ভাগলপুর রেলওয়ে লাইন: রেলওয়ে পূর্বাভিমুখী বাঁধের গোড়া থেকে ৭৫ ফুট দূরে সমান্তরালভাবে সীমানা চিহ্নিত করতে হবে।

    ৪. শিবপুর-গৌরাঙ্গালা সেক্টর: ১৯১৫-১৮ সালের ডিস্ট্রিক্ট সেটেলমেন্ট ম্যাপগুলোর ভিত্তিতে ১৯৫১-৫২ সালে সীমানা চিহ্নিতকরণের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতায় এটা সম্পূর্ণ করতে হবে।

    ৫. মুহুরী নদী-(বিলোনিয়া) সেক্টর: মুহুরী নদীর মাঝখানের স্রোতের ধার ঘেঁষে এই অঞ্চলের সীমানা চিহ্নিত শুরু করতে হবে। এটি হবে নির্ধারিত সীমানা। নদীটিকে বর্তমান ধারায় প্রবাহিত করার লক্ষ্যে দুই সরকারকেই নিজেদের এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। যাতে নদীটির গতিপথ স্থিতিশীল হয়।

    ৬. ত্রিপুরা-নোয়াখালী/কুমিল্লা সেক্টরের অবশিষ্ট অংশ: ১৮৯২-৯৪ সালের চাকলা-রোশানাবাদ এস্টেট মানচিত্র এবং ১৯১৫-১৮-এর ডিস্ট্রিক্ট সেটেলমেন্ট ম্যাপে চাকলা-রোশানাবাদের যেসব এলাকা অন্তর্ভুক্ত হয়নি তার ভিত্তিতে এই সেক্টরের সীমানা চিহ্নিত করতে হবে।

    ৭. ফেনী নদী: ১৯৩৫ সালের সার্ভে অব ইন্ডিয়া ম্যাপ শিট নম্বর ৭৯এম/১৫ প্রথম সংস্করণে যে ফেনী নদী নির্দেশ করা হয়েছে, সেই ফেনী নদীর মধ্য স্রোতের ভিত্তিতে সীমানা চিহ্নিত করতে হবে। ওই মানচিত্রের যে জায়গায় এটি আশালং সি হিসেবে আরেকটি স্রোতের সঙ্গে মিলিত হয়েছে, তার আগে পর্যন্ত এটি প্রযোজ্য হবে। আর সেখান থেকে ফেনী নদীর ভাটিতে প্রবাহের মাঝখানে সীমানা চিহ্নিত করতে হবে। এটি নির্ধারিত সীমান্ত হবে।


    কিভাবে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি হয় 


    দীর্ঘ ৪১ বছর পর বহুল প্রত্যাশিত বাংলাদেশ ও ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। ভারতের পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে সম্প্রতি আইনটি পাস হওয়ায় দুই দেশের সীমানাভুক্ত ছিটমহলগুলোতে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে আনন্দ বয়ে যাচ্ছে। ছিটের বাসিন্দা হিসেবে নয়, এবার তারা পরিচিত হবে নিজ নিজ দেশের পরিচয়ে, ভোগ করবে সব নাগরিক সুবিধা।
    উভয় কক্ষে সর্বসম্মতিক্রমে বিল পাস : ৭ মে ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত বিল পাস হওয়ার মাধ্যমে ৪১ বছরের অমীমাংসিত ও জটিল স্থল সীমান্ত সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান হলো। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষেই সর্বসম্মতিক্রমে বিলটি পাস হয়। এ বিলটি পাসের ক্ষেত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেন।

    Tag:বাংলাদেশ ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি ১৯৭৪ |বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত চুক্তি |কিভাবে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি হয় 


    Post a Comment

    0Comments

    প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

    Post a Comment (0)