এইডস এর ঔষধ | AIDS er medicine

Monjurul Hasan Manik
0


    এইডস এর ঔষধ

    আসসালামুআলাইকুম। আশাকরি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সকলে সুস্থ আছেন। timeofbd.com এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

    আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে কৃমির ঔষধের নাম কি। তাই আজ আমরা আমরা আপনাদের মাঝে ব্যাথার ঔষধ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করবো।


    ☠️☠️ রেজিস্টার চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষুধ গ্রহন করবেন না। ☠️☠️


    প্রিয় পাঠক-পাঠিকাবৃন্দ এখানে আমরা আপনাদের ঔষধ বা রোগের ঔষধগুলোর ব্যাপারে প্রাথমিক ধারণা দিচ্ছি। আপনার মূল সমস্যা জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে রেজিস্টার চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। রোগ সম্পর্কে সম্পূর্ন না জেনে শুধুমাত্র সাইট থেকে প্রাথমিক ধারণা নিয়ে কোনো ঔষধ গ্রহন করে আপনার শারীরিক কোনো সমস্যা হলে timeofbd.com এর কোনো অ্যাডমিন দায়ী নয়। 


    এইডস কি

    এইডস (ইংরেজি: AIDS; পূর্ণরূপ: Acquired Immuno Deficiency Syndrome) বা অর্জিত প্রতিরক্ষার অভাবজনিত রোগলক্ষণসমষ্টি হচ্ছে এইচ.আই.ভি. (HIV; পূর্ণরূপ: human immunodeficiency virus) তথা "মানব প্রতিরক্ষা অভাবসৃষ্টিকারী ভাইরাস" নামক ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট একটি রোগলক্ষণসমষ্টি,[১][২][৩] যা মানুষের দেহে রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা বা প্রতিরক্ষা তথা অনাক্রম্যতা হ্রাস করে। এর ফলে একজন এইডস রোগী খুব সহজেই যে কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন, যা শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু ঘটাতে পারে।

    এইচ.আই.ভি. (মানব প্রতিরক্ষা অভাবসৃষ্টিকারী ভাইরাস) সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই সর্বদা এইডস হয়না। শুরুতে ক্ষেত্রবিশেষে ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় উপসর্গ দেখা যেতে পারে।[৪] এরপর বহুদিন কোনও উপসর্গ দেখা যায় না।[৫] এইচ.আই.ভি. ভাইরাসের আক্রমণ বৃদ্ধির সাথে সাথে দেহের প্রতিরক্ষাতন্ত্র বা অনাক্রম্যতন্ত্র দুর্বল হতে থাকে এবং আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণ সংক্রামক ব্যাধি যেমন যক্ষ্মায় যেমন আক্রান্ত হতে পারেন, তেমনই সুযোগসন্ধানী সংক্রামক ব্যাধি এবং অর্বুদ বা টিউমারের শিকার হতে পারেন, যেগুলি কেবলমাত্র সেসব লোকেরই হয়, যাদের দেহের অনাক্রম্যতন্ত্র (বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) কাজ করে না। এইচ.আই.ভি. সংক্রমণের এই পর্যায়টিকেই এইডস বলা হয়।[৫] এই পর্যায়ে প্রায়শই রোগীর অনিচ্ছাকৃতভাবে ও অত্যধিক পরিমাণে ওজন হ্রাস পায়।[৫]

    যেহেতু একবার সংক্রামক এইচ.আই.ভি. (মানব প্রতিরক্ষা অভাবসৃষ্টিকারী ভাইরাস) শরীরে ঢুকলে তাকে পুরোপুরি দূর করা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি, তাই এইচ.আই.ভি. সংক্রমণ হলে এইডস প্রায় অনিবার্য। তবে বিনা চিকিৎসায় এইডস পর্যায়ে পৌঁছতে যদি লাগে গড়ে দশ বছর, তবে চিকিৎসার দ্বারা তাকে আরো কিছু বছর পিছিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু "হার্ট" (HAART) নামে এইডস-এর যে সমন্বিত ওষুধ দ্বারা চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে, তা অত্যন্ত খরচ সাপেক্ষ।

    ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে প্রায় ৩ কোটি ৬৭ লক্ষ লোক এইচআইভি (মানব প্রতিরক্ষা অভাবসৃষ্টিকারী ভাইরাস) দ্বারা আক্রান্ত ছিল এবং ঐ বছর এইডসের কারণে ১০ লক্ষ লোকের মৃত্যু হয়।[৬] তবে ২০১৬ সালে ২০১৫ সালের তুলনায় নতুন এইচআইভি সংক্রমণের সংখ্যা ৩ লক্ষ কম ছিল।[৭] বেশির ভাগ এইডস আক্রান্ত রোগীই সাহারা-নিম্ন আফ্রিকাতে বাস করে।[৪] ১৯৮০-র দশকের শুরুতে রোগটি চিহ্নিত করার পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বব্যাপী এইডস রোগে মোট আনুমানিক ৩ কোটি ৫০ লক্ষ লোক মারা গেছে।[৮] এইডসকে বর্তমানে একটি মহামারী ব্যাধি হিসেবে গণ্য করা হয়, যা বিশ্বের বিশাল এক আয়তন জুড়ে বিদ্যমান এবং যা সক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।[৯] এইচআইভি ভাইরাসটি সম্ভবত ১৯শ শতকের শেষভাগে বা ২০শ শতকের শুরুর দিকে পশ্চিম-মধ্য আফ্রিকাতে উৎপত্তিলাভ করে।[১০] ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র সিডিসি সর্বপ্রথম রোগটি শনাক্ত করে এবং তার পরে ১৯৮০-র দশকের শুরুর দিকে এই রোগের কারণ হিসেবে এইচআইভি ভাইরাসকে শনাক্ত করা হয়।[১১] সিডিসি'র (রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র, যুক্তরাষ্ট্র সরকার) ২০১৭ সালের জরিপ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে এইচ.আই.ভি. আক্রান্তের ৭০ শতাংশই সমকামী এবং উভকামী পুরুষ।

    ( সূত্রঃ উইকিপিডিয়া)

    এইডস এর ওষুধের নাম

    মরণব্যাধী এইডসের ওষুধ আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন বিজ্ঞানীরা। এইডসের মতো প্রায় হুবহু মারাত্মক ভাইরাসে আক্রান্ত বেশ কয়েকটি বানরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে বিস্ময়কর সাফল্য পেয়েছেন তারা।


    এটি এইচআইভি ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দীর্ঘদিনের গবেষণার পথে বড় ধরনের অর্জন বলে ধারণা করা হচ্ছে।সম্প্রতি নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।


    প্রতিবেদনে বলা হয়, অতি প্রাচীন ম্যাকাকু প্রজাতির বানরের দৈহিক গঠনের সাথে মানব দেহের বেশ মিল রয়েছে। সে কারণে আক্রান্ত এসব বানরের দেহে মারাত্মক এই ভাইরাস ব্যাপকভাবে প্রতিরোধ করতে সক্ষম নতুন ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করে দেখা হয়।


    এতে এসআইভি (সিমিয়ান ইম্যুনোডিফেসিয়েন্সি ভাইরাস) ভার্সনের এ ওষুধগুলো বারবার উচ্চমাত্রায় ব্যবহার করা হয়।এর আগে ২০১৩ সালেও বানরের ‍উপর পরীক্ষা চালিয়ে এইচআইভি ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।


    তবে তারা এবারের এ প্রচেষ্টা খুবই কার্যকর বলে অভিহিত করেছেন।যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার স্ক্রিপস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ও এ গবেষণা প্রধান মিশেল ফারজান বলেন, ‘এইচআইভি-১ মানব দেহে বিস্তারিত ভাইরাসের প্রধান গ্রুপ।


    আমরা এই এইচআইভি ১-কে প্রতিরোধ করার মতো একটি দীর্ঘমেয়াদি কার্যকর ভ্যাকসিন অর্জনের পন্থা দেখাই।’গবেষণায় এর মূল ওষুধকে ইসিডিফোর-এলজি বলা হয়। এতে একটি কোষের আস্তরে থাকা প্রোটিনের (যেটি নির্দিষ্ট মলিকিউলগুলোকে এই আস্তরে বেঁধে রাখে।


    যাতে এসব  বিশেষ ধরনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের ফলে কোষের ভেতরে শোষণ করা যেতে পারে।) দুধরনের অনুকৃত উপাদান রয়েছে। একইসাথে প্রোটিনের ঢোকা ও বের হওয়ার কিছু পয়েন্টও রয়েছে।


    যেখানে রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলোর মূল দূর্গ সিডিফোর কোষগুলোও রয়েছে। এই দূর্গের মুখে এসে এইচআইভি ভাইরাসগুলো ব্যাপকভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়।


    গবেষণায় এই ইসিডিফোর-এলজির অনুকরণেই এইডসের ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চালানো হয়। মূলত প্রোটিনের ঢোকা ও বের হওয়ার যে প্রক্রিয়া রয়েছে তা পাকাপাকিভাবে শুরু হওয়ার আগেই তাতে বিশেষ ধরনের প্রতিরোধকারী কৌশল হিসেবে কাজ করে এই ভ্যাকসিন। যাতে কোনোভাবেই ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে।


    মোটকথা এই ভ্যাকসিনে এমন সব উপাদান রয়েছে যা কার্যকরভাবেই ভাইরাস প্রবেশ করার দরোজাই বন্ধ করে দেয়। বিজ্ঞানীরা এই গবেষণাকে খুবই কার্যকর অর্জন হিসেবে দেখছেন।


    তারা আশা প্রকাশ করেছেন, আরো পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন থাকলেও খুব শিগগিরই এইচআইভি আক্রান্ত মানুষের জন্যও বানরের ভ্যাকসিনের অনুকরণে নতুন ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব হবে।


    এক প্রতিক্রিয়ায় মিশেল ফারজান বলেন, এই ওষুধ ‘খুবই শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা’ তৈরি করে।দীর্ঘ গবেষণার পর ৪০ সপ্তাহ ধরে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এই গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।


    একটি বিশেষ কন্ট্রোল গ্রুপের মাধ্যমে আক্রান্ত বানরগুলোর দেহে অন্তত ৪ বার ইনজেকশন দিয়ে পরবর্তী পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।


    জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৮১ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭ কোটি ৮ লক্ষ মানুষ মরণব্যাধি এইচআইভি-তে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩ কোটি ৯০ লক্ষ আক্রান্ত রোগী মারা যায়।


    সূত্র: বিজ্ঞান চর্চা


    এইডস এর ওষুধ

    চল্লিশ বছর আগে যখন প্রথম এইডস চিহ্নিত হয় তখন যার শরীরে এই সংক্রমক ব্যাধি ধরা পড়তো তার কাছে মনে হতো তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। কেননা সেই সময়ে এই রোগের কোন চিকিৎসা ছিলোনা। তবে বর্তমানে এই রোগের এখন উন্নত চিকিৎসা থাকলেও পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়।জাতিসংঘের শিশু তহবিল জানিয়েছে প্রতিদিন ৩০০এর ও বেশী শিশু এইডস এবং এইডস সম্পর্কিত রোগে মারা যাচ্ছে।


    প্রতি বছর ডিসেম্বরের পহেলা তারিখ বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা হয়। জনসাধারণকে এই রোগের বিষয়ে সচেতন হবার জন্য বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সতর্ক করা হয়ে থাকে। ভয়েস অফ আমেরিকার ক্যারোল পিয়ারসন এবং এনিটা পাওয়েলের প্রতিবেদন সহ বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাচ্ছেন সানজানা ফিরোজ।

    প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে সমাজের বিভিন্ন মানুষ যারা এইডস নিয়ে কাজ করেন তারা চেষ্টা করেন জনসাধারণকে সচেতন করতে। রোগটি পরীক্ষা এবং প্রতিরোধ করার বিষয়ে নানা তথ্য দিয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে এই রোগ প্রতিরোধ করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে সহবাসের সময় কনডম ব্যবহার করা।

    এইডস কোন সাধারণ ব্যাধি নয় বুঝতে পেরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা ডিসেম্বরের পহেলা তারিখ বিশ্ব এইডস দিবস হিসেবে মনোনীত করেন। এইচ অ্যাই ভি ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরার আশংকা করেন তারা।


    পল কাওয়াটা শুরু থেকেই এইডস নিয়ে কাজ করছেন, বলেন, আমি রোগের উৎপত্তি থেকেই কাজ করে আসছি। অনেক প্রিয়জনদের হারিয়েছি।

    এইডসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডঃ এন্থনি ফসি শুরু থেকেই কাজ করছেন। তিনি এইচ অ্যাই ভি ভাইরাসের চিকিৎসা বিকাশে কাজ করেছেন। এই চিকিৎসা এতই কার্যকর যে একটি পিল সেবনের কারণে ভাইরাসটি অন্যদের শরীরে সংক্রমিত হয়না। রয়েছে ট্রুভাডা নামক আরেকটি ঔষধ যা সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। ডঃ ফসির মতে খুব সহজেই এইডসকে নিঃশেষ করা সম্ভব।

    পল কাওয়াটা বলেন, আমাদের বুঝতে হবে যে এইডসের কারণে অনেকে বৈষম্যের শিকার। তাদের নানা সামাজিক কলঙ্কের মাঝ দিয়ে যেতে হয়। কাওয়াটা এনএমসি নামক একটি সংস্থায় কাজ করেন। এইডসের লড়াইয়ে স্বাস্থ্য সাম্যতা এবং জাতিগত বিচারের পক্ষে কাজ করেন তিনি। পল বলেন এই রোগটি সেখানেই ছড়ায় বেশী যেখানে মানুষ বৈষম্যের শিকার। পল বলেন,এই রোগে আক্রান্ত হয় বিভিন্ন বর্ণের মানুষ, পুরুষ সমকামীরা এবং দরিদ্র মানুষেরা।


    ডঃ এন্থনি ফসি বলেন, তিনি বলেন, দুটি উপায়ে এইডস নিঃশেষ করতে পারেন। একটি হচ্ছে, যারা সংক্রমিত হয়েছেন তারা যদি সময় মতো চিকিৎসা করান তাহলে অন্যান্যদের শরীরে এই ভাইরাস সংক্রমিত হবার আশংকা থাকেনা। এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে যারা ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা যদি প্রতিরোধক ঔষধ সেবন করেন।


    খুব আশ্চর্যজনকভাবে এই প্রতিরোধক ঔষধের কারণে নতুন করে সংক্রমিত ব্যক্তিদের সংখ্যা কমে গেছে। ২০০৪ সাল থেকে এই পর্যন্ত এইডস রোগে মৃত্যুর হার ৫৫ শতাংশের কম। তবে এইচ অ্যাইভি সংক্রমিত ব্যক্তিরা যারা চিকিৎসা নেন তাদের হারও কম। ৬০ শতাংশের ও কম সংক্রমিত ব্যক্তিরা চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।


    যুক্তরাষ্ট্রে এইচ আইভি আক্রান্ত মানুষেরা বেশিরভাগই দরিদ্র। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে যারা আক্রান্ত তারা নিম্ন এবং মধ্য আয়ের দেশে বসবাস করে। উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরা হুমকির মুখে রয়েছে। রোগ পরীক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা বা যেকোনো বিষয়ে পরামর্শ নেবার মতো সুযোগ তেমন তারা পায় না। এবং তাই ডঃ ফসির অভিমত ঔষধ ছাড়া অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করা প্রয়োজন।তিনি বলেন, টিকা ছাড়া এইচআইভি নির্মূল সম্ভব নয়।ডঃ ফসি বলেন টিকা দিয়ে এই রোগ নির্মূলের আশা দেখছেন তিনি। তবে এই মুহূর্তে যেটি প্রয়োজন তা হচ্ছে প্রতিটি মানুষের রক্ত পরীক্ষা করে এই ভাইরাসের উপস্থিতি নির্ণয় করা। যাদের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যাবে তারা চিকিৎসা নেয়া শুরু করবেন এবং যারা এই রোগ সংক্রমনের ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা ট্রুভাডা সেবন করবেন। এইচঅ্যাইভিকে কোন রাজনৈতিক বা সামাজিক সমস্যা হিসেবে না দেখে একটি রোগ হিসেবেই দেখা দরকার।

    জোহ্যানেসবার্গের জেইন মাবাসা এই অনাথশালাতে আসেন ৯ বছর বয়সে যখন তার মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। জেইন মারা যাবেন এমনটা ধরে নিয়ে তাকে এখানে আনা হয়েছিলো। ১৯৮৭ সাল থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে এই অনাথশালাতে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৯টি শিশুর মৃত্যু হয়। মাবাসা মনে করেছিলেন তিনিও ঐ শিশুদের মতো মারা যাবেন।


    মাবাসা বলেন, আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। শুধু মনে হতো যে মৃত্যুই একমাত্র আমাকে স্বস্তি দিতে পারে। যখন আমার বয়স ১৪ হলো তখন এখানকার মানুষ আমাকে বোঝাল যে আমি দুর্ভাগ্যবশত আমার শরীরে এই রোগ নিয়ে জন্মেছি এবং এই সত্য মেনে নিয়েই আমার জীবন কাটাতে হবে।এবং সে তাই করেছে। আজ তার ২২ বছর বয়স। চিকিৎসা নিয়ে এখন সে সুস্থ আছে। ২০০৩ সাল থেকে এই অনাথশালাতে এইচআইভি ভাইরাসে এই পর্যন্ত একটি শিশু মারা গেছে। কিন্তু জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে শিশুদের মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক। বিশ্বে প্রতিদিন ৩২০টি শিশু মারা যাচ্ছে। অথচ গোড়াতে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেলে এবং তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা করালে রোগীরা সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন পেতে পারে।


    জাতিসংঘের শিশু তহবিলের ডঃ চেও লু বলেন, বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা ক্ষেত্রে শিশুরা পিছিয়ে পড়ছে। এবং বর্তমানে প্রায় ৫৪ শতাংশ শিশু এই চিকিৎসা গ্রহন করছে।মৃত্যুর হার শিশুদের মধ্যে এখনো অনেক বেশী। তবে এক্ষেত্রে যেহেতু আমরা প্রাপ্তবয়স্কদের চিকিৎসা দিচ্ছি সেহেতু আমাদের সেবার ধরন পরিবর্তন করা প্রয়োজন। যে প্রাপ্তবয়স্কদের আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি তাদের শিশুদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে কি আমরা প্রশ্ন করছি?

    নমপুমেলেলো মাডোনসেলা তরুণদের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী একটি সংস্থাতে চাকরি করেন। এই সংস্থা মূলত এইডস এবং এইচআইভি নিয়ে কাজ করে। তিনি বলেন ২০২৪ সালেও তাদেরকে যুবসচেতনতা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।


    নমপুমেলেলো মাডোনসেলা বলেন, মানুষ মনে করে রক্ত পরীক্ষা করে যদি দেখা যায় যে তার শরীরে এইচআইভি ভাইরাস রয়েছে তাহলে তারা অবশ্যই মারা যাবে। আর যদি রক্ত পরীক্ষা না করে তা হলে তারা জানবেনা শরীরে ভাইরাস আছে কি নেই, অতয়েব তারা বেঁচে থাকবেন।

    ২০ বছর বয়সী জোহানা মোগোটসি এই ভাইরাস শরীরে নিয়ে জন্মেছিলেন। তাকে এই কারণে অনাথশালাতে ফেলে রেখে যাওয়া হয়।জোহানা মোগোটসি বলেন, আমাকে বোঝানো হলো যে জীবনের এখানেই শেষ নয় এবং বলা হলো আমি যদি ঔষধ সেবন করি তাহলে আমি সুস্থ হয়ে উঠবো। তারা আমকে প্রতিদিন ঔষধ সেবন করতে মনে করিয়ে দিত। এখানে সবাই আমাকে তাদের নিজেদের এইচআইভি নিয়ে অভিজ্ঞতা জানায়।আমার কাছে বিষয়টি তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি কেননা আমই জানতাম এই রোগ ভালো হয়ে যায়। কেননা আমি দেখতে পাচ্ছিলাম অন্যরা ঔষধ সেবন করে সুস্থ আছে।


    জোহানা মোগোটসি এখন ভবিষ্যতে সেবিকা হবার স্বপ্ন দেখে। তার মাঝে মধ্যে ইচ্ছে করে ছোটবেলায় ফিরে গিয়ে সেই মোগোটসির সঙ্গে কথা বলতে।জোহানা মোগোটসি বলেন, আমি ঐ ৯ বছর বয়সী মোগোটসিকে নিয়ে গর্ব বোধ করি। কারণ সে ঐ সত্যকে মেনে নিয়ে এই পর্যন্ত এসেছে। আমার বিশ্বাস আমি অনেক স্বপ্ন নিয়ে জন্মেছি। এবং এইচঅ্যাইভির বিরুদ্ধে লড়াই করে আমি নিশ্চিত করেছি যে আমার স্বপ্ন আমারইরয়েছে, কেউ কেড়ে নিতে পারেনি।​

    ট্যাগঃ এইডস কি, এইডস এর ঔষধ, এইডস এর ওষুধের নাম, এইডস এর ওষুধ।

    Post a Comment

    0Comments

    প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

    Post a Comment (0)