নবনী pdf | নবনী উপন্যাসের উক্তি | নবনী উপন্যাস রিভিউ
নবনী pdf
নবনী উপন্যাসের উক্তি
পৃথিবীতে আসার সময় প্রতিটি মানুষই একটি করে আলাদিনের প্রদীপ নিয়ে আসে…কিন্তু খুব কম মানুষই সেই প্রদীপ থেকে ঘুমন্ত দৈত্যকে জাগাতে পারে… __হুমায়ূন আহমেদ
পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়। __হুমায়ূন আহমেদ
এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই, তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সাথে প্রেমে পড়ে| __হুমায়ূন আহমেদ
তরুণী মেয়েদের হঠাৎ আসা আবেগ হঠাৎ চলে যায়। আবেগকে বাতাস না দিলেই হলো।আবেগ বায়বীয় ব্যাপার, বাতাস পেলেই তা বাড়ে। অন্য কিছুতে বাড়ে না | __হুমায়ূন আহমেদ
সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে, কিন্ত তোমাকে এমন একজনকে খুজে নিতে হবে, যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে| __হুমায়ূন আহমেদ
অধিকাংশ মানুষ কল্পনায় সুন্দর, অথবা সুন্দর দুর থেকে। কাছে এলেই আকর্ষণ কমে যায়। মানুষই একই। কারো সম্পর্কে যত কম জানা যায়, সে তত ভাল মানুষ। __হুমায়ূন আহমেদ
বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে। __হুমায়ূন আহমেদ
“কাউকে প্রচন্ডভাবে ভালবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। এই ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়।” __হুমায়ূন আহমেদ
“যখন মানুষের খুব প্রিয় কেউ তাকে অপছন্দ, অবহেলা কিংবা ঘৃণা করে তখন প্রথম প্রথম মানুষ খুব কষ্ট পায় এবং চায় যে সব ঠিক হয়ে যাক । কিছুদিন পর সে সেই প্রিয় ব্যক্তিকে ছাড়া থাকতে শিখে যায়। আর অনেকদিন পরে সে আগের চেয়েও অনেকবেশী খুশি থাকে যখন সে বুঝতে পারে যে কারো ভালবাসায় জীবনে অনেক কিছুই আসে যায় কিন্তু কারো অবহেলায় সত্যিই কিছু আসে যায় না।” __হুমায়ূন আহমেদ
পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়। টাকা পয়সার কষ্ট নয়- মানসিক কষ্ট। __হুমায়ূন আহমেদ
নবনী উপন্যাস রিভিউ
বইঃ নবনী
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ।
রিভিউঃ
দুপুরবেলা মায়ের ডাকে নবনীর ঘুম ভাঙ্গে।ঘুম ভাঙ্গার পর সে জানতে পারে আজ তার বিয়ে। হুট করে কেউ যদি জানে আজ তার বিয়ে তাহলে বিচলিত হওয়ার কথা। কিন্তু নবনী হচ্ছেনা। আসলে তার কোনওরকম অনুভূতিই হচ্ছেনা।
নবনীর ছোটবোন ইরা, ওর মা বাবা সবাই আজকে বেজায় খুশি। নবনীর জীবনে একটা বিরাট ঘটনা আছে যে কারনে নবনীর বিয়ে হচ্ছিলো না। পাত্রপক্ষ দেখতে এসে পাত্রী পছন্দ করে যায় কিন্তু পরে চিঠি মারফত জানিয়ে দেয় তাদের ছেলে এখন বিয়ে করবেনা। এভাবে অনেকগুলা বিয়েই ভেঙ্গে গেছে।
নবনীর বড়মামা খুব গোছানো লোক। এবার তিনি ঢাকার এক পাত্র ঠিক করেছেন। আগে থাকতে কাওকে কিছু জানাননি যাতে লোক জানাজানি না হয়। উনার প্ল্যান ছিল রাতের বেলা এসে বিয়ে পড়িয়ে ভোরে ঢাকার ট্রেনে ওদের তুলে দেয়া।
শেষপর্যন্ত খুব জমকালোভাবেই নবনীর বিয়ে হলো। নবনীর বর নোমান সহজ সরল সাধারন মানুষ।তারপরেও নবনীর তাকে ভালো লাগে। বিয়ের পরদিন তারা ঢাকায় চলে এসে একরুমের একটা ছোট্ট বাসায় নিজেদের সংসার শুরু করে।
এই উপন্যাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলো নবনীর ইতিহাসের টিচার। তিনি ছোটবেলায় এতিমখানায় মানুষ হয়েছেন। মাদ্রাসা লাইনে কলেজ পাশ করে স্কলারশিপ নিয়ে ভারতের আলিগড় ইউনিভার্সিটি থেকে এম.এ করেন। অল্প বয়স বলে নবনীরা তাকে ডাকতো চ্যাংড়া হুযুর। তিনি নবনীদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
প্রথম জীবনে নবনী এই স্যারের প্রেমে পড়ে। স্যারকে চিঠি পাঠায়। স্যার চেষ্টা করেন এড়িয়ে যেতে।
একদিন সেই স্যার এসে নবনীর বাবাকে বলে যে সে নবনীকে বিয়ে করতে চায়। নবনীকে তার পছন্দ, এবং সেও তাকে পছন্দ করে। একথা শুনে ওর বাবা খুব ক্ষেপে যায়। স্যার এর জিনিশপত্র রাস্তায় ফেলে দেয়। লোকজন জমে যায়। তারা তাকে মারধোর করে। তখন তিনি নবনী নবনী বলে কাতরাচ্ছিলেন। নেত্রকোনা হাসপাতাল থেকে জবাব দিয়ে দিলে ঢাকা নেয়ার পথে সে মারা যায়।
এই ঘটনায় নবনী মানসিকভাবে অপ্রকৃতস্থ হয়ে যায়। বড় মামা তখন তাকে ঢাকায় রেখে চিকিৎসা করায়।যতদিন না সে সুস্থ হয় ততদিন পর্যন্ত কাওকে বাসার ঠিকানাও দেন না পাছে লোক জানাজানি হয়ে যায়
নবনী জানতো এটাই তার জীবনের ভয়াবহ ঘটনা। কিন্তু সে কি ঘূর্নাক্ষরেও জানতো যে তার জীবনে এর চেয়েও ভয়াবহ ঘটনা ছিল?
উপন্যাসের শেষের দিকে এসে নবনী সেটা জানতে পারে।
ব্যাক্তিগত মতামতঃ
অনেকদিন পর হুমায়ূন আহমেদের প্রেমের উপন্যাস পড়লাম। মনটা ভালো হয়ে গেল। নবনীর প্রথম প্রেম বেচারা স্যার এর জন্য মন খারাপ হয়েছিল যদিও। একটা জিনিশ শিখেও নিলাম।
হুট করে যদি রাস্তাঘাটে বউকে ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে তাহলে বলবঃ
- এই তোমার জ্বর নাকি?চোখ লাল কেন? বলেই কপালে হাত দিয়ে ছুঁব।
ভ্রমণ সমগ্র হুমায়ূন আহমেদ pdf
হুমায়ুন আহমেদের প্রেমের উপন্যাস pdf
Tag:নবনী pdf , নবনী উপন্যাসের উক্তি, নবনী উপন্যাস রিভিউ, ভ্রমণ সমগ্র হুমায়ূন আহমেদ pdf , হুমায়ুন আহমেদের প্রেমের উপন্যাস pdf