কোন নামাজে কোন সূরা পড়তে হয় | Kon namaze kon sura porte hoi

 

কোন নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়

    কোন নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়

    আসসালামুআলাইকুম। আশাকরি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সকলে সুস্থ আছেন। timeofbd.com এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

    আপনারা অনেকে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন কোন নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়। আপনাদের মাঝে তাই আজ আমরা নিয়ে এলাম কোন নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়। ওয়াক্তীয় নামাজ ও গুরুত্বপূর্ণ নামাজে কোন সূরা পড়তে হয় তা নিয়ে আজ আলোচনা করবো।

    পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে কোন সূরা পড়তে হয় 

    পাঁচচ ওয়াক্ত নামাজ বলতে আমরা ফজর, যোহর, আছর, মাগরিব ও ঈশার নামাজকে বুঝি। এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজে আইন। 

    এই ফরজ নামাজের ফজিলত অনেক। হাদিসে বলা হয়েছে,

    আবু মুসা আশয়ারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুটি শীতল সময়ে নামাজ আদায় করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। ’ (বুখারি ও মুসলিম)

    ফজরের নামাজে দাঁড়ানো, সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার সমান। ‘যে ব্যক্তি জামাতের সাথে এশার নামাজ আদায় করলো, সে যেন অর্ধেক রাত জেগে নামাজ পড়লো। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সাথে পড়লো, সে যেন পুরো রাত জেগে নামাজ পড়লো। ’ (মুসলিম শরিফ)

     ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে, সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে। ’ (মুসলিম)

     ফজরের নামায কেয়ামতের দিন নূর হয়ে দেখা দিবে - ‘যারা রাতের আঁধারে মসজিদের দিকে হেঁটে যায়, তাদেরকে কেয়ামতের দিন পরিপূর্ণ নূর দিয়ে আলোকিত করা হবে।’

    এছাড়াও ফরজ নামাজ ইচ্ছাকৃতভাবে কাজা করলেও রয়েছে শাস্তির বিধান। কুরআনে বলা হয়েছে,

     فخلف من بعدهم خلف اضاعوا الصلوة و اتبعوا الشهوات فسوف يلقون غيا- الا من تاب و امن وعمل صالحا

     তাদের পরে যারা তাদের স্থলাভিষিক্ত হল, তারা নামায নষ্ট করল এবং নফসের লালসা-বাসনার অনুসরন করল। সুতরাং তারা অচিরেই এই কুকর্মের শাস্তি ভোগ করবে।  অবশ্য তারা ব্যতীত যারা তওবা করেছে, ঈমান এনেছে ও সৎকর্মশীল হয়েছে”। [ সূরা মারয়াম-৫৯]

     كل نفس بما كسبت رهينة الا اصحب اليمين- في جنت يتساءلون عن المجرمين- ماسلككم في سقر- قالوا لم نك من المصلين ولم نك نطعم المسكين وكنا نخوض مع الخائضين وكنا نكذب بيوم الدين- حتي اتنا اليقين فما تنفعهم شفاعة الشافعين-

     প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের দায়ে আবদ্ধ, তবে ডানপন্থীগণ (জান্নাতীগণ) ব্যতীত। তারা থাকবে জান্নাতের বাগানে এবং তারা অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে কোন জিনিস তোমাদেরকে জাহান্নামে নিয়ে এল? তারা বলবে আমরা মুসল্লীদের অন্তর্ভূক্ত ছিলাম না, আমরা মিসকিনদেরকে খাবার দিতাম না, আমরা সমালোচকদের সাথে সমালোচনা করে বেড়াতাম এবং আমরা কর্মফল দিবসকে অস্বীকার করতাম।  শেষ পর্যন্ত আমাদের নিকট নিশ্চিত মৃত্যুর আগমন ঘটল। এমতাবস্থায় সুপারিশকারীদের সুপারিশ তাদের কোন উপকারে আসবে না”। [ সূরা আল মুদ্দাচ্ছির-৩৮-৪৮] 

     فويل للمصلين الذين هم عن صلاتهم ساهون

     সুতরাং দুর্ভোগ/ওয়াইল নামক দোযখের কঠিন শাস্তি সেই নামায আদায়কারীদের জন্য যারা তাদের নামায সম্পর্কে উদাসীন”। [ সূরা মাউন-৪-৫]

    তাই নামাজ পড়ার সঠিক নিয়মাবলি জেনে নেওয়া এবং কোন নামাজে কোন সূরা পড়তে হয় তা জেনে নেওয়া অতি আবশ্যক।

    ফজরের নামাজে কোন সূরা পড়তে হয় | যোহরের নামাজে কোন সূরা পড়তে হয় | আছরের নামাজে কোন সূরা পড়তে হয় | মাগরিবের নামাজে কোন সূরা পড়তে হয় | ঈশার নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়


    পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে বিশেষ কোনো সূরার কথা হাদিস বা কুরআনে কোথাও বলা হইনি। আপনি সূরা ফাতিহা পড়ার পর কোরআন শরীফের যেকোনো সূরা বা সূরার অংবিশেষ পড়ে সালাত আদায় করতে পারেন। আপনাকে নির্দিষ্ট করে কোন সূরা পড়তে হবে না। আপনি যে সূরাগুলো নিজে পারেন বা নিজের মুখস্ত আছে সেগুলোর যে কোন সূরা পড়ে আপনি সালাত আদায় করতে পারেন। আপনি ৫ ওয়াক্ত নামাজের ফরজ, সুন্নত, ওয়াজিব যেকোন নামাজে উপরোক্ত নিয়ম অনুসরণ করে ছোট বা সূরা বা সূরার অংশবিশেষ পড়ে আদায় করতে পারেন। এতে আপনার নির্দিষ্ট কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

    তাহাজ্জুদ নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়

    তাহাজ্জুদ নামাজে বিশেষ কোনো সূরা পড়ার কথা হাদিসে কোথাও বলা হইনি। যে কোনো সুরা দিয়েই এ নামাজ পড়া যায়। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যথাসম্ভব লম্বা কেরাত, লম্বা রুকু ও সেজদা সহকারে একান্ত নিবিষ্ট মনে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। তাই লম্বা কেরাতে তাহাজ্জুদ আদায় করা উত্তম। কেরাত উঁচু বা নিচু উভয় আওয়াজে পড়া জায়েজ আছে। তবে কারও কষ্টের কারণ হলে চুপিচুপি পড়া কর্তব্য।

    তারাবি নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়

    তারাবি নামাজের বিশেষ কোনো সুরা পড়ার কথা হাদীসে কোথাও বলা হয়নি। যে কোন সূরা দিয়ে আপনি নামাজ আদায় করতে পারবেন। তবে তারাবি নামাজ যেহেতু লম্বা একটি নামাজ এবং অনেক সময় ধরে আদায় করতে হয়। তাই কারো যদি সমস্যা থাকে তাহলে ছোট ছোট সূরা দিয়ে নামায আদায় করতে পারেন। বিশেষ করে কুরআনের 30 নম্বর পারা বা শেষ পারর সূরা সমূহ গুলো দিয়ে তারাবির নামাজ আদায় করতে পারেন।

    শবে মেরাজের নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়

    আবার অনেক মুসলিম ভাই ও বোনরা শবে মিরাজ উপলক্ষে কেউ ১২ রাকাত, কেউ ২০ রাকাত নামাজ আদায় করে থাকেন। ইসলামী শরীয়তেও শবে মিরাজের নামাজ বলে কিছু নেই। নফল নামাজ পড়া সাওয়াবের কাজ কিন্তু শবে মিরাজ উপলক্ষে নফল নামাজ আদায় করার কোনো ভিত্তি ও প্রমাণ ইসলামে নেই। কাজেই শবে মিরাজের নামে নফল নামাজ আদায় করা এবং এর ব্যবস্থা প্রণয়ন করা মানে ইসলামী শরীয়তে নিজের পক্ষ থেকে কিছু সংযোজন করা। আর এ ব্যাপারে রাসূল (সা.) বলেছেন, যে আমাদের ধর্মে এমন কিছু সংযুক্ত বা উদ্ভাবন করবে, যা তার (শরীয়তের) অংশ নয়- তা প্রত্যাখ্যাত হবে। [বোখারী, ১/৩৭১]   

    আপনি শবে কদরের রাতে নফল নামাজ আদায় করতে পারবেন। তবে আপনি যদি শবে কদরের নামাজ মনে করে নামাজ আদায় করেন তাহলে আপনার গুনাহ হবে। আপনি শুধুমাত্র নফল নামাজের নিয়ত করে নামাজ আদায় করতে পারেন। এই রাতে নফল নামাজ আদায়ের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা হয়নি। আপনি সাধারণভাবে নফল নামাজ যেভাবে আদায় করেন ঠিক সেভাবে আদায় করতে পারেন।

    শবে বরাতের নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়

    নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর সূরা ইখলাছ, সূরা ক্বদর, আয়াতুল কুরছী বা সূরা তাকাছুর ইত্যাদি মিলিয়ে পড়া অধিক ছওয়াবের কাজ। এই ভাবে কম্পক্ষে ১২ রাকাত নামাজ আদায় করা উত্তম। এর বেশি যত রাকাত আদায় করা যায় ততই উত্তম।

    প্রতি ৪ রাকাত পর পর কিছু তাসবিহ-তাহলীল আদায় করে মহান আল্লাহর নিকট দোয়া কামনা করা অতি উত্তম। এই ভাবে সারা রাত নামাজ আদায় করা যেতে পারে।


    শবে ক্বদরের নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়

    শবে কদরের রাত্রে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নফল নামাজ গুলো আদায় করা যায়। যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নফল নামাজ আদায় করা যায় সেগুলো হলোঃ তাহিয়্যাতুল অজু, দুখুলিল মাসজিদ, আউওয়াবিন, তাহাজ্জুদ, সালাতুত তাসবিহ তাওবার নামাজ, সালাতুল হাজাত, সালাতুশ শোকর ও অন্যান্য নফল ইত্যাদি পড়া।

    এই রাতের নামাজে কিরাত ও রুকু-সেজদা দীর্ঘ করা উত্তম।

    আপনি যে কোন সূরা দিয়ে শবে কদরের নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে কুরআনের গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতময় সূরাসমূহ দিয়ে শবে কদরের নামাজ আদায় করা উত্তম। নিচে এমন কিছু সূরার নাম তুলে ধরা হলোঃ সুরা কদর, সুরা দুখান, সুরা মুয্যাম্মিল, সুরা মুদ্দাচ্ছির, ইয়া-সিন, সুরা ত-হা, সুরা আর রহমান ও অন্যান্য ফজিলতের সুরাসমূহ তিলাওয়াত করা।

    এছাড়াও  দরুদ শরিফ বেশি বেশি পড়া, তাওবা-ইস্তিগফার অধিক পরিমাণে করা, দোয়া-কালাম, তাসবিহ-তাহলিল, জিকির-আজকার ইত্যাদি করা, কবর জিয়ারত করা,নিজের জন্য, পিতা-মাতার জন্য, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও সব মোমিন মুসলমানের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করা।


    জানাযার নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়

    জানাজার নামাজে কোরআন শরীফ থেকে কোন সূরা পাঠ করতে হয় না। জানাজার নামাজের প্রথম রাকাতে জানাজার ছানা, দ্বিতীয় রাকাতে দুরুদ শরীফ এবং দ্বিতীয় রাকাতে জানাজার বিশেষ দোয়াটি পড়তে হয়। এই নামাজে কোন সূরা পাঠ করা হয় না।

    কাযা নামাজে কোন সূরা পাঠ করতে হয়

    কাজা নামাজের বিশেষ কোন সূরা পাঠ করতে হয় না পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এর মতন সম্পূর্ণ একই নিয়মে কাজা নামাজ আদায় করতে হয়। যে কোন সূরা বা সূরার অংশবিশেষ পাঠ করে কাজা নামাজ আদায় করা যায়।

    নফল নামাজে কোন সূরা পাঠ করতে হয়

    নফল নামাজ যেকোনো সূরা বা আয়াত দিয়ে পড়া যায়। নফল নামাজে সূরার তারতিব বা ধারাক্রম জরুরি নয়। নফল নামাজের সূরা কিরাআত নীরবে পড়তে হয়; তবে রাতের নফল নামাজ ইচ্ছা করলে সরবেও পড়া যায়। বিভিন্ন কিতাবে বিভিন্ন নফল নামাজের বিভিন্ন সূরা কিরাআত ও বিশেষ বিশেষ নিয়ম বর্ণিত আছে। সম্ভব হলে তা অনুসরণ করা উত্তম; তবে জরুরি নয়। নফল নামাজে যত ইচ্ছা তত দীর্ঘ কিরাআত পাঠ করা যায়। এতে রাকাত দীর্ঘ করার জন্য এবং তিলাওয়াতের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য একই রাকাতে বিভিন্ন সূরা ও বিভিন্ন আয়াত পড়া যায় এবং একই রাকাতে একই সূরা বারবার পড়া যায়। নফল নামাজে কিরাআতে তিলাওয়াতের তারতিব বা ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরি নয়। নফল নামাজে রুকু, সিজদাসহ প্রতিটি রুকন বা পর্ব দীর্ঘায়িত করা সুন্নত ও মোস্তাহাব। এ জন্য রুকু ও সিজদায় তাসবিহ অনেকবার পড়া যায় এবং অন্যান্য পর্বে বেশি পরিমাণে বিভিন্ন দোয়া (যা কোরআন-হাদিসে আছে) পাঠ করা যায়।


    তাহিয়্যাতুল ওযু নামাজে কোন সূরা পাঠ করতে হয়

    অজু করার পরপরই এই নামাজ দুই রাকাত পড়তে হয়। ওয়াক্ত মাকরুহ হলে, মাকরুহ ওয়াক্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নবী করিম (সা.) ঘোষণা করেছেন, ‘যে ব্যক্তি অজু করে দুই রাকাত নামাজ ইখলাসের সঙ্গে পড়বে, তার বেহেশত লাভ হওয়া অবধারিত।’ (মুসলিম ও আবু দাউদ)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, যে ব্যক্তি অজু ভাঙার পর অজু করল না, সে আমাকে অবজ্ঞা করল; আর যে ব্যক্তি অজু করার পর দুই রাকাত (নফল) নামাজ পড়ল না, সেও আমাকে অবহেলা করল। (হাদিসে কুদসি)।

    এই নামাজেও বিশেষ কোন সূরা পাঠ করতে হয় না পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এর মতন সম্পূর্ণ একই নিয়মে এই নামাজ আদায় করতে হয়। যে কোন সূরা বা সূরার অংশবিশেষ পাঠ করে এই নামাজ আদায় করা যায়।

    দুখুলুল মসজিদ নামাজে কোন সূরা পাঠ করতে হয়


    মসজিদে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে, বসার আগেই দুই রাকাত দুখুলিল মাসজিদ নামাজ পড়তে হয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন বসার আগেই তার দুই রাকাত নামাজ পড়া উচিত।’ (হাদিস)। তবে যদি মাকরুহ ওয়াক্ত হয়, তাহলে মাকরুহ ওয়াক্ত শেষ হলে পড়বে। এ জন্য বসে অপেক্ষা করতে পারবে। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি)।

    এই নামাজে বিশেষ কোন সূরা পাঠ করতে হয় না পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এর মতন সম্পূর্ণ একই নিয়মে এই নামাজ আদায় করতে হয়। যে কোন সূরা বা সূরার অংশবিশেষ পাঠ করে এই নামাজ আদায় করা যায়।


    সালাতুস সফর নামাজে কোন সূরা পড়তে হয় | দুখুলিল মানজিল নামাজে কোন সূরা পড়তে হয় | খুরুজুল মানজিলের নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়

    বাড়ি থেকে সফরে বের হওয়ার আগে চার রাকাত নফল নামাজ পড়া অতীব বরকতময়। এই নামাজকে সালাতুস সফর বা সফরের নামাজ বলা হয়। সফর থেকে বাড়ি ফিরলে বা সফরে গন্তব্যে পৌঁছালে অথবা সফরে কোথাও অবস্থান করলে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে। এই নামাজকে সালাতু দুখুলিল মানজিল বা মঞ্জিলে প্রবেশের নামাজ বলে। একইভাবে বাড়ি থেকে সফরে বের হওয়ার সময় কিংবা সফর থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় বা সফরের মাঝে অবস্থান থেকে রওনা দেওয়ার সময় দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে হয়। এই নামাজকে সালাতুল খুরুজিল মানজিল বা মঞ্জিল থেকে প্রত্যাবর্তনের নামাজ বলে। (তান্বিহুল গাফিলিন)।

    এই নামাজে বিশেষ কোন সূরা পাঠ করতে হয় না পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এর মতন সম্পূর্ণ একই নিয়মে এই নামাজ আদায় করতে হয়। যে কোন সূরা বা সূরার অংশবিশেষ পাঠ করে এই নামাজ আদায় করা যায়।


    সালাতুল হাজত নামাজে কোন সূরা পড়তে হয় | সালাতুত তাসবীহ নামাজে কোন সূরা পড়তে হয় | চাশতের নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়

    এ সকল নামাজে বিশেষ কোন সূরা কিরায়াত পাঠ করতে হয় না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মতন সাধারণভাবেই কোরআনের যে কোন সূরা বা সূরার অংশবিশেষ দিয়ে এই সকল নামাজ সমূহ আদায় করা যায়। এসকল নামাজ এর জন্য কোন সূরা নির্দিষ্ট করে পড়ার কথা বলা হয়নি।

    ঈদুল ফিতরের নামাজে কোন সূরা পড়তে হয় | ঈদুল আযহার নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়

    ঈদের নামাজে বিশেষ কোন সূরা কিরায়াত পাঠ করতে হয় না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মতন সাধারণভাবেই কোরআনের যে কোন সূরা বা সূরার অংশবিশেষ দিয়ে দুই ঈদের নামাজ সমূহ আদায় করা যায়। দুই ঈদের নামাজ এর জন্য কোন সূরা নির্দিষ্ট করে পড়ার কথা বলা হয়নি।

    শুকরিয়া নামাজে কোন সূরা পড়তে হয় | আওয়াবীন নামাজে কোন সূরা পড়তে হয় | এশরাক নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়

    এ সকল নামাজে বিশেষ কোন সূরা কিরায়াত পাঠ করতে হয় না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মতন সাধারণভাবেই কোরআনের যে কোন সূরা বা সূরার অংশবিশেষ দিয়ে এই সকল নামাজ সমূহ আদায় করা যায়। এসকল নামাজ এর জন্য কোন সূরা নির্দিষ্ট করে পড়ার কথা বলা হয়নি।

    ট্যাগঃ কোন নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়, সকল নামাজের সূরাসমূহ।