গৌতম বুদ্ধ, চাণক্য, শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীরামকৃষ্ণ, লোকনাথ বাবা , অনুকূল ঠাকুর এদের সকলের বাণী
আসসালামু আলাইকুম টাইম অফ বিডি এর পক্ষ থেকে আপনাকে সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি সবাই মহান আল্লাহতালার মেহেরবানীতে ভালো আছেন? আমিও আল্লার রহমতে অনেক ভাল আছি? আপনারা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মনীষীদের বাণী খুঁজছেন। আপনাদের সুবিধার্থে এখানে বিভিন্ন মনীষীদের বাণী গুলো সুন্দর ভাবে দেয়া হলো গৌতম বুদ্ধের বাণী , কৃষ্ণের বাণী, রামকৃষ্ণের বাণী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী ,শ্রীকৃষ্ণের বাণী, চাণক্যের বাণী , বুদ্ধের বাণী ,অনুকুল ঠাকুরের বাণী, বাবা লোকনাথের বাণী
আশা করি এগুলো দ্বারা আপনারা উপকৃত হবেন।
গৌতম বুদ্ধের বাণী | বুদ্ধের বাণী
১।অতীতকে প্রাধান্য দিও না, ভবিষ্যত নিয়ে দিবাস্বপ্নও দেখবে না। তার চেয়ে বরং বর্তমান মুহূর্ত নিয়ে ভাবাে।
২। সবকিছুর জন্য মনই আসল। সবার আগে মনকে উপযুক্ত করাে, চিন্তাশীল হও। আগে ভাবাে তুমি কী হতে চাও।
৩। আনন্দ হলাে বিশুদ্ধ মনের সহচর। বিশুদ্ধ চিন্তাগুলাে খুঁজে খুঁজে আলাদা করতে হবে। তাহলে সুখের দিশা তুমি পাবেই।
৪া তুমিই কেবল তােমার রক্ষাকর্তা, অন্য কেউ নয়।
৫। জীবনের প্রথমেই ভুল হওয়া মানেই এই নয় এটিই সবচেয়ে বড় ভুল। এর থেকে শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে যাও।
৬। অনিয়ন্ত্রিত মন মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে। মনকে প্রশিক্ষিত করতে পারলে চিন্তাগুলােও তােমার দাসত্ব মেনে নেবে।
কৃষ্ণের বাণী | ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী | শ্রীকৃষ্ণের বাণী
রামকৃষ্ণের বাণী
রামকৃষ্ণ হিন্দুদের একটি দেবতার নাম। হিন্দুরা রামকৃষ্ণকে পূজা করে।আমাদের অনেক হিন্দু ভাই-বোন আমাদের কাছে রামকৃষ্ণের বাণী সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। তাই রামকৃষ্ণের সকল বাণী নিয়ে আমাদের এই পোস্টটি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম।দেশের বেশ কিছু বাণী দিয়ে দিলাম নিচে রামকৃষ্ণের বেশ কিছু বাণী দেয়া হল আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
- জ্ঞানীর নিকট সত্যই পরম ধর্ম।
- দুর্বলই কেবল ভাগ্যের দোষারোপ করে আর বীর ভাগ্যকে অর্জন করে।
- গোদান করে দড়ির উপর মায়া রেখে কি লাভ? যখন মোহ ত্যাগ করবে,তখন নিঃস্বার্থভাবে ত্যাগ করবে।
- শোকের চেয়ে বড় নাশকর্তা আর কিছু নেই,শোক মানুষের সব শক্তিকেই নষ্ট করে দেয়,তাই শোক করোনা।
- হৃদয়বানের কোন ক্রোধ নেই। ৬। অতি গর্জনকারী মেঘ খুব কদাচিৎই বর্ষে,প্রকৃত
- ব্যাবহার ও চরিত্রেই বংশের পরিচয় হয়।
- মিথ্যাবাদী ব্যাক্তি সর্পের চেয়েও ভয়ঙ্কর।
- সত্যই এ জগতের নিয়ন্ত্রক,সত্যেই ধর্ম প্রোথিত হয়ে আছে।
- মাতৃঋণ কোন সন্তানই কখনো শোধ করতে পারেনা।
- অনুকম্পা,দয়া,ক্ষমা ও মানবতার মত বড় গুন আর নেই।
- বীর অকারনে বাক্যব্যায় করেনা।
- দেশে -দেশে বন্ধু,আত্মীয়স্বজন বা স্ত্রী মেলে কিন্তু পৃথিবীতে এমন কোন দেশ নেই যেখানে ভ্রাতা লক্ষন এর মত সহোদর মেলা সম্ভব।
- তপস্যাই পরম শ্রেয়,বাকী সকলই মায়া।
- চন্দ্র তাঁর সৌন্দর্য হারাতে পারে,হিমবন বরফশুন্য হয়ে পড়তে পারে,সমুদ্র বিরান হয়ে যেতে পারে কিন্তু রাম কখনো তার প্রতিজ্ঞা হতে বিচ্যুত হয়না।
- শেকড়হীন বিশাল বৃক্ষ ও যেমন সত্তরই নির্জীব হয়ে পড়ে ঠিক তেমনি নিরীহের ক্ষতিকারী শত শক্তিশালী হলেও সমূলে পতিত হয়।
- উৎসাহ এর চেয়ে বড় বল আর কিছুই নেই,উৎসাহী ব্যাক্তি জগত ও জয় করতে পারে।
- দুঃখ বা দুর্দশায় একজন প্রকৃত বন্ধুর মত পরম
- যদিও লঙ্কা ধন সম্পদে পরিপূর্ণ তথাপি হে লক্ষন, এখানে আমার শান্তি লাভ হচ্ছেনা, সব সময় মনে রাখবে, জননী ও জন্মভুমি স্বর্গ অপেক্ষাও শান্তিময়
চাণক্যের বাণী
যে রাজা শত্রুর গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা করতে পারে না এবং শুধু অভিযােগ করে যে তার পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তাকে সিংহাসনচ্যুত করা উচিত।
সকল উদ্যোগ নির্ভর করে অর্থের ওপর। সেজন্যে সবচেয়ে অধিক মনােযােগ দেয়া উচিত খাজাঞ্চিখানার দিকে। তহবিল তসরুপ বা অর্থ আত্মসাতের চল্লিশটি পদ্ধতি আছে। জিহ্বা'র ডগায় বিষ রেখে যেমন মধুর আস্বাদন করা সম্ভব নয়, তেমনি কোন রাজ কর্মচারীর পক্ষে রাজার রাজস্বের সামান্য পরিমাণ না খেয়ে ফেলার ঘটনা অসম্ভব ব্যাপার। জলের নিচে মাছের গতিবিধি যেমন জল পান করে বা পান না করেও বােঝা সম্ভব নয়, অনুরূপ রাজ কর্মচারীর তহবিল তসরুপও দেখা অসম্ভব। আকাশের অতি উঁচুতেও পাখির উড্ডয়ন দেখা সম্ভব, কিন্তু রাজ কর্মচারীর গােপন কার্যকলাপ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সমভাবে অসম্ভব।
৩) বিষ থেকে সুধা, নােংরা স্থান থেকে সােনা, নিচ কারাে থেকে জ্ঞান এবং নিচু পরিবার থেকে শুভলক্ষণা স্ত্রী- এসব গ্রহণ
লোকনাথ বাবার বাণী
১। এই দেহপাতের সঙ্গে- সঙ্গে সব শেষ হয়ে যাবে মনে করিস না। আমি যেমনটি ছিলাম যেমন আছি, তেমনি চিরকাল থাকবো।
২। অহংকার চলে গেলে নিজের মনই নিজের গুরু হয়, সৎ ও অসৎ বিচার আসে। জ্ঞানের সঙ্গে ভক্তির মণিকাঞ্চন যোগ হলে শ্রদ্ধা হবে তোদের আশ্রয়, শ্রদ্ধা হবে তোদের বান্ধব এবং শ্রদ্ধাই হবে তোদের পাথেয়।
৩। তোরা যদি দীর্ঘায়ু হতে চাস্ তাহলে তোদের সদাচারী, শ্রদ্ধাশীল, ঈর্ষাহীন, সত্যবাদী, ক্রোধবিহীন ও সরল স্বভাব হতে হবে।
৪। রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়বি, আমাকে স্মরণ করবি, আমিই রক্ষা করবো।
৫। অন্ধ সমাজ চোখ থাকতেও অন্ধের মতো চলছে।
৬। এই বিরাট সৃষ্টির মধ্যে এমন কিছু নেই যাকে উপেক্ষা করা চলে বা ছোট ভাবা যায়। প্রতিটি সৃ্ষ্টি বস্তু বা প্রাণী নিজ -নিজ স্থলে স্বমহিমায় মহিমান্বিত হয়ে আছে জানবি।
৭। যা মনে আসে তাই করবি, কিন্তু বিচার করবি।
৮। যে কর্ম মনে তাপের সৃষ্টি করে তাই পাপ। যে কর্মের মধ্য দিয়ে আত্মসচেতন বা শান্তির ভাব মনকে ভরিয়ে তোলে তাই পুণ্য এবং স্বর্গতুল্য।
৯। ধার্মিক হতে চাইলে প্রতিদিন রাতে শোবার সময় সারাদিন কাজের হিসাব নিকাশ করবি, অর্থাৎ ভাল কাজ কি করেছিস এবং মন্দ কাজ কি করেছিস, সেটা ভেবে মন্দ কাজ যাতে আর না করতে হয় তার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবি।
১০। দেখ-যেখানে ত্যাগ নেই, আছে মোহ ও আসক্তি সেখানেই যত দু:খ, দৈন্য ও অশান্তি।
১১। যারা ধর্ম নেই মনে করে সাধুগণকে উপহাস করে, আর ধর্মের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করে, তারা নি:সন্দেহে বিনাশ প্রাপ্ত হয়।
১২। সচেতন হতে হবে। অচেতনাই জীবনের ধর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিরন্তর অভ্যাস এবং চেষ্টার ফলে তাকে সচেতনায় রূপান্তরিত করতে হবে।
১৩। কাম, ক্রোধ সব রিপুই অবচেতন মনের স্তরে- স্তরে সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। সুযোগ পেলেই তারা প্রকাশ হয়, কারণ মানুষ তাদের অস্তিত্ব সম্বন্ধে সচেতন হয়। অচেতন মন রিপুদের অবাধ ক্রীড়াক্ষেত্র।
১৪। সত্যের মতো পবিত্র আর কিছুই নেই।সত্যই স্বর্গমনের একমাত্র সোপানস্বরূপ, সন্দেহ নেই।
১৫। যে ব্যক্তি সকলের সুহৃদ(বন্ধু), আর যিনি কায়মনোবাক্যে সকলের কল্যান সাধন করেন, তিনিই যথার্থ জ্ঞানী।
১৬। গরজ করিব, কিন্তু আহাম্মক (নির্বোধ) হবি না। ক্রোধ করিব কিন্তু ক্রোধান্ধ হবি না।
১৭। দেখ-অর্থ উপার্জন করা , তা রক্ষা করা, আর তা ব্যয় করবার সময় বিষয় দু:খ ভোগ করতে হয়।অর্থ সকল অবস্থাতেই মানুষকে কষ্ট দেয়। তাই অর্থ ব্যয় হলে বা চুরি হলে তার জন্যে চিন্তা করে কোন লাভই হয় না।
১৮। যে ব্যক্তি কৃতজ্ঞ, ধার্মিক, সত্যাচারী, উদারচিত্ত, ভক্তিপরায়ন, জিতেন্দ্রিয়, মর্যাদা রক্ষা করতে জানে, আর কখনো আপন সন্তানকে পরিত্যাগ করে না, এমন ব্যক্তির সঙ্গেই বন্ধুত্ব করবি।
১৯। ওরে, সে জগতের কথা মুখে বলা যায় না, বলতে গেলেই কম পড়ে যায়। বোবা যেমন মিষ্টির স্বাদ বলতে পারে না, সেই রকম আর কি!
২০। আমিও তোদের মতো খাই-দাই, মল-মূত্র ত্যাগ করি।আমাকেও তোদের মতই একজন ভেবে নিস। আমাকে তোরা শরীর ভেবে ভেবেই সব মাটি করলি। আমি যে কে, তা আর কাকে বোঝাবো, সবাই তা ছোট- ছোট চাওয়া নিয়েই ভুলে রয়েছে আমার প্রকৃত আমি কে।
২১। সমাধির উচ্চতম শিখরে গিয়ে যখন পরমতত্ত্বে পৌঁছালাম, তখন দেখি আমাতে আর অখিল ব্রহ্মান্ডের অস্তিত্বে কোন ভেদ নেই।সব মিলেমিশে একাকার।
২২। আমি পাহাড়-পর্বতে ঘুরে যে ধন কামাই করে এনেছি, তা আমার সন্তানরা ঘরে বসে খাবে।
অনুকূল ঠাকুরের বাণী
যার কাছ থেকে সকল ধরনের সহযােগীতা পেয়ে, পালন পােষণ পেয়ে আজ আমি পূর্ণ, তার শরীর হতে আমার শরীর আর এই মহান মানুষটিকেই আমরা পিতা বলি" - Thakur Anukulchandra
“অশিক্ষিতকে শিক্ষা দেওয়া বরং অনেক সােজা হয়,কুশিক্ষিতদের শিক্ষক হওয়া সেটাই কঠিন কাজ সােজা নয় - Thakur Anukulchandra
"যদি সাধনায় উন্নতি লাভ করতে চাও, তবে কপটতা ত্যাগ কর" - Thakur Anukulchandra
"কপট হয়ােনা, নিজে ঠকও হয়ােনা, আর অপরকেও ঠকিও না" - Thakur Anukulchandra
"সরল ব্যাক্তি উদ্ধদৃষ্টি সম্পন্ন চাতকের মত। কপটী নিন্মদৃষ্টি সম্পন্ন শকুনের মত। ছােট হও, কিন্তু লক্ষ্য উচ্চ হােক; বড় এবং উচ্চ হয়ে নিন্মদৃষ্টিসম্পন্ন শকুনের মত হওয়ায় লাভ কি?" 0-Thakur Ahukulchandra
Tag:গৌতম বাণী ,শ্রীকৃষ্ণের বাণী, রামকৃষ্ণের বাণী,চাণক্যের বাণী , বুদ্ধের বাণী , লোকনাথ বাবার বাণী, অনুকুল ঠাকুরের বাণী