ছোটদের বাংলা ছড়া | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতা | কবর কবিতা

Sadia
0

 

ছোটদের ছড়া, কবর কবিতা, শেষের কবিতা, বাংলা ছড়া , কেউ কথা রাখেনি , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা

প্রিয় পাঠকবৃন্দ টাইম অফ বিডির পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা এবং সালাম আসসালামু আলাইকুম আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। ছোটদের ছড়া, কবর কবিতা, শেষের কবিতা, বাংলা ছড়া , কেউ কথা রাখেনি , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা নিয়ে আজকে আমাদের এই পোস্টটি তৈরি করেছি আশা করছি পুরো পোস্টটি ধৈর্য্য সহকারে পড়বেন এবং আশা করছি এটি আপনাদের ভালো লাগবে।

ছোটদের ছড়া


(ছোটদের ছড়া)


মাথামোটা

      কবি:-অমিয় ব্যানার্জী


দলপতি ঘোষবাবু কবরেজি ডাক্তার

সদাই সজাগ রাখে চোখ মুখ নাক তার।


কিসে কি গুন আছে বলে দেয় এন্তার

গরু কেন ঘাস খায় তাও আছে জানা তার।


আগেও লিখেছে কেন কলা খায় বাঁদরে,

প্রকৃতিমা তাই তাকে ধরে রাখে আদরে।


খড়কুটো ঘাসফুল নিমপাতা জামপাতা

কেন খায় ছাগলে যত তার মাথা ব্যথা।


মানুষ যে খুব বোকা একেবারে মাথামোটা

এসব জানিয়েছেন মানুষকে দিয়ে খোঁটা।


ভাগবতে লেখা আছে,"বকেরা মাছ খায়"

ঘোষবাবু দেখেশুনে করে তাই হায়!হায়!


"মাংস খাস্ না ওরে" ওতো খায় শেয়ালে

ঘোষবাবু সকালে লিখে রাখে দেওয়ালে।


পশুদের গু-গোবর শুঁকে দেখেছেন মূত্র

তা থেকেই ওষুধের পেয়েছেন নানা সূত্র।


এই সব চেখে দেখে বানান নানা বোটিকা

হঠাৎ নেমে এলো চোখে ঘোর কুজ্ঝটিকা।


কিথেকে যে কিহলো আজো ভেবে ভেবে সারা

মাথায় একটাও চুল নেই একেবারে ন্যাড়া।

 কবর কবিতা 

কবর কবিতাটি কবি জসীমউদ্দীন লিখেছেন এটি অত্যন্ত বিখ্যাত একটি কবিতা আমাদের পোষ্টে কবিতাটি দেয়া হল আশা করি আপনাদের ভালো লাগব

কবর কবিতা


 এই খানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে, তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে। এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ, পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক। এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা, সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা! সোনালি ঊষার সোনামুখ তার আমার নয়নে ভরি লাঙল লইয়া খেতে ছুটিলাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি। যাইবার কালে ফিরে ফিরে তারে দেখে লইতাম কত এ কথা লইয়া ভাবি-সাব মোরে তামাশা করিত শত। এমনি করিয়া জানি না কখন জীবনের সাথে মিশে ছোট-খাট তার হাসি ব্যথা মাঝে হারা হয়ে গেনু দিশে। বাপের বাড়িতে যাইবার কাল কহিত ধরিয়া পা আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু উজান-তলীর গাঁ। শাপলার হাটে তরমুজ বেচি পয়সা করি দেড়ী, পুঁতির মালার একছড়া নিতে কখনও হত না দেরি। দেড় পয়সার তামাক এবং মাজন লইয়া গাঁটে, সন্ধাবেলায় ছুটে যাইতাম শ্বশুরবাড়ির বাটে! হেস না­ হেস না­ শোন দাদু, সেই তামাক মাজন পেয়ে, দাদি যে তোমার কত খুশি হত দেখিতিস যদি চেয়ে! নথ নেড়ে নেড়ে কহিত হাসিয়া, এতদিন পরে এলে, পথ পানে চেয়ে আমি যে হেথায় কেঁদে মরি আঁখিজলে। আমারে ছাড়িয়া এত ব্যথা যার কেমন করিয়া হায়, কবর দেশেতে ঘুমায়ে রয়েছে নিঝঝুম নিরালায়! হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, আয় খোদা! দয়াময়, আমার দাদীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নসিব হয়। তারপর এই শূন্য জীবনে যত কাটিয়াছি পাড়ি যেখানে যাহারে জড়ায়ে ধরেছি সেই চলে গেছে ছাড়ি। শত কাফনের, শত কবরের অঙ্ক হৃদয়ে আঁকি, গণিয়া গণিয়া ভুল করে গণি সারা দিনরাত জাগি। এই মোর হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাটির তলে, গাড়িয়া দিয়াছি কত সোনামুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে। মাটিরে আমি যে বড় ভালবাসি, মাটিতে মিশায়ে বুক, আয়-আয় দাদু, গলাগলি ধরি কেঁদে যদি হয় সুখ। এইখানে তোর বাপজি ঘুমায়, এইখানে তোর মা, কাঁদছিস তুই? কী করিব দাদু! পরাণ যে মানে না। সেই ফালগুনে বাপ তোর এসে কহিল আমারে ডাকি, বা-জান, আমার শরীর আজিকে কী যে করে থাকি থাকি। ঘরের মেঝেতে সপটি বিছায়ে কহিলাম বাছা শোও, সেই শোওয়া তার শেষ শোওয়া হবে তাহা কী জানিত কেউ? গোরের কাফনে সাজায়ে তাহারে চলিলাম যবে বয়ে, তুমি যে কহিলা বা-জানরে মোর কোথা যাও দাদু লয়ে? তোমার কথার উত্তর দিতে কথা থেমে গেল মুখে, সারা দুনিয়ার যত ভাষা আছে কেঁদে ফিরে গেল দুখে! তোমার বাপের লাঙল-জোয়াল দুহাতে জঢ়ায়ে ধরি, তোমার মায়ে যে কতই কাঁদিতে সারা দিন

শেষের কবিতা

শেষের কবিতা 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতা উপন্যাসে অমিত কে লেখা লাবণ্যর শেষ চিঠি।

-------------

কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও?

তারি রথ নিত্য উধাও।

জাগিছে অন্তরীক্ষে হৃদয়স্পন্দন

চক্রে পিষ্ট আধারের বক্ষ-ফাটা তারার ক্রন্দন।

ওগো বন্ধু,

সেই ধাবমান কাল

জড়ায়ে ধরিল মোরে ফেলি তার জাল

তুলে নিল দ্রুতরথে

দুঃসাহসী ভ্রমনের পথে

তোমা হতে বহু দূরে।

মনে হয় অজস্র মৃত্যুরে

পার হয়ে আসিলাম

আজি নব প্রভাতের শিখর চুড়ায়;

রথের চঞ্চল বেগ হাওয়ায় উড়ায়

আমার পুরানো নাম।

ফিরিবার পথ নাহি;

দূর হতে যদি দেখ চাহি

পারিবে না চিনিতে আমায়।

হে বন্ধু বিদায়।

কোনদিন কর্মহীন পুর্ন অবকাশে

বসন্তবাতাসে

অতীতের তীর হতে যে রাত্রে বহিবে দীর্ঘশ্বাস,

ঝরা বকুলের কান্না ব্যাথিবে আকাশ,

সেইক্ষণে খুজে দেখো, কিছু মোর পিছে রহিল সে

তোমার প্রাণের প্রান্তে, বিস্মৃতি প্রাদোষে

হয়তো দিবে সে জ্যোতি,

হয়তো ধরিবে কভু নামহারা স্বপ্নের মুরতি।

তবু সে তো স্বপ্ন নয়,

সব চেয়ে সত্য মোর সেই মৃত্যুঞ্জয় -

সে আমার প্রেম।

তারে আমি রাখিয়া এলেম

অপরিবর্তন অর্ঘ্য তোমার উদ্দেশ্যে।

পরিবর্তনের স্রোতে আমি যাই ভেসে

কালের যাত্রায়।

হে বন্ধু বিদায়।

তোমায় হয় নি কোন ক্ষতি।

মর্তের মৃত্তিকা মোর, তাই দিয়ে অমৃতমুরতি

যদি সৃষ্টি করে থাক তাহারি আরতি

হোক তবে সন্ধ্যা বেলা-

পূজার সে খেলা

ব্যাঘাত পাবে না মোর প্রত্যহের ম্লান স্পর্শ লেগে;

তৃষার্ত আবেগবেগে

ভ্রষ্ট্র নাহি হবে তার কোন ফুল নৈবদ্যের থালে।

তোমার মানস ভোজে সযত্নে সাজালে

যে ভাবরসের পাত্র বাণীর তৃষায়

তার সাথে দিব না মিশায়ে

যা মোর ধূলির ধন, যা মোর চক্ষের জলে ভিজে।

আজও তুমি নিজে

হয়তো বা করিবে বচন

মোর স্মৃতিটুকু দিয়ে স্বপ্নবিষ্ট তোমার বচন

ভার তার না রহিবে, না রহিবে দায়।

হে বন্ধু বিদায়।

মোর লাগি করিয় না শোক-

আমার রয়েছে কর্ম রয়েছে বিশ্বলোক।

মোর পাত্র রিক্ত হয় নাই,

শুন্যেরে করিব পূর্ণো, এই ব্রত বহিব সদাই।

উৎকন্ঠ আমার লাগি কেহ যদি প্রতীক্ষিয়া থাকে

সে ধন্য করিবে আমাকে।

শুক্লপখক হতে আনি

রজনী গন্ধার বৃন্তখানি

যে পারে সাজাতে

অর্ঘ্যথালা কৃষ্ণপক্ষ রাতে

যে আমারে দেখিবারে পায়

অসীম ক্ষমায়

ভালমন্দ মিলায়ে সকলি,

এবার পূজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি।

তোমারে যা দিয়েছিনু তার

পেয়েছ নিশেষ অধিকার।

হেথা মোর তিলে তিলে দান,

করুণ মুহূর্তগুলি গন্ডুষ ভরিয়া করে পান

হৃদয়-অঞ্জলি হতে মম,

ওগো নিরূপম,

হে ঐশ্বর্যবান

তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারই দান,

গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়।

হে বন্ধু বিদায়।।

 বাংলা ছড়া 

পাখি


এলো পাখা ঝাপটে

মায়ামতি জাপটে

ফাল্গুনী পাখি,

আমি থাকি দূরে,

এসো দেখি উড়ে,

নাম ধরে ডাকি!


নাম নাই নাম নাই, মামা

ডাকা-হাঁকা রাখো,

দেখে নয় ছুঁয়ে নয় 

অনুভবে আঁকো।


আঁকা চোখ উড়ে যায়

হৃদয়ে ফুঁড়ে যায়,

তবু তারে আঁকি

কলিজার এ পাখি।

কেউ কথা রাখেনি 


কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি

ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল

শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে

তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো, কিন্তু সেই বোষ্টুমী

আর এলোনা

পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি।


মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর

তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো

সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর

খেলা করে!

নাদের আলী, আমি আর কত বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ

ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়

তিন প্রহরের বিল দেখাবে?


একটাও রয়্যাল গুলি কিনতে পারিনি কখনো

লাঠি-লজেন্স দেখিয়ে দেখিয়ে চুষেছে লস্করবাড়ির ছেলেরা

ভিখারীর মতন চৌধুরীদের গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি

ভিতরে রাস-উৎসব

অবিরল রঙের ধারার মধ্যে সুবর্ণ কঙ্কণ পরা ফর্সা রমণীরা

কত রকম আমোদে হেসেছে

আমার দিকে তারা ফিরেও চায়নি!

বাবা আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন, দেখিস, একদিন, আমরাও…

বাবা এখন অন্ধ, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই

সেই রয়্যাল গুলি, সেই লাঠি-লজেন্স, সেই রাস-উৎসব

আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবেনা!


বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুণা বলেছিল,

যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালবাসবে

সেদিন আমার বুকেও এ-রকম আতরের গন্ধ হবে!

ভালোবাসার জন্য আমি হাতের মুঠেয়ে প্রাণ নিয়েছি

দূরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড়

বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টা নীল পদ্ম

তবু কথা রাখেনি বরুণা, এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ

এখনো সে যে-কোনো নারী।

কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটল, কেউ কথা রাখে না!

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা 

বিম্ববতী 

–( সোনার তরী )

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


রূপকথা

সযত্নে সাজিল রানী, বাঁধিল কবরী,

নবঘনস্নিগ্ধবর্ণ নব নীলাম্বরী

পরিল অনেক সাধে। তার পরে ধীরে

গুপ্ত আবরণ খুলি আনিল বাহিরে

মায়াময় কনকদর্পণ। মন্ত্র পড়ি

শুধাইল তারে— কহ মোরে সত্য করি

সর্বশ্রেষ্ঠ রূপসী কে ধরায় বিরাজে।

ফুটিয়া উঠিল ধীরে মুকুরের মাঝে

মধুমাখা হাসি-আঁকা একখানি মুখ,

দেখিয়া বিদারি গেল মহিষীর বুক—

রাজকন্যা বিম্ববতী সতিনের মেয়ে,

ধরাতলে রূপসী সে সবাকার চেয়ে।

তার পরদিন রানী প্রবালের হার

পরিল গলায়। খুলি দিল কেশভার

আজানুচুম্বিত। গোলাপি অঞ্চলখানি,

লজ্জার আভাস-সম, বক্ষে দিল টানি।

সুবর্ণমুকুর রাখি কোলের উপরে

শুধাইল মন্ত্র পড়ি— কহ সত্য করে

ধরামাঝে সব চেয়ে কে আজি রূপসী।

দর্পণে উঠিল ফুটে সেই মুখশশী।

কাঁপিয়া কহিল রানী, অগ্নিসম জ্বালা—

পরালেম তারে আমি বিষফুলমালা,

তবু মরিল না জ্বলে সতিনের মেয়ে,

ধরাতলে রূপসী সে সকলের চেয়ে!

তার পরদিনে— আবার রুধিল দ্বার

শয়নমন্দিরে। পরিল মুক্তার হার,

ভালে সিন্দূরের টিপ, নয়নে কাজল,

রক্তাম্বর পট্টবাস, সোনার আঁচল।

শুধাইল দর্পণেরে— কহ সত্য করি

ধরাতলে সব চেয়ে কে আজি সুন্দরী।

উজ্জ্বল কনকপটে ফুটিয়া উঠিল

সেই হাসিমাখা মুখ। হিংসায় লুটিল

রানী শয্যার উপরে। কহিল কাঁদিয়া—

বনে পাঠালেম তারে কঠিন বাঁধিয়া,

এখনো সে মরিল না সতিনের মেয়ে,

ধরাতলে রূপসী সে সবাকার চেয়ে!

তার পরদিনে— আবার সাজিল সুখে

নব অলংকারে; বিরচিল হাসিমুখে

কবরী নূতন ছাঁদে বাঁকাইয়া গ্রীবা,

পরিল যতন করি নবরৌদ্রবিভা

নব পীতবাস। দর্পণ সম্মুখে ধরে

শুধাইল মন্ত্র পড়ি— সত্য কহ মোরে

ধরামাঝে সব চেয়ে কে আজি রূপসী।

সেই হাসি সেই মুখ উঠিল বিকশি

মোহন মুকুরে। রানী কহিল জ্বলিয়া—

বিষফল খাওয়ালেম তাহারে ছলিয়া,

তবুও সে মরিল না সতিনের মেয়ে,

ধরাতলে রূপসী সে সকলের চেয়ে!

তার পরদিনে রানী কনক রতনে

খচিত করিল তনু অনেক যতনে।

দর্পণেরে শুধাইল বহু দর্পভরে—

সর্বশ্রেষ্ঠ রূপ কার বল্‌ সত্য করে।

দুইটি সুন্দর মুখ দেখা দিল হাসি—

রাজপুত্র রাজকন্যা দোঁহে পাশাপাশি

বিবাহের বেশে। অঙ্গে অঙ্গে শিরা যত

রানীরে দংশিল যেন বৃশ্চিকের মতো।

চীৎকারি কহিল রানী কর হানি বুকে

মরিতে দেখেছি তারে আপন সম্মুখে

কার প্রেমে বাঁচিল সে সতিনের মেয়ে,

ধরাতলে রূপসী সে সকলের চেয়ে!

ঘষিতে লাগিল রানী কনকমুকুর

বালু দিয়ে— প্রতিবিম্ব না হইল দূর।

মসী লেপি দিল তবু ছবি ঢাকিল না।

অগ্নি দিল তবুও তো গলিল না সোনা।

আছাড়ি ফেলিল ভূমে প্রাণপণ বলে,

ভাঙিল না সে মায়া-দর্পণ। ভূমিতলে

চকিতে পড়িল রানী, টুটি গেল প্রাণ—

সর্বাঙ্গে হীরকমণি অগ্নির সমান

লাগিল জ্বলিতে। ভূমে পড়ি তারি পাশে

কনকদর্পণে দুটি হাসিমুখ হাসে।

বিম্ববতী, মহিষীর সতিনের মেয়ে

ধরাতলে রূপসী সে সকলের চেয়ে।

Tag:ছোটদের ছড়া, কবর কবিতা, শেষের কবিতা, বাংলা ছড়া , কেউ কথা রাখেনি , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা 

Post a Comment

0Comments

প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

Post a Comment (0)