মেরাজ নামাজের নিয়ম | মেরাজের তাৎপর্য - Time Of BD - Education Blog

হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০২৩ ভিজিটর বন্ধুরা। দোয়া করি, এই বছরের প্রতিটি মুহুর্ত যেনো সকলের অনেক আনন্দে কাটে।

মেরাজ নামাজের নিয়ম | মেরাজের তাৎপর্য

 

শবে মেরাজ 2021 কত তারিখ, মেরাজের নামাজের নিয়ত , শবে মেরাজ কত তারিখ 2021, শবে ই মেরাজের নামাজের নিয়ম , শবে মেরাজের রোজার নিয়ম, শবে মেরাজ নামাজের নিয়ম, মেরাজের তাৎপর্য,



আসসালামু আলাইকুম । আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি । আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম শবে মেরাজ 2021 কত তারিখ, মেরাজের নামাজের নিয়ত , শবে মেরাজ কত তারিখ 2021, শবে ই মেরাজের নামাজের নিয়ম , শবে মেরাজের রোজার নিয়ম, শবে মেরাজ নামাজের নিয়ম, মেরাজের তাৎপর্য,



মেরাজের নামাজের নিয়ত

মেরাজের নামাজের নিয়ত হলো 
উচ্চারণ নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাক'আতাই সালাতিল লাইলাতুল মেরাজ মতা ওজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবর।এটি হলো মেরাজের নামাজের নিয়ত যদি আপনারা নিয়তটা না জেনে থাকেন তাহলে সেটা আপনাদের উপকারে আসতে পারে।


 শবে মেরাজ 2021 কত তারিখ শবে মেরাজ কত তারিখ 2021


পবিত্র শবে মেরাজ ১১ মার্চ

দেশের আকাশে শুক্রবার কোথাও পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই রবিবার থেকে পবিত্র রজব মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ১১ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাে. আলতাফ হােসেন চৌধুরী।

সভায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাে. মিজান-উল-আলম, ওয়াকফ প্রশাসক আবদুল্লাহ সাজ্জাদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ফারুক আহম্মেদ, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মাে. শাফায়াত মাহবুব চৌধুরী, বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ-পরিচালক মাে. আবদুর রহমান, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের পিএসও আবু মােহাম্মদ, মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মাে. আলমগীর রহমান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


 শবে ই মেরাজের নামাজের নিয়ম 

শবে মেরাজের 12 রাকাত নফল নামাজ আছে যা এশার নামাজের পরে পড়তে হয়। এই নফল নামাজ পড়লে সওয়াব আছে কিন্তু না পড়লে গোনাহ নাই। শবে মেরাজের নামাজ দুই দুই রাকাত করে পড়তে হয় এবং প্রতি চার রাকাত নামাজের পরে মোনাজাত করতে হয় এবং দুই রাকাত নামাজে প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহা এবং সূরা ইখলাস পরের রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে অন্য যেকোনো সূরা মিলিয়ে পড়তে হয় এবং শেষ বৈঠকের দোয়া কুনুত দোয়া মাসুরা আত্তাহিয়াতু পড়তে হয় এবং সব শেষে মোনাজাত করতে হয় চার রাকাতের পড়ে এভাবেই 12 রাকাত নামাজ পড়তে হয় ।


শবে মেরাজের রোজার নিয়ম


রোজা রাখার জন্য সেহেরী খেতে হয় এবং রবিবার রোজার নিয়ত শনিবার দিবাগত রাত্রে তথা সূর্যাস্তের পর থেকে করা যায় এবং রোজা রাখার জন্য নিয়ত টা অবশ্যই প্রয়োজন ,এভাবে নিয়ত করতে হয়।

মাসয়ালা রমজান মাসে সেহরি খাওয়াটাও রােজার নিয়ত বলে গণ্য হবে। তবে সেহরি খাওয়ার সময় রােজা রাখার ইচ্ছা না থাকলে তা নিয়ত বলে গণ্য হবে না। -কিতাবুল ফিকাহ: ১/৮৮১

মাসয়ালা : নিয়তের সময় শুরু হয় পূর্বের দিনের সূর্যাস্তের পর থেকে। যেমন রােববারে রােজার নিয়ত শনিবার দিবাগত রাত তথা সূর্যাস্তের পর থেকে করা যায়। শনিবার সূর্যাস্তের পূর্বে রােববারের রােজার নিয়ত করা যথেষ্ট নয়। কেননা, হাদিস শরিফে রাতে নিয়ত করার কথা বলা হয়েছে। হাদিসে আছে, হজরত হাফসা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তার রােজা নেই, যে রাতে নিয়ত করেনি। মুসনাদে আহমাদ ও সুনানে আবু দাউদ

 শবে মেরাজ নামাজের নিয়ম 


শবে মেরাজের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় তা হল ১ সালাম সহকারে ২ রাকাতের অধিক পড়লে

তখন, ১ম, ৩য়, ৫ম, ৭ম, ৯ম,১১তম.... ইত্যাদি রাকাতে সানা, তা'আউয ও তাসমিয়া পড়া।

এবং,

২য়, ৪র্থ, ৬ষ্ঠ, ৮ম,১০তম,....... ইত্যাদি রাকাতে আত্তাহিয়্যাত, দূরুদ শরীফ ও দোয়া পড়া।

*শুধুমাত্র সর্বশেষ বৈঠকে

আত্তাহিয়্যাত, দূরুদ শরীফ ও দোয়া পড়ে *সালাম

ফিরানাে।*

*তবে এরূপ না করলেও নামায হয়ে যাবে।*

অর্থাৎ, আজকের *(শবে মে'রাজের)* নামাজের বর্ণিত নিয়ম অনুসারে,

১২ রাকাত ১ সালামের সাথে পড়বেন এবং ২য়, ৪র্থ, ৬ষ্ঠ,৮ম, ১০ম রাকাত পর্যন্ত আত্তাহিয়্যাত পড়ে উঠে যাবেন। এরপর ১২তম রাকাতে আত্তাহিয়্যাত, দূরুদ শরীফ ও দোয়া পড়ে সালাম ফিরাবেন।

মেরাজের তাৎপর্য

আমাদের নবী যখন মেরাজের ঘটনা বর্ণনা করেন, তখন তা সব কুরাইশদের মুখে মুখে ফিরতে লাগল। বড় বড় কুরাইশ নেতারা তাকে অপদস্থ করার জন্য একত্রিত হতে লাগল। তারা এতটা উৎসাহিত ছিল যে, বাইতুল মুকাদ্দাস যেতে মক্কা থেকে এক মাস সময় লাগে, যা কিনা মহানবী (সা.) এক রাতে ভ্রমণ করে আবার ফিরে এসেছেন। তারা মহানবীকে (সা.) তার পক্ষে প্রমাণ দিতে বলেন।

তআমাদের নবী যখন মেরাজের ঘটনা বর্ণনা করেন, তখন তা সব কুরাইশদের মুখে মুখে ফিরতে লাগল। বড় বড় কুরাইশ নেতারা তাকে অপদস্থ করার জন্য একত্রিত হতে লাগল। তারা এতটা উৎসাহিত ছিল যে, বাইতুল মুকাদ্দাস যেতে মক্কা থেকে এক মাস সময় লাগে, যা কিনা মহানবী (সা.) এক রাতে ভ্রমণ করে আবার ফিরে এসেছেন। তারা মহানবীকে (সা.) তার পক্ষে প্রমাণ দিতে বলেন।

তখন মহানবী বাইতুল মুকাদ্দাসের বিস্তারিত বিবরণ দান করেন যা কি না একবারের যাত্রায় মনে রাখা কারাে পক্ষে সম্ভব নয়। তার ওপর মহানবী (সা.) এর আগে কখনাে যাননি। এ ছাড়াও তিনি একটি কাফেলার কথা বলেন, যারা কিছুদিন পরই মক্কায় এসে পৌঁছায়। তিনি তাদের হারানাে উট খুঁজে পেতে সাহায্য করেন। তার সব প্রমাণ শুনে কুরাইশরা নিস্তব্ধ হয়ে গেল। বিশেষ করে যখন ওই কাফেলা মক্কায় এসে তার সত্যতা নিশ্চিত করল।

তার এই ঘটনা যখন প্রথমে কেউই বিশ্বাস করছিলেন না, তখন হযরত আবু বকর (রা.) বিশ্বাস করেছিলেন। তিনি শুধু জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, এটা কি মহানবী (সা.) নিজ মুখে বলেছেন কি না। তার এই বিশ্বাসের ফলে মহানবী (সা.) তাকে সিদ্দিক (বিশ্বাসী) উপাধি দান করেন।

তাৎপর্য

ইসলামের পাঁচটি মূল ভিত্তির একটি নামাজ বা সালাত। কালেমার পরই এর অবস্থান। 

Tag: শবে মেরাজ 2021 কত তারিখ, মেরাজের নামাজের নিয়ত , শবে মেরাজ কত তারিখ 2021, শবে ই মেরাজের নামাজের নিয়ম , শবে মেরাজের রোজার নিয়ম, শবে মেরাজ নামাজের নিয়ম, মেরাজের তাৎপর্য,

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url