শামে কারবালা | কারবালা ছবি

Sadia
0

 

শামে কারবালা, কারবালা ছবি, কারবালার ময়দান কোথায় অবস্থিত , কারবালা কবিতা, আশুরা ও কারবালা,

আসসালামু আলাইকুম, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন । আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে । আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম,শামে কারবালা, কারবালা ছবি, কারবালার ময়দান কোথায় অবস্থিত , কারবালা কবিতা, আশুরা ও কারবালা,


শামে কারবালা

হযরত যুহরী (রাদিআল্লাহ আনহু) বলেনঃ- আমি 

জানতে পারলাম,আন্নাহু ইয়াওমা কুতিলাল হুসাইনু লাম ইউকলাব

হাজরুম মিন আহজা-রি বাইতিল মুকাদ্দাসি ইল্লা

উজিদা তাহতাহু দামুন আবীত্ব।

অর্থঃ- যে দিন হযরত হুসাইন (আঃ) কে

শহীদ করা হয়েছিল সেদিন বাইতুল 

মুকাদ্দাসের যে পাথর টি সরানো হচ্ছিল,

তার নিচেই তাজা রক্ত পাওয়া যাচ্ছিল,

(বায়হাকী, আমু নুয়াইম,সিররুশ শাহাদাতাইনঃ ৩২,

তাহযীবুত তাহযীবঃ ৩৫৪,সাওয়াকে মুহরিকা ১৯২.)

 কারবালা ছবি 






কারবালার ময়দান কোথায় অবস্থিত

কারবালা কোথায় অবস্থিত?

কারবালা একটি শহর যা ইরাকের মধ্য-দক্ষিণে অবস্থিত এবং বাগদাদ হতে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণাংশে অবস্থান। পবিত্র শহরের মধ্যে এটি অন্যতম কারণ কারাবালা ময়দান যেখানে এখানে নবী কারীম (সাঃ) অতি আদরের দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রাঃ) শহীদ হোন এবং তাঁর কবরস্থান অবস্থিত।

 কারবালা কবিতা

মুহরম কবি.. 

শেখ নজরুল ইসলাম (সূর্য)

কারবালা কারবালা হৃদয়ে কারবালা

নীলাকাশ রঞ্জিত হয়

কারবালার প্রান্তরে শােকের মাতম উছলে ওঠে

হাহাকার শােকের মাতম শহীদি খুনে লালিমা ছড়ায় অন্তরে অন্তরে গােধূলি রবির মতন

দজলা ফোরাত লালে লাল হয় আসগরের তাজা খুনে এজিদ সেনা শিশুর বুকে বুলেট হানে শতগুনে

হায় হােসেন হায় হােসেনা আরশ ছেদিয়া যায় কাঁদিয়া ফেরে পাখপাখালি হায়েনা পশুর মন

দিনের সুরজ লুকিয়ে কাঁদে আঁধার ঘনায় এসে দ্যুলােক ভূলােক কাঁপিয়া ওঠে শোকের সাগরে ভেসে পাষাণ হৃদয়ে সীমারের বুক কাঁপেনি একটুও ফাতেমা দুলাল হােসেনের শির

আহা করিতে ছেদন।

 আশুরা ও কারবালা উত্তম

 সারা বিশ্বে মুসলমানদের কাছে আশুরার দিনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময়।ইসলামিক পঞ্জিকা অনুযায়ী, মহররম হচ্ছে চন্দ্রবর্ষের প্রথম মাস। মহররম অর্থ অধিক সম্মানিত। মহররম মাসের দশম দিনকে আশুরা বলা হয়। আশুরার দিনে বিশ্বে সংঘটিত অলৌকিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ঘটনার কারণে মুসলমানদের কাছে ১০ মহররম বিশেষভাবে মহিমান্বিত। ইসলাম ধর্মমতে, আশুরার দিনে আসমান ও জমিন সৃষ্টি করা হয়েছিল। আশুরার দিন আল্লাহ পৃথিবীর প্রথম মানব হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন। এই দিনে আল্লাহ নবীদের নিজ নিজ শত্রুর হাত থেকে আশ্রয় প্রদান করেছেন। এই দিন হজরত নুহ (আ.)-এর প্লাবন শেষ হয় এবং নুহ (আ.)-এর জাহাজ তুরস্কের ‘জুদি’ নামক পর্বতে গিয়ে থামে।আশুরার দিন হজরত ইব্রাহিম (আ.) জালিম বাদশাহ নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে নিরাপদে মুক্তি পেয়েছিলেন। এই দিন হজরত ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। আশুরার দিনে হজরত আইয়ুব (আ.) দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।আশুরার দিন হজরত সুলাইমান (আ.) তাঁর হারানো রাজত্ব ফিরে পান। এই দিনে হজরত ইয়াকুব (আ.) হারানো ছেলে হজরত ইউসুফ (আ.)-কে ৪০ বছর পর ফিরে পেয়েছিলেন। এই দিনে হজরত ঈসা (আ.) জন্মগ্রহণ করেন এবং এই দিনেই তাঁকে দুনিয়া থেকে আকাশে উঠিয়ে নেওয়া হয়।সর্বশেষ ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে ওই দিনে ঐতিহাসিক কারবালা প্রান্তরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) সপরিবারে শাহাদাতবরণ করেন।

ইহুদিরা আশুরা উপলক্ষে মহররম মাসের ১০ তারিখে রোজা রাখে।আশুরা উপলক্ষে ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ মহররম তারিখে রোজা রাখা মুসলমানদের জন্য সুন্নত। এ ছাড়া মুসলমানরা আশুরার দিন উত্তম আহারের জন্য চেষ্টা করে থাকেন।

নফল রোজার মধ্যে আশুরার দিনে রোজা রাখা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ। সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী করিম (সা.) সাহাবিদের নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা ইহুদিদের থেকে ব্যতিক্রম করো, আশুরার একদিন আগে বা একদিন পরেও রোজা রাখো’, অর্থাৎ ১০ মহররমের সঙ্গে ৯ বা ১১ মহররম মিলিয়ে অন্তত দুটি রোজা রাখতে বলেছেন, যাতে ইহুদিদের সঙ্গে সাদৃশ্য না হয়।আশুরার দিন রোজা রাখা সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আশুরার দিনের রোজার ব্যাপারে আল্লাহ পাকের কাছে আমি আশাবাদী যে তিনি এক বছর আগের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ [মুসনাদে ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ.)]


Tag:শামে কারবালা, কারবালা ছবি, কারবালার ময়দান কোথায় অবস্থিত , কারবালা কবিতা, আশুরা ও কারবালা



Post a Comment

0Comments

প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

Post a Comment (0)