আল কুরআনের হযরত আলীর শেখ সাদির গুনীজনদের ইসলামিক বাণী
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। টাইম অফ বিডির পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা এবং স্বাগতম।আপনারা অনেকেই ইসলামিক বাণী বিভিন্ন পোস্টে খোঁজাখুঁজি করছেন আপনাদের সুবিধার্থে আমরা ইসলামের বাণী নিয়ে এই পোস্টটি তৈরি করেছি। আশা করি এটি আপনদের অনেক উপকারে আসবে।যে বাণীগুলো নিয়ে আমাদের এই আজকের ইসলামিক পোস্ট টি তৈরি করা হয়েছে সেগুলো হলো কুরআনের বাণী, আল কুরআনের বাণী, হযরত আলীর বাণী, শেখ সাদীর বাণী, গুনীজনদের বাণী
কুরআনের বাণী | আল কুআনের বাণী
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনারা অনেকে কুরআনের বাণী সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন কুরআনে পাড়া আছে 30 টি। যার মধ্যে কিছু বাণী নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি আশা করি এই বাণী গুলো আপনাদের উপকারে আসবে।
যারা জ্বিন এবং মানুষ — আন-নাস
তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার ক্ষতি থেকে — আল-ফালাক্ব
ধন-সম্পদ, সন্তান কোনো কিছুই তার কাজে আসবে না — আল-মাসাদ
তুমি দেখবে মানুষ দলে দলে আল্লাহর দীনে প্রবেশ করছে — আন-নসর
তোমাদের ধর্ম তোমাদেরই থাকুক, আমার ধর্ম আমার — আল-কাফিরুন
তাই তুমি তোমার প্রভুর প্রতি সালাত পড়ো, আর বড় কুরবানি করো —আল-কাউছার
তাই, নামাজিরা শেষ হয়ে যাক —আল-মাউন
যিনি তাদেরকে ক্ষুধার সময় খাবার দিয়েছেন, ভয়ের সময় নিরাপত্তা দিয়েছেন —আল-কুরাইশ
তুমি কি দেখোনি তোমার প্রভু হাতিওয়ালাদের কী অবস্থা করেছিলেন? —আল-ফীল
যারা পেছনে কথা লাগায়, সামনাসামনি অপমান করে —এরা সব শেষ হয়ে যাক —আল-হুমাযাহ
একে অন্যকে সত্যের প্রতি তাগাদা দেয় এবং ধৈর্য-নিষ্ঠ হতে তাগাদা দেয়—আল-আসর
বেশি-বেশি পাওয়ার প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে ভুলিয়ে দিয়েছে—আত-তাকাছুর
কে তোমাকে ধারনা দেবে সেই ভীষণ আঘাত সম্পর্কে?—আল-ক্বারিআহ
মানুষ তার রবের অনুগ্রহ স্বীকার করে না —আল-আদিয়াত
মানুষ হতভম্ব হয়ে বলবে, “কী হচ্ছে এর!” —আয-যালযালাহ
যারা বিশ্বাস করেছে এবং ভালো কাজ করেছে, তারাই হচ্ছে সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠ —আল-বাইয়িনাহ
আমি একে নাজিল করেছি এক মহান রাতে — আল-ক্বদর
পড়ো তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন —আল-আলাক্ব — পর্ব ১
তিনি মানবজাতিকে শিখিয়েছেন, যা তারা জানত না — আল-আলাক্ব — পর্ব ২
নিঃসন্দেহে আমি মানুষকে সবচেয়ে সুন্দর খাঁড়া গঠনে সৃষ্টি করেছি —আত-ত্বীন পর্ব ১
এরপরও কীভাবে তুমি বিচার দিনকে অস্বীকার করতে পারো? — আত-তীন পর্ব ২
অবশ্যই কষ্টের সাথেই রয়েছে স্বস্তি —আল-ইনশিরাহ
তোমার রব তোমার উপর যা অনুগ্রহ করেছেন, তা অন্যকে জানাতে থাকো। —আদ-দুহা
তার সম্পদ তার পতনকে ঠেকাতে পারবে না —আল-লাইল
তারপর তাকে তার অবাধ্যতা এবং বাধ্যতার বোধ দেওয়া হয়েছে — আশ-শামস
আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি কঠিন পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার জন্য — আল-বালাদ পর্ব ১
আমি কি তাকে ভালো-মন্দের পরিষ্কার দুটো পথ দেখিয়ে দেইনি? —আল-বালাদ পর্ব ২
এই শপথ কি বিচার-বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের জন্য যথেষ্ট নয়?
যেদিন তোমার রব আসবেন সারি সারি ফেরেশতাদের নিয়ে —আল-ফাজর ১৫-৩০
সেদিন কিছু মানুষের চেহারা হবে খুশীতে উজ্জ্বল — আল-গাশিয়াহ পর্ব ১
তারা উটের দিকে তাকিয়ে দেখে না যে, কীভাবে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে? — আল-গাশিয়াহ পর্ব ২
যিনি সৃষ্টি করে তাকে সুসামঞ্জস্যপূর্ণ করেছেন — আল-আ়লা ১-৫ পর্ব ১
যিনি পরিমাপ নির্ধারণ করে দিয়ে পথ দেখিয়েছেন —আল-আ়লা ১-৫ পর্ব ২
তুমি উপদেশ দিতে থাকো, এতে লাভ হোক আর না হোক — আল-আ়লা ৬-১৯ পর্ব ৩
তুমি কি জানো সেটা কী? এক বিদীর্ণকারী নক্ষত্র —আত-তারিক
ওরা বসে বসে দেখছিল বিশ্বাসীদের সাথে কী করা হচ্ছিল —আল-বুরুজ
মানুষেরা শোনো, তুমি প্রতিপালকের কাছে পৌঁছা পর্যন্ত খাটতেই থাকবে —আল-ইনশিক্বাক
যারা নেওয়ার সময় ঠিকই কানাকড়ি বুঝে নেয় — আল-মুতাফফিফিন
ও মানুষ, কীসে তোমাকে তোমার দয়াময় প্রতিপালকের কাছ থেকে দূরে নিয়ে গেলো? —আল-ইনফিত্বার
যখন জীবন্ত পুতে ফেলা শিশু কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে… —আত-তাকউইর
সে ভ্রু কুচকালো এবং মুখ ফিরিয়ে নিলো —সূরা আবাসা
আমরা কি আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবো? – আন-নাযিয়াত পর্ব ১
কোনটা সৃষ্টি করা বেশি কঠিন: তোমরা, নাকি যে আকাশ তিনি বানিয়েছেন, সেটা? — আন-নাযিয়াত পর্ব ২
কী ব্যাপারে তারা একে অন্যকে জিজ্ঞেস করছে? — আন-নাবা পর্ব ১
আমি কি তোমাদেরকে জোড়ায়-জোড়ায় সৃষ্টি করিনি? — আন-নাবা
আমি কি তোমাদের ঘুমকে একধরনের বিরতি করে দিইনি? —আন-নাবা ৯
আমি কি তোমাদের উপরে সাতটি সুদৃঢ় সৃষ্টি করিনি —আন-নাবা ১২-১৭
আমি কি আকাশ থেকে অঢেল পানি বর্ষণ করিনি — আন-নাবা ১৪-১৬
হযরত আলীর বাণী
শেখ সাদীর বাণী
শেখ সাদীর মহামূল্যবান ১৫টি উপদেশ ll
========================
প্রকৃত নাম শরফুদ্দীন। ডাক নাম মসলেহউদ্দীন। আর উপাধি বা খেতাব হচ্ছে সাদী, আসল নাম নয়। তিনি বিশ্বের মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে আছেন উপধি ‘সাদী’ নিয়ে। মানে শেখ সাদী নামে। জানা যায় কবির বাবা তৎকালীন শিরাজের বাদশাহ আতাবক সাদ বেন জঙ্গীর সেক্রেটারি ছিলেন।
কবি নিজে তুকলাবীন সাদ জঙ্গীর রাজত্বকালে কবিতা লিখতেন, এ কারণেই তিনি নিজের নামের সঙ্গে সাদী উপাধি যোগ করেন এবং পরবর্তীকালে শেখ সাদী নামেই পরিচিত হয়ে হন।
শেখ সাদীর জন্মসালের ব্যাপারে যথেষ্ট মতভেদ আছে। তবুও মোটামুটি বলা যায় তিনি ৫৮০ হিজরী মোতাবেক ১১৮৪ খৃস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যু তারিখ সবার মতে ৬৯১ হিজরী মোতাবেক ১২৯২ খৃস্টাব্দ।
বাবার সাহচর্যেই শেখ সাদী শিশুকাল অতিক্রম করেন। তার দেখাদেখি সাদীও নামায, রোযা ও রাত্রিকালীন ইবাদতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন। বাবার উৎসাহে কুরআন অধ্যয়নে তিনি যথেষ্ট সময় ব্যয় করেন। বলা যায় দরবেশ পিতার আদর্শেই আদর্শবান হয়ে গড়ে ওঠেন শেখ সাদী। তার কিছু উপদেশ বাণী যুগে যুগে প্রচলিত। তার মধ্যে ১৫টি উপদেশ পাঠকদের জন্য রইল।
১. অজ্ঞের পক্ষে নীরবতাই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম পন্থা। এটা যদি সবাই জানত তাহলে কেউ অজ্ঞ হত না।
২. অকৃতজ্ঞ মানুষের চেয়ে কৃতজ্ঞ কুকুর শ্রেয়।
৩. আমি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশী ভয় পাই, তার পরেই ভয় পাই সেই মানুষকে যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না।
৪. কিছু মানুষ এমনভাবে জীবনযাপন করে যেন কখনো মরতে হবে না, আবার এমনভাবে মরে যায় যেন কখনো বেঁচেই ছিল না।
৫. হিংস্র বাঘকে দয়া করা নিরীহ হরিণের ওপর জুলুম করার নামান্তর।
৬. যে সৎ, নিন্দা তার কোন অনিষ্ট করতে পারে না।
৭. প্রতাপশালী লোককে সবাই ভয় পায় কিন্তু শ্রদ্ধা করে না।
৮. দেয়ালের সম্মুখে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় সতর্ক হয়ে কথা বলো, কারণ তুমি জান না, দেয়ালের পেছনে কে কান পেতে দাঁড়িয়ে আছে।
৯. মুখের কথা হচ্ছে থুথুর মত, যা একবার মুখ থেকে ফেলে দিলে আর ভিতরে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই কথা বলার সময় খুব চিন্তা করে বলা উচিত।
১০. মন্দ লোকের সঙ্গে যার ওঠা বসা, সে কখনো কল্যাণের মুখ দেখবে না।
১১. দুই শত্রুর মধ্যে এমনভাবে কথাবার্তা বল, তারা পরস্পরে মিলে গেলেও যেন তোমাকে লজ্জিত হতে না হয়।
১২. বাঘ না খেয়ে মরলেও কুকুরের মতো উচ্ছিষ্ট মুখে তোলে না।
১৩. ইহ-পরকালে যাহা আবশ্যক তাহা যৌবনে সংগ্রহ করিও।
১৪. কোনো কাজেই প্রমাণ ছাড়া বিশ্বাস করিও না।
১৫. তিন জনের নিকট কখনো গোপন কথা বলিও না- স্ত্রী লোক, জ্ঞানহীন মূর্খ ও শত্রু।
গুনীজনদের বাণী
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনারা হয়তো বিভিন্ন গুণী মানুষের বাণী খুঁজছেন আর তাই আপনাদের সুবিধার্তে আমরা গুণীজন অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর কিছু বাণী নিয়ে এই পোস্টটি তৈরি করেছি। হযরত মোহাম্মদ সালাহ সালামের বাণীকে হাদীস বলা হয়।হাদীসের কিছু বানী দেয়া হল আশা করি এগুলো আপনাদের জীবনে অনেক উপকারে আসবে।
রােজা মানুষকে আখেরাত মুখী করে
আল হাদিস
রমজান সামাজিক সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ব বোধ
সৃষ্টি করে
--- আল হাদিস
রমজান আল্লাহর ইবাদতের এক ট্রেনিং স্বরুপ”
আল হাদিস
"ঈমান না এনে তােমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা
-- আল হাদিস
সালাত জান্নাতের চাবি।
আল হাদিস
তােমরা তােমাদের কথা গােপনে ব প্রকাশ্যে বল, তিনিতাে (আল্লাহ) অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কে সম্যক অবগত
ধনের যদি সদ্ব্যবহার করা হয়, তবে ইহা সুখের কারণ এবং সদুপায়ে ধনবৃদ্ধি করিতে সকলেই
বৈধভাবে চেষ্টা করিতে পারে
Tag: কুরআনের বাণী, আল কুরআনের বাণী, হযরত আলীর বাণী, শেখ সাদীর বাণী, গুনীজনদের বাণী