প্রেম ভালোবাসার রোমান্টিক কবিতা | বাংলা জন্মদিনের কবিতা | বিদ্রোহী কবিতা
কবিতা
প্রেমের কবিতা | ভালোবাসার কবিতা
কবিতঃ ইচ্ছেকরে তোমায় ভালোবাসি
কলমেঃ মাহিম মৌ
প্রথম তোমার সাথে যখন কথা হলো
মনে হলো এই বুঝি নব বসন্ত এলো।।
তুমি সুন্দর মনের অধিকারী বলে
তোমাকেই ভালোবেসেছি প্রিয়-
ক্ষতিনেই যতখুশী অবহেলা দিও
তবু পাশে থেকো, তবু মনেরেখো
তোমায় নিয়ে লিখেছিনু শুভ্র প্রেমের কবিতা।।
তুমি আমার প্রেমের বীনায় তরঙ্গীত হও যদি,
চির বহমান রবে প্রেমের ধারা,
যেন কলকল রবে নদী।।
তোমাকে দেখে মনেহলো --
আমি দিনেই দেখেছি নব কিরণ মাখা
রূপোলী জোছনার মুখ,
যেন হাজারো বিস্ময় লুকিয়ে আছে
তোমার হরিনী চোঁখের তারায়।
অতঃপর আমি হাড়িয়েগেলাম স্বর্গের ভুবনে-
সুখে যেন ভরেগেলো বুক।।
মনেহলো প্রান্তের গোধুলী লগনে
তুমি একা দাঁড়িয়ে,
যেথা মিশেআছে দিগন্তের নীলাকাশ।
কেন যেন মন পেতেচায় তোমার আদুল গায়ের
নগ্ন ছোয়ার কোমল বাতাস।।
মিশেযাবো নীলাকাশের অসীম শুণ্যে
তুমি যদি সাথে থাকো,
তুমি ভালোবেসে যদি বলো --
চলো নদী হয়ে যাই
যেতে আমি রাজি আছি প্রিয়;
মৃদু ঢেউয়ের তালেতালে কলকল রবে
দক্ষিনা বায়ের সাথে আমার শুভেচ্ছা নিও প্রিয়।।
যদি ভালোবেসে মৃদু হাসে তোমার ঐ
সোনা মুখখানি,
আমি আকাশের গায়ে লিখেদেবো
তোমার আমার মিলনের বানী।
উদিত করবো হাজারো তারকা
মেঘের আঁচল টানি।।
নামিয়ে আনবো গগনের শশী
আর ঝলমলে যত তারা;
তুলেদেবো সব তোমার কোলেতে
ওরা সারা নিশি উজ্জল কিরণে
তোমায় দিবে যে পাহাড়া।।
তুমি যদি পাশে থাকো-
তোমায় নিয়ে যাবো নীল পরিদের দেশে,
তোমায় নিয়ে অচেনা সমুদ্র পাড়িদেবো
ভেসে বেড়াবো উত্তাল তরঙ্গিত ঢেউয়ে ঢেউয়ে
ছোট্ট ডিঙিনায়ে ভেসে।।
তোমার সাথে জোছনা রজনী কাটাবো
যমুনা নদীর ঘাটে,
সারা নিশি শশীর কিরণ রবে জ্বলি
হাজারো তারকা ভরা রাতে।।
তুমি ফুলবনে গেলে
আমি প্রজাপতি হবো
তুমি হলে শিমুল পলাশ
আমি লুকিয়ে কানেকানে কথা কবো।।
জগৎজুড়ে লামিয়া তুমি সুন্দরের উপমা,
তুমি আমার হৃদয়ে স্বপ্নের এক নীলিমা।
তোমার নামে লিখেদেব আমি
এক সমুদ্র কালি দিয়ে
শত সহস্র প্রেমের কবিতা।।
বাংলা কবিতা
মনে থাকবে?
– আরণ্যক বসু
পরের জন্মে বয়স যখন ষোলোই সঠিক
আমরা তখন প্রেমে পড়বো
মনে থাকবে?
বুকের মধ্যে মস্তো বড় ছাদ থাকবে
শীতলপাটি বিছিয়ে দেব;
সন্ধ্যে হলে বসবো দু’জন।
একটা দুটো খসবে তারা
হঠাৎ তোমার চোখের পাতায় তারার চোখের জল গড়াবে,
কান্ত কবির গান গাইবে
তখন আমি চুপটি ক’রে দুচোখ ভ’রে থাকবো চেয়ে…
মনে থাকবে?
এই জন্মের দূরত্বটা পরের জন্মে চুকিয়ে দেব
এই জন্মের চুলের গন্ধ পরের জন্মে থাকে যেন
এই জন্মের মাতাল চাওয়া পরের জন্মে থাকে যেন
মনে থাকবে?
আমি হবো উড়নচন্ডি
এবং খানিক উস্কোখুস্কো
এই জন্মের পারিপাট্য সবার আগে ঘুচিয়ে দেব
তুমি কাঁদলে গভীর সুখে
এক নিমেষে সবটুকু জল শুষে নেব
মনে থাকবে?
পরের জন্মে কবি হবো
তোমায় নিয়ে হাজারখানেক গান বাঁধবো।
তোমার অমন ওষ্ঠ নিয়ে
নাকছাবি আর নূপুর নিয়ে
গান বানিয়ে__
মেলায় মেলায় বাউল হয়ে ঘুরে বেড়াবো…
মনে থাকবে?
আর যা কিছু হই বা না হই
পরের জন্মে তিতাস হবো
দোল মঞ্চের আবীর হবো
শিউলিতলার দুর্বো হবো
শরৎকালের আকাশ দেখার__
অনন্তনীল সকাল হবো;
এসব কিছু হই বা না হই
তোমার প্রথম পুরুষ হবো
মনে থাকবে?
পরের জন্মে তুমিও হবে
নীল পাহাড়ের পাগলা-ঝোরা
গাঁয়ের পোষাক ছুড়ে ফেলে
তৃপ্ত আমার অবগাহন।
সারা শরীর ভ’রে তোমার হীরকচূর্ণ ভালোবাসা।
তোমার জলধারা আমার অহংকারকে ছিনিয়ে নিল।
আমার অনেক কথা ছিল
এ জন্মে তা যায়না বলা
বুকে অনেক শব্দ ছিল__
সাজিয়ে গুছিয়ে তবুও ঠিক
কাব্য করে বলা গেল না!
এ জন্ম তো কেটেই গেল অসম্ভবের অসঙ্গতে
পরের জন্মে মানুষ হবো
তোমার ভালোবাসা পেলে
মানুষ হবোই__ মিলিয়ে নিও!
পরের জন্মে তোমায় নিয়ে…
বলতে ভীষণ লজ্জা করছে
ভীষণ ভীষণ লজ্জা করছে
পরের জন্মে তোমায় নিয়ে…
মনে থাকবে?
বিদ্রোহী কবিতা
এক অন্যরকম আমি
মাহমুদা সুলতানা ইফ্তি
আমি আজ গান শুনাতে চাই,
এক অন্যরকম আমাকে।
আজ বিদ্রোহী কবির বিদ্রোহী কবিতা শুনাতে চাই,
এক অন্যরকম আমাকে।
আজ আমি প্রজাতির পাখা থেকে রং মাখাতে চাই,
এক অন্যরকম আমাকে।
আজ সবুজ ঘাসের নরম বিছানায় ঘুম পাড়াতে চাই,
এক অন্যরকম আমাকে।
আজ নিরব গোধূলির পর সূর্যাস্ত দেখাতে চাই,
এক অন্যরকম আমাকে।
আজ খড়ের গাদার উপর শুয়ে রাতের তারা গুনাতে চাই,
এক অন্যরকম আমাকে।
আজ আমি জোছনার আলোয় স্নান করাতে চাই,
এক অন্যরকম আমাকে।
আজ আমি কুয়াশার আড়াল থেকে বের করে আনতে চাই,
এক অন্যরকম আমাকে।
আজ সমস্ত দুয়ার খুলে মুক্তি দিতে চাই,
এক অন্যরকম আমাকে।
আজ দিনের আলোয় পদ্ম পাতায় কবিতা লিখবে,
আমার এক অন্যরকম আমি।
জন্মদিনের কবিতা
ঐ শিশুটাই
(জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা)
বিপ্লব সাহা
একটা শিশু জন্ম নিলো
শেকল পড়ে
খাঁচার ভেতর
পেলো
জীবন নামের উপহার
অনায়াস-প্রাপ্ত উত্তরাধিকার।
খাপছাড়া সেই অলংকার
বাঁধবে তারে?
এমন জীবন হবে না তার
শুরু থেকেই শুরু হলো
হার না মানা এক যুদ্ধ এবার
শেকল ছেঁড়ার।
ঐ শিশুটা তরুণ যখন
চারিদিক টালমাটাল ভীষণ
ভুল হিসাবে ভাঙ্গছে স্বদেশ
মনে লেগেছে তারই রেশ
যখন বলছে সবাই
আহা বেশ বেশ বেশ।
স্বপ্ন ভাঙ্গলো রাতারাতি
বুঝলো তারা দুই জাতি
সদ্য যুবক ভাবলো এবার
উর্দূকে সে মানবে না আর
চাই
মায়ের ভাষার স্বীকৃতি ও অধিকার
চললো লড়াই সমানে সমান
প্রাণের টানে দিল প্রাণ।
চললো লড়াই
স্বাধীনতার
তখনও
সবার আগে ঐ শিশুটাই।
রোমান্টিক কবিতা
চিরন্তন।( ভালোবাসার কথা)
( মিতালী র রোমান্টিক কবিতা গুচ্ছ
তুমি আমার ভালোবাসার নীল স্বপ্নের গবাক্ষ!
সেথা করো প্রবেশ নাস্তি!
সারাজীবন স্বেচ্ছা তে
এই মিষ্টি, মধুর ,ভালোবাসার শাস্তি।
উথাল , পাথাল সমুদ্রে,
দিশাহারা একলা নাবিক,
মেঘ রঙা শাড়ী জড়িয়ে,
একা তরী , বায়!
কোথায় ! কোথায়!
শেষ কোথায়!
তারা গুলো মিটি মিটি হাসে,
অন্ধকারের মেঘ ,গভীর হয়।
কঠিন পথ,ভারী কষ্ট,
সামলে ওঠা ব্যথার ঢেউ,
কেবলি আ ছ রে পরে,
বুকের গভীরে,
হৃদয়ের অলিন্দে।
যন্ত্রণা চিৎকার করে,
ওগো ,আর না ,তবু
এ বিরহ যে চিরন্তন।
Tag:কবিতা , প্রেমের কবিতা , ভালোবাসার কবিতা, বাংলা কবিতা , বিদ্রোহী কবিতা, জন্মদিনের কবিতা, রোমান্টিক কবিতা