কারবালা | কারবালার ইতিহাস

Sadia
0


কারবালা, কারবালার ইতিহাস , শহীদ কারবালা, কারবালার যুদ্ধ, কারবালার সঠিক ইতিহাস, কারবালার করুন কাহিনী বাংলা,

আসসালামু আলাইকুম, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন । আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে । আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম,কারবালা, কারবালার ইতিহাস , শহীদ কারবালা, কারবালার যুদ্ধ, কারবালার সঠিক ইতিহাস, কারবালার করুন কাহিনী বাংলা,

 কারবালা

শেরে খোদা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুর দ্বিতীয় পুত্র খাতুনে জান্নাত মা-ফাতিমার কলিজার টুকরা রাহমাতুল্লিল আলামীন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদরের নাতি বেহেশতী যুবকদের সরদার বাতিলের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর শহীদে কারবালা ইমাম হুসাইন (রাদ্বি.) চতুর্থ হিজরীর শাবান মাসের ৫ তারিখ পবিত্র মদীনা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ইরাকের ফোরাত নদীর তীরে মরু অঞ্চলে অবস্থিত ঐতিহাসিক স্থানের নাম কারবালা নামক স্থানে শহীদ হন। কারবালা কুফা থেকে দু-মঞ্জিল দূরে অবস্থিত।


 কারবালার ইতিহাস 

শেরে খোদা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুর দ্বিতীয় পুত্র খাতুনে জান্নাত মা-ফাতিমার কলিজার টুকরা রাহমাতুল্লিল আলামীন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদরের নাতি বেহেশতী যুবকদের সরদার বাতিলের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর শহীদে কারবালা ইমাম হুসাইন (রাদ্বি.) চতুর্থ হিজরীর শাবান মাসের ৫ তারিখ পবিত্র মদীনা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ইরাকের ফোরাত নদীর তীরে মরু অঞ্চলে অবস্থিত ঐতিহাসিক স্থানের নাম কারবালা নামক স্থানে শহীদ হন। কারবালা কুফা থেকে দু-মঞ্জিল দূরে অবস্থিত।

প্রসঙ্গক্রমে আল্লামা শফী উকাড়বী (রহ.) উল্লেখ করেন-‘হযরত ইবনে সা’দ (রা.) হযরত সাবী (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, হযরত আলী (রাদ্বি.) সিফফীনের যুদ্ধের সময় কারবালার পথ দিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে হঠাৎ দাঁড়িয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন এ জায়গার নাম কি? লোকেরা বলল, এ জায়গার নাম ‘কারবালা’।

কারবালার নাম শুনামাত্র হযরত আলী (রাদ্বি.) এমন কান্নাকাটি করলেন যে, মাটি চোখের পানিতে ভিজে গিয়েছিল। অতপর ফরমালেন, আমি একদিন প্রিয় নবীজির খেদমতে হাজির হয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদতেছেন। আমি আরজ করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কাঁদতেছেন কেন? উত্তরে রাসূলে মকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমালেন-এইমাত্র জিবরাইল (আ.) এসে আমাকে খবর দিয়ে গেলেন যে, ইন্না ওলদিয়াল হুসাইনা ইয়ুক্বতালু বিশাতিল ফোরাতি বিমাওদ্বাইন ইয়ুক্বালু লাহু কারবালা। অর্থাৎ ‘আমার ছেলে (দৌহিত্র) হুসাইনকে (ইরাকের) ফোরাত নদীর তীরে সেই জায়গায় শহীদ করা হবে, যে জায়গার নাম কারবালা।’

মহররম মাস ও আশুরার (১০ই মুহররম) দিনটা মুসলিম জাহানের উপর চেপে বসা রাজা-বাদশাহ শেখ ও আমির শাসিত রাজতান্ত্রিক দেশগুলোর জন্যে একটা চরম বিব্রতকর দিন। রাজতন্ত্রের বিরোধিতা করার কারনে স্বৈরাচারী শাসক ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে ৬১ হিজরীতে এদিন মহানবীর দৌহিত্র বেহেস্তবাসী যুবকদের সর্দার হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) শাহাদাত বরন করেছিলেন।তৎকালীণ স্বৈরশাসক ইয়াজিদের হুকুমে তার গর্ভনর ওবাইদুল্লাহ জিয়াদের নেতৃত্বে মহানবীর এই দৌহিত্রকে সেদিন ইতিহাসের নির্মমতম এবং পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হয়েছিল। ইসলামের ইতিহাসে অনেক নবী রসুলসহ খলিফা হযরত উসমান, হযরত আলীসহ হুসাইনের চাইতেও বেশী মর্যাদাপূর্ণ আরো অনেক বড় বড় মহান ব্যক্তির হত্যাকান্ডের ঘটনা থাকলেও ৬১ হিজরীর কারবালার ঘটনা এতোটাই পৈচাশিক ও নির্মমতম ছিল যে এটা যুগে যুগে কঠিন হৃদয়কেও নাড়া দিয়েছে, এখনো দেয় এবং নিঃসন্দেহ তা কেয়ামত পর্যন্ত জালিমদের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাতে ও ইসলামী শক্তির পক্ষে মুমীনদের উদ্ভূদ্ধ করায় নিয়ামক ভূমিকা পালন করবে।

শহীদ কারবালা

কারবালার সূত্রপাত: ইসলামের ইতিহাসে কারবালার ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী।

৬৮০ খ্রিস্টাব্দের ১০ অক্টোবর মোতাবেক ৬১ হিজরির ১০ মহররম ফুরাত নদীর তীরে ইরাকের তৎকালীন রাজধানী কুফার ২৫ মাইল উত্তরে কারবালার মরুপ্রান্তরে ঐতিহাসিক ‘কারবালা’ সংঘটিত হয়েছিল।

ওইদিন কারবালা প্রান্তরে হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) নরপিশাচ সিমারের হাতে শাহাদাতবরণ করেন।



 কারবালার যুদ্ধ

ইসলামের ইতিহাসে কারবালার যুদ্ধ ছিল বড়ই নির্মম এই যুদ্ধে অসংখ্যা নিষ্পাপ নারী ও শিশুর নির্মম মৃত্যু হয় এবং ইমাম হোসাইনকে নির্মমভাবে শহীদ হন।

সত্য-ন্যায়ের পক্ষে হজরত হোসাইন (রা.) এর সৈন্য সংখ্যা মাত্র ৬০-৭০ জন। এর মধ্যে নিষ্পাপ কচিকাঁচা ও নারীদের সংখ্যাই ছিল বেশি।

আর অপরদিকে ইয়াজিদ তথা অন্যায়-অসত্যের পক্ষের সংখ্যা দ্বিগুণ বেশি। যুদ্ধ চলছে, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে হজরত হোসাইন (রা) এর বালক শিশু আলী আজগরসহ অন্য শিশুরা পানি, পানি বলে আর্তচিৎকার করছে।

পানির জন্য তারা ছটফট করছে কিন্তু পাষণ্ড ইয়াজিদ ও তার সৈন্যবাহিনী পানি দেয়া দূরের কথা বরং তারা নিষ্পাপ শিশু ও মহিলাদের উপরও নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে শহীদ করে দিল।

বালক-শিশুরাও তাদের সামর্থ্যের আলোকে ইয়াজিদ বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালিয়ে কারবালার যুদ্ধে শরিক হলো। হজরত হোসাইন (রা.) অন্যায়-অসত্যের বিরুদ্ধে এবং ন্যায়-সত্যের জন্য তিনি নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করেন।

নীতি-আদর্শ এবং অন্যায়-অসত্যের পক্ষে আপস করেননি।হজরত হোসাইন (রা.) এর শাহাদত এবং ‘কারবালা’ আমাদের সত্যের পথে অবিচল থাকার শিক্ষা দেয়। 

 কারবালার সঠিক ইতিহাস

সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় হজরত হোসাইন (রা.) অল্পসংখ্যক সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে জালিম শাসক ইয়াজিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন কারবালা প্রান্তরে।সেদিন মরুভূমির উত্তপ্ত বালুকারাশি রক্তে রক্তাক্ত হয়েছিল। জালিম শাসক ইয়াজিদ চেয়েছিল মুসলিমজাহানের ক্ষমতা হিসেবে হজরত হোসাইনের (রা.) পক্ষ থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নিতে।যদি হোসাইন (রা.) ইয়াজিদকে মুসলিমজাহানের খলিফা হিসেবে মেনে নিতেন এবং তার কাছে মাথানত করতেন তাহলে সেই কারবালা আর হতো না।কিন্তু হোসাইন (রা.) সেই ইয়াজিদকে খলিফা হিসেবে স্বীকৃতি দেননি এবং তার কাছে মাথা নত তথা আপস করেননি।তিনি দৃপ্তকণ্ঠে বলেছিলেন- ‘জালিম শাসকের প্রতি আনুগত্য তথা সমর্থন দেয়ার চেয়ে শহীদ হওয়াই শ্রেয়। অন্যায়-অসত্য এবং স্বৈরাচারী শাসকের কাছে তিনি মাথা করেননি। তাই ইয়াজিদ ক্ষুব্ধ হয়ে হজরত হোসাইনকে (রা.) হত্যার জন্য বিভিন্ন সুযোগ খুঁজতে থাকে।

ইয়াজিদ ছিলেন অনৈতিক চরিত্রের অধিকারী। মুসলিম জাহানের খলিফা হতে চেয়েছিলেন ইয়াজিদ। কিন্তু আদর্শহীন এবং অসৎ চরিত্রের কারণে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাকে খলিফা হিসেবে মেনে নিতে পারেননি।

অপরদিকে হজরত হোসাইন (রা.) ছিলেন আদর্শ চরিত্রের অধিকারী। তিনি সব শ্রেণির মানুষের কাছে ছিলেন সম্মানের পাত্র।

কুফাবাসীরা ইয়াজিদের শাসনে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলেন, যার কারণে তারা হজরত ইমাম হোসাইনকে (রা.) কুফায় আসার জন্য নিমন্ত্রণ করলেন।

হজরত হোসাইন (রা.) কুফাবাসীদের দাওয়াত পেয়ে কুফার অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য তার ভাই মুসলিমকে কুফায় প্রেরণ করেন। হজরত মুসলিম (রা.) কুফার অনুকূল পরিবেশ প্রত্যক্ষ করে হজরত হোসাইনকে (রা.) কুফায় যাওয়ার জন্য পত্র লিখলেন।

পত্র প্রেরণ করার অল্পক্ষণ পরই কুফার শাসনকর্তা হজরত মুসলিমকে হত্যা করে এবং নিমন্ত্রণকারীরা তথা কুফাবাসীরা জালিম শাসক ইয়াজিদের পক্ষে যোগদান করে।

মুসলিম (রা.)-এর শাহাদতের সংবাদ না জানার কারণে তিনি স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, আত্মীয়-স্বজন, ভক্ত-অনুচরসহ দুই শতাধিক মানুষ নিয়ে কুফা অভিমুখে রওনা হয়েছিলেন।

কুফায় পৌঁছামাত্রই পাষণ্ড ইয়াজিদ এবং তার দোসররা হজরত হোসাইন (রা.) ও তার সঙ্গী-সাথীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করে।

হোসাইন (রা.) ইয়াজিদকে বললেন, ভাই আমরা তো এখানে আপনার সঙ্গে যুদ্ধ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আসিনি। বরং কুফাবাসীদের নিমন্ত্রণ পেয়েই এসেছি।

কিন্তু কুফাবাসী যে আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে এটা আমাদের জানা ছিল না। ভাই ইয়াজিদ, আপনি আমাদের ওপর আর নির্যাতন-নিপীড়ন চালাবেন না, আমরা কুফা থেকে চলে যাবো, আপনি আমাদের গন্তব্যব্যস্থলে চলে যাওয়ার সুযোগটুকু দিন।

কিন্তু নিষ্ঠুর ইয়াজিদ হোসাইন (রা.) এর কোনো কথায়ই কর্ণপাত করেনি বরং সে তার দল-বল নিয়ে তাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়।


 কারবালার করুন কাহিনী বাংলা 

কারবালা ইসলামের ইতিহাসে একটি করুণ কাহিনী যেখানে হযরত ইমাম হুসাইন কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় এবং অগণিত শিশু এবং মহিলাদের নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয় এবং তাদেরকে হত্যা করা হয়। কারবালার যুদ্ধ নিষ্ঠুর ইয়াজিদ হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে এবং তার দলবল নিয়ে নিষ্পাপ শিশু এবং নারীদের কে হত্যা করে তাদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়।

Tag:কারবালা, কারবালার ইতিহাস , শহীদ কারবালা, কারবালার যুদ্ধ, কারবালার সঠিক ইতিহাস, কারবালার করুন কাহিনী বাংলা,

Post a Comment

0Comments

প্রতিদিন ১০০-২০০ টাকা ইনকাম করতে চাইলে এখানে কমেন্ট করে জানান। আমরা আপনায় কাজে নিয়ে নেবো। ধন্যবাদ

Post a Comment (0)