হঠাৎ দেখা বৃষ্টি নিয়ে কবিতা | দুই বিঘা জমি ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা
প্রিয় পাঠকবৃন্দ টাইম অফ বিডির পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা এবং সালাম আসসালামু আলাইকুম আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আপনারা হয়তো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের কবিতা খুঁজছেন কিন্তু অনেকেই হয়তো পাচ্ছেন না আর তাই আমরা আমাদের এই পোস্টটি তৈরি করেছি যে কবিতাগুলো নিয়ে তা হল চোখ নিয়ে কবিতা, ছোট কবিতা, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা , দুই বিঘা জমি কবিতা, হঠাৎ দেখা কবিতা , বৃষ্টি নিয়ে কবিতা ।আশা করি পুরো পোস্টটি আপনারা ধৈর্য্য সহকারে পড়বেন এবং আপনাদের ভালো লাগবে।
চোখ নিয়ে কবিতা
- শাহ্ আলম শেখ শান্ত - " হুমায়রা হিমি "
তোমার চোখ বড় মায়াবী চমত্কার !
আঁখির তারা দুটি যেন হুতম পেঁচার
ঐ চোখে দেখিতাম সদা রবির কিরণ
পূর্ণতা সোহাগী প্রেমাকর্ষণ ।
চোখ নয় যেন দুটি শুক তারা
পলকে পলকে হয়ে যাই দিশহারা ;
ভ্রু দুটি কৃষ্ণ গোলাপের পাপড়ি
মন কেড়ে নেয় দিবা শর্বরী ।
আঁখির কৃষ্ণ পত্র তোমার
অভ্রে কাজল মেঘের যেন দ্বার ;
নহে ছোট নহে ডাগর
দৃষ্টি যেন সুখ গহবর ।
হেরিলে কেহ ফেরে না তো দৃষ্টি
জীবন ভর দেখিতে হয় মোহ সৃষ্টি ;
তোমার এ চোখ স্রষ্টার প্রেমে গড়া
তাই প্রেম প্রীতি সোহাগে ভরা ।
ভাবিনি কভু আড়ালে রহিছে তার
স্বার্থপর মাউন্ট এভারেস্ট পাহাড় ;
অহমিকা তার প্রশান্তের ন্যায়
করেছে মোরে যত রকম হেয় ।
ঐ চোখে লুকিয়ে এতই যাতনা
ছিলনা তো কভু মোর কল্পনা ;
ছলনাময়ী চোখ কেড়ে নিছে মোর সবি
আমি হেরিছিলাম তার বাহ্যিক ছবি ।
ছোট কবিতা
স্বরচিত, ছোট কবিতা,
প্রতারক,
হাতে মোজা পায়ে মোজা
চোখে দিয়ে চশমা খানি
লম্বা করে পর্দা করে
তবু করে যে বেঈমানি,
মুখে মুখে দ্বীনি কথা
দিলে থাকে যে শয়তানি
হালাল রেখে হারাম খায় সে
করল প্রভুর না ফরমানি,
কুরআন নিয়ে হাদিস নিয়ে
করলি যে শয়তানি
সত্যি কথা বলতে গেলে
গায়ে লাগবে আমি জানি,
ইলম মতে আমল করলে
হতি রে জান্নাতি
অন্যের হক কেড়ে নিয়ে
হয়ে গেলি জাহান্নামী,,,
শেষ বিচারে ধরা পড়ে
কাঁদবে জনম ভরি
দ্বীনি লেবাস গায়ে দিয়ে
করলি কেন ভন্ডামি,,,,,।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা
মুজিব বর্ষ
-,হাবিবা বেগম
মুজিববর্ষকে নিয়ে...
যে কবি কবিতা লেখেনি এখনো
সে স্বাধীনতার মর্মই বুঝে না
কিংবা সে স্বাধীনতার বিরোধী।
মুজিববর্ষকে নিয়ে....
যদি কেউ যুক্তিতর্ক কিংবা প্রহসন করে
তবে নিশ্চয়ই সে স্বাধীনতার বিরোধী
অন্যথায় তারা জঙ্গিবাদ।
মুজিববর্ষকে নিয়ে....
যে পাখি এখনো তার কণ্ঠে
গায়নি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান
নিশ্চয়ই সে স্বরযন্ত্রের জালে বন্দী।
মুজিববর্ষকে নিয়ে....
কলকল ধ্বণি তুলেনি যে নদী
মিলিত হয়নি উত্তাল সাগরে
ভুলেছে স্বাধীনতার মর্মকথা
তবে নিশ্চয় সে নদী ভীষণ দুর্ভাগা।
মুজিববর্ষকে নিয়ে.....
যে যুবক এখনো তুলেনি শ্লোগান
হয়ত প্রকৃত ইতিহাস জানে না এখনো
নিশ্চয়ই ঘোর অমানিশা আঁকছে তার চোখ
নতুবা জঠরজ্বালা করেছে বিদিশা।
বেরিয়ে এসো বেরিয়ে এসো....
বেজেছে মুজিববর্ষ নামে ঘন্টার ধ্বনি
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হয়েছে শতবর্ষ
ও স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি।
নবজাগরণে মেতে উঠো বৈঠা নাও হাতে
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিচরণ করো দেশে।
মুজিব
মুহাম্মদ সামাদ
মুজিব আমার স্বপ্ন-সাহস
মুজিব আমার পিতা।
মুজিব আমার শৌর্যে-বীর্যে
নন্দিত সংহিতা।
মুজিব আমার শিরায় শিরায়
রক্তে রক্তে প্রেম।
মুজিব আমার ভালোবাসার
সূর্য-সবুজ হেম।
মুজিব আমার স্বাধীনতার
অমর কাব্যের কবি।
মুজিব আমার হৃদয়পটে
চিরসবুজ ছবি।
মুজিব আমার পরশপাথর
পবিত্র নিষ্পাপ।
মুজিব আমার বাংলা জুড়ে
একটি লাল গোলাপ।
দুই বিঘা জমি কবিত
শুধু বিঘে-দুই ছিল মোর ভুঁই, আর সবই গেছে ঋণে।
বাবু বলিলেন, “বুঝেছ উপেন? এ জমি লইব কিনে।”
কহিলাম আমি, “তুমি ভূস্বামী, ভূমির অন্ত নাই।
চেয়ে দেখো মোর আছে বড়ো-জোর মরিবার মতো ঠাঁই।”
শুনি রাজা কহে, “বাপু, জান তো হে, করেছি বাগানখানা,
পেলে দুই বিঘে প্রস্থে ও দীঘে সমান হইবে টানা—
ওটা দিতে হবে।” কহিলাম তবে বক্ষে জুড়িয়া পাণি
সজলচক্ষে, “করুন রক্ষে গরিবের ভিটেখানি!
সপ্ত পুরুষ যেথায় মানুষ সে মাটি সোনার বাড়া!
দৈন্যের দায়ে বেচিব সে মায়ে এমনি লক্ষ্মীছাড়া!”
আঁখি করি লাল রাজা ক্ষণকাল রহিল মৌনভাবে;
কহিলেন শেষে ক্রুর হাসি হেসে, “আচ্ছা, সে দেখা যাবে।”
পরে মাস-দেড়ে ভিটেমাটি ছেড়ে বাহির হইনু পথে—
করিল ডিক্রি সকলি বিক্রি মিথ্যা দেনার খতে।
এ জগতে হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভুরি!
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।
মনে ভাবিলাম, মোরে ভগবান রাখিবে না মোহগর্তে,
তাই লিখি দিল বিশ্বনিখিল দু বিঘার পরিবর্তে।
সন্ন্যাসীবেশে ফিরি দেশে দেশে হইয়া সাধুর শিষ্য—
কত হেরিলাম মনোহর ধাম, কত মনোরম দৃশ্য।
ভূধরে সাগরে বিজনে নগরে যখন যেখানে ভ্রমি,
তবু নিশিদিনে ভুলিতে পারি নে সেই দুই বিঘা জমি।
হাটে মাঠে বাটে এইমত কাটে বছর পনেরো-ষোলো,
একদিন শেষে ফিরিবারে দেশে বড়োই বাসনা হল।
নমোনমো নমঃ সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি—
গঙ্গার তীর স্নিগ্ধ সমীর, জীবন জুড়ালে তুমি।
অবারিত মাঠ, গগনললাট চুমে তব পদধূলি—
ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় ছোটো ছোটো গ্রামগুলি।
পল্লবঘন আম্রকানন রাখালের খেলাগেহ—
স্তব্ধ অতল দিঘি কালোজল, নিশীথশীতল স্নেহ।
বুকভরা মধু, বঙ্গের বধূ জল লয়ে যায় ঘরে—
“মা” বলিতে প্রাণ করে আনচান, চোখে আসে জল ভরে।
দুই দিন পরে দ্বিতীয় প্রহরে প্রবেশিনু নিজগ্রামে,
কুমোরের বাড়ি দক্ষিণে ছাড়ি রথতলা করি বামে—
রাখি হাটখোলা, নন্দীর গোলা, মন্দির করি পাছে
তৃষাতুর শেষে পঁহুছিনু এসে আমার বাড়ির কাছে।
বিদীর্ণ-হিয়া ফিরিয়া ফিরিয়া চারি দিকে চেয়ে দেখি;
প্রাচীরের কাছে এখনো যে আছে সেই আমগাছ, একি!
বসি তার তলে নয়নের জলে শান্ত হইল ব্যথা,
একে একে মনে উদিল স্মরণে বালক-কালের কথা।
সেই মনে পড়ে জ্যৈষ্ঠের ঝড়ে রাত্রে নাহিক ঘুম—
অতি ভোরে উঠি তাড়াতাড়ি ছুটি আম কুড়াবার ধুম;
সেই সুমধুর স্তব্ধ দুপুর, পাঠশালা-পলায়ন—
ভাবিলাম, হায়, আর কি কোথায় ফিরে পাব সে জীবন!
সহসা বাতাস ফেলি গেল শ্বাস শাখা দুলাইয়া গাছে;
দুটি পাকা ফল লভিল ভূতল আমার কোলের কাছে।
ভাবিলাম মনে, বুঝি এতখনে আমারে চিনিল মাতা—
স্নেহের সে দানে বহু সম্মানে বারেক ঠেকানু মাথা!
হেনকালে হায় যমদূত প্রায় কোথা হতে এল মালী,
ঝুঁটি-বাঁধা উড়ে সপ্তম সুরে পাড়িতে লাগিল গালি!
কহিলাম তবে, “আমি তো নীরবে দিয়েছি আমার সব—
দুটি ফল তার করি অধিকার, এত তারি কলরব!”
চিনিল না মোরে, নিয়ে গেল ধরে কাঁধে তুলি লাঠিগাছ;
বাবু ছিপ হাতে পারিষদ-সাথে ধরিতেছিলেন মাছ।
শুনি বিবরণ ক্রোধে তিনি কন, “মারিয়া করিব খুন!”
বাবু যত বলে পারিষদ-দলে বলে তার শতগুণ।
আমি কহিলাম, “শুধু দুটি আম ভিখ মাগি মহাশয়!”
বাবু কহে হেসে, “বেটা সাধুবেশে পাকা চোর অতিশয়।”
আমি শুনে হাসি, আঁখিজলে ভাসি, এই ছিল মোর ঘটে!
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে!
হঠাৎ দেখা কবিতা
চিনতে পারো আমায় দেখে
মনে কিছু পড়ছে তোমার,
ছোট্টবেলার খেলার সাথী
"মেঘবালিকা" নামটি আমার।
আমরা যখন হাতটি ধরে
হারিয়ে যেতাম মেঘের কোলে,
উড়তে থাকা মেঘ গুলো সব
ছুটতো তারা, হাওয়ায় দোলে।
মেঘ বাদলের লুকোচুরি
মেঘের নাচন নানান ঢঙে,
রোদের ঝিলিক তারই মাঝে
রামধনুর ঐ সাতটি রঙে।
আলতো করে হাত বোলাতাম
মেঘের পরশ, শরীর ভিজে,
ফিসফিসিয়ে বলতো ওরা
আসলি কেন ? কিসের কাজে ?
সূর্য ডোবে, সন্ধ্যে নামে
জ্যোৎস্না রাতের রুপালি চাঁদ,
হাজার তারার মেলার ভিড়ে
উপচে পড়তো খুশির সে বাঁধ।
সারাটা দিন, সারাটা রাত
খেলতে সময় যেতই চলে,
শৈশবের সেই দিনগুলো আজ
সবই তুমি ভুলেই গেলে।
হটাৎ একটা দমকা হাওয়ায়
হাত দুটো কে ছাড়িয়ে দিয়ে,
একটা বড় মেঘের ডালি
উড়িয়ে গেল তোমায় নিয়ে।
শুধাই আমি সব মেঘেদের
নেই যে খবর, নেই কো জানা,
দেখেছো কি ? বলতে পারো ?
মেঘবালকের সেই ঠিকানা।
খুঁজছি তোমায় সেদিন থেকে
শৈশব আজ যৌবনেতে,
হঠাৎ খুঁজে পেলাম তোমায়
চিনতে তুমি পারছো না যে।
হাতের উপর হাতটি রেখে
বালক শুধায় মিষ্টি হেসে,
তুমিই আমার "মেঘবালিকা"
ফিরলে আবার মেঘের দেশে।
হাতটা এখন ছাড়বো না আর
যতই আসুক দমকা হাওয়া,
হৃদয় মাঝে তুমিই ছিলে
স্বপ্ন ছিল তোমায় পাওয়া।
সুযোগটা আজ এসেই গেল
বলতে পারি নি তো তোমায়,
আমার হবে ? করবে বিয়ে ?
ভালোবাসতে পারবে আমায় ?
"মেঘবালিকা" সম্মতি দেয়
স্পর্শ করে, ইশারাতে,
এক হলো আজ দুটি হৃদয়
চাইতো তারা দুজনেতে।
হঠাৎ করে হাত ফসকে
আবার কোথায় হারিয়ে গেল,
ফিরলো না আর কোনদিনও
নতুন মেঘের সঙ্গী হলো।
তাদের দেখা আবার হবে
প্রেম বিরহের কষ্ট সয়ে,
দেখতে পাবে হয়তো তারা
ঝরছে কোথাও বৃষ্টি হয়ে।।
বৃষ্টি নিয়ে কবিতা
"আমি চাই
কেউ একজন শাসন সুরে বলুক।
এই যে সারাদিন এতো অনলাইনে কি তোমার হুম?
ঠিক মতো গোসল খাওয়া দাওয়া করো?
আমি চাই
কেউ একজন শাসন সুরে বলুক।
ফোন টিপে টিপে তোমার এতো সুন্দর চোখের নিচে যে কালি পড়ে যাচ্ছে।
সে খেয়াল কি রেখেছো?
আমি চাই
কেউ একজন শাসন সুরে বলুক।
বর্ষাকাল এসেছে, প্রায় দিনই বৃষ্টি হয়।
তুমি তো আবার বৃষ্টি আসলে।
নিজেকে সামাল দিতে পারো না।
পাগল হয়ে যাও ভিজতে।
একদম এই বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজবে না বলে দিলাম।
যদি জ্বর এসে যায়।
আমি চাই
কেউ একজন শাসন সুরে বলুক।
সারাদিন তো শুধু আজাইরা বসে থাকো।
মায়ের কাছ থেকে একটু রান্না টাও তো শিখে নিতে পারো।
তুমি রান্না না পারলে বিয়ের পর
আমাকে কে রেঁধে খাওয়াবে শুনি।
আমি চাই
কেউ একজন শাসন সুরে বলুক।
বোরকা ছাড়া কেনো বের হও তুমি।
তোমাকে যদি কেউ পছন্দ করে,
বিয়ে করে নিয়ে চলে যায়।
আমি তো এখনো কোনো চাকরি পাই নি।
আমার কি হবে তখন?
আমি চাই
কেউ একজন শাসন সুরে বলুক।
আমার প্রেমে হাবুডুবু না খেয়ে,
দেখছি কবিতার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছো।
কবিতা লিখার নেশায় পড়ে,
আমাকে যে ভুলেই গেছো।
কই আমাকে তো তোমার লিখা একটা কবিতাও পড়ে শোনাও নি।
কবে শুনাবে বলো বলো?
আমায় নিয়ে কি কবিতা লিখেছো?
এই বলো লিখেছো?
কবে লিখবে আমায় নিয়ে?
কেউ একজন শাসন সুরে বলুক
ভালোবাসবে আমায়,খুব যত্ন
Tag:চোখ নিয়ে কবিতা, ছোট কবিতা, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা , দুই বিঘা জমি কবিতা, হঠাৎ দেখা কবিতা , বৃষ্টি নিয়ে কবিতা