জায়নামাজের দোয়া বাংলা অর্থসহ আরবি উচ্চারণ 2024

 

জায়নামাজের দোয়া, জায়নামাজের নিয়ত, জায়নামাজের দোয়া বাংলায় , জায়নামাজের দোয়া পড়া কি বিদআত

প্রিয় পাঠকবৃন্দ টাইম অফ বিডির পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা এবং সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি ।যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আজকের এই পোষ্ট টি তৈরি করা হয়েছে তা হলো জায়নামাজের দোয়া, জায়নামাজের নিয়ত, জায়নামাজের দোয়া বাংলায় , জায়নামাজের দোয়া পড়া কি বিদআত 

জায়নামাজের দোয়া

জায়নামাজের দোয়া নামাজে দাড়িয়ে পড়তে হয় জায়নামাজের দোয়া আরবি উচ্চারণ এবং বাংলা উচ্চারণ এবং অর্থ নিয়ে পোস্ট টি তৈরি করা হয়েছে আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে

আরবী-উচ্চারনঃ اِنِّىْ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ فَطَرَالسَّمَوَتِ وَاْلاَرْضَ حَنِيْفَاوَّمَااَنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ

বাংলা-উচ্চারনঃ ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু ওজহিয়া লিল্লাযী ফাতারাচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাঁও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন ।

বাংলা অর্থঃ নিশ্চই আমি তাঁহার দিকে মুখ ফিরাইলাম, যিনি আসমান জমিন সৃষ্টি করিয়াছেন । আমি মুশরিকদিগের দলভুক্ত নহি ।

জায়নামাজের নিয়ত

জায়নামাজে দাঁড়িয়ে প্রথমে জায়নামাজের নিয়ত পড়তে হয়অনেকে হয়তো আমরা জায়নামাজের নিয়ত জানিনা জায়নামাজের নিয়ত নিয়ে আমরা এই পোস্টটি তৈরি করেছি আশা করছি আপনাদের উপকারে আসবে

১. জায়নামাজে দাঁড়িয়ে জায়নামাজের দোয়া পড়া। 

জায়নামাজের দোয়াঃ ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়ায হিয়া লিল্লাযি ফাতারছ্ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদি হানিফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকিন।

২. নামাজের নিয়ত করা। 

নিয়ত দিলের ইরাদাকে বলে। যেমন, "আমি দাঁড়াইয়া ফজরের দুই রাকাত ফরযের ইরাদা করিলাম।" এই ইচ্ছাটুকু না থাকিলে, এমনিভাবে নামাজ পড়িলে নামাজ আদায় হইবে না। প্রচলিত আরবি নিয়তের কোনো প্রয়োজন নাই। বরং অনেক সময় দেখা যায়, যাহারা আলেম নন, নিয়ত আরবি দ্বারা করার দরুন তাহাদের তাকবীরে তাহরীমাহ্ ফউত হইয়া(ছুটিয়া) যায়, যাহা অতি ফজিলতের জিনিস। 

আর অর্থ না বুঝার দরুন বহু রকমের ভুল করিয়া বসে। তাই বাংলায় বলিলেও নিয়ত হইয়া যায়। কেহ যদি দিলের ইচ্ছার সাথে সাথে মুখেও বলিতে চায়, তবে বাংলায় এইরূপ বলিবে, যথাঃ 

"আমি যোহরের চার রাকাত ফরয নামাজ পড়িতেছি।"

৩. তাকবীরে তাহরীমাহ্ বলা।  তাকবীরে তাহরীমাহ্ঃ আল্লাহু আকবর। 

৪. ছানা পড়া। 

[মেয়েরা বুকে হাত বেধে/পুরুষরা তাদের নিয়মে হাত বেধে ছানা পড়বে]

ছানাঃ "সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়াবিহামদিকা ওয়াতাবা রকাছমুকা ওয়াতা আ'লা যাদ্দুকা ওয়া লা~ইলাহা গইরুকা।"

৫. কিরাত (সূরা) পড়া। সূরা ফাতিহা পড়া এবং সূরা ফাতিহার সঙ্গে সূরা মিলানো। 

৬. রুকু করা। রুকুর তাসবীহ্ঃ "সুবহানা রব্বিইয়াল আযীম।" (৩বার/৫বার/৭বার পড়া) 

রুকু হইতে উঠিবার সময়ের তাজবীহ্ঃ "সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ-রব্বানা লাকাল হামদ্।"

৭. সিজদা করা। সিজদার তাসবীহ্ঃ "সুবহানা রব্বিইয়াল আ'লা।" (৩বার/৫বার/৭বার) 

৮. আখেরী বৈঠক।

তাশাহহুদঃ "আত্তাহিই-ইয়াতু লিল্লাহি ওয়াচ্ছলা-ওয়াতু ওয়াত্তয়্যিবাতু আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিইয়্যু ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিছ ছলিহীন আশহাদু আল লা~ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।"

দুরূদ শরীফঃ "আল্লাহুম্মা ছল্লিআলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা ছল্লাইতা আলা ইব্রহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রহিমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।"

"আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারকতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহিমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।"

দু'আয়ে মা-সূরাহ্ পড়বেন।

এভাবেই প্রত্যেকটা নামাজ আদায় করবেন।

জায়নামাজের দোয়া বাংলায়

প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা নামাজের সময় নামাজে দাড়িয়ে আমরা জায়নামাজের একটি দোয়া পড়তে হয় যা হয়তো অনেকেই আমরা জানি না এবং হয়তো বিভিন্ন জায়গায় খুঁজছি কিন্তু অনেকে হয়ত পাচ্ছিনা।জায়নামাজের দোয়া আরবিতে পড়া যায় এবং কেউ যদি আরবি না জানে তাহলে বাংলায় করা যায় জায়নামাজের দোয়া বাংলায় উচ্চারণ দেওয়া হল আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে

বাংলা-উচ্চারনঃ ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু ওজহিয়া লিল্লাযী ফাতারাচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাঁও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন ।

জায়নামাজের দোয়া পড়া কি বিদআত?

জায়নামাজে দাড়িয়ে এই দোয়া পড়া বিদয়াত নয়।

প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনারা অনেকেই জায়নামাজের দোয়া পড়া কি বিদআত সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন আর তাই আমরা আমাদের এই পোস্টটি জায়নামাজের দোয়া পড়া কি বিদআত এটি নিয়ে হাজির করেছে আশা করছি আপনাদের উপকারে আসবে

বিদাআত আমাদের কাছে একটি নতুন শব্দ। বিদাআত আরবি শব্দ। এর বাংলা অর্থ হচ্ছে নতুন আবিষ্কার , নতুন সৃষ্টি। অর্পূথাৎ যার কোনা অস্তিত্ব ই ছিলোনা তা নতুন করে ইবাদতের নামে চালিয়ে দেওয়াই বিদাআত।“বিদয়াত হলো- নমুনা ব্যতীত সৃষ্ট জিনিস | ”মিছবাহুল লোগাত, পৃঃ ২৭

এটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত নয় খুব একটা , কিন্তু আমরা সবাই সুন্নত মনে করে পালন করে আসছি। না জানার ফলে সুন্নত মনে করে কাজটা করে আসা বিফলে যাবে!‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘কেউ আমাদের এ শরী‘আতে নাই এমন কিছুর অনুপ্রবেশ ঘটালে তা প্রত্যাখ্যাত [১]।’ অর্থাৎ, বিদাআত করে আমরা যতই মনে করি যে আমাদের সাওয়াব হচ্ছে কিন্তু আসলে তা না। বরং বিদাআত পালনে আমরা গুনাহগার হচ্ছি।

 আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত- নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহ্র কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদের (সাঃ) এর আদর্শ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল (দ্বীনের মধ্যে) নব আবিষ্কৃত বিষয়। আর নব আবিষ্কৃত প্রত্যেক বিষয় বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআত হল ভ্রষ্টতা। [ বুখারী-৭২৭৭, মুসলিম-১৫৩৫, ইবনু মাজাহ-৪৫, মিশকাত-১৪১]

অপর একটি বর্ণনায় এসেছে-“ প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।” [নাসাঈ]

অর্থাৎ বিদাআত পালন করে আমাদের পরিনাম জাহান্নাম ছাড়া আর কিছু হবে না। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-যে ব্যক্তি দ্বীনের মধ্যে বিদ্‘আত আবিষ্কার করে কিংবা বিদ্আতীকে আশ্রয় দেয়, তার উপর আল্লাহ, ফেরেশতা ও সকল মানুষের অভিসম্পাত। আল্লাহ তার কোন নফল ও ফরজ ‘ইবাদাত কবূল করেন না। (সংক্ষেপিত) [বুখারী-৩১৭২, তিরমিযী-২১২৭, মিশকাত-২৭২৮]

 নব আবিষ্কৃত কোনো ইবাদত ই কবুল হবে না বরং আমরা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হব। তাই আসুন আমরা সবাই বিদাআত পালন করা ত্যাগ করি । আমাদের পরিবার আত্মীয় স্বজন কারিদের বিদাআত , এর ভয়াবহতা বুঝিয়ে তাদেরকে বিদাআত পালন করা থেকে রক্ষা করি। ইংশাআল্লাহ , আমরা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়েই সফলকাম হব। মহান আল্লাহ আমাদের ও আমাদের পরিবারের সকল কে বিদাআত পালন করা থেকে রক্ষা করুক ও শুধুমাত্র রাসুল( সাঃ) এর নির্দেশিত পথে আমল করার তৌফিক দান করুন।। আমিন!!

Tags: জায়নামাজের দোয়া, জায়নামাজের নিয়ত, জায়নামাজের দোয়া বাংলায় , জায়নামাজের দোয়া পড়া কি বিদআত