প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আমি আজ আপনাদের সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উক্তি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেরা উক্তি ও বাণী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেরা উক্তি, রবীন্দ্রনাথ উক্তি, রবীন্দ্রনাথ বাণী শেয়ার করব। আপনারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উক্তি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেরা উক্তি ও বাণী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেরা উক্তি, রবীন্দ্রনাথ উক্তি, রবীন্দ্রনাথ বাণী পোস্টটি থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উক্তি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেরা উক্তি ও বাণী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেরা উক্তি, রবীন্দ্রনাথ উক্তি, রবীন্দ্রনাথ বাণী গুলো জেনে নিতে পারবেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কিছু উক্তি
আমার যে সকল পাঠক বন্ধুরা রবীন্দ্রনাথ-ঠাকুরের-উক্তি খুঁজছেন তাদের সুবিধার্থে আমি আজ এখানে রবীন্দ্রনাথ-ঠাকুরের-উক্তি শেয়ার করব আশাকরি রবীন্দ্রনাথ-ঠাকুরের-উক্তি গুলো আপনাদের পছন্দ হবে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ক্যাপশন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কিছু উক্তি
- যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে
- মানুষের মধ্যে দ্বিজত্ব আছে; মানুষ একবার জন্মায় গর্ভের মধ্যে, আবার জন্মায় মুক্ত পৃথিবীতে…মানুষের এক জন্ম আপনাকে নিয়ে, আর এক জন্ম সকলকে নিয়ে।”
- অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।
- আগুনকে যে ভয় পায়, সে আগুনকে ব্যবহার করতে পারে না।
- সংসারে সাধু-অসাধুর মধ্যে প্রভেদ এই যে, সাধুরা কপট আর অসাধুরা অকপট।
- নিন্দা করতে গেলে বাইরে থেকেই করা যায়, কিন্তু বিচার করতে গেলে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়।
- গোলাপ যেমন একটি বিশেষ জাতের ফুল, বন্ধু তেমনই একটি বিশেষ জাতের মানুষ।
- মানুষ পণ করে, পণ ভাঙিয়া ফেলিয়া, হাঁফ ছাড়িবার জন্য।
- যে পুরুষ অসংশয়ে অকুণ্ঠিতভাবে, নিজেকে প্রচার করিতে পারে। সেই সমস্ত পুরুষ সহজেই, নারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে পারে।
- যে ধর্মের নামে বিদ্বেষ সঞ্চিত করে, ঈশ্বরের অর্ঘ্য হতে, সে হয় বঞ্চিত।
- ভয়ের তাড়া খেলেই, ধর্মের মূঢ়তার পিছনে, মানুষ লুকাতে চেষ্টা করে।
- সংসারে সাধু-অসাধুর মধ্যে, প্রভেদ এই যে সাধুরা কপট, আর অসাধুরা অকপট।
- ক্ষমাই যদি করতে না পারো, তবে তাকে ভালোবাসো কেন?
- তোমার পতাকা যারে দাও, তার বহিবারে দাও শক্তি।
- সোহাগের সঙ্গে রাগ না মিশিলে, ভালোবাসার স্বাদ থাকে না-তরকারিতে লঙ্কা মরিচের মতো।
- শিমুল কাঠই হোক, আর বকুল কাঠই হোক আগুনের চেহারাটা একই।
- পৃথিবীর সবচাইতে বড় দূরত্ব কোনটা জানো? নাহ, জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত উত্তরটা সঠিক নয়। সবচাইতে বড় দূরত্ব হলো আমি তোমার সামনে থাকি, কিন্তু তুমি জানো না যে, আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।
- প্রেমের আনন্দ থাকে অল্পক্ষণ, কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন।
- সাধারণত স্ত্রী জাতি কাঁচা আমি,ঝাল লঙ্কা এবং কড়া স্বামীই ভালোবাসে। যে দুর্ভাগা পুরুষ নিজের স্ত্রীর ভালোবাসা হতে বঞ্চিত হয়,সে কুশ্রী অথবা ধনহীন তা নহে,সে নিতান্তই নিরীহ।
- যে মরিতে জানে, সুখের অধিকার তাহারই। যে জয় করতে জানে, ভোগ করা তারই সাজে।
- পৃথিবীতে বালিকার প্রথম প্রেমের মতো সর্বগ্রাসী প্রেম আর কিছু নাই।প্রথম যৌবনে বালিকা যাহাকে ভালোবাসে তাহার মতো সৌভাগবানও আর কেহই নাই। যদিও সেই প্রেম অধিকাংশ সময় অপ্রকাশিত থেকে যায়। কিন্তু সেই প্রেমের আগুন সেই বালিকাকে সারা জীবনই পোড়ায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি ও বাণী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা caption
- মানুষের মধ্যে দ্বিজত্ব আছে; মানুষ একবার জন্মায় গর্ভের মধ্যে, আবার জন্মায় মুক্ত পৃথিবীতে। মানুষের এক জন্ম আপনাকে নিয়ে, আর এক জন্ম সকলকে নিয়ে।
- যার সঙ্গে মানুষের লোভের সম্বন্ধ তার কাছ থেকে মানুষ প্রয়োজন উদ্ধার করে, কিন্তু কখনও তাকে সম্মান করে না।
- আগুনকে যে ভয় পায়, সে আগুনকে ব্যবহার করতে পারে না।
- বিনয় একটা অভাবাত্মক গুণ। আমার যে অহংকারের বিষয় আছে এইটে না মনে থাকাই বিনয়, আমাকে যে বিনয় প্রকাশ করিতে হইবে এইটে মনে থাকার নাম বিনয় নহে।
- অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার ধরিয়া রাখার মত বিড়ম্বনা আর হয় না।
- অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তবে ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে।
- যে ছেলে চাবামাত্রই পায়, চাবার পূর্বেই যার অভাব মোচন হতে থাকে; সে নিতান্ত দুর্ভাগা। ইচ্ছা দমন করতে না শিখে কেউ কোনকালে সুখী হতে পারেনা।
- সময়ের সমুদ্রে আছি,কিন্তু একমুহূর্ত সময় নেই।
- নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস, ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস। নদীর ওপার বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে; কহে, যাহা কিছু সুখ সকলি ওপারে।
- যাহারা নিজে বিশ্বাস নষ্ট করে না তাহারাই অন্যকে বিশ্বাস করে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেম নিয়ে উক্তি | Rabindranath Love Quotes In Bengali
- আমি আজ আপনাদের সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেম নিয়ে উক্তি শেয়ার করব। আপনারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেম নিয়ে উক্তি এর তালিকাভুক্ত উক্তিগুলো থেকে আপনাদের পছন্দমত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেম নিয়ে উক্তি বাছাই করে নিতে পারবেন।
- এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না, শুধু সুখ চলে যায় ----------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- প্রেমের মধ্যে ভয় না থাকলে রস নিবিড় হয় না ----------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- ক্ষমাই যদি করতে না পারো, তবে তাকে ভালোবাসো কেন ----------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- বিচ্ছেদের দুঃখে প্রেমের বেগ বাড়িয়া ওঠে ----------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- নারীর প্রেমে মিলনের গান বাজে, পুরুষের প্রেমে বিচ্ছেদের বেদনা----------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- স্বামীরা প্রেমিক হতে অবশ্যই রাজি, তবে সেটা নিজের স্ত্রীর সাথে নয় | নিজের স্ত্রীর প্রেমিক হওয়ার বিষয়টা কেন জানি তারা ভাবতেই চায়না ----------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- আনন্দকে ভাগ করলে দুটি জিনিস পাওয়া যায়; একটি হচ্ছে জ্ঞান এবং অপরটি হচ্ছে প্রেম ----------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
Best Romantic Lines By Rabindranath Tagore
- পৃথিবীতে বালিকার প্রথম প্রেমেরমত সর্বগ্রাসী প্রেম আর কিছুই নাই। প্রথমযৌবনে বালিকা যাকে ভালোবাসে তাহার মত সৌভাগ্যবানও আর কেহই নাই। যদিও সে প্রেম অধিকাংশ সময় অপ্রকাশিত থেকে যায়, কিন্তু সে প্রেমের আগুন সব বালিকাকে সারাজীবন পোড়ায়।----------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন ----------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- আমি তোমাকে অসংখ্য ভাবে ভালবেসেছি, অসংখ্যবার ভালবেসেছি, এক জীবনের পর অন্য জীবনেও ভালবেসেছি, বছরের পর বছর, সর্বদা, সবসময়।----------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি
- সোহাগের সঙ্গে রাগ না মিশিলে ভালবাসার স্বাদ থাকেনা - তরকারীতে লঙ্কামরিচের মত----------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- সাধারণত স্ত্রীজাতি কাঁচা আম, ঝাল লঙ্কা এবং কড়া স্বামীই ভালোবাসে। যে দুর্ভাগ্য পুরুষ নিজের স্ত্রীর ভালোবাসা হইতে বঞ্চিত সে - যে কুশ্রী অথবা নির্ধন তাহা নহে; সে নিতান্ত নিরীহ।----------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- ভালোবাসা কথাটা বিবাহ কথার,,,, চেয়ে আরো বেশি জ্যান্ত----------- Rabindranath Tagore
- সত্য যে কঠিন ,কঠিনেরে ভালোবাসিলাম , সে কখনো করে না বঞ্চনা । ----------- Rabindranath Tagore
- পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দূরত্ব কোনটি জানো? নাহ, জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, উত্তরটা সঠিক নয়। সবচেয়ে বড়দূরত্ব হলো যখন আমি তোমার সামনে থাকি, কিন্তু তুমি জানো না যে আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।----------- Rabindranath Tagore
Rabindranath Tagore's Quotes About Love In Bengali
- হঠাৎ একদিন পূর্ণিমার রাত্রে জীবনে যখন জোয়ার আসে, তখন যে একটা বৃহৎ প্রতিজ্ঞা করিয়া বসেজীবনের সুদীর্ঘ ভাটার সময় সে প্রতিজ্ঞা রক্ষা করিতে তাহার সমস্ত প্রাণে টান পড়ে----------- Rabindranath Tagore
বিয়ে নিয়ে রবীন্দ্রনাথের উক্তি || Rabindranath Tagore Quotes On Marriage In Bengali
- বিয়ে করলে মানুষকে মেনে নিতে হয়, তখন আর গড়ে নেবার ফাঁক পাওয়া যায় না----------- Rabindranath Tagore
- লোকে ভুলে যায় দাম্পত্যটা একটা আর্ট, প্রতিদিন ওকে নতুন করে সৃষ্টি করা চাই----------- Rabindranath Tagore
- বিবেচনা করবার বয়েস ভালোবাসার বয়েসের উলটো পিঠে ।----------- Rabindranath Tagore
Rabindranath Tagore Quotes In Bengali For Love
- নারীর প্রেম পুরুষকে পূর্ণশক্তিতে জাগ্রত করতে পারে; কিন্তু সে-প্রেম যদি শুক্লপক্ষের না হয়ে কৃষ্ণপক্ষের হয় তবেতার মালিন্যের আর তুলনা নেই।----------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- প্রেমের দুই বিরুদ্ধ পার আছে। এক পারে চোরাবালি, আর-এক পারে ফসলের খেত। এক পারে ভালোলাগার দৌরাত্ম,অন্য পারে ভালোবাসার আমন্ত্রণ। ----------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ প্রেমের উক্তি || Best Romantic Lines By Rabindranath Tagore In Bengali
- ভালোবাসার ট্রাজেডি ঘটে সেইখানেই যেখানে পরস্পরকে স্বতন্ত্র জেনে মানুষ সন্তুষ্ট থাকতে পারে নি, নিজের ইচ্ছেকেঅন্যের ইচ্ছে করবার জন্যে যেখানে জুলুম, যেখানে মনে করি আপন মনের মতো করে বদলিয়ে অন্যকে সৃষ্টি করব। ----------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- স্বামীরা প্রেমিক হতে অবশ্যই রাজি, তবে সেটা নিজের স্ত্রীর সাথে নয়। নিজের স্ত্রীর প্রেমিক হবার বিষয়টাকেন যেন তারা ভাবতেই চায় না ----------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- আমার তৃষ্ণা তোমার সুধা তোমার তৃপ্তি আমার সুধা ----------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- মন দিয়ে মন বোঝা যায়, গভীর বিশ্বাস শুধু নীরব প্রাণের কথা টেনে নিয়ে আসে।----------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত প্রেমের উক্তি
- পৃথিবীতে বালিকার প্রথম প্রেমেরমত সর্বগ্রাসী প্রেম আর কিছুই নাই। প্রথমযৌবনে বালিকা যাকেভালোবাসে তাহার মত সৌভাগ্যবানও আর কেহই নাই। যদিও সে প্রেম অধিকাংশ সময় অপ্রকাশিত থেকেযায়, কিন্তু সে প্রেমের আগুন সব বালিকাকে সারাজীবন পোড়ায়।----------- Rabindranath Tagore
- যৌবনের শেষে শুভ্র শৎরকালের ন্যায় একটি গভীর প্রশান্ত প্রগাঢ় সুন্দর বয়স আসে যখন জীবনের শেষে ফলফলিবার এবং শস্য পাকিবার সময়----------- Rabindranath Tagore
রবীন্দ্রনাথের উক্তি | রবীন্দ্রনাথের বাণী
- প্রেমের দ্বারা চেতনা যে পূর্ণশক্তি লাভ করে সেই পূর্ণতার দ্বারাই সে সীমার মধ্যে অসীমকে, রূপের মধ্যে অপরূপকে দেখতে পায়— তাকে নূতন কোথাও যেতে হয় না ।—– শান্তিনিকেতন
- ভক্তের দাসত্বে স্বাধীনতা আছে , ভক্তের স্বাধীন দাসত্ব তেমনি প্রকৃত — প্রণয় স্বাধীন প্রণয়।——আদর্শ প্রেম
- ফুল যে কেবল বনের মধ্যেই কাজ করছে তা নয়—মানুষের মনের মধ্যেও তার যেটুকু কাজ তা সে বরাবর করে আসছে । ——শান্তিনিকেতন ১১, ১৯
- আমি রূপে তোমায় ভোলাব না , ভালোবাসায় ভোলাব । / আমি হাত দিয়ে দ্বার খুলব না গো , গান দিয়ে দ্বার খোলাব / ভরাব না ভূষণভারে , সাজাব না ফুলের হারে – / প্রেমকে আমার মালা করে গলায় তোমার দোলাব ।
- (প্রেম -৯০)
- মনুষ্যত্বের মূলে আর একটি প্রকাণ্ড দ্বন্দ্ব আছে ; তাকে বলা যেতে পারে প্রকৃতি এবং আত্মার দ্বন্দ্ব । স্বার্থের দিক এবং পরমার্থের দিক , বন্ধনের দিক এবং মুক্তির দিক , সীমার দিক এবং অনন্তের দিক– এই দুইকে মিলিয়ে চলতে হবে মানুষকে ।——শান্তিনিকেতন -১১
- মানুষের বিশ্বজয়ের এই একটা পালা বস্তুজগতে; ভাবের জগতে তার আছে আর-একটা পালা । ব্যাবহারিক বিজ্ঞানে একদিকে তার জয়স্তম্ভ, আর-একদিকে শিল্পে সাহিত্যে ।
- —–সাহিত্যের তাৎপর্য
- প্রেম যাহা দান করে , সেই দান যতই কঠিন হয়, ততই তাহার সার্থকতার আনন্দ নিবিড় হয় ।
- —- মনুষ্যত্ব
- স্বার্থ আমাদের যে-সব প্রয়াসের দিকে ঠেলে নিয়ে যায় তার মূল প্রেরণা দেখি জীবপ্রকৃতিতে; যা আমাদের ত্যাগের দিকে , তপস্যার দিকে নিয়ে যায় তাকেই বলি মনুষ্যত্ব , মানুষের ধর্ম ।
- ——মানুষের ধর্ম
- আপনাকে বৃহতে উপলব্ধি করাই সত্য , অহংসীমায় অবরূদ্ধ জানাই অসত্য। ব্যক্তিগত দুঃখ এই অসত্যে-।—– মানুষের ধর্ম-২
- মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে , মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই । এই সূর্যকরে এই পুষ্পিত কাননে জীবন্ত হৃদয় – মাঝে যদি স্থান পাই ।—- প্রাণ/কড়ি ও কোমল
- যাহাকে তুমি ভালোবাস তাহাকে ফুল দাও , কাঁটা দিও না ; তোমার হৃদয়-সরোবরের পদ্ম দাও , পঙ্ক দিও না। —– মনের বাগানবাড়ি -১
- প্রেমের ধর্ম এই , সে ছোটোকেও বড়ো করিয়া লয়। আর , আড়ম্বর-প্রিয়তা বড়োকেও ছোটো করিয়া দেখে । এই নিমিত্ত প্রেমের হাতে কাজের আর অন্ত নাই , কিন্তু আড়ম্বরের হাতে কাজ থাকে না । প্রেম শিশুকেও অগ্রাহ্য করে না, বার্ধক্যকে উপেক্ষা করে না , আয়তন মাপিয়া সমাদরের মাত্রা স্থির করে না ।—— হাতে কলমে -১
- রমণীর প্রেমের মধ্যে পরিতৃপ্তি আছে , বিশ্বাস আছে , নিষ্ঠা আছে , কিন্তু পুরুষের প্রেমের মধ্যে যে একটি চির অতৃপ্তিপূর্ণ অনির্বচনীয় সুখ আছে তাহা বোধ করি খুব অল্প রমণী উপভোগ করিয়াছে ।— স্ত্রী ও পুরুষের প্রেমে বিশেষত্ব
- স্ত্রী-পুরুষগত প্রেমের ন্যায় প্রবল শক্তি আর কিছু আছে কি না সন্দেহ । এই শক্তি ষোলো আনা মাত্রায় সমাজের কাজে লাগাইলে মানবসভ্যতা অনেকটা বল পায়। এই শক্তি হইতে বঞ্চিত করিলে সমাজের একটি প্রধান বল অপহরণ করা হয় ।——- সমাজে স্ত্রী-পুরুষের প্রেমের প্রভাব ।
- ভালোবাসা অর্থে আত্মসমর্পণ করা নহে , ভালোবাসা অর্থে ভাল বাসা , অর্থাৎ অন্যকে ভালো বাসস্থান দেওয়া, অন্যকে মনের সর্ব্বাপেক্ষা ভালো জায়গায় স্থাপন করা ।——মনের বাগানবাড়ি -২
- মানুষের দেবতা মানুষের মনের মানুষ , জ্ঞানে কর্মে ভাবে যে পরিমাণে সত্য হই সেই পরিমাণেই সেই মনের মানুষকে পাই –অন্তরে বিকার ঘটলে সেই আমার আপন মনের মানুষকে মনের মধ্যে দেখতে পাই নে । মানুষের যত-কিছু দুর্গতি আছে সেই আপন মনের মানুষকে হারিয়ে, তাকে বাইরের উপকরণে খুঁজতে গিয়ে , অর্থাৎ আপনাকেই পর করে দিয়েছে ।——- মানুষের ধর্ম ১/১১
- মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ , সে বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত রক্ষা করব । আশা করব, মহাপ্রলয়ের পরে বৈরাগ্যের মেঘমুক্ত আকাশে ইতিহাসের একটি নির্মল আত্মপ্রকাশ হয়তো আরম্ভ হবে এই পূর্বাচলের সূর্যোদয়ের দিগন্ত থেকে । আর-একদিন অপরাজিত মানুষ নিজের জয়যাত্রার অভিযানে সকল বাধা অতিক্রম করে অগ্রসর হবে তার মহৎ মর্যাদা ফিরে পাবার পথে । মনুষ্যত্বের অন্তহীন প্রতিকারহীন পরাভবকে চরম বলে বিশ্বাস করাকে আমি অপমান মনে করি । ——- সভ্যতার সংকট
- যে পাখির ডানা সুন্দর ও কণ্ঠস্বর মধুর তাকে খাঁচায় বন্দী করে মানুষ গর্ব অনুভব করে; তার সৌন্দর্য সমস্ত অরণ্যভূমির , এ কথা সম্পত্তিলোলুপরা ভুলে যায় । মেয়েদের হৃদয়মাধুর্য ও সেবানৈপুণ্যকে পুরুষ সুদীর্ঘকাল আপন ব্যক্তিগত অধিকারের মধ্যে কড়া পাহারায় বেড়া দিয়ে রেখেছে। মেয়েদের নিজের স্বভাবেই বাঁধন-মানা প্রবণতা আছে , সেইজন্যে এটা সর্বত্রই এত সহজ হয়েছে ।——– নারী-২
বিখ্যাত কবিতা ক্যাপশন
শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী—
পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারি
আপন অন্তর হতে বসি কবিগণ
সোনার উপমাসূত্রে বুনিছে বসন ।
সঁপিয়া তোমার ’পরে নূতন মহিমা
অমর করিছে শিল্পী তোমার প্রতিমা ।—– মানসী
- প্রেম শান্তিরূপেও আসবে অশান্তিরূপেও আসবে, সুখ হয়েও আসবে দুঃখ হয়েও আসবে–সে যে-কোনো বেশেই আসুক তার মুখের দিকে চেয়ে যেন বলতে পারি তোমাকে চিনেছি , বন্ধু তোমাকে চিনেছি । ——- শান্তিনিকেতন -১
- সোনার চেয়ে আনন্দের দাম বেশি ; ….. প্রতাপের মধ্যে পূর্ণতা নেই , প্রেমের মধ্যেই পূর্ণতা । সেখানে মানুষকে দাস করে রাখবার প্রকাণ্ড আয়োজনে মানুষ নিজেকেই নিজে বন্দী করেছে ।—— পশ্চিম-যাত্রীর ডায়ারি
- সহজ মানুষের সত্যটি সামাজিক মানুষের কুয়াশায় ঢেকে রেখে দেয় । অর্থাৎ আমরা নানা অবান্তর তথ্যের অস্বচ্ছতার মধ্যে বাস করি । শিশুর জীবনের যে সত্য তার সঙ্গে অবান্তরের মিশেল নেই । তাই, তার দিকে যখন চেয়ে দেখবার অবকাশ পাই তখন প্রাণলীলার প্রত্যক্ষ স্বরূপটি দেখি ; তাতে সংস্কারভারে পীড়িত চিন্তাক্লিষ্ট মন গভীর তৃপ্তি পায় ।—— পশ্চিম-যাত্রীর ডায়ারি
- সুন্দর আপনি সুন্দর এবং অন্যকে সুন্দর করে । কারণ , সৌন্দর্য্য হৃদয়ে প্রেম জাগ্রত করিয়া দেয় এবং প্রেমই মানুষকে সুন্দর করিয়া তোলে ।—– সৌন্দর্য্য ও প্রেম
- কবিদিগকে আর কিছুই করিতে হইবে না , তাঁহারা কেবল সৌন্দর্য্য ফুটাইতে থাকুন —জগতের সর্ব্ত্র যে সৌন্দর্য্য আছে তাহা তাঁহাদের হৃদয়ের আলোকে পরিস্ফুট ও উজ্জ্বল হইয়া আমাদের চোখে পড়িতে থাকুক , তবেই আমাদের প্রেম জাগিয়া উঠিবে, প্রেম বিশ্বব্যাপী হইয়া পড়িবে ।—- কবিতা ও তত্ত্ব
- জ্ঞানে প্রেমে অনেক প্রভেদ । জ্ঞানে আমাদের ক্ষমতা বাড়ে , প্রেমে আমাদের অধিকার বাড়ে । জ্ঞান শরীরের মত , প্রেম মনের মত । জ্ঞান কুস্তি করিয়া জয়ী হয় , প্রেম সৌন্দর্য্যের দ্বারা জয়ী হয় । জ্ঞানের দ্বারা জানা যায় মাত্র , প্রেমের দ্বারা পাওয়া যায় । জ্ঞানেতেই বৃদ্ধ করিয়া দেয় , প্রেমেতেই যৌবন জিয়াইয়া রাখে । জ্ঞানের অধিকার যাহার উপরে তাহা চঞ্চল , প্রেমের অধিকার যাহার উপরে তাহা ধ্রুব । জ্ঞানীর সুখ আত্মগৌরব-নামক ক্ষমতার সুখ , প্রেমিকের সুখ আত্মবিসর্জ্জন-নামক স্বাধীনতার সুখ । ——- জ্ঞান ও প্রেম
- পৃথিবীর চারি দিকে দেয়াল , সৌন্দর্য্য তাহার বাতায়ন । পৃথিবীর আর সকলই তাহাদের নিজ নিজ দেহ লইয়া আমাদের চোখের সম্মুখে আড়াল করিয়া দাঁড়ায় , সৌন্দর্য্য তাহা করে না —সৌন্দর্য্যের ভিতর দিয়া আমরা অনন্ত রঙ্গভূমি দেখিতে পাই ।—— মর্ত্যের বাতায়ন
- ছেলে যদি মানুষ করিতে চাই , তবে ছেলেবেলা হইতেই তাহাকে মানুষ করিতে আরম্ভ করিতে হইবে , নতুবা সে ছেলেই থাকিবে , মানুষ হইবে না । শিশুকাল হইতেই কেবল স্মরণশক্তির উপর সমস্ত ভর না দিয়া সঙ্গে সঙ্গে যথা পরিমাণে চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তির স্বাধীন পরিচালনার অবসর দিতে হইবে । —— শিক্ষার হেরফের
তোর আপন জনে ছাড়বে তোরে ,
তা ব’লে ভাবনা করা চলবে না ।
ও তোর আশালতা পড়বে ছিঁড়ে ,
হয়তো রে ফল ফলবে না ।
আসবে পথে আঁধার নেমে , তাই ব’লেই কি রইবি থেমে–
ও তুই বারে বারে জ্বালবি বাতি ,
হয়তো বাতি জ্বলবে না । ” —– গান
- আগুনকে যে ভয় করে সে আগুনকে ব্যবহার করতে পারে না ।—— চার অধ্যায়
- পৃথিবীতে সকলের চেয়ে বড়ো জিনিস আমরা যাহা কিছু পাই তাহা বিনামূল্যেই পাইয়া থাকি , তাহার জন্য দরদস্তুর করিতে হয় না । মূল্য চুকাইতে হয় না বলিয়াই জিনিসটা যে কত বড়ো তাহা আমরা সম্পূর্ণ বুঝিতেই পারি না ।———- পরিচয়/ ভগিনী নিবেদিতা